বিড়াল সম্পর্কে ১০টি বাক্য - বিড়ালের স্বভাব কেমন

আপনি যদি বিড়াল সম্পর্কে ১০টি বাক্য জানার জন্য এদিক-ওদিক খোঁজাখুঁজি করেন। তাহলে খোঁজাখুঁজি বন্ধ করে বিড়াল সম্পর্কে ১০ টি বাক্য জেনে নিতে পারেন। এর সাথে আপনি আরও যে সকল তথ্য জেনে নিতে পারবেন বিড়ালের স্বভাব কেমন এবং তার শারীরিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে। তাহলে আর দেরি না করে পুরো তথ্যটি পড়ে আসুন।
গৃহপালিত প্রানী বিড়াল সম্পর্কে ১০টি বাক্য জেনে নিন
বিড়াল অনেক স্নেহ কাতর এবং মিশুক প্রকৃতির প্রাণী। যে প্রাণীটি আমাদের বাড়ির আশেপাশে ঘুরোঘুরি করতে দেখা যায়। বিড়ালের স্বভাব কেমন তার আচার-আচরণ এগুলো বুঝতে পারা খুবই কঠিন। বিড়াল তার আচরণ দ্বারা তার গতি প্রকৃতি সবকিছু বোঝায়।
পোস্ট সূচীপত্রঃ 

    ভূমিকা

    আমাদের বাংলাদেশ গৃহপালিত বিড়ালের সংখ্যা অনেক। শুধু গৃহপালিত বিড়াল নয়, আমাদের আশেপাশে যেগুলো বিড়াল চলাফেরা করে। এরাও সংখ্যায় অনেক বেশি। আর সকল বিড়াল দেখতে অনেক সুন্দর হয়। এই প্রাণীটি পুরো পৃথিবীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। 
    আর মানুষকে অনেক ভালোবাসে। এটি অনেক আদরের প্রাণী। কিন্তু এটা আদরের প্রাণী হলেও এর কিছু গঠন ও বৈশিষ্ট্য রয়েছে। বিড়াল সম্পর্কে কিছু বাক্য রয়েছে, যেগুলো সংখ্যায় অনেক হলেও এইখানে ১০টি তুলে ধরা হয়েছে। তাই আমরা যদি বিড়াল লালন পালন করে থাকি। তাহলে আমাদের তাদের স্বভাব চরিত্র, বৈশিষ্ট্য এবং গঠন সম্পর্কে জানা উচিত।

    বিড়াল সম্পর্কে ১০টি বাক্য

    আপনারা অনেকেই বিড়াল সম্পর্কে ১০টি বাক্য সম্পর্কে জানার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বিড়ালের মধ্যে এমন কিছু আচরণ রয়েছে, যেগুলো অন্য কোন প্রাণীর মধ্যে পাওয়া যায় না। বিড়াল যে কোন স্থানে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে পারে। আর এই প্রাণীটি সকলে পছন্দ করে। কারণ এই প্রাণীটি এত সুন্দর দেখতে, যে কেউ ছুয়ে দেখতে চাই। বিড়াল সম্পর্কে ৫টি অথবা ১০ টি অসংখ্য বাক্য বলা যাবে।
    ১। বিড়াল একটি পোষা ও গৃহপালিত প্রাণী।
    ২। বিড়াল দেখতে অনেক সুন্দর ও ছোট প্রাণী।
    ৩। বিড়ালের শরীর তুলতুলে ও নরম হয়।
    ৪। বিড়ালের দুইটি পা, দশটি নখ, দুটি চোখ, দুটি কান, একটি নাক এবং একটি লেজ থাকে।
    ৫। বিড়ালের দশটি নখ যুক্ত তীক্ষ্ণ থাবা রয়েছে।
    ৬। বিড়াল যখন হাটে অথবা দৌড়ায়, তখন কোন শব্দ হয় না।
    ৭। বিড়ালদের পুরো ভূমন্ডলের যে কোন স্থানে দেখা যায়।
    ৮। বিড়াল মাছ ও দুধ খেতে বেশি পছন্দ করে।
    ৯। বিড়াল দেখতে বাঘের ছোট বাচ্চার মতো।
    ১০। বিড়াল খুবই স্মার্ট এবং অনেক চটপটে প্রকৃতির হয়।
    ১১। বিড়াল অনেক ধরনের কালারের হয়ে থাকে।
    ১২। বিড়ালের পরম শত্রু হচ্ছে ইদুর।
    ১৩। বিড়াল দেয়াল এবং গাছে অনেক দ্রুততার সাথে আহরণ করতে পারে।
    ১৪। বিড়াল অনেক সহজেই পোষ মানে এই জন্য এটিকে পোষক প্রাণী বলা হয়।
    ১৫। বিড়াল একসাথে অনেক বাচ্চা প্রসব করতে পারে।

    গৃহপালিত বিড়ালের শারীরিক গঠন

    মানুষের শারীরিক গঠনের আর বিড়ালের শরীরের গঠন একই রকম নয়। আল্লাহ প্রত্যেকটি প্রাণীকে আলাদা আলাদা শারীরিক গঠন তৈরি দিয়ে করেছে। এই জন্য প্রত্যেকটি প্রাণীটি শারীরিক গঠন একই রকম হয় না। ঠিক তেমনি ভাবে বিড়ালের ও শারীরিক আকার আকৃতি আলাদা। তাহলে জেনে নেয়া যাক এদের দেহের আকার আকৃতি কেমন।
    • বিড়ালের দৈর্ঘ্য ১৯ থেকে ২০ ইঞ্চি এবং উচ্চতা ১১ থেকে ১২ ইঞ্চি হয়ে থাকে। এদের ওজন দেহের আকৃতি অনুসারে হয়ে থাকে। তবুও স্বাভাবিক ক্ষেত্রে ৭ থেকে ৮ কেজি পর্যন্ত হয়।
    • বিড়ালের শরীরে দশটি নখ এবং ৩০ টি দাঁত রয়েছে যেগুলো অনেকটা শিকারিদের মতো তীক্ষ্ণ।এরা ম্যাও ম্যাও করে গর্জন দিয়ে থাকে।
    • এদের শরীরের লোমগুলো অনেক বড় এবং তুলতুলে নরম হয়।
    • বিড়াল অনেক সকাল-সকাল ঘুম থেকে উঠে এবং এরা পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টা পর্যন্ত ঘুমায়।
    • এটি সামাজিক গৃহপালিত প্রাণী বলে পরিচিত। এর কারণ হচ্ছে এরা খুব তাড়াতাড়ি পোষ মানে এবং দেখতে সুন্দর।
    • বিড়ালদের কথা বলার নিজস্ব ভাষা রয়েছে, তারা ওই নির্দিষ্ট ভাষায় কথোপকথন করে থাকে।
    • এরা মানুষের তুলনায় অধিক জোরালো শব্দ শুনতে পায়।
    • এরা গৃহপালিত প্রাণী হওয়াই তেমন একটা শিকার করতে হয় না। তবে এরা মাঝে মাঝে ইদুর সহ অন্যান্য প্রাণী শিকার করে থাকে।
    • এদের ঘ্রাণ শক্তি অনেক প্রবল। যার কারণে এরা অনেক দূর থেকে শিকারের গন্ধ বুঝতে পারে।
    • বিড়াল অনেক ধরনের কালারের হয়ে থাকে সাদা, কালো এবং মিক্স কালারের হয়ে থাকে।
    • বিড়াল একসাথে অনেক বাচ্চা দিতে পারে। এরা সাধারণত বসন্ত সময়ে বাচ্চা দিয়ে থাকে।
    • এদের অনুভূতি রয়েছে, যার কারণে এরা অনেক সহজেই মানুষের সাথে মিশে যেতে পারে।
    • এদের নখগুলো তীক্ষ্ণ হওয়ার কারণে দেয়াল এবং গাছে অনেক দ্রুত উঠতে পারে।
    তাই এদের শারীরিক গঠন সম্পর্কে, পরে বোঝাই যাচ্ছে যে এরা মানুষের শরীরে গঠনের আকৃতি থেকে ভিন্ন। কিন্তু বিড়াল মানুষের আচরণের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারে। যার কারণে এদেরকে গৃহপালিত প্রাণী বলা হয়। পৃথিবীতে সবথেকে বেশি যে প্রাণীটি মানুষ পুষে থাকে সেটি হচ্ছে বিড়াল।

    বন্য বিড়ালের শারীরিক গঠন

    গৃহপালিত বিড়াল ও বন্য বিড়ালের শারীরিক গঠন, আচার-আচরণ এবং চলাফেরা প্রায় ৬০ থেকে ৭০ পার্সেন্ট একই রকম। এই দুই ধরনের বিড়ালের মধ্যে সামান্য কিছু পার্থক্য রয়েছে। যে পার্থক্য গুলোর কারণে এই দুটি বিড়ালের মধ্যে একটি দেয়াল রয়েছে। বন বিড়ালের কিছু শারীরিক গঠন সম্পর্কে তুলে ধরা হবে। যেগুলো যেন হয়তো বন বিড়াল সম্পর্কে কিছুটা ধারণা করতে পারবেন। যে তারা কেমন প্রকৃতির।
    ১। বন্য বিড়াল গৃহপালিত বিড়ালের থেকে তিন থেকে চার ইঞ্চি এর অধিক উচ্চতায় বড় হয়ে থাকে এবং দৈর্ঘ্য দিক থেকেও বড় হয়।
    ২। এরা শিকার করে খাবার সংগ্রহ করে। ইঁদুর, ঘাসফড়িং এবং ফসলের জমি সহ হাঁস মুরগি শিকার করে।
    ৩। এদের ওজন গৃহপালিত বিড়ালের থেকে বেশি হয় এবং এরা খুব হিংসাত্মক হয়ে থাকে।
    ৪। এদের ঘ্রাণ শক্তি এবং শ্রবণশক্তি প্রবল হওয়ার কারণে, এরা অতি সহজেই শিকার কে পাকড়াও করতে পারে।
    ৫। বন্য বিড়ালরা খুবই চালাক হয় আর এর কারণেই তারা জঙ্গলে রাজ করতে পারে এবং তারা তাদের আধিপত্য বিস্তার করে।
    ৬। তারা গৃহপালিত বিড়ালের থেকে অনেক দ্রুত দৌড়াতে ও গাছে উঠতে পারে। যার কারণে তাদের শিকার কে খুব সহজেই শিকারে পরিণত করতে পারে।
    ৭। এদেরকে দিনের আলোতে কম দেখা যায়। কারণ এরা রাতের আধারে থাকতে বেশি পছন্দ এবং স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।
    ৮। জংলি বিড়ালরা একাধিক বাচ্চা প্রসব করতে পারে।
    ৯। এরা সাধারণত ১৬ থেকে ১৭ বছর বয়স পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে।

    স্থানীয় ভাষায় ডাকনামঃ বন্য বিড়ালকে আমাদের স্থানীয় ভাষায় অথবা বাংলাদেশের বেশিরভাগ স্থানে জংলি বিড়াল বলে ডাকা হয়। আবার কিছু জায়গায় এদেরকে খাগড়াই বিড়াল নামেও চেনে। তবে সবচেয়ে বেশি জংলি বিড়াল নামেই মানুষ ডাকে বা চেনে।
    কোথায় পাওয়া যায়ঃ এই বিড়ালগুলো দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে বেশি দেখতে পাওয়া যায়। যেমন চীন, বাংলাদেশ, ভারত ও মায়ানমার সহ আরো অনেক দেশ রয়েছে যেগুলোতে বন্য বিড়াল দেখা যায়।

    আর এরা এই দেশগুলোর জঙ্গলে বেশি দেখতে পাওয়া যায়। কারণ এরা জলাশয় ও জঙ্গলে থাকতে বেশি পছন্দ করে।তবে অতিরিক্ত শিকারের কারণে অথবা মানুষের কৃষি ক্ষেতের ফসল খাওয়ার কারণে মেরে ফেলা হয়। জঙ্গলগুলো ধ্বংস এবং জলাশয় নিশ্চিহ্ন হওয়ার কারণে জংলি বিড়াল প্রায় আজ বিলুপ্তের পথে।

    বিড়ালের স্বভাব কেমন বুঝবেন কিভাবে

    বিড়াল অনেক সুন্দর এবং পোষক প্রাণী। বিড়াল আমাদের চারপাশে ঘুরাঘুরি করে। এই ঘুরাঘুরি করার পিছনেও বিড়ালের কারণ রয়েছে। আমরা মানুষরা ঠিক যেভাবে আমাদের আচরণের মাধ্যমে অনেক কিছু বুঝিয়ে থাকি। ঠিক সেভাবেই বিড়ালরাও তাদের কিছু আচরণের মাধ্যমে বোঝানোর চেষ্টা করে। তারা কি চায় অথবা বিড়ালের বর্তমান স্বভাব কেমন। 
    এই সকল বিষয় বিড়াল তার আচার-আচরণ বা স্বভাবের মাধ্যমে বোঝানোর চেষ্টা করে। পুরো পৃথিবীর প্রায় সকল স্থানেই বিড়াল খুঁজে পাওয়া যায়। আর পোষা প্রাণীর তালিকায় প্রথমের দিকে বিড়ালের সংখ্যা বেশি। । এর বড় একটি কারণ হচ্ছে বিড়াল খুবই তাড়াতাড়ি পোষ মানে এবং মানুষের সাথে মানিয়ে নিতে পারে। 

    কিন্তু মানিয়ে নিলেও তার কিছু স্বভাব বা আচরণ আছে। সেগুলো কেমন তা না জানলে বেড়ালের আচরণ বা স্বভাব সম্পর্কে জানা যাবে না। তাই আমরা যারা বেড়াল গৃহপালিত পশু হিসেবে পুষে থাকি। তাদের জানা উচিত বিড়ালের স্বভাব কেমন অথবা আচরণ কেমন।

    ভালোবাসা প্রকাশঃ যদি দেখেন আপনার পোষা বিড়াল আপনার শরীরের সাথে ঘষাঘষি করছে। তাহলে বুঝতে হবে, আপনার প্রতি সে তার ভালোবাসা প্রকাশ করছে। আবার যদি বুঝতে পারেন, আপনার সামনে বেড়ালটি নিজের শরীর চাটছে তাহলে এটিও ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ। তাহলে আপনিও তার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করুন।

    লেজ নাড়ানোঃ যদি বুঝতে পারেন, যে আপনার সামনে আপনার পোষা বিড়ালটি লেজ নাড়াচ্ছে। তাহলে বুঝতে হবে, সে আপনার সাথে খেলাধুলা করতে ইচ্ছুক। সে চায় আপনি যেন তার সাথে খেলাধুলা করার মাধ্যমে সময় অতিবাহিত করেন। আর এভাবেই লেজ নারানোর মাধ্যমে ভালোবাসা প্রকাশ এবং করতে ইচ্ছুক অথবা সময় অতিবাহিত করতে ইচ্ছুক এমন কিছু বোঝাই।

    বিশেষ শব্দঃ বিড়াল যখন নতুন কোন কিছু দেখতে পায়, কারো উপরে রেগে যায় আবার নিজেকে আত্মরক্ষা করার জন্যও বিশেষ ধরনের এক শব্দ করে। শব্দটি হচ্ছে হুস হুস এই শব্দের মানে হচ্ছে সে আপনার প্রতি রাগান্বিত। আপনি যেন তার সামনে চলে যান অথবা আপনাকে তার ভালো লাগছে না।

    খাবার পাত্রঃ আপনি বিড়ালের খাবারের জন্য যে লেটার বক্স টি ব্যবহার করেন। যদি বিড়াল সেই গিটার বক্সটি পছন্দ না করে। তাহলে বুঝতে হবে সে ওই লিটার বক্সের কারনে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তৎক্ষণাৎ ওই লিটার বক্সটি সরিয়ে ফেলতে হবে অথবা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় বক্সটি রাখতে হবে।

    লুকিয়ে পড়াঃ আপনার বিড়ালটি যদি বিভিন্ন ছোট ছোট জায়গায় লুকিয়ে পড়তে দেখেন। তাহলে বুঝে নিতে হবে, তার অবস্থানরত স্থানটিকে নিরাপদ ভাবছে না। আবার যদি আপনাকে দেখে লুকিয়ে পড়ে, তাহলে ভেবে নিতে হবে। আপনাকে সে ভরসা করতে পারছে না। যার কারণে সে বিভিন্ন চিপায় বা ছোট জায়গায় ঢুকে পড়ছে।

    মা বিড়ালের আচরণঃ যে সময় মা বিড়াল বাচ্চা প্রসব করে। তারপর থেকে মা বিড়ালটি তার বাচ্চার আশেপাশে কাউকে দেখতে পছন্দ করে না। কারণ মা বিড়ালটি তার বাচ্চার নিরাপত্তা দিচ্ছে। এই সময় যদি কেউ বাচ্চাগুলোর কাছে যাওয়ার চেষ্টা করে। তাহলে তাকে আঁচড় পর্যন্ত দিতে পারে। অতএব মা বিড়াল গুলোর কাছ থেকে দূরে দূরে থাকতে হবে।

    বিড়াল খুশি বুঝার উপায়ঃ যখন বিড়ালটি চুপচাপ দাঁড়িয়ে থেকে লেজ দাঁড়াবে এবং আপনার দিকে একভাবে তাকিয়ে থাকবে। তখন বুঝে নিতে হবে, যে বিড়ালের মন আজকে খুবই ভালো। আর আর এই জায়গায় সে নিজেকে নিরাপদ ভাবছে।

    নিরাপত্তা হীনতাঃ বিড়াল যখন নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে, তখন যাকে সামনে পায় তাকেই আঁচড় দেওয়ার জন্য এগিয়ে যায়। আর এই আচর দেওয়ার অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে। যেমন অচেনা জায়গায় নিজেকে নিরাপদহীনতাই ভোগার মাধ্যমে আবার নিজেকে চাপমুক্ত রাখার জন্য আচর দিতে পারে।

    বিড়ালের বাসস্থান - বিড়ালের বাসস্থান কোথায়

    আমরা সকলেই জানি বিড়াল হলো গৃহপালিত প্রাণী। এটি গৃহপালিত প্রাণী হলেও সব বিড়াল গ্রহ পালিত হয় না। কিছু বিড়াল রয়েছে যেগুলো জঙ্গলে বাড়ির আশেপাশে বসবাস করে। অবশ্য যেগুলো বিড়াল জঙ্গলে বসবাস করে তাদেরকে জংলি বিড়াল বা বন্য-বিড়াল নামে পরিচিত। 

    গৃহপালিত যে সকল বিড়াল রয়েছে, সেগুলোকে মানুষ আদর এবং যত্নে বড় করে। যে গৃহতারা লালিত পালিত হচ্ছে সেটি হচ্ছে তাদের বাসস্থান। আর বন্য বিড়াল জঙ্গলে অথবা জলাশয় বসবাস করে। এদের নিজেই স্বীকার করে খেতে হয়। প্রত্যেকদিন খাবারের জন্য তাদেরকে শিকার করতে হয়। 

    আর তারা জঙ্গলের অথবা জলাশয়ের কোন পাশে আসলে স্থল নিজেরাই তৈরি করে। আর সেখানে বসবাস করতে থাকে। আর যে সকল বিড়াল আমাদের আশেপাশে ঘুরে বেড়ায়। তারা রাস্তার কোন চিপায় অথবা কোন ঝোপের মধ্যে এভাবে তারা বসবাস করে। তাই যে প্রজাতির বিড়াল যেখানে বসবাস করে সেটি তার বাসস্থান।

    বিড়াল সম্পর্কে ১০টি বাক্য উপসংহার

    পরিশেষে বলা যায় যে, বিড়াল একটি ছোট প্রকৃতির প্রাণী এবং অনেক সুন্দর। এই প্রাণীটি জানার পরে যে সকল ব্যক্তি কখনো বিড়াল গৃহে পালিত করেনি। ওই ব্যক্তিটিও বিড়াল পালন করতে চাইবে। কারণ বিড়াল অনেক মিশুক একটি প্রাণী। এজন্য সবাই বিড়ালকে অনেক পছন্দ করে। 

    বিড়ালের অনেকগুলো প্রজাতি রয়েছে। তার মধ্যে একটি হচ্ছে বন্য বিড়াল এটি শুধুমাত্র জঙ্গলে বেশি দেখা যায়। কারণ এরা জঙ্গলে থাকতে বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করে।

    শেষ কথা

    আসসালামুয়ালাইকুম প্রিয় পাঠক। আশা করি ভাল আছেন আর বিড়ালের সম্পর্কে ১০টি বাক্য সহ আরো যে সকল তথ্য রয়েছে। ওইগুলো পড়ে আপনি কিছু জানতে পেরেছেন। আর যদি কোন নতুন তথ্য জেনে থাকেন তাহলে আপনার আশেপাশের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। কোন তথ্যটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

    এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

    পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
    এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

    এসএইচ নিউজস্টোরের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

    comment url