সজনে পাতার গুড়া খাওয়ার নিয়ম এবং উপকারিতা জেনে নিন
আপনি যদি সজনে পাতার গুড়া খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা জানার জন্য খোঁজাখুঁজি করে থাকেন। তাহলে কিছুক্ষণের জন্য খোঁজাখুঁজি বন্ধ করে সজনে পাতার গুড়া খাওয়ার উপকারিতা জেনে নিতে পারেন। পাতাটির গুড়া খাওয়ার মধ্যে এমন কিছু উপকার রয়েছে যা জেনে উপকৃত হবেন। তাহলে আর দেরি না করে খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।
সজনে গাছের ডাল, পাতা, ডাটা, ফল ও মূল সহ সবকিছুই উপকার। । তবে এদের থেকে সজনে পাতার গুড়া পুষ্টি ও গুনাগুন একটু বেশি পরিমাণে রয়েছে। তাইতো অনেক সমস্যার সমাধান হিসেবে মানুষ সজনে পাতার গুড়াকে বেছে নেয়।
পোস্ট সূচীপত্রঃ
সারসংক্ষেপ
আমরা সকলেই সজনে গাছের ফল খেতে পছন্দ করি। কিন্তু অনেকেই সজনে গাছের পাতার গুড়া খেতে পছন্দ করে না। কারণ পাতার গুড়ার স্বাদ তিতো। কিন্তু সাজনা পাতার গুড়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। তাই সজনে গাছের ফল ও পাতার গুড়া দুটোই খাওয়া উচিত।
বরং ফলের থেকে পাতার উপকারিতা অনেক বেশি পরিমাণে রয়েছে। সজনে পাতার গুড়াকে ইংরেজিতে বলা হয় মরিঙ্গা পাউডার। এটি সকলের কাছে সুপার ফুড নামেও পরিচিত। এই জন্যই সজনে পাতা খাওয়ার আগে এর উপকারিতা গুলো সকলেরই জানা প্রয়োজন। তাইতো সাজনা পাতা গুড়া খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।
সজনে পাতা গুড়া খেলে কি হয়
আপনি যদি সজনে পাতার গুড়া না খেয়ে থাকেন। এর খাওয়ার উপকারিতা গুলো জানলে আজ থেকেই খাওয়া শুরু করে দিবেন। কারণ সজনে পাতাকে বলা হয় সুপার ফুড।
আরো পড়ূনঃ চিড়া খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
সজনে পাতাকে সুপারফুট বলার কারণ এর মধ্যে রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, কপার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি, ফসফরাস, ফাইবার, অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি, ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন সহ আরো অনেক উপাদান। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে দারুন ভূমিকা পালন করে।
এর উপকারিতা এখানেই সীমাবদ্ধতা নয়। উপকার ও পুষ্টি গুনাগুন এতই বেশি যে বলে শেষ করা যাবে না। আর এর উপকার ও পুষ্টি গুনাগুন সঠিক ভাবে পাওয়ার জন্য সজনে পাতার গুড়া খাওয়ার নিয়ম ও সজনে পাতা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে। তাহলে আর দেরি কেন এখনই বিস্তারিত পড়ার মাধ্যমে সজনে পাতা খাওয়ার উপকার ও পুষ্টি গুনাগুন গুলো কি কি তা জেনে নিন।
সজনে পাতার গুড়া খাওয়ার উপকারিতা
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ আপনি কি জানেন সাজনি পাতার গুড়া শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে কতটা কার্যকরী। এই পাতার গুড়া শরীরের শক্তি যোগায় ও অনেক রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ ও ব্যাকটেরিয়া দূর করে। কারণ সজনে পাতার গুড়াতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যামাইনো এসিড যা প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমাধানঃ কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যার সমাধানে সজনে পাতার গুড়া নিয়মিত খেতে পারেন। কারণ সজনে পাতা হচ্ছে আশঁ জাতীয় খাবার যা পেট ফাঁপা, পেট ফুলে থাকা, পায়খানা কষা হওয়া, পায়খানা হতে কষ্ট, মল অতিরিক্ত শক্ত ও শুকনো এই সকল সমস্যার সমাধানে কাজ করে।
আরো পড়ূনঃ কামরাঙ্গা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
তাই সজনে পাতার গুড়ার পাশাপাশি আরও যেসকল আঁশযুক্ত খাবার রয়েছে তা খেতে পারেন। কারণ এই জাতীয় খাবারের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা কোষ্ঠকাঠিন্য মত সমস্যা থেকে মুক্ত পেতে সহযোগিতা করে।
গ্যাস্ট্রিকের সমাধানে কাজ করেঃ গ্যাস হচ্ছে মানুষের নিত্য দিনের সঙ্গী। যাকে মানুষ ছেড়ে যেতে চায় কিন্তু সে মানুষকে ছাড়তে চায় না। আর এরই নাম হচ্ছে গ্যাস। গ্যাসের সমস্যায় ভোগেন নিয়ে এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া আর অন্ধকারে সুইঁ খোঁজার মতো।
তাই যারা নিয়মিত ঔষধ খেতে খেতে হাঁপিয়ে গেছেন। তারা ঘরোয়া উপায়ে সজনে পাতার গুড়ার শরবত করে খেতে পারেন। তবে সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে খেতে পারলে আরো বেশি উপকারিতা রয়েছে। তাই দিনে এক গ্লাস করে সজনে পাতার গুড়ার শরবত খান।
লিভার সুস্থ রাখেঃ লিভারের সুস্থতার জন্য সজনে পাতার গুড়ার মধ্যে রয়েছে দারুণ উপকারিতা। যারা দীর্ঘদিন যাবত অনিয়ন্ত্রিত জীবন ব্যবস্থার মাঝে কাটিয়েছেন। আবার অনেকে লিভারের সমস্যাই ভুগছেন। তারা দেরি না করে লিভারের সুস্থতার জন্য সজনে পাতার গুড়া খেতে পারেন।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য সজনে পাতার চাইতে আর কোনো কার্যকরী ঘরোয়া উপায় রয়েছে আমার জানা নেই। এই পাতার গুড়া রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। শুধু এটি খেলেই হবে না পাশাপাশি প্রতিদিন শারীরিক চর্চায় নিমজ্জিত থাকতে হবে। তাহলেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। তাই আমাদের প্রত্যেকের নিয়ম মাফিক পাতাটি খাওয়া উচিত।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণঃ উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম গুরুত্বপূর্ণ উৎস। যা আপনি সহিনে পাতার মধ্যে খুঁজে পাবেন। যাদের হার্ট দুর্বল তারাও এই পাতার গুঁড়োর শরবত অথবা চা খেতে পারেন। যাদের অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে ব্লাড প্রেসার বেড়ে যায় তারাও নিয়মিত খাওয়ার মাধ্যমে উপকারিতা নিতে পারেন। তবে কিছু দিন খাওয়ার পর মাঝে আবার কিছু দিন বিরতি রাখবেন।
আরো পড়ূনঃ শিউলি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়ঃ ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে দারুন কার্যকর বলে ভাবা হয় সজনে পাতার গুড়াকে। এই পাতাটি ক্যান্সারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সক্ষম। তাই অন্যান্য স্বাস্থ্যকর খাবারের পাশাপাশি সজনে পাতাও রাখতে পারেন। যা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করবে।
চোখের সুস্থতাঃ আমরা অনেকেই আছি যাদের চোখের সমস্যার কারণে চশমা ব্যবহার করতে হয়। রাতের সময় চোখে কম দেখা, সূর্যের রশি থেকে দূরে দূরে পালানো, দূরের কোনো কিছু দেখতে কষ্ট হয় তাদের জন্য সাজনি পাতার গুঁড়ার মধ্যে রয়েছে উপকারিতা। কারণ সাজনে পাতার মধ্যে আছে ভিটামিন সি যা চোখের সুস্থতায় দারুন কাজ করে। তাই চোখ ভালো রাখতে পাতাটি খেতে পারেন।
দাঁত ও হাড় শক্তিশালীঃ দাঁতের গোড়া ও শরীরের হাড় শক্তিশালী করার জন্য সজনে পাতার গুড়া খেতে পারেন। পাতার মধ্যে আছে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস যা দাঁত ও হাড়ের দুর্বলতা দূর করতে সহায়তা করে। তাই এই সুযোগ হাত ছাড়া করতে নেই। নিজেকে শারীরিকভাবে শক্তিশালী করে তোলার জন্য সজনে পাতা খান।
শরীরের অঙ্গ পতঙ্গে ব্যথাঃ যাদের হাঁটুতে ব্যথা, পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা, কোমরে বা মাজায় ব্যথা, বাতের ব্যথা ও জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সজনে পাতার মধ্যে রয়েছে সমাধান।তাই যারা দীর্ঘদিন ব্যথাগুলো বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছেন। তারা প্রত্যেকদিন সজনে পাতার গুড়ার চা করে খেতে পারেন।
শারীরিকভাবে শক্তিশালীঃ দৈহিক ও শারীরিকভাবে শক্তিশালী হয়ে গড়ে ওঠার জন্য সঠিক খাবারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তেলে ভাজা জিনিস ও অস্বাস্থ্যকর খাবার থেকে নিজেকে বিরত রাখুন। আর এগুলো থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে সুস্থ ও স্বাভাবিক থাকতে পারবেন। আর তেমনি একটি খাবার হচ্ছে সজনে পাতার গুড়া। যার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ভিটামিন এ ও প্রোটিন যা শরীরের শক্তি যোগাতে সহায়তা করে।
কোলেস্টেরলঃ শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরল দূরীভূত করার জন্য সজনে পাতার গুড়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সজনে পাতা খারাপ কোলেস্টেরল গুলোকে দূর করে ভালো কোলেস্টেরল আনায়ন করতে সক্ষম। সাধারণত খারাপ কোলেস্টেরলের কারণে হার্টের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। আর এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য পাতাটির গুড়া খেতে পারেন। দিনের যেকোনো সময় সজনে পাতার গুড়ার চা অথবা শরবত বানিয়ে খাবেন।
সজনে পাতার গুড়া খাওয়ার নিয়ম
সজনে পাতা খাওয়ার নির্দিষ্টভাবে কোনো ধরনের নিয়ম নেই। তবুও কিছু নিয়ম রয়েছে যেগুলো জেনে নেওয়ার মাধ্যমে উপকৃত হবেন। আবার নিয়ম মেনে খাওয়ার মাধ্যমেও যে কোন খাবারের উপকারিতা সঠিক নিয়মে পাওয়া যায়। তাইতো নিয়ম মেনেই খাবার খাওয়া উচিত।
আরো পড়ূনঃ চিরতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে সজনে পাতার গুড়া বেশি পরিমাণে খাওয়া যাবে না। বেশি উপকারিতার লোভে পড়ে আমরা অনেকেই বেশি বেশি খেয়ে থাকি। এই কাজটি ভুলেও করা যাবে না। তাহলে সজনে পাতার গুড়া খাওয়ার কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম জেনে নিন।
সজনে পাতা গুড়ার চাঃ পাতাটির চা বানিয়ে খাওয়ার জন্য সজনে পাতা রোদে ভালো করে শুকিয়ে গুড়া করে নিন। আমাদের দেশে পাতাটির গুড়া প্রচলন এখনো শুরু হয়নি। তবুও যদি কোথাও গুড়া কিনতে পাওয়া যায় তাহলে কিনে নিন। তারপরে ২৫০ গ্রাম পানির মধ্যে দুই থেকে তিন চামচ গুড়া ও আধা চামচ চিনি মিশিয়ে খাবেন। ডাইবেটিস রোগীদের জন্য চিনি ছাড়া খেতে হবে।
সজনে পাতা গুড়ার শরবতঃ পাতাটির শরবত বানিয়ে খেতে হলে প্রথমে রোদে শুকিয়ে পাতাটি গুড়া করে নিতে হবে। তারপরে ২৫০ গ্রাম পানির মধ্যে দুই চামচ গুড়ার সাথে ১ চামচ মধু, ১ চামচ লেবুর রস অথবা ১ চামচ এলোভেরার রস যেকোনো একটি মিশিয়ে শরবত বানিয়ে খেতে পারেন। এভাবে খেলে নানান ধরনের উপকারিতা আপনার কাছে এসে ধরা দিবে।
- বাড়িতে রান্নার মসলার হিসেবে ব্যবহার করে খেতে পারেন।
- সজনে পাতার গুড়া দিয়ে চুপ করে খেতে পারেন।
- যেকোনো তরকারির মধ্যে সজনে পাতার গুড়া ছিটিয়ে দিতে পারেন।
- সজনে পাতা তেলে ভাজ খাওয়ার মাধ্যমে বেশি উপকারিতা পাবেন।
- আবার আপনি চাইলে সজনে পাতা সিদ্ধ করেও খেতে পারেন।
- সজনে পাতার ভর্তা করে খাওয়ার মাধ্যমেও বিভিন্ন ধরনের উপকার পাওয়া যায়।
- অনেকেই সজনে পাতা কুচি কুচি করে কেটে শাক রান্না করে খাই। এভাবেও খেতে পারেন দারুন উপকার।
ডায়াবেটিস রোগীর সজনে পাতার গুড়া খাওয়ার নিয়ম
আপনার হয়তো অনেকেই জানেন না ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সজনে পাতার গুড়া খাওয়ার কতটা উপকার। আমরা অনেকেই গুড়া খাই ঠিকই কিন্তু উপকারিতা পায় না। এর কারণ হচ্ছে সজনে পাতার গুড়া না মেনে খাওয়া। তাহলে ডাইবেটিস রোগীর সজনে পাতার গুড়ো খাওয়ার নিয়ম কোনগুলো এটাই জানাবো। যদি না জেনে থাকেন খাবার নিয়মগুলো তাহলে জেনে নিতে পারেন।
আরো পড়ূনঃ মধুময় বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
- রাতে ঘুমানোর এক ঘন্টা আগে দুই চামচ সজনে পাতার গুড়া সাথে ৩০০ গ্রাম পানি মিশিয়ে খাবেন। আপনি চাইলে গরম পানির মধ্যেও দিতে পারেন আবার ঠান্ডা পানির মধ্যেও দিতে পারেন। এভাবে নিয়মিত চা বানিয়ে খেতে থাকুন।
- সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে একই নিয়মে খাবেন। তবে গরম পানি করবেন না। ঠান্ডা পানির মধ্যে মিশিয়ে খাওয়াই উত্তম। যদি ভরা পেটে খান তাহলে গরম পানি মিশিয়ে খেতে পারেন।
- জুস, সুপ, শরবত আরো অনেক মাধ্যমে খেলেও ডায়াবেটিসের জন্য উপকার হবে। তবে উপরের দুটি নিয়ম মেনে খাওয়ার মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যাবে।
ত্বকের যত্নে সজনে পাতার গুড়া
ত্বকের যত্নে সজনে পাতার গুড়ার জুড়ে মেলা ভার। কারণ সজনে পাতার মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। আপনি ত্বকের যত্নে পাতার গুড়া ফেসপ্যাক করে ব্যবহার করতে পারবেন। যেই সকল স্থানে ত্বকের সমস্যা রয়েছে ওই স্থানগুলোতে গুড়ার সাথে পানি মিশিয়ে লাগাতে পারেন। আস্তে আস্তে ওই ত্রুটিপূর্ণ স্থানটি সেরে উঠবে। তাহলে জেনে নেয়া যাক সামনে পাতার গুড়া ব্যবহার করে ত্বকের কোন সমস্যা গুলোর সমাধান করা যায়।
- যাদের ব্রুণ এর সমস্যা রয়েছে তারা সজনে পাতার গুড়া ব্যবহার করতে পারেন।
- ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করার জন্য পাতার গুড়া ব্যবহার করা হয়।
- ত্বকের উপরে থাকা ময়লা পরিষ্কার রাখার জন্য নিয়মিত পাতার গুড়া ব্যবহার করতে পারেন।
- ত্বকের ফুসকুড়ি নিরাময় দারুন ভূমিকা পালন করে সজনে পাতার গুড়া।
- বয়স্কর ছাপ দূর করার জন্যও দারুন কাজ করে।
- ত্বকের ভিতরে থাকা মৃতকোষ গুলোকে দূরীভূত করতে সহযোগিতা করে।
- ত্বকের শুষ্ক ভাব দূর করার জন্যও সহায়তা করে থাকে।
- ত্বকের কালো দাগ ও গর্ত পূরণ করতে সহায়তা করে।
সজনে পাতার গুড়া খাওয়ার অপকারিতা
অন্য সকল খাবারের মতো সজনে পাতার গুড়া খাওয়ার অপকারিতা রয়েছে। তবে সেগুলো বেশির ভাগ শুধুমাত্র অতিরিক্ত খাওয়ার ফলেই ঘটে থাকে। তাই অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকাটাই শ্রেয়। তাহলে বেশি পরিমাণে সজনে পাতার গুড়া খাওয়ার অপকারিতা কি কি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।
- যদিও সজনে পাতা খাওয়ার মধ্যে অনেক উপকারিতা লুকিয়ে রয়েছে। তবুও সেটি শুধুমাত্র সঠিক পরিমাণে খাওয়ার ফলে ঘটে। আপনি যদি অতিরিক্ত খেয়ে থাকেন তাহলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- ভাবা যায় এই পুষ্টিকর খাদ্যটির মধ্যেও অপকারিতা লুকিয়ে রয়েছে। আপনি যদি চাহিদার তুলনায় বেশি খেতে থাকেন তাহলে বমি বমি ভাব ও পেট ব্যথা করতে পারে।
- পুষ্টিগুণে ভরপুর সজনে পাতার গুড়া বেশি খাওয়ার ফলে হজমের সমস্যার হতে পারে।
- অতিরিক্ত পরিমাণে সজনে পাতার গুড়া খেলে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে না।
- সজনে পাতার যে ছোট ছোট ডালগুলো রয়েছে সেগুলো শরীরের জন্য ক্ষতিকর দিক হয়ে দাঁড়াতে পারে।
সজনে পাতার গুড়া কোথায় পাওয়া যায়
সাধারণত সজনে পাতার গুড়া কিনতে পাওয়া যায় না। এর জন্য সজনের গাছ খুঁজে বের করে তার থেকে পাতা ছিড়ে আনতে হবে। তারপরে ডালগুলো থেকে পাতা ছাড়িয়ে রোদে শুকাতে দিতে হবে। শুকনো পাতাগুলোকে ভালো করে মিহিন করে গুঁড়ো করতে হবে। তারপরে সজনে পাতার গুড়ার নিয়ম গুলো মেনে খেতে পারেন পারেন। রান্নার মাধ্যমে অথবা চা বানিয়ে খেতে পারেন।
শেষ কথা
ইতিমধ্যে আপনি সজনে পাতার গুড়া খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ে নিয়েছেন। এই সম্পূর্ণ তথ্যটি পড়ার মাধ্যমে যদি উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে আপনার আত্মীয় ও স্বজনদের জানান তাহলে তারাও উপকৃত হতে পারবে। পুরো তথ্যটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
এসএইচ নিউজস্টোরের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url