অশ্বগন্ধা কিভাবে খাবেন ও উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন

প্রাচীন কাল থেকে অশ্বগন্ধার উপকারিতা সম্পর্কে মানুষ জানে। মানুষ শত শত বছর ধরে সেবন করে আসছে অশ্বগন্ধা খাওয়ার নিয়ম মেনে। আপনি যদি না জানেন অশ্বগন্ধা কিভাবে খাবেন এবং অশ্বগন্ধার উপকারিতা সম্পর্কে অবগত নন। তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই, পুরো তথ্যটি পড়ে জেনে নিন।
অশ্বগন্ধা কিভাবে খাবেন ও উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন
অশ্বগন্ধ হচ্ছে বহুগুণ সম্পূর্ণ একটি ভেষজ। মানুষ অশ্বগন্ধার সেবনের মাধ্যমে অনেক উপকারিতা পেয়েছে। আমাদের পূর্বপুরুষরা অশ্বগন্ধা ব্যবহার করেছে এবং তারা অনেক ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
পোস্ট সূচীপত্রঃ 

    অশ্বগন্ধা খেলে কি হয়

    অশ্বগন্ধ হচ্ছে অনেক প্রাচীন ওষুধই ভেষজ সম্পন্ন এবং যা বহু শতাব্দী ধরে মানুষ ব্যবহার করছে। এটি দেখতে সবুজ এবং এটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে পাওয়া যায়। যেমন ভারত, স্পেন এবং আফ্রিকার সহ আরো কিছু দেশ আছে যেখানে অশ্বগন্ধা পাওয়া যায়। অশ্বগন্ধার কিছু উপকারিতা আছে যেগুলো মানুষ এবং প্রাণী দ্বারা প্রমাণিত। 

    অশ্বগন্ধার প্রধান উপকার মানসিক চাপ এবং বিষন্নতা দূর করা। এটি এডাপ্টোজেন নামেও বেশ পরিচিত। এর মানে হচ্ছে মানসিক চাপের সাথে খাপ খাইয়ে চলা এবং ভিতরের অনুভূতি গুলোকে উৎসাহিত করে চলতে পারে। এটি প্রাচীন আমল থেকেই মানুষের চাপ, উদ্বেগ ও বিষন্নতা লক্ষণগুলোকে কমাতে সাহায্য করছে। 

    অশ্বগন্ধা ব্যবহারের ফলে কর্টিসলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ এবং মানসিক চাপ প্রতিক্রিয়া সম্পর্কিত হরমোন। যা আপনার মানসিক সুস্থতা ও শারীরিক সুস্থতার দিকে খেয়াল রাখে। অশ্বগন্ধা খাওয়ার ফলে আপনার যৌন শক্তি এবং টেস্টোস্টেরন এর মাত্রা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। যদি ঘুমের সমস্যা থাকে তাহলে অশ্বগন্ধা খেতে পারেন। এটি কর্টিসলের মাত্রা কমিয়ে ঘুম বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

    অশ্বগন্ধার উপকারিতা

    অশ্বগন্ধা অনেক পরিচিত একটি শক্তিশালী অ্যাডাপ্টোজেনিক ভেষজ। প্রাচীন কাল থেকে এর ব্যবহার হয়ে আসছে। তবে গত কয়েক বছর ধরে জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে ব্যবহারকারীদের মাঝে। ব্যবহারকারীরা দাবি করছেন যে, এটি উদ্বেগ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করতে পারে টেস্টোস্টেরন। 
    অশ্বগন্ধা আসামের একটি ভেষজ যা ঐতিহাসিকভাবে ভারতীয় ঔষধে বিভিন্ন বিষয়ের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়। অশ্বগন্ধার মধ্যে ট্রেস এবং উদ্যোগ কমানোর একটি উল্লেখযোগ্য সম্পর্ক রয়েছে।

    মানসিক চাপ কমাতে সাহায্যঃ প্রাকৃতিক নিরাময়ের ভারতের নীতির উপর ভিত্তি করে বিকল্প একটি রোগের ঔষুধ অশ্বগন্ধাকে অ্যাডাপ্টোজ এর ভিতর শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে। কর্টিসলকে ট্রেস হরমোন বলা হয়। কারণ আপনার এড্রিনাল গ্রন্থি গুলোকে ট্রেস এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে নিঃসরণ করে । 

    আপনার রক্তের শর্করার মাত্রা এখন খুব কমে যায় দুর্ভাগ্যবশত কিছু ক্ষেত্রে কর্টিসল এর মাত্রা দীর্ঘস্থায়ীভাবে বেড়ে যেতে পারে যা উচ্চ শর্করা মাত্রা হতে পারে। পেটের চর্বি সঞ্চয় করে কর্টিসল মাত্রা হ্রাস করে যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, দীর্ঘস্থায়ী ট্রেসের ৬৪ জন প্রাপ্তবয়স্কোর উপর ৬০ দিন গবেষণা চালানোর পরে সিরাম কর্টিসলের ২৭ % হ্রাস পেয়েছে ।

    উদ্বেগ ও বিষণ্ণতাঃ উদ্বেগ ও বিষণ্ণতা দূর করতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, ৬৪ জনের একটি গ্রুপে অশ্বগন্ধার পরীক্ষা করে দেখা গেছে তাদের মধ্য থেকে ৭০% উদ্বেগ ও বিষন্নতা দূর হয়েছে।

    শক্তি বৃদ্ধি সাহায্যেঃ এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, অশ্বগন্ধ ব্যবহার এর ফলে শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এমন আরেকটি গবেষণার উদ্দেশ্য অশ্বগন্ধার জন্য কার্যকরী এবং নিরাপদ ডোজ উৎপন্ন করা হয়। এমনকি গবেষণাটি ৩০ দিনের জন্য হয়েছিল যাতে দেখা যায়, সুস্থ ও সবল পুরুষেরা উচ্চ ডোজ গ্রহণ এবং ব্যায়াম না করা। 

    কোয়াড্রিসেপ এবং ব্যাক এক্সটেনসর পেশীগুলো উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পেয়েছিল। অন্য একটি গবেষণায় ৫৭ জন অসুস্থ পুরুষের ওপর অশ্বগন্ধা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষাটি করা হয়েছিল ৮ সপ্তাহের জন্য তারপর দেখা যায়, প্রায় পাঁচ কিলোগ্রাম পা সম্প্রসারণ, পেশীর গঠন, রক্তমস্তি টেস্টোস্টেরন এবং পেশীর উন্নতি সাধন করে।

    রক্তে শর্করা মাত্রাঃ গবেষণায় দেখা গেছে যে, শরীরের বিপাকীয় প্রক্রিয়ার জন্য অশ্বগন্ধা উপকার রয়েছে। অশ্বগন্ধা ইনসুলিন বৃদ্ধি এবং কোষের পেশীগুলোতে ইনসুলিন এর সংবেদনশীলতা উন্নতি সাধন করতে সাহায্য করে। 
    টাইপ টু ডায়াবেটিসের ছয় জন রোগীকে ৩০ দিনের জন্য অশ্বগন্ধা খাওয়ার ফলে মুখের ডাইবেটিস এবং উপবাস থাকলে শর্করার মাত্রা কমে যেতে পারে। তবে যাদের ডায়াবেটিস নেই তাদের ক্ষেত্রেও এটি কার্যকর হবে। কিছুটা কম কাজ করবে।

    কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইড হ্রাসঃ প্রাপ্তবয়স্ক মানসিক চাপে থাকা ব্যক্তিদের ৬০ দিনের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, অশ্বগন্ধা ব্যবহারের ফলে গড়ে এলডিএল কোলেস্টেরল ১৭% এবং ১১% ট্রাইগ্লিসারাইড হ্রাস পেয়েছে। আরো একটি গবেষণায় গড়ে এলজিএল কোলেস্টেরল হ্রাস পেলেও এইচডি এর কোলেস্টেরল ১৭% বৃদ্ধি পায়।

    শারীরিক কর্মদক্ষতা ও সহনশীলতা বাড়ায়ঃ প্রাচীনকাল থেকে অশ্বগন্ধা কর্ম দক্ষতা ও সহনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে আসছে। এটি কার্ডিওভাসকুলারের জন্য সহনশীলতা বৃদ্ধি করে, পেশীগুলোতে শক্তি বাড়ায় এবং ব্যায়াম এর মাধ্যমে পেশীগুলো সুরক্ষিত রাখে। এটি খাওয়ার পাশাপাশি ব্যায়াম করলে শারীরিক ক্লান্তি কমায় এবং নিয়মিত শারীরিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকে সাহায্য করে। 

    এমন অশ্বগন্ধা মেদ কমাতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এটির মধ্যে এমন কিছু যৌগ রয়েছে যা মেদ কমাতে সাহায্য করে। আপনাদের স্বাস্থ্যের আয়ুষ্কাল এবং পেশীর কর্মদক্ষতা উন্নতি সাধন করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, যে সকল প্রাণীদের অশগন্ধ দেওয়া হয়নি তাদের তুলনায় অশ্বগন্ধযুক্ত প্রাণীদের আয়ুষ্কাল ২০% বেশি হতে পারে।

    ঘুমের সমস্যার সমাধানঃ আপনার কি মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা ও বিষণ্ণতার কারণে ঘুম আসেনা। আরো অনেক কারণে নিদ্রা জনিত সমস্যায় ভুগছেন। আপনার জন্য অশ্বগন্ধায় উপকার অথবা সমাধান রয়েছে। এটি কর্টিসলের মাত্রা কমানোর মাধ্যমে ঘুমের সমস্যার সমাধান করে।

    যৌন সমস্যাঃ যদি যৌন সমস্যা সমাধানের জন্য অশ্বগন্ধা ব্যবহার করতে পারেন। এটি উভয় লিঙ্গের যৌন সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এমনকি শুক্রাণু স্বল্পতার সমস্যার সমাধানও ক্ষেত্রেও এটি ব্যবহার করা হয়। অশ্বগন্ধা শুক্রানু বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

    ব্যথার সমস্যাঃ আপনার যদি বাতের ব্যথা, ঘাড়ের ব্যথা, পায়ের ব্যথা এবং ফোলা কমানোর ক্ষেত্রে অশগন্ধ ব্যবহার করতে পারেন। অশ্বগন্ধ তে থাকা যৌগ আপনার যেকোনো ধরনের ব্যথা এবং ফোলা দূর করে।

    উচ্চ রক্তচাপঃ অশ্বগন্ধ খাওয়ার ফলে আপনার শরীরে রক্ত পাম্প স্বাভাবিক রাখবে। যার ফলে আপনার মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন সঠিক রাখবে। তাই রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে অশ্বগন্ধা খেয়ে দেখতে পারেন। অশ্বগন্ধার আরো কিছু উপকারিতা নিচে তুলে ধরা হলো।
    • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
    • ওজন কমাতে সাহায্য করে।
    • মানসিকভাবে নির্ভরশীলতা রাখতে পারে।
    • শরীরের ভিতরে উৎসাহিত প্রদান করে ।
    • অশ্বগন্ধা খাওয়ার ফলে অনুভূতি খুবই কম কাজ করে।
    • অশ্বগন্ধা রক্তের সুগার লেভেল কমিয়ে থাকে।
    • ক্যান্সারের প্রতিষেধক হিসেবে অশ্বগন্ধা ব্যবহার করতে পারেন।
    • থাইরয়েড সমস্যার সমাধানে অশ্বগন্ধার উপকারিতার জুরি মেলা ভার।
    • পিরিয়ডের সমস্যার সমাধানে অশ্বগন্ধার উপকার রয়েছে।
    তাই আপনাদের অনেকেরই অনেক রকম সমস্যা রয়েছে। এই সমস্যার সমাধানের জন্য অশ্বগন্ধার সাহায্য নিতে পারেন। আমি উপরে যতগুলো অশ্বগন্ধার উপকারিতা উল্লেখ করেছি। তার থেকে অনেক বেশি এর উপকারিতা রয়েছে।

    অশ্বগন্ধা কিভাবে খাবেন

    আপনারা অনেকেই জিজ্ঞাসা করেছেন অশ্বগন্ধা কিভাবে খেলে এর উপকারিতা পাওয়া যাবে। তাহলে জেনে নিন কিভাবে অশ্বগন্ধা খাবেন। সঠিক নিয়ম মেনে খাওয়ার মাধ্যমে আপনি এর উপকারিতা পেতে পারেন।
    • চা এবং অশ্বগন্ধার পাউডার মিশিয়ে খেতে পারেন। এর জন্য আপনাকে ৫০ থেকে ১০০ গ্রাম চায়ের মধ্যে এক চামচ থেকে তিন চামচ পাউডার মিশিয়ে খেতে পারেন।
    • আপনি যদি একসাথে অনেক উপকারিতা পেতে চান। তাহলে মধু ও দুধের সাথে অশ্বগন্ধা গাছের মূল একসাথে মিশিয়ে খেতে পারেন।
    • আপনার শরীরে যদি কোন জায়গায় কাটা ঘা অথবা ক্ষত থাকে। তাহলে অশ্বগন্ধার পাতা পাঠাতে ভালো ভাবে পেস্ট করে ক্ষত জায়গা টিতে লাগান।
    • যৌন সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য মধুর সাথে অশ্বগন্ধার পাউডার মিশিয়ে করে খাওয়ার মাধ্যমে।

    মেয়েদের জন্য অশ্বগন্ধার উপকারিতা

    মেয়েরা প্রাচীনকাল থেকেই অশ্বগন্ধার ব্যবহার করে আসছে। আর আপনিও যদি অশগন্ধা ব্যবহার করে এর উপকারিতা নিতে চান। তাহলে এটি হবে আপনার জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত। এমন কিছু উপাদান আছে যা মেয়েদের ত্বকের উজ্জ্বলতা এবং ত্বককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এই অশ্বগন্ধাকে আয়ুর্বেদিক ঔষধ বলা হয়। 

    অশ্বগন্ধার ত্বকে ব্যবহার ছাড়াও মেয়েরা অশ্বগন্ধা চিকিৎসার কাজেও ব্যবহার করে। মেয়েদের এমন অনেক রোগ রয়েছে। যেগুলো নিরময়ের জন্য অশোগন্ধার জুড়ি মেলা কষ্টকর। তাই আপনিও যদি অশ্বগন্ধাকে ব্যবহার করে। ত্বক ও রোগের সমস্যার সমাধান করতে পারেন। তাহলে চলেন মেয়েদের জন্য অশ্বগন্ধার উপকারিতার কিছু ব্যবহার পড়ে নেয়া যাক।
    মেয়েদের পিরিয়ডের সমস্যা প্রাচীনকাল থেকে চলে আসছে। আজও মেয়েরা পিরিয়ডের সমস্যায় ভোগান্তির শিকার হন। তাই আপনি অশ্বগন্ধাকে নিরাময়িক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। কারণ অশ্বগন্ধা পিরিয়ড চলাকালীন ক্র্যাম্প, হরমোনের ক্ষরণ এবং প্রজনন এর মতো আরো অনেক সমস্যা দূর করতে পারেন।
    • মেয়েদের থাইরয়েড সমস্যা থাকলে তা দূরীকরণের জন্য অশ্বগন্ধায় সমাধান রয়েছে। কারণ অশ্বগন্ধ থাইরয়েড কে নিয়ন্ত্রণে রাখে।
    • ত্বকে জ্বালাপোড়া, ব্রণ এবং কাটা দাগ দূর করতে অশ্বগন্ধ ব্যবহার করা হয়।
    • ত্বকের উজ্জ্বলতা এবং ত্বককে সুস্থ রাখতে অশ্বগন্ধ ব্যবহার করতে পারেন।
    • চোখের নিচে দাগ সার্কেল এবং ত্বক বৃদ্ধদের মতো দেখালে এই ক্ষেত্রেও অশ্বগন্ধ ব্যবহার করুন।
    • প্রদাহ কমাতে অশ্বগন্ধার উপকারিতা রয়েছে। চাইলে আপনিও অশ্বগন্ধার মাধ্যমে ওজন কমাতে পারেন।
    • যাদের মুখে তেল তেল ভাব রয়েছে। অনেক ক্রিম এবং ফেসওয়াশ ব্যবহার করেছেন তার পরেও মুখের তৈলাক্ত ভাব যায় না। তাহলে আপনার জন্য রয়েছে অশ্বগন্ধা। এটি মুখে তৈলাক্ত ভাব দূর করতে সাহায্য করে।
    আমরা অনেকেই আছি ত্বকের যে কোন সমাধানের জন্য ঘি, মধু, আলু আরো অনেক কিছু ব্যবহার করেছি। কিন্তু আর নয় আপনি এখন থেকে অশ্বগন্ধ ব্যবহার করুন। এটি আপনার ত্বকের যেকোনো ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য খুবই কার্যকরী ও নিরাপদ। আমি বলছি না যে মধু ব্যবহার খারাপ। তবে অশ্বগন্ধ থেকে কার্যকরী নয়।

    ছেলেদের জন্য অশ্বগন্ধার উপকারিতা

    ছেলেদের গোপনীয়-অগোপনীয় কত ধরনের সমস্যা থাকে। এর মধ্য থেকে কিছু সমস্যার সমাধান অশ্বগন্ধা করে। অশ্বগন্ধ নিয়মিত খাওয়ার মাধ্যমে পুরুষ অনেক রোগ নিরাময় করতে পারে।
    • শুক্রাণু বৃদ্ধি করার জন্য অশ্বগন্ধা খেতে পারেন।
    • যৌন শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য অশ্বগন্ধা খুবই কার্যকরী।
    • বন্ধ্যাত্বের সমস্যা দূর করার জন্য অশ্বগন্ধা অনেক উপকারী।
    • ঘুম কম হলে ঘুম বৃদ্ধির জন্য অশ্বগন্ধা সেবন করতে পারেন।
    • শারীরিকভাবে শক্তিশালী এবং সহনশীলতা তৈরি করার জন্য অশ্বগন্ধায় রয়েছে উপকারিতা।

    লম্বা হতে অশ্বগন্ধার উপকারিতা

    আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন লম্বা হতে অশ্বগন্ধার উপকারিতা রয়েছে। লম্বা হওয়ার জন্য অশ্বগন্ধার উপকারিতা আছে। এটির মধ্যে থাকা কিছু উপাদান যা আপনার হরমোনকে বৃদ্ধির মাধ্যমে লম্বা হতে সহায়তা করে। 

    আপনিও যদি লম্বা হতে চান তাহলে তিন চামচ অশ্বগন্ধার পাউডার সাথে ১০০ গ্রাম দুধ, এক চামচ মধু এবং আধা চামচ চিনি ভালো করে মিশিয়ে। প্রত্যেক দিন খেতে হবে। এভাবে একাধারে একমাস খেলে ইনশাআল্লাহ আপনি লম্বা হয়ে যাবেন।

    অশ্বগন্ধার ক্ষতিকর দিক

    প্রত্যেকটি জিনিসেরই যেমন উপকারিতা রয়েছে। ঠিক তেমনি ভাবে কিছুটা অপকারিতা অথবা ক্ষতিকর দিক রয়েছে। এমনই ভাবে অশ্বগন্ধারও কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে। যা নিচে উল্লেখ করে দেওয়া হলো।
    • দীর্ঘদিন অশ্বগন্ধার পাউডার খেলে এর ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। এতে করে আপনার বমি, ডায়রিয়া গ্যাসের সমস্যা হতে পারে।
    • অতিরিক্ত অশ্বগন্ধা খেলে যদি শরীরে বেশি পরিমাণে শর্করার পরিমাণ কমে যায়। তাহলে আপনি সমস্যায় পড়তে পারেন।
    • গর্ভবতী মহিলাদের অশ্বগন্ধা খাওয়ালে ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।
    • অশ্বগন্ধা পেটের অস্বস্তি বোধ গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ব্যথার মত তারপরে এমনকি লিভারের সমস্যা দেখা দেয়।
    • এই অশ্বগন্ধার মধ্যে আর কোন ক্ষতিকর দিক পাওয়া যায়নি। যদি আর কোন ক্ষতিকর দিক পাওয়া যায়। তাহলে পরবর্তী সময়ে তা জানিয়ে দেওয়া হবে।

    উপসংহার অশ্বগন্ধা কিভাবে খাবেন

    পরিশেষে বলা যায় যে, অশ্বগন্ধা হচ্ছে অনেক গুণে ভেষজ সম্পন্ন আয়ুর্বেদিক। যার ব্যবহার মানুষ বহু শতক ধরে করে আসছে। আপনারা অশ্বগন্ধার উপকারিতা খাওয়ার পরেই বুঝতে পারবেন। কিন্তু অবশ্যই অশগন্ধা খাওয়ার আগে কিভাবে খাবেন তা জেনে নিতে হবে। অশ্বগন্ধা ছেলে ও মেয়ে উভয়ই খেতে পারে। অশ্বগন্ধার কিছু অপকারিতাও রয়েছে সেগুলো জেনে নিয়ে তারপরে খাওয়া শুরু করুন।

    শেষ কথাঃ অশ্বগন্ধা কিভাবে খাবেন

    আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক। আশা করি ভাল আছেন, আপনারা যদি অশ্বগন্ধার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত এবং অশ্বগন্ধা কিভাবে খাবেন তার সম্পর্কে জেনে থাকেন। তাহলে আপনার বন্ধুসহ সকলের সাথে বিষয়টি শেয়ার করুন। পুরো তথ্যটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

    এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

    পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
    এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

    এসএইচ নিউজস্টোরের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

    comment url