শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ৫টি ব্যবহার গুলো
পৃথিবীর শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ৫টি ব্যবহার জানতে চান। এর ব্যবহার সম্পর্কে জানার জন্য খোঁজাখুঁজি করছেন। খোঁজাখুঁজি বন্ধ করে শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নিন। পুরো তথ্যটির মধ্যে এমন কিছু তথ্য রয়েছে এগুলো জেনে আপনি অনেক উপকৃত হবেন।
আমরা সকলেই কম বেশি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার করে আসছি। দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার রয়েছে। যেগুলো সম্পর্কে আমরা অনেকেই অবগত নয়। তাই আপনাদেরকে জানানোর জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
পোস্ট সূচীপত্রঃ
শিক্ষায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বলতে কি বুঝায়
আমাদের বাচ্চাদেরকে শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ৫টি ব্যবহার সম্পর্কে জানানো প্রয়োজন।বর্তমানে পুরো পৃথিবীটাকে একটি মানব দেহ ভাবা হয় তাহলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি তার মস্তিষ্ক। ঠিক শিক্ষার ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য শিক্ষাকে মানব শরীর ভাবা হয় তাহলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি তার মস্তিষ্ক স্বরূপ। এই কথা দ্বারা বোঝা যায় যে শিক্ষায় তথ্য প্রযুক্তি কতটা ভূমিকা পালন করছে।
আসলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে দুইটি ভাগ করা যায়। প্রথম অংশটি হচ্ছে তথ্য প্রযুক্তি এবং পরবর্তী অংশটি হচ্ছে যোগাযোগ প্রযুক্তি বা ডেটা কমিউনিকেশন। তথ্য সংগ্রহ করে এর সত্যতা, সংরক্ষণ, যাচাই, আধুনিকরণ, পরিবহন ও বিতরণ এর সাথে জড়িত বিষয়বস্তু প্রযুক্তিকে বলা হয় তথ্য প্রযুক্তি।
আরো পড়ূনঃ ডিজিটাল বাংলাদেশ সম্পর্কে ১০ টি বাক্য
ডেটা কমিউনিকেশনের এর সাথে প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে যে সকল বিষয় জড়িত রয়েছে তাকে যোগাযোগ ব্যবস্থা বলে। তাই শিক্ষনীয় কোন বিষয়বস্তু তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে সংরক্ষিত করা রয়েছে ওই বিষয়বস্তুটিকে ডাটা কমিউনিকেশন অথবা যোগাযোগের মাধ্যমে যেই প্রযুক্তির সৃষ্টি হয় তাকে শিক্ষায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বুঝায়।
এই তথ্য প্রযুক্তিকে ব্যবহারের মাধ্যমে পৃথিবীর শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। আর এটি ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা অনেক সহজ হচ্ছে।
শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার
প্রাচীনকালে মানুষ পড়াশোনার জন্য তথ্য সংরক্ষণ করে রাখতো বিভিন্ন মাধ্যম গুলো ব্যবহার করে। কিন্তু যুগের সাথে সাথে মানুষও পরিবর্তন হয়েছে। আর এই পরিবর্তনের ধারায় মানুষ এখন অনেক উন্নত হয়েছে। একটি জাতিকে উন্নত করতে হলে তার শিক্ষা ক্ষেত্র গুলোতে মনোযোগ দিতে হবে।
আর বর্তমানে শিক্ষা ক্ষেত্রে এগিয়ে চলেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে। যার ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে। আর প্রত্যেকটি জাতি শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে সদ্ব্যবহার করে এর থেকে তথ্যগুলো বের করে জ্ঞান আহরণ করছে।
আরো পড়ূনঃ মোবাইল ফোনের উপকারিতা বিতর্ক প্রতিযোগিতা
যে জাতি প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে যত উন্নত এবং শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তি সম্পর্কে সঠিক ধারণা দিতে পেরেছে। সেই জাতিগুলো পৃথিবীতে আজ শিক্ষাক্ষেত্র গুলোতে অনেক এগিয়ে রয়েছে। আপনি যদি জাপান, আমেরিকা ও কানাডার মত দেশগুলোর তাকিয়ে দেখেন, কেন তাদের শিক্ষার মান এতটা উন্নত।
এর পিছনে বড় একটি কারণ হচ্ছে প্রযুক্তিগত জ্ঞান। তাদের আগামী প্রজন্মদেরকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি কিভাবে শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যবহার করলে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া যাবে। সেই সম্পর্কে তাদেরকে পর্যাপ্ত জ্ঞান দেওয়া হয়েছে। তাই আসুন আমরাও জেনে নেই শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার করলে কিভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া যাবে।
- বিশ্বের যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য ঘরে বসে সংগ্রহ করা যায়।
- বিশ্বের বড় বড় প্রফেসরদের ক্লাস ও পরামর্শ ঘরে বসে গ্রহণ করা যায়।
- ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে যে কোন বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা যায়।
- অসুস্থ অবস্থায় ক্লাসে না গিয়ে বাড়িতে বসে থেকে ক্লাসে অংশগ্রহণ করা যায়।
- ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা গ্রুপ স্টাডি করতে পারে।
- যেকোনো বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করার জন্য অনলাইনের মাধ্যমে তথ্য সংরক্ষণ ও সংগ্রহ করে পড়া যায়।
- যদি কোন বিষয় বুঝতে সমস্যা হয় তৎক্ষণাৎ বুঝার জন্য ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে জ্ঞান অর্জন করা যায়।
- পড়াশোনার ক্ষেত্রে আর্থিক সমস্যা থাকলে ইউটিউব অথবা গুগল থেকে তথ্য সংগ্রহ বা ভিডিও দেখে পড়তে পারেন।
আরো পড়ূনঃ আসল ভিটমেট ডাউনলোড করব কিভাবে
বর্তমানে পৃথিবী শুধুমাত্র শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার হয় না। মানুষের দৈনন্দিন জীবনের ক্ষেত্রেও বর্তমানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যাপকভাবে ব্যবহার হচ্ছে। তাই মানুষের চলার পথের একটি খুঁটি হিসেবে দাঁড়িয়ে রয়েছে তথ্য প্রযুক্তি।
যেটি ছাড়া শিক্ষা ক্ষেত্রে সহ আরো অনেক বিষয়গুলো রয়েছে যেগুলোতে উন্নতি করা প্রায় অসম্ভব। তাই আমাদের সকলেরই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার করে জীবনকে সহজে ও উন্নত করে তুলতে হবে।
শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ৫টি ব্যবহার
আমাদের ব্যক্তিগত জীবন ও শিক্ষার যে বিষয়গুলো রয়েছে তার সবগুলো ক্ষেত্রেই কোন না কোন ভাবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে ব্যবহার করি। কিন্তু আমরা আজকে ব্যক্তিগত জীবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পর্কে কথা বলবো না। যে বিষয়টি সম্পর্কে জানাবো সেটি হচ্ছে শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির পাঁচটি ব্যবহার সম্পর্কে যা নিচে নিম্নে তুলে ধরা হলো।
১। বইয়ের কোন বিষয় জানার জন্য পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করে পড়া যায়।
২। বিশ্বের যেকোনো লাইব্রেরী থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বই ডাউনলোড করে পড়া যায়।
৩। কোন বিষয় জানার জন্য ইউটিউব ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখে জানতে পারেন।
৪। শিক্ষাক্ষেত্রের যেকোনো বিষয় জানতে চাইলে অনলাইনের মাধ্যমে তৎক্ষণাৎ জানা যায়।
৫। প্রজেক্টর ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শিক্ষনীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়।
২। বিশ্বের যেকোনো লাইব্রেরী থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বই ডাউনলোড করে পড়া যায়।
৩। কোন বিষয় জানার জন্য ইউটিউব ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখে জানতে পারেন।
৪। শিক্ষাক্ষেত্রের যেকোনো বিষয় জানতে চাইলে অনলাইনের মাধ্যমে তৎক্ষণাৎ জানা যায়।
৫। প্রজেক্টর ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শিক্ষনীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়।
৫টি শিক্ষা প্রযুক্তির নাম
১। ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে শিক্ষা
২। অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষা
৩। গ্যামিফিকেশন
৪। এগমেন্টেড রিয়েলিটি
৫। তথ্য এনালাইসিস
২। অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষা
৩। গ্যামিফিকেশন
৪। এগমেন্টেড রিয়েলিটি
৫। তথ্য এনালাইসিস
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ১০ টি ব্যবহার
আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ১০ টি ব্যবহার সম্পর্কে। কিন্তু আপনারা অনেকেই জানেন না তথ্য প্রযুক্তির দশটি ব্যবহারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। পৃথিবীতে মানুষ প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করেই তাদের জীবন যাপন করছে।
আরো পড়ূনঃ প্রতিদিন ৫০০ টাকা ইনকাম এর apps
মানে মানুষ এতটাই প্রযুক্তির উপর নির্ভর হয়ে পড়েছে যে তারা প্রযুক্তি ছাড়া একটি মুহূর্ত চলতে পারবে না। তাই বাছাইকৃত ভাবে এমন কিছু ব্যবহার উল্লেখ করা হয়েছে। যেগুলো আমরা দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করে থাকি।
১। শিক্ষাক্ষেত্রেঃ পৃথিবীর শিক্ষার মানদন্ড উন্নত থেকে উন্নত করে তুলেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি। শিক্ষকরা তাদের শিক্ষার্থীদের কে যেকোনো বিষয়ে উন্নত মানের শিক্ষা প্রদান করতে পারছে। আর শিক্ষার্থীরা তথ্য প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে তাদের পড়াশোনার মানকে উন্নত করতে পারছে।
শিক্ষার্থীরা তৎক্ষণা যে কোন বিষয়ের উপর সম্পূর্ণ তথ্য ঘরে বসে নিজেরাই খুঁজে বের করছে। যেটি এক সময় খুবই কষ্টসাধ্য এবং অসম্ভব ছিল। এই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার প্রত্যেকটি জাতিকে শিক্ষার এক নতুন পথ দেখিয়েছে। আর যেটি অনেক সহজ এবং পূর্বের থেকে অনেক উন্নত।
২। কম্পিউটারঃ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির একটি বিস্ময়কর আবিষ্কার হচ্ছে কম্পিউটার। পুরো পৃথিবীর মানদন্ড পরিবর্তন করে দিয়েছে। এই কম্পিউটার হাজার হাজার তথ্য ও উপাত্ত গুলো সংরক্ষণ করে রাখতে পারে। শুধু তাই নয় কম্পিউটারের মাধ্যমে আপনি তথ্যগুলো যেকোনো জায়গায় হস্তান্তর করতে পারবেন। হয়তো কম্পিউটার না থাকলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পূর্ণ হতো না।
৩। কৃষি শিক্ষাঃ কৃষি খাতে ব্যাপক পরিবর্তন এনে দিয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি। প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে কৃষি বিশেষজ্ঞরা উন্নত মানের বীজ, সার ও কীটনাশক উৎপাদন করছে। এই সকল উৎপাদিত পণ্য ব্যবহার করে কৃষকরা অনেক লাভবান হচ্ছে। তারা বছরে অনেক বেশি পরিমাণে ফসল পাচ্ছে। আগের তুলনায় ফসল উৎপাদনে তাদের খরচ কম এবং ফসল উৎপাদনে আগ্রহ বাড়ছে।
৪। চিকিৎসা সেবাঃ প্রযুক্তির কল্যাণে বর্তমান সময়ে চিকিৎসার মান অনেক উন্নত হয়েছে। আগে মানুষ উন্নত চিকিৎসার অভাবে মারা যেতো। কিন্তু বর্তমান সময়ে এর সংখ্যা অনেক কমে এসেছে। মানুষ জরুরী যে কোন রোগের চিকিৎসা ঘরে বসে থেকে পাচ্ছে। আপনি চাইলেই প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে বিশ্বের যেকোনো দেশের ডাক্তারদের কাছ থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারেন।
৫। মহাকাশ গবেষণাঃ মানুষ প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে মহাকাশে স্যাটেলাইট ও জেমস ওয়েব পাঠিয়েছে মহাকাশের তথ্য সংগ্রহ করার জন্য। শুধু তাই নয় প্রযুক্তির সাহায্যে চাঁদে পা রেখেছে এবং সেখান থেকে বিভিন্ন ধরনের তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করেছে। মহাকাশের পরবর্তী অভিযান হচ্ছে মঙ্গল গ্রহ। প্রযুক্তির কল্যাণে এবং গবেষণার মাধ্যমে খুব শীঘ্রই মানুষ মঙ্গলে পা রাখতে চলেছে।
৬। যোগাযোগ ব্যবস্থাঃ বর্তমানে আইসিটির কল্যাণে মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক সহজ হয়ে গেছে। মানুষ ঘরে বসে থেকে ট্রেন ও বিমানের টিকিট এবং সময়সূচী সম্পর্কে সব ধরনের ধারণা পেয়ে যাচ্ছে। এমনকি ঘরে বসে থেকে ট্যাক্সি ও বাইক বুকিং দিতে পারছে। যা থেকে মানুষ অতি সহজে একই স্থান থেকে অন্য স্থানে সময় মত স্থানান্তর করতে পারছে।
৭। টেলিভিশনঃ টেলিভিশনের মাধ্যমে বিভিন্ন সংবাদপত্র শুনতে ও দেখতে পারি। এর সাথে বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন ধরনের বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারি। এই জন্য এটি আইসিটির একটি অন্যতম আবিষ্কার। যেটির মাধ্যমে মানুষ বর্তমান তথ্য ও বিনোদন দুটোই নিতে পারে।
৮। ইন্টারনেটঃ বর্তমান পৃথিবীতে ইন্টারনেট ছাড়া প্রযুক্তি অসম্পূর্ণ। বিশ্বের যে কোন তথ্য অথবা পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে হলে আরো অন্যান্য কাজের জন্য ইন্টারনেট প্রয়োজন। তার ইন্টারনেট আবিষ্কার মানুষের জীবনযাত্রাকে অনেক সহজ করে তুলেছে।
৯।ব্যবসায়ঃ প্রাচীনকালে মানুষ ব্যবসায় করত নির্দিষ্ট একটি সীমানার মধ্যে। কিন্তু বর্তমান সময়ে প্রযুক্তির কল্যাণে মানুষ অনলাইনের মাধ্যমে তাদের ব্যবসাকে পুরো পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিতে পারছে। খুবই সহজে প্রযুক্তির মাধ্যমে তাদের পণ্যের বিজ্ঞাপন পুরো পৃথিবীতে ছড়াচ্ছে।
১০। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমঃ মানুষ আগে তাদের আত্মীয়-স্বজনদের খোঁজ নিতে হলে তাদের কাছে চিঠি পাঠাতে হতো। কিন্তু আধুনিক যুগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ব্যবহার করে জরুরী ভিত্তিতে যে কোন বিষয় যোগাযোগ করতে পারেন। পৃথিবীর যেকোনো জায়গায় আপনার আত্মীয় থাক না কেন আপনি বসে থেকে তাদের খোঁজ নিতে পারবেন।
প্রাথমিক শিক্ষায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব
প্রাথমিক শ্রেণীর শিক্ষার্থী হচ্ছে ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে যে সকল শিক্ষার্থী রয়েছে। এই সময়টাই হচ্ছে উত্তম সময় কোন শিক্ষার্থীকে গোড়া থেকে গড়ে তোলার জন্য। কারণ এই সময়ে একটি শিক্ষার্থীকে যেই দিকে পরিচালনা করবেন ঠিক সেই দিকেই তারা অগ্রসর হবে।
তাদেরকে চাপ প্রয়োগ করে পড়াশোনা করানো যাবে না। তাদেরকে আনন্দের ছলে পড়াশোনা করাতে হবে। আর এই জন্যই বর্তমান সময়ে প্রাথমিক শিক্ষায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব বাড়ছে। এখন হাতে-কলমে শিক্ষার পাশাপাশি প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে শিক্ষা প্রদান করা হচ্ছে। বর্তমান সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে।
আপনাকে এই সকল শিক্ষার্থীদের গোড়া থেকেই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির আওতায় বড় করতে হবে। প্রথমে তাদেরকে জানান যে তথ্য প্রযুক্তি কি এবং এর মাধ্যমে কিভাবে যোগাযোগ করতে হয়। এই সকল বিষয়গুলো সম্পর্কে তাদেরকে ধারণা দিন। প্রাথমিক পর্যায়ে তাদের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির শিক্ষা কার্যক্রম শ্রেণীভিত্তিক তৈরি করতে হবে।
যেমন পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের কে জানালেন আইসিটি কি ও আইসিটির ব্যবহার সম্পর্কে। এভাবে করে ধাপে ধাপে শ্রেণীভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করলে এরা শুরু থেকে মজবুত হবে। তাই প্রাথমিক শিক্ষায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব অনেক বেশি পরিমাণে রয়েছে। একটি সুশিক্ষিত ও মেধা সম্পন্ন জাতি গড়তে হলে তাদেরকে এই শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলা খুবই প্রয়োজন।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার
পৃথিবীর মানুষের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে। পৃথিবীর প্রায় অধিকাংশ মানুষ তাদের জীবন পরিচালনার জন্য তথ্য প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে। যত দিন যাচ্ছে এর ব্যবহারের সংখ্যা তত বাড়ছে। কিন্তু এই প্রযুক্তিকে কেউ ভালো কাজে ব্যবহার করছে আবার অনেকেই খারাপ কাজও ব্যবহার করছে। নিচে নিম্নে প্রযুক্তিকে ভালো কাজে ব্যবহার গুলো তুলে ধরা হলো।
- মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পৃথিবীর যেকোন স্থানে থাকা ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করা যায়।
- অনলাইন এর মাধ্যমে ঘরে বসে থেকে বাজার করা যায়।
- ইন্টারনেটের মাধ্যমে যেকোনো ধরনের পত্রিকা পড়া যায়।
- বাড়িতে বসে থেকে যেকোনো ধরনের চিকিৎসা গ্রহণ করা যায়।
- উচ্চ ফসল ফলানোর জন্য উন্নতমানের সার পাওয়া যায়।
- ঘরে বসে থেকে বিমানের ও ট্রেনের টিকিট কাটা যায়।
- পৃথিবীর যেকোন স্থানে মুহূর্তের মধ্যে টাকা পাঠানো যায়।
- ঘরে বসে থেকে বিদ্যুৎ ও পানির বিল প্রদান করা যায়।
- অনলাইনের মাধ্যমে বিশ্বের যেকোনো লাইব্রেরী থেকে উন্নত মানের বই পড়া যায়।
- ঘরে বসে থেকে ব্যবসায় ও বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
- বিভিন্ন ধরনের চাকরির খোঁজখবর বসে থেকে মুহূর্তের মধ্যে পাওয়া যায়।
- শিক্ষা ক্ষেত্রে যে কোন বিষয়ে তথ্য অনলাইনের মাধ্যমে পাওয়া যায়।
- ঘরে বসে থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ভিডিও, ছবি, অডিও, গান আরও অনেক কিছুর দেখা ও শোনা যায়।
উপসংহার
প্রযুক্তিকে মানুষ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে শিক্ষা ক্ষেত্রে, ব্যবসায় বাণিজ্যের জন্য, কৃষি ক্ষেত্রে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জন্য আরও অনেক ব্যবহার রয়েছে। কিন্তু আমাদের সকলেরই প্রযুক্তিকে শুধুমাত্র সঠিক কাজগুলোতে ব্যবহার করা। কারণ প্রযুক্তিকে সঠিক কাজে ব্যবহার না করলে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। তাই আসুন আমরা সকলেই দৈনন্দিন জীবনের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে সঠিক কাজে ব্যবহার করি। যেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কল্যাণে আমাদের জীবন উন্নত হয়।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক আশা করি ভাল আছেন। আপনি যদি শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ৫টি ব্যবহার সহ অন্য বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে আপনার পরিবার ও বন্ধুদেরকে এই তথ্যটি সম্পর্কে জানান। যেন তারাও বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার জেনে উপকৃত হতে পারেন। এই পুরো তথ্যটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
এসএইচ নিউজস্টোরের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url