আমাশয় রোগীর খাবার তালিকা ও আমাশয় হলে কি ডিম খাওয়া যাবে
আপনি যদি আমাশয় রোগী খাবার তালিকা মধ্যে কি কি খাবার রয়েছে তা জানতে চান। তাহলে এই পুরো তথ্যটি পড়ার মাধ্যমে আমাশয় রোগীর খাবার তালিকা সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন। যা আপনাকে আমাশয় রোগ থেকে নিস্তার পেতে সহায়তা করবে। পাশাপাশি আমাশয় হলে কি ডিম খাওয়া যাবে আবার পুরাতন লক্ষণ ও আমাশয় রোগীদের ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকিৎসা গুলো জানতে পারবেন।
আমাশয় রোগকে কখনোই অবহেলার চোখে দেখবেন না। এটিকে অবহেলার চোখে দেখার কোনো উপায় নেই। কারণ রোগটি গুরুতর পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারে। কিন্তু চিন্তার কোন কারণ নেই। সঠিক সময় চিকিৎসা নিলে এটিও নিরাময় যোগ্য।
পোস্ট সূচীপত্রঃ
আমাশয় কি
আমাশয় হচ্ছে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ জনিত রোগ। যে রোগটি সৃষ্টির মূল কারণ হচ্ছে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না থাকা ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পাত্রে খাবার না খাওয়া। এন্টামিবা হিস্টোলাইটিকা নামক ব্যাকটেরিয়া রয়েছে যার সংক্রমনের ফলেই মূলত এই রোগের সৃষ্টি হয়। এই ব্যাকটেরিয়া সরাসরি পরিপাকতন্ত্রের সংক্রমণ করে। যার ফলে পরিপাকতন্ত্র এটিতে আক্রান্ত হয়ে যায়।
নারীর তুলনায় পুরুষেরা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। পৃথিবীতে বছরে প্রায় ৫০ কোটি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়। কিন্তু এই নিয়ে চিন্তার কোন কারণ নেই। এই রোগটি হচ্ছে নিরাময় যোগ্য। যা আপনি ঘরোয়া পদ্ধতিতেও নিরাময় করতে পারেন। তাই আমাশয় রোগীর খাবার তালিকা ও আমাশয় রোগীর ঘরোয়া পদ্ধতিতে যে সকল চিকিৎসা নিতে পারবে সেই সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন।
আমাশয় রোগীর খাবার তালিকা
আপনি যদি আমাশয় রোগী হয়ে থাকেন তাহলে আমাশয় রোগীর জন্য যে খাবার তালিকা গুলো নির্ধারণ করা হয়েছে তার উপরে গুরুত্ব আরোপ করুন। কারণ আমাশয়ের রোগটি যদি শুরু থাকতেই শেষ না করে দেওয়া হয়। তাহলে এটি গুরুতর সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে। এর জন্য অনিয়ন্ত্রিত খাবার ব্যবস্থা খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না। তাই আমাশয় রোগীর সঠিক খাবার তালিকা গুলো জেনে নিতে পারেন।
আরো পড়ূনঃ লিগামেন্ট অপারেশন খরচ বাংলাদেশ
১। ডাবের পানিঃ ডাবের পানিতে পটাশিয়ামের উপস্থিতি রয়েছে। আবার উচ্চমাত্রায় ফাইবারের উৎস যা পাকস্থলীকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এছাড়াও ডাই ইউরেটিক নামক উপাদান রয়েছে যা ইউরিনারি ট্রাক ইনফেকশনের জন্য যে সকল ব্যাকটেরিয়া দায়ী তাদেরকে ধ্বংস করতে পারে।
ডাবের পানি খাওয়ার মাধ্যমে হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে। তাই স্যালাইনের পাশাপাশি ডাবের পানি খেতে পারেন। এতে করে আমোশায়ের সমস্যার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সহায়তা করবে। তাই আমাশয়ের রোগীদের খাবার তালিকায় ডাবের পানি রাখার চেষ্টা করুন।
২। আলুঃ আমরা আলুকে বিভিন্ন রান্নার কাজে ব্যবহার করি। আবার সেই রান্নাকৃত খাবারগুলো খেয়ে উপকারও পাই। কিন্তু আমশায়ের ক্ষেত্রে বা পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা যেমন হজম ও আমাশয় এর মতো সমস্যার সমাধানে আলু সিদ্ধ করে খেতে পারেন। তাহলেই এর যথাযথ উপকার পাবেন। তাই আমশার খাদ্য তালিকার মধ্যে আলুকে যোগ করুন।
৩। দইঃ যুগ যুগ ধরে দইকে আমশায়ের সমাধানের জন্য ব্যবহার হয়ে আসছে। এর মধ্যে থাকা ভালো ব্যাকটেরিয়া গুলো ক্ষতিকর যে সকল ব্যাকটেরিয়ার রয়েছে যা আমশয় সৃষ্টি করতে পারে। মূলত তাদেরকেই ধ্বংস করা এর কাজ। তাই আমাশয়ের সহায়ক হিসেবে খাদ্য তালিকায় দই যোগ করতে পারেন। পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখার জন্য দই খেতে পারেন।
৪। ভাতঃ বাঙালিদের দৈনিক খাদ্য হিসেবে ভাতকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়। তাই আমরা সকলেই কম বেশি ভাত খেয়ে থাকি। শুনে অবাক হলেও সত্যিই ভাত আমাশয়ের সমাধানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আপনি আমোশয়ের সময়টা ভাত ও ভাতের মাড় বা ফ্যান খেতে পারেন। কারণ ভাতের মাড় বা ফ্যানের মধ্যে ফাইবার রয়েছে। যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার পাশাপাশি আমাশয়ের সমাধান করে দিতে সহায়তা করে। শুধু তাই নয় হজম শক্তিও বৃদ্ধি করতে পারবেন।
৫। রুটিঃ বাঙালিদের অন্যতম খাবার হচ্ছে রুটি। যা নিয়মিত না খেয়ে থাকলেও সপ্তাহে তিন থেকে চার বার খাওয়া হয়। ঠিক ভাতের মতো রুটির মধ্যেও ফাইবারের উপস্থিতি পাওয়া যায়। যা আমাশয় এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে শক্তি যোগায়। তাই আর দেরি না করে ভাত ও রুটিকে আমাশয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য খাবার তালিকায় যুক্ত করতে পারেন।
৬। বেলঃ পেটের সমস্যায় সবচেয়ে বেশি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে বেল। কারণ আপনি বেল খাওয়ার মাধ্যমে কোষ্ঠকাঠিন্য ও আমাশয় এর সমস্যা দূর করতে পারবেন। আমরা তো শুধুমাত্র পেট ঠান্ডা রাখার জন্যই বেলের শরবত খেয়ে থাকি। কিন্তু এর কার্যকারিতা পেট ঠান্ডা রাখার পাশাপাশি আমাশয় তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য কাজ করে। তাই অন্যান্য খাদ্যের পাশাপাশি বেলকেও খাবার তালিকায় যুক্ত করতে পারেন।
৭। সবুজ কলাঃ আমাশায় সবুজ কলা আপনার জন্য খুবই উপকারী হতে পারে। এই কলা খাওয়ার মাধ্যমে পাকস্থলীর খাদ্য প্রক্রিয়া উন্নত করে। সবুজ কলার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ও ফাইবারের উৎস রয়েছে। যা কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যা দূর করে।
স্টার্চ ও প্রিবায়োটিক থাকায় পাকস্থলীর যে সকল ভালো ব্যাকটেরিয়া রয়েছে তাদেরকে উৎসাহিত করে। যা হজম শক্তি ভালো রাখতে সহায়তা করে। আর যারা আমাশয়ের রোগী রয়েছেন তারা খাদ্য তালিকায় সবুজ কলা রাখেন। চার থেকে পাঁচ ঘন্টা পর পর একটি করে কলা খেতে পারেন। একটি কলার মধ্যে প্রায় তিন গ্রামের মতো পটাশিয়াম থাকে।
৮। পানিঃ আমরা সকলে একটি কথা শুনেছি পানির অপর নাম হচ্ছে জীবন। তাই আমাশয় এর নিরাময়ের জন্য নিয়মিত পরিষ্কার পানি পান করুন। অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করলে আমাশয় নিরাময় কঠিন হয়ে যেতে পারে।
তাই পরিষ্কার পানি পর্যাপ্ত পান করার পাশাপাশি পরিমাণ মতো স্যালাইন দিও পানি পান করতে পারেন। এর পাশাপাশি আরও যে সকল খাবার খেতে পারেন। তাহলে ওটমিল, আপেল, লেবু, ও কর্নফ্লেক্স জাতীয় খাবার তালিকায় যুক্ত করতে পারেন।
আমাশয় হলে কি খাবার খাওয়া যাবে না
আমাশয় নিরাময়ের জন্য সঠিক খাবার তালিকা নির্ধারণ করা যেমন জরুরী ঠিক তেমনি কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো বর্জন করতে হবে। কারণ এই খাবারগুলো খেলে আমাশয় বেড়ে যেতে পারে। তাই তো এমন কিছু খাবারের নাম উল্লেখ করা হবে যেগুলো খাওয়া যাবে না। আসুন তাহলে জেনে নিই আমাশয় হলে কি কি খাবার খাওয়া যাবে না।
আরো পড়ূনঃ লেবুর খোসার উপকারিতা ও অপকারিতা
- চানাচুর বা চিপস জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না।
- চকলেট জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না।
- অধিক ঝাল দিয়ে কোন জিনিস খাওয়া যাবে না। শুকনো মরিচের ঝাল খাওয়া যাবে না।
- বাসিযুক্ত খাবার কে বর্জন করতে হবে।
- অধিক তেজ যুক্ত খাবার বা চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণ করা যাবে না।
- অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া যাবে না। যেমন ফাস্টফুড জাতীয় খাবার।
- যেই সকল খাবার ডাল দিয়ে তৈরি হয় তা বর্জন করুন।
- অপরিষ্কার পানি পান করা যাবে না। দরকার হলে পানি ফুটিয়ে পান করুন।
- আঙ্গুর খাওয়া থেকে নিজেকে মুক্ত রাখুন।
শিশুদের আমাশয় হলে কি খাবার খাওয়া যাবে
শিশুদের আমাশয় হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও অস্বাস্থ্যকর খাবার। শিশুদের যখন আমোশয় হয় তখন তারা কান্না করতে শুরু করে। আমাশয়ের মল একটু একটু করে হবে এবং বের হওয়ার সময় শিশু কিছুটা কষ্ট পায়। ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণেই আমাশয় হয়ে থাকে। যতক্ষণ পর্যন্ত এই ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা না পাওয়া যাবে।
ততক্ষণ পর্যন্ত আমাশয় নিরাময় হবে না। তবে ঘাবড়ানোর বা চিন্তার কিছু নেই। আমাশয় নিরাময় হয় সঠিকভাবে খাবার ও স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে চললে এক সপ্তাহের ভেতরে আমশয় নিরাময় যোগ্য। তাহলে কিছু খাবার সম্পর্কে আপনাদের জানিয়ে দেই। যেগুলো শিশুদের আমাশয় সময়কালীন খাওয়াতে পারবেন। তাহলে শিশুদের আমোশয় হলে কি খাবার খাওয়ানো যাবে তা জেনে নিন।
- এই সময় ডাবের পানি খাওয়াতে পারেন।
- ভাতের মাড় বা ফ্যান খাওয়াতে পারেন।
- সুপ খাওয়াতে পারেন।
- বেশি বেশি ফলের রস খাওয়াতে পারেন।
- বেলের শরবত খাওয়াতে পারেন।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করাবেন।
- তরল জাতীয় খাবার এই সময় খাওয়াতে পারেন।
পুরাতন আমাশয় এর লক্ষণ
আমাশয় হয় মূলত ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে। আর ব্যাকটেরিয়া শরীরের সংক্রমণ করে অস্বাস্থ্যকর খাবার, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ বা অস্বাস্থ্যকর পাত্রে খাবার খাওয়ার মাধ্যমে হতে পারে। আমাশয় হলে মলত্যাগের সময় আমজাতীয় পদার্থ ও রক্ত বের হয়।
এই সকল লক্ষণকে আমরা বলি পুরাতন আমাশয় হয়েছে। এছাড়াও আমাশয় হওয়ার আরো কিছু লক্ষণ রয়েছে। যেগুলো সংক্রমণের মাধ্যমে আমরা অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায় যে আমাশয় সংক্রমণ হয়েছে। কিন্তু কিছু কিছু লক্ষণ রয়েছে যেগুলো কোলন ক্যান্সারের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে।
যেমন পায়খানার মলদ্বার দিয়ে আমজাতীয় পদার্থ, রক্ত বের হওয়া ও পেট ব্যথার মত সমস্যা। সাধারণত আমাশয় এক সপ্তাহের মধ্যেই ভাল হয়ে যায়। কিন্তু আমরা আমাশয় হওয়ার লক্ষণগুলো সম্পর্কে জানবো। যেগুলো দ্বারা আমরা প্রায় নিশ্চিত হয়ে যাব যে আমাশয় হয়েছে। তাহলে পুরাতন আমাশয় এর লক্ষণগুলো কি হতে পারে তা জেনে নিন।
- মলত্যাগের সময় আমজাতীয় পদার্থ বের হওয়া।
- মলত্যাগের রাস্তা দিয়ে রক্ত বের হওয়া।
- পেট ব্যথা করতে পারে।
- মলত্যাগের সময় কষ্ট হওয়া ও দীর্ঘ সময় নেওয়া।
- মলত্যাগের পরেও মলত্যাগ অপূর্ণতা থাকা।
- মলত্যাগের সময় বেশি মল বের না হওয়া।
- পেটে গ্যাসের সমস্যা হতে পারে।
- পেটের মধ্যে গুরগুর শব্দ অনুধাবন করা।
- ঘনঘন বাথরুম হওয়ার মতো সমস্যা।
পুরাতন আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা
আমরা তো এতক্ষণ আমাশয় হওয়ার লক্ষণ গুলো জানলাম। যে আমাশয় হলে কোন কোন লক্ষণ গুলো প্রকাশ পায়। কিন্তু আপনি কি জানেন পুরাতন আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে। এই রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা অনেকটাই খাবারের তালিকা উপরে নির্ভর করে।
যে একজন আমাশয় রোগী খাবারের তালিকায় কোন কোন খাবার গুলো রেখেছে। যদি এটি পড়ে না থাকেন তাহলে উপরে দেওয়া আছে পড়ে নিতে পারেন। খাবারের তালিকা বাদেও কোন পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করে পুরাতন আমাশয় নিরাময় করা যাবে।
পরিষ্কার পানি দিয়ে স্যালাইন মিশিয়ে খাবেন।
গাছ থেকে একটি কাঁচা বেল সংরক্ষণ করে সেটিকে ছোট সাইজ করে কাটুন। তারপরে সেটিকে রোদে শুকিয়ে নিন। শুকনো কয়েকটি বেলের মধ্যে দের চামচের মত চূর্ণ মেশান। তারপরে সেটিকে নিয়মিত আট থেকে দশ ঘণ্টা পর পর দিনে দুইবার খাবেন।
কোথাও থেকে থানকুনি পাতা সংগ্রহ করুন। তারপরে সেই পাতাকে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। পাটাতে ভালো করে বেটে তার থেকে রস বের করে ছেকে নিন। এরপরে ছাকা কৃত রসের মধ্যে মধু অথবা চিনি মিশিয়ে খেতে পারেন। আপনি চাইলে এমনিও এই রস খেতে পারেন।
দিনে দুইবার রস খাবেন। অবশ্যই খালি পেটে খেতে হবে। সবচেয়ে ভালো হয় যদি সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে খাওয়া যায় আর রাতে ঘুমানোর আগে খেলে। রাতে থানকুনি পাতার রস খাওয়ার এক ঘণ্টা পরে অন্যান্য খাবার খাবেন।
আমাশয় নিরাময়ের ঘরোয়া চিকিৎসায় পদ্ধতিতে আরেকটি পদ্ধতি হচ্ছে ডালিমের খোসা। ডালিমের খোসা সিদ্ধ করে পানি পান করলে উপকারিতা পাওয়া যায়। দিনে দুইবার সকাল ও রাতে খেতে পারেন।
এর পাশাপাশি আমাশয় রোগীদের জন্য যে খাবার তালিকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তা নিয়মিত ও পরিমাণ মতো খেতে থাকুন। তাহলেই দেখবেন আস্তে আস্তে আমাশয় দূরীভূত হয়ে গেছে। তবুও যদি আমাশয় ভালো না হয় তাহলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
আমাশয় হলে কি ডিম খাওয়া যাবে
আমাশয় এমন একটি রোগ যা পুরো পৃথিবীতে সংক্রামক রয়েছে। এতে প্রায় বছরে ৫০ কোটি মানুষ আক্রান্ত হয়। আবার কিছু মানুষ মারা যাওয়ার সংবাদ পাওয়া যায়। কিন্তু এর সংখ্যা খুবই সামান্য পরিমাণে রয়েছে। তবে আমাশয় হলে সব ধরনের খাবার খাওয়া উচিত না।
তাহলে কি আমোশয় হলে ডিম খাওয়া যাবে। কিন্তু যদি ডিম খাওয়া যায় তাহলে কিভাবে খাবো। এই নানান ধরনের প্রশ্ন আমাশয় রোগীদের মাথায় ঘুরাঘুরি করে। আমাশয় রোগীদের সবসময় তরল জাতীয় খাবার বেছে নিতে হবে।
যেমন ডাবের পানি, দই ও ভাতের মাড় আরো কিছু খাবার রয়েছে যা আপনি উপরে দেওয়া আছে রোগীদের খাবারের তালিকা তা থেকে জেনে নিতে পারেন। এখন কথা হচ্ছে আমাশয় রোগীরা তাহলে কি ডিম খেতে পারবে না। আসলে যে সকল শিশু আমাশয় আক্রান্ত রয়েছে তাদের ডিমের উপরের সাদা অংশ খাওয়া জন্য দেওয়া যেতে পারে। তবে না দেওয়াই উত্তম।
কিন্তু প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ডিম খাওয়া যাবে। এটি সম্পূর্ণ আমাশয় রোগীদের উপরে নির্ভর করবে। যে সেই রোগীটি বর্তমানে ডিম খাওয়ার সময় উপযুক্ত কি না। তবে আমাশয় রোগীদের ডিম না খাওয়াই ভালো। কারণ ডিমে উচ্চ পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। আর আমাশয় রোগীদের ফাইবার জাতীয় খাবারের প্রয়োজন।
আমাশয় হলে কি দই খাওয়া যায়
যদিও দই বাংলার মানুষের পছন্দের একটি খাবার তবুও আমাশয় হলে কি দই খাওয়া যাবে নাকি দই খাওয়া যাবে না। আর দই খেলেও কি পরিমাণ খাওয়া উচিত। এই বিষয়গুলো একজন আমাশয় রোগীদের মাথায় ঘুরাঘুরি করে। তবে আপনারা জেনে অনেকেই খুশি হবেন আমাশয় হলে দই খাওয়া যায়। আমাশয় অবস্থায় আপনি তরল জাতীয় খাবার খেতে পারবেন। যেই খাবারগুলোর মধ্যে ফাইবার ও পটাশিয়াম রয়েছে। এছাড়াও আরো বেশ কিছু উপাদানের খাবার খাওয়া যাবে।
আমাশয় হলে কি মাছ খাওয়া যায়
আমাশয় হলে সব সময় নরম বা পানি জাতীয় খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন। যেমন পরিষ্কার পানি, স্যালাইন পানি, ডাবের পানি, ভাতের মাড়, সুপ ও রুটি খাবারগুলো খেতে পারে। এমন খাবার খাওয়া যাবে না যেগুলো শক্ত বেশি। তাহলে কি আমাশয় হলে মাছ খাওয়া যাবে।
দেখুন মাছ খাবার কথা কোথাও তেমন ভাবে উল্লেখ পাওয়া যায়নি। তাই আমাশয় বা ডায়রিয়া হলে মাছ খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখাই ভালো। তা না হলে আমাশয় নিরাময় করা কঠিন হয়ে যেতে পারে। তাই এমন খাবার খাওয়াবো না যে খাবারগুলো আমাশয় দূর করতে বাধাগ্রস্ত হবে।
উপসংহার
পরিশেষে বলা যায় প্রত্যেকটি রোগকে আমাদের গুরুত্বের সাথে দেখতে হবে। যেকোনো ছোট রোগকে ছোট করে দেখা উচিত না। যদি মনে করেন যে এই রোগটি একা একাই সেরে উঠবে। তাহলে এই ধারণাটি আপনার ভুল প্রমাণিত হতে পারে। তাই যে রোগটি হয়েছে তাকে মূল্যায়ন করুন।
আর রোগটির নিরময়ের জন্য যথাসম্ভব চেষ্টা করুন। যাতে করে এই রোগটি নিজেকে বাঁচাতে পারেন। ঠিক এভাবেই আমশয় রোগটি কেও ছোট করে দেখবেন না। রোগটির বিষয় যে সকল চিকিৎসার প্রয়োজন তা যথাযথ গ্রহণ করুন। তাহলেই দেখবেন আপনি রোগটি থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
শেষ কথাঃ পরিশেষে বলা যায় আপনারা যদি আমাশয় রোগীর খাবার তালিকা সম্পর্কে বিস্তারিত উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে আপনার আশেপাশে যদি আমাশয় রোগী থাকে তাহলে তাদেরকেও এর খাবার তালিকা গুলো পড়ার জন্য আগ্রহী করে তুলুন। যেন তারাও এই খাবার তালিকাটি পড়ে উপকৃত হতে পারে। কোন তথ্যটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
এসএইচ নিউজস্টোরের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url