মাথা ব্যাথার কারণ ও মাথার পেছনে ব্যথার কারণ জেনে নিন

এখন সবাই আমরা মাথাব্যথা নামক যন্ত্রণার শিকার। আপনিও কি এই মাথাব্যথা নামক যন্ত্রণার শিকার হয়েছেন। চিন্তার কোন কারণ নেই। আজকে আমি বলব কি কারনে মাথাব্যথা হয়। এই মাথা ব্যথার কারণে আমরা শান্তি মত কর্মস্থলে কাজ করতে পারি না। জীবন যাপন অনেক কষ্টকর হয়ে যায়। কোন কাজে বা কোন কিছুতে মনোযোগ দিতে পারি না।

তাই আপনি যদি মাথা ব্যথার কারণ সম্বন্ধে বিস্তারিত জানতে চান তো আমাদের আর্টিকেলটি পুরো পড়ুন এবং মাথা ব্যাথার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। পোস্টসূচীপত্রঃ 

    সারসংক্ষেপ

    আজকে আমরা একটি সাধারণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করব যেটি হল হেডেক বা মাথা ব্যথা। এই মাথা ব্যথা হয়নি এমন লোক পাওয়া প্রায় অসম্ভব। কারন আমরা সবাই কমবেশি মাথাব্যথা শিকার হয়েছি। আর যাদের মাথা ব্যথা রয়েছে তারা সবাই জানে মাথা ব্যথার যন্ত্রণা কতটা কষ্ট দায়ক। শান্তিতে ঘুমানো যায় না শান্তিতে জীবন যাপন করা যায় না। তাই আজকে আমরা মাথা ব্যথার কারণ গুলো নিয়ে আলোচনা করব। যা আমাদের জন্য অনেক উপকারী হিসেবে বিবেচিত হবে।

    মাথা ব্যাথার কারণ

    আমরা প্রত্যেকেই মাথা ব্যথার শিকার হয়েছি। যেটিকে বলা হয় হেডেক । কারো কম বা বেশি মাথা ব্যথা হয়ে থাকে। সাধারণত মাথা ব্যথা বলতে আমরা বুঝি ব্রেন টিউমার হয়েছে এর সুযোগ অনেক কম থাকে ০.০১%। মাথা ব্যাথা হলে হতাশ হওয়ার কিছু নাই মাথা ব্যথার প্রধানত দুই প্রকারের হয়ে থাকে মাইগ্রেন ও টেনশন।

    এর বাইরে আরো অনেক কারণ রয়েছে অতিরিক্ত মানসিক চাপ, অতিরিক্ত শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রম পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হওয়া। আবার প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ঘুমানো, শব্দ দূষণ ইত্যাদি কারণ গুলোতে মাথাব্যথা হয়ে থাকে।

    মাইগ্রেনঃ মাইগ্রেন হলো প্রাইমারি হেডক। মাথাব্যথা বৃহত্তম কারণ হলো হেডেক মাইগ্রেন। মাইগ্রেন হলো মাথার যেকোনো একপাশে তীব্র ধরনের ব্যাথা। আবার কখনো এক পাশ থেকে শুরু করে পুরো মাথায় ব্যাথা ছড়িয়ে যায়। ব্যথার সাথে কখনো বমি বমি ভাবও হতে পারে আবার বমিও হতে পারে। প্রতি ৬০ জন নারীর মধ্যে ১২ জন নারী মাইগ্রেনের ভূগে থাকেন।

    প্রতি ৬০ জন পুরুষের মধ্যে চারজন পুরুষ মাইগ্রেনে ভূগে থাকেন। তবে মাইগ্রেনে নারীরা বেশি ভূগে থাকেন। মাইগ্রেন হলে ৫ ঘন্টা থেকে ৩ দিন পর্যন্ত ব্যথা হতে পারে।

    টেনশনঃ মাথা ব্যাথা হালকা থেকে মাঝারি হয়ে থাকে। পিছনে মাথার বাম ও ডান দিকে যে কোন জায়গায় ব্যথা করে।মাথা অনেক ভারী ভারী লাগে। মাইগ্রেনের মত বমি বমি ভাব হয় না তীব্র যন্ত্রণা ও হয় না। পারিবারিক দুশ্চিন্তা ও যে কোন রকমের দুশ্চিন্তার সাথে টেনশন হেডেক এর সম্পর্ক রয়েছে।

    ঘনঘন মাথা ব্যথার কারণ

    পুরো পৃথিবীতে এমন মানুষ পাওয়া সম্ভব না যার কখনো হেডেক বা মাথা ব্যথা হয়নি। মাথা ব্যথা আমাদের জীবনকে অস্বাভাবিক করে তোলে। মাইগ্রেন ও টেনশন এর কারণে আমাদের ৯০% মাথা ব্যথা হয়ে থাকে। মানসিক চাপ, শারীরিক দুর্বলত, অতিরিক্ত শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রম, ধূমপান, মাদকাসক্, ঘুমের পরিমাণ কম আবার অতিরিক্ত হলে ঘন ঘন মাথা ব্যথার কারণ হরমোনের কারনে ঘন ঘন মাথা ব্যাথা হয়।

    মাইগ্রেনঃ মাইগ্রেনের কারণে মাথাব্যথা তীব্রতা বেড়ে যায়। বমি বমি ভাব হয় কখনো বমিও হয়। মাইগ্রেনের ছেলেদের তুলনায় নারীরা বেশি ভোগে থাকেন। আলো অতিরিক্ত শব্দ অনেক কারণে মাথাব্যথা হয়।

    টেনশনঃ অতিরিক্ত টেনশন করলে মাথা ব্যথা হবে এটাই স্বাভাবিক টেনশন কমানোর কোন ঔষধ নেই। এটাকে নিজে নিজে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। তা না হলে দিন দিন মাথা ব্যথা বেড়েই চলবে।

    মানসিক চাপঃ অতিরিক্ত মানসিক চাপ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। তার মধ্যে একটি হলো মাথা ব্যথা। মাথা ব্যথা কমানোর জন্য মানুষের চাপ কমানো ছাড়া কোন বিকল্প নেই।

    ধূমপানঃ ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর ধূমপান স্বাস্থ্যের ক্ষতির সাথে সাথে মাথা ব্যাথার উপর প্রভাব ফেলে। ধূমপান উচ্চ রক্তচাপরায় আবার দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমায়।

    মোবাইল ফোনঃ আমরা এখন মোবাইল ছাড়া এক মুহূর্ত চলতে পারি না। ঘন্টার পর ঘন্টা মোবাইল নিয়ে বসে থাকি। এতে করে আমাদের মস্তিষ্কের সমস্যা হয় আর যার কারণে ঘন ঘন মাথা ব্যথা হয়।

    সাউন্ডঃ সাউন্ডের কারণে মাথাব্যথার সৃষ্টি হয়। যেমন কম্পিউটার ও টিভিতে অতিরিক্ত সাউন্ড দিয়ে দেখা ঘন্টার পর ঘন্টা কানে হেডফোন দিয়ে গান শোনার কারণে ঘনঘন মাথা ব্যথা হয়।

    ঘুমের পরিমান বেশিঃ আমরা যারা নিয়মিত পরিশ্রম করি তারা শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত স্বাভাবিক পরিমানে ঘুম হয়। কিন্তু ছুটির দিনে ঘুমের পরিমান বেড়ে যায়। যার কারনে মাথা ব্যথা সৃষ্টি হয়। তবে ঘাবড়ে যাওয়ার মতো কিছু না। হটাৎ করে পরিশ্রম কম হওয়ার কারনে এক ধরনের হরমনের পরিমান কমে যায়। যার কারনে মাথাব্যথা দেখা দেয়।

    ঘুমের পরিমান কমঃ ঘুমের পরিমান কম হলে মাথা ব্যথা কম হবে এটাই স্বাভাবিক। এই জন্য প্রতি রাতে কম পক্ষে ৮-৯ ঘন্টা ঘুমাতে হবে। তাহলে মাথা ব্যথা কমে যাবে।

    উচ্চ রক্তচাপঃ অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে যায় যার ফলে ঘন ঘন মাথা ব্যথার হয়।

    মাথার পেছনে ব্যথার কারণ

    আমাদের সবার কোন না কোন দিন মাথা ব্যথা সম্মুখীন হতে হয়েছে কিন্তু মাথা ব্যথা মধ্যে পার্থক্য রয়েছে যেগুলোর মধ্য মাথার পেছনের দিকের মাথাব্যথা এটি অনেক কারণে হতে পারে সে কারণ গুলো আমরা জানবো।

    • নার্ভের সমস্যার কারণে মাথার পেছনে ব্যাথা হতে পারে। নার্ভের সমস্যায় মানসিক চাপ ও স্নায়ু যদি পুষ্টির অভাব হয়।
    • অতিরিক্ত টেনশনের কারণে মাথার পেছনে ব্যথা হয়।
    • সাইনোসাইটিসের সাইনাসের গ্রন্থ যদি দুর্বল হয়ে পড়ে তাহলে মাথার পেছনে ব্যথা।
    • হাইপোথাইরয়েডিজম গলার মধ্যে অবস্থান করে তখন এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে মাথার পেছনে ব্যথা শুরু হতে পারে।
    • আরো যে সকল কারণে মাথার পেছনে ব্যথা শুরু হতে পারে দাঁতের ব্যথার কারণে মাথায় আঘাত পেলে সঠিক পরিমাণে ঘুম না হলে।

    মাথার তালু ব্যাথার কারণ

    • স্কাল্প ইনফেকশনের কারণে আবার সাইনোসাইটিসের কারণে মাথার তালু ব্যাথার হতে পারে।
    • একজিমা রোগের কারণে মাথাব্যথা হতে পারে এই রোগের কারণে মাথায় চুলকানি হয়। চুলকানির কারণে মাথার তালুতে ব্যাথা হতে পারে।
    • উকুনের কারণে মাথাব্যথা হতে পারে এই উকুন যদি মাথায় বেশি পরিমাণে হয়। তখন মাথার চুলকানি অসহনীয় হয়ে যাওয়ার কারণে মাথার তালতে ব্যাথা হতে পারে। সুতরাং আমাদের সবাইকে উকুনের বিষয়টি নিয়ে সতর্ক হতে হবে।
    • মাথার তালু ব্যাথার প্রধান কারণ হচ্ছে এলার্জি। এলার্জির জন্য স্লায়তন্ত্র ব্লকেজের সৃষ্টি হয় যার কারণে মাথায় অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে। ফলে মাথার তালুতে ব্যথা হতে পারে।
    • আমরা যারা কানে হেডফোন লাগিয়ে সবসময় গানশুনে থাকি। তারা সাবধান হয়ে যান সবসময় গান শোনার ফলে মাথা তালুতে ব্যথা সৃষ্টি হতে পারে।
    • অতিরিক্ত চা ও কফি খাওয়ার জন্য মাথা ব্যথা হতে পারে। চা ও কফি পরিমাণ মতো পান করতে হবে।

    এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

    পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
    এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

    এসএইচ নিউজস্টোরের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

    comment url