সৌদি আরবের কোম্পানি নাম ও কোম্পানি ভিসা বেতন কত জানুন
সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমানোর জন্য সৌদি আরবের কোম্পানির নামগুলো জানার প্রয়োজনীয়তা বোধ করেন। তাহলে আর্টিকেলের ভিতরে রাখা তথ্যগুলো উপকারে আসবে। খোঁজাখুঁজি বন্ধ করে সৌদির কোম্পানির উল্লেখিত নামগুলো জানার পাশাপাশি আরবের কোম্পানিগুলোর ভিসার বেতন কত ও আবেদন সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন।
গ্রাম কিংবা শহর থেকে অনেকেই আমরা জীবিকার উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে পাড়ি জমাচ্ছে। তাই তো সৌদি আরবের কোম্পানি এবং কাজগুলোর সম্পর্কে ধারণা রাখা জরুরী। এই ধারণাগুলো পাওয়ার জন্য পুরো তথ্যটি বিস্তারিত পড়ে জেনে নিতে পারেন।
পোস্ট সূচীপত্রঃ
ভূমিকা
আমরা কেন জীবিকার উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে পাড়ি জমাতে চাই। অনেকে উত্তরে বলবে ভালো জীবন যাপনের জন্য। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে এটির বিকল্প দেখা যায়। কারন যাওয়ার আগে সৌদি আরবের কোম্পানিগুলোর সম্পর্কে সঠিক ধারণা পোষণ না করা। কোম্পানিতে যে কাজের উদ্দেশ্যে যাবেন তার সম্পর্কে যথাযথ ধারণা এবং আসলেই কি সেই কোম্পানি ও কাজের উদ্দেশ্যেই ভিসা আবেদন করছেন।
সেটি পর্যবেক্ষণ করা একান্তই আপনার ব্যক্তিগত দায়িত্ব। কারণ বর্তমানে প্রতারকের অভাব নেই। সৌদি আরবের ভালো ও যোগ্যতা সম্পন্ন কোম্পানির নাম, কিভাবে ভিসার জন্য আবেদন করতে হয় এবং সেই কোম্পানিগুলোর বেতন সম্পর্কে সঠিক ধারণা নিতে পারেন। তাইতো আর দেরি না করে সৌদি আরবের কোম্পানির নাম ও কিভাবে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন তা জেনে নিন।
সৌদি আরবের কোম্পানি নাম
আমরা অনেকেই সৌদি আরবে বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চাই। কিন্তু কোন কোম্পানিতে যাবো সেটা বুঝে উঠতে পারিনা। এমনকি সৌদি আরবের কোম্পানির নাম গুলো পর্যন্ত জানিনা। তাই তো সৌদি আরবের কোম্পানির নাম জেনে নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সৌদি আরবের বড় বড় এবং ভালো কিছু কোম্পানির নাম উল্লেখ করা আছে।
যে কোম্পানিগুলোর নাম বিশ্বের কাছে পরিচিতি রয়েছে। শুধু কি তাই এই কোম্পানিগুলোর সুযোগ সুবিধা অনেক ক্ষেত্রেই বেশি। যেমন থাকা খাওয়া থেকে শুরু করে বেতন কোম্পানি তাদের শ্রমিকদের প্রতি আচার-আচরণ সবকিছুই ভালো। তাই তো বাছাইকৃত কিছু কোম্পানির নাম যেগুলো জেনে নেওয়ার দরকার। তাহলে সৌদি আরবের বেশ কিছু ভালো কোম্পানির নাম জেনে নিতে পারেন।
আরামকো কোম্পানি সৌদি আরব
বিশ্বের মধ্যে ভালো যতগুলো কোম্পানি রয়েছে। তাদের মধ্যে একটি হচ্ছে আরামকো কোম্পানি। এই কোম্পানিটিতে সুযোগ-সুবিধা বেশি পাওয়া যায়। এই কোম্পানি বিশ্বে ভালো পরিচিত লাভ করেছে। যদি একবার ঢুকতে পারেন তাহলে আর পিছনে ঘুরে তাকাতে হবে না। জীবনে অনেক উন্নতি করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।
কিন্তু এই কোম্পানিতে কাজ করতে হলে যোগ্যতা থাকতে হবে। মানে যে কাজ করবেন তার উপরে যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন। ধরেন আপনি ওয়েল্ডিং এর কাজ জানেন এখন এই কাজের উপরে সার্টিফিকেট থাকতে হবে। কিন্তু কিছু কাজ রয়েছে যেগুলোর যোগ্যতার প্রয়োজন হয় না। যেমন ক্লিনার ও অফিস বয় এগুলো কাজের জন্য যোগ্যতার প্রয়োজন পড়ে না।
এখন শিক্ষাগত যোগ্যতা কি থাকলে এই কোম্পানিতে সুযোগ পাওয়া যাবে। সর্বনিম্ন জেএসসি পাস করতে হবে। তবে শিক্ষাগত যোগ্যতা দিক থেকে যে যত এগিয়ে থাকবে তার সুযোগ তত বেশি। এখন কথা হচ্ছে কোম্পানিতে কাজের সময় কতক্ষণ। এই কোম্পানিতে ৮ ঘন্টা কাজ করতে হয়।
এর উপরে যা কাজ করবে সেগুলোকে অতিরিক্ত সময় বা ওভারটাইম ধরা হবে। এখানে কাজের জন্য বয়স কত লাগতে পারে। যে সকল ব্যক্তিদের বয়স ২৪ থেকে ২৫ তাদের ক্ষেত্রে সুযোগ বেশি। তবে বয়স এর থেকে বেশি হলেও কাজের সুযোগ রয়েছে। এই কোম্পানি আপনাকে মাসে বেতন দিয়ে থাকবে সর্বনিম্ন ১৫০০ রিয়াল আর সর্বোচ্চ কাজের পজিশনের ওপর নির্ভর করে দেওয়া থাকে।
এই কোম্পানিতে সুযোগ সুবিধা হচ্ছে বোনাস, থাকা খাওয়ার সুবিধা, ঈদের বোনাস আরো অনেক সুবিধা দিয়ে থাকে। এখন এই কোম্পানিতে কি কি কাজ করা যায়। আরামকো মূলত তেল কোম্পানি। তবে এখানে সব ধরনের কাজই করা যায় যেমন ওয়েল্ডিং, প্লাম্বার, ক্লিনার, ইলেকট্রিক সহ আরো অনেক কাজ।
আল জুমাই কোম্পানি সৌদি আরব
এই কোম্পানিতে একবার ঢুকতে পারলে আপনার আর কোন সমস্যার সম্মুখীন করতে হবে না। এই কোম্পানিটির সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে। সৌদি আরবের বড় বড় যে সকল কোম্পানি রয়েছে তাদের মধ্যে এটা একটা। এই ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানটি পুরো বিশ্বে ছাড়ানো রয়েছে। আপনি যদি সৌদি আরবের এই কোম্পানিটিতে কাজ করতে চান।
তাহলে আগে যাচাই-বাছাই করুন। যে কোম্পানিতে কাজের জন্য লোক নিচ্ছে নাকি। এই কোম্পানির মূল কাজ হচ্ছে বিভিন্ন পানি জাতীয় পণ্য ও যন্ত্রপাতি উৎপাদন করা। এই কোম্পানিতে যে সকল কাজের জন্য লোক নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে।
তাহল গাড়ির ড্রাইভার, প্যাকেজিং, ক্লিনার ও ডেলিভারি বয়। এই কোম্পানির কাজের নির্ধারিত সময় হচ্ছে ৮ ঘন্টা এর থেকে যে বেশি সময় কাজ করবেন তা ওভার টাইম ধরা হবে। আর ওভারটাইমের জন্য আলাদা বেতন পাবেন। আল জুমাই কোম্পানিতে সর্বনিম্ন বেতন হচ্ছে ৮০০ রিয়াল।
এই কোম্পানিতে থাকা খাওয়ার সুবিধা রয়েছে। দু-তিন বছর পর পর দীর্ঘকালীন একটি ছুটি পাবেন। সেই ছুটির বেতনও আপনাকে দিয়ে দেওয়া হবে। আপনার চিকিৎসার খরচও তারা দিয়ে থাকে। এই অধিক সুবিধা যোগ্য কোম্পানিতে যুক্ত হতে পারেন।
আল বেলাদিন কোম্পানি সৌদি আরব
এই কোম্পানিতে যারা কর্মরত রয়েছেন তারা অনেক সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকে। আপনিও চাইলে এই কোম্পানিতে যোগ দিতে পারেন। এই কোম্পানিতে ক্লিনার ও কন্সট্রাকশন হিসেবে জয়েন করতে পারেন। অন্যান্য কোম্পানির মত এই কোম্পানিতেও ৮ ঘন্টা কাজ করতে হয়। ৮ ঘণ্টার অতিরিক্ত কাজ করলে সেটিকে ওভারটাইম ধরা হয়। আর ওভারটাইমের জন্য আলাদা বেতন রয়েছে। এখানে আপনি থাকা খাওয়াসহ আরো অনেক সুযোগ সুবিধা পাবেন।
সৌদি উজারা কোম্পানির সৌদি আরব
এই কোম্পানিতেও অন্যান্য কোম্পানির মত আপনাকে সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকবে। এখানে বিভিন্ন ধরনের কাজের সুযোগ রয়েছে ক্লিনার, ইলেকট্রিশিয়ান, ওয়েল্ডিং সহ আরো অনেক কাজ। এই কোম্পানিতে ৮ ঘন্টা কাজ করানো হয়। অতিরিক্ত কাজ করলে তার বিনিময়ে অতিরিক্ত বেতন পাওয়া যাবে। অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আপনাকে দুশ্চিন্তা ভোগ করতে হবে না।
আরো পড়ূনঃ এলার্জি চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায়
আল মাদিক কোম্পানি সৌদি আরব
সৌদি আরবের এই কোম্পানিটিতে একবার ঢুকতে পারলে আর কোনো চিন্তা করতে হবে না। এরাই আপনাকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিবে। এই কোম্পানিটি পানীয় জাতীয় দ্রব্য সাপ্লাই দিয়ে থাকে। এখানে ৮ ঘন্টা কাজ করানো হয়। অন্য সকল কোম্পানির মত এখানেও ওভারটাইমের জন্য অতিরিক্ত বেতন রয়েছে। আরো অনেক সুযোগ সুবিধা পাবেন।
আল মারাই কোম্পানি সৌদি আরব
এরাও কিন্তু আল মাদিক কোম্পানির মত পানীয় দ্রব্য সাপ্লাই দিয়ে থাকে। পাশাপাশি বিস্কুট কেক এ সকল জাতীয় খাবার তারা সাপ্লাই দেয়। তাই আপনি চাইলে এই কোম্পানিটিতে চোখ বন্ধ করে ঢুকতে পারেন। এখানেও কাজের সময়সীমা নির্ধারণ করা রয়েছে ৮ ঘন্টা। ওভারটাইম যদি করানো হয় তাহলে তার জন্য অতিরিক্ত বেতন দেওয়া হবে।
কুরিয়ার সার্ভিস ভালো কোম্পানি
আরাম্যাক্স, সামসা, নুন, পেডেক্স ও ডিএসএল এর মত কোম্পানি গুলোতে যদি একবার ঢুকতে পারেন। তাহলে সৌদি আরবে থাকা খাওয়া নিয়ে কোন চিন্তা করতে হবে না। এই কোম্পানিগুলো সাধারণত কুরিয়ার সার্ভিস কোম্পানি। এই কোম্পানিগুলোতে আসতে হলে আপনাকে যথাযথ যোগ্যতা সম্পন্ন হতে হবে আর শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে।
আরো পড়ূনঃ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির উপায়
এই কোম্পানিগুলোর ভিসাতে কোম্পানির নাম উল্লেখ করা থাকবে। আর তা না হলে ভাববেন এটি কোন সাপ্লাই কোম্পানি হতে পারে। এই উল্লেখিত কোম্পানিগুলোতে ৮ ঘন্টার বেশি কাজ করানো হয় না। এমনকি ভালো পরিমাণে বেতনও পাবেন। তাই এই কোম্পানিগুলোতে আসার সুযোগ থাকলে কখনো হাতছাড়া করবেন না।
৩০টি সৌদি আরবের কোম্পানির নাম
- আল বাওয়ানি
- নেসমা হোল্ডিং
- আলকিফাহ কন্ট্রাকটিং কোম্পানি
- মিনিস্ট্রি অফ হাউসিং
- ন্যাশনাল হাউসিং কোম্পানি
- হুই ডিজাইন এন্ড বিল্ড ডি ফিউচার
- শাহম কন্ট্রাকটিং কোম্পানি লিমিটেড
- আল-মাবানি
- ই আই সেইফ ইঞ্জিনিয়ারিং কন্ট্রাকটিং কোম্পানি
- শিব আল জাজিরা কন্ট্রাকটিং কোম্পানি
- সৌদি কন্টাকটর্স অথরিটি
- সৌদি বিন লাদিন গ্রুপ
- সৌদি আমানা কন্ট্রাকটিং
- দি রেড সিএ ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি
- দিরিয়াহ গেট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি
- জাবাল ওমর ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি
- আল রশিদ ট্রেডিং এন্ড কন্ট্রাকটিং কোম্পানি
- সৌদি প্যান কিংডম কোম্পানি
- আব্দুল আলী আল আজমি কোম্পানি
- হাইফ কন্ট্রাকটিং
- মক্কা কনস্ট্রাকশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি
- উম্ম আল কুয়ার ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি
- সৌদি আরবিয়ান ট্রেডিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি
- আলফানার কনস্ট্রাকশন
- এবিভি রক গ্রুপ
- মোহাম্মদ আল রাশিদ কন্ট্রাকটিং কোম্পানি
- আল রাজি বিল্ডিং এন্ড কনস্ট্রাকশন
- আল লতিফিয়া ট্রেডিং এন্ড কন্ট্রাক্টিং
- রেড সিএ ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি
সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা আবেদন
যারা সৌদি আরবে কাজ করার উদ্দেশ্যে ভিসা আবেদন করতে চান। তারা এই তথ্যটি পড়ে নিন। সর্বপ্রথম ওই দেশের বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। আপনি ঠিক কোন কোম্পানিতে কাজ করতে আগ্রহী সেই কোম্পানিতে। সেই কোম্পানিতে যদি লোক নিতে আগ্রহী হয়।
তাহলে আপনি সৌদি আরবের ওই কোম্পানিটিতে ভিসার জন্য আবেদন করবেন। বিভিন্ন ধরনের কোম্পানির রয়েছে যেমন কনস্ট্রাকশন, কন্ট্রাকটিং, ডেভেলপমেন্ট, সেলস এই সকল কোম্পানিতে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। এই সকল কোম্পানিগুলোতে বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য লোক নিয়ে থাকে।
যেমন ড্রাইভিং, সেলসম্যান, ইলেকট্রিশিয়ান, ওয়েল্ডিং, ক্লিনার এছাড়াও আরো অনেক কাজ। আপনি যদি এই কাজগুলোর জন্য কোম্পানিগুলোতে ভিসার আবেদন করতে চান তাহলে কে এস এ ভিসা এই ওয়েবসাইটটিতে আবেদন করতে পারবেন। তবে অবশ্যই সাবধানের সাথে ফর্মটি পূরণ করুন। আপনি যদি না পারেন তাহলে অভিজ্ঞ কোন লোক দ্বারা এটি পূরণ করিয়ে নিন।
আপনি যেই কাজের উপরে ভিসা আবেদন করছেন। ওই কাজের উপরে আপনার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। অভিজ্ঞতা স্বরূপ অবশ্যই একটি সার্টিফিকেট থাকা জরুরী। এজন্য সৌদি আরবে ভিসার আবেদন করার আগে আপনি যেই কাজের জন্য ভিসা আবেদন করতে চান। সেই কাজের উপরে যথাযথ দক্ষতা অর্জন করুন। ভিসা আবেদন করার পরে এটি প্রসেসিং হতে কিছুদিন সময় লাগতে পারে।
সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা চেক
আপনি খুব সহজেই সৌদি আরবের কোম্পানির ভিসা চেক করে নিতে পারবেন। কেউ যদি তার ভিসা চেক করতে চান তাহলে মোবাইল, ল্যাপটপ অথবা পিসি আর ইন্টারনেট কানেকশনের মাধ্যমে অনলাইনে চেক করে নিতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে এই ওয়েবসাইটটিতে প্রবেশ করতে হবে।
তারপরে ইন্টারফেস এ দেখানো যে সকল তথ্য চাইবে তা পূরণ করুন। যেমন পাসপোর্ট নাম্বার, কারেন্ট ন্যাশনালিটি মানে আপনি কোন দেশ থেকে আবেদন করেছেন। টাইপ অফ ভিসা কোন ধরনের ভিসার জন্য আবেদন করেছিলেন। ভিসা ইস্যু অথরিটি ও ক্যাপচা পূরণ করতে হবে। তারপরে সার্চ অপশনটিতে ইন্টার বা ক্লিক করুন। তাহলেই ভিসা চেক সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।
সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা বেতন কত
দেখুন সৌদি আরবে কোম্পানির অভাব নেই। এখন সকল কোম্পানিতে ভিসার বেতন একই রকম হয় না। যেমন বড় বড় কোম্পানিগুলোতে কাজের বেতন ছোট ছোট কোম্পানির থেকে একটু বেশি হয়। তবে আপনার কাজের উপরে নির্ভর করবে আপনি সেই কোম্পানি থেকে কত টাকা বেতন ডিজার্ভ করেন। আপনার যদি কাজের দক্ষতা ভালো হয় তাহলে আপনি বেতন ভালো পাবেন।
আর যদি আপনার কাজের দক্ষতা খুব একটা ভালো না হয় তাহলে সেই অনুযায়ী আপনি বেতন পাবেন। তবুও কিছু কাজের উপর নির্ভর করে বেতন পাওয়া যায়। একজন শ্রমিকের সর্বনিম্ন বেতন ৪০০ থেকে ৫০০ রিয়াল পর্যন্ত হয়ে থাকে। আর সর্বোচ্চ তার কোন নির্ধারণ নেই। আপনি যেমন কাজ করবেন সেই অনুযায়ী আপনার বেতন বা প্রমোশন হবে।
সৌদি আরব ক্লিনার ভিসা বেতন কত
দেখুন সকল ক্লিনারের ভিসার বেতন একই রকম হয় না। বড় বড় যে সকল প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাদের কিলিনারদের বেতন আর একটু ছোট যে সকল প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাদের ক্লিনারদের বেতন কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। তবে একজন ক্লিনার সর্বনিম্ন বেতন প্রায় ৯০০ রিয়াল পর্যন্ত হয়। সাধারণত সৌদি আরবে ক্লিনারদের জন্য কোন যোগ্যতার প্রয়োজন হয় না।
তবে বড় কোন প্রতিষ্ঠানে যদি ক্লিনারের কাজ করেন। সেক্ষেত্রে আপনার কিছু যোগ্যতার প্রয়োজন হতে পারে। যেমন চারিত্রিক আচার-আচরণ আর দেখতে সুদর্শন এই বিষয়গুলো দেখে থাকে। তবে যেই কোম্পানিতে ক্লিনারের ভিসার জন্য আবেদন করেন না কেন। সেই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে যথাযথ খবর নিবেন। যে আসলেই কি সেই কোম্পানিতে ক্লিনারের জন্য কাজ আছে কিনা।
উপসংহার
পরিশেষে বলা যায় যে আমরা ভালো একটা জীবনধারনের উদ্দেশ্যে বিদেশে পাড়ি জমায়। তবে বর্তমান সময়ে সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য অনেকেই আগ্রহী। তারা যাওয়ার আগে অবশ্যই যেই কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে চান। সেই কাজের ভিসার জন্য ওই উক্ত কোম্পানিটি লোক নিয়োগ দিবে কিনা।
যাওয়ার আগে অবশ্যই সেই কাজ সম্পর্কে যথাযথ অভিজ্ঞতা ও সার্টিফিকেট সংগ্রহ করবেন। কারণ বিনা অভিজ্ঞতা ও সার্টিফিকেট ছাড়া সৌদি আরবের লোক নিয়োগ দেওয়া হয় না। কিছু কাজ রয়েছে যেগুলোতে অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয় না। যেমন ধরেন ক্লিনার হিসেবে কাজ করার জন্য কোনো অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয় না।
শেষ কথাঃ প্রিয় পাঠক ইতিমধ্যে সৌদি আরবের কোম্পানির নাম ও তার ভিসার বেতন পাশাপাশি কোম্পানিগুলোর ভিসার আবেদন জেনে যদি উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে আরও যে সকল ব্যক্তি সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে যেতে চাই। তাদেরকে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে অবগত করুন। যেন তারাও এ বিষয় সম্পর্কে জেনে সঠিক ধারণা পোষণ করতে পারে। তথ্যটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
এসএইচ নিউজস্টোরের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url