প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
আপনি যদি মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে জেনে উপার্জন করতে চান। তাহলে এই পুরো তথ্যটি পড়ার মাধ্যমে কিভাবে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করা যায় তা জানতে পারবেন। পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা আয় করার জন্য কিছু টিপস রয়েছে। যেগুলো পড়ার মাধ্যমে উপায় গুলো অনুসরণ করে কিভাবে উপার্জনের পথ সহজ হবে তা তুলে ধরা হয়েছে।
প্রত্যেকটি উপায় হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ কারণ প্রত্যেকটি উপায়ের মাধ্যমেই ইনকাম করা যায়। তাই প্রত্যেকটি উপায় পড়ে তারপরে সিদ্ধান্ত নিবেন কোন উপায় এর উপরে কাজ করতে চান।
পোস্ট সূচীপত্রঃ
মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
প্রত্যেকটি মানুষের জীবিকার সন্ধান করা উচিত। আপনি টাকা উপার্জন করতে চান কিন্তু কোন উপায় খুঁজে পাচ্ছেন না। তাহলে বলবো মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় আপনার জন্য কার্যকরী হবে। এখানে রয়েছে সর্বমোট ২০টি উপায় যার মধ্যে প্রত্যেকটি উপায় কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
আর প্রত্যেকটি উপায়ে ব্যবহার করে আপনি মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। তাই যদি টাকা উপার্জন করতে চান আর উপায় না খুঁজে পান তাহলে এই ২০টি উপায় এর মধ্যে থেকে যে উপায়টি আপনার ভালো লাগবে। সেই উপায়টিকে কাজে লাগিয়ে উপার্জন করতে পারেন। তাহলে সময় নষ্ট না করে কিভাবে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করা যায় তার উপায় গুলো জেনে নিন।
১ - ৫ উপায়ে মাসে ২০ হাজার টাকা আয়
এক থেকে পাঁচের মধ্যে যে উপায়গুলো রয়েছে সেগুলো দ্বারা কিভাবে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করা যায় বা তার উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন। এখানে টাকা আয় করার যে উপায়গুলো উপস্থাপন করা হবে তা সবই অনলাইন এর মাধ্যমে আয় করার উপায়। তাই আপনারা এখান থেকে জানতে পারবেন কিভাবে অনলাইনের মাধ্যমে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করা যায়। তাই নিজে থেকে আয় করার জন্য পাঁচটি উপায় সম্পর্কে জেনে নিন।
১। ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভঃ ২০ হাজার টাকা আয়ের যে উপায়গুলো বলবো তার মধ্যে সবচেয়ে সহজ আয় করার উপায় হচ্ছে ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ। আপনি এই কাজের মাধ্যমে ঘরে বসে থেকে অনায়াসে মাসে বিশ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। এই কাজ করার জন্য তেমন দক্ষতার প্রয়োজন হয় না।
যদি আপনি মনোযোগ দিয়ে শিখেন তাহলে কাজটি শিখতে এক সপ্তাহের মতো সময় লাগতে পারে। এখন কাজটি শিখবেন কোথায় ইউটিউব এর মাধ্যমে শিখতে পারেন। ইউটিউবে এই কাজ নিয়ে অনেক ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। সেখান থেকে শিখে নিতে পারেন। এই ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ কাজ করার জন্য সবচেয়ে উত্তম মার্কেটপ্লেস গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে ফাইবার। এই ফাইবারের মাধ্যমে আপনি বায়ারের থেকে কাজ নিতে পারবেন।
আরো পড়ূনঃ ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজ নতুনদের সহজ হবে
২। ব্রুসার ডিজাইনঃ কাজটি নতুনদের জন্য সহজ হবে। এই কাজটি করেও মাসে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। কাজটি মূলত অনলাইনের মাধ্যমে করতে হয়। আপনি ঘরে বসে ডিজাইন তৈরি করে টাকা আয় করতে পারবেন। কাজটি করার জন্য দক্ষতার প্রয়োজন হবে। কারণ বিনা দক্ষতায় আপনাকে কেউ কাজ দিতে চাইবে না।
আর এই কাজটি শিখতে দুই সপ্তাহের মত সময় লাগবে। যদি আপনি কাজটি মনোযোগ দিয়ে শিখেন। এই কাজটি করার জন্য ফাইবার মার্কেটপ্লেস বেছে নিতে পারেন। এখানে আপনি খুবই সহজেই কাজ খুঁজে পাবেন। কাজটি শিক্ষার জন্য ইউটিউব ব্যবহার করতে পারেন। ইউটিউবে এই কাজের অনেক ভিডিও খুজে পাবেন।
৩। ব্যানার ডিজাইনঃ আমরা রাস্তাঘাটে বা বাড়ির আশেপাশে অনেক ধরনের ব্যানার দেখতে পাই। এই ধরনের ব্যানার কারা তৈরি করে জানেন কি। এই ব্যানার গুলো ডিজাইনাররা তৈরি করে থাকে। এই ব্যানার ডিজাইন করে আপনি মাসে ২০ হাজার টাকা আয় বা উপার্জন করতে পারবেন। শুধু প্রয়োজন কম্পিউটার ও ইন্টারনেট কানেকশন। তাহলেই বসে থেকে ডিজাইন করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। কিন্তু কথা হচ্ছে কাজটি কোথায় পাওয়া যায়।
এই কাজটি করার জন্য ফাইবার মার্কেটপ্লেস বা বা আপ ওয়ার্ক মার্কেটপ্লেস ছাড়াও আরো কিছু মার্কেটপ্লেস রয়েছে। আপনি এখান থেকে কাজ পাবেন। এই কাজটি করার জন্য দক্ষতার প্রয়োজন হয়। প্রথমে কাজটি আপনাকে শিখতে হবে আর এটি শিখার জন্য দুই সপ্তাহ থেকে তিন সপ্তাহ সময় লাগে। যদি খুব মনোযোগের সাথে সময় দিয়ে কাজটি শিখতে পারেন তাহলে এই সময় লাগবে। কাজটি শিখার জন্য বিভিন্ন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং কোর্স বা ইউটিউব এর মাধ্যমে শিখতে পারেন।
৪। ট্রি ফল্ট ডিজাইনঃ আপনারা অনেকেই এই ডিজাইন দেখে থাকবেন। এই ডিজাইনের বর্ণনা হচ্ছে ডিজাইনটি ছোট্ট একটি কাগজকে তিনটি ভাজে ভাঁজ করা থাকে। এই জন্য এটিকে ট্রি ফল্ট ডিজাইন বলে। এই কাজটি করার মাধ্যমে মাসে ২০ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় বা ইনকাম করতে পারবেন। এখন কথা হচ্ছে কাজটি কোথায় পাওয়া যাবে। এই কাজটি পাওয়ার জন্য মার্কেটপ্লেস গুলোতে খোঁজ করুন।
কোন মার্কেটপ্লেসগুলোতে খোঁজ করলে কাজটি পাবেন যেমন ফাইবার, আপ ওয়ার্ক বা 99 ডিজাইন এই মার্কেটপ্লেস গুলো কাজ দিয়ে থাকে। তবে কাজটি করার জন্য খুব একটা দক্ষতার প্রয়োজন না হলেও কাজটি করার মতো দক্ষতার প্রয়োজন। কাজটি মনোযোগ দিয়ে শিখলে ১৫ দিনের মত সময় লাগবে। আস্তে আস্তে কাজটি করার মাধ্যমে আরো দক্ষতা অর্জন করবেন। আর কাজটি শিখার জন্য বিভিন্ন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং কোর্স বা ইউটিউব এর সহযোগিতা নিতে পারেন।
৫। বিজনেস কার্ড ডিজাইনঃ আমরা অনেকেই বিজনেস কার্ড দেখেছি বা চিনেছি। মূলত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ছোট একটি কার্ড থাকে। যার মধ্যে ওই প্রতিষ্ঠানের সব ধরনের তথ্য দেওয়া থাকে। আপনাকে ওই কার্ডটি তৈরি করতে হবে প্রতিষ্ঠানটির জন্য তার বিনিময়ে তারা আপনাকে টাকা বা অর্থ দিবে। এই কাজ করেও মাসে ২০ হাজার টাকা আয় বা ইনকাম করতে পারবেন।
কাজটি শিখার জন্য খুব একটা বেশি সময় দিতে হয় না। সময় দিয়ে মনোযোগের মাধ্যমে ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই শেখা যায়। কাজটি শিখতে চাইলে বিভিন্ন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং কোর্স বা ইউটিউব এর মাধ্যমে শিখতে পারেন। তাই ঘরে বসে খুব সহজেই হাজার হাজার টাকা উপার্জন করুন।
৬ - ১০ উপায়ে মাসে ২০ হাজার টাকা আয়
ব্যবসায়ের মাধ্যমেও মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় খুঁজতে পারেন। যে ব্যবসায়ীগুলোতে খুব বেশি টাকা লাগবে না। মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার জন্য ১৫ হাজার টাকা ইনভেস্ট করুন। তাহলেই আপনি মাসে কাঙ্খিত অর্থটি উপার্জন করতে সক্ষম হবেন। ৬ থেকে ১০ এর মধ্যে পাঁচটি এমন ব্যবসায়ের নাম উল্লেখ করা হবে। যেগুলোর মাধ্যমে আপনি অনায়াসে হাজার হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
৬। টি স্টলঃ এই কাজটি অনেকেই করতে অনীহা পোষণ করবেন। কিন্তু কাজের ছোট বা বড় নেই। হালাল পথে উপার্জন করাটাই উত্তম আয়। তাই আপনি যদি চাকরি না করতে চান আর কম টাকা ইনভেস্ট করে মাসে ২০ হাজার টাকা উপার্জন করতে চান। তাহলে এই ব্যবসায়ীটি আপনার জন্য উপযোগী হবে। তাই বেকার বসে না থেকে এই কাজটিই আপনি করতে পারেন।
তবে যথাযথ স্থান নির্বাচিত করুন। যে স্থানে লোক জনের সমাগম বেশি আর তারা বেশি বেশি চা খায়। যেমন ধরেন কোনো মোড় বা বাজারে। এমন স্থানে দিবেন না যেখানে মানুষের সমাগম কম। তাই সঠিক স্থান নির্বাচিত করে মাসে হাজার হাজার টাকা উপার্জন করুন।
৭। কাপড়ের ব্যবসাঃ কাপড়ের ব্যবসা করে অনেকেই লাভবান হয়েছেন। তাই আপনিও যদি মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করতে চান তাহলে কাপড় ব্যবসায়ী হিসেবে যোগদান দিতে পারেন। এটি আপনার জন্য লাভবান হবে। কিছু টাকা ইনভেস্ট এর মাধ্যমে আপনি ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। যদিও এই ব্যবসায়টি করতে অনেকে অনীহা দেখাবেন। তবুও যদি কোনো কাজে না থাকে তাহলে বেকার না বসে থেকে কিছু টাকা ইনভেস্টের মাধ্যমে শুরু করে দিতে পারেন।
৮। হাঁস-মুরগি পালনঃ আপনি যদি একজন উদ্যোগতা হতে চান। তাহলে একটি খামারের মাধ্যমে মাসে ২০ হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন। তবে খামারের ব্যবসাই করার আগে সেই বিষয়টি সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান অর্জন করুন।
তারপরে সঠিক স্থান নির্বাচনের মাধ্যমে কিছু টাকা ইনভেস্ট করুন। অবশ্যই একটি কথা মাথায় রাখবেন প্রথমের দিকে বেশি টাকা ইনভেস্ট করবেন না। কারণ খামারের ব্যবসায়ীতে ঝুঁকি থাকে আর যদি আপনি অন অভিজ্ঞ হন। তাহলে এই ঝুঁকিটি আরো বেড়ে যায়। তাই কম টাকা ইনভেস্ট করে আস্তে আস্তে নিজের দক্ষতা বাড়িয়ে তুলুন। তারপরে বেশি টাকা ইনভেস্ট করতে পারেন।
৯। ছাত্র-ছাত্রী পড়ানোঃ ছাত্র-ছাত্রী পড়ানোর মাধ্যমেও মাসে ২০ হাজার টাকা উপার্জন করা যায়। শুনে অবাক হলেও কথাটি সত্য। আপনার আশেপাশে এমন অনেক শিক্ষক রয়েছে যারা ছাত্র ছাত্রীর পড়ানোর মাধ্যমে মাসে ২০ হাজার টাকার অধিক ইনকাম করে। এভাবে উপার্জন করার জন্য কোনো ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না। শুধু জ্ঞান ও দক্ষতার প্রয়োজন হয়। আপনার যদি পড়ানোর অভিজ্ঞতা বা জ্ঞান থাকে তাহলে ছাত্রছাত্রী পড়ানোর মাধ্যমে উপার্জন করতে পারবেন। তাই আজ থেকেই শিক্ষাদান কর্মসূচি শুরু করে দিন।
১০। ডেলিভারি ম্যানঃ ডেলিভারি ম্যান হিসেবে যেকোনো প্রতিষ্ঠানের যোগদান দিতে পারেন। যদিও একজন ডেলিভারি ম্যান এর ২০ হাজার টাকা উপার্জন করা কষ্ট হয়ে যায়। তবুও ডেলিভারি ম্যান হিসেবে যোগ দিয়ে এর আশেপাশে উপার্জন করতে পারেন। এখান থেকে উপার্জনের জন্য ইনভেস্টের প্রয়োজন হয় না।
আরো পড়ূনঃ ডিজিটাল বাংলাদেশ সম্পর্কে ১০ টি বাক্য
একটা সাইকেল বা বাইক থাকার মাধ্যমে এই কাজটি করতে পারেন। যদি আপনার বাইক বা সাইকেল না থাকে সে ক্ষেত্রে ইনভেস্টার প্রয়োজন হয়। তাই আপনি যদি মানুষকে সেবা দানের মাধ্যমে উপার্জন করতে চান। তাহলে আপনার জন্য এটি উত্তম মাধ্যম হবে। তাই নিজেকে বেকার থেকে উঠিয়ে টাকা উপার্জন করুন।
১১ - ১৫ উপায়ে মাসে ২০ হাজার টাকা আয়
অনলাইনে ইনকাম এর মাধ্যমে অনেকেই নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলেছে। নিজের বেকারত্ব কে ঘুচিয়ে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে। তাই আপনিও মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার মাধ্যমে বেকারত্ব কে গুটিয়ে নিতে পারেন। নিচে এমন কিছু উপায় সম্পর্কে জানানো হয়েছে যেগুলো আপনাকে উপার্জনের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে। সবাই যদি অনলাইনের মাধ্যমে হাজার হাজার টাকা উপার্জন করতে পারে তাহলে আপনি কেন পারবেন না। তাই এখনই বসে না থেকে এই মাধ্যমগুলো সম্পর্কে জেনে ইনকাম শুরু করে দিন।
১১। ব্লগিং করে আয়ঃ ব্লগিং কি জিনিস তাইতো ব্লগিং হচ্ছে কোন একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে লিখালিখি করে আয় করা। শুধু একটা ল্যাপটপ বা কম্পিউটার তার সাথে ইন্টারনেট কানেকশন থাকলেই আপনি ঘরে বসে থেকেই ব্লগিং করতে পারবেন।
ব্লগিং করার জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হয়। নির্ধারিত কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলেও লিখালিখি করার মত সৃজনশীল দক্ষতা থাকতে হবে। তাই আপনার যদি লিখালিখি করার মত সৃজনশীল দক্ষতা ও আগ্রহ থাকে তাহলে আজ থেকেই ব্লগিং শুরু করে দিতে পারেন। আর মাসে ব্লগিংয়ের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা আয় করতে পারেন।
১২। ইউটিউব এর মাধ্যমে আয়ঃ বর্তমান সময়ে আয় করার জনপ্রিয় একটি মাধ্যম হচ্ছে ইউটিউব। শুধু আয় করার দিক থেকেই না বিনোদনেরও একটি মাধ্যম হচ্ছে ইউটিউব। আপনি একজন কনটেন্ট ক্রিউটার হিসেবে ইউটিউব এ যোগদান দিতে পারেন। আপনি যদি মানুষের সামনে সুন্দর সুন্দর কথা বলতে পারেন বা মানুষকে এন্টারটেইন করতে পারেন।
তাহলে ট্রাভেল ব্লগার, ফুড ব্লগার, কুক ব্লগার ও টিচ ব্লগার ছাড়াও আরো অনেক সেক্টর রয়েছে ইউটিউবে। যে বিষয়গুলোতে কনটেন্ট ক্রিয়েট করে মাসে ২০ হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন। অনেকে আছে এর থেকেও বেশি ইনকাম করে থাকে। তাই নিজের প্রতিভা গুলোকে বিস্তারিত করার জন্য অনেকের মতো আপনিও ইউটিউব কে বেছে নিতে পারেন।
১৩। আর্টিকেল রাইটিংঃ এই কাজটি হচ্ছে বুদ্ধিদ্রিত্বিক বা সৃজনশীল ভিত্তিক কাজ যা করার জন্য আপনার যথেষ্ট জ্ঞান থাকতে হবে। আপনি যদি শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকে আর নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতাকে কাজে লাগানোর মাধ্যমে লিখতে পারেন। তাহলে এই কাজটি আপনার জন্য উপযোগী হবে এবং মাসে ২০ হাজার টাকা খুব সহজেই আয় করতে পারবেন।
এই কাজটি করার জন্য বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসকে ব্যবহার করতে পারেন। মার্কেটপ্লেসগুলোকে ব্যবহার বলতে সেখান থেকে কাজে নিতে পারেন। যেমন ফাইবার, আপ ওয়ার্ক, 99 ডিজাইন ও পিপল পার আওয়ার এর মত বড় বড় মার্কেটপ্লেসগুলো থেকে কাজে নিতে পারেন। এখানে বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের আর্টিকেল লিখার জন্য আর্টিকেল রাইটারের প্রয়োজন হয়। তাই আর দেরি না করে মার্কেটপ্লেসগুলোতে একাউন্ট খুলে আয় শুরু করে দিন।
১৪। ভিডিও এডিটিং থেকে আয়ঃ বর্তমানে যত জনপ্রিয় অনলাইন কাজ রয়েছে তাদের মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে ভিডিও এডিটিং। যার মাধ্যমে অনেক বেকার যুবক ঘরে বসে থেকে মাসে ২০ হাজার টাকার অধিক উপার্জন করছে। আপনিও যদি মাসে এত টাকা উপার্জন করতে চান তাও আবার ঘরে বসে। তাহলে একটি পিসি বা ল্যাপটপ সাথে ইন্টারনেট কানেকশন যোগ করে নিন।
অবশ্যই কাজটি করার জন্য দক্ষতার প্রয়োজন হবে। কারণ এই কাজে যার যত বেশি দক্ষতা তাকে তত বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়। তাই দক্ষতা অর্জন করার মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন ধরনের মার্কেটপ্লেসগুলো বা মার্কেটপ্লেস এর বাইরে থেকেও কাজগুলো নিতে পারেন। বর্তমান সময়ে একজন ভিডিও এডিটর কে অনেক প্রাধান্য দেওয়া হয়। তাই নিজের সময়কে অবচয় না করে ভিডিও এডিটর হিসেবে যোগ দিন।
১৫। ডাটা এন্ট্রিঃ যাদের অনলাইন সম্পর্কে কিছুটা ধারণা রয়েছে তারা হয়তো ডাটা এন্ট্রি নামটি শুনেছেন। ডাটা এন্ট্রি হচ্ছে কোনো একটি প্রতিষ্ঠানের ডাটা গুলোকে এন্ট্রি করা। এই কাজটি করার জন্য তেমন দক্ষতার প্রয়োজন হয় না। অনলাইনে যত সহজ কাজ রয়েছে তার মধ্যে এটি অন্যতম।
এই কাজটি করে মাসে খুব সহজেই ২০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। এই কাজটি করতে চাইলে মার্কেটপ্লেসগুলোতে খোঁজ করতে হবে। যেমন ফাইবার, আপ ওয়ার্ক, পিপল পার আওয়ার এর মত আরও অনেক মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেগুলোতে কাজ দেওয়া হয়।
১৬ - ২০ উপায়ে মাসে ২০ হাজার টাকা আয়
পৃথিবীর প্রায় সকল মানুষেরই টাকা উপার্জনের প্রতি বা টাকার উপর আলাদা একটা চাহিদা রয়েছে। এই টাকাটা যদি উপার্জন হয় ঘরে বসে থেকে তাহলে কেমন হবে। নিশ্চয়ই ভালো হবে তাই তো অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসে থেকে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। তাইতো ১৬ থেকে ২০ এর মধ্যে যে পাঁচটি উপায় থাকবে সেগুলোর মধ্যে থেকে যেকোনো একটি বাছাই করুন। আর বাছাইকৃত উপায়টি থেকে মাসে টাকা আয় করুন।
১৬। ভাষার অনুবাদকঃ এই কাজটি অনেকের জন্যই কঠিন হতে পারে। কারণ আমরা অনেকেই একটি থেকে দুইটির বেশি ভাষা জানিনা বা অনুবাদ করতে পারি না। তাই তো এই কাজটি শুধুমাত্র তাদের জন্য যারা ভাষা অনুবাদ করতে পারে। মানে বাংলা থেকে ইংলিশ বা ইংলিশ থেকে উর্দু এর ভাষা অনুবাদক।
এই কাজটির জন্য ধরনের প্রতিষ্ঠান তাদের ভাষা অনুবাদকের জন্য একজন ব্যক্তির প্রয়োজন হয়। এইজন্য তারা অনলাইনে এসে এই রকম ব্যক্তি খুঁজে যারা ভাষা অনুবাদ করতে পারে। তাই আপনিও বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস এর মাধ্যমে ভাষা অনুবাদক হিসেবে কাজ নিতে পারেন। এই কাজটির মাধ্যমে ঘরে বসে থেকেই ২০ হাজার টাকা ও তার অধিকার ইনকাম করতে পারবেন।
১৭। ফটো এডিটিংঃ বর্তমান সময়ে মার্কেটপ্লেসগুলোতে যত ধরনের কাজ পাওয়া যায়। তাদের মধ্যে যে কাজগুলো বেশি উন্নত তার মধ্যে রয়েছে ফটো এডিটিং। অনেকেই এই কাজটি করে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় বা ইনকাম করে থাকে।
তারা বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসগুলোতে তাদের কাজের দক্ষতা বা পোর্টফোলিও প্রকাশ করে। আর সেই পোর্টফোলিও দেখে অনেকেই তাদেরকে কাজ দিয়ে থাকে। আপনিও যদি ফটো এডিটর হিসেবে মার্কেটগুলোতে কাজ করতে চান। তাহলে সেই কাজের সম্পর্কে পোর্টফোলিও তৈরি করুন। যদি এই কাজের প্রতি আপনার আগ্রহ থাকে।
১৮। লিড জেনারেশনঃ এই কাজের মাধ্যমে খুব সহজেই মাসে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করা যাবে। জেনারেশন কাজ হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করা। এই তথ্য উপাত্ত গুলো সংগ্রহ করতে হয় প্রতিষ্ঠানের জন্য। যে প্রতিষ্ঠানটি আপনাকে এই কাজের জন্য টাকা দিয়ে থাকবে।
এই কাজটি করার জন্য মার্কেটপ্লেস গুলোতে নিজের পোর্টফোলিও তৈরি করতে হয়। সবচেয়ে উত্তম মার্কেটপ্লেস গুলোর মধ্যে হচ্ছে আপ ওয়ার্ক, ফাইবার ও পিপল পার আওয়ার। তাই সময় নষ্ট না করে বিভিন্ন কোম্পানির হয়ে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে টাকা আয় করুন।
১৯। ফেসবুক পেজঃ ফেসবুক পেজের মাধ্যমে আয় করতে পারেন। আমরা তো অনেকেই বসে থেকে ফেসবুকে অনেক সময় দেই। এখন সেই সময়টাকে কাজে লাগিয়ে ফেসবুকের মাধ্যমে আয় করতে পারেন। একটি ফেসবুক পেজ খুলে নিন।
তারপরে সেখানে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষনীয় বা বিনোদনমূলক ভিডিও পাবলিশ করুন। আবার আপনি চাইলে ফেসবুক পেজের মাধ্যমে ব্যবসার প্রতিষ্ঠানও খুলতে পারেন। মানে একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান খুলে সেটিকে পেজের মাধ্যমে গড়ে তুলুন। এইভাবে করে মাসে খুব সহজেই ২০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।
২০। অনলাইনে টিচিংঃ অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষা প্রদান করে মাসে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত উপার্জন সম্ভব। আপনি ইউটিউবে একটি চ্যানেল খুলুন তারপরে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষনীয় ভিডিও বানিয়ে সেখানে আপলোড করুন। আবার অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে উপার্জন সম্ভব। তাই বেকারত্বকে পিছনে রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য অনলাইনে শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে উপার্জন করুন। শুধু প্রয়োজন হবে একটি কম্পিউটার ও ইন্টারনেট কানেকশন।
অনলাইন থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করার টিপস
আমরা এতক্ষণ ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে অনেক কিছু জেনেছি। কিন্তু এই আয় করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপসের প্রয়োজন হয়। সেই টিপসগুলো তুলে ধরা হবে।
- আয় করার জন্য যে উপায়টি বেছে নিয়েছেন সেটির উপর স্থির থাকুন।
- আয় করার জন্য প্রয়োজন দক্ষতা অর্জন ও কঠোর পরিশ্রম।
- যেই কাজটি শিখছেন বা করছেন সেই কাজটির উপরেই নিজের ফোকাস ঠিক রাখতে হবে।
- আজকে একটা কাজ শিখলেন ভালো লাগলো না তার পরে আরেকটি কাজ শিখলেন এইরকম করা যাবে না।
- যে কোনো কাজের প্রতি সময় দিন ও হতাশ হওয়া যাবে না। লক্ষ্য স্থির রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
- কাজ শেখার সময় কখনই টাকার চিন্তা করা যাবে না। আপনার কাজ যদি ভালো হয় টাকা এমনি আপনার কাছে ছুটে আসবে।
- যে কাজটি করছেন বা শিখছেন সেই কাজটি সম্পর্কে বেশি বেশি রিসার্চ করুন।
- যে কাজটি করছেন সেই কাজের প্রতি মনোযোগ রাখার পাশাপাশি নির্দিষ্ট রুটিন তৈরি করুন। যে এই কাজটিতে এর থেকে অধিক সময় দিবো।
- অবশ্যই যে কাজটি করছেন বা শিখছেন নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত হতাশ হওয়া যাবে না। কিন্তু যদি সেই কাজটির প্রতি আপনার মনোযোগ না থাকে তাহলে সেই কাজের সফলতা পাওয়া খুবই কঠিন।
অনলাইনে মাসে ২০ হাজার টাকার অধিক আয় করা যায়
আপনি অনলাইনের মাধ্যমে মাসে ২০ হাজার টাকার অধিক আয় করতে পারবেন। তবে সেই কাজের প্রতি আপনার দক্ষতা দিন দিন বাড়িয়ে তুলতে হবে। উপরে যে উপায়গুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। তার সবগুলোতেই আপনি মাসে ২০ হাজার টাকার অধিক উপার্জন করতে পারবেন। তবে সেটি একদিন বা দুই দিনের সম্ভব নয়। তার জন্য প্রয়োজন কঠোর পরিশ্রম ও ধৈর্য। ধৈর্য ছাড়া কোন জিনিসেই সফলতা পাওয়া সম্ভব না। তাহলেই অনলাইনের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকার অধিক আয় করতে পারবেন।
শেষ কথাঃ প্রিয় পাঠক আশা করা যায় মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় গুলো জেনে উপকৃত হয়েছেন। সত্যি যদি এই উপায় গুলো জানার পরে আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে আপনার বন্ধুদেরও এই বিষয়টি সম্পর্কে পড়ার জন্য বলুন। যেন তারাও এই উপায় গুলো পড়ে উপকৃত হতে পারে। পুরো তথ্যটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
এসএইচ নিউজস্টোরের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url