অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির উপায় - অতিরিক্ত ঘুম কোন রোগের লক্ষণ

আপনি যদি অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির উপায় জানার জন্য এদিক-ওদিক খোঁজাখুঁজি করেন। তাহলে খোঁজাখুঁজি বন্ধ করে অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির উপায় তথ্যটি পড়ার মাধ্যমে নিজেকে উপকৃত করতে পারেন। কারণ নিচে দেওয়া তথ্যের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু মুক্তির উপায় সম্পর্কে তুলে ধরা হয়েছে। যেগুলো পড়ার মাধ্যমে আপনি উপকৃত হবেন।
অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির উপায় - অতিরিক্ত ঘুম কোন রোগের লক্ষণ
অতিরিক্ত ঘুমের কারণে শরীরের নানা ধরনের ক্ষতি হয়ে থাকে। অতিরিক্ত ঘুম শরীরের রোগের কারণ হতে পারে। তাইতো বেশি ঘুমানো কোন রোগের লক্ষণ তা জেনে নিতে পারেন।
পোস্ট সূচীপত্রঃ 

    ভূমিকা

    পৃথিবীতে প্রত্যেকটি প্রাণীর ঘুমের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ঘুম হচ্ছে আপনার জন্য একটি উপহার। ঘুমের মাধ্যমে সারাদিনের যত ক্লান্তি দূর করতে পারেন। তাই প্রত্যেকটি মানুষের নির্দিষ্ট পরিমাণে ঘুমানোর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। যদি ঘুমের পরিমাণ অতিরিক্ত হয় তাহলে শারীরিক অবনতি হবে।

    কিন্তু আপনি যদি এতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন। তাহলে অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির উপায় জেনে নিজেকে সাজিয়ে নিতে পারেন। আস্তে আস্তে আগের মত স্বাভাবিক মাত্রায় ঘুমের মাধ্যমে নিজেকে অভ্যস্ত করে নিতে পারেন। যার ফলস্বরূপ হিসেবে আপনাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে দিবে।

    অতিরিক্ত ঘুম কোন রোগের লক্ষণ

    প্রত্যেকটি ব্যক্তিরই ঘুমের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। দেখুন অতিরিক্ত কোন জিনিসই ভালো নয়। আপনি যদি অতিরিক্ত খাবার খান তাহলে শারীরিক ক্ষতি হতে পারে। ঠিক তেমনি অতিরিক্ত ঘুম আপনার অনেক রোগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। বর্তমান সময়ে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে এটি হচ্ছে সবচেয়ে বড় সমস্যা। তারা রাতে ঘুমানো কে পছন্দ করে না।
    যার ফলে তারা দিনে ঘুমানোতে অভ্যস্ত হয়ে যায়। আর স্বাভাবিকভাবে তিনি অতিরিক্ত পরিমাণে ঘুমাতে হয়। আপনি বুঝতে পারছেন না অতিরিক্ত ঘুম আপনাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তাই অতিরিক্ত ঘুম থেকে বাঁচার উপায় গুলো জেনে নিজেকে এর থেকে মুক্তি দিতে পারেন। আর স্বাভাবিক ও সুস্থভাবে নিজের জীবনকে পরিচালনা করতে পারবেন।
    • অতিরিক্ত ঘুমানোর ফলে ডিপ্রেশন বা মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়। যা আপনার দেহের শারীরিক ভাবে ক্ষতি করে থাকে।
    • অতিরিক্ত ঘুমানোর ফলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। যার ফলে বেশি বেশি খেতে ইচ্ছা করে। চাহিদা অনুযায়ী বেশি খেলে শরীরের বিভিন্ন রোগ বাসা বাঁধতে পারে।
    • অতিরিক্ত ঘুম আপনার হরমোনের সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
    • যেই সকল ব্যক্তি সকালে ঘুমিয়ে বিকালে উঠে তাদের মস্তিষ্কের ক্ষতি হতে পারে। মস্তিষ্কের সৃজনশীলতার শক্তি কমে যায়। এর ফলে নানান ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়।
    • অতিরিক্ত ঘুম হাইপারসোমনিয়া, ডায়াবেটিস ও হার্টের সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
    • সবচেয়ে বড় সমস্যা গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে অতিরিক্ত ঘুম আপনাকে অলসতার দিকে নিয়ে যায়। যা আপনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

    অতিরিক্ত ঘুমালে কি ক্ষতি হয়

    • মস্তিষ্কের সৃজনশীল দক্ষতা কমে আসে।
    • নিজেকে মানসিকভাবে বিকাশিত করতে পারে না।
    • ডিপ্রেশনের মত মারাত্মক রোগে ভুগতে থাকে।
    • বাহ্যিক দুনিয়ার কোন খবর না রাখার ফলে বর্তমান সময়ের সম্পর্কে অনেক কিছু জ্ঞান তার কাছে থাকে না।
    • অতিরিক্ত ঘুমের ফলে কোন কাজের প্রতি তার মন বসে না।
    • দিনে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অধিকাংশ সময় ঘুমালে নিজেকে নিয়ে ভাবার সময় পায় না। যার ফলে সে অনেক কিছু থেকে পিছিয়ে পড়ে।
    • শরীরে অনেক রকম রোগ বালাই এর বাসা তৈরি হয়।
    এক কথায় যারা অতিরিক্ত পরিমাণে ঘুমে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। তারা নিজেকে সহ পরিবারের কোন সদস্যদের নিয়ে ভাবতে পারে না। কারণ তাদের মস্তিষ্ক সব সময় ঘুমের চাহিদায় মগ্ন থাকে। তাই যত দ্রুত সম্ভব নিজেকে নিজের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করুন। আর অন্য সকল মানুষের মতো স্বাভাবিক মাত্রায় ঘুমান এবং স্বাভাবিক ভাবে জীবন যাপন করুন।

    অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির উপায়

    পৃথিবীতে প্রত্যেকটি মানুষের ঘুমের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তবে সেটি পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম হতে হবে। যদি অতিরিক্ত ঘুম হয় তাহলেও শারীরিক ক্ষতি হতে পারে। আবার যদি কম ঘুম হয় তাহলেও শারীরিক ক্ষতি হতে পারে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানোর প্রয়োজন রয়েছে।
    এর থেকে বেশি ঘুমালে অতিরিক্ত। আর এর থেকে কমও ঘুমানো যাবে না। তাহলে বিভিন্ন রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। কিন্তু আজকে অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে কিছু তথ্য তুলে ধরবো। যে তথ্যগুলো পড়ে আশা করা যায় আপনারা অতিরিক্ত ঘুমের হাত থেকে মুক্তি পাবেন।
    • অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির প্রথম শর্ত হচ্ছে রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে হবে।
    • রাতে দেরি করে ঘুমানোর কারণে বেশি পরিমাণে ঘুমাতে হয় ও শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়।
    • হস্তমৈথুনে অভ্যস্ত থাকলে এই খারাপ কাজ থেকে দূরে থাকতে হবে।
    • শারীরিক দুর্বলতার কারণে অতিরিক্ত ঘুম হতে পারে। ভালো ভালো খাবারের পাশাপাশি ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
    • রাতের সময় যদি কোন কাজে না থাকে অথবা আপনি যদি ইসলাম ধর্ম অবলম্বী হয়ে থাকেন। তাহলে এশার নামাজ পড়ে খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়বেন।
    • নিজেকে একটি নিয়মের মধ্যে নিয়ে আসবেন। দিনের সময় কখনই ঘুমাবেন না এতে করে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়।
    • ঘুমানোর সময় অবশ্যই এলার্ম দিয়ে ঘুমাবেন। যত যাই হয়ে যাক এলারাম বাজার সাথে সাথে ওঠার চেষ্টা করবেন।
    • পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানোর পর যদি ঘুম আসে তাহলে এক কাপ কফি অথবা চা খেয়ে নিবেন। অবশ্যই চায়ের ভেতরে চিনি কম পরিমাণে দিবেন। না দিলে আরো ভালো।
    • একটা নির্দিষ্ট সময় ঘুমের পরে যদি আবার ঘুম আসে তাহলে মুখ ও চোখে কয়েক বার পানি দিয়ে নিন।
    • এমন একটি কাজ যেটা আপনার রাতের সময় ঘুমানোর জন্য বাধা হয়। সেই কাজগুলোকে বর্জন করুন।
    • রাতে এশার নামাজের পর কখনোই মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার কোন ডিভাইসের দিকে তাকাবেন না।
    • আপনার ওষুধ খাওয়ার কারণে অতিরিক্ত ঘুম হতে পারে।
    • নিয়ম অনুযায়ী সকাল, দুপুর ও রাত এই তিন বেলার খাবার সময় মত খাবেন। এর পাশাপাশি মাঝামাঝি সময় কিছু খেয়ে পানি খেতে পারেন।
    • অতিরিক্ত সহবাসের কারণে বেশি পরিমাণে ঘুম হতে পারে। তাই সেক্ষেত্রে সহবাসের পরিমাণ কমিয়ে আনতে পারেন।
    • আপনি যদি একজন ইসলাম ধর্মালম্বী হয়ে থাকেন। তাহলে সবচেয়ে ভালো হয় নিজেকে ধর্ম অনুযায়ী পরিচালনা করা। তাহলে অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তি পাবেন ইনশাআল্লাহ।

    অতিরিক্ত ঘুমের কারণ কি

    • অতিরিক্ত ঘুমের সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে রাতে না ঘুমানো।
    • এই অতিরিক্ত ঘুমের অভ্যাস এক দিনে তৈরি হয় না। রাতে না ঘুমাতে ঘুমাতে শরীরের ঘুমের ঘাটতির পরিমাণ বাড়তে থাকে। যার ফলে দিনের সময় বেশি ঘুম পায়। আর স্বাভাবিক ভাবেই দিনে ঘুমালে অতিরিক্ত ঘুমাতে হয়।
    • অতিরিক্ত ঘুমানোর আরেকটি কারণ হচ্ছে ডিজিটাল ডিভাইস। যেমন মোবাইল ফোন, কম্পিউটার ও ল্যাপটপ সহ আরো যে সকল ডিভাইস রয়েছে। এগুলো ব্যবহার থেকে যত পারবেন নিজেকে দূরে রাখুন।
    • শারীরিক অতিরিক্ত পরিশ্রমের কারণেও ঘুমের পরিমাণ বেশি হয়।
    • শারীরিক দুর্বলতার কারণে অতিরিক্ত পরিমাণে ঘুম হয়ে থাকে।
    • অতিরিক্ত পরিমাণে ওষুধ খাওয়ার ফলেও বেশি পরিমাণে ঘুম হয়।
    • অতিরিক্ত শারীরিক ব্যায়ামের কারণে বেশি পরিমাণে ঘুম হয়ে থাকে।
    • হস্তমৈথুনের কারণে ঘুমের পরিমাণ বেশি হয়। তাই হস্তমৈথুন থেকে নিজেকে দূরে রাখুন।
    • কিছু রোগ রয়েছে যেগুলোর কারণেও অতিরিক্ত পরিমাণে ঘুম বেড়ে যায়। তাই যথাসম্ভব ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।

    রাতে ঘুম না হলে কি কি সমস্যা হয়

    আমরা এর আগেও বলেছি প্রত্যেকটি মানুষের ঘুমের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তবে সেটি হতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণ। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানোর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কিন্তু আমরা এই সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমায় দিনের সময়। ফলে দেখা যায় শরীরে ঘুমের ঘাটতি থেকে যায়।
    যার কারণে সারাদিন আমাদের খারাপ সময় পার করতে হয়। এর সমাধান হচ্ছে রাতের সময় যত দ্রুত সম্ভব ঘুমিয়ে যাওয়া। আপনি যদি একজন ইসলাম ধর্মাবলম্বী হয়ে থাকেন। তাহলে এশার নামাজের পর কোনরকম দেরী না করে ঘুমিয়ে পড়ুন।

    এতে করে দেখবেন আপনার সারা দিন অনেক ভালো কাটছে। মানসিকভাবে নিজেকে হালকা মনে হচ্ছে। নিজেকে নিয়ে ভাবার সময় পাচ্ছেন। মনের ভিতরে একটা খুশি খুশি ভাব সব সময় থাকবে। আর যদি আপনি রাতের সময় না ঘুমান অথবা রাতে ঘুম না হলে কি কি সমস্যা হতে পারে তার কিছু তথ্য নিচে তুলে ধরা হলো।
    • মানসিক চাপ ও ডিপ্রেশন বৃদ্ধি পাবে।
    • মেজাজ সবসময়ই খিটখিটে থাকবে।
    • অন্যের সাথে কথা বলতে বিরক্ত কর মনে হবে।
    • কোন কাজে ঠিকভাবে মন বসবে না।
    • রাতে না ঘুমালে শরীরের মধ্যে রোগ বালাই তৈরি হতে থাকবে।
    • পরিবার ও বন্ধুদের সাথে সময় কাটাতে বিরক্ত করা লাগবে।
    • হাড়ের সমস্যা, ডায়াবেটিস ও উচ্চ মাত্রায় রক্তচাপ সহ বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।

    অতিরিক্ত ঘুমালে কি মোটা হয়

    দেখুন অতিরিক্ত ঘুমের সাথে মোটা হওয়ার কিছুটা সম্পর্ক রয়েছে। এর কারণ হচ্ছে অতিরিক্ত যাদের ঘুম রয়েছে। তারা সাধারণত অলস প্রকৃতির হয়ে থাকে। তাদের খাদ্যের সময়ের কোন ঠিক থাকে না। বাড়িতে সময় মতো খাবার খায় না। সময় পেলেই তারা ফাস্টফুড অথবা ফ্যাট যুক্ত খাবার গ্রহণ করে। যারা পরিশ্রমী ব্যক্তি যেমন ধরেন যারা কায়িক পরিশ্রম করে।

    তারা স্বাভাবিকভাবে রাতের সময় ঘুমিয়ে থাকে। আর রাতের সময় ঘুমালে মোটা হওয়ার কোন সম্ভাবনা থাকে না। যত বেশি ঘুমাবেন আপনার খাবারের প্রতি চাহিদা তত বেশি বাড়বে। আর এই অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার কারণে মেদ বৃদ্ধি পেতে থাকে। আপনি হয়তো শুনে থাকবেন ঘুমের সময় হজম প্রক্রিয়া সবচেয়ে বেশি কাজ করে। তাই অতিরিক্ত ঘুমের সাথে মোটা হওয়ার কিছুটা সম্পর্ক রয়েছে।

    বিকালে ঘুমানোর উপকারিতা

    সাধারণত পৃথিবীর সকল মানুষ রাতের সময়ই ঘুমায়। কিন্তু দুপুর ও বিকেলে কিছুক্ষণ ঘুমানোর মধ্যে রয়েছে উপকারিতা। ছোট একটা ঘুমের মধ্যে রয়েছে কিছু উপকারিতা। তবে সেটা হতে হবে সামান্য সময়ের জন্য। এই ধরেন দুপুরে ঘুমালে এক ঘন্টা অথবা সর্বোচ্চ দেড় ঘন্টা ঘুমানো ভালো। আর বিকেলের সময় ঘুমালে ৩০ মিনিটের উপরে না ঘুমানোই ভালো।
    • সারাদিন ক্লান্তির পর বিকালে ঘুমানোর মাধ্যমে শরীরের ক্লান্তি দূর করা যায়।
    • বিকালে ঘুমানোর মাধ্যমে মস্তিষ্ক সচল এবং যে কোন বিষয়ে চিন্তা শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
    • মানসিক চাপ থেকে মুক্তি দিতে সহায়তা করে।
    • শারীরিকভাবে নিজেকে চাঙ্গা রাখার জন্য বিকালে ঘুমাতে পারেন।
    • উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, হার্টের সমস্যা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা পাশাপাশি আরও কিছু রোগের সমাধান।

    বিকালে ঘুমানোর অপকারিতা

    সচরাচর যাদের বিকালে সময় ঘুমানোর অভ্যাস নেই। তারা বিকালে ঘুমালে উপকারিতা থেকে অপকারিতাই বেশি হবে। তাই যদি আপনি শুধুমাত্র রাতে ঘুমিয়ে অভ্যস্ত অথবা শরীরে কোন রকম ক্লান্তির ভাব নেই। তাহলে বিকালে না ঘুমানো উত্তম হবে।
    • বিকালে ঘুমালে রাতে আর সময় মত ঘুম আসে না। এতে করে সারাদিন অস্থিরতার মধ্যে কাটাতে হয়।
    • যাদের বিকালে ঘুমালে মেজাজ খিটখিটে থাকে অথবা অস্বস্তি ভাব হয়। তাদের বিকালে না ঘুমানো ভালো।
    • বিকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে মাথা ব্যথা ও মানসিকভাবে বিরক্তকর বোধ হতে পারে।

    উপসংহার

    আমরা অনেক কিছু নিয়ে আলোচনা করলাম। এর মধ্যে একটি কমন বিষয় হচ্ছে অতিরিক্ত কোন জিনিস শরীরের জন্য ভালো নয়। সেটি হোক ঘুম অথবা খাবার দুটোই অতিরিক্ত স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই উপরে যে সকল তথ্যগুলো উপস্থাপন করা হয়েছে।

    আশা করা যায় এইগুলো মেনে চললে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকবেন। তাই উপরে দেওয়া তথ্য গুলো অনুসারে নিজেকে পরিচালনা করুন। কারণ নিজের খেয়াল সব সময় নিজেকেই রাখতে হবে। আপনার স্বাস্থ্যের খেয়াল অন্য কেউ রাখতে পারবে না।

    শেষ কথা

    প্রিয় পাঠক আশা করি ভাল আছেন। আপনারা ইতিমধ্যে পুরো তথ্যটি পড়ে অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির উপায় সাথে সাথে অতিরিক্ত ঘুম কোন রোগের লক্ষণ জেনে নিয়েছেন। আশা করা যায় এই তথ্যগুলো পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। আর এই তথ্যগুলো পড়ার মাধ্যমে আপনার কোন উপকারে আসে। তাহলে আপনার পরিবার ও বন্ধুদেরকে তথ্যগুলো সম্পর্কে জানান। পুরো তথ্যটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।।

    এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

    পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
    এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

    এসএইচ নিউজস্টোরের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

    comment url