চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায়গুলো জেনে নিন
আপনি কি আপনার শরীর চুলকাতে চুলকাতে বিরক্ত হয়ে উঠেছেন এবং এই চুলকানি নামক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে চান। তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। কারন আমি আজকে দেখাতে চলেছি কিভাবে আপনি আপনার শরীরে যে কোন স্থান থেকে চুলকানি দূর করবেন ঘরোয়া উপায়ে। এই উপায়গুলো মেনে চললে আর কখনোই আপনার চুলকানি হবে না ইনশাআল্লাহ।তাই আজকে আমরা দেখাতে চলেছি কিভাবে সহজ পদ্ধতি ব্যবহার করে চুলকানি দূর করা যায়। সুতরাং চুলকানি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমাদের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন এবং আপনার শরীর থেকে সম্পূর্ণরূপে চুলকানি দূর করে ফেলুন।পোস্টসূচিপএঃ
সারসংক্ষেপ
আমরা সবাই কখনো না কখনো চুলকানি নামক যন্ত্রনার সম্মুখীন হয়েছি। কখনো চুলকানি হয়নি এমন মানুষ খুজেঁ পাওয়া যাবে না। আমরা এই চুলকানি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য অনেক ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন করি। কেউ কেউ ঔষধের মাধ্যমে চুলকানি দূর করে থাকে। আবার, অনেকে ক্ৰিম ব্যবহার করে চুলকানি দূর করে থাকে। কিন্তু ক্ৰিম ব্যবহার করলে ত্বকের ক্ষতি হয়। তাই আজকে আমরা শিখবো কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে চুলকানি দূর করা যায়?
চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায়
বেকিং সোডা
শরীরের চুলকানি দূর করার জন্য বেকিং সোডা অনেক ভালো কাজ করে। একটি পাএে পানি নেন। ঐ পানিকে চার অংশে ভাগ করে এক অংশে সোডা বাকি তিন অংশে পানি মিশিয়ে পেষ্ট করে, চুনকানির স্থানটিতে লাগান। ইনশাআল্লাহ্ চুলকানি কমে যাবে।
এক বালতি পানি নেন ঐ পানির মধ্যে এক চামচ সোডা ভালো করে মিশিয়ে বালতির পানির মধ্যে কমপক্ষে ৩০ মিনিট শরীর ভিজিয়ে রাখেন। তারপর শরীর কোনো রকম না ধুয়ে শুকিয়ে ফেলুন। ইনশাআল্লাহ্ চুলকানি ভালো হয়ে যাবে
অ্যালোভেরা
আমরা সবাই জানি অ্যালোভেরা আমাদের ত্বক চর্চা থেকে শুরু করে চুল ওঠা পর্যন্ত কমায়। আরো অনেক কাজে ব্যবহার করা হয়। তার মধ্যে একটি চুলকানি দূর করা যায়। অ্যালোভেরা থেকে রস বের করে টানা কিছু দিন চুলকানির স্থানটিতে লাগান। ইনশাআল্লাহ্ চুলকানি ভালো হয়েযাবে।
নিমপাতা
নিম পাতাকে প্রাকৃতিক এন্টিসেপ্টিক বলা হয়। নিমপাতা ভালো করে বেটে নিন। তারপর চুলকানির স্থানটিতে লাগান। ইনশাআল্লাহ্ চুলকানি ভালো হয়ে যাবে।
তুলসি পাতা
তুলসি পাতার মধ্যে রয়েছে অ্যান্সথেটিক নামক উপাদান। যা চুলকানি দূর করতে সাহায্যে করে। প্রথমে এক মগ পানি নিন। ২২-২৫ টা তুলসি পাতা পানির মধ্যে ছেড়ে দিন। পানি ভালো করে ফুটিয়ে নেন। উমা উমা গরম থাকা অবস্থায় শরীরের যে স্থানে চুলকানি আছে ঐখানে লাগান। চুলকানি ভালো হয়ে যাবে। ইনশাআল্লাহ্।
পুদিনা পাতা
পুদিনা পাতার মধ্যে রয়েছে অ্যান্সথেটিক ও ইনমেটরি নামক উপাদান। এক মগ পানিতে এক মুঠো পুদিনা পাতা দেন। ভালো করে পানি ফুটিয়ে নেন। হালকা গরম অবস্থায় চুলকানো স্থানটিতে লাগান। চুলকানি ভালো হয়ে যাবে। ইনশাআল্লাহ্।
পায়ের চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায়
আপেল সিডার ভিনেগারঃ পায়ের চুলকানি দূর করার সহজ পদ্ধতি হলো আপেল সিডার ভিনেগার। ৩-৪ ফোটা ভিনেগার কটন বার দিয়ে ভিজিয়ে শরীরের চুলকানো স্থানে লাগিয়ে দেন। চুলকানি ভালো হয়ে যাবে। ইনশাআল্লাহ্।
পেট্রোলিয়াম জেলিঃ পেট্রোলিয়াম জেলি সংবেদনশীল ত্বকের জন্য খুবই উপযোগী। আপনার ত্বকের চুলকানি সারানোর জন্য এটাই যথেষ্টো হবে। এটি আপনার ত্বকের কোনো রকম ক্ষতি না করে। আপনার চুলকানি ভালো করে দিবে। ইনশাআল্লাহ্।
নারিকেল তেলঃ নারিকেল তেল আরেকটি উপাদান যা আপনার চুলকানি সহজে দূর করে দিবে। ত্বকের কোনো ধরনের ক্ষতি সাধন না করে। নারিকেল তেল পুষ্টি গুনে ভরপুর। আপনার পায়ের চুলকানি ভালো হয়ে যাবে। ইনশাআল্লাহ্।
নিমপাতাঃ নিম পাতাকে প্রাকৃতিক এন্টিসেপ্টিক বলা হয়। কিছু পরিমান নিমপাতা ও একটি পাএে পরিমান মত পানি নিয়ে। পাতা ও পানি ভালো করে ফুটিয়ে নিন। হালকা ঠান্ডা হওয়ার পর পানিতে ২০-২৫ মিনিট পা ভিজিয়ে রাখুন। পায়ের চুলকানি ভালো হয়ে যাবে। ইনশাআল্লাহ্।
পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায়
সাধারনত পুরুষাঙ্গের চুলকানি হয় ছএাক জনিত আক্ৰমনের কারনে। এর জন্য সব সময় চুলকানির স্থানটি পরিস্কার রাখতে হবে। সহবাসের পর পোস্র্রাব করতে হবে।
প্রোবায়োটিক খাবারঃ প্রোবায়োটিক খাবার সাধারনত আশঁযুক্ত হয়ে থাকে। এই খাবার ছএাক জনিত আক্ৰমনের হাত থেকে রক্ষা করে। যা আপনার পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর কমে যায় এবং আপনাকে শান্তি দেয়। আশঁযুক্ত খাবার হলো- দই, কম্বুচা, ঘোল ইত্যাদি।
বেকিং সোডাঃ বেকিং সোডা পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার জন্য গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে। এক বালতি পানির মধ্যে ২-৩ চা চামচ সোডা মিশিয়ে নিন। ঐ পানি দিয়ে গোসল করুন। তাহলে পুরুষাঙ্গের চুলকানি কমে যাবে
নিমপাতাঃ পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার জন্য নিমপাতা কার্যকারী উপাদান। নিমপাতাকে প্রাকৃতিক এন্টিসেপ্টিকও বলা হয়। কিছু পরিমান টাটকা নিমপাতা নিয়ে ভালো করে বেটে তারপর চুলকানি স্থানটিতে লাগিয়ে দেন। তাহলে পুরুষাঙ্গের চুলকানি ভালো যাবে। আপনি মানসিক ভাবে শান্তি পাবেন।
নারিকেল তেলঃ নারিকেল তেল যদি নিয়মিত পুরুষাঙ্গের চুলকানি স্থানে লাগাতে পারেন। তাহলে চুলকানি দূর হয়ে যাবে। আর এতে কোনো রকম ক্ষতি নেই।
ঠান্ডা বরফঃ ঠান্ডা বরফ হলো তাৎক্ষনিক চুলকানি থেকে রেহায় দেয়। ঠান্ডা বরফ একটি কাপরের ভেতরে নিয়ে চুলকানো স্থানে লাগান সাথে সাথে এর প্রতিকার পাবেন আশা করি।
এসএইচ নিউজস্টোরের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url