কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট খুলব তার সম্পর্কে জেনে নিন
কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট খুলব অথবা অনেকে হয়তো একাউন্ট খোলার জন্য চেষ্টাও করেছেন। কিন্তু যতবার চেষ্টা করেছেন ব্যর্থতার সম্মুখীন হতে হয়েছে। আর কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট খুলব বিষয়টি নিয়ে খুবই চিন্তিত রয়েছেন। এখানে চিন্তার কোন কারণ নেই। পুরো আর্টিকেল পড়লে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট খোলা যাবে তার সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাই আর দেরি না করে এখনই পুরো আর্টিকেল পড়ার মাধ্যমে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট খুলব তার সম্পর্কে জেনে নিন।
আমরা অনেকে অনলাইনের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে চাই। কিন্তু একটি জায়গায় বারবার বাধার সম্মুখীন হতে হয়। সেই জায়গায় অনেকের প্রশ্ন থাকে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট খুলব? এই বিষয়ের কোন সমাধান রয়েছে। অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট খোলার বিষয়ে সমাধান বিদ্যমান রয়েছে। এর জন্য পুরো আর্টিকেল পড়ে জেনে নিন।
পোস্টসূচিপত্রঃ
ফ্রিল্যান্সিং কাকে বলে
ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে মুক্ত পেশা। যেই পেশাতে অন্য কারো হস্তক্ষেপ নেই। এখানে নিজেই নিজ কাজের মালিক এটা কোনো চাকরি যুক্ত কাজ নয়। এই কাজে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে। তবে এটা কোন ব্যবসায়ও নয়। এর কাজ হচ্ছে ঘরে বসে থেকে কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা মোবাইলের মাধ্যমে ইন্টারনেট কানেকশন জুড়ে দিয়ে কাজ করা। কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য অনেকেই জানতে চাই কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট খুলব এবং খুলে সেখানে কাজ করা যাবে। চলেন সেই বিষয়েও জেনে আসা যাক।
এজন্য এটাকে অনলাইন কাজও বলা হয়ে থাকে। কারণ এই কাজে কোন শারীরিক পরিশ্রম করতে হয় না। শুধু মেধা ও মানসিক শক্তির প্রয়োজন হয়। ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে ঘরে বসে থেকে অনেক শিক্ষার্থী বা প্রাপ্তবয়স্ক-অপ্রাপ্তবয়স্ক সকলেই লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে। শুধু প্রয়োজন নিজের মানসিক দৃঢ়শক্তি সফল হওয়ার মনের চাহিদা ও চেষ্টা।
আর কাজের জন্য দরকার হবে ফ্রিল্যান্সিং একাউন্টের এবং ওই একাউন্টের মধ্যে থাকা যেকোনো একটি কাজের উপরে নিজের দক্ষতা অর্জন করা। এই পদ্ধতি অবলম্বন করার মাধ্যমে অনেক বেকার মানুষ আজ নিজের উপার্জনের পথ খুঁজে পেয়েছে। অনেক মানুষ আছে যারা চাকরি ছেড়ে দিয়ে ফ্রিল্যান্সিংকে বেছে নিয়েছে।
এর একটাই কারণ তা হচ্ছে সে স্বাধীন ভাবে কাজ করার মাধ্যমে বেঁচে থাকতে চাই। সে ব্যক্তি স্বাধীন ভাবে বেঁচে থেকে স্বাধীন অর্থ উপার্জন করতে চাই। চাকরির মত নিয়ম-শৃংখল বিধি-নিষেধ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য ফ্রিল্যান্সিং এর পথকে বেছে নিতে পারেন।
এখানে বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে যেই সেক্টরের যেই কাজ ভালো লাগে সেই কাজটি আপনি করতে পারবেন। তাই যদি যুক্ত পেশা থেকে বের হতে চান বা বেকারত্ব কে পিছনে ফেলে এগিয়ে যেতে চান তাহলে ফ্রিল্যান্সিং কে পেশা হিসেবে বেছে নিতে পারেন। আর এই জন্য একটি ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট খুলে কাজ শুরু করে দিন।
কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট খুলব
আমাদের সকলেরই কাজ করার জন্য ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট খোলার প্রয়োজন পড়ে। সাধারণত আমরা অনেকেই জানিনা কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট খুলব কিন্তু এ বিষয় নিয়ে চিন্তা করবেন না। আজকে কিভাবে একটি ফ্রিল্যান্সিং অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।
তাই আমরা আজকে শুধু মাত্র ফ্রিল্যান্সার মার্কেটপ্লেস এর একাউন্ট খোলা শিখবো। যে মার্কেটপ্লেস এ আপনি কাজ করে খুব সহজেই টাকা উপার্জন করতে পারবেন। যাই হোক চলেন জেনে আসি কিভাবে একটি ফ্রিল্যান্সার একাউন্ট খোলা যায়।
১। সর্বপ্রথম গুগল এ গিয়ে সার্চ করুন ফ্রিল্যান্সার ডটকম। তারপরে প্রথমে না হলে দ্বিতীয়তেই আপনার চোখের সামনে ভেসে উঠবে ফ্রিল্যান্সারের ওয়েবসাইট সেখানে ক্লিক করুন।
২। তারপরে উপরে দুইটি অপশন দেওয়া থাকবে একটি হচ্ছে লগইন এবং অপরটি হচ্ছে সাইন আপ এর মধ্যে থেকে একাউন্ট খোলার জন্য সাইন আপে ক্লিক করুন। আবার নিচে দেওয়া দুইটি অপশনের মধ্যে থেকে আর্ন মানি ফ্রিল্যান্সিং এ ক্লিক করতে পারেন। দুটির মধ্যে একটি অপশন বেছে নিলেই হবে।
৩। এরপরে একাউন্ট খোলার জন্য দুটি অপশন থাকে। প্রথমটি হচ্ছে জিমেইল এবং অপরটি হচ্ছে ফেসবুক যেকোনো একটির মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সারে একাউন্ট খুলতে পারবেন। যদি জিমেইল দিয়ে মাধ্যমে খুলতে চান। তাহলে কন্টিনিউ উইথ গুগল ক্লিক করুন।৪। এরপরে সামনে এমন একটি ইন্টারফেস দেখাবে। সেখানে যেই জিমেইলটি দিয়ে আপনি ফ্রিল্যান্সার এ একাউন্ট খুলতে চান ওই জিমেইলে ক্লিক করুন। তারপরে ইন্টারফেস এ দেখানো এমন একটি অপশন আসবে সেখানে কনফার্ম এ ক্লিক করুন।
৫। এরপরে জয়েন ফ্রিল্যান্সার নামক অপশনটি দেখাবে সেইখানে আরও একটি অপশন রয়েছে যেখানে ক্লিক করতে হবে। সেটা হচ্ছে আই এগ্রি টু দা ফ্রিল্যান্সার তার পাশে যে চার কোনা ফাঁকা ঘর রয়েছে সেখানে চাপ দিন। এরপরে জয়েন ফ্রিল্যান্সারে ক্লিক করুন।
৭। তারপরে দুইটি অপশন দেখাবে প্রথমটি হচ্ছে আই ওয়ান্ট টু ওয়ার্ক এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে আই ওয়ান্ট টু হায়ার। আপনি আই ওয়ান্ট টু ওয়ার্ক এ ক্লিক করবেন। তারপরে কিছুক্ষণ সময় নিবে।
৯। যে ক্যাটাগরিতে ক্লিক করেছেন তার বিষয়ে যে সকল স্ক্রিল রয়েছে সেগুলোর ভিতর থেকে যেগুলোতে কাজ করতে চান সেগুলো সিলেক্ট করুন। তারপরে নেক্সট বাটনে চাপ দিন।
১০। তারপরে নিচে দেখানো ইন্টারফেস অনুযায়ী যদি কোনো কিছু ইমপোর্ট করতে চান তাহলে করতে পারেন। আর না হলে স্কিপ করুন।
১৩। এরপর আপনি কোন ভাষায় কথা বলেন সেটি দিন এবং আপনার জন্ম সাল, মাস ও তারিখ দিন এরপরে নেক্সট বাটনে চাপ দিন।
১৪। সবশেষে অপশনটি হচ্ছে যদি আপনার পেমেন্ট মেথড যদি থাকে তাহলে ভেরিফাই করুন। আর না হলে স্কিপ বাটনে ক্লিক করুন।
ফ্রিল্যান্সার মার্কেটপ্লেস এ কি কি কাজ করা যায়
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস একাউন্টে অনেক ধরনের কাজ পাওয়া যায়। সেই কাজগুলোর মাধ্যমে যথাযথ ইনকাম করতে পারবেন। এরমধ্যে কিছু কাজ রয়েছে যেগুলো খুবই সহজ আবার কিছু কাজ রয়েছে খুবই কঠিন। তবে নিজের সমর্থ্য দিয়ে শিখতে পারলে সব কাজই সহজ মনে হবে। তাই আসুন জেনে নেই ফ্রিল্যান্সার মার্কেটপ্লেসে কি কি কাজ পাওয়া যাবে।
আরো পড়ূনঃ আসল ভিটমেট ডাউনলোড করব কিভাবে জেনে নিন
- লোগো ডিজাইন
- বিজনেস কার্ড ডিজাইন
- ফ্লায়ার ডিজাইন
- ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
- মেনু ডিজাইন
- আর্টিকেল রাইটিং
- ডিজিটাল মার্কেটিং
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
ফ্রিল্যান্সার একাউন্টে এছাড়াও আরো অনেক ধরনের কাজ পাওয়া যায়। এটি আপনি ফ্রিল্যান্সার একাউন্টে ঢুকলে বা কাজ শুরু করার মাধ্যমেই আস্তে আস্তে জানতে পারবেন। তাই প্রথমে এই কাজগুলোর মাধ্যমে শুরু করে দিতে পারেন। এই কাজগুলো দ্বারা অনেকে আয় বা উপার্জন করছে।
কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখবো
আপনার যদি কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা মোবাইল ফোন থাকে তাহলে খুব সহজেই ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন। এটি শিখতে কঠোর পরিশ্রম ও ধৈর্যের প্রয়োজন হয়। শুধু তাই নয় পাশাপাশি ক্রিটিভিটি ও সৃজনশীল শক্তি থাকতে হবে। আপনি যত নিজেকে ক্রিটিভিটি হিসেবে প্রস্তুত করতে পারবেন।
আর নিজের কাজকে সময়ের সাথে সাথে উন্নত করতে পারবেন ততই আপনার কাজের দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে। এখন অনেকেই বলবেন যে নিজের ক্রিটিভিটি ও দক্ষতাকে বাড়াতে হলে গাইড লাইনের প্রয়োজন হবে। আর গাইড লাইন হিসেবে যে মাধ্যমকে বেছে নিতে পারেন তা হচ্ছে ইউটিউব। ইউটিউবে শিখতে গেলে কিছু বিষয়ে সমস্যা হতে পারে।
তবে বিভিন্ন ধরনের ইউটিউবে ভিডিও দেখেন সেখান থেকে যেটা বুঝতে পারছেন সেটা নিন। যেটা বুঝতে পারছেন না সেটা আবার অন্য কারো ভিডিও দেখার মাধ্যমে বুঝে নেন। একজনের ভিডিও দেখার মাধ্যমে আপনাকে কাজ শিখতে হবে এমনটি নয়। বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণকারী গণের ভিডিও দেখে জ্ঞান আহরণ করতে পারেন।
বোঝার চেষ্টা করুন তারা কিভাবে কাজ করছে এবং কোন ধাপগুলো অনুসরণ করে টাকা উপার্জন করছে। আবার যদি মনে হয় যে ইউটিউব দেখে শিখব না। সরাসরি ভাবে কারো কাছে থেকে গাইড লাইন নিবো। তাহলে বিভিন্ন ধরনের অফলাইনে অনলাইন কোর্স পাওয়া যায়।
সেই কোর্সগুলো কমপ্লিট করে নিতে পারেন। তবুও কোর্স থেকে শেখার পাশাপাশি নিজে থেকেও কিছুটা শেখার চেষ্টা করতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে কখনো হতাশ হওয়া যাবে না। শেষ পর্যন্ত কঠোর পরিশ্রম ও ধৈর্য দুটোই থাকতে হবে। তাহলেই সফলতার দিকে একটু একটু করে ধাবিত হবে।
ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কোন কোন বিষয় সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ
ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলো গুরুত্বের সাথে দেখা উচিত। কারণ এই বিষয়গুলো এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি যদি বিষয়গুলোর বিচার-বিশ্লেষণ করে সেই অনুযায়ী এগিয়ে যেতে পারেন। তাহলে ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে প্রচুর টাকা উপার্জন করতে পারবেন। যেকোনো কাজ শুরু করার আগে সে বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যে কাজটি আপনি শিখতে যাবেন বা শুরু করতে যাবেন সেই কাজটি কেমন বা কাজটি কিভাবে শেখা যায়। এই কাজ করে কি আগামীতে টাকা উপার্জন করা যাবে কিনা। এই কাজের তেমন কোনো ভবিষ্যৎ আছে কিনা। এই সকল বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বস্তু আছে যেগুলো ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য প্রয়োজন।
- প্রথমে নির্ধারণ বা সিলেক্ট করতে হবে কোন ক্যাটাগরির উপরে কাজ করতে চান।
- তারপরে নির্ধারিত ক্যাটাগরির উপরে বিচার-বিশ্লেষণ করে বের করতে হবে যে এই কাজটি শিখে মাসে কত টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা যায়। আবার কিছুটা দূরদর্শী হতে হবে।
- এর পরে সেই কাজটি করার জন্য আগ্রহ থাকতে হবে। যথাযথ সময় দিতে হবে ও ধৈর্য ধারণ করতে হবে।
- সঠিক গাইড লাইন অনুসরণ করার মাধ্যমে কাজটি শিখতে হবে।
- কাজটি শেখার শুরুর দিকে টাকার কথা চিন্তা করা যাবে না। তাহলেই হতাশ হয়ে যাবেন। আপনি আপনার মত পরিশ্রম করার মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন।
- সবসময়ই স্মার্টলি কাজ করার চেষ্টা করুন। এমন ভাবে ধাপ বা পদক্ষেপ ফেলবেন যেই ধাপগুলো সূক্ষ্ম হয়। জেনো এই ধাপগুলোর মাধ্যমে আপনি সামনের দিকে খুব সহজেই এগিয়ে যেতে পারেন।
- যেই স্ক্রিলটি শিখছেন সেটার উপরে বেশি বেশি রিসার্চ করুন। নিজের মধ্যে ক্রিয়েটিভিটি ও সৃজনশীলতা বাড়িয়ে তোলার চেষ্টা করুন।
- আর একটি কথা মনে রাখবেন সবাই পারলে আপনি কেন পারবেন না। সেও একজন মানুষ আপনিও একজন মানুষ। তাই কঠোর পরিশ্রম ও ধৈর্যের সাথে কাজ করতে থাকুন।
- ফ্রিল্যান্সিং এ কাজ করতে হলে কিছুটা ইংরেজি জানতে হবে। যত বেশি ইংরেজিতে কথা বলতে পারবেন তত আপনার জন্য ভালো।
ফ্রিল্যান্সিং নাকি চাকরিতে বেশি ইনকাম
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এ কিছু ইস্কেলের কাজ রয়েছে যেগুলো কিছু চাকরি থেকে বেশি ইনকাম করা যায়। তবে চাকরির থেকে ফ্রিল্যান্সিং এর বেশি ইনকাম করতে চাইলে যথেষ্ট পরিমাণে দক্ষতার প্রয়োজন হয়। তবুও অনেকেই চাকরি থেকে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করতে বেশি ছচ্ছন্দ বোধ করে। এর কারণ হচ্ছে চাকরিজীবীদের কঠোর পরিশ্রম করতে হয়।
কিন্তু অনেক চাকরিজীবী কঠোর পরিশ্রম করার পরেও যথাযথ বেতন পায় না। তাইতো অনেক চাকরিজীবী চাকরি ছেড়ে দিয়ে ফ্রিল্যান্সিংকে পেশা হিসেবে বেছে নিচ্ছে। এখন তারা স্বাধীনভাবে জীবন যাপন করার পাশাপাশি যথেষ্ট পরিমাণে টাকা উপার্জন করছে।
তাই তো আপনি যদি স্বাধীন পেশায় নিয়োজিত থাকতে চান তাহলে ফ্রিল্যান্সিং আপনার জন্য ভালো হবে। তবে কিছু কিছু ফ্রিল্যান্সার রয়েছে যারা মাসে লক্ষ লক্ষ টাকারও বেশি ইনকাম করছে। তাই যদি বাধা শিকল নিয়ম এর মধ্যে চলে বিরক্ত হয়ে যান। আর ভালো লাগছে না তেমন ইনকাম হচ্ছে না। তাহলে ফ্রিল্যান্সিং আপনার জন্য উপযুক্ত ইনকাম সোর্স হবে।
ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য ল্যাপটপ নাকি ডেক্সটপ
ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কোন ইলেকট্রিক যন্ত্রটি ভালো হবে ল্যাপটপ নাকি ডেক্সটপ। এই প্রশ্নটি অনেক নতুন ফ্রিল্যান্সারদের মাথায় ঘুরাঘুরি করে। কেউ মনে করে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য ল্যাপটপ ভালো হবে আবার অনেকেই মনে করে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কম্পিউটার ভালো হবে। কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য দুইটি ইলেকট্রনিক যন্ত্র ভালো হবে।
তবে ইলেকট্রিক যন্ত্রটি নেওয়ার আগে তার কন্ডিশন ও কোয়ালিটি দেখে নিবেন। কারণ ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য একটু ভালো না হলে কাজ করতে ভাল লাগবে না। যেই ইলেকট্রিক যন্ত্রটি নেন না কেন তা যথাযথ বিচার বিশ্লেষণ করে নিবেন। তাই আপনার যেটি পছন্দ হয় সেটা হোক ল্যাপটপ বা কম্পিউটার কিনে ফেলুন। এটির সাথে ফ্রিল্যান্সিং কাজের তেমন কোন সম্পর্ক নেই। আপনার দক্ষতা ও সৃজনশীলতার সাথে কাজের সম্পর্ক রয়েছে।
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে অনেক ধরনের কাজ রয়েছে। কিন্তু সবাই সবগুলো কাজের উপরে দক্ষতা অর্জন করতে পারে না। তাকে নির্ধারিত কোনো কাজের উপরে দক্ষতা অর্জন করতে হয়। আপনি কোন কাজের উপরে দক্ষতা অর্জন করতে চান সেটি নিয়ে দ্বিধায় ভুগছেন।
তাহলে আমি বলব দ্বিধায় না ভুগে বা চিন্তা না করে। একবার ভাবুন কোন কাজটি করতে ভালোবাসেন। কারণ যেই কাজটি শিখবেন। যে কাজটি শিখছেন সেটি থেকে ভালো না বাসতে পারেন। তাহলে সেই কাজ থেকে টাকা বা অর্থ উপার্জন করা প্রায় অসম্ভব। তাই আপনাদের সুবিধার্থে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের কিছু কাজ সমূহ উল্লেখ করা হয়েছে।
- ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
- ডিজিটাল মার্কেটিং
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
- সিপিএ মার্কেটিং
- লোগো ডিজাইন
- ভেক্টর ডিজাইন
- ওয়ার্ডপ্রেস
- কোডিং
- ভাষা ট্রান্সলেশন
- আর্টিকেল রাইটিং
- থ্রিডি অ্যানিমেশন
- বিজনেস কার্ড ডিজাইন
- মেনু ডিজাইন
- আইকন ডিজাইন
- ক্যাটালগ ডিজাইন
- ভয়েস ওভার
- ড্রপ শিপিং
- সোশ্যাল মিডিয়াম মার্কেটিং
ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে সহজ কাজ কোনটি
আপনি কি জানেন ফ্রিল্যান্সিংয়ের সবচেয়ে কোন কাজটি সহজ। ওই সহজ কাজ করে কি যথেষ্ট পরিমাণে টাকা ইনকাম করা যাবে কিনা। নাকি শুধু অযথা পরিশ্রম করে যেতে হবে। আসলে সহজ কাজের ডিমান্ড একটু কম হয় আবার সহজ কাজগুলোতে প্রতিযোগিতার হার অনেক বেশি।
তবুও কিছু সহজ কাজ রয়েছে যেগুলো ডিমান্ড অনেক বেশি এবং প্রতিযোগিতাও বেশি। কিন্তু নতুনদের জন্য সহজ কাজ বেশি উপযোগী। অল্প সময়ে কাজ শিখা যায় এবং ইনকাম করা যায়। এতে করে কাজের প্রতি আগ্রহটা বজায় থাকে। তাই ফ্রিল্যান্সিংয়ের সবচেয়ে সহজ কাজ কোনটি বা কোনগুলো তা জেনে নিন।
- পোস্টার ডিজাইন
- ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভল
- বিজনেস কার্ড ডিজাইন
- ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ
- ব্রুসার ডিজাইন
- ট্রি ফোল্ড ডিজাইন
- ইনফোগ্রাফিক ডিজাইন
- ইমেজ এডিটিং
ফ্রিল্যান্সিং করে কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে
ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার মাধ্যমে অনেক ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়। যেই সুযোগ-সুবিধা গুলো চাকরিজীবীরা পায় না। তাই ফ্রিল্যান্সিং এ কি কি সুবিধা রয়েছে তা জেনে নিন।
- সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে স্বাধীনভাবে কাজ করা।
- যেকোনো কাজের বিনিময়ে যথাযথ অর্থ উপার্জন করা।
- ঠিক সময় মত টাকা পাওয়া যায়।
- টাকা নিয়ে কোন ঝামেলা করতে হয় না।
- শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা চলাকালীন কাজ করতে পারবে।
- যত কাজ করবেন তত টাকা পাবেন।
- বাইরের মানুষদের সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ।
ফ্রিল্যান্সিং করার মধ্যে কোন অসুবিধা আছে
ফ্রিল্যান্সিং করার সুবিধা তো আছে আবার কিছু অসুবিধা রয়েছে। সেই অসুবিধা গুলোকে মানিয়ে নিয়ে কাজ করতে হবে। যারা অনলাইনে কাজ করে তাদের প্রায় সকলেরই এই সমস্যাগুলো সম্মুখীন করতে হয়। তাহলে ফ্রিল্যান্সিং করার মধ্যে কোন অসুবিধা গুলো রয়েছে। যা থেকে কিছুটা সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
- অতিরিক্ত রাত জাগতে হয়।
- রাত জাগার কারণে শারীরিকভাবে অনেক ক্ষতি হতে পারে।
- বেশি সময় কম্পিউটার বা ল্যাপটপের ব্রাইটনেস এর দিকে তাকিয়ে থাকার কারণে চোখের সমস্যা হতে পারে।
- অধিক সময় বসে থাকার কারণে মাজায় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়।
- অধিক সময় কম্পিউটারে তাকিয়ে থাকার কারণে মানসিক ভাবে কিছুটা সমস্যা হতে পারে।
ফ্রিল্যান্সিং কারার মার্কেটপ্লেস এর নাম
আমরা যারা ফ্রিল্যান্সিং হিসেবে যুক্ত হতে বা শুরু করতে চাই। তাদের মার্কেটপ্লেস গুলোর সাথে পরিচয় হয়ে নেওয়া প্রয়োজন। কারণ ফ্রিল্যান্সিং এ কাজ করার জন্য মার্কেটপ্লেস এর প্রয়োজন হবে। মার্কেটপ্লেস গুলো ছাড়া কাজ পাওয়া প্রায় অসম্ভব।
তাইতো এমন কিছু মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেগুলো থেকে সেলাররা ঘরে বসে থেকে টাকা উপার্জন করছে। তাই যদি ফ্রিল্যান্সিং করতে চান তাহলে অবশ্যই মার্কেটপ্লেসগুলো সম্পর্কে জানতে হবে এবং সেই মার্কেটপ্লেসগুলোতে কিভাবে কাজ করতে হয় তাও জানতে হবে। কিন্তু আজকে ফ্রিল্যান্সিং করার মার্কেটপ্লেস এর নাম গুলো জানিয়ে দিবো।
- ফাইবার
- পিপুল পার আওয়ার
- 99 ডিজাইনস
- আপ ওয়ার্ক
- গুরু
- ফ্রিল্যান্সার ডটকম
উপসংহার
পরিশেষে বলা যায়, আমরা সকলেই ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট খুলে করে টাকা উপার্জন করতে চাই। কিন্তু দেখা যায় ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট খুলে কাজে না পেয়ে হতাশ হয়ে যায়। আপনি আপনার চেষ্টাটা চালিয়ে যান। সফলতা তো একদিনে আসবে না এটি আসার জন্য সময় দিতে হবে।
ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট খোলার পরে যে স্কিলটি শিখছেন। তার উপরে অভিজ্ঞতা অর্জন করুন। যাতে করে যখনই কাজ পান না কেন সেই কাজ দেখে বায়ার যেন খুশি হয়ে যায়। তাহলে পরবর্তী কাজ পাওয়ার আশা বজায় থাকবে। এজন্য কঠোর পরিশ্রম ও হার্ডওয়ার সফলতার চাবিকাঠি।
শেষ কথাঃ প্রিয় পাঠক ইতিমধ্যে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট খুলব সেই বিষয় এর সাথে আরও কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলো জেনে নিয়েছেন। এই বিষয়বস্তুগুলো জানার মধ্যে দিয়ে আপনারা যদি উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে আপনার বন্ধুদের ফ্রিল্যান্সিং এর একাউন্ট খোলার বিষয়টি জানিয়ে দিন। যাতে করে তারাও এই বিষয়গুলো জেনে উপকৃত হতে পারে। পুরো তথ্যটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
এসএইচ নিউজস্টোরের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url