আউটডোর গেমস কি কি ও তালিকা - আউটডোর গেমসের উপকারিতা
আউটডোর গেমস কি কি এর তালিকায় এমন কিছু খেলা রয়েছে। যেগুলো নাম হয়তো আপনি এর আগে কখনো শোনেন নি। এই আউটডোর গেমসগুলো খেলার মাধ্যমে আপনি যে উপকারিতা গুলো পেতে পারেন। তা হলো শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থা।
আউটডোর গেমস এর তালিকা গুলো জেনে আপনি অনেক উপকৃত হবেন বলে আমি মনে করি। কারণ এর মধ্যে এমন কিছু গেমস রয়েছে। যেগুলো খেললে আপনি নিজেকে অনেক পরিবর্তিত মনে হবে। কারণ আউটডোর গেম খেলার মাধ্যমে আপনি নিজেকে মানসিকভাবে সুস্থ্য মনে করবেন।
পোস্ট সূচীপত্রঃ
সারসংক্ষেপ
আমরা সময়ের পরিবর্তনে এবং আধুনিকতার ছোয়াই নিজেকে এতটাই পরিবর্তন করে ফেলেছি যে, বাহিরে খেলাধুলা করা যায় বা আউটডোর গেমস বলে কিছু আছে আমরা তা ভুলে গেছি। নিজেকে বিকাশিত এবং শারীরিকভাবে সুস্থ রাখার জন্য খেলাধুলার কোন বিকল্প নেই। আউটডোর খেলার উপকারিতা রয়েছে। যা থেকে আমরা বঞ্চিত। তাই নিচে এমন কিছু আউটডোর গেমসগুলো তুলে ধরা হয়েছে। যে আউটডোর গেম গুলোর মধ্যে রয়েছে উপকারিতা এবং অনেক বিনোদনমূলক।
আউটডোর গেমস কি কি
নিচে এমন কিছু আউটডোর গেমস তুলে ধরা হয়েছে। হয়তো আপনি এই আউটডোর গেম গুলো আগে খেলেছেন। আবার অনেকেই আছেন যারা খেলা গুলোর নাম প্রথমবার শুনছেন। সুতরাং, দেরি না করে আউটডোর গেমস কি কি রয়েছে এর তালিকায় তা জেনে নিন।
১-১০ আউটডোর গেমস
ফুটবল একটি জনপ্রিয় খেলা। এই খেলায় একটি টিমে মোট ১১ টি প্লেয়ার মাঠে খেলতে পারে। আর এই খেলাটি হলো জনপ্রিয়তার দিক থেকে শীর্ষে। গেমসটি তে মোট ২০০ টির বেশি দেশ খেলে। খেলাটির নিয়ম হলো- দুইটি দল থাকে এবং দুইটি দুই পাশে বার থাকে। একটি বল দিয়ে খেলাটি শুরু করতে হয়। এই আউটডোর গেমস খেলার মাধ্যমে শারীরিক অনেক উপকারিতা রয়েছে।
ক্রিকেট গেমস বা খেলা জনপ্রিয়তার দিক থেকে প্রথম সারির দিকে আছে। এই গেমসটি খেলতে মোট ১১ জন খেলোয়াড়ের প্রয়োজন হয়। গেমসটি সকল বয়সের মানুষ খেলতে পারবে। খেলাটি নিয়ম হচ্ছে দুইটি দল থাকবে একটি দল ব্যাটিং করবে এবং অপর দল বোলিং করবে। এভাবে গেমসটি খেলতে হয়।
হকি গেমসে মাঠে মোট খেলোয়াড় সংখ্যা থাকে ১১ জন। খেলাটি হকি দিয়ে খেলতে হয়। আর থাকে একটি বল। গেমসটিতে মোট দুইটি দুটি অংশ গ্রহণ করে। দুই পাশে দুইটি বার থাকে যে দল বেশি বারে বল ঢুকাতে পারবে। ঐ দলটি জয়ী বলে গণ্য হবে। এটি হলো এই খেলার নিয়ম। এই আউটডোর গেমস টি সকল বয়সের মানুষ খেলতে পারে।
লুকোচুরি খেলা বা গেমসটি ছোট বাচ্চাদের জন্য অনেক জনপ্রিয়। এই খেলাটি তে নির্দিষ্ট ভাবে কোন খেলোয়াড় সংখ্যা নেই। খেলাটি নিয়ম হচ্ছে কয়েকজন বাচ্চা বা শিশু বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে থাকবে এবং আর একজন শিশু তাদেরকে খুঁজে বের করবে। এটি হচ্ছে খেলাটির বা গেমটির নিয়ম।
গোলাকার থেকে গোল্লা এবং আঞ্চলিক ভাষায় ছুট মানে দৌড় দুইয়ে মিলে গোল্লাছুট। প্রত্যেক খেলোয়ার কে নিজেকে ছোঁয়া থেকে বাঁচাতে পারলেই জয়ী হিসেবে গণ্য হয় খেলাটিতে। গোল্লাছুট খেলাটি খেলতে হয় দুই দলে ভাগ হয়ে। একটি দলে খেলোয়াড় সংখ্যা হতে হবে কমপক্ষে তিন থেকে চারজন।
আরো পড়ূনঃ পিরিয়ডের সময় কি কি খাবার খাওয়া উচিত
এক পক্ষকে থাকতে হয় বৃত্তের চারপাশে এবং অপরপক্ষ টি থাকে বৃত্তের ভেতর। বৃত্তের চারিপাশে থাকা খেলোয়াড়দের কাজ হলো। বৃত্তের ভেতরে থাকা খেলোয়ারদের সীমানা থেকে বের হতে না দেওয়া। আর যদি ছুয়ে দিতে পারে তাহলে আউট হিসেবে গণ্য হবে।
ডাঙ্গগুলি খেলাটি গ্রাম বাংলায় অনেক জনপ্রিয়। বিভিন্ন এলাকায় ভিন্ন ভিন্ন নামে জনপ্রিয়। যেমন ডাঙ্গগুলি, ডাঙ্গবাড়ি এবং কেপডাঙ্গ ইত্যাদি নামে ডাকা হয়। সাধারণত গেমসটি কম বয়সিরা খেলে। তবে সকল বয়সের মানুষই গেমসটি খেলতে পারবে।
আরো পড়ূনঃ বাংলাদেশের সকল পেশার তালিকা
দুইটি উপকরণ দিয়ে এই গেমসটি খেলা হয়। একটির নাম ডাঙ্গ এবং অপরটির নাম গুলি দুইয়ে মিলে ডাঙ্গগুলি। সাধারণত ডাঙ্গটি এক ফুট থেকে দেড় ফুট পর্যন্ত লম্বা হয় এবং যেটিকে গুলি বলা হয় সেটি ছয় ইঞ্চি লম্বা হয়। গুলিটি দুই প্রান্ত সূচালো হয়ে থাকে।
গ্রাম বাংলার অনেক জনপ্রিয় একটি আউটডোর গেমস হলো নৌকা বাইচ। প্রধানত খেলাটি নৌকা এবং বাইচ দ্বারা হয়ে থাকে এই জন্য নৌকা বাইচ বলা হয়। কিছু সংখ্যক নৌকা দিয়ে খেলাটি পরিচালনা হয়ে থাকে। একটি নদীতে তার উপরে কয়েকটি নৌকা প্রত্যেক নৌকাতে ৮ থেকে ১০ জন করে চালক থাকে। প্রত্যেক চালকের হাতে একটি করে বাইচ থাকে।
আরো পড়ূনঃ ফোড়া পাকানোর ঘরোয়া উপায় কি
সেটি দ্বারা নৌকা চালাতে হয়। গেমসটিতে একটি সীমানা নির্ধারণ করা থাকে সর্বপ্রথম যেই নৌকাটি সীমানা অতিক্রম করতে পারবে সে নৌকাটি জয়যুক্ত বলে গণ্য হবে। খেলাটি সাধারণত প্রাপ্তবয়স্করা খেলে থাকে।
আমাদের বাংলাদেশের আরেকটি জনপ্রিয় আউটডোর গেমস হচ্ছে লাড্ডু খেলা। প্রধানত কাঠের গোল আকৃতি এবং তার ভেতরে একটি কাটা ঢুকানো থাকে। এই দুই মিলে এটিকে লাট্টু বলা হয়। খেলার জন্য একটি দড়ির প্রয়োজন হয়। যেটিকে লাট্টুর চারিপাশে ঘুরিয়ে পেচাতে হয়।
আরো পড়ূনঃ তোকমা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
তারপর সেটিকে মাটিতে ছাড়ার মাধ্যমে ঘুরতে থাকে। ঠিক এই ভাবেই গেমসটি খেলা হয়ে থাকে। খেলাটি সাধারণত কম বয়সীরা খেলে থাকে। তবে গেমসটি সকল বয়সীরা খেলতে পারবে।
লং জাম্প আউটডোর গেমসটি পৃথিবীর প্রায় সকল দেশে খেলা হয়। এই গেমসটি খেলতে হলে প্রথমে একটি রান ওয়ে দিতে হবে। সেই রানওয়ে দৌড়ে একটি নির্দিষ্ট সীমানা থেকে জাম্প করার পর যেই ব্যক্তি সর্বোচ্চ জাম্প করতে পারবে। সেই ব্যক্তিটি জয়ী বলে ঘোষণা হবে। গেমসটি শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্করাই খেলতে পারে।
চেয়ার খেলাকে ইনডোর এবং আউটডোর গেমস বলা হয়। খেলাটি ছোট এবং বড় সকল বয়সের মানুষই খেলতে পারে। গেমসটি খেলার জন্য সর্বনিম্ন পাঁচটি চেয়ার লাগে। চেয়ার গেমস খেলার নিয়ম হলো যদি পাঁচ জন ব্যক্তি থাকে তাহলে চারটি চেয়ার থাকবে অর্থাৎ একটি চেয়ার কম থাকবে।
আরো পড়ূনঃ শিশুদের জন্য কোন ফর্মুলা দুধ ভালো হবে
মিউজিক বাজানো হবে মিউজিক শেষ না হওয়া পর্যন্ত চেয়ারের চারপাশে ঘুরতে হবে। মিউজিক বন্ধ হওয়ার পর যারা চেয়ারে বসতে পারবে একমাত্র তারাই জয়ী বলে ঘোষিত হবে।
১১-২০ আউটডোর গেমস
ঘুড়ি ওড়ানোঃ ঘুড়ি ওড়ানো আমাদের দেশের একটি জনপ্রিয় আউটডোর গেমস। এই গেমসটি ছোট থেকে বড় সকলেই পছন্দ করে। একটি কাগজ এবং বাস কেটে খিল বানিয়ে। তারপর একত্রিত করা হয়। তার পেছনে দুই জায়গায় সুতা বাঁধা হয় যাকে যুক্তি বলা হয়। তারপরে এটিকে লাটাইয়ের সাথে সুতার সাহায্যে আকাশে উড়ানো হয়।
হাই জাম্প খেলাঃ হাই জাম্প একটি জনপ্রিয় গেমস। যেই খেলাটি আউটডোর গেমস নামে পরিচিত। খেলাটি শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্করাই খেলতে পারে। খেলাটি নিয়ম হলো সোজা একটি রানাপ থাকবে এবং নির্দিষ্ট একটি সীমানা দেওয়া থাকবে সীমানার উপরে দড়ি বা সুতো নির্দিষ্ট পরিমাণে উচ্চতাই থাকবে। যে ব্যক্তি ঐ উচ্চতা জাম্প করে সর্বোচ্চ সীমানা অতিক্রম করতে পারবে। সেই জয়ী হিসেবে গণ্য হবে।
দড়ি টানাটানির প্রতিযোগিতাঃ দড়ি টানাটানির প্রতিযোগিতা গ্রাম বাংলার একটি জনপ্রিয় আউটডোর গেমস হিসেবে পরিচিত। যেই গেমসটি প্রাপ্ত এবং অপ্রাপ্ত সকল বয়সিরা খেলতে পারে। গেমসটি খেলতে হলে একটি দড়ি এবং কমপক্ষে পাঁচজন করে দুটি দল গঠন করতে হবে। মাঝখানে দাগ কেটে একটি সীমানা দেওয়া হবে। যেই দল ঐ সীমানাটি অতিক্রম করে ফেলবে। তার বিপরীত দল জয়ী হবে।
কাবাডিঃ কাবাডি খেলা হল বাংলাদেশের জাতীয় খেলা। খেলাটি ইনডোর এবং আউটডোর গেমস হিসেবে পরিচিত। তবে খেলাটি গ্রাম বাংলায় অধিক জনপ্রিয় এবং আউটডোরেই বেশি খেলা হয়। প্রত্যেক দলে ৭ জন করে খেলোয়াড় থাকবে। খেলাটি ২৫ মিনিট করে হয়ে থাকে।
এই সময়ের মধ্যে যে দল সর্বোচ্চ পয়েন্ট অর্জন করতে পারবে। দলটিকে জয়ী হিসেবে গণ্য করা হবে। যদি পয়েন্ট সমান হয়। তাহলে অতিরিক্ত পাঁচ মিনিট খেলা হয়।
হ্যান্ডবলঃ হ্যান্ডবল অধিক জনপ্রিয় খেলা যেটি আউটডোর গেমস হিসেবে পরিচিত। খেলায় প্রত্যেক টিমে ৭ জন করে খেলোয়াড় সংখ্যা থাকে। গেমসটি হাত দিয়ে খেলা হয় এই জন্য এটিকে হ্যান্ডবল গেমস বলে।
ভলিবলঃ ভলিবল গেমসটি পৃথিবীর প্রায় সব দেশি খেলে থাকে। গেমসটি ইনডোর এবং আউটডোর দুই ভাবেই খেলা যায়। এই গেমসটিতে দুটি দল থাকে প্রত্যেকটি দলে খেলোয়াড় সংখ্যা ছয় জন করে। গেমসটি হাত দিয়ে খেলা হয়।
ব্যাডমিন্টনঃ ব্যাডমিন্টন অনেক জনপ্রিয় একটি খেলা। এই খেলাটি দুইটি টিমের মধ্যে হয়ে থাকে। প্রত্যেকটি টিমে এক অথবা দুইটি করে প্লেয়ার থাকে। খেলাটি মোট ২১ পয়েন্টের তিনটি গেম হয়। ২৯ পয়েন্ট খেলা শেষ করে ৩০ নম্বর পয়েন্ট যে দলটি করতে পারবে। ঐ দলটি জয়ী হিসেবে ঘোষিত হবে। খেলাটি শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্করাই খেলতে পারবে।
সাত গুটি খেলাঃ সাত গুটি খেলা অপ্রাপ্ত বয়সীদের জন্য জনপ্রিয় খেলা। গেমসটি শুধুমাত্র আউটডোরেই খেলা যায়। খেলাটিতে দুটি পক্ষের মধ্যে হয়ে থাকে।
প্রত্যেক দলে কমপক্ষে ৫ থেকে ৬ জন খেলোয়াড় থাকে।একটি ইটের উপরে সাতটি গুটি থাকে এবং নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে বল দিয়ে লাগাতে হবে। একটি পক্ষ লাগানোর পরে সাতটি গুটি উঠানোর আগে যদি অপর পক্ষটি বিপরীত দলের খেলোয়াড়ের শরীরে বলটি না লাগাতে পারে। তাহলে ঐ পক্ষটি একটি পয়েন্ট পাবে।
সাঁতার খেলাঃ সাঁতার হলো অধিক জনপ্রিয় একটি গেমস। খেলাটি প্রায় সকল দেশেই জনপ্রিয়তার শীর্ষে। এই আউটডোর গেমসটি পুকুরেও খেলা যায়। এটি খেলতে কমপক্ষে দুইজন লাগে। খেলাটির নিয়ম হলো একসাথে অনেক জন সেন্টার হয়ে দাঁড়াবে এরপরে রেফারি বাঁশি দেওয়ার পরে সাঁতার কেটে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে যে ব্যক্তি আগে পৌঁছাবে তাকে জয়ী বলে ঘোষিত করা হবে।
সাইকেল রেসঃ সাইকেল রেস গেমসে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থান থাকবে। যে ব্যক্তি সাইকেল চালিয়ে সবার আগে ঐ নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছাতে পারবে। ঐ ব্যক্তিকে জয়ী বলে ভূষিত করা হবে।
২১-৩০ আউটডোর গেমস
দৌড় খেলাঃ দৌড় খেলাতে একটি নির্দিষ্ট মাইল ফলক দেওয়া হবে। যে ব্যক্তি সবার আগে মাইল ফলক স্পর্শ করতে পারবে। সেই ব্যক্তি জয়ী হবে। গেমসটি খেলতে কমপক্ষে দুইজন ব্যক্তির প্রয়োজন পড়ে।
দড়ি খেলাঃ দড়ি খেলায় একটি নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হবে। যে ব্যক্তি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বেশি পয়েন্ট অর্জন করতে পারবে। তাকে জয়ী বলে ভূষিত করা হবে।
আউটডোর গেমসের উপকারিতা
সময়ের ব্যবধানে আমাদের সকলেরই প্রযুক্তিতে আসক্তি বেড়েই চলেছে। এই প্রযুক্তির কারণে বাহিরে যে একটি দুনিয়া রয়েছে। সেটি আমরা ভুলে যাই। দিনের অনেকটা সময় আমরা টেলিভিশন, মোবাইল এবং সোশ্যাল মিডিয়ার পেছনে ব্যয় করি।
এর ফলে আমরা শারীরিক ও মানসিক ভাবে অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ি। বিশেষ করে শিশুরা বা বাচ্চারা তারা এটির প্রতি এমন ভাবে আসক্ত যে বাহিরে যে খেলাধুলা করা যায়। সেটি তারা জানেই না। তাই শিশুরা আউটডোর গেমসের এর মাধ্যমে শারীরিক ও মানসিক বিকাশিত হয়। আউটডোর গেমসের উপকারিতা নিচে আলোচনা করা হলো।
- শিশুর মানসিক বিকাশ ও শারীরিক সক্ষমতাকে বাড়িয়ে তুলতে আউটডোর গেমস এর উপকারিতা খুবই কার্যকরী।
- শিশু নতুন কিছু শিখতে পারে। নিজের দক্ষতা তৈরি করতে পারে এবং বাধা আসলে সেগুলো কিভাবে সমাধান করা যায় সেগুলো শিখতে পারে।
- আউটডোর গেমস খেলার মাধ্যমে শিশু নেতৃত্ব দিতে শিখে। কিভাবে কোন কিছু পরিচালনা করা যায়। কোনটি করলে ভালো হবে এবং কোনটি করলে খারাপ হবে ইত্যাদি বিষয়গুলো জানতে পারে।
- আউটডোর গেমস খেলার মাধ্যমে শিশুর আচার-আচরণে পরিবর্তন আসে। বাইরে চলাফেরা কিভাবে করতে হয় সেটি শিখতে পারে। কার সাথে কেমন ব্যবহার বা আচার-আচরণ করতে হবে সেটি জানতে পারে।
- আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে। যেগুলো আউটডোর গেম খেলার মাধ্যমে একটি শিশু অর্জন করতে পারে।
আউটডোর গেমস কাকে বলে?
যেই সকল খেলা শুধুমাত্র বাহিরে বা মাঠেই খেলা যায় সেই সকল খেলাকেই আউটডোর গেমস বলে।
শেষ কথাঃ আশা করা যায়, আপনারা এই আউটডোর গেমস গুলোর নাম জেনে উপকৃত হয়েছেন। আর যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং তাদেরকে জানান। ভালো থাকবেন ধন্যবাদ।
এসএইচ নিউজস্টোরের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url