চিংড়ি মাছের বৈশিষ্ট্য ও ১০টি চিংড়ি মাছের উপকারিতা জেনে নিন
আপনি যদি চিংড়ি মাছের বৈশিষ্ট্য ও তার মধ্যে থাকা গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান। তাহলে একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন। কারণ চিংড়ি মাছের উপকারিতা ও বৈশিষ্ট্যগুলো আপনাকে মুগ্ধ করবে। এটি বলার অন্যতম কারণ হচ্ছে উচ্চ পরিমাণে প্রোটিনের উপস্থিতি রয়েছে। যা আপনার শরীরের ভেতরের শক্তি যোগাতে সাহায্য করবে। এছাড়াও আরো অনেক উপকারিতা আছে যা শুধুমাত্র খাওয়ার মাধ্যমে পাওয়া যায়।
চিংড়ি পোকা না মাছ এবং এটি খাওয়া হারাম না কি হালাল। এই বিষয়ে অনেক মতো বিরোধ রয়েছে। সত্যি কি চিংড়ি খাওয়ার মধ্যে উপকারিতা আছে নাকি শুধু অপকারিতা বিস্তারিত করার মাধ্যমে জেনে নিন।
পোস্টসূচিপত্রঃ
ভূমিকা
অনেক ব্যক্তি চিংড়ি মাছ খুবই অনেক পছন্দ করেন। কারণ চিংড়ি মাছ খেতে যেমন সুস্বাদু তার উপকারিতা ও পুষ্টি গুণাগুণও অনেক বেশি। কিন্তু কিছু ব্যাক্তি রয়েছে যারা চিংড়ি মাছকে পোকা মনে করে। কারণ তাদের ধারণা চিংড়ি মাছ হারাম। আসলেই কি হারাম।
এই সুস্বাদু মাছের মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও কোলেস্টেরল। শুধু কি তাই এর পাশাপাশি ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, জিংক, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন বি১২, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, আন্টি ইনফ্লেমেটরি মতো উপাদান।
যা হার্টের সুস্থতা ও ক্যান্সারের মতো রোগের ঢাল হয়ে দাঁড়াই। এই মাছের বৈশিষ্ট্য গুলো অনেক সুন্দর তবে চিংড়ি মাছ খাওয়ার কিছু অপকারিতা রয়েছে। সবকিছু জানতে চাইলে চিংড়ি মাছের বৈশিষ্ট্য ও এর ভিতরে থাকা উপকারিতা বিস্তারিত পড়ে জেনে নিন।
চিংড়ি মাছের উপকারিতা
১। হার্টের সুস্থতার জন্য উপকারঃ হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সেই রকম একটি খাবার হচ্ছে চিংড়ি মাছ। যার মধ্যে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। সেই জন্যই হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি করার জন্য চিংড়ি মাছ খেতে পারেন। আবার উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ও খারাপ কোলেস্টেরল দমন করার পাশাপাশি লিভার ভালো রাখতেও সহায়তা করে।
আরো পড়ূনঃ টুনা মাছের উপকারিতা গুলো জেনে নিন
২। ক্যান্সারের জন্য সহায়কঃ আমরা সকলেই জানি ক্যান্সার হচ্ছে মরণব্যাধি রোগ। তবে জেনে খুশি হবেন যে চিংড়ির মাছের মধ্যে থাকা সেলিনিয়াম নামক উপাদানটি ক্যান্সারের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সহায়তা করে। এই সেলিনিয়াম ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করতেও কাজ করে যাই। তাই ক্যান্সারের সহায়ক হিসেবে চিংড়ি মাছ খেতে পারেন।
৩। ওজন স্বাভাবিক রাখতে পারেঃ আপনারা হয়তো জানেন না, চিংড়ি মাছের মধ্যে ক্যালরি পরিমাণে কম রয়েছে। তাই যারা ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে চিংড়ি মাছ খেতে চাচ্ছেন না। তাদের জন্য এটি ভালো খবর। চিংড়ি মাছ খাওয়ার মাধ্যমে ওজন স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি আরো অনেক উপকার পাবেন।
৪। মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তিঃ চিংড়ি মাছ মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। কারণ চিংড়ি মাছের মধ্যে থাকা ভিটামিন বি ১২, অস্ট্রাক্যানথিন ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি মস্তিষ্কের সৃজনশীল দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি কোষের ক্ষতি থেকে প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে। তাইতো অনেকেই চিংড়ি মাছ খেতে ভালোবাসে ও পছন্দ করে।
৫। আয়রনের অভাব পূরণঃ যদি শরীরে আয়রনের ঘাটতি বা অভাব থাকে। তাহলে চিংড়ি মাছ খাওয়ার মাধ্যমে তা পূরণ করা যায়। কারণ চিংড়ি মাছের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। আর আয়রনের অভাবে রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে যায়। তাই রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করার জন্য মাছটি খেতে পারেন। শারীরিক দুর্বলতা বোধ করা ও শারীরিক চর্চা সহ অন্যান্য কাজ করার সময় ক্লান্ত বোধ থেকে নিস্তার পাবেন।
৬। রক্তস্বল্পতাই সহযোগীঃ চিংড়ি মাছ খাওয়ার ফলে রক্তস্বল্পতার হাত থেকে রক্ষা পাবেন। কারণ এটি আপনার শরীরের রক্তের ঘাটতি পূরণ করতে সহায়তা করে। পাশাপাশি রক্তের প্রবাহের মাত্রা স্বাভাবিক ও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। তাইতো চিংড়ি মাছের উপকার ও পুষ্টি গুনাগুনের কোনো তুলনা হয় না।
৭। মানসিক চাপঃ আমরা অনেকেই মানসিক চাপ ও ডিপ্রেশনের মত শারীরিক ব্যাধির সাথে বসবাস করি। তাইতো চিংড়ি মাছ খাওয়ার মাধ্যমে মানসিক বিষণ্যতা ও চাপ দূর করতে সহায়তা করবে। কারণ চিংড়ি মাছ হচ্ছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিডের উৎস যা সমস্যার হাত থেকে রক্ষাতে সাহায্য করে।
৮। হাড় ও দাঁত মজবুতঃ চিংড়ি মাছ খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। তার মধ্যে একটি হচ্ছে দাঁত ও হাড়ের ক্ষয় রোধ করা পাশাপাশি সেগুলোকে মজবুত করা। কিন্তু চিংড়ি মাছের মধ্যে কি এমন উপাদান রয়েছে যেগুলো দাঁত ও হাড়ের ক্ষয় রোধ করতে পারে। এই মাছটিতে ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস যেগুলো দাঁতের ক্ষয় রোধ করা থেকে শুরু করে মজবুত করা পর্যন্ত কাজ করতে পারে।
৯। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিঃ আপনি চিংড়ি মাছ খাওয়ার মাধ্যমে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে পারবেন। ত্বক থেকে মৃত কোষগুলোকে ধ্বংস করতে সহযোগিতা করবে। কারণ চিংড়ি মাছের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ই যা এই সকল কাজ করতে সক্ষম। আরো যে সকল উপকার পাবেন চিংড়ি মাছ থেকে তা হচ্ছে চুলের সাইন ও গোরা মজবুত করার পাশাপাশি আপনার নখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করবে।
১০। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিঃ আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার দরকার আছে। কারণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারি। তাইতো চিংড়ি মাছ খাওয়ার মাধ্যমে রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা করে তুলতে পারবেন। কারণ এই মাছের মধ্যে আছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, জিংক, কপার ও ফসফরাসের মতো দারুণ সকল উপাদান। তাই নিয়মিত ও পরিমান মত চিংড়ি মাছ খেতে পারেন।
চিংড়ি মাছের বৈশিষ্ট্য
চিংড়ি মাছের যে সকল উপকারিতা রয়েছে তা জেনেছি। কিন্তু আপনারা চিংড়ি মাছের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে অবগত। আমার মনে হয় আপনাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা চিংড়ি মাছের বৈশিষ্ট্য গুলো কিছুটা জানেন। আবার অনেকেই আছেন তার বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি তার বিষয়ে অবগত নন। যাই হোক জানুন বা না জানুন কিন্তু চিংড়ি মাছের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে এখন জেনে নিন।
- চিংড়ি মাছের উপাঙ্গ, ডানা বা হাত-পা যাই বলেন না কেন সেটি রয়েছে ১৯ জোড়া।
- ডানাকে তিন ভাগে ভাগ করা যায় শির, বক্ষ ও উদর।
- শির, বক্ষ ও উদর হচ্ছে ৫ জোড়া, ৮ জোড়া এবং ৬ জোড়া।
- চিংড়ি মাছের চোখগুলো ছোট ছোট কালো ও শরীরের থেকে মাথা বড় হয়।
- চিংড়ি মাছের শরীরের ও মাথার বাহিরের আস্তরণ শক্ত আবরণ দ্বারা পরিবেষ্টিত।
- এই মাছ ও অমেরুদণ্ডহীন মানে এদের কোনো মেরুদন্ড নেই।
- এদের মাথার দিকে এন্টেনার মত থাকে।
চিংড়ি মাছ খেলে কি প্রেসার বাড়ে
চিংড়ি মাছ খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে তা আমরা পড়েছি। কিন্তু আসলেই কি চিংড়ি মাছ খেলে ব্লাড প্রেসার বাড়ে না নিয়ন্ত্রণে থাকে না কি কমে যায়।
চিংড়ি মাছের মধ্যে রয়েছে অনেক ধরনের উপাদান তার মধ্যে একটি হচ্ছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। শুধু কি তাই আপনার যদি ডায়াবেটিস থাকে, আর নিয়ন্ত্রণ না হয়। তাহলে নিয়মিত চিংড়ি মাছ খেতে পারেন। আশা করা যায় চিংড়ি মাছ ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি ডায়াবেটিস স্বাভাবিক রাখবে।
চিংড়ি মাছ খাওয়া কি হারাম
চিংড়ি মাছ খাওয়া হারাম নাকি হালাল এ বিষয় নিয়ে অনেক মতবাদ রয়েছে। কিছু মানুষ বলে এটি হচ্ছে পোকা আবার অনেকেই বলে এটি মাছ। তবে অধিকাংশ মানুষেরই মতামত হচ্ছে এটি মাছ। আর চিংড়ি মাছ খাওয়া হচ্ছে হালাল। এ বিষয়ে শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন চিংড়ি মাছ খাওয়া হালাল।
তবুও যদি আপনার কোনো দ্বিধা থেকে থাকে চিংড়ি মাছ খাওয়া হালাল নাকি হারাম। তাহলে মাছ খাবার বিষয়ে যে সকল হাদিস রয়েছে ও বড় বড় বিজ্ঞ আলেম রয়েছে তাদের মতামত নিতে পারেন। তারা আপনাকে সঠিক ব্যাখ্যাটি দিতে পারবে ইনশাআল্লাহ।
চিংড়ি মাছে কি এলার্জি আছে
আসলেই কি চিংড়ি মাছের মধ্যে এলার্জি আছে। আপনারা জেনে হতাশ হবেন যে, চিংড়ি মাছের মধ্যে এলার্জির উপস্থিতি রয়েছে। যা খুবই ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে। চুলকানি থেকে শুরু করে ত্বকের বিভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। যদি আপনাদের এলার্জি জনিত সমস্যা থাকে।
তাহলে চিংড়ি মাছ খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখুন। তবে আগে চিংড়ি মাছ খেয়ে দেখুন যদি খাওয়ার পরে শরীরে এলার্জির প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। তাহলে চিংড়ি মাছ খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারেন। অন্যথায় চিংড়ি মাছ খাওয়া চালিয়ে যেতে পারেন।
চিংড়ি মাছের অপকারিতা
প্রত্যেকটি খাদ্যের মধ্যে কিছুটা হলেও অপকারিতা খুঁজে পাওয়া যায়। তেমনি একটি খাবার হচ্ছে চিংড়ি মাছ। এই মাছটি খেতেও যেমন সুস্বাদু তেমনি তার উপকারিতা। তবে এই মাছের মধ্যে রয়েছে উচ্চমানের কোলেস্টেরল। তাইতো অনেকেই মাছটি খেতে ভয় পায়। কারণ শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে গেলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে।
তাই বলা যায় যাদের শরীরে অতিরিক্ত কোলেস্টেরলের উপস্থিতি রয়েছে তারা চিংড়ি মাছ খাওয়া থেকে দূরে থাকুন। কারণ শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে গেলে হৃদরোগের মতো মারাত্মক সমস্যা দেখা দিতে পারে। সামুদ্রিক অন্যান্য খাবারের থেকে চিংড়ি মাছে রয়েছে প্রায় ৬০ পার্সেন্ট এরও অধিক কোলেস্টেরল।
বড় সাইজের চিংড়ির মধ্যে ১১ মিলিগ্রাম, মাঝারি সাইজের মধ্যে ৫ মিলিগ্রাম ও ছোট সাইজের মধ্যে ১৯৫ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরলের উপস্থিতি পাওয়া যায়। তাই চিংড়ি মাছ খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। আর যাদের এলার্জি জনিত সমস্যা রয়েছে তারাও চিংড়ি মাছ খাওয়া থেকে দূরে থাকুন।
কারণ এর এলার্জি খুবই ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে শরীরের চুলকানি, খিচুনি, বমি বমি ভাব, হজমের সমস্যা ও ত্বকের বিভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তাই চিংড়ি মাছ যেমন উপকারিতা রয়েছে ঠিক তেমনি অপকারিতাগুলো আছে। চিংড়ি মাছ খাওয়ার আগে নিজের শরীরের পারিপার্শ্বিক অবস্থার বিচার বিবেচনা করতে হবে।
যদি নিজে না করতে পারেন তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। আর অতিরিক্ত চিংড়ি কখনই খাবেন না। কারণ কোলেস্টেরল ছাড়াও চিংড়ির মধ্যে প্রোটিন সহ আরো অনেক ধরনের উপাদান রয়েছে যেগুলোর উপস্থিতি প্রচুর পরিমাণে বিদ্যমান।
চিংড়ি মাছ সম্পর্কে FAQ
১। চিংড়ি মাছের মাথায় কি থাকে?
উত্তরঃ চিংড়ি মাছের মাথায় তাদের বর্জ্য বা মল থাকে।
২। চিংড়ি মাছে কি ভিটামিন আছে?
উত্তরঃ হ্যাঁ, চিংড়ি মাছের মধ্যে ভিটামিনের উপস্থিতি আছে।
৩। চিংড়ি মাছে কি কোলেস্টেরল আছে?
উত্তরঃ হ্যাঁ, চিংড়ি মাছের উচ্চ কোলেস্টেরল আছে। যা অনেক মাছের থেকেও বেশি পরিমাণে থাকে।
৪। চিংড়ি মাছে কি প্রোটিন আছে?
উত্তরঃ হ্যাঁ, চিংড়ি মাছের মধ্যে উচ্চমাত্রায় প্রোটিন পাওয়া যায়। যার শরীরের জন্য খুবই ভালো বলে বিবেচনা করা হয়।
৫। চিংড়ি মাছের ইংরেজি নাম কি?
উত্তরঃ চিংড়ি মাছের ইংরেজি নাম হচ্ছে Shrimp।
৬। গদলা চিংড়ি মাছের ইংরেজি নাম কি?
উত্তরঃ গদলা চিংড়ি মাছের ইংরেজি নাম হচ্ছে Lobster।
৭। চিংড়ি মাছের বৈজ্ঞানিক নাম কি?
উত্তরঃ চিংড়ি মাছের বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে Genus palaemon।
৮। গলদা চিংড়ির বৈজ্ঞানিক নাম কি?
উত্তরঃ গদলা চিংড়ির বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে Macrobrachium rosenbergii।
৯। বাগদা চিংড়ির বৈজ্ঞানিক নাম কি?
উত্তরঃ বাগদা চিংড়ির বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে Penaeus monodon।
১০। চিংড়ি মাছের দাম কত?
উত্তরঃ বাগদা চিংড়ি মাছের দাম প্রায় ৮৫০ ও গলদা চিংড়ির দাম প্রায় ১০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
উপসংহার
পরিশেষে বলা যায় আমাদের মধ্যে অধিকাংশ মানুষই চিংড়ি মাছ খেতে ভালোবাসে। আবার কিছু মানুষ এটিকে পোকা মনে করে খেতে চায় না। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে চিংড়ি মাছে পাওয়া গেছে অনেক উপাদান যা শরীরের পক্ষে উপকার বয়ে আনবে। তাইতো বিশেষজ্ঞরা চিংড়ি মাছ খাওয়ার পরামর্শ দেন। অবশ্যই নিজের শারীরিক অবস্থার উপর বিবেচনা করে চিংড়ি মাছ খাবেন। যাতে করে চিংড়ি মাছ খাওয়ার মাধ্যমে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলো দেখা না দেয়।
শেষ কথাঃ প্রিয় পাঠক আশা করি চিংড়ি মাছের বৈশিষ্ট্য ও তার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ে কিছু জানতে পেরেছেন। আর যদি এর উপকারিতা ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানার পরে আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে অন্য মানুষকেও এই বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করুন। যাতে করে তারাও চিংড়ি মাছ খেতে পারে। পুরো তথ্যটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
এসএইচ নিউজস্টোরের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url