ক্যাপসিকাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন

নিশ্চয়ই আপনি ক্যাপসিকাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জানানোর জন্য এদিক-ওদিক খোঁজাখুঁজি করছেন। সত্যি যদি ক্যাপসিকাম খাওয়ার উপকারিতা ও ক্যাপসিকাম খাওয়ার নিয়ম গুলো জানার জন্য আগ্রহী হয়ে থাকেন। তাহলে এই পুরো তথ্যটি বিস্তারিত পড়ার মাধ্যমে জেনে নিতে পারেন। যার মধ্যে লুকিয়ে আছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপকার।
ক্যাপসিকাম খাওয়ার উপকারিতা, অপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম জেনে নিন
ক্যাপসিকাম খাওয়ার মাধ্যমে শারীরিক ও দৈহিকভাবে সুস্থ থাকতে পারবেন। তাইতো আমাদের প্রত্যেকের ক্যাপসিকাম খাওয়ার নিয়ম গুলো জানা প্রয়োজন। যে নিয়ম গুলো মেনে নিয়মিত ক্যাপসিকাম খেতে পারি।
পোস্টসূচিপত্রঃ 

    সারসংক্ষেপ

    আমরা সকলেই জানি ক্যাপসিকাম অধিক জনপ্রিয় একটি সবজি। আবার অনেকেই আমরা ক্যাপসিকাম মরিচ নামেও চিনে থাকি। ক্যাপসিকাম কে আমেরিকানরা বেল পেপার নামে অভিহিত করেছেন। ক্যাপসিকাম খাওয়ার মাধ্যমে আপনি অনেক ধরনের গুণাগুণ ও উপকারিতা পেতে পারেন।

    তবে তা শুধুমাত্র নিয়ম মেনে খাওয়ার মাধ্যমে। আপনি যদি অতিরিক্ত ক্যাপসিকাম খান তাহলে ক্ষতি সম্মুখীন হতে পারেন। ক্যাপসিকাম তিন প্রকারের হয়ে থাকে হলুদ, লাল ও সবুজ। তিন ধরনের ক্যাপসিকাম এর মধ্যে রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে উপকারিতা। তবে বয়স্কদের জন্য লাল ক্যাপসিকামে বেশি উপকারিতা রয়েছে।
    আর যুবকদের সবুজ ক্যাপসিকাম খাওয়ার মধ্যে উপকারিতা লুকিয়ে রয়েছে। তবে উভয়ই যে কোন ধরনের ক্যাপসিকাম খেতে পারে। এতে তারা পুষ্টি ও গুনাগুন যথেষ্ট পরিমাণে পাবে। তাই ক্যাপসিকাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যগুলো জেনে নিন। যার মাধ্যমে ক্যাপসিকাম এর সম্পর্কে যথেষ্ট পরিমাণে জ্ঞান আহরণ করতে পারবেন।

    ক্যাপসিকাম খেলে কি হয়

    পুরো পৃথিবীতে ক্যাপসিকামের জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। হবে না কেন ক্যাপসিকাম খাওয়ার মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে অনেক উপকারিতা। আমাদের বাংলাদেশেও ক্যাপসিকামের চাহিদা আকাশচুম্বী। দিন দিন মানুষের কাছে এর জনপ্রিয়তা বেড়ে চলেছে। যদিও এটি বাংলাদেশী কোন খাদ্য নয় তবুও বর্তমান সময়ে আমাদের চাষী বন্ধুরা ক্যাপসিকামের চাষের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে।

    কারণ তারাও জেনে গেছে এটি খাওয়ার মত উপকারিতা রয়েছে আর মানুষের মাঝেও এর চাহিদা অনেক বেশি। ক্যাপসিকাম এর মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে বিটা ক্যাটোরিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, কপার ও স্বাস্থ্যকর চর্বিসহ আরো অনেক উপাদান।
    যা আপনার দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, ত্বকের সুস্থতা, চুলের বৃদ্ধি, ক্যান্সার প্রতিরোধ, হজম শক্তি বৃদ্ধি, চোখের সমস্যার সমাধান ও হাড়ের ব্যথার সমাধান সহ আরো অনেক রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করছে। তাই আমরা যারা সবজি খেতে খুবই পছন্দ করি। সবজি ছাড়া আমাদের একটি দিনও চলে না।

    তাদের উদ্দেশ্যে বলছি প্রত্যেকদিন আপনাদের খাদ্য তালিকায় কিছু পরিমাণ ক্যাপসিকাম রাখুন। ক্যাপসিকাম তিন ধরনের হয়ে থাকে লাল, হলুদ ও সবুজ। এই তিন ধরনের ক্যাপসিকাম এর মধ্যে লাল ও সবুজ বাংলাদেশে বেশি পাওয়া যায়। তবে অধিকাংশ মানুষই চাইলেও ক্যাপসিকাম খেতে পারেনা।

    এর বড় একটি কারণ হচ্ছে ক্যাপসিকামের দাম একটু বেশি। তাই যাদের দিনে একটি হলেও ক্যাপসিকাম খাওয়ার সামর্থন রয়েছে। তারা নিয়মিত ক্যাপসিকাম খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন। আর ক্যাপসিকামের মধ্যে লুকিয়ে থাকা পুষ্টি ও গুনাগুন গুলো লুটে নিন।

    ক্যাপসিকাম খাওয়ার উপকারিতা

    ক্যাপসিকাম খেতে অনেক সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর। তাইতো বর্তমানে আমাদের দেশে মানুষের মাঝে ক্যাপসিকাম নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। তারা জানতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে ক্যাপসিকাম খাওয়ার মধ্যে কোন উপকারিতা গুলো রয়েছে। যেন তারাও নিয়মিত ক্যাপসিকাম খেয়ে নিজেকে অনেক রোগ থেকে মুক্ত করতে পারে। তাহলে আর দেরি না করে ক্যাপসিকাম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
    ১। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিঃ যারা নিয়মিত ক্যাপসিকাম খায় তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আগের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পায়। কারণ এন্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি রয়েছে ক্যাপসিকামের মধ্যে। যা রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে।

    ২। চুলের সুস্থতাঃ মানুষ তার চুল ও ত্বক নিয়ে একটু বেশি সচেতন। কারণ সবাই নিজেকে অন্যের সামনে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করতে চাই। তাই চুলের গোড়া মজবুত ও বৃদ্ধি করার জন্য ক্যাপসিকাম খেতে পারেন।

    ৩। হার্টের সুস্থতাঃ হার্টের সুস্থতায় দারুন ভূমিকা পালন করে ক্যাপসিকাম। আপনি যদি হার্টের সমস্যায় দীর্ঘদিন যাবত ভুগে থাকেন। তাহলে ক্যাপসিকাম খাওয়া আপনার জন্য উপকারী হবে। ক্যাপসিকাম রক্তের শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণ ও ব্লাড প্রেসার স্বাভাবিক রাতে সহায়তা করে।

    ৪। ত্বকের সুস্থতাঃ আপনি কি ত্বক নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত চিন্তিত। তাহলে চিন্তাকে সরিয়ে ফেলে নিয়মিত ক্যাপসিকাম খেতে থাকুন। ক্যাপসিকাম এর মধ্যে থাকা উপাদান গুলো ত্বকের ব্রণ, ফুসকুড়ি, কাটা দাগ ও ভাজ পড়ে যাওয়া থেকে সহায়তা করে।

    ৫। ওজন কমাতেঃ আপনি কি ওজন নিয়ে খুবই চিন্তিত। ওজন বৃদ্ধি হওয়ার কারণে চলাফেরাই খুবই সমস্যা হয়। আপনি যদি ওজন কমাতে চান তাহলে ডায়েটের মধ্যে ক্যাপসিকাম রাখতে পারেন। ক্যাপসিকাম এর মধ্যে থাকা স্বাস্থ্যকর চর্বি ও ক্যালোরি খাদ্যের প্রতি বেশি চাহিদা থেকে দূরে রাখতে সহায়তা করে। যাতে আস্তে আস্তে ওজন কমতে শুরু করে।

    ৬। হাড় মজবুতঃ শরীরের হাড়ের দুর্বলতা কাঁপিয়ে ওঠার জন্য ক্যাপসিকাম খেতে পারেন। ক্যাপসিকাম এর মধ্যে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন ও ভিটামিন সি রয়েছে যা হাড়কে মজবুত করতে সহায়তা করে। তাই নিয়মিত যে কোন খাবারের মধ্যে ক্যাপসিকাম রাখুন।

    ৭। চোখের দৃষ্টিশক্তিঃ আপনি যদি রাতে কম দেখেন অথবা চোখে ঝাপসা দেখেন। আপনার চোখে দৃষ্টিশক্তি অতটা উন্নত নয়। তাহলে নিয়মিত ক্যাপসিকাম খাওয়ার মাধ্যমে দৃষ্টিশক্তি প্রখর হবে। কারণ ক্যাপসিকাম এর মধ্যে আছে লুটিন ও জিয়েক্সানথিন যা চোখের দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সহায়তা করে।
    ৮। শরীরের ব্যথাঃ শরীরের কোমরে অথবা জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যথা করে। তাহলে ক্যাপসিকাম খাওয়ার মাধ্যমে উপকারিতা পাবেন। ক্যাপসিকামে অনেক উপাদান রয়েছে যেগুলো শরীরের যে কোন স্থানের ব্যাথা দূরীভূত করতে সহায়তা করে। যেমন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের ব্যথা দূরীভূত করতে সাহায্য করে থাকে। যা ক্যাপসিকাম খাওয়ার মাধ্যমে পেতে পারেন।

    ৯। ক্যান্সার প্রতিরোধঃ ক্যাপসিকাম ক্যান্সার প্রতিরোধে লড়াই করতে পারে। প্রোটেস্ট ও মুত্রাশয় এর মত ক্যান্সারের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারে।

    ১০। রক্তস্বল্পতা দূরঃ যারা দীর্ঘদিন যাবত রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন। তাহলে নিয়মিত ক্যাপসিকাম খাওয়ার মাধ্যমে রক্তস্বল্পতা দূরীভূত করতে পারেন। কারণ রক্তস্বল্পতা মূলত হয় আয়রনের ঘাটতির কারণে যা ক্যাপসিকাম এর মধ্যে রয়েছে। শুধু আয়রনই নয় ভিটামিন সি, ভিটামিন এ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যা রক্তস্বল্পতা দূর করতে দারুন ভূমিকা পালন করে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ও ভালো কোলেস্টরলের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।

    ক্যাপসিকাম এর অপকারিতা

    আপনাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা ক্যাপসিকাম খেতে অনেক পছন্দ করেন। কিন্তু দেখা যায় অনেকেই অতিরিক্ত পরিমাণে ক্যাপসিকাম খেয়ে ফেলেন। এই কাজ কোন সময় করা যাবে না।
    ক্যাপসিকাম এর মধ্যে যেমন রয়েছে উপকারিতা ঠিক তেমনি ভাবে রয়েছে অপকারিতা। অতিরিক্ত ক্যাপসিকাম খাওয়ার ফলে এর ফলাফল বিপরীত হতে পারে। প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণে ক্যাপসিকাম খেতে হবে যাতে করে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দিকগুলোর মুখোমুখি না হতে হয়। এখন বেশি পরিমাণে খেলে কি কি ক্ষতি হতে পারে তা জেনে নেয়া যাক।
    • ক্যাপসিকাম এর মধ্যে রয়েছে এলার্জি জনিত সমস্যা। অতএব যাদের ক্যাপসিকাম খেলে এলার্জি হয়। তাদের ক্যাপসিকাম খাওয়া থেকে দূরে থাকাই ভালো।
    • বেশি পরিমাণে ক্যাপসিকাম খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে।
    • অতিরিক্ত পরিমাণে ক্যাপসিকাম খাওয়ার ফলে পেট ব্যথা ও ডায়রিয়া হতে পারে।
    • পরিমাণের তুলনায় বেশি খেলে সর্দি ও ঘামের সমস্যা হতে পারে।

    ক্যাপসিকাম এর স্বাদ কেমন

    ক্যাপসিকাম খেতে অনেক সুস্বাদু। যারা কখনো ক্যাপসিকাম খাননি তারা হয়তো মনে করেন ক্যাপসিকাম খেতে মনে হয় অনেক ঝাল। কারণ আমরা অনেকেই মনে করি এটি মূলত এক ধরনের মরিচ। এটি মরিচের মতো দেখতে হলেও এটি স্বাদ কিন্তু মরিচের মত নয়।
    এটি খেতে অনেকটাই মিষ্টির মত। এটি যে কোনো ভাবে রান্না করে খাওয়া যায়। যে কোন খাদ্যের মধ্যে দিয়ে রান্না করলে ওই খাদ্যে স্বাদ দ্বিগুণ বেড়ে যায়। তাই যারা এখনও পর্যন্ত ক্যাপসিকামের স্বাদ গ্রহণ করেননি। তারা দেরি না করে রান্না করে খাওয়ার মাধ্যমে স্বাদ গ্রহণ করতে পারেন। তবে অতিরিক্ত রান্না করলে এর স্বাদ ও গুনাগুন নষ্ট হয়ে যায়। এই দিকটা রান্না করার সময় খেয়াল রাখতে হবে।

    ক্যাপসিকাম খাওয়ার নিয়ম

    আপনারা হয়তো অনেকেই হোটেল অথবা রেস্টুরেন্টে ক্যাপসিকাম খেয়েছেন। তারা শুধুমাত্র খাবারের স্বাদ বাড়ানোর জন্যই ক্যাপসিকাম ব্যবহার করে। তারা ক্যাপসিকাম খাওয়ার নিয়ম গুলো তেমন ভাবে মেনে চলেনা। এইজন্য রেস্টুরেন্টে ক্যাপসিকাম খেলে তেমন একটা উপকারিতা পাওয়া যায় না।
    ক্যাপসিকাম রান্না করেও খাওয়া যায়। যেমন নুডুলস, বিরিয়ানি, তরকারি, ফ্রাইড রাইস ও সুপ আরো অনেক ভাবে রান্না করে খাওয়া যায়। তবে রান্না করার সময় একটি জিনিস খেয়াল রাখতে হবে। যেন কোনো ভাবেই অতিরিক্ত পরিমাণে রান্না না করা হয়।

    তাহলে ক্যাপসিকামে থাকা পুষ্টি ও গুনাগুন গুলো কমে যাবে। সবচেয়ে ভালো হয় যদি রান্না না করে সালাদ অথবা খালি মুখে চিবিয়ে খাওয়া যায়। তাহলে এর উপকারিতা নষ্ট হবে না। যারা নিয়মিত ডায়েট মেনে চলেন তারা ডায়েটের খাদ্য তালিকার মধ্যে ক্যাপসিকাম রাখতে পারেন। কারণ ডায়েটের মাধ্যমে ক্যাপসিকাম খেলে উপকারিতা বেশি পাওয়া যায়। তেলে ভেজে অথবা রান্না করে খাওয়ার চেয়ে।

    ক্যাপসিকাম এর ব্যবহার

    ক্যাপসিকাম এর ব্যবহার সর্বত্রই করা যায়। আপনি চাইলে ক্যাপসিকাম কে রান্নায় ব্যবহার করতে পারবেন। আবার সালাদ তৈরিতেও ব্যবহার করতে পারবেন। আবার ডায়েটের সময় খাদ্য তালিকায় যুক্ত করতে পারবেন। যেই ভাবে ইচ্ছে সেই ভাবে ব্যবহার করে ক্যাপসিকাম খেতে পারেন।
    কিন্তু কখনোই অতিরিক্ত পরিমাণে এর ব্যবহার করবেন না। অতিরিক্ত পরিমাণে যে কোন কিছুতে ব্যবহারের ফলে তার কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায়। তাই পরিমাণ মতো ক্যাপসিকাম এর ব্যবহার নিশ্চিত করুন। তাহলে এই ক্যাপসিকাম এর পুষ্টি ও গুনাগুন অক্ষুন্ন থাকবে।

    ক্যাপসিকামের কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর

    ১। ক্যাপসিকাম এর দাম কত টাকা কেজি?
    উত্তরঃ ক্যাপসিকাম বাজারের মূল্য ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা হয়ে থাকে। তবে বাজারের পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে।

    ২। ক্যাপসিকাম কোথায় পাওয়া যায়?
    উত্তরঃ ক্যাপসিকাম বিভিন্ন সবজির দোকান অথবা বাজারে কিনতে পাবেন। কিন্তু কেনার আগে অবশ্যই যাচাই-বাছাই করে তারপরে কিনবেন। আবার আপনি চাইলে বিভিন্ন অনলাইন শপে মাধ্যমেও ক্যাপসিকাম অর্ডার দিয়ে কিনতে পারেন।

    ৩। অতিরিক্ত ক্যাপসিকাম খাওয়া কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?
    উত্তরঃ অতিরিক্ত ক্যাপসিকাম খেলে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই পরিমাণ মতো ক্যাপসিকাম খেতে হবে।

    ৪। ক্যাপসিকাম রান্না করে খেলে কি পুষ্টিগুণ হারিয়ে যায়?
    উত্তরঃ ক্যাপসিকাম রান্না করে খেলে পুষ্টিগুণ হারিয়ে যায় না। তবে অতিরিক্ত রান্নার মাধ্যমে ক্যাপসিকামের পুষ্টিগুণ হারিয়ে যেতে পারে।

    ৫। ক্যাপসিকাম কাঁচা খেলে কি হয়?
    উত্তরঃ ক্যাপসিকাম কাঁচা খেলে উপকারিতা ও পুষ্টি গুনাগুন বেশি পাওয়া যায়।

    ৬। ক্যাপসিকাম কখন খাওয়া উচিত?
    উত্তরঃ ক্যাপসিকাম যে কোনো সময় খাওয়া যায়। এটি খাওয়ার জন্য কোন নির্দিষ্ট সময়ের প্রয়োজন পড়ে না।

    ৭। ক্যাপসিকাম প্রতিদিন খেলে কি হয়?
    উত্তরঃ ক্যাপসিকাম প্রতিদিন খেলে স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার। প্রতিদিন খাওয়ার মাধ্যমে অনেক ধরনের রোগ থেকে মুক্ত হতে পারেন।

    শেষ কথা

    প্রিয় পাঠক ইতিমধ্যে আপনারা ক্যাপসিকাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছেন। আশা করা যায় এই তথ্যগুলো পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন। আর সত্যি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার পরিবার ও বন্ধুদের সাথে তথ্যটি শেয়ার করুন। যাতে করে ক্যাপসিকাম সম্পর্কে তারাও তথ্যগুলো জানতে পারে। সম্পূর্ণ তথ্যটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

    এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

    পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
    এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

    এসএইচ নিউজস্টোরের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

    comment url