মোবাইল ফোনের উপকারিতা বিতর্ক প্রতিযোগিতা

প্রিয় শিক্ষার্থীর বন্ধুরা মোবাইল ফোনের উপকারিতা বিতর্ক প্রতিযোগিতা সম্পর্কে খুঁজাখুঁজি করছেন। এবার খোঁজাখুঁজি বন্ধ করে দিন। আর যদি চিন্তিত হয়ে থাকেন। তাহলে মোবাইল ফোনের উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো জেনে নিজেকে চিন্তা মুক্ত করুন। নিচের পুরো তথ্যটি আপনাদের জন্যই তুলে ধরা হয়েছে।
মোবাইল ফোনের উপকারিতা বিতর্ক প্রতিযোগিতা
আমরা সকলেই মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী। কেউ একটু কম ব্যবহার করি আবার কেউ একটু বেশি ব্যবহার করি। কিন্তু দিন শুরু ও শেষে সবার হাতেই ফোন রয়েছে। এই মোবাইল ফোন সম্পর্কে আজকে কিছু তথ্য আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো।
পোস্ট সূচিপত্রঃ 

    ভূমিকা

    এই আধুনিক সমাজে মোবাইল ফোনের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে কতজন অবগত। কিন্তু মোবাইল ফোনের ব্যবহারকারীর সংখ্যা সমাজে অনেক বেশি। ছাত্র-ছাত্রী, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, বন্ধু-বান্ধব, মা-বাবা, ভাই বোন সহ সবাই ফোন ব্যবহার করে। কিন্তু মোবাইলের সঠিক ব্যবহার না জানলে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। বর্তমানে মোবাইল ফোনের ব্যবহারকারীদের সংখ্যা এত পরিমানে বেড়েছে যে, কারো কাছে দুইটা থেকে তিনটা পর্যন্ত ফোন রয়েছে। তাই কিভাবে ব্যবহার করলে আপনি এর অসুবিধা গুলোর মধ্যে পড়বেন না নিচে তুলে ধরা হলো।

    মোবাইল ফোনের উপকারিতা বিতর্ক প্রতিযোগিতা

    বর্তমান সময়ে মোবাইল ফোনের উপকারিতা ও অপকারিতা দুটোই রয়েছে। আমাদেরকে বুঝতে হবে কোনটি আমাদের জন্য ভালো হবে। এই বিতর্ক প্রতিযোগিতায় মোবাইল ফোনের উপকারিতা বলে যেমন শেষ করা যাবেনা। ঠিক তেমনি ভাবে মোবাইল ফোনের অপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না।

    বর্তমান সময়ে শিশু থেকে শুরু করে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক সকলের হাতে মোবাইল ফোন দেখা যায়। এই সকল শিক্ষার্থীরা মোবাইল ফোন কোন কাজে লাগাচ্ছে সেটির দিকে লক্ষ্য করতে হবে। 

    সে যদি অনলাইন ক্লাস, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ রক্ষা, ঘরে বসে থেকে বিভিন্ন দেশের লাইব্রেরির বই পড়া, বিভিন্ন ধরনের অনলাইন শিক্ষণীয় কোর্স, বর্তমান পরিস্থিতির সম্পর্কে জ্ঞান আহরণ, প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পর্কে জানা সহ আরো অনেক শিক্ষনীয় ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনের উপকারিতা গ্রহণ করতে পারি। 
    এই সকল শিক্ষণীয় উপকারিতা গুলো গ্রহণের মাধ্যমে আমরা আমাদের মেধাকে বিকাশিত করতে পারি। সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রবণতা গুলোকে আরো জোরালো করতে পারবো। কিন্তু আমাদের সকলেরই একটি জিনিসের উপর নজর রাখতে হবে। যতই আমরা মোবাইল ফোনের উপকারিতা সম্পর্কে দেখি না কেন এটা যেন অতিরিক্ত মাত্রায় না হয়। 

    কারণ অনেকক্ষণ মোবাইল ফোনের দিকে নজর রাখলে চোখের ক্ষতি হতে পারে। তাই শিক্ষার্থী বন্ধুরা মোবাইল ফোনের উপকারিতা বিতর্ক প্রতিযোগিতায় এর ক্ষতিগুলো সম্পর্কেও তুলে ধরতে হবে। তাহলে বিষয়টি আরো জোরালো হয়ে উঠবে।

    মোবাইল ফোনের অপকারিতা বিতর্ক প্রতিযোগিতা

    আমরা এর আগে জেনেছি মোবাইল ফোনের উপকারিতা বিতর্ক প্রতিযোগিতা আর এখন আমরা জানবো মোবাইল ফোনের অপকারিতার বিতর্ক প্রতিযোগিতা। আসলে বিতর্ক প্রতিযোগিতাটা কি। বিতর্ক প্রতিযোগিতা হচ্ছে দুইটি পক্ষের মধ্যে একটি বিষয় নিয়ে ভালো ও খারাপ দিক তুলে ধরা। তাহলে অবশ্যই মোবাইল ফোনের উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে। 
    কিন্তু বর্তমান সময়ে মানুষ মোবাইল ফোনের অপকারিতা দিকটাই বেছে নিচ্ছে বেশি। এর ফলে হচ্ছে সামাজিক অবক্ষয় এবং বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হচ্ছে। মোবাইল ফোনের কিছু অপকারিতা রয়েছে যেগুলো বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বলা যায়। 

    সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার, পর্ন আসক্তি, অতিরিক্ত গেম খেলা, সময়ের অবচয়, চোখের ক্ষতি, মস্তিষ্কের ক্ষতি সাধন, সৃজনশীল দক্ষতার অবক্ষয় ও অতিরিক্ত ব্যবহারে ডিপ্রেশন সহ আরো অনেক মোবাইল ফোনের অপকারিতা রয়েছে। যা বর্তমান সময়ে দিন দিন বেড়েই চলেছে। 

    আর এটি থেকে বর্তমান সমাজের যুবক এবং প্রাপ্তবয়স্কদের সরিয়ে ফেলার উপায় হচ্ছে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। মোবাইল ফোনের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বর্তমান সমাজের মানুষদের অবগত করা। যাতে করে তারা মোবাইল ফোনের উপকারিতাকে বেছে নেয়।

    ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের উপকারিতা

    বর্তমান সময়ে অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রীরা ফোন ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু আবার অধিকাংশ শিক্ষার্থীরাই ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের উপকারিতা সম্পর্কে খুব একটা জ্ঞান রাখে না। আর এই জ্ঞান না রাখার কারণে মোবাইল ফোনের অপব্যবহার অথবা অপকারিতা বেড়েই চলেছে। 
    তাই প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীকে তথ্যপ্রযুক্তি সম্পর্কে জ্ঞান থাকার পাশাপাশি মোবাইল ফোনের ব্যবহার সম্পর্কেও জ্ঞান থাকতে হবে। নিম্নে ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের উপকারিতা আলোচনা করা হলো।

    অনলাইনে ক্লাসঃ আমাদের দেশে শিক্ষার্থীদের মাঝে মোবাইল ফোনের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি শুরু হয় অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে। শিক্ষার্থীরা খুব সহজেই ঘরে বসে থেকে যে কোন ক্লাস করতে পারে। উদাহরণ আপনি বাংলাদেশে রয়েছেন এখন বিদেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসরের কাছ থেকে জ্ঞান আহরণ করতে চান। 

    সে ক্ষেত্রে আপনি ইন্টারনেট ব্যবহার করে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অনলাইন ক্লাস করতে পারেন। যে সকল অ্যাপ ব্যবহার করে আপনি ঘরে বসে থেকে বিশ্বের যে কোন প্রফেসরের কাছ থেকে জ্ঞান আহরণ করতে পারবেন। Zoom, google meet, messenger, skype সহ আরো অনেক অ্যাপ রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনি ঘরে বসে থেকেই জ্ঞান আহরণ করতে পারবেন।

    অনলাইনে গ্রুপ স্টাডিঃ বাসায় বসে বসে পড়ার সময় একটা বিষয় সমস্যা হলো। বন্ধুদের সাথে গ্রুপ স্টাডির মাধ্যমে এটি সমাধান করা যেতে পারে। কিন্তু বন্ধুর বাসায় যাওয়ার সমস্যা। তাহলে আপনি অনলাইনে গ্রুপ স্টাডির মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে পারেন। এর জন্য আপনাকে আর বন্ধুর বাসায় যেতে হলো না।

    অনলাইনে কোর্স কমপ্লিটঃ আপনি যদি মনে করেন যে, আমার প্রাইভেট হোম গুলোতে গিয়ে পড়তে ভালো লাগছে না। বর্তমানে অনেকেই কিছু সমস্যার কারণে অনলাইনে বিভিন্ন সাবজেক্ট এর উপরে কোর্স কমপ্লিট করছে। এতে করে তার যাতায়াতের যে সময়টা লাগতো তা বেঁচে গেল। যাতায়াতের যে খরচ সেটা বেঁচে গেল। তাই আপনিও ইচ্ছা করলে ঘরে বসে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অনলাইনে কোর্স কমপ্লিট করতে পারেন।

    অনলাইনে লাইব্রেরীতে পড়াঃ আপনার এমন একটি বইয়ের প্রয়োজন যে বইটি আপনি কোথাও খুঁজে পেলেন না। সেটি রয়েছে একমাত্র অক্সফোর্ড লাইব্রেরী অথবা বাহিরের যে কোন দেশের লাইব্রেরীতে তাহলে এখন কি করবেন। খুবই সহজের উত্তর আপনি ঘরে বসে বিভিন্ন দেশের লাইব্রেরির বই পড়তে পারবেন। আবার অনেকের বই কেনার মত সমর্থ্য নেই। 
    সেক্ষেত্রে অনেক লাইব্রেরী রয়েছে যেখান থেকে আপনি বিনামূল্যে বই ডাউনলোড করে পড়তে পারবেন। তাই আপনিও যদি ঘরে বসে লাইব্রেরীতে না গিয়ে পড়তে চান। তাহলে মোবাইল ফোন দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে বিশ্বের যে কোন লাইব্রেরীর বই খুব সহজে পড়তে পারবেন।

    অনলাইনে উপন্যাস ও কবিতাঃ আপনি এমন একটি উপন্যাস অথবা কবিতার বই খুঁজছেন যেটি কোথাও পাচ্ছেন না। তাহলে খোঁজাখুঁজি বন্ধ করে দিন। যে বইটি খুঁজছেন শুধু সেটি দিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে গুগলের সার্চ করুন। দেখবেন অসংখ্য বই আপনার সামনে চলে এসেছে। এখান থেকে চাইলে আপনি অনলাইনেও পড়তে পারেন আবার ডাউনলোড করেও পড়তে পারেন।

    সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহারঃ আপনি যদি টাকা দিয়ে কোন কোর্স অথবা কোন প্রাইভেট হোমে পড়তে না পারেন। তাহলে কি আপনার শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে একদমই নয়। 

    বর্তমান সময়ে অনেক প্রফেসর তাদের জ্ঞানগুলো একত্রিত করে বিভিন্ন শিক্ষামূলক ভিডিও বানিয়ে সেগুলো ইউটিউবে ছাড়ছে। আপনি চাইলে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে ইউটিউব এর মাধ্যমে ক্লাসগুলো করতে পারেন। বর্তমান সময়ে বহু শিক্ষার্থী এভাবে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। চাইলে আপনিও এই পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। তার জন্য প্রয়োজন শুধু একটি মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট সংযোগ।

    ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা

    আমরা উপরে জেনেছি ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের উপকারিতা সম্পর্কে। এখন আমরা জানবো ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের উপকারিতা কোনগুলো তার সম্পর্কে। বর্তমানে অধিকাংশ ছাত্রই ফোন ব্যবহার করে। কিন্তু তারা অনেকেই জানেনা যে, ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোন কিভাবে ব্যবহার করলে অপকারিতা গুলো থেকে বেঁচে থাকা যাবে।
    • মোবাইল ফোনের অপকারিতা গুলো খুবই ভয়ানক। যেগুলো থেকে বেঁচে থাকা খুবই কষ্টকর। তবুও নিজেকে এগুলোর আসক্তি থেকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। নিম্নে ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
    • অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলে সময়ের অপচয়।
    • নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে বেশি ব্যবহার করলে চোখের ক্ষতি হবে।
    • বেশিরভাগ সময় মোবাইলের পিছনে ব্যয় করলে মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
    • অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলে সৃজনশীলতা ও চিন্তাশক্তির অবক্ষয় হবে।
    • সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে বেশি আসক্তি এতে করে সৃজনশীল দক্ষতার অভাব হয়।
    • অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের জন্য শিক্ষার্থীদের রাতে ঘুমের সমস্যা হচ্ছে।
    • অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলে হাড়ের সমস্যা ও মাথা ব্যথা হতে পারে।
    • অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে শিক্ষার্থীরা ডিপ্রেশন এর মত সমস্যায় পড়তে পারে।
    তাই প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীকে মোবাইল ফোনের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে ব্যবহার করার প্রয়োজন। কারণ কোন শিক্ষার্থী যদি মোবাইল ফোনের অপব্যবহার শুরু করে দেয় অথবা অপব্যবহারের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে। তাহলে এই আসক্তি থেকে মুক্তি পাওয়া খুবই কষ্টসাধ্য। তাই যত সম্ভব নিশ্চিত করতে হবে যাতে ছাত্ররা মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে বেঁচে থাকতে পারে।

    মোবাইল ফোনের পাঁচটি ব্যবহার লিখ

    • মোবাইল ফোন দিয়ে গেম খেলতে পারবেন।
    • ইন্টারনেট ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে পারবেন।
    • যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে।
    • বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবেন।
    • ছবি তুলতে, নিতে ও দিতে পারবেন।
    • ভিডিও গান, অডিও গান, টিভি ও ছবি দেখা যাবে।
    • বই পড়া, কবিতা, উপন্যাস, রচনা পড়তে পারবেন।
    • মোবাইল ফোন দিয়ে গুগল ড্রাইভ এর মাধ্যমে তথ্য সংরক্ষণ করতে পারবেন।
    • ইমেইলের মাধ্যমে তথ্য পাঠাতে পারবেন।
    মোবাইল ফোনের আরো অনেক ভাবে ব্যবহার করা যায়। শুধু আপনাকে এর ব্যবহার সম্পর্কে জানতে হবে। আমি ৫ থেকে ১০ টা ব্যবহার উল্লেখ করেছি। কারণ আপনারা মোবাইল ফোনের পাঁচটি ব্যবহার সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন।

    মোবাইল ফোনের ৫টি অসুবিধা

    • অতিরিক্ত মোবাইল ফোনের ব্যবহারের কারণে মানুষের মধ্যে মানুষের দূরত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে।
    • মোবাইল ফোনের কারণে বর্তমান যুবসমাজ ঘরের বাইরে বের হতে চায়না। যার জন্য তারা সামাজিক আচার-আচরণ থেকে বঞ্চিত হয়।
    • বেশি সময় পর্যন্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলে মেধা বিকাশে বিঘ্নিত ঘটছে।
    • দিনে অনেক সময় পর্যন্ত মোবাইল ব্যবহার করলে ঘুমের সমস্যা হয়।
    • অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
    মোবাইল ফোনের অপব্যবহারের ফলে আরো অনেক ধরনের অসুবিধার মধ্যে পড়তে হতে পারে। তাই নিজেকে সীমাবদ্ধতার মধ্যে রাখতে হবে। যাতে করে এই অসুবিধা গুলোর মধ্যে না পড়তে হয়। তাই মোবাইলের এই সকল ক্ষতিকর দিক থেকে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ এবং ব্যবহার কমিয়ে নিয়ে আসতে হবে।

    মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচার উপায়

    মোবাইল ফোন আমাদের অনেক সুবিধা দিয়ে থাকে। তবে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে করতে যেন, আমাদের অসুবিধার কারণ না হয়ে দাঁড়ায়। মোবাইলের অপব্যবহারের ফলে শারীরিক ও দৈহিকভাবে অনেক ক্ষতিসাধন করে। এই ক্ষতিগুলো থেকে বাঁচার তো উপায় রয়েছে। কিন্তু এই ক্ষতি সম্মুখীন না হওয়াই ভালো শুরু থেকে সাবধান হতে হবে। যাতে করে এই ক্ষতির মুখোমুখি না হতে হয়। মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

    1. আপনি যদি পর্নে আসক্ত হয়ে থাকেন তাহলে এটি খুবই খারাপ বিষয়। আর এর জন্য যেটি করতে হবে আপনাকে যে সময়টিতে পর্ন দেখেন ওই সময়ে ফোন নিজের কাছে রাখবেন না। দূরে কোথাও সরিয়ে রাখুন ইতের নাগালের বাহিরে।
    2. ঘুমানোর আগে ফোন ব্যবহার করবেন না। অন্তত ঘুমানোর এক ঘন্টা আগ পর্যন্ত কোনো রকম ফোন ব্যবহার করবেন না।
    3. ঘুমানোর সময় ফোন বালিশ অথবা আশেপাশে রাখবেন না।
    4. আপনি দিনে কতক্ষণ ফোন ব্যবহার করেন সাত ঘন্টা অথবা আট ঘন্টা না এর বেশি। যদি এতক্ষণ ফোন ব্যবহার করে থাকেন। তাহলে ধীরে ধীরে এর ব্যবহার কমিয়ে আনতে হবে।
    5. অতিরিক্ত মোবাইল ফোন কানে লাগিয়ে কথা বলবেন না। এতে করে আপনার কানসহ মস্তিষ্কের সমস্যা হতে পারে। আবার যারা ইয়ারফোন অথবা হেডফোন লাগিয়ে কানে কথা বলেন। এটিও অতিরিক্ত মাত্রায় করা যাবে না। এতে করে মস্তিষ্ক ও কান আস্তে আস্তে বিকলিত হয়ে যায়।
    6. মোবাইল ফোন ব্যবহারের পূর্বে এর ব্রাইটনেস অথবা আলো কমিয়ে ব্যবহার করুন। যাতে করে চোখের সমস্যা না হয়। কারণ অতিরিক্ত ফোনের ব্রাইটনেস ব্যবহার করলে চোখের সমস্যা হতে পারে।
    7. অযথা মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন না। শুধুমাত্র প্রয়োজন অনুসারে মোবাইল ফোন ব্যবহার করুন। তা বাদে বেশি ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ মোবাইল আসক্ত ব্যক্তিকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যায়।

    মোবাইল ফোনের উপকারিতা বিতর্ক প্রতিযোগিতা উপসংহার

    পরিশেষে বলা যায় যে, আপনারা যে সকল ব্যবহারকারী রয়েছেন তারা মোবাইল ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন হয়ে যেতে হবে। যারা এখনো এর সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হননি তারা সাবধান হয়ে যেতে হবে। আর যে সকল ব্যক্তি এর সমস্যার মধ্যে পড়েছেন তারা সতর্কতা গুলো মেনে চলুন। নিজেকে নিয়মের মধ্যে নিয়ে আসুন।

    শেষ কথাঃ মোবাইল ফোনের উপকারিতা বিতর্ক প্রতিযোগিতা

    প্রিয় পাঠক, আশা করি ভাল আছেন। আপনারা যদি মোবাইল ফোনের উপকারিতা বিতর্ক প্রতিযোগিতা সহ আরো যে সকল তথ্য রয়েছে। সেগুলো জেনে যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার বন্ধু এবং পরিবার সহ সকলকে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জানান। যাতে করে তারাও এই সকল বিষয় সম্পর্কে জানতে পারে। আর নিজেকে সাবধান করতে পারে। পুরো তথ্যটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

    এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

    পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
    এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

    এসএইচ নিউজস্টোরের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

    comment url