কাঁচা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা, অপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম জেনে নিন

আপনি কাঁচা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জানার জন্য আগ্রহী। তাহলে এই পুরো তথ্যটি বিস্তারিত পড়ার মাধ্যমে কাঁচা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন। এখানে এমন কিছু কাঁচা বাদাম খাওয়ার নিয়ম তুলে ধরা হয়েছে। যে নিয়ম গুলো মেনে খাওয়ার মাধ্যমে মাধ্যমে কাঁচা বাদামের উপকার গুলো পাবেন।
কাঁচা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা, অপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম জেনে নি
আমরা বাদাম দিয়ে অনেক কিছু রান্না করে খায়। কারণ বাদাম খেতে অনেক সুস্বাদু ও উপকারী। বাদাম অনেক ভাবে খাওয়া যায়। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে খাওয়া যায়। রাতে ঘুমানোর আগে খাওয়া যাই। আপনার যেভাবে খেতে ভালো লাগে সেভাবেই নিয়ম মেনে খেতে পারেন।
পোস্ট সূচিপএঃ 

    কাঁচা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতার সারসংক্ষেপ

    আমরা সকলেই বাদাম খেতে পছন্দ করি। কিন্তু বাদামের মধ্যে যে উপকারিতা গুলো লুকিয়ে রয়েছে। বিশেষ করে কাঁচা বাদামের মধ্যে যে উপকারিতা গুলো রয়েছে সেগুলো জানিনা। বাদাম আমাদের শরীরের মাংস বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। আপনারা যারা নিয়মিত জিম অথবা শারীরিক পরিশ্রম করে থাকেন। তাদের জন্য কাঁচা বাদামের মধ্যে রয়েছে বিশেষ উপকারিতা।
    শারীরিক পরিশ্রম করার পরে যদি খালি পেটে ৭ থেকে ৮ কাঁচা বাদাম খেতে পারেন। তাহলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার বৃদ্ধি পাবে। শারীরিক পরিশ্রম ছাড়াও কাঁচা বাদাম খাওয়ার মধ্যে উপকারিতা রয়েছে। সকল ধরনের ব্যক্তি কাঁচা বাদাম খেয়ে উপকার নিতে পারে। তাহলে আর দেরি না করে কাঁচা বাদামের মধ্যে কোন কোন পুষ্টিগুণ ও অপকারিতা রয়েছে তা জেনে নিন।

    কাঁচা বাদাম খেলে কি হয়

    কাঁচা বাদাম খাওয়ার মধ্য দিয়ে অনেক প্রকারের উপকারিতা পেতে পারেন। কাঁচা বাদামের মধ্যে যে সকল উপাদান রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড, জিংক, কপার, ক্যাটোরিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, প্রোটিন সহ আরো অনেক উপাদান।
    যা আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, ত্বকের উজ্জ্বলতা, চুলকে মজবুত, হাড়কে মজবুত, ক্যান্সার প্রতিরোধ ও ডাইবেটিস সহ আরো অনেক রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। তাইতো আপনি যদি নিয়মিত কাঁচা বাদাম আট থেকে দশ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখার পরে খেতে পারেন। তাহলে আপনি অনেক রোগের হাত থেকে রক্ষা পাবেন।

    শুধু যে কাঁচা বাদাম খেলে উপকারিতা পাওয়া যাবে ঠিক এমন নয়। আপনি চাইলে কাঁচা বাদামের পাশাপাশি ভাজা বাদামো খেতে পারেন। ভাজা বাদামের মধ্যেও লুকিয়ে রয়েছে অসংখ্য উপকারিতা। তবে তেলে ভাজা কাঁচা বাদাম খাওয়া যাবেনা। এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বয়ে আনতে পারে। বালু গরম করে তার মধ্যে কাঁচা বাদাম ভাজতে হবে। এই ভাবে বাদাম ভেজে খেলে এর উপকারিতা নষ্ট হয় না।

    কাঁচা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা

    বাদাম খাওয়ার মধ্যে লুকিয়ে আছে অসংখ্য পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা। বাদামের মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, কপার, ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সব আরো কিছু উপাদান। যা আপনার শরীরের হাড়কে মজবুত ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি সহ আরো অনেক রোগের সমাধান হিসেবে কাজ করে।
    কাঁচা বাদাম ও ভাজা বাদাম দুই প্রকারের বাদাম খাওয়ার মধ্যে আছে উপকারিতা। তবে তেলে ভাজা বাদাম খাওয়া যাবে না। এই তেলে ভাজা বাদাম খাওয়ার মধ্যে কোন উপকারিতা নেই। পরিমাণ মতো বালু দিয়ে বাদাম ভেজে খেতে পারেন। এভাবে খেলে মিলবে উপকারিতা।

    আজকে আপনাদেরকে যে বিষয়টি জানাতে চলেছি সেটি হচ্ছে কাচা বাদাম খাওয়ার উপকারিতাগুলো। আশা করা যায় বাদাম খাওয়ার উপকারিতা গুলো জেনে আপনি উপকৃত হবেন।

    ১। ত্বক ও চুলঃ কাঁচা বাদামে থাকা গুনাগুন ত্বকের টক্সিন ভাব দূর করতে সহায়তা করে। যার ফলাফল ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এছাড়াও ত্বকের ব্রুণ ও ফুসকুড়ি দূর করে থাকে। বাদামের মধ্যে ভিটামিন ই থাকায় চুলকে মজবুত ও চুল পড়া কমাতে দারুন কাজ করে। নিয়মিত বাদাম খাওয়ার মাধ্যমে এই উপকারিতা পেতে পারেন।

    ২। হাড় শক্তিশালীঃ যে সকল ব্যক্তিদের বয়সের প্রভাবে হার দূর্বল হয়ে পড়েছে। চলাফেরা করতে কষ্ট হয়। বসার সময় মাজায় ব্যাথা লাগে ও হাত-পা সহ আরো অনেক স্থানে হাড়ের ব্যথা সহ্য করতে হয়। তারা নিয়ম মাফিক বাদাম খাবেন। বাদামের মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন যা আপনার হাড়কে মজবুত করতে সহায়তা করে। শুধু বয়স্ক ব্যক্তিরা নয় যুবক ও কিশোর সবাই খেতে পারবে। যাতে এখন থেকে তাদের হাড়কে মজবুত ও শক্ত রাখতে পারে।

    ৩। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাঃ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য নিয়মিত বাদাম খেতে পারেন। বাদাম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।

    ৪। উচ্চ রক্তচাপঃ আপনার শরীরে যদি উচ্চ রক্তচাপ ও রক্তের শর্করার পরিমাণ বেশি থাকে, তাহলে কাঁচা বাদাম খেতে পারেন। কাঁচা বাদামের মধ্যে রয়েছে এমন সকল উপাদান যা সমস্যার সমাধানে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন কমপক্ষে দশটি করে কাঁচা বাদাম খান। এতে শরীরের জন্য উপকারিতা মিলবে।
    ৫। ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ অন্যান্য যে সকল খাদ্য আছে ওজন কমাতে সাহায্য করে। তাদের মধ্যে বাদাম হচ্ছে অন্যতম। আপনি যদি ডায়েটের খাদ্য তালিকায় বাদাম রাখেন এবং সেটি নিয়মিত খান। তাহলে এই বাদাম শরীর থেকে ওজন কমাতে সাহায্য করবে। কারণ বাদামের মধ্যে আছে প্রোটিন ও ফ্যাট যা খাবার খাওয়া থেকে দূরে রাখবে।

    ৬। রক্তশূন্যতা দূর করতে সাহায্যঃ যদি কোন ব্যক্তির শরীরের রক্তশূন্যতা অথবা রক্তের ঘাটতি থাকে। তাহলে সে যেন নিয়মিত কাঁচা বাদাম খাই। রক্তশূন্যতার অন্যতম কারণ হচ্ছে শরীরে আয়রনের স্বল্পতা। শরীরের আয়রনের পরিমাণ বৃদ্ধি করার জন্য নিয়মিত কাঁচা কাজু অথবা কাঁচা চিনা বাদাম খেতে পারেন। এর জন্য এক মুঠো কাঁচা বাদাম ৮ থেকে ১০ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।

    ৭। মস্তিষ্ক বিকাশিতঃ মানুষের বয়সের সাথে সাথে তাদের মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি বিলুপ্ত হতে শুরু করে। এই মস্তিষ্কের স্মৃতি দীর্ঘজীবী করার জন্য কাঁচা বাদাম খেতে পারেন। বাদামের মধ্যে রিবোফ্লাভিন ও ম্যাগনেসিয়াম সহ আরো কিছু উপাদান আছে যা স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতে সহায়তা করে। বয়স্ক ব্যক্তি সহ যেকোন বয়সের মানুষ খাওয়ার মাধ্যমে উপকারিতা গ্রহণ করতে পারে।

    ৮। ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তাঃ কিছু গবেষণা থেকে পাওয়া গেছে বাদাম শরীরের ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে দারুন ভূমিকা পালন করে। শরীরের কোলন ও স্তন ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। তাই নিয়মিত সাত থেকে আটটি বাদাম খেতে পারেন।

    ৯। হজম শক্তি বৃদ্ধিঃ যে সকল ব্যক্তিরা হজমের সমস্যায় ভুক্তভোগী। তারা নিয়মিত কাঁচা বাদাম খেতে পারেন। তাছাড়া কাচা বাদাম গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার সমাধান করতে পারে। হজমের সমস্যা রয়েছে তারা ভুলেও ভাজা বাদাম খাবেন না। কারণ ভাজা বাদাম শক্ত হয়ে থাকে। যার ফলে হজমের সমস্যা হতে পারে।

    ১০। ভালো কোলেস্ট্ররলঃ বাদাম শরীরের ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। যা আপনার শরীরের হার্টের সমস্যা দূরীভূত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে। তাইতো নিয়মিত ডায়েটের খাবার তালিকায় কাঁচা বাদাম যুক্ত করুন। বাদামের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম ও ফাইটোস্টেরল যা শরীরে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে থাকে।

    ১১। দাঁতের সমস্যার সমাধানঃ দাঁত শরীরের গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। একটি প্রবাদ আছে দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম না বোঝা। অতএব যাদের দাঁত আছে তাদের এর প্রতি যত্নশীল হতে হবে।
    বাদামের মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন যা দাঁতের মাড়িকে মজবুত করতে সহায়তা করে। তাছাড়া চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখার জন্য বাদামের মধ্যে রয়েছে উপকারিতা। তাই আপনি যদি নিয়মিত ৮ থেকে ১০ টি কাঁচা বাদাম খেতে পারেন। তাহলে এই সকল উপকারিতা পাবেন।

    ১২। ডায়াবেটিস ভালো করেঃ কাঁচা বাদাম শরীরের রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। কেউ যদি সকালে প্রত্যেকদিন নিয়ম করে ৫ থেকে ৬ টি কাঁচা বাদাম খেতে পারে। তাহলে ডায়বেটিসের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। তাই শারীরিক চর্চার পাশাপাশি নিয়মিত কাঁচা বাদাম খেতে পারেন।

    ১৩। শরীরে বাতের ব্যথাঃ যাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ বাতের ব্যথা রয়েছে। এই ব্যথার জন্য জীবন কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাতের ব্যথার কারণে ঠিকভাবে ওঠা ও বসা যায় না। তাই যাদের বাতের ব্যথায় জীবন অথিষ্ট হয়ে গেছে। আর এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি ঘরোয়া উপায় হচ্ছে কাঁচা বাদাম। কাঁচা বাদামের মধ্যে অনেক গুণাগুণ রয়েছে। যা আপনার ব্যথা দূরীভূত করতে সাহায্য করবে।

    ১৪। আয়রনের ঘাটতি পূরণঃ যাদের শরীরে আয়রনের ঘাটতি আছে তারা নিয়মিত কাঁচা বাদাম খেতে পারেন। কাঁচা বাদামের মধ্যে রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন ই, ক্যাটোরিন ও ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড সহ আরো কিছু উপাদান যা আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতে সহায়তা করে। তাই কাঁচা বাদাম খাওয়ার মধ্যে উপকার রয়েছে। আপনারা যদি এর উপকারিতা পেতে চান তাহলে নিয়মিত কাঁচা বাদাম খেতে হবে।

    কাঁচা বাদাম খাওয়ার অপকারিতা

    কাঁচা বাদাম খাওয়ার মধ্যে উপকারিতা ও অপকারিতা দুটোই লুকিয়ে রয়েছে। কেউ যদি অতিরিক্ত বাদাম খায় তাহলে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বহন করতে হবে। যে কোন ধরনের খাদ্য অতিরিক্ত গ্রহণ করা যাবেনা। তাহলে সে খাদ্যের উপকারিতা থেকে অপকারিতাই বেশি পাওয়া যাবে। সুতরাং কাঁচা বাদাম অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে কোন কোন অপকারিতা হতে পারে তা জেনে নিতে পারেন।
    • অতিরিক্ত কাঁচা বাদাম খেলে ডায়াবেটিস বেড়ে যেতে পারে।
    • বাদামের মধ্যে রয়েছে এলার্জি। যাদের এলার্জির সমস্যা রয়েছে তারা বাদাম খাওয়া থেকে দূরে থাকুন।
    • ভাজা বাদাম খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে তারা কাঁচা বাদাম খাবেন।
    • অতিরিক্ত বাদাম খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে।
    • কাঁচা বাদামে ক্যালরি আছে যা অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
    • যেই সকল ব্যক্তিদের কিডনিতে সমস্যা রয়েছে তারা কাঁচা ও ভাজা কোন ধরনের কাজু বাদাম খাবেন না।
    • অতিরিক্ত বাদাম খাওয়ার ফলে হাড়ের সমস্যা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া, এজমা সহ শরীরে আরো অনেক ধরনের ক্ষতি হতে পারে।

    কাঁচা বাদাম খাওয়ার নিয়ম

    কোন খাবারের উপকারিতা পাওয়ার জন্য সেই খাবারের নিয়ম গুলো জানা প্রয়োজন। ঠিক তেমনি কাঁচা বাদাম খাওয়ার নিয়ম জেনে নেওয়া সকলেরই প্রয়োজন। অনেকেই নিয়ম না জানার কারণে অতিরিক্ত কাঁচা বাদাম খেয়ে নেই। যার ফলস্বরূপ ওই ব্যক্তিকে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ক্ষতির মধ্যে পড়তে হয়।
    যাতে কোন প্রকার শারীরিক ক্ষতির সম্মুখীন না হতে হয়। সেই জন্য কাঁচা বাদাম খাওয়ার কিছু নিয়ম আছে। আপনাদেরকে জানানোর জন্য নিচে নিম্নে কাঁচা বাদাম খাওয়ার নিয়ম তুলে ধরা হয়েছে।
    • এক গ্লাস দুধের মধ্যে ৪ থেকে ৫ টি কাঁচা বাদাম কুচি কুচি করে কেটে মিস করে খাওয়া যায়। দিনের যেকোনো সময় খেতে পারবেন। কিন্তু সব থেকে উত্তম সময় হচ্ছে রাত ঘুমানোর আগে খাওয়া।
    • রাতে ঘুমানোর আগে ১০ টি বাদাম ৯ থেকে ১০ ঘণ্টার মতো পানির মধ্যে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে খেয়ে ফেলুন। এভাবে নিয়মিত সকালে ঘুম থেকে উঠে কাঁচা বাদাম খেতে পারলে। অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাবেন।
    • রান্না করার মাধ্যমে কাঁচা বাদাম খাওয়া যায়। যেমন পাইস, সামাই, নুডুলস সহ বিভিন্ন ভাবে রান্না করে খাওয়া যায়। কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে কোন কিছুর মধ্যে দেওয়া যাবে না। অতিরিক্ত খেলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে।

    সকালে কাঁচা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা

    দিন অথবা রাতের যে কোন সময় কাঁচা বাদাম খাওয়া যায়। তবে সব সময় খাওয়ার মধ্যে বেশি উপকারিতা পাওয়া যায় না। নির্দিষ্ট কিছু সময় থাকে যেগুলো সময় বাদাম খেলে উপকারিতা বেশি পাওয়া যায়। তার মধ্যে একটি হচ্ছে সকালে ঘুম থেকে উঠে কাঁচা বাদাম খাওয়া। যদি নিয়মিত সকালে খালি পেটে কাঁচা বাদাম খেতে পারেন। তাহলে একটু বেশি উপকারিতা পাবেন। সকালে কাঁচা বাদাম খাওয়ার মাধ্যমে কোন উপকারিতাগুলো পাওয়া যায় তা নিচে উল্লেখ করা হলো।
    • দ্রুত ডায়াবেটিসের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
    • মস্তিষ্কের সৃজনশীলতা ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পাবে।
    • রক্তকে বৃদ্ধি ও বিশুদ্ধ করতে সাহায্য করবে।
    • ভালো কোলেস্টরেলের মাত্রা বৃদ্ধি করে।
    • রক্তের শর্করার মাত্রা কমাতে সহায়তা করে।
    • শরীরের যেকোনো স্থানের ব্যাথা দূর করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
    • শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে কাঁচা বাদামের দারুন ভূমিকা রয়েছে।

    কাচা বাদাম কোথায় পাওয়া যায়

    বাদাম পাওয়ার জন্য বাজারে যেতে হবে অথবা বিভিন্ন অনলাইন সপ রয়েছে সেখানে অর্ডার দিয়ে কিনে নিতে পারেন। তবে বাজার থেকে বাদাম কিনার আগে অবশ্যই যাচাই-বাছাই করে কিনুন। কিছু অসাধু ব্যবসায় রয়েছে যারা আপনার কাছে খারাপ বাদাম গুলো বিক্রি করতে পারে। এমনকি তারা আপনার কাছ থেকে বাদামের নির্ধারিত দামের থেকে বেশি দাম নিতে পারে। তাই ভরসামান কোন দোকান থেকে বাদাম কিনতে পারেন অথবা অনলাইন সবগুলো থেকে কিনতে পারেন।

    কাচা বাদাম এর দাম কত

    বাদাম অনেক ধরনের হয়ে থাকে কাজু বাদাম, চীনা বাদাম, পেস্তা বাদাম ইত্যাদি। কাজু বাদাম কেজি প্রতি ২০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। চীনা বাদাম প্রতি কেজি ২০০ টাকা পর্যন্ত হয়। একেক স্থানে এক এক রকম বাদামের দাম হয়। তবে সাধারণত এর উপরে যাওয়ার কথা না। তবুও আপনারা যাচাই-বাছাই করে বাদাম কিনবেন।

    শেষ কথা

    প্রিয় পাঠক, আপনারা ইতিমধ্যে কাঁচা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা তথ্যগুলো পড়ে নিয়েছেন। এই তথ্যগুলো পড়ে যদি উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে আপনার পরিবার ও বন্ধুদের সাথে তথ্যটি শেয়ার করুন। তাদেরকেও এই বিষয়ে জানার সুযোগ করে দিন। যাতে করে তারা কাঁচা বাদাম এর উপকার গুলো গ্রহণ করতে পারে। পুরো তথ্যটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

    এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

    পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
    এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

    এসএইচ নিউজস্টোরের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

    comment url