প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত - কিসমিসের ক্ষতিকর দিক

আপনারা কি জানেন প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত আর কিসমিসের ক্ষতিকর দিক। যে সকল ব্যক্তি কিসমিস খেতে ভালোবাসে তাদের প্রত্যেকেরই জানা দরকার প্রতিদিন কতটুকু পরিমাণ কিসমিস খাওয়া উচিত এবং এর ক্ষতিকর দিক। সুতরাং দেরি না করে জেনে নিন।
প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত - কিসমিসের ক্ষতিকর দিক
আমরা অনেকেই আছি প্রতিদিন কতটুকু পরিমাণ কিসমিস খাওয়া উচিত। এর সাথে কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা এবং কিসমিসের ক্ষতিকর দিক এগুলো না জানা থাকলে জেনে নিন। কারণ কিসমিসের উপকারিতা সাথে সাথে ক্ষতিকর কিছু দিক রয়েছে যেগুলো জানা প্রয়োজন।
পোস্টসূচিপএঃ 

    ভূমিকা

    আমরা প্রত্যেকদিন অনেক কিছুই খায়। তার মধ্যে একটি হচ্ছে কিসমিস কিন্তু প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত এবং কতটুকু পরিমাণে খেলে এর উপকারিতা পাওয়া যাবে। আমরা অনেকেই আছি যারা না জেনে অতিরিক্ত পরিমাণে কিসমিস খায়।

    কিন্তু কিসমিস এর ক্ষতিকর দিক রয়েছে। আবার আপনি যদি কিসমিস নিয়ম মেনে খেতে পারেন তাহলে কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে। আপনি কি জানেন গর্ভাবস্থায় কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে। তাহলে প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত এর সাথে জরিত বিষয়গুলো জেনে নিন।

    প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত

    আমাদের দৈনিক অথবা প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত তা জানা দরকার। কারন কোন জিনিসই অতিরিক্ত মাত্রা খাওয়া উচিত নয়। তাহলে আমরা প্রতিদিন কিসমিস কতটুকু পরিমানে খেতে পারি। এটি পুরোপুরি নির্ভর করবে, আপনার উপরে কারণ প্রতিটি মানুষের শারীরিক ও দৈহিক অবস্থা একই রকম হয় না। 
    তাই কিছুটা নিজে থেকেও বুঝে নিতে হবে যে কি পরিমাণ কিসমিস খেলে আমার দৈহিক ও শারীরিক অবস্থা ভালো থাকবে। কিসমিস এর মধ্যে রয়েছে অধিক পরিমাণে পুষ্টি। যা আমাদের দেহ তাৎক্ষণিক শক্তি আহরণ করতে পারে। সাধারণত কিসমিস তৈরি হয় আঙ্গুরকে শুকানোর মাধ্যমে। আর এই শুকানোর মাধ্যমে ক্যালরি কয়েকগুণ বেড়ে যায়। 

    সাধারণত ১০০ গ্রাম আঙ্গুরের মধ্যে ৬৯ গ্রাম ক্যালোরি থাকে আর ১০০ গ্রাম কিসমিসের মধ্যে ২৯৯ গ্রাম ক্যালোরি থাকে। সুতরাং কিসমিস হলো ক্যালোরি এবং এনার্জেটিক জাতীয় খাদ্য। কিসমিসের মধ্যে থাকা গ্লুকোজ যা তৎক্ষণিকভাবে আমাদের দেহে এনার্জি সরবরাহ করে। 

    এই জন্য শরীরের দুর্বলতা এবং হাড় গঠনের জন্য কিসমিস খুবই উপকারী কারণ এর মধ্যে থাকা ক্যালসিয়াম ও ফ্রুক টস শরীরের দুর্বলতা এবং হাড় গঠনে সহায়তা করে। তাহলে প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত একজন স্বাভাবিক মানুষের দৈনিক ৪৫ থেকে ৫৫ গ্রাম কিসমিস খাওয়া উচিত এর বেশি নয়। 

    আর এর বেশি যদি কেউ খায় তাহলে উপকারের থেকে ক্ষতি বেশি হবে। এই পরিমাণ মাফিক যদি আপনি নিয়মিত কিসমিস খেতে পারেন। তাহলে কিসমিস খাওয়ার মাধ্যমে আপনি উপকারী হবেন। তাহলে আশা করা যায় প্রতিদিন কতটুকু পরিমাণে কিসমিস খাওয়া উচিত তা বুঝতে পেরেছেন।

    গর্ভাবস্থায় কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা

    গর্ভ অবস্থায় কিসমিস খাওয়ার যাবে। কারণ কিসমিস হচ্ছে শুকনো খাবার। আর এই জন্যই গর্ব অবস্থায় কিসমিস খাওয়া যাবে। গর্ভ অবস্থায় কিসমিস খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। কারণ কিসমিসের মধ্যে রয়েছে আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং ফাইবার যা গর্ভ অবস্থায় নারীদের জন্য খাওয়া খুবই উপকারী। এখন জেনে নেই গর্ভাবস্থায় কিসমিস খাওয়ার মধ্যে কি কি উপকারিতা লুকিয়ে আছে।
    শক্তি যোগায়ঃ কিসমিসের মধ্যে থাকা ভিটামিন, মিনারেল, ক্যালসিয়াম, ম্যাগানিজ, পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম থাকে। যা গর্ভাবস্থায় শিশু বেড়ে ওঠার জন্য যেটি খুবই কার্যকরী উপাদান হিসেবে গণ্য করা হয়। গর্ভাবস্থায় মায়ের পর্যাপ্ত পরিমাণে শক্তি যোগায় বা দুর্বলতা দূর করে এবং মায়ের নিউট্রেশন কে বাড়ানোর কাজে সহযোগিতা করে। সুতরাং কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে।

    শাসনতন্ত্র এর সমস্যাঃ কিসমিস শাসনতন্ত্র এর সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। কিসমিসের এর মধ্যে থাকা ফাইবার হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এবং শাসনতন্ত্র এর সমস্যা দূর করে থাকে।

    হিমোগ্লোবিন বাড়ায়ঃ কিসমিস খাওয়ার মাধ্যমে রক্তের শূন্যতা কমাতে সাহায্য করে। কিসমিস আপনার হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়। গর্ভাবস্থায় নারী রক্ত শূন্যতায় ভোগে তাহলে কিসমিস খাওয়াতে পারেন।

    হাড় মজবুতঃ কিসমিস হার মজবুত করতে সাহায্য করে। গর্ভাবস্থায় মা যদি কিসমিস খাই তাহলে কিসমিসের মধ্যে থাকা আইরন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ম্যাগানিজ ইত্যাদি উপাদান মাতৃগর্ভে থাকা শিশুর হাড় মজবুত করনে সাহায্য করে। তাই গর্ভাবস্থায় একজন নারীর কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা।

    খাবারের চাহিদা বাড়াতেঃ সাধারণত গর্ভাবস্থায় মায়েদের খিদের মাত্রা কমে যায়। এটি কিসমিস খাওয়ার মাধ্যমে বাড়ানো যায়। কিসমিসে থাকা মিনারেল এবং ভিটামিন খিদে বারাইয়ে দেয় ও ক্লান্তি ভাব দূর করতে সাহায্য করে।

    অ্যানিমিয়া সমস্যাঃ কিসমিস খাওয়ার মাধ্যমে আপনার শরীর থেকে অ্যামোনিয়ার সমস্যা দূর করে। অ্যামোনিয়ার সমস্যা দেখা দেয় মূলত দেহে আইরন এবং রক্তের ঘাটতি দেখা দিলে। আর এইগুলো পূরণ করে কিসমিস। তাই গর্ভাবস্থায় অ্যামোনিয়ার সমস্যা দেখা দিলে কিসমিস খেতে পারেন। সুতরাং গর্ভাবস্থায় সমস্যা দূরীকরণে কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে।

    গর্ভাবস্থায় কিসমিস খাওয়ার নিয়মঃ কিন্তু কিসমিস কিভাবে খাবেন এর নিয়ম গুলো জেনে নিন। রাতে কিসমিস ভিজিয়ে রাখবেন সকালে উঠে কিসমিসের পানি খাবেন। আবার শুধু কিসমিসও খেতে পারেন তবে দিনে ১০ থেকে ১৫ টার বেশি নয়।
    পরিশেষে বলা যায় যেঃ গর্ভাবস্থায় কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে। তবে সেটি নিয়ম গুলো মেনে খেতে হবে। যদি কোন গর্ভাবস্থায় নারী অতিরিক্ত কিসমিস খায়। তাহলে এর উপকারিতা থেকে অপকারিতাই বেশি হবে। সুতরাং সাবধান কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা পেতে গিয়ে এর মাধ্যমে ক্ষতি না ডেকে আনি।

    রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয়

    আপনারা যারা জানতে চেয়েছেন রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয়। রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খাওয়ার মধ্যে উপকারিতা রয়েছে। যাদের গ্যাস রয়েছে এবং ভালোভাবে ঘুম হয় না এই সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য রয়েছে কিসমিস। 
    আবার যাদের ঘুম থেকে ওঠার পরে শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ব্যথা করে তাদের জন্যও কিসমিসের মধ্যে উপকারিতা রয়েছে। তবে কিসমিস খেয়ে উপকারিতা পেতে হলে তার জন্য কিছু নিয়ম রয়েছে। তাহলেও প্রত্যেকদিন ৫০ গ্রামের বেশি কিসমিস খাওয়া যাবেনা অথবা ১০ থেকে ১৫ টি বেশি নয়। 

    এর বেশি খেলে উপকারিতার চেয়ে ক্ষতি বেশি হবে। অতএব রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা পেতে হলে নিয়ম মেনে খেতে হবে।

    দুধ কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা

    দুধে থাকা ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন ডি, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন কে ইত্যাদি থাকে। আর কিসমিসে থাকা পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন এবং ম্যাগানিজ উপাদানগুলো মিশ্রণে দুধ কিসমিসের উপকারিতা বাড়িয়ে দেয়। এই দুধ কিসমিস একত্রিকরণ করে খাওয়ার মাধ্যমে অনেক উপকারিতা রয়েছে।
    দুধ কিসমিস খাওয়ার মধ্যে যে উপকারিতা গুলো রয়েছে তাহলো
    • যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্যে করে
    • রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্যে করে
    • পরিপাকতন্ত্র সুস্থ রাখতে সহায়তা করে
    • শরীরের হাড় শক্ত ও মজবুত রাখে
    • ক্লান্তি দূর করতে সহায়তা করে
    • শরীরের দুর্বলতা দূর করতে এটি খুবই উপকারী
    দুধ ও কিসমিস একত্রে খাওয়ার নিয়ম এক গ্লাস গরম দুধের মধ্যে ১০ থেকে ১৫ টি কিসমিস ছেড়ে দিন। তারপরে ১০ মিনিট এভাবে রেখে দিন। এভাবে করে সপ্তাহে অন্ততপক্ষে তিন দিন খেতে পারলে অনেক উপকারিতা হয়েছে।
    পরিশেষে বলা যায় যে দুধ কিসমিস খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। আর এই উপকারিতাগুলো পেতে হলে আপনাকে নিয়ম মাফিক দুধ কিসমিস খেতে হবে। আর যা থেকে আপনি এই সকল উপকারিতা গুলো পেতে পারেন।

    সকালে খালি পেটে কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা

    কিসমিস আমাদের হার্ড ভালো রাখতে সহায়তা করে। আর এই হার্ড ভালো রাখার জন্য কিসমিসের মধ্যে থাকা পটাশিয়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর হার্ড দুর্বল হওয়ার জন্য দায়ী অতিরিক্ত কোলেস্টেরল যা একমাত্র পটাশিয়াম দ্বারা দূর করা সম্ভব। শরীরের এনার্জি বাড়িয়ে তোলার জন্য কিসমিস খেতে হবে। 
    কারণ কিসমিসের মধ্যে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট। এছাড়াও আরো যে সকল উপকারিতা রয়েছে সকালে খালি পেটে কিসমিস খাওয়ার মধ্যে তাহলো। শরীরের হজম শক্তি বাড়ায়। লিভার ভালো রাখতে সহায়তা করে। তৎক্ষণাৎ শক্তি জগতে সাহায্য করে।

    সকালে খালি পেটে কিসমিস খাওয়ার নিয়ম

    সর্বপ্রথম একটি পাত্রে অথবা গ্লাসে ৪০০ থেকে ৪৫০ গ্রাম পানি নিন এবং দেড়শ গ্রাম কিসমিস নেন। অবশ্যই পানিগুলো বিশুদ্ধ এবং কিসমিস গুলো ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। তারপরে পানির ভেতরে কিসমিস গুলো ছেড়ে দিন। অবশ্যই কিসমিস ও পানি রাতে ভিজিয়ে রাখবেন সকালে উঠে কিসমিস থেকে পানি গুলো ছেকে নিন। 

    ছেঁকে নেওয়া পানিগুলো হালকা ওমা গরম করুন। তারপরে সে পানি সকালে খালি পেটে খাবেন। কিসমিসের পানি খাওয়ার আগে কোন কিছু খাওয়া যাবে না এবং খাওয়ার পরে তিরিশ থেকে চল্লিশ মিনিট পর্যন্ত কোন খাবার খাওয়া যাবেনা। এভাবে করে যদি টানা সাত দিন খেতে পারেন। 
    তাহলে সকালে খালি পেটে কিসমিস খাওয়ার যে উপকারিতা গুলো রয়েছে সেগুলোর ফলাফল পাবেন। অবশ্যই সকালে খালি পেটে কিসমিস খাওয়ার নিয়ম মেনে খাবেন। অবশিষ্ট যে কিসমিস গুলো থেকে যাবে সে কিসমিস গুলো আপনি চাইলেও খেতে পারেন।

    কিসমিসের ক্ষতিকর দিক

    আমরা অনেকেই জানি কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে কিন্তু কিসমিসের ক্ষতিকর দিকগুলো কি আপনাদের জানা আছে। হয়তো এর ক্ষতিকর দিকগুলো অনেকেরই জানা আছে আবার নেই। আসলে কিসমিসের ক্ষতিকর দিক খুবই কম। 

    তাহলে আপনি কি এর ক্ষতিকর দিকগুলোর সম্মুখীন হচ্ছেন জেনে নিন। আসলে ১০০ গ্রাম আঙ্গুরের মধ্যে ৬৯ গ্রাম ক্যালোরি থাকে এবং ১০০ গ্রাম কিসমিসের মধ্যে ২৯৯ গ্রাম ক্যালরি থাকে। নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন যে কিসমিসে ক্যালরির পরিমাণ বেশি। 

    অতএব এই কিসমিস আপনার ক্ষতি করছে না তো। অতিরিক্ত কিসমিস খাওয়ার ফলে আপনার দেহে নানা রকম সমস্যা হতে পারে। অতিরিক্ত কিসমিস খাওয়ার জন্য আপনার ওজন বেড়ে যেতে পারে এবং সুগার লেভেল বেড়ে যেতে পারে। কারণ কিসমিসের মধ্যে রয়েছে অতিরিক্ত পরিমাণে ক্যালরি। অতএব অতিরিক্ত কিসমিস খাওয়ার ফলে এর ক্ষতিকর দিক গুলোর সম্মুখীন হবেন।

    কিসমিস খেলে কি মোটা হয়

    আমরা অনেকেই জানি কিসমিস খাওয়ার মধ্যে উপকারিতা রয়েছে তবে কিসমিস খেলে কি মোটা হয়। আসলে ১০০ গ্রাম আঙ্গুরের মধ্যে ৬৯ গ্রাম ক্যালরি রয়েছে এবং ১০০ গ্রাম কিসমিসের মধ্যে ২৯৯ গ্রাম ক্যালোরি রয়েছে। বোঝাই যাচ্ছে যে কিসমিসে ক্যালরির পরিমাণ বেশি। 

    এই ক্যালরি অতিরিক্ত মাত্রায় বেশি হওয়ার কারণে কেউ যদি বেশি পরিমাণে প্রত্যেকদিন কিসমিস খেতে থাকে তাহলে সেই ব্যক্তি মোটা হবে এবং তার সুগার লেভেলও বেড়ে যাবে। অতিরিক্ত কোন জিনিসই খাওয়া ভালো না। সবকিছুই পরিমাণোপিক খেতে হবে তাহলে ওই উপাদান বা জিনিসের উপকারিতা পাওয়া যাবে। সুতরাং বলা যায় যে অতিরিক্ত পরিমাণে কিসমিস খেলে মোটা হওয়া যায়।

    কিসমিস খেলে কি ফর্সা হয়

    আপনি জানতে চেয়েছেন কিসমিস খেলে কি ফর্সা হয়। কিসমিসের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ও মিনারেলস। আপনি যদি নিয়মিত কিসমিস ভিজিয়ে রাখা পানি খেতে পারেন তাহলে আপনার দেহ থেকে টক্সিন বের হয়ে যাবে। 

    এছাড়াও আরো যে সকল উপাদান রয়েছে কিসমিসের মধ্যে তা হল পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়া, ম্যাগানিজ, ক্যালরি এবং প্রোটিনের মতো উপাদান। কিসমিসের পানি খাওয়ার মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি যা আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা, ত্বকের দাগ সার্কেল এবং বয়সের ছাপ দূর করতে খুবই কার্যকরী একটি খাবার। তাই বলা যায় কিসমিস খাওয়ার মধ্যে রয়েছে ত্বকের উপকারিতা।

    অতিরিক্ত কিসমিস খেলে কি হয়

    আপনারা জানতে চেয়েছেন অতিরিক্ত কিসমিস খেলে কি হয়। দেখেন অতিরিক্ত কোন জিনিসই খাওয়া ভালো নয়। অতিরিক্ত কিসমিস খাওয়া উচিত নয়। কারণ অতিরিক্ত কিসমিস খাওয়ার ফলে স্বাস্থ্যের অনেক ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। 

    সাধারণত ১০০ গ্রাম আঙ্গুরের মধ্যে ৬৯ গ্রাম ক্যালোরি থাকে এবং ১০০ গ্রাম কিসমিসের মধ্যে ২৯৯ গ্রাম ক্যালোরি থাকে। সুতরাং কিসমিসের মধ্যে অতিরিক্ত ক্যালরি রয়েছে। দৈনিক ৫০ গ্রাম এর উপরে কিসমিস খাওয়া এর অধিক নয় অথবা ১০ থেকে ১৫ টা কিসমিস খাবেন এর অধিক নয়। কারণ অতিরিক্ত কোন জিনিসই ভালো নয়। অতএ ব অতিরিক্ত কিসমিস খাওয়া যাবেনা।

    শুকনো কিসমিস খেলে কি হয়

    কিসমিস দুই ধরনের হয়ে থাকে এক ধরনের শুকনো কিসমিস এবং অপরটি পানিতে ভিজিয়ে রাখা কিসমিস। এখন আপনারা জানতে চেয়েছেন যে শুকনো কিসমিস খেলে কি হয়। শুকনো কিসমিস অনেক রোগের প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহার হয়। 

    যেমন শরীরের দুর্বলতা দূর করে, যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্যে করে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্যে করে, পরিপাকতন্ত্র সুস্থ রাখতে সহায়তা করে, শরীরের হাড় শক্ত ও মজবুত রাখে এবং ক্লান্তি দূর করতে সহায়তা করে ইত্যাদি। কারণ কিসমিসের মধ্যে রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়া্‌ মেকানিক্স, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি, টামিন ডি এবং ভিটামিন কে ইত্যাদি। 

    কিন্তু সেটি পরিমাণ মতো খেতে হবে দৈনিক সর্বোচ্চ ৫০ গ্রাম এবং ১০ থেকে ১৫ টির বেশি কিসমিস খাওয়া যাবেনা। আশা করা যায় শুকনো কিসমিস খেলে কি হয় এ বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

    প্রতিদিন কিসমিস খেলে কি হয়

    আপনি জানতে চেয়েছেন প্রতিদিন কিসমিস খেলে কি হয়। প্রতিদিন কিসমিস খাওয়ার ফলে শরীরের দুর্বলতা দূর হয়, তৎক্ষণাৎ শক্তি যোগায, হার্টের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে এবং পরিপাকতন্ত্র সুস্থ রাখতে সহায়তা করে এই সকল কার্যক্রম প্রতিদিন কিসমিস খাওয়ার ফলে হয়। তবে সেটি পরিমাণ মতো খেতে হবে দৈনিক ৫০ গ্রামের বেশি নয় এবং ১০ থেকে ১৫ বেশি নয়। অতিরিক্ত কিসমিস খাওয়ার ফলে শারীরিক অনেক ক্ষতি হতে পারে।

    উপসংহার

    পরিশেষে বলা যায় যে প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত এটি জানা অনেক প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। যারা প্রতিদিন কিসমিস খাই তাদের জানা আরও বেশি প্রয়োজন। কারণ কিসমিস খাওয়ার উপকারিতাও রয়েছে যেমন ঠিক তেমনি ভাবে কিসমিস খাওয়ার ক্ষতিকর দিক রয়েছে। 

    সুতরাং না জেনে কোন কিছু নিয়মিত খাওয়া ঠিক নয়। অতএব কিসমিস খাওয়ার নিয়ম গুলো জেনে কিসমিস নিয়মিত খেতে হবে। তাহলে এর উপকারিতা পাওয়া যাবে। নয়তো ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। পুরো পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি জেনে যাবেন প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত।

    শেষ কথাঃ সালামুআলাইকুম প্রিয় পাঠক আশা করি প্রতিদিন কতটুকু পরিমানে কিসমিস খাওয়া উচিত, কিসমিসের ক্ষতিকর দিক, গর্ভাবস্থায় কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা, সকালে খালি পেটে কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা, সকালে খালি পেটে কিসমিস খাওয়ার নিয়ম, কিসমিস খেলে কি ফর্সা হয় এবং প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত এই সকল বিষয়গুলো জেনে আপনি উপকৃত হয়েছেন।

    পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আর পোস্টটি ভালো লেগে থাকলে পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।

    এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

    পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
    এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

    এসএইচ নিউজস্টোরের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

    comment url