১০ হাজার টাকায় ২৫ টির অধিক ব্যবসার আইডিয়া জেনে নিন
আপনি কি ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া জানার জন্য আগ্রহী। সত্যি যদি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া জানতে চান। তাহলে পুরো তথ্যটি বিস্তারিত করার মাধ্যমে ব্যবসায়ের আইডিয়া গুলো খুব সহজেই বুঝতে পারবেন। পড়বেন আর মনে মনে ভাববেন এই আইডিয়াগুলো আগে কেন আমার মাথায় আগে আসেনি। তাই আর দেরি না করে ১০ হাজার টাকার মধ্যে থাকা ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া পড়ে জেনে নিন।
আপনারা হয়তো বলবেন ১০ হাজার টাকার মধ্যে কি সত্যি ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া রয়েছে। যদি বিশ্বাস না হয় তাহলে পুরো তথ্যটি পড়ার মাধ্যমেই জেনে নিতে পারবেন। তাই সময় নষ্ট না করে পুরো তথ্যটি পড়ার মাধ্যমে ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে জেনে নিন।
পোস্টসূচিপত্রঃ
১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া
আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা চাকরি করতে আগ্রহী নয় তারা চায় উদ্যোগতা হতে আর উদ্যোগতা হওয়ার জন্য টাকার প্রয়োজন। কম টাকা দিয়ে কি কোন ব্যবসা শুরু করা যায়। আপনি ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া পাবেন। এই ব্যবসার আইডিয়া গুলোর মধ্যে যে ব্যবসাগুলো উপস্থাপন করা হয়েছে তার সবগুলো ব্যবসা থেকে প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার অধিক ইনকাম করতে পারবেন।
কিন্তু এই ব্যবসা গুলোর শুরুর দিকে তেমন ইনকাম না হলেও সময়ের সাথে সাথে ব্যবসাকে বড় করার চেষ্টা করবেন। যেই লাভটি হবে সেই লাভগুলো আবার ব্যবসায় ইনভেস্ট করুন। যাতে করে পরবর্তী সময় আপনার ব্যবসাটি অধিক লাভজনক হয়। আপনি ব্যবসাটি যখন শুরু করেছেন তখন তার পুঁজি ছিল শুধুমাত্র ১০ হাজার টাকা। যা ব্যবসা করার জন্য যথেষ্ট টাকা মনে করা হয় না। তাই উল্লেখিত ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া জানার পরে যে ব্যবসাটি আপনার পছন্দ হবে।
সেই ব্যবসার সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করুন। আর সেই ব্যবসা করার পাশাপাশি নিজের দক্ষতা ও সৃজনশীল তাকে বাড়ানোর চেষ্টা করুন। উল্লিখিত ব্যবসাগুলোর মধ্যে কোন ব্যবসাটি আপনার ভালো লাগে আর কোন ব্যবসার সম্পর্কে কিছুটা হলে আপনার ধারণা আছে। সেই ব্যবসাটির মাধ্যমে আপনার ব্যবসায়িক যাত্রা শুরু করুন। তাই ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া জেনে নিতে পারেন।
১। চায়ের দোকান এর ব্যবসায়
বর্তমানে চায়ের দোকান হচ্ছে অনেক লাভজনক ব্যবসায়। তবুও অনেকে চায়ের দোকান দেওয়ার কথা শুনলে মন খারাপ করে। কিন্তু কোনো কাজের মধ্যে ছোট বড় নেই। ১০ হাজার টাকার মধ্যে সহজেই একটি চায়ের দোকান দেওয়া যায়। আমাদের দেশে মানুষের মধ্যে চা খাওয়ার চাহিদা অনেক বেশি। ছোট থেকে শুরু করে বড় আবার কিশোর থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক সকলেই কম বেশি চাপ পছন্দ করে।
এমনও মানুষ রয়েছে দিনে ৫ থেকে ৬ কাপ চা না হলে ভালই লাগে না। কথাটা শুনতে হাস্যকর মনে হলেও একদম সত্য তাই তো চায়ের দোকান কম ব্যয় অধিক লাভজনক। শুধু প্রয়োজন দোকান দেওয়ার জন্য উপযুক্ত জায়গা যেখানে মানুষ বেশি বেশি আড্ডা দেয়। সব সময় মানুষের সড়াগল লেগে থাকে। তাই নিজের দ্বিধা সংকোচকে দূরে রেখে অর্থ উপার্জনের জন্য চায়ের দোকান দিতে পারেন।
২। মুরগির দোকান এর ব্যবসায়
মুরগীর দোকান দেওয়ার মাধ্যমে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। একজন মুরগি ব্যবসায়ী মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত উপার্জন করে। কারণ এই ব্যবসা করতে পুঁজি অনেক কম লাগে এই ধরুন ১০ হাজার টাকার মধ্যেই ব্যবসা শুরু করা যায়।
আপনি শুধু খামারিদের কাছ থেকে মুরগি কি কিনে নিয়ে এসে সেটিকে লাভজনক উপায়ে কেজি হিসেবে ক্রেতাদের কাছে বেচবেন। বর্তমানে মানুষের মাঝে মুরগি খাওয়ার চাহিদা বেড়ে গেছে। তাই উপযুক্ত একটি স্থান বাছাই করে সেখানে মুরগির দোকান দিতে পারেন।
৩। অনলাইনে ইলেকট্রনিক্স পণ্য বিক্রি
আপনার যদি সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কে কিছুটা ধারণা থাকে তাহলে এই ব্যবসা আপনার জন্য সহজ হবে। এই ব্যবসা করার জন্য শারীরিক কোনো পরিশ্রম করতে হয় না। শুধু প্রয়োজন সোশ্যাল মিডিয়ায় একাউন্ট এবং সেই একাউন্টের মাধ্যমে আপনার পণ্যগুলো বিক্রি করতে পারবেন। তাই ১০ হাজার টাকার মধ্যে এই ব্যবসা করা সম্ভব। ব্যবসাটি শুরু করার জন্য যত যাবতীয় খরচ রয়েছে সবকিছু সম্ভব হবে ১০ হাজার টাকার ভিতরে।
৪। মানি ট্রান্সফার এজেন্ট
মানি ট্রান্সফার এজেন্ট হচ্ছে এক জায়গায় থেকে অন্য জায়গায় টাকা হস্তান্তর করাকে মানি ট্রান্সফার বলে। এই মানে ট্রান্সফারের মাধ্যমে মাসে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম সম্ভব। বিভিন্ন মাধ্যমের এজেন্ট হিসেবে যুক্ত হওয়া। যেমন বিকাশ, নগদ, রকেট ও উপায় সহ আরো কিছু মাধ্যম রয়েছে। এই মাধ্যমগুলোর এজেন্ট গ্রহণ করে মানুষের টাকাকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পাঠানোর মাধ্যমে কমিশন পাওয়া যায় এটাই হচ্ছে তার ইনকাম।
৫। মোবাইল রিচার্জ ব্যবসা
আধুনিক যুগে আজও মানুষ মোবাইল রিচার্জ করে। কারণ সব জায়গায় মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে না। এই জন্য তাদের মোবাইল রিচার্জ প্রয়োজন হয়। আর বাটন মোবাইল গুলোতে ইন্টারনেটের কোন সুযোগ থাকে না। তাই তাদের কথা বলার জন্য বা ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য রিচার্জের প্রয়োজন হয়। ব্যবসাটি করতে বড় কোন দোকানের প্রয়োজন হয় না।
আরো পড়ূনঃ আসল ভিটমেট ডাউনলোড করব কিভাবে জেনে নিন
ছোট্ট একটা দোকানের মধ্যে দু একটি বাটন ফোন আর তার মধ্যে রিচার্জ দেওয়ার জন্য কিছু ব্যালেন্স। প্রথমদিকে অল্প কিছু রিচার্জ এর ব্যালেন্স ঢুকিয়ে মানুষকে রিচার্জ দিতে থাকুন। সময়ের সাথে সাথে রিচার্জের ব্যালেন্স বাড়িয়ে ফেলতে পারবেন। তাই ১০ হাজার টাকার মধ্যে খুবই উপযোগী ব্যবসা।
৬। খাবারের হোম ডেলিভারি
বর্তমানে খাবার হোম ডেলিভারির চাহিদা অনেক বেশি। অনেকে আছে সারাদিন অনেক পরিশ্রম করার পরে আর রান্না করে খেতে চায় না। আবার অনেকের বৃষ্টির কারণে বাইরে গিয়ে বাজার করার সুযোগ থাকে না। এই নানান সমস্যার কারণে মানুষ ফুড হোম ডেলিভারি দিয়ে থাকে।
এই সুযোগটিকে কাজে লাগিয়ে রান্না করে সেই খাদ্যটিকে মানুষের বাড়ি পর্যন্ত ডেলিভারি দেওয়ার কাজটি করতে পারেন। নিজে যদি রান্না না জানেন অন্য কাউকে দিয়ে রান্না করিয়ে নিন। অথবা নিজে রান্না শিখে নিতে পারেন। ১০ হাজর টাকার মধ্যে এই ব্যবসায় খুব সহজে করা যায়। মানুষকে জানানোর জন্য অনলাইন সেক্টরকে ব্যবহার করতে পারেন।
৭। ভাজাপোড়া খাওয়ার দোকান
মানুষের ভাজাপোড়া খাওয়ার প্রতি চাহিদা দিন দিন বেড়ে চলেছে। তেলেভাজা জিনিস খেতে মানুষ অনেক ভালোবাসে কারণ খেতে অনেক সুস্বাদু হয়। যেমন আলুর চপ, বেগুনি, সিঙ্গারা, পুরি, পিয়াজি ইত্যাদি খেতে পছন্দ করে। আপনি এই সুযোগটিকে কাজে লাগিয়ে ছোট্ট একটি ভ্যানের চারিদিক দিয়ে ঘিরে নিয়ে তার ভেতরে খাবারগুলোকে রেখে বেচতে পারেন।
এতে করে আপনার খরচ অনেক কমে যাবে। আপনাকে আর দোকান দিয়ে ভাজাপোড়া খাবার বিক্রি করতে হবে না। তাই ১০ হাজার টাকার মধ্যে ব্যবসায়ীটি করতে পারবেন। আর এই ব্যবসা করার মাধ্যমে মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারেন।
৮। রস বিক্রির ব্যবসা
গরমের সময় মানুষের ঠান্ডা রস খাওয়ার প্রতি চাহিদা বেড়ে যায়। বিশেষ করে কুসুরের রসের প্রতি মানুষের চাহিদা অন্য রকমের। ক্লান্ত শরীর নিয়ে এক গ্লাস ঠান্ডা কুসুরের রস অনেকেই খেতে পছন্দ করে। এই ব্যবসায়টি করতে প্রয়োজন হবে একটি ভ্যানের আর কুসুর ভাঙ্গা মেশিনের আর কয়েকটি গ্লাস তার সাথে ময়লার ছাঁকনি তাহলেই যথেষ্ট। খুব অল্প টাকার মধ্যে ব্যবসাটি করা সম্ভব। যেকোনো জনসমাগম জায়গায় দোকানটি দিতে হবে।
৯। সেলুনের ব্যবসা
মানুষের চুল কাটার প্রতি আলাদা একটা আগ্রহ কাজ করে। বিভিন্ন স্টাইলে চুল কাটার মাধ্যমে নিজেকে সুন্দর দেখানোর জন্য সেলুন এ ছুটে যায়। এই ব্যবসা খুবই অল্প টাকার মধ্যে শুরু করা যায়। শুধু জানতে হবে বিভিন্ন স্টাইলে চুল কাটার দক্ষতা তাহলেই যথেষ্ট।
ছোট্ট একটি দোকানের মধ্যে একটি চেয়ার, কেঁচি ও চিরুনি আর সামনে থাকবে একটি আয়না তাহলে কাজ করা যাবে। যদি চুল কাটতে না পারেন তাহলে শিখে নিতে পারেন। কারণ এই ব্যবসায়ের মাধ্যমে মাসে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা উপার্জন করা যায়।
১০। টেইলার এর দোকানের ব্যবসা
অনেকেই টেইলারের দোকান দিয়ে মাসে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করে থাকে। কারণ প্রতিনিয়ত মানুষের পোশাক তৈরি করার প্রয়োজন হয়। এটি চলমান একটি ব্যবসা যার চাহিদা সব সময় মার্কেটে বজায় থাকে। শুধু প্রয়োজন একটি সেলাই মেশিন সুই আর সুতা এবং ছোট্ট একটি দোকান। তাহলেই ব্যবসায়টি খুব সহজে শুরু করা যায়।
এই কাজ ছেলে ও মেয়ে উভয় বয়সের করতে পারে। শুধু প্রয়োজন হবে কিছুটা দক্ষতা ও কাজ করার পারদর্শিতা। তাহলেই কাজটি করতে কোনো সমস্যা হবে না। খুবই অল্প টাকার বিনিময়ে ব্যবসায় শুরু করা যায়। তাইতো ১০ হাজার টাকা ইনভেস্ট করে মাসে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত উপার্জন করুন।
কাজটি যদি না জেনে থাকেন তাহলে অনলাইনে ইউটিউব ভিডিও দেখে শিখে নিতে পারেন। ইউটিউবে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষক রয়েছে যারা প্রশিক্ষণ ভিডিও ইউটিউবে ছেড়ে থাকে। তাই বসে না থেকে খুব সহজেই কাজটি শিখে উপার্জন করতে পারেন।
১১। সবজির দোকানের ব্যবসা
মানুষ প্রতিনিয়ত সবজি কিনে থাকে কারণ সবজি মানুষের খাওয়ার দরকার পড়ে। এই জন্য সবজি ব্যবসা খুবই লাভজনক হতে পারে। এই কারণেই বলছি যে ১০ হাজার টাকার মত ইনভেস্ট করে মাসে যদি ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা উপার্জন করুন। তাহলে আপনার লোকসান টা কোথায় হবে। কোথাও লোকসান খুঁজে পাবেন না এ ব্যবসায়।
তাইতো একটি ভ্যান কিনে বিভিন্ন ধরনের সবজি ভ্যানে রেখে মহল্লায় ঘুরে ঘুরে সবজিগুলো বেচতে পারেন। আবার বিভিন্ন সবজির মার্কেট রয়েছে যেখানে সবজি বিক্রেতারা সবজি বিক্রি করে থাকে। আপনি চাইলে ওইখানেও বিভিন্ন ধরনের সবজি বসে থেকে বিক্রি করতে পারেন। অনেকেই সবজি বিক্রি করে লজ্জা জনক পেশা হিসেবে মনে করে। আমি বলবো কোনো পেশায় ছোট নয় যদি সেটা হালাল পথে উপার্জন করা হয়।
১২। ফলের দোকানের ব্যবসা
ফলের দোকান দিয়ে অনেকেই মাসে ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত উপার্জন করছে। তাই আপনি যদি কোনো ব্যবসা খুঁজে না পান তাহলে ফলের ব্যবসাটি করতে পারেন। যে ব্যবসায় ১০ হাজার টাকার মধ্যে সকল কিছুর জোগাড় হয়ে যায়। একটি ভ্যানের উপরে বিভিন্ন ধরনের ফলমূল উঠিয়ে বাজারে অথবা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সামনে বেচতে পারেন।
এই কাজে তেমন একটা পরিশ্রম করতে হয় না। শুধু দাঁড়িয়ে থেকে অথবা বসে থেকে আপনার ফলগুলো অন্যের কাছে বেচতে করতে হবে। তার বিনিময়ে তারা আপনাকে অর্থ প্রদান করবে তার মধ্যেই লুকিয়ে থাকবে আপনার কাঙ্ক্ষিত লাভ। প্রত্যেকটি মানুষের ফল খাওয়ার প্রয়োজন হয় আর তারা সেই অনুযায়ী বাজার থেকে ফল কিনে থাকে। তাইতো ফল ব্যবসাটি কেউ অধিক লাভজনক ব্যবসা বলে গণ্য করা হয়।
১৩। কাগজের ঠোঙ্গার ব্যবসা
অনেক পুরাতন ব্যবসা হলেও অনেকেই এই ব্যবসাটির উপর গুরুত্ব দেয় না। কারণ এ ব্যবসাটি খুব একটা লাভজনক মনে করেন না। কিন্তু অনেক দোকানে প্রত্যেকদিন শত শত ঠোঙ্গার প্রয়োজন হয়। এখন সেই ঠোঙ্গা গুলো যদি আপনি সাপ্লাই দেন। তাহলে তার বিনিময়ে আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এই ব্যবসা এর জন্য ১০ হাজার টাকার ইনভেস্ট এর প্রয়োজন হয় না।
শুধু প্রয়োজন কিছু ভালো কাগজ ও আটার তৈরি আঠা যার দ্বারাই আপনি করতে পারবেন। ঠোঙ্গা তৈরি করাও তেমন কোনো কঠিন কাজ না। এই কাজ একদিনের মধ্যেই শেখা যায়। শুধু ঠোঙ্গা গুলো তৈরি করে কাঙ্খিত দোকানগুলোতে পৌঁছে দিতে হবে। তাই আজ থেকেই খুবই অল্প পরিমাণে ইনভেস্ট করে এই ব্যবসা শুরু করে দিন।
১৪। পুরাতন বই বিক্রির ব্যবসা
মানুষ একটি বই সারা জীবন পড়তে পারে না। তখন সেই বইটি সে বেঁচে দেয়। এখন সে ব্যক্তি যে বইটি বেচে দিয়েছে সেই বইটি আবার অন্য কারো কাজে লাগতে পারে। যার নতুন বই কেনার তেমন কোনো সামর্থ্য নেই। এখন ওই পুরাতন বইটি আপনি যে টাকা দিয়ে কিনেছেন। তার উপরে কিছু টাকা লাভ রেখে আরেকজনের কাছে বইটি বেচতে পারেন।
এই ব্যবসা করার জন্য খুব অল্প পরিমানে টাকার প্রয়োজন হয়। বিভিন্ন ধরনের নতুন বইয়ের লাইব্রেরী মার্কেটের সামনে কোনো একটি দোকান নিয়ে আপনি পুরাতন বই বিক্রি করার দোকান দিতে পারেন। তাই যাদের অল্প পুঁজি রয়েছে ব্যবসা করার জন্য আর অধিক লাভ করতে চান। তারা পুরাতন বই বিক্রির উদ্দেশ্যটি বা পদক্ষেপটি গ্রহণ করতে পারেন।
১৫। ফুলের ব্যবসা
ফুল হচ্ছে ভালবাসার একটি প্রতীক। আর ফুল জিনিসটা সকলেই কম বেশি পছন্দ করে। ভালবাসার মানুষকে ভালোবাসা প্রকাশ করার জন্য ফুলকে বেশি ব্যবহার করা হয়। এখন আপনি ফুল বিক্রেতা হিসেবে ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। এই ব্যবসা করার জন্য তেমন ইনভেস্টের প্রয়োজন হয় না। ব্যবসাটি করার জন্য ১০ হাজার টাকায় যথেষ্ট হবে।
শুধু প্রয়োজন একটি ভ্যান আর তার ওপরে কিছু ফুল। বিভিন্ন ধরনের মার্কেট বা বাজার রয়েছে যেখানে ফুলের দোকান বা ভ্যানের উপরে ফুল তুলে বেচতে পারেন। এই ফুলকে ব্যবসা হিসেবে বেছে নিয়ে অনেকে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা এমনকি তার বেশিও উপার্জন করছে। তাই ভালোবাসার এই প্রতীককে উপার্জনের পথ হিসেবে বেছে নিতে পারেন।
১৬। কালাই রুটির দোকান
কালাই রুটি অধিক জনপ্রিয় একটি খাবার যে খাবারটি প্রায় সকলেই পছন্দ করে। মানুষ কালাই রুটি খাওয়ার জন্য এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ছুটে যায়। এখন আপনি এই সুযোগটি যদি কাজে লাগাতে পারেন তাহলে লাভবান হবেন। কালাই রুটির দোকান দেওয়ার জন্য খুব অল্প পুঁজির প্রয়োজন হয়।
শুধু একটি দোকান বা যেকোনো জনসমাগম জায়গায় একটি চুলা আর রুটি ছ্যাকার একটি পাত্র তার সাথে ঝাল জাতীয় খাবার রাখতে হবে। তাহলেই আপনি এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। যে ব্যবসা থেকে মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা সম্ভব। এই ব্যবসাটি ছেলে ও মেয়ে উভয় করতে পারবে। শুধু প্রয়োজন রুটি বানানোর অভিজ্ঞতা।
১৭। শরবতের ব্যবসা
গরমের সময় যখন মানুষ তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়ে তখন তাদের মনে হয় যদি এক গ্লাস ঠান্ডা শরবত পাওয়া যেত তাহলে কতই না ভালো হতো। আর তাদেরই চাহিদার উপরে নির্ভর করে আপনি শরবতের ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন। এর জন্য ১০ হাজার টাকা পুজি হলে যথেষ্ট। শরবত বানানোর জন্য তেমন কোনো উপকরণের প্রয়োজন হয় না।
গ্লাস, পানি ও লেবু সহ আরো কিছু উপকরণ যা ১০ হাজার টাকার পুঁজির মধ্যেই যোগান সম্ভব হবে। অনেকে হয়তো মনে করবে শরবতের ব্যবসা তে তেমন উপার্জন নেই। আপনি হয়তো জানেন না শরবত বেঁচে অনেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করে প্রত্যেক মাসে। তাই অল্প পুঁজি থাকলে শরবতের ব্যবসা শুরু করে দিন।
১৮। মোবাইল সার্ভিসিং
মোবাইল সার্ভিসিং এর কাজ হচ্ছে মোবাইলের কোন কিছু নষ্ট হয়ে যাওয়া যন্ত্রাংশকে ঠিক করা। কিন্তু এর জন্য এটি দোকানের প্রয়োজন হবে আর কিছু যন্ত্রপাতির। যার জন্য অল্প কিছু টাকার মধ্যেই এই সকল কিছুর যোগান হয়ে যাবে। মোবাইল সার্ভিসিং এর কাজ করে অনেকে মাসে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করে।
আপনিও নষ্ট মোবাইল ঠিক করার মাধ্যমে উপার্জন করতে পারেন। এ ব্যবসাটা করার জন্য যদি দক্ষতা না থাকে তাহলে দক্ষতা অর্জন করুন। কোনো মোড় বা বাজারের উপরে দোকান দিয়ে দিন। তাহলে আপনার অর্থ উপার্জনের যাত্রা শুরু হয়ে যাবে। প্রতিনিয়ত মানুষের মোবাইলের কিছু না কিছু নষ্ট হতেই থাকে।
১৯। ওয়েল্ডিং এর দোকান
ওয়েল্ডিং এর মাধ্যমে কত কিছুই না তৈরি হয় বাড়ির জানালা থেকে শুরু করে বাড়ির গ্রিল পর্যন্ত সবকিছুই ওয়েল্ডিং এর মাধ্যমে তৈরি করা হয়। আর এই কাজের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাই তো আপনি যদি এই কাজের ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে শুরু করে দিন। অল্প কিছু টাকার মধ্যে সকল কিছুর যোগান করে নিতে পারবেন।
প্রতিনিয়ত মানুষের লোহা দিয়ে কোনো না কোনো কিছু তৈরি করতে হয়। আর তার জন্য ওয়েল্ডিং করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তাহলে বুঝতে পেরেছেন বর্তমানে ব্যবসাটির চাহিদা বাজারে কতটা। তাই একটি দোকান দেওয়ার মাধ্যমে এই ব্যবসায় যাত্রাটি শুরু করতে পারেন।
২০। ফুচকার ব্যবসা
আপনি কখনো না কখনো ফুচকা খেয়েছেন। আপনি কি জানেন এই ফুচকা ব্যবসায়ীদের কতটা লাভ হয়। ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা ফুচকা খেতে বেশি পছন্দ করে। এই জন্য একটি ফুচকা ব্যবসায়ীদের মাসিক ইনকাম হয় প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত। যদিও শুনে অবাক হতে পারেন কিন্তু কথাটা সত্য। এই ব্যবসা বর্তমান সময়ে অধিক লাভজনক একটি ব্যবসা।
আপনার ব্যবসাটি শুরু করতে ১০ হাজার টাকা খরচ হবে না। এর মধ্যেই সবকিছু কমপ্লিট ফেলতে পারবেন। আপনার যদি ১০ হাজার টাকা খরচ না হয়ে মাসিক যদি প্রায় ২৫ হাজার টাকার অধিক ইনকাম হয়। তাহলে কি ব্যবসাটি আপনি করবেন না। হয়তো ভাবছেন ফুচকা ব্যবসা এটা আমার জন্য না। বলে রাখা ভালো কোনো কাজের মধ্যেই ছোট বড় বা লজ্জা নেই। তাই লজ্জা কে দূরে সরিয়ে অর্থ উপার্জনে মনোযোগ দিতে পারেন।
২১। খামার ব্যবসা
আপনি হয়তো বলবেন ১০ হাজার টাকার মধ্যে খামার ব্যবসা কিভাবে হবে। আমি যদি বলি ১০ হাজার টাকার মধ্যে আপনি খামার ব্যবসা করতে পারবেন। তাহলে হয়তো অনেকেই বিশ্বাস করবেন না। আপনার বাসায় যদি ছাদ থাকে সেই ছাদটি যদি ফাঁকা থাকে তাহলে সেখানে অনায়াসে খামার করতে পারবেন। শুধু প্রয়োজন পড়বে চারিদিক দিয়ে ঘেরাও করার।
এর জন্য হয়তো তিন থেকে চার হাজার টাকা খরচ হবে। বাকি থাকে ৬ হাজার টাকা এক থেকে দেড় হাজার টাকা দিয়ে খাবার পাত্র ও মুরগির খাবার কিনুন। বাকি টাকা দিয়ে মুরগির বাচ্চা কিনে ফেলুন। এভাবে করে প্রথম দিকে ছোট পরিসরে মুরগির খামার শুরু করতে পারেন।
আস্তে আস্তে সেটিকে বড় করে তোলার চেষ্টা করুন। প্রথম দিকে হয়তো খামার ব্যবসায় তেমন কোন লাভ হবে না। কিন্তু সময় যত যাবে ততো খাবারটি বড় হতে থাকবে। আস্তে আস্তে লাভও বাড়তে থাকবে। তাই অল্প খরচে একটি খামার তৈরি করে ফেলতে পারেন।
২২। বাচ্চাদের কোচিং সেন্টার
অনেকেই ছোট বাচ্চাদের পড়াতে চায় না। কারণ তাদেরকে পড়ানো খুবই কষ্টকর। আপনি এই সুযোগটি লুফে নিতে পারেন। ছোট্ট একটি রুম নিয়ে সেটাকে কোচিং সেন্টারে রূপান্তরিত করুন। তারপরে বাচ্চাদের পড়ানোর জন্য বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার লাগাতে পারেন। দেখবেন কিছুদিনের মধ্যেই আপনার কোচিং সেন্টার বাচ্চাতে ভরে গেছে। এই ব্যবসাটি শুরু করতে তেমন খরচ হবে না।
শুধু প্রয়োজন হবে একটি বোর্ড, চেয়ার, টেবিল ও নিজের মেধা শক্তি। এই কোচিং সেন্টার পড়ানোর মাধ্যমে মাসে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা সম্ভব। এর বেশিও আপনি উপার্জন করতে পারবেন। শুধু পড়ানোর কার্যক্রমটি অব্যাহত রাখুন। তাই আপনার যদি শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকে তাহলে বসে না থেকে এইরকম একটি কোচিং সেন্টার খুলতে পারেন।
২৩। অনলাইনে কেকের দোকান
মানুষের কেকের প্রতি আলাদা একটা চাহিদা রয়েছে। বিভিন্ন জন্মদিন বা বাসায় কোন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে কেকের প্রয়োজন হয়। এখন জরুরি প্রয়োজনে অনেকেই কেকের অর্ডার দিতে দোকানে যেতে পারে না। সেই ক্ষেত্রে তারা অনলাইনের মাধ্যমে অর্ডার দিয়ে থাকে। এখন আপনিও অনলাইনের মাধ্যমে কেক সাপ্লাই দিতে পারেন।
মানে বাসায় কেক তৈরি করে সেটাকে অর্ডার নেওয়ার মাধ্যমে হোম ডেলিভারি করে টাকা উপার্জন করতে পারেন। এটি এক ধরনের ছোটখাটো ব্যবসা যেটা ১০ হাজার টাকার মধ্যে করা সম্ভব। আপনার বাসায় যদি কেউ কেক তৈরি করতে পারে বা আপনি কেক বানাতে পারেন তাহলে অনলাইনের মাধ্যমে ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।
আপনি যে কেক অনলাইনের মাধ্যমে বেঁচে থাকেন সেটা কিভাবে জানাবেন বিভিন্ন সোশ্যালকে ব্যবহার করে মানুষের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন। আশা করা যায় আপনি এই ব্যবসায় সফল হবেন।
২৪। অনলাইনে পণ্য এর দোকান
অনেকেই বিভিন্ন ধরনের পণ্য কেনার জন্য দোকানে যেতে চায় না। এখন আপনি এই সুযোগটিকে কাজে লাগিয়ে অনলাইনে পণ্যের দোকান দিতে পারেন। অনলাইনে পণ্যের দোকান মানে অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট বা পণ্য বিক্রি করা। এর জন্য ব্যবহার করতে পারেন ফেসবুক সহ বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া। বর্তমানে এই ব্যবসাটি খুবই জনপ্রিয়।
আর মানুষও অনলাইনের মাধ্যমে কিনতে এখন বেশি সচ্ছন্দ বোধ করছে। আপনিও বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট অনলাইন এর মাধ্যমে বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। এই ব্যবসাটা করার জন্য ১০ হাজার টাকায় যথেষ্ট হবে। আপনি ১০ হাজার টাকা দিয়ে ব্যবসাটি অনায়াসে শুরু করতে পারবেন। তাই আর দেরি না করে অনলাইনে একটি পণ্যের দোকান খুলে দিন।
২৫। ভ্যান এ ফাস্টফুড
ফাস্টফুডের ভ্যানের সামনে দেখা যায় যে চারিদিক থেকে ঘেরাও করে অনেকে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এর কারণ হচ্ছে মানুষ প্রচুর ফাস্টফুড কিনে খাচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রামে বা স্কুলের সামনে দেখা যায় ফাস্টফুডের ভ্যানওয়ালাদেরকে। তারা বিক্রি করে বিভিন্ন ধরনের ফাস্টফুড যেমন নুডুলস, সুপ, বার্গার, চটপটি ও হালিম সহ আরো অনেক ধরনের খাবার।
এই ভ্যানে ফাস্টফুড বেচার মাধ্যমে তারা মাসে ২০ থেকে ২৫ হাজার এর অধিক ইনকাম করতে পারে। শুধুমাত্র এখানে তাদের ইনভেস্ট হয়েছে ১০ হাজার টাকার মতো। এই ১০ হাজার টাকা ইনভেস্ট করে তারা মাসে প্রায় ২০ হাজারের অধিক ইনকাম করতে সক্ষম হচ্ছে। তাই তো ব্যবসাটিকে ছোট করে না দেখে আপনিও টাকা ইনভেস্টের মাধ্যমে ব্যবসাটি শুরু করে দিতে পারেন।
২৬। আচার বিক্রয়
নারী ও পুরুষ উভয় আচার পছন্দ করে। হয়তো পুরুষের থেকে নারীরা বেশি আচার পছন্দ করে। টক, ঝাল, মিষ্টি এই আচার খিচুড়ি বা খালি মুখে খেতে মানুষ অনেক পছন্দ করে। তাই তো আচার তৈরি করে বিক্রি করার মাধ্যমে ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। এই ব্যবসাটি করার জন্য অল্প কিছু ইনভেস্টের প্রয়োজন হবে। আচার তৈরি করা তেমন কোন কঠিন কাজ নয়।
বিশেষ করে মহিলারা তো আচার তৈরি করার জন্য সব সময় প্রস্তুত থাকে। তাইতো অনলাইন বা অফলাইন যেভাবেই হোক ব্যবসাটি শুরু করেন। ব্যবসাটি যদি অনলাইনে শুরু করেন তাহলে বাসায় তৈরি করে অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করতে পারবেন। আর যদি অফলাইনের মাধ্যমে শুরু করেন তাহলে একটি দোকান দেওয়ার মাধ্যমে বেচতে শুরু করে দিন।
২৭। লন্ড্রি এর ব্যবসা
মানুষের জামা কাপড় লন্ডি করার মাধ্যমে এই ব্যবসাটি করতে পারেন। অনেকের জামা কাপড় লন্ড্রি করার জন্য আইরন থাকে না। আবার অনেকের আয়রন থাকা সত্ত্বেও অলসতার কারণে জামা কাপড় আয়রন করতে চায় না। তাই এই সুযোগের ওপর ভিত্তি করে লন্ড্রির ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।
এ ব্যবসা করতে শুধু একটি আইরন ও টেবিলের প্রয়োজন হয়। যা ১০ হাজার টাকার মধ্যে খুব সহজেই পেয়ে যাবেন। তাই আপনার কাছে যদি ১০ হাজার টাকা থাকে তাহলে ব্যবসাটি শুরু করে দিতে পারেন।
২৮। ভাষা শিক্ষা
ভাষা শিক্ষা কেন্দ্র গড়ে তুলতে পারেন। প্রতিনিয়ত ভাষা শিক্ষার চাহিদা দিন দিন বেড়ে চলেছে। এর বড় একটি কারণ হচ্ছে অনেক মানুষ অন্যান্য দেশে জীবিকার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমাচ্ছে। তাদের বিদেশ পাড়ি জমানোর জন্য কিছুটা হলেও ভাষা শিক্ষা প্রয়োজন রয়েছে।
তার পেরিপেক্ষিতে তারা ভাষা শিখে থাকে। তাই ভাষা শিক্ষা কেন্দ্র ব্যবসাটা গড়ে তুলতে পারেন। বর্তমানে যে দেশটিতে যাওয়ার জন্য চেয়ে বেশি ভাষা শেখা হয় আমাদের দেশে সেটা হচ্ছে কোরিয়া ও জাপান। তাই ভাষা শিক্ষা প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলুন।
২৯। পানের দোকান এর ব্যবসা
গ্রাম এলাকার মানুষেরা অধিক মাত্রায় পান খেয়ে থাকে। তাদের দিন নাকি শুরু হয় পান দিয়ে আবার শেষ হয় নাকি পান দিয়ে। তাই যারা গ্রামে বসবাস করেন কি ব্যবসা করবেন খুঁজে পাচ্ছেন না। ছোটখাটো ব্যবসা হিসেবে এটি খুবই প্রাধান্য মূলক ব্যবসা।
আপনি চাইলে শহরেও এ ব্যবসাটি স্থাপন করতে পারেন। ১০ হাজার টাকার মধ্যে এ ব্যবসাটি করা সম্ভব। ছোট্ট একটি ঢোপের দোকান বা যেকোনো সাধারণ দোকান দিয়ে পান সুপারি বিক্রি করতে পারেন। এই পান বেচার মাধ্যমে বছরে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত উপার্জন করছে। তাই দ্বিধা দ্বন্দ্বকে দূরে রেখে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।
৩০। আতরের ব্যবসা
মানুষের সুগন্ধ যুক্ত আতরের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। ছোট থেকে শুরু করে বড় সকলেই আতর ব্যবহার করে। আতরে ব্যবসা করার জন্য ১০ হাজার টাকায় যথেষ্ট হবে। শুধু প্রয়োজন ছোট্ট একটি জায়গা যেখানে কিছু সংখ্যক আতর ও টুপি নিয়ে ব্যবসা করা যাবে। অবশ্যই এমন জায়গা হতে হবে যেখানে মানুষের আনাগোনা থাকে। তাই এই ব্যবসাটিও আপনি শুরু করতে পারেন।
৩১। গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি
আমরা অনেকেই বাড়িতে গ্যাস দিয়ে রান্নাবান্না করি। এই গ্যাস গুলো আমাদের বিভিন্ন ধরনের দোকান থেকে কিনে নিয়ে আসতে হয়। তাই আপনার যদি ১০ হাজার টাকা থাকে তাহলে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করার ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। আপনি ব্যবসাটি খুব সহজেই শুরু করতে পারবেন। কারণ এই ব্যবসাটি শুরু করার জন্য তেমন কোনো সরঞ্জামের প্রয়োজন হয় না। শুধুমাত্র প্রয়োজন হয় একটি দোকান।
আরো কিছু ব্যবসায়ের নাম
- মুদিখানার দোকান এর ব্যবসা
- খেজুরের দোকান এর ব্যবসা
- গরুর খামারের ব্যবসা
- চালের ব্যবসা
- খাবারের হোটেল
- বিভিন্ন ইলেকট্রনিক সরঞ্জামের দোকান
- আম অথবা লিচু বাগানের ব্যবসা
- মাছের আরতের ব্যবসা
- মাছ চাষের ব্যবসা
- পশুপাখি পালন
- ডিলারশিপ এর ব্যবসা
- ইট, বালু ও সিমেন্টের ব্যবসা
- পানি ফিল্টারের ব্যবসা
- কাপড়ের দোকানের ব্যবসা
- নতুন বইয়ের ব্যবসা
- কফি শপের ব্যবসা
উপসংহার
পরিশেষে বলা যায় যে আমরা সকলেই স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকতে চাই। কোন বাঁধাধরা নিয়মের মধ্যে থেকে নিজের জীবনের সময়কে অতিবাহিত করতে চায় না। তাই তো অনেকে ব্যবসায়ের মতো স্বাধীন পেশাকে বেছে নিতে চাই। কিন্তু যথেষ্ট পরিমাণে টাকা না থাকার কারণে ব্যবসা শুরু করতে পারে না। তাইতো আপনাদেরকে ১০ হাজার টাকার মধ্যে ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া বলে দেওয়া হয়েছে।
যেগুলোর মধ্যে ছিল পরিচিত কিছু ব্যবসা আবার অপরিচিত কিছু ব্যবসা। কিন্তু প্রত্যেকটি ব্যবসা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর থেকে আপনি মাসে যথেষ্ট পরিমাণে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। তাই যদি ব্যবসা করতে চান তাহলে সেখানে অধিক মনোযোগ দিন। যেকোনো একটি ব্যবসা শুরু করার মাধ্যমে নিজের জীবনের চাকা কে চলার চেষ্টা করুন।
শেষ কথাঃ প্রিয় পাঠক ইতিমধ্যে আপনারা ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া জেনে নিয়েছেন। এই ব্যবসায়ের আইডিয়াগুলো যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার বন্ধুদের আইডিয়াগুলো সম্পর্কে অবগত করুন। যাতে করে তারাও কম টাকার মধ্যে যেকোনো একটি ব্যবসা শুরু করতে পারে। পুরো তথ্যটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
এসএইচ নিউজস্টোরের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url