পিরিয়ড হলে কি খাওয়া উচিত - পিরিয়ডের সময় টক তেতুল চা
সব মেয়েদের পিরিয়ড হলে কি খাওয়া উচিত এই বিষয়টা জানার জন্য এদিক-ওদিক খোঁজাখুঁজি করছেন। এখনই খোঁজাখুঁজি বন্ধ করে মেয়েদের পিরিয়ড হলে কি খাওয়া উচিত জেনে নিতে পারেন। পিরিয়ডের সময় কোন খাবারগুলো খাওয়া উচিত অথবা উচিত নয় তথ্যগুলো নিচে পেয়ে যাবেন। তাহলে আর দেরি না করে পিরিয়ড সম্পর্কে তথ্যগুলো জেনে নিন।
এই পৃথিবীতে প্রত্যেকটি মেয়ে পিরিয়ডের সময় সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। কিন্তু এর সাথে মোকাবেলা কিভাবে করতে হয়। অনেক মেয়েদের এ বিষয়ে তেমন কোন ধারনা নেই পিরিয়ড হলে কি খাওয়া উচিত।
পোস্টসূচিপত্রঃ
পিরিয়ড কি
প্রত্যেকটি মেয়ের পিরিয়ড হলে কি খাওয়া উচিত । কারণ পিরিয়ডের সময়টা হচ্ছে নারীদের শারীরিক একটি প্রক্রিয়া। একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর হরমোনের প্রভাবে নারীদের জরায়ু চক্রের পরিবর্তন ঘটে। এই পরিবর্তনের কারণে রক্ত ক্ষরণ বা জরায়ু যৌন পথ দিয়ে বের হয়ে আসে। তাই পিরিয়ডের সময় নারীদের পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত।
পিরিয়ডের সময়কি খাবার খাওয়া উচিত এগুলো জানতে হবে। কারণ পিরিয়ডের মাধ্যম নারী গর্ভধারণের সক্ষমতা অর্জন করে। পিরিয়ড হলো একটি প্রাকৃতিক দান। পিরিয়ডের সময়টা প্রত্যেকটি নারীর কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। এই জন্য পিরিয়ড হলে কি খাওয়া উচিত এগুলো বিষয়ে জানতে হবে।
এর পাশাপাশি অন্যান্য সকল বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। প্রত্যেকটি নারী এ সময় শারীরিক ও মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে। নারীর বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। পিরিয়ডের সময়ে নারী অল্পতেই মেজাজ হারিয়ে ফেলে। পিরিয়ডের সময়কালে নারীদের সাবধানে চলাফেরা করতে হয়। প্রত্যেকটি নারীর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে সহনশীল ক্ষমতা রয়েছে।
পিরিয়ড হলে কি খাওয়া উচিত
সব মেয়েদের ক্ষেএে যেটি জানা প্রয়োজন পিরিয়ড হলে কি খাওয়া উচিত। প্রায় সব নারীর একই প্রশ্ন কি খাওয়া উচিত। পিরিয়ডের সময় নারীদের পুষ্টিগুন সম্পূর্ন খাবার খেতে হবে। পিরিয়ডের সময় প্রত্যেকটি নারী কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যায়। আর এই সময় নারীর অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের ফলে।
আরো পড়ূনঃ মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর উপায়
নারীর শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দেয়। তাই পিরিয়ডের সময় নারী পুষ্টি, আয়রন এবং প্রোটিনের যুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। তাই এই সকল ঘাটতি পূরণের জন্য কোন সকল পুষ্টি, আয়রন এবং প্রোটিন যুক্ত খাবার খাওয়া উচিত পিরিয়ডের সময় একজন নারীর। এ সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো।
হজম শক্তিঃ পিরিয়ডের সময় হজম শক্তি বাড়বে এমন খাবার খাওয়া উচিত। কারণ পিরিয়ডের সময় শরীরে হজম শক্তি থাকাটা খুবই জরুরী। তাই বেশি বেশি শাক-সবজি জাতীয় খাবার খেতে হবে। যেমনঃ পুইশাক, পালং শাক, মটরশুঁটি, কপি, লাউ, করোল্লা, লালশাক পটল, গাজর, ব্রকলি এবং ধনেপাতা ইত্যাদি। এই সকল শাকসবজি খেলে আপনার হজম শক্তি বাড়বে।
আয়রনঃ পিরিয়ড হলে কি খাওয়া উচিত। পিরিয়ডের সময় আয়রন যুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। আয়রন মূলত লোহিত রক্তকণিকার মাধ্যমে পুরো শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ করে থাকে। আর পিরিয়ডের সময় রক্তক্ষরণের কারণে আয়রনের ঘাটতি দেখা যায়। তাই এই সময়টাই আয়রন যুক্ত খাবার খাওয়া উচিত।
যেমন- পুইশাক, সিমের বিচি বা বিচি জাতীয় খাবার, মাছ বা মাংস এবং সবুজ শাকসবজি ইত্যাদি খাবার খেতে হবে। পিরিয়ডের সময় এই সকল খাবার খাওয়া উচিত। কারন এই সকল খাবারের মধ্যে প্রচুর পরিমানে আয়রন রয়েছে। যা একজন নারীর পিরিয়ডের সময় আয়রনের ঘাটতি পূরন করে।
পানিঃ পিরিয়ড হলে কি খাওয়া উচিত। পিরিয়ডের সময় পানি বেশি বেশি পান করা উচিত। কারন আমরা সবাই জানি পানি আমাদের শরীরের জন্য কতটা প্রয়োজন। বিশেষ করে যখন মেয়েদের পিরিয়ডের সময় চলে। কারণ পিরিয়ডের সময় মেয়েদের প্রচুর রক্ত ক্ষরণ হয়। যার ফলে মেয়েরা দুর্বল হয়ে পড়ে এবং মেজাজ হারিয়ে ফেলে।
আরো যে সকল সমস্যার সম্মুখীন হয়। তাহলো বমি হওয়া বা বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা, হাঁটু ব্যথা এই সকল সমস্যা পানি স্বল্পতার কারণে হয়ে থাকে। এই জন্য পিরিয়ডের সময় বেশি পানি খাবেন। প্রতিদিন কমপক্ষে ৩ লিটার পানি খেতে হবে। পিরিয়ডের সময় হালকা গরম পানি বা নরমাল পানি পান করতে হবে। ভুলেও ঠান্ডা পানি পান করা যাবে না।
প্রোটিন জাতীয় খাদ্যঃ পিরিয়ড হলে কি খাওয়া উচিত। পিরিয়ডের সময় প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত। কারণ প্রোটিন জাতীয় খাদ্যের মধ্যে রয়েছে পুষ্টি। পিরিয়ডের সময় নারীদের শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেয়। আর এই পুষ্টি ঘাটতি পূরণ করার জন্য প্রোটিন জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করতে হবে
আরো পড়ূনঃ শিশুদের জন্য কোন ফর্মুলা দুধ ভালো হবে
যেমন- বিভিন্ন ধরনের ডাল, গরুর মাংস এবং সামুদ্রিক মাছ ইত্যাদি প্রোটিন জাতীয় খাদ্য। এই সকল খাদ্যের মধ্যে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন রয়েছে। যা একজন নারীর শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি পূরনে সহয়তা করে।
পিরিয়ডের সময় টক খেলে কি হয়
আমাদের সমাজে নারীদের মধ্যে বহুল প্রচলিত একটি কথা রয়েছে। পিরিয়ডের সময় টক খেলে রক্তক্ষরণ হয়। আসলে কি পিরিয়ডের সময় টক খেলে রক্তক্ষরণ হয়, আসুন জেনে নেই। পিরিয়ডের সময় টক খেলে রক্তক্ষরণ হয় কথাটি সম্পূর্ণ সত্য নয়। সত্য কথাটি হচ্ছে কিছু টক জাতীয় খাবার রয়েছে যেগুলো এড়িয়ে চলতে হবে।
আরো পড়ূনঃ সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণ গুলো জানুন
এই সকল টক জাতীয় খাবারে লবণ রয়েছে। যেমন- আচার। আচারে অতিরিক্ত পরিমাণে লবণ দেওয়া থাকে। যে কারণে পিরিয়ডের সময় আচার খেলে রক্তক্ষরণের ঝুঁকি থাকে। এইজন্য যে সকল টক জাতীয় খাবারে লবণ বা উচ্চমাত্রায় সোডিয়াম যুক্ত রয়েছে। ঐ সকল টক জাতীয় খাবার পিরিয়ডের সময় খাওয়া যাবে না।
তা বাদে সকল ধরনের টক জাতীয় ফল খাওয়া যাবে। সুতরাং, সাবধান কোন ধরনের টক খাওয়ার আগে দেখে নিবেন। যে ঐ টক জাতীয় খাবারে কোন লবণ বা উচ্চমাত্রায় সোডিয়াম যুক্ত করা আছে কিনা। আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন। পিরিয়ডের সময় টক খেলে কি হয় বা খাওয়া যাবে কিনা।
পিরিয়ডের সময় তেতুল খেলে কি হয়
পিরিয়ডের সময় যেকোনো টক জাতীয় ফল খাওয়া যাবে। আর টক জাতীয় ফলের মধ্যে তেতুল, বরই, আমলকি, জলপাই এবং মালটা ইত্যাদি। এই সকল ফল খাওয়া যাবে। সুতরাং, পিরিয়ডের সময় তেতুল খাওয়া যাবে।
আরো পড়ূনঃ হার্টের রোগীর খাবারের তালিকা
কিন্তু সাবধান তেতুল, বরই, আমলকি, জলপাই , মালটা এবং তেতুলের সাথে লবণ যুক্ত করে খাওয়া যাবে না। কারণ পিরিয়ডের সময় তেতুলের সাথে লবণ খেলে রক্ত ক্ষরণের ঝুঁকি থাকে। অতএব, প্রাকৃতিক ভাবে যে সকল তেতুল পাওয়া যায় সেগুলো খাওয়া যাবে। আশা করা যায়, পিরিয়ডের সময় তেতুল খেলে কি হয়? এটি আপনি বুঝতে পেরেছেন।
পিরিয়ডের সময় চা খেলে কি হয়
পিরিয়ডের সময় চা খেলে রক্তক্ষরণের কোন ঝুঁকি থাকে না। আপনারা যারা চা খেতে পছন্দ করেন। তাদের জন্য এটি একটি সুসংবাদ। কারণ চা এর মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যকর কিছু পুষ্টিকর উপাদান। যে পুষ্টিকর উপাদানগুলো আপনার স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে। পিরিয়ডের সময় চা খেলে শারীরিক ও মানসিক চাপ থেকে মুক্তি দেয়।
আপনি পিরিয়ডের সময় গরম চা খেতে পারেন। এতে করে আপনার শরীরের ক্লান্তি দূর করবে। সাধারণত পিরিয়ডের সময় যে ধরনের চা খেতে পারেন। সেগুলো হলো আদা চা, রং চা, লিকার চা, লং চা, গ্রিন টি এবং তুলসী পাতার চা এগুলো চায়ের মধ্যে এন্টি- ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান রয়েছে। এই উপাদান আপনার শরীরের ব্যথা কমিয়ে আরাম দেয়।
যাদের পিরিয়ডের সময় চলছে, তাদের বলবো পরিমান মাফিক এই সকল উপাদানের চা খেতে পারেন। কিন্তু সাবধান ক্যাফেইন যুক্ত চা পান করা যাবে না। কারণ পিরিয়ডের সময় ক্যাফিন যুক্ত চা খেলে, আপনার মুড সুইং হতে পারে। দেখা যাচ্ছে আপনি যখন তখন মেজাজ হারিয়ে ফেলছেন। উচ্চ রক্তচাপ সহ আরো অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
সুতরাং, পিরিয়ডের সময় না খেলে ভালো হয়। আপনার শরীরে যদি পেশী জনিত কোন সমস্যা থাকে। তাহলে গরম চা পান করুন। যেমন পেটের পেশীগুলো যদি টেনে ধরে তাহলে পেট ব্যথা করে। এটি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য পিরিয়ডের সময় গরম চা খেলে আরাম পাওয়া যায়।
পিরিয়ডের সময় চকলেট খেলে কি হয়
স্বাভাবিকভাবে পিরিয়ডের সময় মেয়েদের রক্তক্ষরণ হয়। যার ফলে দেখা যায় যে, হরমোনের সামঞ্জস্যতা বজায় থাকে না। অনেকের চকলেট খেতে ইচ্ছে করে। পিরিয়ডের সময় ডার্ক চকলেট দারুন কাজ করে। পিরিয়ডের সময় ডার্ক চকলেট খেলে। আপনার মেজাজ ঠিক রাখতে সহায়তা করে।
পাশাপাশি মানসিক চাপ কমায়। তাই পিরিয়ডের সময় নিয়মিত কিছু ডার্ক চকলেট খেলে খুবই ভালো। কারণ ডার্ক চকলেটে চিনির পরিমাণ কম এবং ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। যা পিরিয়ডের সময় মানসিক ভাবে সতেজ রাখে। তাই পিরিয়ডের সময় চকলেট খাওয়া যাবে।
এতে কোন সমস্যা নেই। সুতরাং, আশা করা যায় পিরিয়ডের সময় চকলেট খেলে কি হয় বা পিরিয়ড হলে কি খাওয়া উচিত এই বিষয় নিয়ে আপনাদের আর কোন দ্বিধা নেই।
পিরিয়ডের সময় দুধ খেলে কি হয়
পিরিয়ডের সময় দুধ জাতীয় খাবার না খাওয়াই ভালো। কারণ দুগ্ধ বা দুধ জাতীয় খাবারের মধ্য রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড। যা পেট ব্যথা সহ আরো অনেক ধরনের সমস্যা তৈরি করে। এই জন্য পিরিয়ডের সময় দুধ বা দুগ্ধ জাতীয় খাবার খেলে রক্তক্ষরণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। আশা করা যায়, পিরিয়ডের সময় দুধ খেলে কি হয়? এই বিষয়ে আপনাদের আর কোন দ্বিধা নেই।
পিরিয়ডের সময় আইসক্রিম খেলে কি হয়
সাধারণত পিরিয়ডের সময় হরমোন ভারসাম্যহীনতায় ভোগে। যার কারণে দেখা যায়, পিরিয়ডের সময় মেয়েদের মিষ্টি জাতীয় খাবারের প্রতি চাহিদা বেড়ে যায়। কিন্তু মনে রাখতে হবে, পিরিয়ডের সময় কোন অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া যাবে না। এতে করে শরীরের ভারসাম্যতা নষ্ট হয়ে যাবে। যার ফলে দেখা যায় যে, কিছুক্ষণ পর পর মেজাজ হারিয়ে যাবে। আইসক্রিমের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে চিনি। যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। বেশির ভাগ মেয়েদেরই দেখা যায় যে, পিরিয়ডের সময় আইসক্রিম খাই। তাদের তলপেট ব্যথা এবং বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তারা অল্পতেই মেজাজ হারিয়ে ফেলে, মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়, রক্তক্ষরণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এইজন্য পিরিয়ডের সময় আইসক্রিম খাওয়া যাবে না। আশা করা যায়, পিরিয়ডের সময় আইসক্রিম খেলে কি হয় এই বিষয়ে আপনাদের আর কোন দ্বিধা নেই।
পিরিয়ডের সময় ডিম খেলে কি হয়
পিরিয়ড চলাকালীন ডিম খাওয়া যাবে। পিরিয়ডের সময় শরীরে আয়রনের ঘাটতি দেখা যায়। যার ফলে শারীরিকভাবে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। আর এই দুর্বলতাকে কাটানোর জন্য আয়রনের প্রয়োজন পড়ে। আর আয়রন যুক্ত খাবার হলো ডিম। তাই পিরিয়ডের সময় ডিম খাওয়া ভালো। যা আপনার আয়রনের ঘাটতি পূরন করে। আশা করা যায়, পিরিয়ডের সময় ডিম খেলে কি হয? এ বিষয় নিয়ে আপনাদের আর কোন দ্বিধা নেই।
পিরিয়ডের সময় কলা খেলে কি হয়
পিরিয়ডের সময় হরমোনের স্বল্পতার কারণে মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। কিন্তু সাবধান সুগার যেন বেড়ে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পিরিয়ডের সময় ভিটামিন জাতীয় খাবার খেতে হবে। কারণ ভিটামিন জাতীয় খাবার খেলে মানসিক বিষণ্ণতা দূর করতে সাহায্য করে।
আর কলার মধ্যে রয়েছে ভিটামিন। তাই পিরিয়ডের সময় কলা খাওয়া যাবে। আশা করা যায়, পিরিয়ডের সময় কলা খেলে কি হয়? এ বিষয়ে আপনাদের আর কোন দ্বিধা নেই।
পিরিয়ডের সময় শসা খেলে কি হয়
পিরিয়ডের সময় কি শসা খাওয়া যাবে। কিন্তু পিরিয়ডের সময় শসা খাওয়া যাবে না। আমরা সবাই জানি শসা অতি পরিচিত একটি ফল। যা খেলে আমাদের দেহের অনেক উপকার সাধন করে। পিরিয়ডের সময় শসা খাওয়া যাবেনা কেন?
শসা আমাদের এত উপকারে আসা সত্ত্বেও চলেন জেনে নেই। কারণ শসার মধ্যে থাকার রস রক্তের জরায়ু প্রাচীরে আটকে যেতে পারে। যার ফলে আপনার বন্ধ্যা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই পিরিয়ডের সময় শসা খাওয়া যাবে না। আশা করা যায়, পিরিয়ডের সময় শসা খেলে কি হয়? এ বিষয়ে আপনাদের কোন দ্বিধা নেই।
পিরিয়ডের সময় ঠান্ডা পানি খেলে কি হয়
পিরিয়ডের সময় ঠান্ডা পানি পান করা যাবে না। কিন্তু পিরিয়ডের সময় কেন ঠান্ডা পানি পান করা যাবে না চলেন জেনে নেই। কারণ ঠান্ডা পানি, আরো কোমল জাতীয় যে সকল পানি রয়েছে। এই সকল পানি পান করলে আপনার রক্তের জরায়ু প্রাচীরে আটকে যেতে পারে।
এভাবে যদি কিছু বছর চলতে থাকে। তাহলে এক সময় দেখা যাবে আপনার দেহের রক্তের জরায়ু প্রাচীর টিউমার বা ক্যান্সারে পরিণত হবে। অতএব পিরিয়ডের সময় ঠান্ডা পানি খাওয়া যাবে না। পিরিয়ডের সময় ঠান্ডা পানি খেলে কি হয় এ বিষয় নিয়ে আপনাদের আর কোন দ্বিধা নেই।
শেষকথাঃ প্রিয় পাঠক, আসসালামু আলাইকুম। আশা করি আপনারা পিরিয়ড হলে কি খাওয়া উচিত। পিরিয়ডের সময় টক, তেতুল, চা, চকলেট, দুধ, আইসক্রিম, ডিম, কলা, শসা এবং ঠান্ডা পানি খেলে কি হয়। এই সকল বিষয়গুলো পড়ে উপকৃত হয়েছেন। আর যদি উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে আপনার বন্ধু এবং পরিবারের সকলের সাথে পোস্টটি শেয়ার করুন। পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
এসএইচ নিউজস্টোরের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url