কাজু বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও ক্ষতিকর দিক
নিশ্চয়ই কাজু বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও ক্ষতিকর দিকগুলো জানার জন্য খোঁজাখুঁজি করছেন। তাহলে এখান থেকে কাজু বাদাম খাওয়ার উপকার ও পুষ্টি গুনাগুন সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন। এই বাদামটির মধ্যে এমন কিছু উপকারিতা ও অপকারিতার লুকিয়ে রয়েছে তার সকলের জানা প্রয়োজন। যা পুরো তথ্যটি পড়ার মাধ্যমে জেনে নিতে পারবেন।
আমরা সকলেই কখনো না কখনো কাজু বাদাম খেয়েছি কিংবা আবার নতুন ভাবে খাওয়ার জন্য আগ্রহী। আবার অনেকেই আছেন যারা নিয়মিত খাচ্ছেন। কিন্তু বাদাম খাওয়ার নিয়ম গুলো সম্পর্কে অবগত নন। তাহলে পুরো তথ্যটি বিস্তারিত করে নিন।
পোস্ট সূচিপএঃ
সারসংক্ষেপ
বাংলাদেশে কাজু বাদামের চাহিদা অনেক বেশি। হবেই না কেন কাজু বাদাম খাওয়ার অনেক উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ রয়েছে। দেশের প্রায় অধিকাংশ বাড়িতেই কাজু বাদাম পাওয়া যাবে। কারণ দেশের মানুষ এখন নিজের স্বাস্থ্য নিয়ে বেশি সচেতন।
কাজু বাদাম সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হচ্ছে রান্না করে খাওয়ার মাধ্যমে। গরুর মাংস থেকে শুরু করে পোলাও ভাত পর্যন্ত সব জায়গায় কাজু বাদাম রয়েছে। কিন্তু রান্নার সময় অতিরিক্ত পরিমাণে বাদাম দেওয়া যাবে না। তাহলে এই বাদামের মধ্যে কোন উপকারিতা থাকবে না।
আরো পড়ূনঃ খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খেলে কি হয়
উপকারিতার থেকে অপকার বেশি পাওয়া যাবে। তাই এর পুষ্টিগুণ পেতে হলে নিয়ম গুলো মেনে খেতে হবে। ছোট থেকে শুরু করে বড় সকলেই বাদামটি খেতে পারবে। কিন্তু ছোটদেরকে কম পরিমাণে বাদামটি খাওয়ান। এই ধরেন ৪ থেকে ৫টি কাজু বাদাম এর বেশি নয়। প্রাপ্তবয়স্কদের ৮ থেকে ১০ টি এর বেশি নয়। এর বেশি খাওয়ালে অপকারিতা বহন করতে হতে পারে।
কাজু বাদাম খেলে কি হয়
কাজু বাদাম খাবার কে সুস্বাদু করে। কাজু বাদামে যে সকল উপাদান আছে প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়াম, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড ওমেগা সিক্স ফ্যাটি এসিড সহ আরো কিছু উপাদান।
আরো পড়ূনঃ পুরুষদের জন্য আদার উপকারিতা
যা আপনার দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, চোখের দৃষ্টিশক্তি উন্নত, ত্বকের উজ্জ্বলতা, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, ওজন কমাতে ও ক্যান্সার প্রতিরোধক সহ আরো কিছু রোগ নিয়ন্ত্রণ করে। তাই যদি নিয়মিত কাঁচা বাদাম খেয়ে খেতে পারেন। তাহলে এই সকল রোগের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন।
কাজু বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
যারা বাদাম খেতে খুব পছন্দ করেন। তারা নিয়মিত কাজু বাদাম খেতে পারেন। কারণ কাজুবাদাম খাওয়ার মধ্যে রয়েছে এমন কিছু উপকারিতা যা অন্য কোন বাদামে পাওয়া যাবে না।
আরো পড়ূনঃ পাকা বেল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
এই বাদামের মধ্যে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড, প্রোটিন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, কপার, ম্যাগানিজ সহ আরো কিছু পুষ্টিকর উপাদান। এই উপাদান গুলো শারীরিক ও দৈহিকভাবে সুস্থ থাকতে সহায়তা করে। তাহলে কাজুবাদাম খাওয়ার মধ্যে কোন কোন উপকারিতা লুকিয়ে রয়েছে তা জেনে আসা যাক।
১। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাঃ যে সকল ব্যক্তিরা নিয়মিত কাজু বাদাম খেয়েছে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আগের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। কাজু বাদামের মধ্যে এমন কিছু উপাদান আছে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। আর আপনাকে করে তুলবে সুস্থ ও স্বাভাবিক একজন মানুষ।
২। চোখের দৃষ্টি উন্নতঃ যারা সূর্যের আলোক রশ্মি থেকে দূরে দূরে থাকতে পছন্দ করেন। অতিরিক্ত ধুলাবালি এড়িয়ে চলা ও রাতের সময় চোখে কম দেখেন। তারা নিয়মিত কাজু বাদাম খেতে পারেন। কারণ কাজু বাদামের মধ্যে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও জিয়াজ্যানথিন নামক দুটি উপাদান। যা চোখের দৃষ্টিশক্তি ও রাতকানা রোগের হাত থেকে রক্ষা করে। তাইতো নিজের দৃষ্টি শক্তিকে ভালো রাখতে দিনে ৭ থেকে ৮টি কাজুবাদাম খেতে পারেন।
৩। ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ বাহিরের ফাস্টফুড ও অন্যান্য অস্বাস্থ্যকর খাদ্য খাওয়ার ফলে যাদের ওজন বেড়ে গেছে। আর এখন চাইলেও এই অস্বাস্থ্যকর খাবারগুলো খাওয়া থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পারছেন না। যদি ওজন বাড়ার জন্য দুশ্চিন্তায় ভোগেন। আপনার দুশ্চিন্তা কমাতে রয়েছে কাজু বাদাম।
কাজু বাদামের মধ্যে থাকা ফাইবার, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও প্রোটিন উপাদান গুলো ওজন কমাতে সাহায্য করে। এই পুষ্টিকর উপাদান গুলো অতিরিক্ত খাবার খাওয়া থেকে নিজেকে দূরে রাখতে সহায়তা করে। যার ফলে আস্তে আস্তে শরীর থেকে ওজন কমানোর পাশাপাশি খাওয়ার চাহিদাও কমায়।
৪। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণঃ যারা ডায়াবেটিসের কারণে বিভিন্ন ধরনের খাবার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। নিজের ইচ্ছেমতো কোন খাবার খেতে পারছেন না। আর যদি ডায়াবেটিস নিয়ে খুবই চিন্তিত থাকেন। তাহলে কাজু বাদামের মধ্যে লুকিয়ে আছে সমাধান।
এই বাদামের মধ্যে ফাইবার সহ আরো কিছু উপাদান। যা শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহযোগিতা করে। যার ফলাফল হিসেবে ডায়াবেটিস ও নিয়ন্ত্রণ করে। তাই নিয়মিত সকালে ঘুম থেকে উঠে অথবা দিনের যেকোনো সময় ৫ থেকে ১০ টি কাজু বাদাম খেতে পারেন।
৫। চুলের উজ্জ্বলতাঃ পৃথিবীতে সকলেই চাই নিজেকে অন্যের সামনে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে। এই উপস্থাপন করার জন্য বিপক্ষে বাধা হয়ে ধারায় চুল। আর যদি এই বিষয় নিয়ে আপনি চিন্তিত থাকেন। তাহলে নিয়মিত কাজু বাদাম খেতে পারেন।
আরো পড়ূনঃ বরই পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
কাজু বাদামে থাকা উপাদান চুলের গোড়া মজবুত ও উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আবার বাজারে অথবা অনলাইনে কাজু বাদামের তেল পাওয়া যায়। এই তেল নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন।
৬। হাড় মজবুতঃ পৃথিবীর সকল ব্যক্তি একসময় বৃদ্ধ হয়ে পড়বে এটাই প্রকৃতির নিয়ম। তবে নিজেকে নিয়মের ভিতরে নিয়ে আসতে পারলে বৃদ্ধ হওয়ার পরেও হাড় মজবুত থাকবে।
আপনি যদি প্রত্যেকদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ৮ থেকে ১০ টি কাজু বাদাম খান তাহলে হাড় মজবুত হবে। কাজু বাদামে রয়েছে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম যা হাড়ের ক্ষয় রোধ করার পাশাপাশি মজবুত করতে সহায়তা করে। এছাড়া বাতের ব্যথা দূরীভূত করতেও সাহায্য করে।
৭। ত্বকের উজ্জ্বলতাঃ যাদের অল্প বয়সে চেহারায় বৃদ্ধের মত ভাজ পড়ে গেছে। আবার চেহারার উজ্জ্বলতা দিন দিন কমে যাচ্ছে। নিজেকে অন্যের সামনে দাঁড়া করাতে লজ্জাবোধ করছে। এই সমস্যাগুলোর সমাধান রয়েছে কাজু বাদামে। কাজু বাদামে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের খারাপ কোষগুলোকে ধ্বংস করতে সাহায্য করে। যার ফলাফল সরূপ হিসেবে ত্বকের উজ্জ্বলতা ও বার্ধক্যের ছাপ দূর করে।
৮। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাঃ কাজুবাদাম নিয়মিত খেলে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। যার ফলাফল হিসেবে মলত্যাগের সময় সমস্যা হয় না। এছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য যে সমস্যাগুলো হয় তা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে একমুঠো কাঁচা কাজু বাদাম খেলে ভালো হয়। দিনের অন্যান্য সময় খেতে পারেন তবে খালি পেটে খেলে উপকারিতা বেশি।
৯। ক্যান্সার প্রতিরোধঃ কাজু বাদামে থাকা উপাদান ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শরীরে যে সকল কোষ রয়েছে তাদেরকে সুরক্ষা দেয়। তাই প্রত্যেকদিন কাজু বাদাম খেয়ে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ান।
আরো পড়ূনঃ তোকমা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
১০। শরীরে ব্যথা উপশমঃ যাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা করে। যেমন মাজা ব্যথা, হাঁটুতে ব্যথা ও মাথা ব্যথা তারা নিয়মিত কাজু বাদাম খাওয়ার মধ্যে উপকারিতা পাবেন। কাজু বাদামে রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন যা শরীরের ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে।
১১। হার্টের সমস্যার সমাধানঃ যারা নিয়মিত কাজু বাদাম খান তাদের জন্য রয়েছে কাজু বাদামের মধ্যে উপকারিতা। কাজু বাদামের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর মত উপাদান রয়েছে। যা হার্টকে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কাজু বাদাম খাওয়ার নিয়ম
পৃথিবীতে যত ধরনের খাবার রয়েছে প্রায় সকল খাদ্যেরই নিয়ম মেনে খেতে হয়। ঠিক তেমনি ভাবে কাজু বাদাম খাবার নিয়ম গুলো জেনে খাওয়ার উপকারিতা পাবেন। অন্যান্য যে সকল বাদাম আছে তাদের থেকে কাজু বাদাম খাওয়ার উপকারিতা বেশি তবে সেটা নিয়ম মেনে। কাজু বাদাম অনেক ভাবে খাওয়া যায়। কারণ এই বাদামটি খেতে প্রায় সকলেই পছন্দ করে। তাইতো কাজু বাদাম খাওয়ার কিছু নিয়ম নিচে উল্লেখ করা হলো।
আরো পড়ূনঃ প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত
- ২৫০ গ্রাম দুধের ভিতরে ৭ থেকে ১০ টি কাজু বাদাম ১০ থেকে ১২ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। সব থেকে ভালো হয় যদি রাতে ঘুমানোর আগে ভিজিয়ে রাখতে পারেন। কারণ সকালে ঘুম থেকে উঠে দুধে ভেজানো কাজু বাদাম খাওয়ার মধ্যে উপকারিতা বেশি।
- কাজু বাদাম রান্না করে খেতে পারেন। যেমন পাইস, সেমাই, পোলাওয়ের ভাত, নুডুলস, ক্ষীর, মাংসের তরকারি ইত্যাদি ভাবে রান্না করে খাওয়া যায়। কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে দিয়ে রান্না করা যাবে না। তাহলে উপকারিতা থেকে অপকারিতায় বেশি পাওয়া যাবে।
- কাজু বাদাম এর মধ্যে কোন কিছু না মিশিয়ে খাওয়ার মধ্যে উপকারিতা রয়েছে। আপনি যদি নিয়মিত সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে পাঁচ থেকে সাতটি কাজু বাদাম খেতে পারেন। তাহলে আপনার জন্য যথেষ্ট হবে।
- কাজু বাদাম স্যালাত হিসেবেও খাওয়া যায়। টমেটো, শসা, গাজর ও কাজুবাদাম সাইজ অনুযায়ী কেটে সালাত হিসাবে খেতে পারেন। এই নিয়ম মেনে খাওয়ার মাধ্যমে আপনি অনেক উপকারিতা পাবেন।
- যারা ডায়েট মেনে খাবার খান। তারা নিয়মিত ডাইটের খাদ্যের মধ্যে কাজু বাদাম রাখতে পারেন। এতে করে আগের তুলনায় শরীরে আরো প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ও ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
আরো পড়ূনঃ মুলতানি মাটির উপকারিতা ও অপকারিতা
এই নিয়মগুলো মেনে যদি নিয়মিত কাজু বাদাম খেতে পারেন। এই বাদাম অনেক রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করবে। কাজু বাদাম প্রচুর পুষ্টিগুণে ভরপুর যা শুধুমাত্র খাওয়ার পরেই বুঝতে পারবেন। তাই নিয়ম মেনে বাদামটি নিয়মিত খেতে থাকুন আর এর উপকার গুলো লুটে নিন।
কাজু বাদামের ক্ষতিকর দিক
প্রত্যেকটি খাদ্যের উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে। ঠিক তেমনি ভাবে কাজ বাদামের ও কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে। তবে যদি নিয়ম না মেনে অথবা অতিরিক্ত পরিমাণে কাজুবাদাম খাওয়া হয়। তাহলে এর উপকারের থেকে ক্ষতি বেশি হবে। যারা মনে করেন যত বেশি খাব তত বেশি উপকার।
তাহলে ভুল ধারণার মধ্যে বসবাস করছেন। কারণ শরীর চাহিদা অনুযায়ী পুষ্টি গ্রহণ করে থাকে। এর বেশিও গ্রহণ করবে না এর কমও গ্রহণ করবে না। তাইতো কাজু বাদাম খাওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে সেগুলো মেনে খান। আর অতিরিক্ত কাজুবাদাম খেলে কোন ক্ষতিগুলোর সম্মুখীন হতে হবে তা নিচে উল্লেখ করা হলো।
- অতিরিক্ত কাজু বাদাম খাবার ফলে কিডনির ক্ষতি হবে।
- যাদের এলার্জির সমস্যা আছে তারা কাজু বাদাম খাওয়া থেকে দূরে থাকুন।
- অতিরিক্ত কাজু বাদাম খেলে গ্যাস ও এজমার সমস্যা হবে।
- তেলে ভাজা কাজু বাদাম খাওয়া যাবেনা এতে ক্ষতি হতে পারে।
- এছাড়াও অতিরিক্ত কাজু বাদাম খেলে হার্টের সমস্যা, ডায়াবেটিস বেড়ে যাওয়া ও ওজন বেড়ে যেতে পারে।
সকালে খালি পেটে কাজু বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
আপনি যদি নিয়মিত সকালে খালি পেটে কাজু বাদাম খেতে পারেন। তাহলে শারীরিক ও দৈহিকভাবে সুস্থ থাকতে পারবেন। রাতে ঘুমানোর ১০ থেকে ১২ ঘন্টা আগে পানির মধ্যে কাজু বাদাম ভিজিয়ে রাখুন। অবশ্যই ১০টির বেশি কাজ বাদাম ভেজাবেন না।
তারপরে সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে বাদাম গুলো খেয়ে ফেলুন। এভাবে প্রতিদিন ও নিয়মিত খেতে পারলে অনেক রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করবে। সকালে খালি পেটে কাজু বাদাম খেলে কোন উপকারিতা গুলো পাওয়া যায় তা নিচে উল্লেখ করা হলো।
- কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- শারীরিক ও দৈহিকভাবে শক্তিশালী হওয়া যায়।
- পুরুষের যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে দারুন কাজ করে।
- মস্তিষ্ক সতেজ রাখার পাশাপাশি স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
- হাড়কে মজবুত রাখতে সহায়তা করে।
কাজু বাদাম কি ভেজে খেতে হয়
কাজু বাদাম ভিজিয়ে খাওয়ার মধ্যে উপকারিতা বেশি। রাতে ঘুমানোর আগে একমুঠো কাজু বাদাম ভিজিয়ে রাখুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে অথবা দিনের যেকোনো সময় ভেজানো কাজুবাদাম খেতে পারেন। ভেজানোর নিয়ম হচ্ছে কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে।
কাঁচা অথবা বালুতে ভেজে বাদাম খাওয়ার যে উপকারিতা রয়েছে। তার থেকে দ্বিগুণ উপকারিতা পাওয়া যায় ভিজিয়ে খাওয়ার মধ্যে। তাই নিয়ম অনুসারে নিয়মিত ভেজানো কাজু বাদাম খান। ভেজেও কাজু বাদাম খেতে পারেন এর মধ্যেও অনেক গুনাগুন রয়েছে।
কাজু বাদাম সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্নের উত্তর
প্রতিদিন কয়টা কাজু বাদাম খাওয়া উচিত?
উত্তরঃপ্রতিদিন ৮ থেকে ১০ টি কাজু বাদাম খেতে পারেন। এর থেকে অতিরিক্ত বাদাম খাওয়া উচিত নয়। তাহলে স্বাস্থ্যের অনেক ক্ষতি হতে পারে।
কাজু বাদামের দাম কত?
উত্তরঃ বাজারে কাজু বাদামের দাম সর্বনিম্ন ১০০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। সময়ের উপর ভিত্তি করে দাম ওঠানামা করতে পারে।
কাজু বাদাম কোথায় পাওয়া যায়?
উত্তরঃ কাজু বাদামের উৎপত্তিস্থল হচ্ছে ব্রাজিল। সবচেয়ে বেশি পরিমাণে ব্রাজিল থেকে পুরো পৃথিবীতে কাজু বাদামের সাপ্লাই হয়। আর বাংলাদেশের বাজার গুলোতে বাদাম পাওয়া যাবে অথবা আপনি অনলাইনের মাধ্যমে অর্ডার করে কিনে নিতে পারেন।
১০০ গ্রাম কাজু বাদামে কত পরিমান ক্যালরি থাকে?
উত্তরঃ ১০০ গ্রাম কাজু বাদামে ৬০০ গ্রামের মতো ক্যালোরি থাকে।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক, আপনারা ইতিমধ্যে কাজু বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও ক্ষতিকর দিক গুলো জেনেছেন। এর গুনাগুন সম্পর্কে জেনে যদি উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে আপনার পরিবার ও বন্ধুদের বন্ধুদেরকে তথ্যটি সম্পর্কে জানান। যেন তারাও কাজু বাদাম সম্পর্কে জেনে উপকৃত হতে পারে। পুরো তথ্যটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
এসএইচ নিউজস্টোরের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url