আমলকি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো জেনে নিন
আপনারা যদি আমলকি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য আগ্রহী হয়ে থাকেন। তাহলে এই পুরো তথ্যটি পড়ার মাধ্যমে আমলকি খাওয়ার উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম এর সাথে জড়িত বিষয়গুলো জানতে পারবেন। যেগুলো আমলকি খাওয়ার আগে প্রত্যেকের জানা প্রয়োজন।
আমরা অনেকেই আমলকি খেতে অনেক পছন্দ করি। কারণ এটি খেতে অনেক সুস্বাদু আর এর স্বাদ অনেকটাই টক ও মিষ্টি মতো। আমলকি খেয়ে উপকারিতা পেতে চাইলে এর খাওয়ার নিয়ম গুলো জানা প্রয়োজন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ
সারসংক্ষেপ
এমন খুব কম ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া যাবে যাদের কখনো ত্বকের ও চুলের সমস্যা হয়নি। আপনি কি জানেন ত্বক ও চুলের জন্য আমলকি খাওয়াই কত উপকারিতা রয়েছে। শুধু ত্বক ও চুলের মধ্যেই এর উপকারিতা সীমাবদ্ধ নয়। এর উপকার ও গুনাগুন অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
এর উপকরণ হচ্ছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি, জিংক, ফাইবার ও ক্যাটোরিন সহ আরো অনেক উপাদান। যেগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি সহ আরো অনেক রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম। দিন দিন বাংলাদেশে আমলকি খাওয়ার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আজ থেকে কিছু বছর আগেও মানুষ তেমন আমলকি খেতে পছন্দ করত না।
আরো পড়ূনঃ পাথরকুচি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
কিন্তু বর্তমান সময়ে আমলকির চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সকল আমলকি খাওয়ার উপকারিতা পেতে হলে খাওয়ার নিয়ম জানার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এর পাশাপাশি আমলকি খাওয়ার অপকারিতা গুলো জেনে রাখা দরকার। তাই আপনারা পুরো তথ্যটি পড়ে আমলকি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারবেন পাশাপাশি আমলকি খাওয়ার নিয়ম গুলো জেনে নিতে পারবেন।
আমলকি খেলে কি হয়
আমলকির স্বাদ অনেকটাই টক ও মিষ্টির সমন্বয়। যা খেতে অনেক সুস্বাদু ও উপকারী। আমলকি খাওয়ার মধ্যে অনেক ধরনের উপকারিতা লুকিয়ে রয়েছে। যা শুধুমাত্র খাওয়ার পরেই বোঝা যায়। তবুও কিছু উপকারিতা রয়েছে যেগুলো উল্লেখ করা প্রয়োজন।
যেমন ত্বকের সুস্থতা, চুলের সুস্থতা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, ক্যান্সার প্রতিরোধ, কিডনি জনিত সমস্যার সমাধান ও সর্দি সহ আরো অনেক সমস্যার সমাধানের সহায়তা করে থাকে। আপনারা যারা আমলকি খেতে পছন্দ করেন তাদের জন্য রয়েছে অসংখ্য উপকারিতা।
আরো পড়ূনঃ গাজরের উপকারিতা ও অপকারিতা
আর যারা খেতে পছন্দ করেন না এর গুনাগুন ও উপকারিতা গুলো জেনে আপনি নিজেও খেতে শুরু করবেন। তাহলে আর দেরি না করে এখনই আমলকি খাওয়ার উপকারিতা ও গুনাগুন পড়ে নিতে পারেন। যে তথ্যগুলো পড়ার মাধ্যমে আপনি উপকৃত হবেন।
আমলকি খাওয়ার উপকারিতা
১। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাঃ আমলকি খাওয়ার মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা যায়। ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাই যাদের শরীরে সবসময় রোগ বালাই বেঁধে থাকে তারা নিয়মিত আমলকি খেতে পারেন।
২। ত্বকের উজ্জ্বলতাঃ আমলকি ত্বকের টক্সিন ও ক্ষতিকর কোষগুলো দূরীভূত করতে সাহায্য করে। ত্বকের শুষ্ক ভাব, ফুসকুড়ি, ত্বকের ভাঁজ এই সকল সমস্যাগুলো দূরীভূত করার জন্য আমলকি খাওয়ার মধ্যে রয়েছে উপকার। আপনি আমলকি ফেসপ্যাক হিসেবে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। এতে করেও ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।
৩। চুলের সুস্থতাঃ যাদের নিয়মিত চুল পড়ে, রুক্ষ, চুলের খুশকি, চুল বাড়ছে না ও চুলের উজ্জ্বলতা কম তারা আমলকি খেতে পারেন। আমলকি এই সকল সমস্যার সমাধান করে দেয়। আবার আমলকি পাটায় ভালো করে বেটে পেস্ট করে নিন। ওই পেস্টকৃত আমলকি নিয়মিত চুলের গোড়ায় দিন। এতে করে চুলের গোড়া মজবুত হবে। আপনার চুল পড়া আস্তে আস্তে দূর হয়ে যাবে।
৪। হার্ট ভালো রাখেঃ যাদের হার্টের সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত আমলকি খেলে মিলবে উপকার। আমলকির মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা হৃদরোগের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করে।
৫। চোখের দৃষ্টিশক্তিঃ আমলকি চোখের দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সহায়তা করে। যেমন রাতে চোখে কম দেখা, দূরের জিনিস দেখতে কষ্ট হওয়া, চোখে এলার্জির সমস্যা, সূর্যের আলোর দিকে তাকালে চোখ ব্যথা করা ও তাকানো যায় না যাদের এই সমস্যাগুলো রয়েছে। তারা নিয়মিত কমপক্ষে দুইটি থেকে তিনটি আমলকি খেতে পারেন অথবা আমলকির আচারও খেতে পারেন।
৬। সর্দি ও কাশিঃ যাদের সর্দি ঠান্ডা সব সময় লেগেই থাকে। যেন সর্দি ঠান্ডা তাদের নিত্য দিনের বন্ধুর মতো। এই বন্ধুকে দূর করার জন্য নিয়মিত আমলকি খাবেন। প্রতিদিন দুইটি থেকে তিনটি আমলকির রস খাবেন। এভাবে করে একটানা এক সপ্তাহ খেতে পারলে আশা করা যায় সর্দি ও কাশি ভালো হয়ে যাবে। যদি ভালো না হয় তাহলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হন।
৭। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণঃ ডায়াবেটিসের সমস্যা অধিকাংশ মানুষেরই রয়েছে। কিন্তু এর মধ্য থেকে অনেক মানুষই জানে না যে ডাইবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে কেমন করে। কিছু খাদ্য রয়েছে যেগুলো খাবার মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায়। যেমন ক্যাপসিকাম, কাঁচা বাদাম, পাথরকুচি পাতা সহ আরো অনেক খাদ্য ঠিক তাদের মধ্যে একটি হচ্ছে আমলকি। যা নিয়মিত খাওয়ার মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে দারুন ভূমিকা রাখে।
৮। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাঃ আমলকি খাওয়ার মাধ্যমে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যার সমাধানের পাশাপাশি পাইলস ও বদ হজমের সমাধান করতে সহায়তা করে। আমলকি হচ্ছে ফাইবার সমৃদ্ধ একটি খাবার যা হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার সমাধানেও আমলকি খেতে পারেন। তাই আমলকি খাওয়ার মাধ্যমে অনেক উপকারিতা পাবেন।
৯। কিডনির সুস্থতাঃ যাদের কিডনিতে সমস্যা থাকার কারণে নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। যেমন প্রস্রাবের সময় সমস্যা, প্রস্রাব কম হচ্ছে, প্রস্রাব করার পরেও মনে হয় প্রস্রাব আটকে আছে এগুলো থেকে মুক্তি পেতে আমলকি সাহায্য করবে। এই সমস্যার সমাধান করতে নিয়মিত দেড় থেকে দুই চামচ আমলকির রস খাবেন। দেখবেন ইনশাআল্লাহ কিডনি জনিত সমস্যা গুলো দূরীভূত হয়ে যাবে।
আরো পড়ূনঃ কাঁচা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
১০। ক্ষতস্থান ভালো করেঃ যাদের ত্বক সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কাটা দাগ রয়েছে। তারা আমলকি থেকে রস বের করে অথবা আমলকি গুলোকে পেস্ট করে। ওই কাটাযুক্ত স্থানে নরম কোন কিছু মাধ্যমে রস লাগাতে পারেন। এতে করে ক্ষতস্থানটি আস্তে আস্তে দূরীভূত হয়ে যাবে।
১১। মুখের ভিতরে ঘাঃ যাদের মুখের ভিতরে ঘা হওয়ার কারণে কোন কিছু খেতে পারছেন না। খাবার খেলেও অনেক কষ্ট করে খেতে হচ্ছে। খাওয়ার সময় মুখের ভিতরে জ্বলছে। তাহলে নিয়মিত আমলকির রস অথবা শুধু আমলকি খেতে পারেন। যদি আমলকির রস ও মধু খেতে পারেন তাহলে আরো বেশি উপকারে আসবে।
১২। বমি ও অনিদ্রাঃ বমি বমি ভাব দূর করতে আমলকি খাবেন। যখনই বমি বমি ভাব মনে হয় তখনই একটি আমলকি খেয়ে ফেলুন। দেখবেন বমি বমি ভাব দূর হয়ে গেছে। যারা দীর্ঘদিন যাবত ঘুমের সমস্যায় ভুগছেন। তারা প্রতিদিন ঘুমানোর আগে দুই চামচ আমলকির রস খাবেন। এরপরে শুয়ে পড়বেন কোন ডিজিটাল ডিভাইসের দিকে তাকাবেন না। প্রতিদিন নিয়মিত এভাবে খেতে থাকুন। দেখবেন আস্তে আস্তে ঘুম বৃদ্ধি পাচ্ছে।
১৩। শরীরের ব্যথাঃ শরীরের ব্যথা থেকে উপশম পেতে আমলকি খাবেন। শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যথা যেমন মাজায় ব্যথা, পায়ের তালুতে ব্যথা, মাংসে ব্যথা, হারে ব্যথা এমনকি মাথা ব্যথাও দূর করতে সাহায্য করে। তাই এই সকল ব্যথা দূর করতে আমলকি খাওয়ার মধ্যে উপকারিতা রয়েছে।
১৪। শারীরিক সমস্যাঃ শারীরিকভাবে শক্তি যোগাতে সহায়তা করে আমলকি। আমলকি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ ও ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সহায়তা করে। যা আপনার শরীরকে সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করবে। তাই প্রতিদিন দুইটি করে হলেও আমলকি খান। কিছুদিন পরে এর ফলাফল আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন।
১৫। মস্তিষ্ক স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিঃ মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে আমলকি। তাই নিজের সৃজনশীল দক্ষতা বৃদ্ধি করার জন্য নিয়মিত আমলকি খেতে পারেন।
১৬। দাঁতের সুস্থতাঃ যারা দীর্ঘদিন যাবত দাঁতের ব্যথায় ভুগছেন। তাহলে আমলকি খাওয়ার মধ্যে উপকারিতা লুকিয়ে রয়েছে। নিয়মিত আমলকির রস খান দেখবেন দাঁতের ব্যথা চলে গেছে। এমনকি আমলকি দাঁতের গোড়াও মজবুত করতে সাহায্য করে। দাঁতের মাড়িগুলোকে মজবুত করে। মুখের মধ্যে থেকে দুর্গন্ধ দূরীভূত করতেও সাহায্য করে।
আমলকি খাওয়ার অপকারিতা
প্রায় প্রত্যেকটি খাবারেরই উপকারিতা ও অপকারিতার রয়েছে। তবে আমলকির তেমন কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা ক্ষতিকর প্রভাব লক্ষ্য করা যায়নি। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে আমলকি খাওয়ার ফলে কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
আরো পড়ূনঃ খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খেলে কি হয়
তাই বলা যায় আমলকি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা দুটোই রয়েছে। আমরা যদি এই খাবারটি খাওয়ার উপকারিতা পেতে চাই তবে তার নিয়ম গুলো মেনে চলা খুবই জরুরী। অতিরিক্ত অথবা আমলকি খাওয়ার ফলে কোন ক্ষতিকর প্রভাব গুলো দেখা দিতে পারে।
- বেশি পরিমাণে আমলকি খাওয়ার ফলে এসিডিটি সমস্যা হতে পারে।
- যাদের আমলকি খেলে এলার্জি জনিত কারণে যে সকল প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় বমি বমি ভাব, শ্বাসকষ্টের সমস্যা, তলপেট ব্যথা, ত্বকের চামড়া চুলকানো সহ আরো অনেক সমস্যা দেখা দেয়।
- অতিরিক্ত পরিমাণে আমলকি খাওয়ার কারণে ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে।
- অতিরিক্ত আমলকি খাওয়ার ফলে আপনার শরীর আরও অনেক ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।
- যে সকল ব্যক্তিদের অ্যাসিডিটির সমস্যা রয়েছে তারা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আমলকি খাবেন। আবার যাদের ডায়বেটিস রয়েছে তারাও ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাবেন।
আমলকি খাওয়ার নিয়ম
প্রত্যেকটি খাবার নিয়ম মেনে খাওয়া উচিত তাহলে সেই খাবারের উপকারিতা পাওয়া যায়। আর নিয়ম না মেনে খেলে সেই খাবারের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তাই আপনাদেরকে আজ এমন কিছু নিয়ম জানিয়ে দিবো যে নিয়ম গুলো মেনে আমলকি খেলে উপকার পাবেন।
আরো পড়ূনঃ তোকমা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
- ২ চামচ আমলকির রস ও এক চামচ মধু নিয়মটি মেনে খাওয়ার মাধ্যমে উপকারিতা পাবেন।
- আপনি আমলকির আচার করেও খেতে পারেন। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন আচারটিতে যেন অতিরিক্ত চিনি না থাকে। তাহলে স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতি হতে পারে।
- প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি কাঁচা আমলকি চিবিয়ে খাওয়ার মাধ্যমেও অনেক উপকার পাবেন।
- আমলকির রসের শরবত বানিয়ে খাওয়ার মাধ্যমেও উপকার রয়েছে।
- কাঁচা আমলকির সাথে হালকা লবণ মিশিয়ে খেতে পারেন অনেক পুষ্টি ও গুনাগুন পাবেন।
- এক চামচ আমলকির রস ও এক চিমটি লবণ মিশিয়ে খেলে খাওয়ার প্রতি মুখের স্বাদ বাড়বে।
গর্ভাবস্থায় আমলকি খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় মায়েরা আমলকি খেতে পারে এতে কোন রকম ক্ষতি হবে না। গর্ভাবস্থায় মায়েদের টক খাওয়ার প্রতি আলাদা মনোযোগ থাকে। অন্যান্য সকল টক এর থেকে গর্ভাবস্থায় এই টকটি খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে।
আরো পড়ূনঃ প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত
কারণ আমলকির মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি রয়েছে অন্যান্য সকল টক জাতীয় খাবারের থেকে বেশি। আর এই উপকরণগুলো প্রত্যেকটি গর্ভাবস্থায় মায়েদের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এখন গর্ভাবস্থায় আমলকি খাওয়ার মাধ্যমে কোন উপকারিতা গুলো পাওয়া যাবে।
- গর্ভাবস্থায় আমলকি খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
- উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য সহায়তা করে আমলকি।
- গর্ভাবস্থায় ডাইবেটিস নিয়ন্ত্রণে দারুন কার্যকারিতা রয়েছে আমলকির।
- গর্ভবতী মায়েদের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূরীভূত করতে সহায়তা করে।
- গর্ভবতী মায়েদের গর্ভাবস্থায় বমি বমি ভাব অনুভূত হয়। যা আমলকি খাওয়ার ফলে অনুভূত হয় না।
- গর্ভাবস্থায় মায়েদের হাত-পা ফুলে যেতে পারে। আর এই হাত-পা ফুলে যাওয়া রোধ করতে সাহায্য করে আমলকি।
খালি পেটে আমলকি খাওয়ার উপকারিতা
খালি পেটে আমলকির রস খাওয়ার মাধ্যমে উপকারিতা পাওয়া যায়। দুই চামচ আমলকির রসের সাথে এক চামচ মধু মিশিয়ে খালি পেটে খেতে পারেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে যদি এই নিয়মে খেতে পারেন। তাহলে আপনি অনেক উপকার পাবেন। আমলকি খাওয়ার প্রতি মানুষের চাহিদা বেড়ে চলেছে। আপনি ভরা পেটেও আমলকি খেলে উপকারিতা পাবেন আবার খালি পেটে আমলকি খাওয়ার মাধ্যমে উপকারিতা পাবেন। এখন খালি পেটে আমলকি খাওয়ার কোন উপকারিতা গুলো রয়েছে।
- যাদের অতিরিক্ত ওজন রয়েছে তারা ওজন কমানোর জন্য নিয়মিত আমলকির রস খালি পেটে খেতে পারেন।
- শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ ও ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া দূরীকরণের সহায়তা করবে।
- যাদের অ্যাসিডিটির সমস্যা রয়েছে তারা প্রথমে খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এমনকি যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে তারাও।
- খালি পেটে আমলকি খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
প্রতিদিন কয়টা আমলকি খাওয়া উচিত
প্রতিদিন কয়টি করে আমলকি খাওয়া উচিত এ বিষয়ে বলতে গেলে সবার শারীরিক অবস্থা একই রকম হয় না। যারা শারীরিকভাবে সুস্থ তারা প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি আমলকি খেতে পারেন। এই কয়টি আমলকি খেলেই এর উপকারিতা পেতে সাহায্য করবে। তবে অবশ্যই নিয়মিত খেতে হবে।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক ইতিমধ্যে আপনারা আমলকি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছেন। আমলকি খাওয়ার যে তথ্যগুলো রয়েছে সেগুলো জেনে যদি উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে আপনার পরিবার ও বন্ধুদের সাথে তথ্যগুলো শেয়ার করুন। যাতে করে আমলকি খাওয়ার মাধ্যমে তারাও উপকার পায়। পুরো তথ্যটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
এসএইচ নিউজস্টোরের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url