হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ এর উপকারিতা ও ব্যবহারের নিয়ম জেনে নিন
আপনি যদি হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ এর উপকারিতা সম্পর্কে জানার জন্য আগ্রহী হয়ে থাকেন। তাহলে এদিক-ওদিক খোঁজাখুঁজি বন্ধ করে ফেসওয়াশটির উপকারিতা ও হিমালায়া নিম ফেসওয়াশ এর ব্যবহারের নিয়ম গুলো পড়ে নিতে পারেন। যেগুলো পড়ার মাধ্যমে আপনি এই ফেসওয়াশটির সঠিক উপকারিতা পেতে সক্ষম হবেন। তাই আর দেরি না করে ফেসওয়াশটির উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন।
আপনি এই ফেসওয়াশটির নাম কোথায় থেকে শুনেছেন। ধরে নিলাম কোনো একজন ব্যক্তির কাছ থেকে যে এটি ব্যবহার করে। নিশ্চয়ই ওই ব্যক্তিটি ব্যবহার করে ভালো ফলাফল পেয়েছে দেখেই আপনাকে অবগত করেছে।
পোস্ট সূচীপত্রঃ
ভূমিকা
যারা ত্বকের প্রতি যত্নশীল ও রূপচর্চা নিয়ে খুবই সচেতন। তারা হিমালায়া নিম ফেসওয়াশ চিনেন না এমনটা হতে পারে না। বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়াতে এর ব্যবহারকারী সংখ্যা অনেক বেশি। তাইতো অনেকেই হিমালয়া নিম ফেসওয়াস এর উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চেয়েছে।
হিমালয়া নিম ফেসওয়াস এর মূল উপাদান হচ্ছে দুইটি হলুদ ও নিমপাতা আরও কিছু উপাদান রয়েছে। তবে এই দুইটি উপাদান সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়েছে। এর মূল কাজ হচ্ছে ত্বক থেকে ব্যাকটেরিয়া গুলোকে বের করে। ত্বকের সুস্থতা এনে দেওয়া। মানুষকে সৌন্দর্য দেখানোর জন্য শরীরের অঙ্গের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হচ্ছে ত্বক।
যাকে সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখতে সকলেই চাই। কারণ আমরা সকলেই নিজেকে অন্যের সামনে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করতে ভালোবাসি। তাই তো আপনিও যদি ত্বককে সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখতে চান। তাহলে হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ এর উপকারিতা ও এই ফেসওয়াশ এর ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত পরে জেনে নিতে পারেন।
হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ এর উপকারিতা
হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ এর গুনাগুন সম্পর্কে যতই বলবো ততই কম কারণ উপকারিতাই এমন। আমরা অনেকেই আছি যারা হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ ব্যবহার করি কিন্তু তার উপকারিতা জানি না। আবার অনেকে আছি আরেক জনের দেখা দেখি ব্যবহার শুরু করে দেই।
এই কাজটি ঠিক নয়। কারণ যেকোনো প্রোডাক্ট ব্যবহারের আগে এর উপকারিতা ও ব্যবহারের নিয়ম গুলো জেনে নেওয়া প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কিন্তু প্রথমে আমরা হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ এর উপকারিতা গুলো কি কি তা জেনেও নিবো। তারপরে এর ব্যবহারের নিয়ম গুলো সম্পর্কে অবগত হবো।
- হিমালিয়া নিম ফেসওয়াস মূলত ত্বকের জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে। ত্বকের যে সকল ক্ষতিকর জীবাণু রয়েছে তা নিরাময়ের সহায়তা করে।
- হিমালিয়া নিম ফেসওয়াশের মূল কার্যকরিতা হচ্ছে ত্বক থেকে ব্রুণ দূরীভূত করা। কারণ এর মধ্যে থাকা নিমপাতা মূলত ত্বক থেকে ব্রুণ দূর করতে সাহায্য করে।
- এই ফেসওয়াশটি ত্বকের ভিতরে থাকা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া গুলোকে ধ্বংস করে দেয়। যার ফলে ত্বক সুস্থ ও স্বাভাবিক থাকে।
- ত্বকের ভিতরে থাকা জার্মগুলো নিমিষেই দূর করতে সহায়তা করে।
- ত্বকের ভিতরে থাকা তৈলাক্ত ভাব দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। যার ফলে দেখা যায় ত্বক অনেক মলিন ও হালকা মনে হয়।
- ত্বক থেকে শুষ্ক ভাব দূর করার জন্য নিয়মিত হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। এটি আপনার ত্বকের শুষ্কভাব দূর করার জন্য দারুন কাজ করে।
- পাশাপাশি এই ফেসওয়াশটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে আপনাকে সাহায্য করবে।
- হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ দিয়ে নিয়মিত মুখ ধৌত করার ফলে ত্বক কোমল ও মসৃণ করে তোলে। সব সময় মুখ ফ্রেশ রাখতে আপনাকে সহায়তা করবে।
- ত্বক থেকে ব্রুণ এর দাগ দূর করতে হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন।
- অনেকটা সূর্যের আলোক রশ্নি থেকেও প্রটেক্ট করতেও সহযোগিতা করে।
এই ছিল হিমালয়া নিম ফেসওয়াস এর কিছু কার্যকারিতা বা উপকারিতা। শুধুমাত্র হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ ব্যবহার করার ফলেই পাওয়া যায়। কিন্তু আসল কার্যকারিতা হচ্ছে আপনার মুখে থাকা ব্রুণ গুলোকে দূর করা। ব্রুণ দূর করার পাশাপাশি মুখের ভেতর থেকে তৈলাক্ত ভাব দূর করতে সহযোগিতা করে। তাই যাদের প্রধান সমস্যা হচ্ছে ব্রুণ তারা চোখ বন্ধ করে ব্যবহার করতে পারেন।
হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ ব্যবহারের নিয়ম
আপনি যদি হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ এর উপকারিতা পেতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ এর ব্যবহারে নিয়ম গুলো জানতে হবে। প্রত্যেকটি প্রোডাক্ট ব্যবহার করার আগে তার ব্যবহারের নিয়ম গুলো জেনে নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
কারণ আমাদের ত্বক খুবই সেনসিটিভ অল্পতেই ক্ষতিকর দিকগুলো ফুটে উঠতে পারে। তাই যেকোনো প্রোডাক্ট ব্যবহার করার আগে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিতে হবে। আর এরই প্রসঙ্গতে হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ ব্যবহারের নিয়ম গুলো কি কি তা জেনে নিন। আশা করি এর ব্যবহারের নিয়ম গুলো জেনে উপকৃত হবেন।
- সর্বপ্রথম মুখ ভালো করে পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
- মুখ ধুয়ে নেওয়ার পরে পরিমাণ মতো হাতের তালুতে হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ নিয়ে নিন।
- এরপরে ফেসওয়াশ দিয়ে পুরো মুখ বা ত্বক ভালো করে মাসাজ করুন। এভাবে করে দুই থেকে তিন মিনিট মাসাজ করতে থাকুন।
- তারপরে পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালো করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। যেন মুখের আশেপাশে কোনো ফেনা লাগে না থাকে।
- সবশেষে পরিষ্কার কোনো তোয়ালা দিয়ে আস্তে আস্তে মুখ মুছে ফেলুন।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে দিন ও রাত মিলে দুই বারের বেশি ব্যবহার করবেন না। যদি মুখে কম পরিমাণে ব্রুণ থাকে তাহলে একবার ব্যবহার করুন। এভাবে করে নিয়মিত হিমালয়া নিম ফেসওয়াসটি ব্যবহার করতে থাকুন। এর ফলাফল আপনি একদিনে পাবেন না। এর ফলাফল পেতে হলে কিছু দিন সময় লাগবে। কিন্তু ইনশাআল্লাহ আশা করা যায় আপনার মুখ থেকে ব্রুণ সহ আরো অনেক সমস্যার সমাধান দিয়ে থাকবে এই ফেসওয়াশ।
হিমালয় ফেসওয়াস দাম বাংলাদেশ
হিমালয়া ফেসওয়াশ অনেক প্রকারের রয়েছে। তবে যেটি মুখ থেকে ব্রুণ দূর করতে সাহায্য করে। সেটির বাংলাদেশের দাম অনুযায়ী ১৫০ টাকা থেকে ১৭০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। এটি পাওয়া যায় বিভিন্ন কসমেটিক্সের দোকানে অথবা অনলাইন শপগুলোতে।
আরো পড়ূনঃ লেবুর খোসার উপকারিতা ও অপকারিতা
হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ কেমন
ত্বকের জন্য দারুন কার্য করি হচ্ছে হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ। এখন এর কার্যকারিতা কেমন। এর কার্যকারিতা বা এর উপকারিতা অনেক বেশি পরিমাণে রয়েছে।
আরো পড়ূনঃ মিষ্টি আলু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
আপনি যদি ত্বকের সমস্যায় ভুক্তভোগী হয়ে থাকেন। তাহলে হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ আপনার জন্য দারুন একটি অপশন হবে। অনেকেই এটি ব্যবহার করে ভালো ফলাফল পেয়েছে। তাই আপনিও ব্যবহার করে এর ফলাফল ভোগ করতে পারেন। তাহলে আর দেরি না করে আজ থেকেই হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ ব্যবহার শুরু করে দিন।
হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
প্রত্যেকটি প্রোডাক্ট ব্যবহারের কিছু সাইড ইফেক্ট বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। ঠিক তেমনি ভাবে হিমালিয়া নিম ফেসওয়াশেরও কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। সবাই যে এই ফেসওয়াশটি ব্যবহার করে উপকারিতা পাবে এমনটি ভাবা ঠিক নয়।
আরো পড়ূনঃ চিড়া খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
কারণ সবার মুখে সবকিছু শুট করে না। অনেকের নিমপাতা মুখের শুট না করার কারণেও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তাই যদি মুখে হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ শুট না করে তাহলে ত্বকের কি কি ক্ষতি হতে পারে। আসুন সেই সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেয়া যাক।
- ত্বকে ব্রুণ এর সংখ্যা বেড়ে যেতে পারে।
- ত্বকের আদ্রতা ঠিক থাকবে না।
- ত্বকের উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
- ত্বকে নানান ধরনের ব্যাকটেরিয়ার ও ক্ষতিকর জীবাণুগুলো আক্রমণ করতে পারে।
- হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ দুইবারের বেশি ব্যবহার করলেও এই সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে।
- একটানা বেশি দিন ব্যবহার করলে ত্বকের নানান ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ কোন দেশের
যারা হিমালয় নিম ফেসওয়াস ব্যবহার করে তাদের মনে কৌতূহলের শেষ নেই। এত সুন্দর প্রোডাক্টটি কোন দেশ উৎপাদন করেছে এই নিয়ে ব্যবহারকারীদের অনেক কৌতূহল। অনেকেই মনে করে প্রোডাক্ট্রি বাংলাদেশে উৎপাদন হয়েছে। কারণ প্রোডাক্টটি আমাদের দেশে অনেক বেশি ব্যবহারকারী রয়েছে। কিন্তু হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ ইন্ডিয়ান প্রোডাক্ট।
আসল হিমালায়া নিম ফেসওয়াশ কিভাবে চিনবেন
আমরা অনেকেই আসল হিমালায়া নিম ফেসওয়াশ চিমতে ভুল করি। যার ফলে নকল পণ্যটি ব্যবহার করি। তাইতো কিভাবে আসল ফেসওয়াস চেনা যায় তা নিয়ে কিছু কথা। আসল নিম ফেসওয়াশ এর সাথে নকল ফেসওয়াশ এর লেভেল ও কথার ভিন্নতা থাকবে। আসল ফেসওয়াশ এর গায়ে লাগানোর লেভেল বা বিবরণ গুলো অ্যাটাচ থাকবে।
আর নকল পণ্যটির লেভেল অথবা বিবরণ গুলো উপরে আরেকটি পলাথিন দিয়ে মোড়ানো থাকবে। আসল প্রোডাক্টের জেলির কালার হালকা হবে আর নকল পণ্যটির জেলির কালার গারো রঙের হবে। এইভাবে আসল ও নকলের মধ্যে পার্থক্য করতে পারেন। আরো কিছু বিবরণ রয়েছে যেগুলো দেখে পার্থক্য করা যেতে পারে।
উপসংহার
পরিশেষে বলা যায় হিমালায়া নিম ফেসওয়াশ অধিক উপকারিতা সম্পন্ন একটি প্রোডাক্ট। যার সঠিক নিয়মে ব্যবহারের ফলে আপনি এর উপকার গুলো পেতে পারেন। অনেকেরই সাইড ইফেক্ট দেখা দিতে পারে। তবে সকলের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য নয়।
তাইতো যাদের সাইড ইফেক্ট দেখা দেয় তৎক্ষণা তারা প্রোডাক্টটি ব্যবহার করা বন্ধ করে দিন। কারণ আপনার ত্বক খুবই সেনসিটিভ একটি অঙ্গ। যার অল্পতেই বেশি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। ওপরে নিয়মগুলো যদি মেনে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে ব্যবহারের মাধ্যমে এর উপকারিতা পাবেন।
শেষ কথাঃ প্রিয় পাঠক হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ে জেনে নিয়েছেন। আপনারা যদি এই ফেসওয়াশটি সম্পর্কে পড়ে উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে যাদের ত্বকের সমস্যা রয়েছে তাদেরকে এ বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করুন। যেন তারাও এই প্রোডাক্টটির সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে ব্যবহার করতে পারে। তথ্যটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
এসএইচ নিউজস্টোরের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url