মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো তার কি কোন উপায় রয়েছে? অবশ্যই মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য অনেক পদ্ধতি রয়েছে। আমাদের শুধু সেই পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। তার জন্য প্রথমে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো সেটা জানতে হবে। আবার মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার সাইট এবং মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে টাকা উপার্জন এর উপায় জানতে পারবেন। যেগুলো জানার মাধ্যমে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইনে টাকা ইনকামের সম্পূর্ণ বিস্তারিত জানতে পারবেন।
আমাদের মধ্যে প্রায় মানুষের কাছে মোবাইল ফোন রয়েছে কিন্তু কম্পিউটার নেই। তাই বলে কি ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করতে পারবেন না। অবশ্যই মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। কিন্তু মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো তার সম্পর্কে জানতে হবে। এই বিষয়ে না জানলে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম কিভাবে করবেন।
পোস্টসূচিপত্রঃ
ভূমিকা
আপনি কি জানেন মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখা যায়। এই কথাটির পক্ষে অনেকেরই দ্বিধা থাকবে। কিন্তু এই আর্টিকেলটিতে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো তার ৯ টি উপায় বলে দেওয়া রয়েছে। যেগুলো জেনে নেওয়ার মাধ্যমে সহজেই মাসে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। কিন্তু ৯ টি উপায় জানার সাথে আরও কিছু জানতে হবে। যেমন মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার সাইটের নাম। কারণ সাইটগুলোর মাধ্যমে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। তাহলে আর দেরি না করে এখনই মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবেন তার উপায় গুলোর সম্পর্কে জেনে নিন।
ফিল্যান্সিং মানে কি
ফ্রিল্যান্সিং মানে হচ্ছে মুক্ত পেশা। আর মুক্ত পেশা মানে হচ্ছে নিজের স্বাধীন মত কাজ করা। যখন ইচ্ছা যেই সময় ইচ্ছা কাজ করতে পারবেন আবার যখন ইচ্ছা কাজ থেকে উঠে যেতে পারবেন। এই জন্যই ফ্রিল্যান্সিংকে মূলত মুক্ত পেশা বলা হয়ে থাকে। মোবাইল বা কম্পিউটারের সাথে ইন্টারনেট কানেকশন যুক্ত করে আপনিও এই মুক্ত পেশার অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন।
আরো পড়ূনঃ মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
তাই যারা মনে করছেন যে বাধা ধরা কোনো নিয়মের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত না থেকে নিজের স্বাধীন মত কাজ করবো। তাদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে উপযুক্ত পেশা। তাই যে সেক্টরে স্বাধীনতা বজায় রেখে অনলাইনের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা যায় তার মানেই হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং।
ফ্রিল্যান্সিং কি মোবাইলে করা যায়
অবশ্যই আপনি মোবাইল ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। অনেকে মনে করে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায় না। কিন্তু মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা মোটেও অসম্ভব নয়। এই অসম্ভবকে সম্ভব করার জন্য মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো সেটা আগে জানতে হবে কারণ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার এটা হচ্ছে প্রথম ধাপ। বর্তমানে অনেকেই আছে যারা মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে ১৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করছে। তাও আবার হাতে একটি ফোন নিয়ে ইন্টারনেট কানেকশনের মাধ্যমে সম্ভব করে তুলেছে।
তাহলে আপনিও তো একজন মানুষ সে পারলে আপনি কেন পারবেন না। তাই নিজের মোবাইলের ব্যাটারির চার্জ ও ইন্টারনেট নষ্ট না করে সেটিকে কাজে লাগান। আর তাদের মত আপনিও মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় শুরু করুন। আশা করা যায় মনের দ্বিধা থেকে জেগে ওঠা ফ্রিল্যান্সিং কি মোবাইলে করা যায় তার যথাযথ উত্তর পেয়েছেন।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম কিভাবে সম্ভব
অনেকেই হয়তো মনে করেন মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করা কিভাবে সম্ভব হয়। যদি বলা হয় মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা সম্ভব তাও আবার শুধুমাত্র ফ্রিল্যান্সিং করে। এখানেই সীমাবদ্ধ নয় সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন ধরনের ইনকাম করার মাধ্যম রয়েছে। যে মাধ্যমগুলো ব্যবহার করে ঘরে বসে থেকে মোবাইল হাতে নিয়ে সাথে একটা ইন্টারনেট কানেকশন যুক্ত করে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। তবে যাদের ল্যাপটপ বা কম্পিউটার রয়েছে তাদের তুলনায় আপনাদের ইনকাম কম হবে।
আপনি চাইলে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার পরে সেই টাকা দিয়ে একটি ল্যাপটপ বা কম্পিউটার নেন এর থেকে বেশি ইনকাম করতে পারবেন। তাই নিজের মোবাইল ফোনকে কাজে লাগিয়ে ইনকাম শুরু করে দিন।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো
অনেকেই বলছেন মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো আসলেই কি এটা শেখা সম্ভব। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখা কি সম্ভব হবে। আপনারা জেনে খুশি হবেন যে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখা সম্ভব। শুধু কঠোর পরিশ্রম ও ধৈর্য্য ধারণ করতে হয়।
যে কোন কাজে বা শিখার ক্ষেত্রে সফলতা পেতে হলে তাকে সময় দিন ও কঠোর পরিশ্রম করুন। ইনশাআল্লাহ একটা সময় সফলতা আপনার কাছে এসে ধরা দিবে। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখার কিছু ধাপ রয়েছে। যেই ধাপগুলো অনুসরণ করার মাধ্যেমে আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
তার মধ্যে প্রথম হচ্ছে কোথায় ফ্রিল্যান্সিং শেখা যায়। দ্বিতীয় কথা হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন সাইটগুলো ব্যবহার করবো। দ্বিতীয় কথা হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোর মধ্যে কোন কাজগুলো করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবো। এই তিনটি ধাপ অনুসরণ করলে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখা সম্ভব। তাহলে মোবাইল দিয়ে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখবো তা জেনে নিন।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখবেন
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য উত্তম মাধ্যম হচ্ছে ইউটিউব। আপনি ইউটিউবের মাধ্যমে খুব সহজেই যেকোনো কাজের ভিডিও দেখে সেখান থেকে শিখতে পারবেন। আর সেই অনুযায়ী নিজেকে ডেভলপ করার মাধ্যমে কাজ করতে পারবেন। ইউটিউবে বিভিন্ন ধরনের কোর্সের ভিডিও রয়েছে সেগুলো দেখে নিবেন। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য এটাই যথেষ্ট হবে। তাই মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখার পর সেগুলোতে কাজ করার জন্য ফ্রিল্যান্সিং সাইট গুলো ব্যবহার করুন।
মোবাইল ফ্রিল্যান্সিং সাইট
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখার দ্বিতীয় ধাপ হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং সাইট। এই সাইটগুলোর মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ মার্কেটপ্লেসের নাম উল্লেখ করা থাকবে। যে মার্কেটপ্লেসগুলো মাধ্যমে বর্তমান সময়ে মোবাইল ও কম্পিউটার দিয়ে ইনকাম করা সম্ভব। বর্তমান বাজারে এই মার্কেটপ্লেস গুলো থেকে কাজে নিয়ে অনেকেই ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করছে। তাহলে চলেন মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোর নাম জেনে আসি।
ফাইবার
অনেকেই হয়তো এই নামটি শুনে থাকবেন। কারণ নতুন যারা ফ্রিল্যান্সিং শিখে তাদের জন্য এই সাইটে কাজ পাওয়া একটু সহজ হবে। কারণ এখানে গিগ তৈরির মাধ্যমে বায়ারদের কাছ থেকে কাজ নেওয়া হয়। প্রথমে ফাইবারে একাউন্ট খুলে ফেলুন। তারপরে নিজের সম্পর্কে কিছু তথ্য এবং কোন কাজগুলো পারেন তার বিস্তারিত তুলে ধরুন। এরপরে যেই কাজটির মাধ্যমে ইনকাম করতে চান তার উপরে একটি গিগ তৈরি করুন।
এখন গিগ কি জিনিস গিগ হচ্ছে আপনি যে কাজ জানেন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত লিখে সেটিকে ফাইবার মার্কেটপ্লেসে ছেড়ে দিতে হবে। ওই গিগ দেখে যার পছন্দ হবে সে আপনাকে কাজ দিবে। এই ফাইবার মার্কেটপ্লেস সাইট থেকে মাসে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। এর বেশিও ইনকাম করা সম্ভব।
৯৯ ডিজাইনস
আপনারা এই মার্কেটপ্লেসের সাইটটি থেকে ইনকাম করতে পারেন। এই মার্কেটপ্লেস থেকে কাজ পাওয়া একটু কঠিন। যাদের কাজ করার পরে একটু অভিজ্ঞতা হয়ে যাবে। তখন এই মার্কেটপ্লেসটিতে কাজ করতে পারেন। এখানে কাজ পাওয়ার জন্য অ্যাকাউন্ট খোলার পরে নিজের ও কাজের ব্যাপারে একটি পোর্টফোলিও তৈরি করুন। তারপরে সেই পোর্টফোলিও টি ছড়িয়ে দিন। এখান থেকে মাসে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা সম্ভব। এর বেশিও ইনকাম করতে পারবেন।
আপ ওয়ার্ক
এই সাইটটির জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। এই সাইটটিতে একটি কাজের বিনিময়ে ভালো অংকের টাকা পাওয়া যায়। এই জন্য মার্কেটপ্লেসটিতে প্রতিযোগিতা অনেক বেশি। এখানেও প্রথমে কাজের জন্য অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। সে একাউন্টটিতে নিজের প্রোফাইল ও পোর্টফলিও ভালোভাবে সাজান যেন সেটা পড়ার মাধ্যমে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
এই সাইটটিতে কাজ পাওয়ার জন্য কানেক্ট কিনতে হয়। প্রতি মাসে ১০টি করে পেইড ছাড়া কানেক্ট দেয়। এটা নতুনদের জন্য একটা সুযোগ বলতে পারেন। আপনার যে কাজ পছন্দ হবে সেই কাজটিতে কানেক্ট ব্যবহার করুন। এই সাইটটিতেও মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। এর বেশিও ইনকাম করতে পারবেন। তবে কাজটিতে বেশি বেশি সময় দিতে হবে।
ফ্রিল্যান্সার
যত পুরাতন অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করার সাইট রয়েছে তাদের মধ্যে এটা একটা। এখানেও কাজ করার জন্য অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হয়। আর কাজ পাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের কনটেস্ট থাকে সেই কনটেস্ট গুলোতে অংশগ্রহণ করতে হয়। নতুনদের জন্য কাজ পাওয়ার এটিই হচ্ছে উত্তম মাধ্যম।কারণ একটি কন্টেস্টে যদি ১০০ জন তার কাজ উপস্থাপন করে।
তার মধ্যে থেকে একজনের কাজ বাছাই করে নেয়া হয়। মূলত সেই একজনই ওই কাজের পেমেন্ট বা টাকা পেয়ে থাকে। এই জন্য এই সাইটটি থেকে কাজ পাওয়া একটু জটিল। যদি আপনার কাজ ভালো হয় তাহলে অবশ্যই এখানে কাজ আপনার জন্য সহজ হবে। কারণ অন্যান্য সাইটের মতো এখানেও কাজের মূল্যায়ন করা হয়। এখান থেকেও মাসে ত্রিশ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।
এর বেশি ইনকাম করতে চাইলে আরো বেশি পরিশ্রম করতে হবে। তাহলে আশা করা যায় আপনারা গুরুত্বপূর্ণ ৪ টি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার সাইটের নাম জেনে নিয়েছেন। সাইট গুলোর মাধ্যমে আপনি টাকা উপার্জন করতে পারবেন। তাই নিজের মোবাইলকে ব্যবহার করে সাইটগুলো থেকে উপার্জন করুন। আর নিজের যোগ্যতাকে প্রাধান্য দিন।
মোবাইল ফ্রিল্যান্সিং কাজের নাম
আমরা যে সাইটগুলোর নাম জানলাম সেই সাইটগুলোর মধ্যে উল্লিখিত কাজগুলো খুঁজে পাবেন। আবার কিছু কাজ রয়েছে যেগুলো উল্লেখিত সাইটগুলোতে খুঁজে পাবেন না। তবে চিন্তার কোনো কারণ নেই সেই কাজগুলো কোথায় পাবেন তা উল্লেখ করে দেওয়া হবে। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবেন তার ৩য় ধাপ হচ্ছে কাজের নাম। তাহলে মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজের নাম গুলো জেনে নিন।
১। আর্টিকেল রাইটিংঃ আপনার যদি সৃজনশীল দক্ষতা থাকে আর লিখালিখি করতে ভালো লাগে তাহলে আর্টিকেল রাইটিং করতে পারেন। অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের ওয়েবসাইটে আর্টিকেল রাইটার হিসেবে আর্টিকেল রাইটারদের নিয়োগ দিয়ে থাকে। আপনিও তাদের আর্টিকেল রাইটার হিসেবে যোগ দিতে পারেন। এই কাজটি মোবাইল অথবা কম্পিউটারের মাধ্যমে করা যায়।
তাই আপনি যদি মোবাইল থাকে আর্টিকেল লেখার প্রতি আগ্রহ থাকে তাহলে আর্টিকেল রাইটার হিসেবে কাজ শুরু করে দিতে পারেন। এই কাজটি করার জন্য ফ্রিল্যান্সিং সাইট ব্যবহার করতে পারেন। যেগুলোর মাধ্যমে কাজ পাওয়া অনেক সহজ হয়ে যাবে। তাই মোবাইল ও ইন্টারনেট সংযোগকে কাজে লাগিয়ে ইনকাম করুন।
২। ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টঃ ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হচ্ছে উপস্থিত না থেকে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করা। মানে কোনো একটা অফিসের বা অফিসারের তার যে সকল কাজ রয়েছে তা দেখাশোনা করা।
অ্যাসিস্ট্যান্ট হচ্ছে সহকারি আর ভার্চুয়াল মানে হচ্ছে শারীরিকভাবে উপস্থিতি না থেকে সাধারণত অনলাইনের মাধ্যমে উপস্থিত থাকাকে বোঝায়। তার যে সকল কাজ রয়েছে যেমন তার পক্ষ হয়ে বিভিন্ন ধরনের ফোন কলে এটেন্ড করা, মিটিংয়ে এটেন্ড করা, তার ব্যবসায়ের খোঁজখবর রাখা আরো যে সকল কাজ রয়েছে তার দেখাশোনা করা।
যদিও অনেকে অবাক হচ্ছেন যে এভাবে ইনকাম করা যায়। হ্যাঁ, আপনি এভাবে ইনকাম করতে পারবেন। উল্লেখিত সাইটকে ব্যবহার করার মাধ্যমে। তাহলে আর দেরি কেন হাতে থাকা মোবাইল ব্যবহারের মাধ্যমে উপার্জন শুরু করে দিন।
৩। ছবি আপলোড করে ইনকামঃ অনেকেই কথাটা শুনে বলবেন ছবি আপলোড করে আবার কিভাবে ইনকাম করে। যদি বলা হয় ছবি আপলোড করেও টাকা ইনকাম করা যায়। তাহলে শুনে হয়তো অবাক হবেন।
আপনার কাছে যদি একটি ফোন থাকে আর আপনি যদি সুন্দর সুন্দর ছবি ক্যাপচার করতে পারেন। তাহলে সেই ছবিটি অনলাইন প্লাটফর্ম গুলোতে আপলোড করার মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। যেমন Shutterstock, Freepik, Unsplash সাইটগুলোতে আপলোড করুন।
৪। ব্লগিং করে আয়ঃ ব্লগিং কি জিনিস। ব্লগিং হচ্ছে ওয়েবসাইটে তথ্য প্রদান করার মাধ্যমে আয়। আপনার যদি কোনো বিষয়ের উপরে অভিজ্ঞতা থাকে বা লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাহলে ব্লগিং আপনার জন্য উত্তম হবে। এই ব্লগিং মোবাইল ফোন দিয়েও করা যায়। সুন্দর করে কনটেন্ট লিখুন যাতে করে মানুষ তথ্যগুলো পড়ে প্রকার বা সেবা পাই।
তাই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তথ্য প্রদান করে ঘরে বসে থেকে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করুন। এটিকে প্যাসিভ ইনকামও বলা হয়। প্যাসিভ ইনকাম হচ্ছে কাজ করতে করতে কোনো একদিন আপনি অসুস্থ থাকলেন। সেই দিনও আপনার ইনকাম বা উপার্জন হবে। আর একটিভ ইনকাম হচ্ছে যখন কাজ করবেন তখনই টাকা পাবেন। তার আগে কোনো টাকা পাবেন না।
৫। ওয়েব ডিজাইনঃ ওয়েব ডিজাইন করে আয় করতে পারেন। তবে সম্পূর্ণ ওয়েব ডিজাইন করতে পারবেন না মোবাইলের মাধ্যমে। পুরো কথাটি শুনুন এটি ওয়েব ডিজাইন সম্পূর্ণ করতে অনেক কোডিং এর ভাষা জানা লাগে। HTML, JavaScript, CSS, Python এর মত কিছু কোডিং ভাষা জানতে হয়।
তবে এর মধ্যে শুধু দুটো ভাষা থেকে তিনটি ভাষা শিখতে পারবেন মোবাইলের মাধ্যমে কিন্তু এই দুটি থেকে তিনটি ভাষা শিখেও ইনকাম করতে পারবেন। এর জন্য উল্লিখিত ফাইবার মার্কেটপ্লেসটি উপযুক্ত হবে। এখানে আলাদা আলাদা কোডিং ভাষার কাজ পাওয়া যায়।
৬। ভাষা ট্রান্সলেটরঃ আপনার যদি অনেক ধরনের ভাষা আয়ত্তে থাকে। তাহলে আপনার জন্য সুখবর রয়েছে সেটা হচ্ছে ভাষা ট্রান্সলেট করে আয় করতে পারবেন। যদি একাধিক ভাষা আপনার আয়ত্তে না থাকে তাহলে কি করবেন। এটার জন্য যে ভাষাগুলো আপনার পছন্দ হবে সেই ভাষা গুলো শিখে নিন।
যদি আপনি এই কাজের প্রতি আগ্রহী থাকেন। যদিও একাধিক ভাষা শেখা খুবই কষ্টকর বিষয়। তবুও যদি শিখতে পারেন তাহলে মোবাইল দ্বারা ভাষা ট্রান্সলেটর হিসেবে কাজ করতে পারেন। এর জন্য সাইটে বা মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে পারেন।
৭। কথা বলে ইনকামঃ এখন হয়তো বলবেন কথা বলে আবার কিভাবে ইনকাম করা যায়। কথা বলার মাধ্যমে মাসে হাজার হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন। তাও আবার মোবাইল ব্যবহার করে। বিভিন্ন ধরনের ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। যারা তাদের ভিডিওগুলোতে ভয়েজার খুঁজতে থাকে।
যেন তাদের ভিডিওগুলোর ব্যাকগ্রাউন্ডে কেউ একজন কন্ঠ দেয় বা কথা বলে। কিন্তু এর জন্য সুন্দর ভাবে গুছিয়ে কথা বলতে হবে এবং কন্ঠ সুন্দর হতে হবে। এই কাজগুলো পাবেন কোথায়। তথ্য ভিতর যে সাইটের নামগুলো উল্লেখ করা হয়েছে। সেই সাইট বা মার্কেটপ্লেস এ কাজ পাওয়া যায়।
৮। থাম্বেল ডিজাইনঃ আপনি যদি থাম্বেল ডিজাইন করার মাধ্যমে আয় করতে চান। তাহলে আয় করতে পারেন। কিন্তু অনেকেই বলবেন ডিজাইন করার জন্য ল্যাপটপ বা কম্পিউটার প্রয়োজন হয়।
মোবাইলের মাধ্যমে কিভাবে ডিজাইন সম্ভব। কিন্তু আপনি মোবাইলের মাধ্যমে থাম্বেল ডিজাইন করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে Canva সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে হবে। খুব সহজে কম সময়ের মধ্যে থাম্বেল ডিজাইন করতে পারবেন। এখন কোন থাম্বেল ডিজাইন করে আয় করবেন। ইউটিউব ভিডিওর থাম্বেল ডিজাইন করে আয় করতে পারেন। বিভিন্ন ধরনের ইউটিউবার তাদের থাম্বেল ডিজাইন করার জন্য ডিজাইনারদের খুঁজে বেড়াই। আপনি তাদের ডিজাইনার হিসেবে যুক্ত হতে পারেন।
৯। সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারঃ সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হচ্ছে যে সকল সোশ্যাল মিডিয়া রয়েছে সেগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা। আপনার না আপনার ক্লায়েন্টের মানে যার সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টগুলো নিয়ন্ত্রণ করবেন তার। এর জন্য আপনাকে যে সকল কাজ করতে হবে তা হচ্ছে তার যে সকল সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট রয়েছে।
সেইগুলোর খুঁটিনাটি যেগুলো সমস্যা রয়েছে সেগুলো সংশোধন করা। আবার কখন কোন পোস্ট করতে হবে, কিভাবে করতে হবে, কোন পোস্ট করলে তার জন্য ভালো বা কি লিখা যাবে ও লেখা যাবে না এই সকল বিষয় হচ্ছে একজন সোশ্যাল মিডিয়াম ম্যানেজারের কাজ। বিভিন্ন ধরনের জনপ্রিয় ব্যক্তিরা তাদের সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টগুলো নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ম্যানেজার নিয়োগ দিয়ে থাকে। এই কাজগুলো মোবাইলের মাধ্যমে করতে পারবেন।
পরিশেষে বলা যায় টাকা ইনকাম করার জন্য যথেষ্ট পরিমাণে হার্ড ওয়ার্ক ও ধৈর্যের প্রয়োজন হয়। কারণ ধৈর্য ও পরিশ্রম করার আগ্রহ না থাকলে টাকা ইনকাম করা সহজ হয় না। তাই মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখার যেই কাজগুলো উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলো সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান আহরণ করুন আর নিজের অভিজ্ঞতা কে বাড়িয়ে তুলুন। তবেই আপনি সঠিক রাস্তায় হাঁটছেন বলে মনে করবেন।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখার টিপস
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে চাইলে কিছু ধাপ রয়েছে যেগুলো অনুসরণ করতে হয়। সেই ধাপগুলোকে মূলত ফ্রিল্যান্সিং শেখার টিপস বলা হয়। আপনি যদি এই টিপস গুলো অনুসরণ করে চলেন। তাহলে ইনশাআল্লাহ ফ্রিল্যান্সিং শিখে টাকা ইনকাম করার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। তাহলে চলেন জেনে আছে কিছু টিপস সম্পর্কে।
- ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য আগ্রহ থাকতে হবে।
- যথাযথ সময় দিতে হবে ও হতাশ হওয়া যাবে না।
- কঠোর পরিশ্রম ও ধৈর্য ধারণ করতে হবে।
- ফ্রিল্যান্সিং শেখার সময় প্রথম দিকে টাকার কথা চিন্তা করা যাবে না।
- ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শেখার সময় মাথায় চিন্তা রাখতে হবে যেন কিভাবে আরো ভালো শেখা যায়।
- প্রত্যেকটি ধাপ ফেলার সময় সচেতন থাকতে হবে।
- নিজের মধ্যে শেখার আগ্রহটা সব সময় বজায় রাখতে হবে।
উপসংহার
পরিশেষে বলা যায় আমরা সকলেই টাকা উপার্জন করতে চাই। সেটা হোক মোবাইল বা কম্পিউটারের মাধ্যমে কিন্তু তার আগে যে বিষয়টির উপর কাজ করবো তা শেখার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কারণ কোনো অভিজ্ঞতা না থাকলে বা জানা না থাকলে কাজ করা যায় না। তাই কাজ করার আগে শেখাটা খুবই জরুরী। নিজেকে এমন ভাবেও দক্ষতা সম্পন্ন করে তুলতে হবে। যেন সবাই আপনাকে কাজ দিতে বাধ্য থাকে। তাই আজ থেকেই পরিশ্রম শুরু করে দিন আর দক্ষতা অর্জন করে টাকা উপার্জন করুন।
শেষ কথাঃ সম্মানিত পাঠক আপনারা হয়তো ইতিমধ্যে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো বা শিখবেন তা জেনে নিয়েছেন। ফ্রিল্যান্সিং শেখার বিষয়গুলো সম্পর্কে জানার পরে যদি উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে আপনাদের বন্ধুদের মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখার বিষয়গুলো জানার জন্য আগ্রহী করে তুলুন। যাতে করে তারাও এই বিষয়গুলো জেনে টাকা উপার্জন করতে পারে। পুরো তথ্যটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
এসএইচ নিউজস্টোরের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url