সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণ - সিজারের পর ইনফেকশন কেন হয়

আপনি কি জানেন সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণ কোনগুলো। আপনার যদি এই বিষয়ে কোন ধারণা না থাকে। তাহলে সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণ এবং সিজারের পর ইনফেকশন কেন হয় তথ্যগুলো জেনে নিতে পারেন। এই তথ্যগুলো জানার মাধ্যমে ইনফেকশনের বিষয়ে কিছু জানতে পারবেন।
সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণ - সিজারের পর ইনফেকশন কেন হয়
গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন কিছু বিষয় জেনে নিতে হয় যেমন সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণ এবং সিজারের পর ইনফেকশন কেন হয়। সিজারের আগে মায়েদের উপরে অনেক ধকল যাই এবং সিজারের সময় আরো বেশি ধকল যায়। তাই সিজার এর সাথে জড়িত বিষয়গুলো জেনে নিন।
পোস্ট সূচিপএঃ 

    ভূমিকা

    আমাদের গর্ভবতী মায়েদের সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণ এবং সিজারের পর ইনফেকশন এর কারণ না জানা থাকার কারণে পরে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। সাধারণত দুইটি ডেলিভারি পদ্ধতিতে হয়ে থাকে প্রথম নরমাল ডেলিভারি এবং দ্বিতীয় সিজারের মাধ্যমে। বর্তমানে সিজারের মাধ্যমে বাচ্চা নেওয়ার সংখ্যা অনেক বেশি পরিমাণে।

    এই সিজারের মাধ্যমে বাচ্চা নেওয়ার আগে এবং বাচ্চা নেওয়ার সময় মায়েদের অনেক সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। তার মধ্যে একটি অধিক যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়।তবে সিজারের পর অনেকের ইনফেকশন হতে পারে। আর এই ইনফেকশন হওয়ার জন্য দায়ী অসচেতনতা। তবে এই ইনফেকশন হওয়ার পরিমাণ খুবই কম। আর যদি হয়ে যায় তাহলে সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণ এবং কেন হয় এই বিষয়গুলো জেনে, নিজেকে সচেতন করুন।

    সিজারের পর ইনফেকশন কেন হয়

    আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন সিজারের পর ইনফেকশন কেন হয়। সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণ দুইটি বিষয় জানাবো। সিজারের পর ইনফেকশন হওয়ার অনেকগুলো কারণ রয়েছে। সিজারের পরে আমরা যেরকম নতুন শিশুর খেয়াল রাখি। 

    ঠিক তেমনি ভাবে সিজারের পরে মায়ের খেয়াল রাখতে হবে। সিজারের পরে মায়ের কাঁটা দাগের স্থানটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ এই জন্য কমপক্ষে এক সপ্তাহ থেকে দুই সপ্তাহ পর্যন্ত কোনো নড়াচড়া করা যাবে না। নড়াচড়া করলে ওই স্থানটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। 
    যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি না বুঝবেন যে সিজারের স্থানটি শুকিয়ে গেছে ততক্ষণ পর্যন্ত বেড রেস্টে থাকুন। আমরা সাধারণত কি করি সিজারের দুই-একদিনের মধ্যেই বাড়ি চলে যায়। আর এই বাড়ি চলে যাওয়ার সময় শরীরের যে ঝাঁকনিটি লাগে এর ফলে মূলত সিজারের পর ইনফেকশন সৃষ্টি হয়। সুতরাং কমপক্ষে এক সপ্তাহ থেকে দুই সপ্তাহ বেড রেস্টে থাকুন।
    • অপরিচ্ছন্ন যন্ত্রপাতি দিয়ে সিজার করার কারণে হতে পারে।
    • সিজারের করার স্থানটি অপরিচ্ছন্ন থাকা, এটি একটি কারণ।
    • সিজার করার চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানটি অপরিচ্ছন্ন থাকার কারণে হতে পারে।
    • সিজার করা মায়ের পোশাক অপরিচ্ছন্ন থাকার কারণে হতে পারে।
    • সিজার করা মায়ের আপন জনেরা অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় সাক্ষাৎ এর কারণে হতে পারে।
    • সিজার করা মাকে, যে জল পান করানো হয় সেটি অপরিষ্কার থাকার কারণে হতে পারে।
    • সিজার করা মায়ের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যদি কম থাকে, সে কারণে হতে পারে।
    • সিজার করা মায়ের বেড এবং অন্য রোগীর বেড কাছাকাছি থাকার কারণে হতে পারে।
    শিশুর মায়েদের সিজারের পর ইনফেকশন কেন হয় আর কি কারনেই হয়। যে কারণগুলো তুলে ধরা হয়েছে সেগুলো এক একটি মেজর কারণ। এছাড়াও আরও অনেকগুলো ইনফেকশনের কারণ রয়েছে। যেগুলো ছোট ছোট কারণ আর এই ইনফেকশনের ছোটখাট কারণ থেকেও সিজারের রোগের ইনফেকশন হতে পারে। 
    আরো পড়ূনঃ 
    তাই সিজারের রোগীকে সবসময় সাবধানতা বজায় রাখতে হবে এবং তার আশেপাশের সব মানুষকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

    সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণ

    আপনারা জানতে চেয়েছেন সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণ গুলো। তার আগে কিছু কথা জেনে নিন। আমাদের দেশের অনেক মায়েরা আছেন যারা সিজারের ২-৩ দিন পর থেকেই যেকোনো ধরনের কাজে লিপ্ত হয়ে পড়েন অথবা ভারী কোন কাজ করেন। 

    আবার অনেকে আছেন সিজারের পর দুই থেকে তিনদিন পরেই আর বেড রেস্ট করেন না। তারপরে বাড়ির দিকে অগ্রসর হন এই বাড়ির দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় যে জার্নি করতে হয় এই জার্নি সময়টা যে ধকল যায়। ঠিক এই কারণেই সিজারের পর ইনফেকশনের অনেক ধরনের লক্ষণ দেখা দেয়।
     সিজারের পর মায়েদের কমপক্ষে দুই সপ্তাহ বেড রেস্ট করতে হবে। তবুও সবার শরীরের অবস্থা একই রকম হয় না। সেক্ষেত্রে নিজেকে বুঝে নিতে হবে কতদিন পর্যন্ত বেড রেস্ট করতে হবে। বেড রেস্ট না করেই অনেক মায়েরা অনেক ধরনের কাজ করে থাকে যার ফলে তাদের ঘা শুকাতে অনেক সময় লাগে। আসুন জেনে নেই সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণ কোনগুলো।
    • সর্বপ্রথম সিজারের পরে যে লক্ষণটি দেখা দিবে। সিজারের স্থানটি ফুলে যাবে সাথে জায়গাটির লাল রঙের হবে এবং খুবই ব্যথা হবে।
    • সিজারের পর যে দ্বিতীয় লক্ষণটি দেখা দিতে পারে। সিজারের পর সময়ের সাথে সাথে সিজারের স্থানটি ব্যথা কমতে থাকে আর যদি বুঝতে পারেন ব্যথা কমার বদলে বেড়েই চলেছে তাহলে এটি একটি ইনফেকশনের লক্ষণ হতে পারে।
    • সিজারের পর সিজারের স্থানটিতে থেকে যদি পুঁচ বা পানি বের হয় এটি ইনফেকশনের লক্ষণ হতে পারে।
    • সিজারের পর মায়ের যদি জ্বর হয় আর যদি জ্বর বাড়তে থাকে তাহলে এটি ইনফেকশনের লক্ষণ হতে পারে।
    • সিজারের পর যদি প্রস্রাবের সময় প্রস্রাবের স্থানটি জ্বালাপোড়া করে তাহলে এটি ইনফেকশন এর লক্ষণ হতে পারে।
    • সিজারের পর প্রস্রাব করার সময় যদি প্রস্রাবের খারাপ গন্ধ অনুধাবন করতে পারেন তাহলে ইনফেকশন এর লক্ষণ হতে পারে।
    • সিজারের সময় যেভাবে আপনার শরীর থেকে রক্ত বের হয়েছে। ঠিক তেমনি ভাবে যদি সিজারের পরে বের হয় এবং কিছুক্ষণ পরপর আপনাকে প্যাড চেঞ্জ করতে হচ্ছে। আর রক্ত বড় বড় জমাট আকারে বের হচ্ছে ইনফেকশনের লক্ষণ হতে পারে।
    • সাধারণত সিজারের পর আস্তে আস্তে পা ফোলা কমে যায়। যদি বুঝতে পারেন পা ফোলা কমছে না বেড়েই চলেছে এবং পায়ের আশেপাশে লাল আর ব্যথা করছে তাহলে বুঝবেন এটি ইনফেকশনের লক্ষণ হতে পারে।
    সর্বশেষে বলা যায় যে সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণগুলো দেখা গেলেই যে ইনফেকশন হয়েছে। এটি পুরোপুরি সঠিক নাও হতে পারে এক্ষেত্রে আপনি চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন এবং নিজের বর্তমান পরিস্থিতির সবকিছু চিকিৎসককে পরিষ্কার করে বলুন।

    সিজারের পর ইনফেকশন হলে করণীয়

    আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন সিজারের পর ইনফেকশন হলে করণীয় কি আছে। বাংলাদেশে নরমাল ডেলিভারি এর চেয়ে সিজারের মাধ্যমে বাচ্চা প্রসব হতে বেশি দেখা যায়। এমনকি শুধু বাংলাদেশে নয় পুরো পৃথিবীতে সিজারের মাধ্যমে বাচ্চা নেওয়ার সংখ্যা অনেক বেশি। 

    তাই দেখা যায় যে সিজারের মাধ্যমে বাচ্চা নেওয়ার প্রবণতা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। সিজারের মাধ্যমে বাচ্চা নেওয়া ভালো পদ্ধতি হলেও এর কিছু অবহেলা ও অসচেতনতার কারণে সিজারকৃত মায়েদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। 
    তার মধ্যে বড় একটি সমস্যা হচ্ছে সিজারের পর ইনফেকশন হওয়া। সিজারের পর ইনফেকশন হওয়ার কারণ রয়েছে। সেই কারণগুলো আমি ইতিমধ্যে আপনাদেরকে জানিয়ে দিয়েছি। এখন আমি আপনাদেরকে যেতে জানাবো সেটি হচ্ছে সিজারের পর ইনফেকশন হলে করণীয় কি রয়েছে।
    • সিজারকৃত্ মায়ের পরিহিত কাপড় সব সময়ই পরিষ্কার রাখতে হবে।
    • যে পাত্রে পানি পান করবে ওই পাত্র এবং পাত্রের পানি পরিষ্কার রাখতে হবে।
    • সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।
    • সিজারের রোগীর থাকার জায়গা এবং তার আশেপাশের যে সকল জায়গা রয়েছে পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
    • সময় মত ড্রেসিং করতে হবে।
    • চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিজেকে পরিচালনা করতে হবে।
    একজন সিজারের রোগীর সিজারের পর ইনফেকশন হলে করণীয় গুলো জেনে নিজেকে পরিচালনা করতে হবে। একজন মা সন্তান প্রসবের সময় অনেক কষ্ট এবং যন্ত্রণা সহ্য করে। আবার সন্তান প্রসবের পরেও যন্ত্রণা সহ্য করার চেয়ে কিছু করণীয় এবং সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। 
    যাতে করে ইনফেকশন খুবই তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যায়। আর আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন ও সেই পরামর্শ অনুযায়ী চলার চেষ্টা করুন।

    সিজারের পর সেলাই ব্যাথা হলে করণীয়

    সিজার হওয়া দু-তিন মাস বা তার বেশি হয়ে গেছে কিন্তু সেলাইয়ের ব্যথা কমেনি। তাহলে সিজারের পর সেলাই ব্যাথা হলে করণীয় কি। সিজার সাধারণত করা হয় সন্তান প্রসব, এর জন্য বর্তমান সময়ে নরমাল ডেলিভারি থেকে মানুষ সিজারে বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। 
    সিজারের পর সেলাই ব্যথার এর বড় একটি কারণ হলো অসচেতনতা এবং অবহেলা। এই অসচেতনতার কারণে সিজারের এক দুই মাস অথবা তিন মাস পার হয়ে যাওয়ার পরেও এর ব্যথা কমে না। সুতরাং সিজারের পর সেলায় ব্যাথা হলে কি করনীয়।
    • এলার্জি জাতীয় জিনিস খাওয়া যাবেনা।
    • ভারী জিনিসপত্র বহন করা যাবে না।
    • স্বামী স্ত্রী সহবাস বন্ধ রাখতে হবে।
    • সিজারের সেলাই কৃত স্থানটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
    • এমন খাবার খেতে হবে যে খাবারগুলো সেলাইয়ের ঘা শুকাতে সাহায্য করে।
    • এমন কোন কাজ করা যাবে না যাতে সেলাইকৃত স্থানটি তে টান পড়ে।
    • চিত হয়ে ঘুমাতে হবে যাতে করে সেলাইয়ের টান না পরে।
    • চেষ্টা করতে হবে ঠান্ডা পানির বদলে গরম পানি দিয়ে গোসল করা।
    • চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়ম মাফিক ঔষধ খেতে হবে।
    • এমন কোন কাজ করা যাবে না যাতে করে সেলাই টান পড়ে।
    • সেলাইকৃত স্থানটিতে কোন ভাবে পানি জমে না থাকে সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে।
    আমরা সকলেই কমবেশি জানি যে সন্তান প্রসবের মাধ্যমে হচ্ছে দুইটি একটি নরমাল পদ্ধতি এবং অপরটি হলো সিজার পদ্ধতি। এই দুই পদ্ধতির মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় বর্তমানে সিজার পদ্ধতি। সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রস্রাবে যেমন মানুষ স্বচ্ছন্দ্যবোধ করে। 

    ঠিক তেমনিভাবে এর কিছু কারণ রয়েছে যেগুলোর জন্য সিজারের রোগী অনেক যন্ত্রণাটা ও কষ্ট পেয়ে থাকে। সেই কারণটি হচ্ছে সিজারের পর ইনফেকশন। ইনফেকশন এর কারণে কিছু সংখ্যক সিজারের রোগী অনেক ভোগান্তিতে করছে। 
    তাই সিজারের পর সেলাই ব্যাথা হলে করণ এবং সিজারের পর সেলাই ব্যাথা হলে করণীয় জেনে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আর চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিজেকে পরিচালনা করতে হবে।

    সিজারের পর তলপেটে ব্যথা হলে করণীয়

    আপনারা জানতে চেয়েছেন সিজারের পর তলপেটে ব্যথা হলে করণীয়। আপনারা কি জানেন সিজারের পর তলপেটে ব্যথা কেন করে। আমার মনে হয় আপনারা অনেকেই জানেন না এই বিষয়টি। তাই চলেন তলপেটে ব্যথার কারণ গুলো জেনে আসে।
    • কোন ভারী কাজ অথবা জিনিসপত্র বহন করার কারণে তলপেট ব্যথা করতে পারে।
    • ঘুমানোর সময় সঠিকভাবে না ঘুমানোর কারণে তলপেট ব্যথা করতে পারে।
    • স্বামী স্ত্রী সহবাসের কারণে তলপেট ব্যথা করতে পারে।
    • এখন চলেন জেনে আসি ইনফেকশনের কারণে তলপেট ব্যথা হলে করণীয় কি।
    • ভারী জিনিসপত্র বহন করা যাবে না।
    • সঠিক পদ্ধতিতে ঘুমাতে হবে যেমন চিত হয়ে ঘুমানো সবচেয়ে উত্তম।
    • স্বামী স্ত্রী সহবাস আপাতত সময়ের জন্য বন্ধ রাখতে হবে।
    সিজারের পর তলপেটে ব্যথা হলে করণীয় ও কারণ জানার পরে তুই বুঝতেই পেরেছেন যে এগুলো থেকে সতর্ক হওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই। তাই সিজারের পর রোগীকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। নিজেকে তাড়াতাড়ি সুস্থ করার জন্য এটির কোন বিকল্প নেই। আর চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

    সিজারের পর সেলাই ফুলে যায় কেন

    আপনারা জানতে চেয়েছেন সিজারের পর সেলাই খুলে যায় কেন। এই সেলাই ফলে যাওয়ার কারণ হচ্ছে অসচেতনতা ও অবহেলা। তাই কিছু কারণ তুলে ধরা হলো যেগুলোর কারণে সেলাই ফুলতে পারে।
    • এলার্জি জাতীয় জিনিস খাওয়ার জন্য সেলাই ফুলতে পারে।
    • সেলাইকৃত স্থানটি চুলকানোর কারণে ফুলে যেতে পারে।
    • ইনফেকশনের কারণে সেলাই ফুলে যেতে পারে।
    • সেলাই কৃত স্থানটিতে আঘাত লাগার কারণে চলে যেতে পারে।
    • সেলারকৃত স্থানটিতে ময়লা জমে থাকার কারণে ফুলে যেতে পারে।
    তাই সেলাই ফুলে গেলে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। চিকিৎসকের কাছে পরামর্শ নিন এবং সে অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করুন।

    সিজারের পর শোয়ার নিয়ম

    আপনারা জানতে চেয়েছেন সিজারের পর শোয়ার নিয়ম। শোয়া অথবা ঘুমানো অনেক ভাবে যায়। কিন্তু একজন সিজারের রোগী যেকোনো ভাবে ঘুমাতে অথবা শুয়ে থাকতে পারবে না। এর কারণ হচ্ছে একজন সিজারের রোগী যেকোনোভাবে ঘুমালে তার সেলায় এ ইনফেকশন হয়ে যেতে পারে আবার ভুলেও যেতে পারে অথবা ব্যথার সৃষ্টি হতে পারে। 

    তাই একজন সিজারের রোগীর শোয়ার নিয়ম মেনে ঘুমাতে হবে। আর একজন সিজারের রোগীর চিত হয়ে ঘুমানো সবচেয়ে উত্তম। এর কারণ হচ্ছে চিৎ হয়ে ঘুমালে সেলাই এর টান পড়ে না অথবা প্রেসার সৃষ্টি হয় না। তাই সবচাইতে উত্তম হচ্ছে চিৎ হয়ে ঘুমানো।

    সিজারের কতদিন পর সেলাই শুকায়

    আপনারা জানতে চেয়েছেন যে সিজারের কতদিন পর সেলাই শুকায়। আসলে এটি বলতে গেলে সবার শরীরের সক্ষমতা এক হয় না। আর সেই কারণেই একজন সিজারের রোগী সেলাই শুকাতে যেকোনো সময় লাগতে পারে। 

    তবে সাধারণত একজন স্বাভাবিক সেজারের রোগীর সেলাই শুকাতে একমাস দুই সপ্তাহের মতো সময় লাগে। যে যত সচেতনতা মেনে চলবে তার সেলাই শুকাতে কম সময় লাগবে। অতএব সে ক্ষেত্রে কোন নির্দিষ্ট সময় নেই। একজন সেজারের রোগীর সেলাই শুকানোর।

    সিজারের পর ব্যথা কতদিন থাকে
    উত্তরঃ সিজারের পর কতদিন ব্যথা থাকবে এটি নির্দিষ্ট ভাবে বলা সম্ভব নয়। তবে একজন সাধারণ রোগীর এক থেকে দুই সপ্তাহ ব্যথা থাকে।

    সিজারের পর কতদিন বেল্ট পরতে হয়
    উত্তরঃ সিজারের পর ১৪ থেকে ১৬ দিন পর বেল্ট পড়তে হয়।

    সিজারের কতদিন পর মিষ্টি খাওয়া যায়
    উত্তরঃ সিজারের পর পুরোপুরি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত মিষ্টি খাওয়া যাবে না। এর কোন নির্দিষ্ট সময় জানা যায়নি।

    সিজারের কতদিন পর মাসিক হয়
    উত্তরঃ সিজারের দুই মাস পর থেকে মাসিক শুরু হতে পারে। তবে সাধারণত দুই মাস পর থেকে মাসিক শুরু হয়।

    সিজারের কতদিন পর দুধ খাওয়া যায়
    উত্তরঃ সিজারের পর গরুর দুধ খেতে কোন বাধা নেই। আপনার যখন ইচ্ছা খেতে পারেন।

    সিজারের কতদিন পর সেলাই মেশিন চালানো যায়
    উত্তরঃ সিজারের প্রায় ৬০ দিন পর সেলাই মেশিন চালানো যেতে পারে। যদি আপনার সেলাইয়ের ঘাশুকিয়ে যায়। কারণ ঘা শুকিয়ে সেলাই মেশিন চালালে ইনফেকশনের সম্ভাবনা থাকে।

    সিজারের কতদিন পর জার্নি করা যায়
    উত্তরঃ সিজারের পর অন্ততপক্ষে ৬০ দিন কোন ভারী যানবাহনে যাতায়াত করা যাবে না। এরপরে যদি আপনার ঘা শুকিয়ে যায় তাহলে জার্নি করা যেতে পারে।

    সিজারের কতদিন পর গোসল করা যায়
    উত্তরঃ সিজারের পাঁচ থেকে ছয় দিন পর গোসল করা যায়।

    সিজারের কতদিন পর ভারী কাজ করা যায়
    উত্তরঃ সিজারের প্রায় ৬০ দিন পর ভারী কাজ করা যেতে পারে।

    উপসংহার

    পরিশেষে বলা যায় যে প্রত্যেক সিজারের রোগীর সচেতন ভাবে চলাফেরা করা উচিত। আর তার আশেপাশের যে মানুষগুলো রয়েছে তাদের রোগের কেয়ার করা উচিত। যাতে করে সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণগুলো না ধরা পড়ে। প্রত্যেকটি মায়ের সুস্থতা কামনা করছি। 

    যাতে করে সিজারের পর তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে। আশা করা যায় সিজারের ইনফেকশনের সাথে জড়িত বিষয় জেনে আপনি উপকৃত হয়েছেন। অতএব সবসময়ই সিজারের রোগীর খেয়াল রাখতে হবে।

    শেষ কথা

    আসসালামুয়ালাইকুম প্রিয় পাঠক। আশা করি সিজারের সাথে জড়িত যেমন সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণ আর সিজারের পর ইনফেকশন কেন হয় এ বিষয়ের সাথে যেগুলো রয়েছে জেনে আপনি উপকৃত হয়েছেন। আর যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার বন্ধু এবং পরিবারের সাথে শেয়ার করুন। পুরো আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।

    এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

    পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
    এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

    এসএইচ নিউজস্টোরের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

    comment url