চিয়া সিড খাওয়ার অপকারিতা ও খাওয়ার সময় জেনে নিন
আপনি কি চিয়া সিড খাওয়ার অপকারিতা জানার জন্য আগ্রহী। সত্যি যদি আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে কিছুক্ষণের জন্য খোঁজাখুঁজি বন্ধ করে চিয়া সিড খাওয়ার সময় ও অপকারিতার বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ে জেনে নিতে পারেন। যা থেকে আপনি খুব সহজেই চিয়া সিড খাওয়ার অপকারিতা ও উপকারিতা পাশাপাশি খাওয়ার নিয়মগুলো জানতে পারবেন।
আমাদের দেশে অনেক মানুষ আছে যারা নিয়মিত চিয়া সিড খেতে থাকে অথচ তারা খাওয়ার উপকারিতা ও সময় বা নিয়মাবলী কিছুই জানে না। তাই তো সঠিক পরিমাণে উপকারিতা গুলো লুফে নিতে পারে না।
পোস্ট সূচীপত্রঃ
চিয়া সিড খেলে কি হয়
চিয়া সিডকে খাবার বা উপকারিতার ভাষায় সুপার ফুড নামে অভিহিত করা হয়। আসলেই কি চিয়া সিড সুপার ফুড তা আপনি শুধুমাত্র এর উপকারিতা ও গুনাগুন জানলেই বুঝতে পারবেন। প্রাচীন কালে অ্যাজটেক জাতির কাছে এটির মূল্য ছিল অনেক।
বর্তমান সময়েও এর মূল্য এক ফোটাও কমেনি। কমবেই বা কেন এর মধ্যে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, প্রোটিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ছাড়াও আরো অনেক উপাদান। যা অনেক রোগের প্রতিষেধক হিসেবে ভূমিকা পালন করে। যেমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো সহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ রোগের ঢাল হয়ে দাঁড়ায়।
এখনো বুঝতে পারেননি যে, এটিকে সুপারফুড কেন বলা হয়। তাহলে চিয়া সিড খাওয়ার সময় ও উপকারিতা জানার পরে বুঝতে পারবেন। তবে সাবধানতার জন্য এর অপকারিতা গুলো জেনে নিতে পারবেন। তাহলে আর দেরি না করে চিয়া সিড সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ে জেনে নিন।
চিয়া সিড এর উপকারিতা
১। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিঃ শরীরকে সুস্থ স্বাভাবিক রাখার জন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য চিয়া সিড খেতে পারেন। কারন চিয়া সিডের মধ্যে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
আরো পড়ূনঃ মধুময় বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
২। হৃদরোগের ঝুঁকিঃ হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোর জন্য চিয়া সিড খেতে পারেন। কারণ চিয়া সিডের মধ্যে আছে বিশেষ একটি উপকরণ যার নাম ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোর পাশাপাশি শরীর থেকে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে থাকে।
৩। হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষাঃ হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষার ক্ষেত্রে চিয়া সিড দারুণ ভূমিকা পালন করে। কারণ চিয়া সিড থেকে পাওয়া যায় ক্যালসিয়াম যা হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষা ও মজবুত করার ক্ষেত্রে উপকার ও পুষ্টি গুনাগুন রয়েছে। তাইতো হাড়ের ক্ষয় রোধ ও মজবুত করার ক্ষেত্রে নিয়মিত চিয়া সিড খেতে পারেন।
৪। ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণঃ যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তারা জেনে খুশি হবেন যে, চিয়া সিড ব্লাড সুগার স্বাভাবিক রেখে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। তাইতো যাদের ব্লাড সুগার বা ডাইবেটিসের সমস্যা আছে তারা নিয়মিত চিয়া সিড খান।
৫। ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়ঃ চিয়া সিড খাওয়ার মাধ্যমে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে পারেন। কারণ নিয়মিত চিয়া সিড খাওয়ার ফলে কোলন পরিষ্কার ও উন্নত করে। তাইতো পরিমান মত ও নিয়ম মেনে চিয়া চিয়া সিড খাওয়ার ফলে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
৬। ওজন কমাতে সাহায্যঃ আমরা হয়তো অনেকেই জানি না যে, চিয়া সিড ওজন কমাতে সাহায্য করে। মেটাবলিক সিস্টেমকে উন্নত করার মাধ্যমে যে উপকারিতাটি পাবেন তা হলো শরীর থেকে অতিরিক্ত চর্বি নিষ্কাশন। যার ফলাফল হিসেবে শরীর থেকে অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে।
৭। গ্যাসের যন্ত্রণাঃ আমরা অনেকেই গ্যাসের সমস্যাই ভুক্তভোগী। তাই এসিডিটির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য চিয়া সিড খেতে পারেন। এই খাবারটি আপনার পেটের ভেতর থেকে গ্যাস নিঃসরণ করতে সহায়তা করবে।
৮। শরীরের টক্সিনঃ শরীরের যে সকল বিষাক্ত পদার্থ ও টক্সিন রয়েছে সেগুলো শরীর থেকে বের করে ফেলার জন্য চিয়া সিড সাহায্য করতে পারে। তাইতো নিজেকে চিয়া সিড খাওয়ার মাধ্যমে অভ্যস্ত করে তুলতে পারেন।
আরো পড়ূনঃ ক্যাপসিকাম খাওয়ার উপকারিতা
৯। কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যার সমাধানঃ আপনি যদি কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যার সমাধান খুঁজে থাকেন। তাহলে চিয়া সিডের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে কাঙ্খিত সমস্যার সমাধান। এর মধ্যে রয়েছে ফাইবার যা কোষ্ঠকাঠিন্য ও হজম শক্তির সমস্যার সমাধানে কাজ করে থাকে।
১০। শরীরের ব্যথাঃ আপনি জেনে খুশি হবেন শরীরের ব্যথা দূরীকরণের কাজে চিয়া সিড এর মধ্যে উপকারিতা লুকিয়ে রয়েছে। মাজা ও হাঁটুতে ব্যথা যাকে আমরা বলি জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যথা তা দূরীকরণে দারুণভাবে কাজ করে। তাইতো নিয়মিত চিয়া সিড ভিজিয়ে শরবত খেতে পারেন।
১১। ঘুম নিয়ে চিন্তিতঃ যাদের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণের ঘুমের ঘাটতি রয়েছে বা পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম হয় না। তারা চিয়া সিড খেয়ে এর ফলাফল ভোগ করতে পারেন। কারণ চিয়া সিড ঘুমের চাহিদাকে আগের তুলনায় অনেক বাড়িয়ে তুলতে সহায়তা করবে। তাইতো অনেকেই ঘুমের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করার জন্য চিয়া সিড খেয়ে থাকে।
১২। শারীরিক শক্তি বৃদ্ধিঃ চিয়া সিড খাওয়ার মাধ্যমে শরীরকে শক্তিশালী করে তুলতে পারবেন। এর মধ্যে এমন কিছু উপকরণ রয়েছে যা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ পতঙ্গকে সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখার জন্য কাজ করে যায়। তাইতো ফলাফল হিসেবে আপনাকে সুস্থ জীবন ধারণের জন্য সহযোগিতা করে।
১৩। ত্বক ও চুলঃ চিয়া সিড খাওয়ার মধ্যে উপকারিতা লুকিয়ে রয়েছে। ত্বক ও চুলের সৌন্দর্যতা বাড়িয়ে তোলার জন্য নিয়মিত চিয়া সিড খেতে পারেন। এতে করে চেহারার উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি ত্বকের ব্রুণ ও দাগ দূর করতে সাহায্য করে।
আবার চুলের ক্ষেত্রে চুল পড়া কমানো ও চুলের গোড়া মজবুত করে তোলার পাশাপাশি চুলের সাইন বজায় রাখে। তাহলে তো বুঝতেই পেরেছেন যে ত্বক ও চুলের ক্ষেত্রে চিয়া সিড কতটা কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। শুধু কি তাই নখের সৌন্দর্যতা বজায় রাখার জন্যেও চিয়া সিড খেতে পারেন।
চিয়া সিড খাওয়ার সময় ও নিয়ম
আমরা অনেকেই জানি চিয়া সিড ছাড়াও আরো অন্যান্য যে সকল খাদ্য রয়েছে। সেই সকল খাদ্যেরই নিজস্ব কিছু নিয়ম, পদ্ধতি ও সময় রয়েছে। ঠিক তেমনি চিয়া সিড খাওয়ারও নির্দিষ্ট সময় ও নিয়ম রয়েছে। যেগুলো মেনে খেলে এর উপকারিতা আপনার কাছে ধরা দেবে। এই খাবারটির গুনাগুন ও উপকার সম্পূর্ণ পেতে চান তাহলে সঠিক সময় না মেনে খেতে থাকুন। আর তাইতো খাওয়ার সময় ও নিয়ম নিয়মাবলী জেনে নিতে পারেন।
আরো পড়ূনঃ পাথরকুচি পাতার উপকারিতা
- স্বাদহীন চিয়া সিড খাওয়ার জন্য এক গ্লাস পানি বা ২৫০ গ্রাম পানির মধ্যে দুই থেকে তিন চা চামচ চিয়া সিড ছেড়ে দিন। এরপরে ৪০ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করুন তারপরে খেয়ে ফেলুন।
- ভেজানো চিয়া সিডের স্বাদ বাড়ানোর জন্য সাথে নারকেলের পানি, টক দই, দুধ, মধু, বাদাম ও ফল জাতীয় জিনিসের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন।
- ডায়েটের খাবার তালিকায় চিয়া সিড রাখতে পারেন। সালাদ ও রান্না শেষে ভাজা চিয়া সিড ছিটিয়ে দিতে পারেন। আবার ভাজা চিয়া সিড খালি মুখে এমনিও খেতে পারেন। তাহলেও এর পুষ্টি ও গুনাগুন কমবে না।
- ওজন কমানোর উদ্দেশ্যে ২৫০ গ্রাম পানি ও ২ থেকে ৩ চামচ চিয়া সিড ৪০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে তারপরে পানির মধ্যে একটা লেবুর রস ছেড়ে মিশিয়ে দিন। তারপরে নিয়মিত খেলে ওজন কমাতে সহায়তা করবে। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে বা শারীরিক চর্চার শেষে ও রাতে ঘুমানোর আগে খেতে পারেন।
- শরীরে তৎক্ষণাৎ শক্তি যোগানোর জন্য দিনের মধ্যম সময়ে চিয়া সিডের শরবত খেতে পারেন। এতে করে আপনার শারীরিক ক্লান্তি ও অবসাদ দূর করতে দারুণ ভূমিকা রাখবে।
- অতিরিক্ত চিয়া সিড খাওয়া যাবে না। চিয়া সিড খাওয়ার পরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। তাহলে এর যথাযথ গুনাগুন ও উপকারিতা গুলো পাবেন।
চিয়া সিড খাওয়ার অপকারিতা
আপনি হয়তো এই কথা শুনে অবাক হয়ে যাবেন। যদি বলা হয় চিয়া সিড খাওয়ার কিছু অপকারিতা রয়েছে। সত্যি পুষ্টি গুনাগুন ভরপুর খাদ্যটির মধ্যেও অপকারিতা থাকতে পারে। দেখুন চিয়া সিড খাওয়ার যদি উপকারিতা থাকতে পারে।
আরো পড়ূনঃ গাজরের উপকারিতা ও অপকারিতা
তাহলে অপকারিতা কেন থাকতে পারবে না। এই খাদ্যটিতেও অন্যান্য কিছু খাবারের মত অপকারিতা লুকিয়ে রয়েছে। কিন্তু ভয় পাওয়ার কিছু নেই। শুধু চিয়া সিড খাওয়ার অপকারিতা জেনে সাবধানতা বজায় রেখে খেলেই এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থেকে বেঁচে থাকতে পারবেন।
- এক গবেষণায় দেখা গেছে চিয়া সিড খাওয়ার ফলে প্রোটেস্ট ক্যান্সার ও স্তন ক্যান্সার বাড়াতে পারে। এইজন্য খাওয়ার আগে একটু সাবধানতা বজায় রাখুন। অতিরিক্ত ব্যবহার বা খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।
- চিয়া সিড নিয়মিত খেতে পারেন কিন্তু অতিরিক্ত খেলে পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। যেমন ডায়রিয়া, গ্যাস, পেট ব্যথা ও হজমের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ চিয়া সিডের মধ্যে রয়েছে ফাইবার যা অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে সমস্যাগুলো হয়ে থাকে।
- চিয়া সিড খাওয়ার ফলে শারীরিক ওজন বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু যদি বেশি খেতে থাকেন তাহলে মাত্রা অতিরিক্ত ওজন কমে যেতে পারে।
- চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা হিসেবে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। কিন্তু বেশি খাওয়ার ফলে ফলাফল বিপরীত হতে পারে। বেশি খাওয়ার জন্য রক্তে শর্করার মাত্রা অস্বাভাবিক কমে যেতে পারে।
চিয়া সিড কিডনির জন্য কতটা ভাল
চিয়া সিড এর মধ্যে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও প্রোটিন সহ আরো নানা উপাদান। যেগুলোর ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে কিডনি। আর এই উপাদান গুলোর মাত্র যখন অতিরিক্ত হয়ে যায় তখন কিডনির ক্ষতি হতে পারে।
আরো পড়ূনঃ কাজু বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
তাই চিয়া সিড খাওয়ার মধ্যেও উপকারিতা লুকিয়ে রয়েছে বলে আপনি অতিরিক্ত খেতে পারবেন না। তাহলে কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে। যাদের কিডনিতে পাথর আছে বা বংশগত কারণে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাহলে চিয়া সিড না খাওয়াই ভালো।
তবে যদি খেতে চান তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ অবশ্যই জরুরী। আরও একটি কথা হচ্ছে যদি আপনার কিডনি জনিত কোনো সমস্যা থাকে বা মনে হয়। হয়তো আপনি জানেন না যে আপনার কিডনি জনিত সমস্যার রয়েছে কিনা। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিয়া সিড খাবেন।
চিয়া সিড এর বাংলা ও অন্য নাম
এই খাবারকে বিভিন্ন নামে ডাকা হয়। বাংলায় বলে চিয়া বীজ। আর ইংরেজিতে চিয়া সিড নামে অভিহিত করা হয়। ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে চিয়া বীজ নামেই ডাকা হয়। আরো বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে এই চিয়া সিড বা চিয়া বীজকে ডাকা হয়। আবার শোনা যায় অনেক জায়গায় শুধুমাত্র চিয়া বলেও অভিহিত করা হয়।
চিয়া সিড কিভাবে খেলে ওজন বাড়ে
অনেকেই আমরা অতিরিক্ত ওজন নিয়ে খুবই চিন্তিত থাকে। চলাফেরা থেকে শুরু করে সবকিছুতেই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাইতো আপনি যদি ওজন কমানোর উদ্দেশ্যে ডায়েট করে থাকেন। তাহলে সেই খাবারের তালিকায় আরো একটি খাবার যুক্ত করুন সেটা হচ্ছে চিয়া সিড। এটি আপনার শরীরের ওজন বাড়াবে না বরং কমাতে সাহায্য করবে।
আপনারা কিন্তু জানতে চেয়েছিলেন চিয়া সিড খেলে কি ওজন বাড়ে। আপনি এর উল্টোটা ভাবতে পারেন। উল্টোটা মানে চিয়া সিড খেলে কমানোর পাশাপাশি আরো নানান ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায়। তাই তো অনেকেই এই অধিক উপকারিতা সম্পূর্ণ খাবার কে সুপারফুড বলে অভিহিত করে থাকে।
চিয়া সিড খেলে কি এলার্জি হয়
আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যাদের কিছু খেলে এলার্জি জনিত সমস্যা হয়। এই জন্য অনেক পুষ্টিকর খাবার থেকে আপনারা বঞ্চিত হন। তবে চিয়া সিড এর মধ্যে কিছুটা এলার্জি জনিত সমস্যা রয়েছে। গলা ও হাত থেকে শুরু করে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ চুলকাতে পারে। তবে যদি চিয়া সিড খেলে কোন এলার্জির সমস্যা না হয়। তাহলে এই খাবারটি খেতে পারেন। আর যদি চিয়া সিড খাওয়ার ফলে এলার্জির সমস্যা দেখা দেয়। তাহলে খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
চিয়া সিড এর সম্পর্কে FAQ
১। চিয়া সিড ও মধু এক সাথে খেলে কি হয়?
উত্তরঃ চিয়া সিডের নির্দিষ্ট কোন সাত বা গন্ধ নেই। তাই মধুসহ আরো অনেক কিছু মিশিয়ে চিয়া সিড খেতে পারেন। চিয়া সিড ও মধু এক সাথে খেলে দারুন উপকারিতা পাবেন।
২। চিয়া সিড কতক্ষণ ভিজিয়ে রাখতে হয়?
উত্তরঃ চিয়া সিড ৩০ থেকে ৪০ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে পারেন। এটাই ভিজিয়ে রাখার জন্য যথেষ্ট সময় হবে।
৩। চিয়া সিড বেশি খেলে কি হয়?
উত্তরঃ চিয়া সিড বেশি খেলে নানান ধরনের শারীরিক সমস্যা সম্মুখীন হতে পারেন। এই জন্য অতিরিক্ত খাওয়া বন্ধ করে নিয়মিত পরিমান মত খেতে থাকুন।
৪। চিয়া সিড এর দাম কত?
উত্তরঃ ১ কেজি চিয়া সিড এর দাম ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
৫। চিয়া সিড কোথায় পাওয়া যায়?
উত্তরঃ চিয়া সিড মার্কেটের বিভিন্ন ধরনের দোকানে পাওয়া যায়। তাই আপনার নিকটস্থ কোনো মার্কেটের দোকানে খুঁজতে পারেন। আশা করা যায় সেখানে পাবেন।
উপসংহার
পরিশেষে বলা যায় যে প্রত্যেকটি খাদ্যের যেমন উপকারিতা রয়েছে ঠিক তেমনি অপকারিতা রয়েছে। তাই আমাদের সকলেরই উচিত প্রত্যেকটি খাবার সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান থাকা। কারণ যে খাবার আপনি খাচ্ছেন সেই খাবার সম্পর্কে যদি জ্ঞান না থাকে।
তাহলে কিভাবে বুঝবেন এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ও উপকারিতা। এগুলো জানার জন্য আপনাকে প্রত্যেকটি খাবারের তার পুষ্টি গুনাগুন ও নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। যাতে করে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা অপকারিতা আপনাকে ছুতে না পারে। যদি এই তথ্যটি পুরো না পড়ে থাকেন তাহলে পড়ে নেন।
শেষ কথাঃ আশা করা যায় চিয়া সিড খাওয়ার অপকারিতা ও উপকারিতা বিস্তারিত পড়ে নিয়েছেন। এই পুরো তথ্যটি পড়ার মাধ্যমে যদি উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে আপনার প্রতিবেশীদের চিয়া সিড খাওয়ার নানান ধরনের উপকরণ সম্পর্কে অবগত করুন। যেন তারাও এই খাবারটির বিষয়ে সঠিক ধারণা লাভ করতে পারে। পুরো তথ্যটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
এসএইচ নিউজস্টোরের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url