খরগোশ কামড় দিলে কি হয় ও কত দিনে বাচ্চা দেয় জেনে নিন
পোষা প্রাণী খরগোশ কামড় দিলে কি হয় তা জানার জন্য আগ্রহী হয়ে থাকেন। তাহলে এই পুরো তথ্যটির মাধ্যমে খরগোশ কামড় দিলে কি হতে পারে পাশাপাশি স্নেহময় প্রাণী খরগোশ কত দিনে বাচ্চা দেয় তা জেনে নিতে পারেন। আর যদি কেউ খরগোশ খেতে পছন্দ করেন। তাহলে এর উপকারিতা ও পুষ্টি গুনাগুন সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ে জেনে নিতে পারেন।
আমরা অনেকেই জানি খরগোশ দেখতে সুন্দর ও অলস প্রাণী। জেনে আনন্দ পাবেন যে এই প্রাণীটি শুয়ে থাকতে ও ঘুমাতে বেশি পছন্দ করে। পাশাপাশি লাফালাফি করতেও অনেক পছন্দ করে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ
ভূমিকা
খরগোশ খাওয়া হালাল নাকি হারাম কথাটি নিয়ে অনেক মতবাদ রয়েছে। তবে খরগোশ খাওয়া হালাল। যদিও খরগোশ পোষা প্রাণী তবুও অনেকেই খরগোশের খামার দিয়েছেন ব্যবসায়ের উদ্দেশ্যে। খরগোশের মাংস খেতে সুস্বাদু ও নরম হয়। এর মাংসের স্বাদ ঠিক মুরগির মাংসের মতো। শুধু স্বাদ আছে এমন নয় খরগোশের মাংস খাওয়ার উপকারিতাও রয়েছে।
তবে খরগোশের কামড় খাওয়ার উপকারিতা নেই। আপনি কি জানেন খরগোশ কামড় দিলে কি হয় এই বিষয়টি জানার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। পাশাপাশি খরগোশের বিষয়ে আরো কিছু খরগোশ কত দিনে বাচ্চা দেয় ও কি কি খাবার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রাখলে খরগোশের সুস্থতা বজায় থাকবে। এই সকল নানান বিষয় জানার জন্য কৌতুহ থাকলে তাহলে সম্পূর্ণ তথ্যটি বিস্তারিত পড়ে জেনে নিতে পারেন।
খরগোশ খাওয়ার উপকারিতা
- খরগোশের মাংসের মধ্যে রয়েছে উচ্চমাত্রায় প্রোটিন ও অন্যান্য ভিটামিন যা হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং পরিপাকতন্ত্রের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে সহায়তা করে। পাশাপাশি বিভিন্ন সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে।
- খরগোশের মাংসের মধ্যে অন্যান্য কিছু খাবারের তুলনায় চর্বির পরিমাণ কম থাকে। এই জন্য খরগোশের মাংস খাওয়ার ফলে ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
- এই প্রাণীর মাংসটিতে অন্যান্য মাংসের তুলনায় ক্যালরির পরিমাণ তুলনা মূলক কম থাকে। যার ফলে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি কম হয়।
- খরগোশের মাংসে কোলেস্টেরল নেই বললেই চলে যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে এবং আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। হৃদরোগের আক্রান্ত রোগীরা সবসময় খাবার দ্রুত খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
- খরগোশের মাংসে অন্যান্য মাংসের তুলনায় সোডিয়ামের পরিমাণ কম থাকে।
- খরগোশ খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে পারেন। কারণ এর মাংসের মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস যা রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সহায়তা করে।
- শরীরের পেশি ও হাড়ের জয়েন্টের ব্যবস্থাপনা ভালো রাখে। আর ঘন ঘন ফ্র্যাকচার এর হাত থেকে রক্ষা করতে কাজ করে যায়। কারণ খরগোশের মাংসে উচ্চমাত্রায় ভিটামিনের উপস্থিতি রয়েছে।
- খরগোশের মাংস খেলে ত্বক ও চুলের ক্ষেত্রেও উপকারিতা পাবেন। কারণ এর মাংসের মধ্যে রয়েছে উচ্চমাত্রায় প্রোটিন। যা আপনাকে কাঙ্খিত উপকারিতা গুলো পেতে সহায়তা করবে।
খরগোশ কামড় দিলে কি হয়
খরগোশ কামড় দিলে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। যে খরগোশ কামড় দিয়েছে সেটি যদি আপনার নিজের না হয়। আবার আপনার খরগোশ যদি কুকুর ও বিড়ালের সংস্পর্শে আসে তাহলে কিছু রোগ থাকতে পারে। যেমন জলাতঙ্ক, সালমোনেলা, লিস্টেরিয়া, টুলারেমিয়া খরগোশের জ্বর আর এই রোগগুলো হচ্ছে ভাইরাস যা ছড়িয়ে পড়তে পারে।
যদি খরগোশ কামড় দেয় তাহলে ওই জায়গাটি স্যাভলন বা কিছু দিয়ে পরিষ্কার করুন। তারপরে ডাক্তারের শরণাপন্ন হয় তার পরামর্শ গ্রহণ করুন। যদি এই ভাইরাস গুলোতে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। তাহলে যে সকল লক্ষণগুলো দেখলে বুঝতে পারবেন তা হলো।
- আক্রান্ত স্থানটিতে খুবই জ্বালাপোড়া অনুভূত হবে।
- আপনার শরীরে জ্বর আসবে ও বমি বমি ভাব হবে।
- শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যথা অনুভূত হবে।
- মানসিকভাবে নিজেকে অস্বস্তিকর মনে হবে।
- পানিকে শত্রুর মত ভয় পাবেন। তার সংস্পর্শে যেতে চাইবেন না।
- কোনো প্রকারের আলো বাতাস ভালো লাগবে না বা সহ্য হবে না।
তাইতো খরগোশ কামড় দেওয়া অস্বাভাবিক কিছু না। আবার এটি স্বাভাবিক কিছু না। কারণ ছোট কোনো কিছু থেকেই বড় কিছুর শুরু হয়। তাই খরগোশ কামড় বা আঁচড় দিলে তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। আশা করা যায় খরগোশ কামড় দিলে কি হয় এই বিষয়টি নিয়ে আর কোনো দ্বিধা নেই।
খরগোশ পালনের অসুবিধা
- আমরা অনেকেই জানি খরগোশ এক মাস পর পর বাচ্চা দিতে সক্ষম। কিন্তু পরাপর অনেক কয়বার লাগাতার বাচ্চা দিলে। মা খরগোশের বিভিন্ন সমস্যা হয় এবং মারাও যেতে পারে।
- খরগোশ পোষা প্রাণী দেখে কেউ খেতে চায় না। তাহলে খামার করার উদ্দেশ্যে কেউ যদি পালন করেন। কিছু যাচাই-বাছাই করে খোঁজখবর নিয়ে তারপরে পালন শুরু করুন।
- খরগোশ লতাপাতা খেয়ে বেঁচে থাকতে পারে। কিন্তু আপনি যদি খামারের উদ্দেশ্যে পালন করতে চান। তাহলে ঘাস বা লতাপাতার চাষাবাদ শুরু করতে হবে।
- খরগোশ সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে পছন্দ করে। তাই এর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার বিষয়টি আপনার পক্ষে কষ্ট হতে পারে।
- খরগোশের বাসস্থানের জন্য জায়গার প্রয়োজন হয়। তাই আপনি যদি শহরে পালন করেন। তাহলে অবশ্যই পর্যাপ্ত জায়গার প্রয়োজন হবে। সে ক্ষেত্রে আপনার অসুবিধা হতে পারে।
- খরগোশের বসবাস স্থানটি সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না রাখলে নানান ধরনের রোগ বলায় আক্রমণ করতে পারে। তাই সবসময়ই যথাস্থানটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা অসুবিধার কাজ।
- খরগোশের লোমের দ্বারা অনেকেরই এলার্জির সমস্যা হয়। তাই যদি আপনারও এই সমস্যাটি থাকে। তাহলে এটি আপনার জন্য অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
- খরগোশ খুবই তাড়াতাড়ি যে কোনো সময় অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। আর যখন তখন প্রাণী ডাক্তার খুঁজে বের করা। আপনার জন্য অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
- খরগোশকে সঠিক সময় সঠিক পুষ্টিকর খাদ্য দেওয়া অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয় না। যা একজন পালনকারীর পক্ষে অসুবিধা হয়।
খরগোশ থেকে কি রোগ ছড়ায়
খরগোশের মাধ্যমে জলাতঙ্ক রোগ ছড়াতে পারে। এটি ভাইরাস জনিত রোগ যা খরগোশের মুখের লালা, আঁচর ও কামড় দ্বারা ছড়াতে পারে। সাধারনত খরগোশ যখন শিয়াল বা কুকুরের সংস্পর্শে আসে তখন তাদের মধ্যে এই রোগ সংক্রমিত হয়। যার দ্বারা আপনারাও সংক্রমিত হতে পারেন।
তাই এরকম কোনো সম্ভাবনা বুঝতে পারলে চিকিৎসা নিন। এছাড়াও আরো কিছু রোগ রয়েছে সালমোনেলা, লিস্টেরিয়া, টুলারেমিয়া খরগোশের জ্বর এগুলো হওয়া অস্বাভাবিক কিন্তু অসম্ভব নয়। কিন্তু এগুলো রোগ খরগোসের দ্বারা ছড়াতে পারে।
খরগোশের আচরণ দেখে ভাষা বোঝার উপায়
খরগোশের আচার-আচরণ দ্বারা বা বডির ভাষা দ্বারা আপনি বুঝতে পারবেন। আপনার খরগোশ এখন কোনো মুডে আছে। আরো বুঝতে পারবেন যে আপনার খরগোশ পোষ মেনেছে কিনা। কারণ খরগোশ পোষা প্রাণী হলেও দেখতে খুবই সুন্দর ও কিউট। তাইতো খরগোশের আচরণ দেখে বুঝে নিন আপনার খরগোশ এখন কোন মুডে আছে।
- যখন দেখবেন খরগোশ বেশি লাফালাফি করছে। তখন বুঝবেন তারা এখন খুব খুশিতে আছে। আর খেলাধুলা করতে পছন্দ করছে। এটা ওদের আনন্দ করার সময় বা আনন্দ প্রকাশের এক ধরনের ভাষা।
- আরো একটি আচরণগত ভাষা থেকে বুঝতে পারবেন। যে আপনার খরগোশটি আনন্দে আছে। যখন আপনি তাকে ধরতে যাবেন তখন লাফালাফি করবে। আর আপনার কাছে এসে ধরা দিবে না।
- যখন তারা শুয়ে পড়বে তখন বুঝবেন এখন ক্লান্ত। এখন তারা রিলাক্সিং মনোভাব এ রয়েছে। তখন তাদেরকে ধরতে বা ছুঁতে যাবেন না। তাদের এখন বিশ্রাম নেওয়ার সময়।
- খরগোশের মাটি খামছানো দেখে বুঝতে পারবেন তারা সেখানে প্রস্রাব পায়খানা করছে। এই আচরণটি শুধুমাত্র দেখা যায় ছেলে খরগোশদের ক্ষেত্রে। মেয়ে খরগোশ এমনটি করে না।
- যখন বুঝবেন আপনার খরগোশ আপনার চারিদিকে গোল গোল ঘুরছে। তখন তার এই আচরণ দ্বারা বুঝা যায় সে এখন খুবই আনন্দময় মুহূর্ত পার করছে। আর সে চাচ্ছে আপনি যেন তার সাথে খেলা করেন।
- খরগোশ আনন্দে থাকার আরেকটি আচরণ হচ্ছে। আপনি যখন কোনো কাজে ব্যস্ত থাকবেন। তখন সে আপনার কাজের সামনে এসে জ্বালাতন করবে। এমন একটা ভাব করবে যেন সে আপনাকে সাহায্য করতে চায়।
- খরগোশ যখন খুবই ভয়ে থাকে তখন তাদের চোখের চারিদিক সাদা হয়ে যায়। খরগোশ তখনই ভয় পাই যখন তাকে উল্টো করে কোলে নেই, বিড়াল ও কুকুর দেখলে।
খরগোশের ঠান্ডা লাগলে কি করা উচিত
খরগোশের যখন ঠান্ডা লাগবে তখন তারা অদ্ভুত কিছু আচরণ করবে। তারা খাবার আগের তুলনায় কম খাবে। নাক দিয়ে পানি বা ঘন আকারের সর্দি ঝরবে। তারপরে তারা এক কোনায় চুপচাপ ঝিম ধরে বসে থাকবে। সব সময় তাদেরকে উদাসীন দেখাবে।
মনে হবে যেন তাদের অনেক মন খারাপ। এই লক্ষণগুলো যদি দেখতে পান তবে বুঝে নিবেন যে খরগোশের ঠান্ডা লেগেছে। এখন ঠান্ডা লাগলে অবশ্যই সেটির প্রতিকারের ব্যবস্থা করতে হবে। আসুন ঘরোয়া উপায়ে জেনে নি খরগোশ ঠান্ডা লাগলে কি করা উচিত। আপনার আশেপাশে বা বাড়িতে যদি তুলসী পাতার গাছ থাকে।
তাহলে কিছু তুলসী পাতা নিয়ে সেটিকে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এরপরে তুলসী পাতা গুলো থেতলে তা থেকে রস বের করুন। এবার রস গুলোকে ছেঁকে নিয়ে যে খরগোশগুলো ঠান্ডা লেগেছে তাদের খাওয়াইয়ে দেন। আর যেহেতু কোনো খাবারই ঠিকভাবে খাচ্ছে না। তাহলে সুজি পানি দিয়ে একেবারে পাতলা রান্না করে খরগোশকে খাওয়ান।
খরগোশ কত দিনে বাচ্চা দেয়
দেখুন প্রত্যেকটি প্রাণীর বাচ্চা প্রসবের নির্ধারিত কিছু সময়সীমা রয়েছে। আমরা শুধুমাত্র এটি অনুমানের সূত্রে বলতে পারি। কিন্তু নির্ধারিত কোন সময়ে বাচ্চা দিবে সেটি বলা সম্ভব নয়। তাই তো অনুমানের সূত্র ধরে বলা যায়। খরগোশ বাচ্চা দিতে ছয় মাসের মত সময় নেয়। এর কিছু বেশি সময় নিতে পারে আবার কম সময় নিতে পারে।
তবে এর আশেপাশেই বাচ্চা দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। সাধারণত একটি খরগোশ একমাস পর পর বাচ্চা দেয়। তবে লাগাতার বাচ্চা প্রসব করলে খরগোশের সমস্যা হতে পারে এমনকি খরগোশ মারাও যেতে পারে। তাই একটি থেকে দুইটি বাচ্চা নেওয়ার পরে মাঝে কিছু মাসের গ্যাপ রাখা উচিত। কারণ খরগোশ লাগাতার বাচ্চা দিলে পুষ্টিহীনতায় ভুগে। যার পুষ্টির ঘাটতি পূরণের জন্য তাকে সময় দিতে হয়। আর পুষ্টিকর খাবার তাকে খেতে দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
খরগোশের খাদ্য তালিকা
প্রত্যেকটি প্রাণীর খাবারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ঠিক তেমনি খরগোশের খাবার খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তবে যে কোনো খাবার খাওয়ানো যাবে না। এতে করে খরগোশ অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। তাকে পুষ্টি ও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াতে হবে। তাহলে খরগোশ সুস্থ ও সবল স্বাস্থ্যের অধিকারী হবে। তাহলে চলেন জেনে আসি খরগোশের খাদ্য তালিকা সম্পর্কে।
সবজি জাতীয় খাবারঃ পালং শাক, ব্রকলি, মুলা, পুদিনা পাতা, কলমি শাক, সেঞ্চি শাক, লেটুস পাতা, সবুজ সমৃদ্ধ যে সকল ঘাস, মুলা শাক, ভুট্টা, আলু ও গাজর।
যে খাবার খাওয়ানো যাবে নাঃ চকলেট, চিপস, রুটি ও কুকিজ সহ আরো যে সকল খাবার মানুষ তার নিজের হাতে তৈরি করে। ওই সকল খাবার খাওয়ানো যাবে না। তাহলে খরগোশ অসুস্থ হয়ে যাবে।
ফল জাতীয় খাবারঃ স্ট্রবেরি, কমলা, আপেল, আঙ্গুর, আনারস ও কলা সহ যে সকল পুষ্টিকর ফল রয়েছে তা খাওয়াতে পারেন। তাহলে খরগোশ সুস্থ ও সবল স্বাস্থ্যের অধিকারী হবে।
পানিঃ খরগোশকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করান। কারণ পানির চাহিদা প্রায় সকল প্রাণীই রয়েছে। বিশেষ করে যখন রোদের তাপ বা গরম বেশি পড়বে তখন সবসময় একটি পাত্রে খরগোশের সামনে পানি দিয়ে রাখুন।
খরগোশের বাচ্চা দেওয়ার লক্ষণ
একটি মেয়ে খরগোশ একমাস পরপর বাচ্চা দিতে সক্ষম। তবে বাচ্চা দেওয়ার আগে যে সকল লক্ষণ প্রকাশ পায়। সেগুলো বোঝা জরুরী কারণ না বুঝতে পারলে সেই খরগোশের প্রতি যত্নশীল কিভাবে হবেন। তাই তো এমন কিছু লক্ষণ উপলব্ধি করতে পারবেন। যেগুলোর মাধ্যমে প্রায় বুঝে নেওয়া সম্ভব যে এই মেয়ে খরগোশটি গর্ভবতী। তাহলে চলেন জেনে আসি কি সেই লক্ষণ যেগুলোর মাধ্যমে বোঝা যায় গর্ভবতী কি না।
- গর্ভবতী হওয়ার আগে ছেলে খরগোশ ও মেঘর খরগোশ মিটিং করবে।
- মিটিং করার ১৮ থেকে ২২ দিনের মধ্যেই মেয়ে খরগোশের শারীরিক অবস্থা দেখে বুঝা যায়। যে খরগোষ্ঠী গর্ভবতী কি না।
- যদি গর্ভবতী হয়ে থাকে তাহলে মেয়ে খরগোশের তলপেট ভারী থাকবে। কিছুদিন আগে মেয়ে খরগোশের যে শারীরিক অবস্থা ছিল। তা পরিবর্তন দেখা দিবে।
- ছেলে খরগোশ মেয়ে খরগোশের সাথে আগের মতো আর মিটিং করবে না।
- মেয়ে খরগোশ খাওয়া দাওয়া শেষে কোনো এক কোনায় চুপচাপ বসে থাকবে।
খরগোশ সম্পর্কে FAQ
১। খরগোশ কি খড় খায়?
উওরঃ হ্যাঁ, খরগোশ খড় খায়। আর খরগোশ খর খেতে খুবই পছন্দ করে।
২। খরগোশ খাওয়া কি হালাল?
উওরঃ হ্যাঁ, খরগোশ খাওয়া হালাল। এই সম্পর্কে অনেক ব্যাখ্যা রয়েছে। যদি কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকে তাহলে কোন ইসলামী বিশেষজ্ঞ বা অভিজ্ঞ মাওলানার কাছে জেনে নিতে পারেন।
৩। খরগোশ কত বছর বয়সে বাচ্চা দেয়?
উওরঃ সাধারণত খরগোশ অর্ধ বছর বয়সে বাচ্চা দিতে সক্ষম বা দেয়।
৪। খরগোশ কি জল বা পানি খায়?
উওরঃ খরগোশ জল বা পানি খায়। কারণ পানি ছাড়া পৃথিবীর অধিকাংশ প্রাণী বেঁচে থাকতে পারবে না।
৫। খরগোশের বাচ্চা কত দিনে চোখ ফোটে?
উওরঃ খরগোশের বাচ্চার প্রায় দশ দিনের মতো সময় লাগে চোখ ফুটে তাকাতে।
৬। খরগোশ কতদিন বাঁচে?
উওরঃ খরগোশ প্রায় ১১ বছর বয়স পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে।
৭। সাদা খরগোশ কত বছর বেঁচে থাকে?
উওরঃ সাদা খরগোশ প্রায় ৯ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে।
৮। খরগোশ কোথায় থাকে?
উওরঃ বন্য খরগোশ মাটির নিচে গর্ত করে বসবাস করে। আর পালিতো খরগোসের বাসস্থান তৈরি করে দেওয়া হয়।
উপসংহার
পরিশেষে বলা যায় যে আমরা সকলেই পোষা প্রাণীকে অনেক পছন্দ করি। কিন্তু অনেক পোষা প্রাণী রয়েছে যেগুলো খাওয়া হালাল। ঠিক তেমনি একটি প্রাণী হচ্ছে খরগোশ। খরগোশের গোশত খেতে অনেক সুস্বাদু। আপনারা যদি মাংস খেতে খুবই পছন্দ করেন।
তাহলে খরগোশের মাংস খেয়ে স্বাদ গ্রহণ করতে পারেন। এর মাংস যেমন সুস্বাদু তেমনি উপকার। কিন্তু যদি পালন করতে চান। মানে গৃহপালিত পোষা প্রাণী হিসেবে। তবুও এর মত সুন্দর ও কোমল প্রাণী খুবই কম আছে। এরা অলস প্রকৃতির হলেও স্নেহময় প্রাণী। আশা করা যায় খরগোশের বিষয়ে যে সকল তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে সেগুলো আপনাদের অনেক উপকারে এসেছে।
শেষ কথাঃ প্রিয় পাঠক ইতিমধ্যে আপনারা খরগোশ কামড় দিলে কি হয় পাশাপাশি খরগোশ সম্পর্কে আরো কিছু বিষয় জেনে নিয়েছেন। এই বিষয়গুলো পড়ে যদি আপনাদের ভালো লাগে ও উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে পোষা প্রাণী যারা পছন্দ করে তাদেরকে এ বিষয় সম্পর্কে জানান। যেন তারাও খরগোশ সম্পর্কে জেনে উপকৃত হতে পারে। পুরো তথ্যটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
এসএইচ নিউজস্টোরের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url