বিলুপ্ত প্রাণীর নাম ও বর্ণনা - বাংলাদেশের বিলুপ্ত প্রাণীর নাম
বাংলাদেশের বিলুপ্ত প্রাণীর নাম ও বর্ণনা যদি জানতে চান। তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন এখানে আপনি জানতে পারবেন বিলুপ্ত প্রাণীর নাম ও বর্ণনা। বিলুপ্ত প্রাণীর নাম ও এর বিলুপ্তের কারণ। এই সকল তথ্যগুলো জেনে আমরা সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পারবো। তাই বিলুপ্ত প্রাণীর নাম ও বর্ণনা কারণগুলো জেনে নিন।
আপনারা বিলুপ্ত প্রাণীর নাম ও বর্ণনা জেনে অনেক কষ্ট পাবেন। কারণ এই প্রাণীগুলো আমাদের দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করত। বাংলাদেশের বিলুপ্ত প্রাণীর নাম এর মধ্যে এমন কিছু নাম জড়িত আছে। যেগুলো বিলুপ্তের কারণ জানলে আপনি কষ্ট পেতে বাধ্য। এর মধ্যে হলো হাতি বিলুপ্ত হওয়ার কারণ, চিতাবাঘ বিলুপ্ত হওয়ার কারণ এবং বাঘ বিলুপ্ত হওয়ার কারণ হলো অসচেতনতা।
পোষ্ট সূচিপত্রঃ
ভূমিকাঃ বাংলাদেশের বিলুপ্ত প্রাণীর নাম ও বর্ণনা
বাংলাদেশের বিলুপ্ত প্রাণীর নাম ও বর্ণনা অনেকগুলো রয়েছে। কিন্তু এগুলোর মধ্যে যেগুলো একটু ভালো জাতের প্রাণী সেগুলোর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বাংলাদেশে একটা সময় অনেক প্রজাতির প্রাণী ছিল। সেগুলো সময়ের পরিবর্তনের সাথে বিলুপ্ত হয়ে যায়। ধারণা করা হয় পুরো পৃথিবীতে ১ ট্রিলিয়ন এর বেশি প্রজাতির প্রাণী রয়েছে। তবে সবগুলো প্রাণীর নাম এখনো আবিষ্কার করা হয়নি।
আর যেগুলো প্রাণী আবিষ্কার করা হয়েছে তার অধিকাংশ প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে গেছে প্রায়। আর এর একটি বড় কারন হচ্ছে অসচেতনতা এবং জলবায়ু পরিবর্তন। আরো একটি কারণ রয়েছে সেটি হচ্ছে অবৈধ প্রাণী শিকার। কিছু অবৈধ এবং অসাধু ব্যবসায়ীরা অধিক টাকার লোভে পড়ে প্রাণী স্বীকার করে বিক্রি করে। তাই বলা যায় এই সকল প্রাণী বিলুপ্ত হওয়ার কারণগুলো খুঁজে বের করে। সেইগুলো সমাধান করতে হবে এবং সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। আসুন জেনে নেই বিলুপ্ত প্রাণীর নাম ও বর্ণনা গুলো।
বিলুপ্ত প্রাণীর নাম ও বর্ণনা
আজকে আমরা জানবো বিলুপ্ত প্রাণীর নাম ও বর্ণনা। প্রাণী গুলো কি কারনে বিলুপ্ত হলো সেগুলো কি আপনাদের কারো জানা আছে। এর বড় একটি কারণ হচ্ছে আমাদের অবহেলা ও অসচেতন। বাংলাদেশের বিলুপ্ত প্রাণীর নাম সংখ্যা অনেক বেশি।
আরো পড়ূনঃ বাংলালিংক মিনিট অফার দেখার কোড
তাই প্রাণীর বিলুপ্তের কারণ গুলো খুঁজে বের করে। এগুলোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। যাতে করে আমাদের দেশে যে প্রাণীগুলো অবশিষ্ট রয়েছে সেগুলো যেন বিলুপ্ত না হয়ে যায়।
নীলগাইঃ সাধারণত নীলগাই দেখা যেত দিনাজপুরের পঞ্চগড় এলাকায়। এছাড়া বাংলাদেশে এদেরকে অন্য কোথাও দেখা যেত না। এদেরকে সর্বশেষ ১৯৪০ সালে দেখতে পাওয়া যায়। এরপরে আর কখনো এই প্রাণীদেরকে দেখা যায়নি।
আরো পড়ূনঃ গাঁজা খাওয়ার উপকারিতা কি কি
এদের গায়ের কালার ছিল প্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের রং লালচে বাদামি এবং প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের রং নীল কালারের। নীলগাইদের একসাথে তখনই দেখা যেত যখন তারা মিলিত হতো। আর বাকি সময় তাদেরকে একসাথে দেখা যেত না। এই প্রাণী বাংলাদেশের বিলুপ্ত প্রাণীগুলোর মধ্য এক জাত।
বন্য গরুঃ সাধারণত বন্য গরুদের দেখা যেত সিলেট ও চট্টগ্রামের পার্বত্য এলাকা গুলোতে ওইখানে এদের বসতি ছিল। এই গরুগুলোকে ১৯৩০ সালের পরে আর দেখা যায়নি। এই গরুটির উচ্চতা ছয় ফুটের কাছাকাছি ছিল। এই গরুগুলার মাংস অতিরিক্ত হওয়ার কারণে মানুষের ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
আরো পড়ূনঃ আউটডোর গেমস কি কি
সর্বশেষ যেটি জবাই করা হয়েছিল সেটির ছিল ১৯৭১ সালে। এই গরুটি বাংলাদেশ থেকে এখন বিলুপ্ত। মাঝে মাঝে ভারতের বর্ডার থেকে দু একটা আসে কিন্তু কখনো এরা বংশবিস্তার করতে পারেনি। যার কারণে এদেরকে বাংলাদেশের বিলুপ্ত প্রাণীদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
গন্ডারঃ বাংলাদেশেও একসময় গন্ডারের বসবাস ছিল। তারা সাধারণত চট্টগ্রামের পার্বত্য এলাকা এবং সুন্দরবনে বসবাস করত। সময়ের পরিবর্তনের কারণে এবং কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের জন্য তারা বিলুপ্ত হয়ে যায়। এরা বিলুপ্ত হয় সাধারণত উনিশ শতকের শুরুর দিকে।
আরো পড়ূনঃ বাংলাদেশের সকল পেশার তালিকা
বাংলাদেশে যে গন্ডার গুলো ছিল তা তিনটি প্রজাতি ছিল। ইন্ডিয়াতে এখন যে দুটি প্রজাতির গন্ডার দেখা যায় তা একসময় বাংলাদেশেও ছিল। এর বিলুপ্তর প্রধান কারণ হচ্ছে এর সিং এবং এর চামড়া চওড়া দামে বিক্রি হতো যার কারণে বন্যপ্রাণী শিকারীরা এদের স্বীকার করে বিক্রি করে দিতো। এই কারণে বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে প্রাণীটি।
বন্য মহিষঃ এক সময় বাংলাদেশে বন্য মহিষ বসবাস করত এদের বসবাস ছিল সুন্দরবনে। এরা বিলুপ্ত হওয়ার কারণ রোগ এবং প্রাণী শিকার কারীদের জন্য। এরা সাধারণত কাদামাটিতে থাকতে পছন্দ করত। ১৯৪০ এর পরে এদের আর দেখা যায়নি। তাই এরা এখন বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্ত।
হায়নাঃ হায়না একসময় বাংলাদেশের রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চলে বসবাস করতো এরা বিলুপ্ত হয়ে যায় উনিশ শতকের শুরুর দিকে। হায়নারা লম্বায় ৫ ফুট উচ্চতায় ৩ ফুট এবং ওজন ৭০ থেকে ৮৫ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকতো। সময়ের পরিবর্তনের কারণে এরা আস্তে আস্তে বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্ত হয়ে যায়।
কুমিরঃ বিশ্বাস হয় বাংলাদেশের একসময় কম ছিল। বাংলাদেশের যে কুমিরটি ছিল তার নাম মিঠা পানির কুমির। এই কমিটি পঞ্চাশের দশকের দিকে বিলুপ্ত হয়ে যায়। এর বিলুপ্ত হওয়ার বড় কারণ হচ্ছে প্রাণী শিকার এই চামড়া অধিক দামে বিক্রয় হতো। তাই কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এদের মেরে চামড়া বিক্রি করতো। যে কারণে মিঠা পানির কুমির বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্ত।
আরো পড়ূনঃ তোকমা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
এই পাখিটি সিলেটের পাহাড়ি অঞ্চলে দেখা মিলতো। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে এবং কিছু কারণের জন্য এই পাখিটি আজ বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্ত।
এ পাখিটি দেখতে অনেক সুন্দর ছিল। একসময় বাংলাদেশের বুকে এই পাখিটি উড়ে বেড়াতো। কিন্তু অতিরিক্ত শিকারের ফলে এই পাখিটি আজ বিলুপ্ত।
আরো পড়ূনঃ ফোড়া পাকানোর ঘরোয়া উপায় কি
একসময় বাংলাদেশী ও ময়ূর পাখি ছিল। কিছু শিকারিদের কারণে এই পাখিটি আজ বিলুপ্ত। এই পাখিটি গাজীপুরে এবং মাধবপুরের দিকে দেখা যেত। শেষ এই পাখিটি দেখা গিয়েছিল ১৯৮০ সালের দিকে। এর পরে আর এই পাখিটি দেখা যায়নি। সময়ের ব্যবধানে এই পাখিটি হারিয়ে গেছে। যাকে সবাই দেশি নামে চিনতো।
আরো পড়ূনঃ মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর উপায়
বাংলাদেশের একসময় গোলাপি মাথা যুক্ত হাঁস ছিল। যার মাথার গায়ের রঙ ছিল গোলাপি রঙের। এই হাঁসটি দেখা যেত ব্রহ্মপুত্রণ নদী এবং তিস্তা নদী তীরের দিকে। এই হাঁসটিও বিলুপ্ত হওয়ার পিছনে কারন হচ্ছে শিকার। এই প্রজাতির হাঁস শুধু বাংলাদেশী নয় পুরো পৃথিবীর আর কোথাও দেখা যায় না।
হারিলা পাখিঃ একসময় বাংলাদেশ এ পাখির বসবাস ছিল। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জাতের পাখি হচ্ছে এটি যে পাখিটি ১৯৮৫ দিকে বিলুপ্ত হয়ে যায়। এরপরে আর এই পাখিটি দেখা যায়নি। এই পাখিটির ও বিলুপ্তর কারণ হচ্ছে শিকার।
হরিণঃ বাংলাদেশে একসময় ১২ সিঙ্গা হরিণ ছিল। এই হরিণের বারো সিঙ্গা হরিণ নামকরণ করা হয়েছিল কারণ এর মাথায় শিং এর শাখা ছিল বারটি। এই জন্য এ হরিণটির নাম বারো সিঙ্গা হরিন। এদের প্রধান বসবাস ছিল সুন্দরবন পাশাপাশি এরা সিলেট ও চট্টগ্রামে বসবাস করত।
অতিরিক্ত শিকারের কারণে এই হরিণটি বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আজ থেকে প্রায় ৫০ বছর আগেই এরা বিলুপ্ত হয়েছে।
নেকড়েঃ একটা সময় বাংলাদেশে এদের বিচরণ প্রচুর ছিল। নোয়াখালী, রাজশাহী ও পার্বত্য চট্টগ্রামের দিকে এদের দেখা পাওয়া যেত। সময়ের পরিবর্তনের কারণে এবং আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এরা বিলুপ্ত। তাই এদেরকে এখন আর দেখা যায় না।
সুর ভাল্লুকঃ আমাদের দেশেও এক সময় এই ভাল্লুকটির দেখা পাওয়া যেত। এই ভাল্লুকটি ওজনে ২৭ থেকে ৬৫ কেজি হয় এবং উচ্চতায় তিন থেকে চার ফুট। ভাল্লুক দের মধ্যে এটি সবচেয়ে ছোট জাতের ভাল্লুক। এ ভাল্লুক কে দেখা যেত চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চলে। কিছু কুসংস্কারের কারণে এই ভাল্লুকগুলো শিকারে পরিণত হয়। যার কারণে আজকে বাংলাদেশ থেকে ভাল্লুক গুলো বিলুপ্ত।
রাজ শকুনঃ বাংলাদেশের প্রায় বিলুপ্ত একটি প্রাণী হল এটি। এই পাখিটির রং মাথা লাল এবং শরীর কালো রঙের হয়ে থাকে। এই পাখিটি দেখে আপনি আলাদা করতে পারবেন না কোনটি পুরুষ আর কোনটি মহিলা।
এ পাখিটি ডিম পাড়ে মাত্র একটি আর এ ডিম থেকে বাচ্চা ফুটতে ৪৫ দিন সময় লাগে। এই পাখিটির ইংলিশ নাম হচ্ছে কিংস ভালচার। পাখিটিকে মাংসপেশী প্রাণী বলা হয়। এই পাখিটি এখন সংরক্ষিত আইনের অন্তর্ভুক্ত।
পরিশেষে বলা যায় বিলুপ্ত প্রাণীর নাম ও বর্ণনা জানার পরে বুঝা যাচ্ছে যে বাংলাদেশে এক সময় অনেক প্রজাতির প্রাণী ছিল। যা সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে প্রাণীগুলো বিলুপ্ত। এই প্রাণী বিলুপ্ত হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে সঠিক সংরক্ষণের অভাব এবং শিকার।
এই অসচেতনতার কারণে আজ অনেক প্রাণী বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্ত। এখনো অনেক প্রাণী রয়েছে যেগুলো বিলুপ্তের পথে তাই এই প্রাণীগুলোকেও সঠিক সংরক্ষণ না করলে এগুলো বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এখন যে প্রাণীগুলো বাংলাদেশে বিচরণ করছে এগুলো সংরক্ষণের জন্য যৌথ ভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে এবং শিকার বন্ধ করতে হবে।
বাংলাদেশের বিলুপ্ত প্রাণীর নাম
সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে বাংলাদেশের বিলুপ্ত প্রাণীর নাম বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশে এক সময় অনেক প্রজাতির প্রাণী ছিল। যা আজ সীমিত পরিমাণে রয়েছে। আর এর মূল কারণ হচ্ছে সচেতনতার অভাব এবং শিকার। আজও যে প্রাণী গুলো রয়েছে সেগুলো প্রায় বিলুপ্তের পথে।
তাই যে প্রাণীগুলো আজ বিলুপ্তর পথে রয়েছে সেগুলোকে প্রাণী আইনের সংরক্ষণে আনতে হবে। আর তা না হলে এই প্রাণীগুলো বাংলাদেশের বুক থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাবে। আসুন জেনে নেই বাংলাদেশের বিলুপ্ত প্রাণীর নাম গুলো।
- নীলগাই
- বন্য গরু
- গন্ডার
- বন্য মহিষ
- হায়না
- মিঠা পানির কুমির
- লালমুখ দাগি টানা
- সারস পাখি
- ময়ূর পাখি
- গোলাপি হাঁস
- হারিলা পাখি
- বারো সিঙ্গা হরিণ
- নেকড়ে
- সুর ভাল্লুক
- রাজ শকুন
- চিতাবাঘ
- উল্লুক
- ঘড়িয়াল
- লাল মাথা টিয়া মুখি
- গাছ আচড়া
প্রাণী বিলুপ্ত হওয়ার কারণ
প্রাণি বিলুপ্ত হওয়ার কারণ হচ্ছে সঠিক ভাবে সংরক্ষণ না করা। এই সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করার কারণে আজ প্রায় অর্ধেকের বেশি প্রাণী বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্ত। তা না হলে একসময় বাংলাদেশে অনেক প্রজাতির প্রাণী ছিল। বাংলাদেশের মধ্যে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রয়েছে যারা প্রাণী স্বীকার করে বিক্রি করে দিতো।
এই অসাধু ব্যবসায়ীদের পক্ষে কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আর তা না হলে আজ যে পাখিগুলো অবশিষ্ট রয়েছে সেগুলো বিলুপ্ত হয়ে যাবে। অবশিষ্ট যে পাখিগুলো রয়েছে সেগুলো বাঁচিয়ে রাখার একমাত্র উপায় হচ্ছে সঠিকভাবে সংরক্ষণ। আর প্রাণী আইনে এমন কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে যাতে করে যেই অসাধু ব্যবসাগুলো রয়েছে তারা আর যেন প্রাণী হত্যা না করতে পারে।
যারা এই প্রাণী হত্যার সাথে জড়িত তাদের যথাযথ শাস্তি আইনের আওতায় আনা উচিত। যেগুলো প্রাণী অবশিষ্ট রয়েছে সংখ্যায় খুবই কম তারা যেন বংশবিস্তার করতে পারে। আর এই বংশবিস্তার করার জন্য যে পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করতে হবে। এই সবগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।
আর তা না হলে দেখা যাবে একসময় বাংলাদেশের বুকে থেকে প্রাণীর বিলুপ্ত হয়ে যাবে। তাই প্রাণী বিলুপ্ত হওয়ার কারণগুলো চিহ্নিতকরণ করতে হবে এবং সেই কারণগুলোর বিপক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। যাতে করে এই কারণগুলো আর দ্বিতীয়বার না হয়।
বাঘ বিলুপ্ত হওয়ার কারণ কি
এক সময় বাংলাদেশের সুন্দরবনে অসংখ্য বাঘ ছিল। এখন সেই সুন্দরবনে সংখ্যায় কয়েকটি বাঘ রয়েছে। যার অধিকাংশই বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এই বিলুপ্ত হওয়ার পিছনে বড় কারণ হচ্ছে অসচেতনতা এবং অবৈধ শিকার। এই শিকারিদের কারণে আজ সুন্দরবন থেকে বাঘ প্রায় বিলুপ্তের পথে।
কিছু অসাধু ব্যবসায় রয়েছে যারা বাঘ মেরে এর চামড়াগুলো বেশী দামে বিক্রয় করে। আজ অতিরিক্ত হারে বাঘ মারার জন্য বাংলাদেশ থেকে বাঘের সংখ্যা নেই বললেই চলে। সুতরাং যে কয়েকটি বাঘ অবশিষ্ট রয়েছে। সেগুলোকে সঠিক সংরক্ষণের আওতায় আনতে হবে।
আর যদি সংরক্ষণের আওতায় না হয় তাহলে অবশিষ্ট বাঘ গুলো আজ বিলুপ্ত হয়ে যাবে। সুতরাং যথাযথ পদক্ষেপ এর মাধ্যমে, বাঘ সংরক্ষণ আইন তৈরির মাধ্যমে সংরক্ষণ করতে হবে।
হাতি বিলুপ্ত হওয়ার কারণ
এক সময় আমাদের দেশে অনেক হাতি ছিল। যা সময়ের ব্যবধানে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এই বিলুপ্ত হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে অসচেতনতা। আরেকটি কারণ হচ্ছে শিকার। আমাদের দেশে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রয়েছে যারা প্রাণী স্বীকার করে থাকে। আর এই প্রাণী স্বীকার করে তারা বিক্রি করে দেয়। আর এই কারণটির জন্যই আজ আমাদের দেশে প্রাণী বিলুপ্তপ্রায়। ঠিক এমনই ভাবে হাতি বিলুপ্ত হওয়ার কারণ। আজ আমাদের দেশে কোন জাতেরই হাতি অবশিষ্ট নেই।
পৃথিবী থেকে হারিয়ে যাওয়া একটি প্রাণীর নাম
পৃথিবীতে হারিয়ে যাওয়া একটি প্রাণীর নাম হল ডাইনোসর। এই ডাইনোসর একসময় পৃথিবীতে রাজত্ব করতো। ডাইনোসর যখন পৃথিবীতে ছিল তখন ভূমন্ডলে কোন মানুষ ছিল না। এই ডাইনোসর এসেছে প্রায় আজ থেকে মিলিয়ন মিলিয়ন বছর আগে।
ডাইনোসর পৃথিবী থেকে হারিয়ে যাওয়ার একটি বড় কারণ হচ্ছে বায়ুমণ্ডলের পরিবর্তন। ধারণা করা হয় এক উল্কাপিণ্ড পৃথিবীতে পড়ে সকল ডাইনোসর মারা যায়। ধারণা করা হয় ডাইনোসর ছিল বিশাল আকৃতির কিন্তু এর দেহের গঠন কোন আকৃতি ছিল এর সঠিক ধারণা কেউ দিতে পারেনি।
উপসংহারঃ বাংলাদেশের বিলুপ্ত প্রাণীর নাম ও বর্ণনা
পরিশেষে বলা যায় যে বাংলাদেশের অধিকাংশ প্রাণী আজকে বিলুপ্ত। তাই যে প্রাণীগুলো অবশিষ্ট রয়েছে সেগুলো যাতে বিলুপ্ত না হয়। সেদিকে সরকারের খেয়াল রাখতে হবে আর যথাসম্ভব ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। যাতে করে পরবর্তী সময় এই বিলুপ্তের কারণগুলো প্রাণী বিলুপ্তের কারণ না হয়ে দাঁড়ায়। কারণ প্রাণী হচ্ছে প্রকৃতির সৌন্দর্য বাড়ায়। আর এই সৌন্দর্য প্রকৃতিকে মুগ্ধ করে।
শেষ কথাঃ আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক। আশা করা যায় আপনারা সবাই ভাল আছেন। বাংলাদেশের বিলুপ্ত প্রাণীর নাম ও বর্ণনা গুলো জেনে আপনি উপকৃত হয়েছেন। আর যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার বন্ধু এবং পরিবারের সাথে শেয়ার করুন। পরবর্তী পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে আমন্ত্রিত করা হলো। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
এসএইচ নিউজস্টোরের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url