কোন মৌসুমে কোন ফসল ভালো জন্মে - ১০টি বর্ষাকালীন সবজির নাম
অনেক খোঁজাখুঁজি করে কোন মৌসুমে কোন ফসল ভালো জন্মে তার কাঙ্খিত তথ্য গুলো পাচ্ছেন না। তাহলে কিছুক্ষণের জন্য খোঁজাখুঁজি বন্ধ করে কোন মৌসুমে কোন ফসল ভালো জন্মে তার কিছু তথ্য জেনে নিতে পারেন। এর মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে ১০টি বর্ষাকালীন সবজির নাম যা জেনে উপকৃত হবেন।
পৃথিবীর প্রত্যেকটি মানুষ সবজি খাওয়া ছাড়া তাদের পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করতে পারবেনা। তাই তো আমাদের একটি বিষয় জানা প্রয়োজন। যে কোন মৌসুমগুলোতে ভালো ফসল জন্মায়। যেন আমরা টাটকা সবজি খেতে পারি।
পোস্ট সূচিপএঃ
কোন মৌসুমে কোন ফসল ভালো জন্মে
আমাদের দেশের কৃষকরা ফসল উৎপাদনের জন্য মাথার ঘাম ও পায়ের ঘাম এক করে ফসল উৎপাদন করে। প্রত্যেকটি দেশের মাসের সংখ্যা বারটি হয় কিন্তু ঋতুর সংখ্যা সকল দেশের একই রকম হয় না। প্রত্যেকটি দেশের অবস্থান ও প্রাকৃতিক পরিবেশের উপর নির্ভর করে ঋতু তৈরি হয়।
তাইতো বাংলাদেশে কোন মৌসুমে কোন ফসল ভালো জন্মায় নির্ভর করে ঋতুর উপর। কোন দেশে চারটি ঋতু কোন দেশে দুইটি ঋতু আবার কোন দেশে পাঁচটি ঋতু। কিন্তু বাংলাদেশ পৃথিবীর একমাত্র দেশ যার ঋতুর সংখ্যা ছয়টি। আর এর উপরে নির্ভর করে আজকে আপনাদেরকে জানাবো কোন মৌসুমে কোন ফসল ভালো জন্মায় তার কিছু তথ্য তা নিম্নে নিচে তুলে ধরা হলো।
শীতকালীন ফসলের নাম
সাধারণত শীতকালীন সময়টা হচ্ছে বাংলা মাসের পোষ ও মাঘ বোঝানো হয়। আর ইংরেজি মাসের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়টা বোঝানো হয়। আর সাধারণত বাংলাদেশে এই মাসগুলোতেই শীত পড়ে থাকে।
আরো পড়ূনঃ মুলতানি মাটির উপকারিতা অপকারিতা
আর শীতকালীন সময়ে অন্যান্য মাসের থেকে সবচেয়ে বেশি সবজি ফলন হয়। আর যে সকল ফসল এই মৌসুমে ভালো জন্মে তার নামের তালিকা গুলো নিজে উল্লেখ করা হলো।
১। বেগুনঃ বেগুন দোআঁশ ও এটেল মাটিতে ভালো হয়। এই ফসলটি বারোমাসি হয়ে থাকে তবে শীতকালীন সময় ফসলের পরিমাণ বেশি হয়। তাই এটিকে শীতকালীন সবজিও বলা হয়। আপনি যদি ফসলটি উৎপাদন করতে চান। তাহলে আপনাকে দুই ভাবে বীজ নির্বাচন করতে হবে। বারোমাসি ফসল উৎপাদনের জন্য আলাদা বীজ ও শীতকালীন ফসল উৎপাদনের জন্য আলাদা বীজ।
২। হাজারী লাউঃ এই লাউটি খেতে অনেক সুস্বাদু। এটি চাষের উপযুক্ত সময় হচ্ছে শীতকালীন। লাউতি চাষের পরে ৫৫ দিনের মধ্যে বড় হয়ে যায়। লাউয়ের দুই ধরনের বীজ পাওয়া যায় হাইব্রিড ও লোকাল। আপনি চাইলে বাড়ির আশেপাশেও লাগাতে পারেন। একটি লাউয়ের ওজন ৪ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে।
৩। লাল শাকঃ আমরা সকলেই জানি আমাদের জন্য লাল শাক খাওয়া কতটা উপকারী। এই শাকটি ১২ মাস হয়ে থাকে। কিন্তু শীতের সময় চাষের জন্য খুবই উপযোগী। চাষের জন্য উপযোগী মাটি হচ্ছে এটেল ও দোআঁশ।
৪। পালং শাকঃ পালং শাক খায়নি এমন ব্যক্তি পাওয়া খুবই দুষ্কর। কারণ এটি খাবার হিসেবে খুবই সুস্বাদু। এই শাকটি শুধুমাত্র শীতকালীন সময় দেখা যায়। অন্যান্য সময় এটি দেখা যায় না বললেই চলে। এটি এটেল ও দোআঁশ মাটিতে সবচেয়ে ভালো হয়।
৫। ডাটাঁশাকঃ ডাটাঁশাক দুইটি মৌসুমে চাষ করা যায় খরা ও শীত। ডাটাঁশাক ঝরঝরে মাটিতে খুব ভালো হয়। আপনারা চাইলে ডাটা শাক চাষ করতে পারেন।
আরো পড়ূনঃ অশ্বগন্ধা কিভাবে খাবেন ও উপকারিতা
৬। বাঁধাকপিঃ শীতকালীন মৌসুমে বাঁধাকপি চাষের জন্য সবচেয়ে উপযোগী। বেলে ও পলি মাটিতে বাঁধাকপি চাষ ভালো হয়। আমরা অনেকেই বাঁধাকবির ভাজি খেতে পছন্দ করি।
৭। ফুলকপিঃ আমার মতে ফুলকপি হলো শীতকালীন সবজিদের মধ্যে রাজা। কারন এটি শীত উপযোগী একটি ফসল। এই সময় এমন বাড়ি খুঁজে পাওয়া দুষ্কর যেই বাড়িতে ফুলকপি খাওয়া হয় না। তাই আপনি চাইলে ফুলকপি বাড়ির আশেপাশেও চাষ করতে পারেন।
৮। ব্রকলিঃ শীতকালীন সবজির মধ্যে আরেকটি অন্যতম সবজি হচ্ছে ব্রকলি। আপনি যদি ব্রকলি চাষ করতে চান তাহলে মাটির পিএইচ এর পরিমাণ ৬.৭ থাকা প্রয়োজন। আর এই সুস্বাদু সবজিটি চাষের জন্য যে মাটির প্রয়োজন বেলে অথবা দোআঁশ মাটির প্রয়োজন। ব্রকলি ভাজি করে খেতে খুবই সুস্বাদু।
৯। মিষ্টি আলুঃ আমরা সকলেই কমবেশি মিষ্টি আলু খেয়েছি। এটি খেতে অনেক সুস্বাদু। আর এর উপকারিতাও রয়েছে মিষ্টি আলুর মধ্যে কিছু উপাদান রয়েছে যেগুলো হজম শক্তি বাড়ানো ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে।
১০। শসাঃ আমরা শসাকে সালাত হিসেবে খেতে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করি। আর এটি শীতকালীন সবজি হিসেবে খুবই উপযোগী। যদিও শসা বারোমাস চাষ করা যায়। তবুও শীতের সময় সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়। কারণ এই সময়টা শসার ফলন সবচেয়ে ভালো হয়।
১১। লেটুস পাতাঃ আমরা অনেকেই এর নাম শুনেছি। এই শাকটি তরকারি অথবা ভাজি করে খাওয়া যায়। বর্তমান সময়ে খুবই জনপ্রিয় হচ্ছে লেটুস পাতা। তাই আপনিও যদি লেটুস পাতা খেতে পছন্দ করেন। বাড়ির আঙিনায় অথবা অল্প কিছু জমিতে চাষ করতে পারেন।
১২। মুলাঃ এই সবজিটির নাম শোনেনি অথবা খাবার হিসেবে খায়নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কষ্টসাধ্য। মোলা সবজিতে খাওয়ার মতে উপকারিতা অনেক কম। এটি খেলে গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। মুলা ভাজি অথবা তরকারি রান্না করে খাওয়া যায়।
আরো পড়ূনঃ বরই পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
১৩। ওলকপিঃ আপনারা হয়তো অনেকেই এই নামটি শুনেন নি। কিন্তু শীতকালীন সবজি হিসেবে বর্তমানে অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এটি ভাজি হিসেবে খেতে খুবই সুস্বাদু। আপনি চাইলেও এটি ভাবি হিসেবে খেতে পারেন অথবা তরকারি রান্না করে।
১৪। ক্যাপসিকাম মরিচঃ বর্তমানে শহরে এই মরিচের চাহিদা অনেক বেশি। তাইতো শীতের সময় চাষিরা মরিচটি চাষের জন্য আগ্রহী হয়। খুব একটা ঝাল না হলেও দেখতে অনেক সুন্দর। এই মরিচটি অনেক ধরনের খাদ্যে ব্যবহার করা যায়। তাইতো এটি জনপ্রিয়তার শীর্ষে। তাই আপনি চাইলে টবে অথবা বাড়ির আঙিনাও চাষ করতে পারেন।
১৫। করলাঃ এই সবজিটি খেতে অনেক তিতো হলেও বহু প্রকারের উপকারিতা রয়েছে। আপনি যদি শীতের সময় এই গাছ থেকে সবজি পেতে চান। তাহলে শীতের কিছুদিন আগে চাষ করুন। তাহলে দেখবেন কাঙ্খিত সময় সবজিটি খেতে ও বিক্রি করতে পারছেন। করলার ভাজি খেতে অনেক সুস্বাদু। আপনারা হয়তো অনেকেই করলা খেতে অনেক পছন্দ করেন।
১৬। টমেটোঃ আপনারা যারা টমেটো টবের ভেতরে, বাড়ির আঙিনায় অথবা মাঠে চাষ করতে চান। তাদের জন্য শীতকালীন সবজি হিসেবে টমেটো খুবই উপযোগী। টমেটোর বীজ তিন ধরনের হয়ে থাকে হাইব্রিড, লোকাল ও বিদেশি। টমেটোর সালাদ অথবা তরকারির মধ্যে দিয়ে খাওয়া যায়।
১৭। সাজিনাঃ আমরা হয়তো সাজিনা ডাটা চিনে থাকবো। এটি মাঠের চাষের থেকে বাড়ির আঙিনায় সবচেয়ে বেশি লাগানো হয়। সাজিনা ডাটা তরকারি খেতে কে না পছন্দ করে। আমরা সকলেই কম বেশি সাজিনা ডাটা খেতে পছন্দ করি। এটির বীজ অথবা ডাল কেটে লাগালেই হয়ে যায়। তাই আপনার বাড়ির আঙিনায় যদি জায়গা ফাঁকা থাকে ডাল কেটে লাগিয়ে দিন।
আরো পড়ূনঃ প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত
১৮। মরিচঃ মরিচ তরকারিকে সুস্বাদু করতে ব্যবহার করা হয়। মরিচ যেখানে সেখানে লাগালে কম-বেশি হয়ে যায়। মরিচের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন। এছাড়াও আরো অনেক উপাদান যা আপনার শরীরের ঘাটতি পূরণ করে।
১৯। পাট শাকঃ পাট শাক এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড রয়েছে। এর পাশাপাশি আরো কিছু উপাদান রয়েছে যেগুলো ওজন কমাতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ও হারকে মজবুত করতে সাহায্য করে। তাই আপনি পাট শাক রান্না করে খেতে পারেন।
২০। কলমি শাকঃ আমরা অনেকেই কলমি শাক খেতে পছন্দ করি এবং এটি খেতেও অনেক সুস্বাদু। এই শাকের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ও আইরন যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও লিভারের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি চোখ ভালো রাখতেও সহায়তা করে।
২৩। ধনিয়া পাতাঃ ধনিয়া পাতা তরকারির সাদ বাড়াতে ব্যবহার করা হয়। এটি শুধুমাত্র শীতের সময় বেশি পাওয়া যায়। এই খাবারটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও চুলকে মজবুত করে থাকে। এর মধ্যে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সহ আরো কিছু উপাদান রয়েছে।
২৪। মটরশুটিঃ মটরশুটি তরকারি সহ আরো অনেক ধরনের খাদ্যে ব্যবহার করা হয়। যা খাবার গুলোকে সুস্বাদু করতে সহায়তা করে। এই খাবারটি খেলে চোখের দৃষ্টি শক্তি, চেহারার উজ্জ্বলতা ও ডাইবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। তাই আপনি মটর শুটির নিয়মিত খেতে পারেন। এটি একটি শীতকালীন সবজি।
গ্রীষ্মকালীন ফসলের নাম
আমরা সকলেই জানি বাংলাদেশ হচ্ছে ছয়টি ঋতুর দেশ। আর এই ছয়টি ঋতুর মধ্যে একটি হচ্ছে গ্রীষ্মকালীন সময়। যে সময়টা বাংলা মাসের বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ এবং ইংরেজি মাসের এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় থেকে জুন মাসে মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত হয়ে থাকে। সাধারণত এই সময়গুলোকেই গ্রীষ্মকালীন সময় বলা হয়।
আরো পড়ূনঃ গাঁজা খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা
এই সময় প্রচুর পরিমাণে গরম পড়ে। এই গরমের মধ্যেও কিছু ফসল রয়েছে যেগুলো ভালো হয়। তার মধ্যে বেগুন, কুমড়ো, করলা, ভুট্টা, শসা, পটল, জুকিনি, টমেটো, ঢেঁড়স বা ভেন্ডি, আলু , রাঙা আলু, পেয়াজ, মাশরুম, কাঁঠাল, ডুমুর, পেঁপে, ঝিঙ্গে, চিচিঙ্গা, রসুন, বরবটি, কচু, কুদরি, সাজিনা ডাটা ও কাঁচা কলা সহ আরো কিছু সবজি রয়েছে যেগুলো গ্রীষ্মকালীন মৌসুমে ফসল ভালো হয়।
তবে এর মধ্যে এমন কিছু শাক সবজি রয়েছে যেগুলো ১২ মাস পাওয়া যায়। তাইতো শীতকালীন সময়ের মতো গ্রীষ্মকালীন সময়েও সবজির অনেক বড় তালিকা রয়েছে।
শরৎকালের ফসলের নাম
বাংলাদেশের শরৎকালের সময়টা হচ্ছে বাংলা মাসের ভাদ্র ও আশ্বিন। আর ইংরেজি মাসের আগস্টের মাঝামাঝি সময় থেকে অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত। এই মাসগুলোর মধ্যে যে ফসলগুলো হয় সেগুলোই হচ্ছে শরৎ মৌসুমের ফসল। এর মধ্যে কিছু ফলের নাম উল্লেখ করা হবে।
আরো পড়ূনঃ তোকমা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
যেমন ব্ল্যাকবেরি, ডুমুর, কলান্দা পীচ, কমলা, চারড, বাঁধাকপি, টমেটো, বরই ও সাজিনা সহ আরো কিছু ফল ও সবজি রয়েছে যেগুলো শরতের সময় হয়ে থাকে। তবে এই তালিকার মধ্যে বারোমাসি ফল ও সবজিও রয়েছে।
হেমন্তকালের ফসলের নাম
কার্তিক ও অগ্রহায়ণ এই দুই মাস নিয়ে হেমন্ত ঋতু সংগঠিত হয়। আর ইংরেজির অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত বিস্তৃত। হেমন্ত সকাল যেন কুয়াশায় আচ্ছন্ন। এই সময় তেমন একটা ফসল সবজি দেয় না। কিছু বারোমাসি সবজি রয়েছে যেগুলো পাওয়া যায়। এই সময়টা হচ্ছে পিঠা ও রস খাওয়ার সময়। গ্রামীন নগর গুলোতে যেন উৎসবের বন্যা বয়ে যায়।
১০টি বর্ষাকালীন সবজির নাম
আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন বর্ষাকালীন ১০টি সবজির নামের তালিকা। যে সবজিগুলো তালিকায় তুলে ধরা হয়েছে সেগুলো হচ্ছে বাংলাদেশের অধিক জনপ্রিয় সবজি। তাই দেরি না করে নিচে দেওয়া সবজির নামগুলো জেনে নিতে পারেন।
আষাঢ় ও শ্রাবণ এই দুই মাস নিয়ে সংঘটিত হয় বর্ষাকাল। আর ইংরেজির জুন মাসের মাঝামাঝি সময় হতে আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময় এই ঋতুটি। এই সময় যে সকল ফসল ভালো জন্মে অথবা চাষ করা যায়। তাহলো করোলা, পটল, কাকরোল, লাউ, মাশরুম, শসা, চাল কুমড়া, মিষ্টি কুমড়া, বরবটি ও ঢেঁড়সহ আরো কিছু সবজি রয়েছে। যেগুলো বর্ষাকালের সময় পাওয়া যায়। আবার কিছু সবজি রয়েছে যেগুলো বারোমাসি পাওয়া যায়।
বসন্তকালের ফসলের নাম
ফাল্গুন ও চৈত্র মাস মিলে বসন্তকাল গঠিত হয়। আর ইংরেজি মাসের ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময় হতে এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত বিস্তারিত এই ঋতুটি। এই মাসে আপনি যে সবজিগুলো চাষ করতে পারেন। তাহলো ডাটা শাক, কলমি শাক, পুই শাক, লাউ, করলা, ভেন্ডি অথবা ঢেঁড়স, বেগুন, পটল, ঝিঙ্গা, শসা, মিষ্টি কুমড়া ও চাল কুমড়া ইত্যাদি। এই সকল সবজি আপনি আপনার বাড়ির আঙিনায় অথবা মাঠে চাষ করতে পারেন।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক আশা করি ভাল আছেন। ইতিমধ্যে আপনারা কোন মৌসুমে কোন ফসল ভালো জন্মে তা জেনেছেন। এই সকল ফসলের নামগুলো জেনে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে আপনার আশেপাশের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের এই বিষয়ে জানান। যাতে করে তারাও বাড়ির আঙিনায় অথবা মাঠে চাষ করতে পারে। পুরো তথ্যটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এসএইচ নিউজস্টোরের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url