স্টুডেন্ট অনলাইন ইনকাম করার ১৫টি সেরা উপায়
আপনি একজন স্টুডেন্ট অনলাইন ইনকাম করতে চান কিন্তু ইনকামের উপায় খুঁজে পাচ্ছেন না। চিন্তার কোন কারণ নেই পার্ট টাইম থেকে শুরু করে ফুল টাইম যেকোনো সময় স্টুডেন্ট অনলাইন ইনকাম করা সম্ভব। এখানে সেই উল্লেখযোগ্য এবং সহজ সেরা ১৫ টি স্টুডেন্টদের অনলাইনে ইনকাম করার উপায় উল্লেখ করা হয়েছে। যেগুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে ঘরে বসে থেকে অনলাইনের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাহলে আর দেরি কেন এখনই স্টুডেন্ট অনলাইন ইনকাম করার সেরা ১৫ টি উপায় সম্পর্কে জেনে নিন।
আপনি একজন স্টুডেন্ট আর ঘরে বসে থেকে বিরক্তকর সময় পার করছেন বুঝতে পারছেন না কি করা যায়। তাহলে স্টুডেন্ট অনলাইন ইনকাম আর্টিকেল বিস্তারিত পড়ে নিন। যেখানে একজন ছেলে বা মেয়ে স্টুডেন্ট থাকা অবস্থায় কিভাবে অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারবে তার সম্পর্কে বলে দেওয়া হয়েছে। এই মাধ্যমগুলো ব্যবহার করে খুব সহজে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাহলে আর দেরি না করে কাঙ্খিত ফলটি পাওয়ার জন্য স্টুডেন্ট অনলাইন ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে জেনে নিন।
পোস্টসূচিপত্রঃ
স্টুডেন্ট অনলাইন ইনকাম
আপনি একজন স্টুডেন্ট আর ভাবছেন অবসর সময়কে কিভাবে কাজে লাগানো যায়। সত্যি যদি অবসর সময়কে কাজে লাগিয়ে কিছু টাকা ইনকাম করতে চান অথবা অনলাইনে ইনকাম করে ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে চান। তাহলে স্টুডেন্ট অনলাইন ইনকাম এর উপায় সাহায্য করবে কারণ এখানে রয়েছে সেই সকল কাজের উল্লেখ যা স্টুডেন্টদের জন্য সহজ হবে।
আপনি স্টুডেন্ট অবস্থায় ঘরে বসে থেকে অনলাইনের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হবেন যদি স্টুডেন্ট অনলাইন ইনকাম উপায় গুলো পড়ে নিতে পারেন। যদি স্টুডেন্ট অবস্থায় নিজের পড়াশোনার খরচ অর্ধেক অথবা পুরো বহন করতে চান। তাহলে এখানে যে সকল অনলাইনে ইনকাম করার উপায় বলে দেওয়া হয়েছে। তার সবগুলো অনলাইন টাকা ইনকাম উপায় ব্যবহার করে পড়াশোনার খরচ বহন করতে পারবেন।
শুধু তাই নয় পাশাপাশি নিজের পকেট খরচও চালাতে পারবেন। আর আপনি যদি মনে করেন পড়াশোনার পাশাপাশি স্টুডেন্ট অবস্থায় থাকতেই সাইড ক্যারিয়ার হিসেবে নিজের ভবিষ্যত করতে চান তাও সম্ভব। এটা জেনে অবাক হবেন যে অনেক স্টুডেন্ট অনলাইনের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করছে। তাই পড়াশোনার পাশাপাশি অনলাইনের মাধ্যমে স্টুডেন্ট অবস্থায় ইনকাম করতে চাইলে পুরো আর্টিকেল পড়ে নিন।
স্টুডেন্ট অনলাইন ইনকাম করার জন্য ওয়েবসাইট ও মার্কেটপ্লেস
স্টুডেন্ট অনলাইন ইনকাম করার জন্য উপযুক্ত ওয়েবসাইট বা মার্কেটপ্লেস প্রয়োজন। যেই সাইট গুলোর মাধ্যমে স্টুডেন্টরা খুব সহজে কোনো ঝামেলা ছাড়া টাকা ইনকাম করতে পারবে। এই সাইট গুলোর মাধ্যমে বিনামূল্য অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারবেন। আবার সাইডগুলো থেকে টাকা উইথড্র করার সময়ও কোনো ঝামেলা হবে না।
শুধু স্টুডেন্ট ছাড়াও প্রাপ্তবয়স্করা এখান থেকে কাজ করার মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারবে। তারাও নিজেরা টাকা ইনকাম করার উদ্দেশ্যে সাইটগুলো ব্যবহার করে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করতে পারবে। তাই ওয়েবসাইট ও মার্কেটপ্লেস গুলোর সহযোগিতা নিয়ে ইনকাম শুরু করে দিতে পারেন।
ফাইবার মার্কেটপ্লেস
এখান থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য অনলাইনের বেশি ভাগ কাজ পাওয়া যায়। এখানে অ্যাকাউন্ট তৈরি করার জন্য কোনো ধরনের টাকা পরিশোধ করতে হয় না। একাউন্ট তৈরি করার পরে কাজ শিখে শুরু করতে পারেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ওয়েবসাইট ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, ভয়েস আর্টিস্ট, সিপিএ মার্কেটিং, অ্যাফিলেট মার্কেটিং সহ আরো অনেক ধরনের কাজ। এই কাজগুলো স্টুডেন্ট অবস্থায় ফুলটাইম অথবা পার্ট টাইম করতে পারবেন। তাই এখানে অ্যাকাউন্ট তৈরি করার পরে কাজের উপরে গিগ তৈরি করে ইনকাম শুরু করে দিতে পারেন।
আপ ওয়ার্ক মার্কেটপ্লেস
এটি একটি জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস যার মাধ্যমে অনেক স্টুডেন্ট অনলাইন ইনকাম এর রাস্তা উপায় খুঁজে পেয়েছে। অল্প বয়সে অনেক স্টুডেন্ট এখান থেকে কাজ নিয়ে প্রচুর টাকা ইনকাম করছে। সেটা হোক পার্ট টাইম অথবা ফুল টাইম। এখানে অ্যাকাউন্ট তৈরি করার পরে সুন্দর ভাবে এবং নির্ভুল কাজের তথ্য সহকারে পোর্টফোলিও সাজান। আপনি যে কাজ করার মাধ্যমে মার্কেটপ্লেসে অর্থ উপার্জন করতে চান শুধুমাত্র সেই ব্যাপারে পোর্টফলিও এবং প্রপোজাল সাজাবেন।
আর প্রপোজাল পাঠানোর জন্য কানেক্টসের প্রয়োজন হবে। যেগুলো প্রতি মাসে ১০টি করে ফ্রিতে আপ ওয়ার্ক দিয়ে থাকে। এখানেও ফাইবার এর মতো অনেক ধরনের কাজ পাবেন। তাই স্টুডেন্ট অবস্থায় থাকাকালীন এখানে কাজ করতে পারবেন। কোনো ধরনের সমস্যা বা ঝামেলার সম্মুখীন হতে হবে না।
ফ্রিল্যান্সার মার্কেটপ্লেস
স্টুডেন্টদের কাজ করার জন্য উত্তম মার্কেটপ্লেস। যেখানে একাউন্ট ক্রিয়েট করার মাধ্যমে কাজ শুরু করতে পারবেন। নিজের প্রোফাইল সম্পূর্ণ করে তারপরে বিভিন্ন কাজের কনটেস্ট ও বিট করা শুরু করে দিন। আপনার বিট করার পদ্ধতি দেখে যদি কোনো ক্লায়েন্টের ভালো লাগে তাহলে সে আপনাকে কাজ দিবে।
ইউটিউব ডটকম
আপনি যদি মানুষকে বিভিন্ন ধরনের তথ্য ও উপাত্ত ভিডিওর মাধ্যমে উপস্থাপন করতে ভালোবাসেন। তাহলে এই কাজটি আপনার জন্য উত্তম হবে। এটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে সেখানে একদিন বা দুইদিন পরপর একটি করে ভিডিও আপলোড করুন। এখানে আপনি পার্ট টাইম বা ফুলটাইম কাজ করতে পারবেন।
অনেক স্টুডেন্ট তাদের অবসর সময়কে কাজে লাগিয়ে ইউটিউবে ভিডিও আপলোডের মাধ্যমে হাজার হাজার টাকা উপার্জন করছে। বর্তমান সময়ে Vlogging অনেক জনপ্রিয় একটি উপার্জনের ও বিনোদনের মাধ্যম যেখানে ভিডিও বানানোর মাধ্যমে ইনকাম করে অনেকেই সাফল্য পেয়েছে। তাই স্টুডেন্ট Vlogging করে অর্থ উপার্জন করতে পারে।
ফেসবুক ডট কম
বর্তমান সময়ে এমন ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া অসম্ভব যারা ফেসবুক সম্পর্কে জানে না। অতি জনপ্রিয় একটি সোশ্যাল মিডিয়া হচ্ছে ফেসবুক। মানুষ এখানে অফুরন্ত সময় ব্যয় করে থাকে। কিন্তু স্টুডেন্টরা এখানে সময় ব্যয় করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারে। এটি হচ্ছে তাদের জন্য অন্যতম একটি সুযোগ।
ফেসবুকের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করে অনেক স্টুডেন্ট সাফল্যের মুখ দেখেছে। ঘরে বসে থেকে ফেসবুককে ব্যবহার করে হাজার হাজার টাকা উপার্জন করছে। আপনিও একটি ফেসবুক পেজের মাধ্যমে নিজের পণ্য বিক্রি অথবা ভিডিও বানিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারেন। তাই ফেসবুকে যে সময়টি ব্যয় করছেন সেটাকে টাকায় রূপান্তর করেন।
স্টুডেন্ট অনলাইন ইনকাম করার ১০টি উপায়
স্টুডেন্ট অনলাইন ইনকাম করার অনেক উপায় রয়েছে। তার মধ্যে থেকে বাছাইকৃত কিছু ইনকাম করার উপায় উল্লেখ করা হয়েছে। যে উপায়গুলো থেকে পার্টটাইম বা ফুলটাইম কাজ করার মাধ্যমে ইনকাম করা যায়। তবে অনলাইনে ইনকাম করে আপনি ক্যারিয়ারে গঠন করতে পারবেন। অনেকেই রয়েছে এই উপায় গুলো ব্যবহার করে নিজের ক্যারিয়ার গঠন করেছে।
নিজেকে পড়াশুনার পাশাপাশি কাজ করার মাধ্যমে আস্তে আস্তে গঠন করে তুলেছে। তাহলে আপনি কেন পারবেন না। তাই স্টুডেন্ট অবস্থায় ইনকাম করার জন্য উপায়গুলোর মাধ্যমে খুব সহজেই বুঝতে পারবেন যে কোন কাজটি আপনার জন্য উপযোগী হবে। তাই আর দেরি না করে স্টুডেন্ট থাকা অবস্থায় অনলাইন ইনকাম করার জন্য উপায় গুলো পড়ে নিন।
ব্লগিং করে অনলাইনে ইনকাম
স্টুডেন্টদের জন্য ব্লগিং সহজ একটি কাজ হতে চলেছে। কারণ এখানে শুধু লেখালেখি করার মাধ্যমে আয় করতে হয়। আর স্টুডেন্টদের জন্য সহজ কারণ তারা অধ্যায়নরত অবস্থায় রয়েছে। তারা বিভিন্ন বিষয়ে অবগত এই জন্য তাদের ব্লগিং এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম সহজ হবে। ব্লগিং এ আয় করার জন্য ব্লগার ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে আপনার যে তথ্য সম্পর্কে বেশি জানা রয়েছে।
সেই তথ্যগুলো ব্লগার ওয়েবসাইটে পাবলিশ করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাই আপনি যদি লেখালেখি করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন এবং মনে করেন যে ব্লগ পোস্ট লেখার মাধ্যমে আয় করবো। তাহলে একটি ব্লগার সাইট খুলে সেখানে নিয়মিত ব্লক পোস্ট পাবলিশ করুন। আপনি মানুষকে উপদেশ মূলক, বিনোদন মূলক কিংবা সমস্যার সমাধান এই সকল বিষয়ে লেখার মাধ্যমে তথ্য প্রদান করতে পারেন।
আর্টিকেল লিখে অনলাইনে ইনকাম
আর্টিকেল লেখা একটি কঠিন কাজ কারণ অনেক বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হয়। কিন্তু একজন স্টুডেন্টের জন্য সহজ হবে কারণ তারা পড়াশোনার উপরে অধ্যায়নরত রয়েছে। এজন্য তাদের বিভিন্ন বিষয়গুলো সম্পর্কে জ্ঞান রয়েছে। আর সেই জ্ঞানগুলোকে কাজে লাগিয়ে একটি আর্টিকেল তৈরি করে ফেলতে পারবে।
তবে সকল স্টুডেন্ট যে আর্টিকেল লেখাতে পারদর্শী হবে এমনটি নয়। আর্টিকেলটি এমনভাবে লিখতে হবে যেন মানুষ পড়ার মাধ্যমে বুঝতে পারে এবং মজা পাই। যেন তারা আর্টিকেলটি পড়ে বিরক্ত করবোধ না করে। আর এই আর্টিকেল লেখালেখি এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করার জন্য মার্কেটপ্লেস গুলো সাহায্য নিতে পারেন।
তাহলে সত্যি যদি আপনি আর্টিকেল লিখতে ভালোবাসেন এবং নিজের মধ্যে সেই ক্রিটিভিটি রয়েছে যার দ্বারা মানুষকে বুঝাতে পারবেন। তাহলে বলবো আর্টিকেল লেখালেখি করে অনলাইনের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন।
ফেসবুক পেজ থেকে অনলাইনে ইনকাম
আমরা অনেকে ফেসবুকের মাধ্যমে দীর্ঘ সময় ব্যয় করি। কারণ আমরা ফেসবুকের মাধ্যমে সময় ব্যয় করতে খুবই পছন্দ করি। এই আধুনিক যুগে এতে দোষের কিছু নেই তবে আপনি যদি স্টুডেন্ট অবস্থায় জানতে পারেন যে ফেসবুক আপনাকে টাকা উপার্জনের পথ করে দিবে।
একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করে সেখানে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে স্টুডেন্ট অবস্থায় অনলাইন ইনকাম করতে পারেন। কিভাবে চলেন জেনে আসি। ফেসবুকে আমরা বিভিন্ন ধরনের ভিডিও দেখে থাকি। সেগুলো মূলত ফেসবুক পেজের মাধ্যমে আপলোড করা হয়েছে।
এখন আপনার কাছে যদি একটি মোবাইল থাকে আর সেটাতে যদি ক্যামেরা থাকে তাহলে আপনার দ্বারা এটা সম্ভব। আপনার যে বিষয়ে পারদর্শী রয়েছে তার উপরে ভিডিও তৈরি করে কিছুটা এডিটিং করার মাধ্যমে আপলোড করে দিন। এভাবে করে নির্দিষ্ট ফলোয়ার ও ভিউ থাকলে ফেসবুক মনিটাইজেশনের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।
অনলাইনে টিউশনি করে ইনকাম
একজন স্টুডেন্ট শিক্ষারত অবস্থায় আরেকজন স্টুডেন্টকে পড়ানোর সক্ষমতা রাখে। সে যদি মনে করে তার থেকে নিচের কোনো ক্লাসের স্টুডেন্টদেরকে পড়াবে। তাহলে সেটা তার দ্বারা সম্ভব হবে। তবে শুধু যে বাসায় গিয়ে স্টুডেন্ট পড়ানো যায় এমনটা নয়। আপনি চাইলে অনলাইনের মাধ্যমেও স্টুডেন্টদের কে শিক্ষা ও জ্ঞান প্রদান করতে পারবেন।
এই জ্ঞান প্রদান করার জন্য অনলাইনে ক্লাস নিতে হবে। আর অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট রয়েছে। যেখানে একসাথে অনেক স্টুডেন্টদের ক্লাস নেওয়া সম্ভব। যেমন Zoom অ্যাপ বা আরো অনেক ধরনের ওয়েবসাইট আছে যেগুলোর দ্বারা সম্ভব। আবার আপনি চাইলে নিজে থেকে কোনো বিষয়ে শিক্ষা দিতে চাইলে।
সেই বিষয়ের উপরে ভিডিও তৈরি করে ইউটিউবে আপলোড করে ইনকাম করতে পারেন। শুধু ইউটিউব না আপনি ফেসবুকেও আপলোড করতে পারেন। তাই অনলাইন টিউশনি করে স্টুডেন্টদেরকে শিক্ষা প্রধান এর মাধ্যমে ইনকাম করুন। এই এই পদ্ধতি অবলম্বন করার মাধ্যমে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করছে।
লোগো ডিজাইন করে ইনকাম
আপনারা যারা ডিজাইন করে ইনকাম করতে চান তাদের জন্য লোগো ডিজাইন অন্যতম। বিশেষ করে যাদের মধ্যে ক্রিয়েটিভিটি রয়েছে এবং সেটাকে প্রকাশ করতে চান। তাহলে বলবো কাজটি স্টুডেন্টদের জন্য উপযোগী হবে। স্টুডেন্ট ছাড়াও অন্য সকলের জন্যই উপযোগী হবে।
এই কাজ করার মাধ্যমে প্রচুর টাকা ইনকাম করা যায়। আপনি চাইলে পার্টটাইম বা ফুলটাইম করতে পারেন। তবে প্রথমে এই কাজটি শিখতে হবে। আর টাকা ছাড়া শেখার জন্য ইউটিউব কে ব্যবহার করতে পারেন। ইউটিউব এ বিভিন্ন ধরনের কোর্স পাওয়া যায় যেখান থেকে ভিডিও দেখার মাধ্যমে নিজে থেকে শিখতে পারেন।
আর এই কোর্সটি শেখার জন্য যে সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারেন তা হচ্ছে এডোবি ইলাস্ট্রেটর। তাই স্টুডেন্ট অবস্থায় ইনকাম করার জন্য লোগো ডিজাইনকে বাছাই করে নিতে পারেন। আর এই কাজের মাধ্যমে দীর্ঘ সময় পরিকল্পনা করতে পারেন।
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট সারা পৃথিবীতে সারা ফেলে দিয়েছে। কারণ আমরা যে সকল ওয়েবসাইট বা অ্যাপস ব্যবহার করে থাকি তার সবগুলোই একজন ওয়েব ডেভলপারের কাজ। এখন ওয়েব ডেভেলপার কাকে বলে। ওয়েব ডেভেলপার হচ্ছে যে ওয়েবসাইট তৈরি করে।
ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ এর প্রয়োজন হয়। আর এই প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজকে ব্যবহার করে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেলে ওয়েব ডেভেলপার। যদি কোনো স্টুডেন্ট ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন।
তাহলে বলা যায় আপনি প্রচুর টাকা অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন। কারণ মার্কেটপ্লেস থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর মূল্য অনেক বেশি। কিন্তু ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শেখার জন্য ধৈর্য এবং পরিশ্রম থাকতে হবে। কারণ এই কাজটি এতটা সহজ নয়। একটা ওয়েবসাইট বা অ্যাপ অ্যাপস তৈরি করা কঠিন একটি কাজ।
ওয়েব ডিজাইন অনলাইন ইনকাম
কিছুক্ষণ আগে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কে জানলেন। একজন ওয়েব ডেভেলপার এর কাজ হচ্ছে ওয়েবসাইট তৈরি করা। কিন্তু একজন ওয়েব ডিজাইনার ওয়েবসাইটকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে সাহায্য করে।
উদাহরণঃ ধরুন একটি প্রাণীর ব্যাহিক গঠন অনেক সুন্দর তার চোখ, কান, মুখ সবই রয়েছে। ধরুন এখন ওই প্রাণীটির ভেতরে যে কঙ্কাল রয়েছে তা তৈরি করা হয়েছে তা একজন ওয়েব ডেভেলপারের কাজ। আর ওই কঙ্কালটাকে সুন্দরভাবে ঘষামাজা করে তৈরি করা ওয়েব ডিজাইন এর কাজ।
মানে আমরা যে প্রাণীটিকে চোখের সামনে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করতে দেখি সেটা হচ্ছে ওয়েব ডিজাইনার এর কাজ। আর এর মধ্যে প্রাণ ও কঙ্কাল এই সকল হচ্ছে ডেভলপারের কাজ এটি শুধুমাত্র একটি উদাহরণ এ ছাড়া আর কিছুই নয়।
আশা করা যায় এই উদাহরণের সাহায্যে ওয়েব ডিজাইন জিনিসটা কেমন তা বুঝতে পেরেছেন। তাই আপনি যদি ওয়েব ডিজাইনার হিসেবে কাজ করার মাধ্যমে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে চান। তাহলে অনেক বেশি পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এই কাজটি পার্টটাইম বা ফুলটাইম করতে পারবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং অনলাইনে ইনকাম
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং অধিক জনপ্রিয় ইনকাম করার উপায়। যেই উপায় ব্যবহার করে অনেকেই অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসে থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে। এই উপায়টির কাজ হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি আছে যারা তাদের প্রোডাক্ট প্রচার ও বিক্রির উদ্দেশ্যে মার্কেটিং করে থাকে।
আর অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর কাজ হচ্ছে আপনি ওই কোম্পানির প্রোডাক্ট প্রচার ও বিক্রি করার বিনিময়ে কমিশন পাবেন। আর এই কাজটি করে অনলাইনের মাধ্যমে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাই স্টুডেন্টদের জন্যেও এই কাজটি ভালো হবে। আপনারা যদি এই কাজ করে ইনকাম করতে চান। তাহলে আজ থেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শিখে তারপরে কাজ শুরু করতে পারেন।
থ্রিডি অ্যানিমেশন তৈরি করে ইনকাম
থ্রিডি এনিমেশন হচ্ছে আমরা বিভিন্ন ধরনের কার্টুন ভিডিও দেখে থাকি। যারা মানুষের মতই কথা বলে এবং হাঁটা চলা করে। এটাই হচ্ছে মূলত থ্রি ডি অ্যানিমেশন। আপনি থ্রিডি অ্যানিমেশন ভিডিও বানিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে ইউটিউব থেকে শুরু করে ফেসবুক সব জায়গায় থ্রিডি অ্যানিমেশন দেখা যায়।
আর এই কাজটি অধিক জনপ্রিয় বটে। আপনারা যদি কার্টুন অনেক ভালবাসেন এবং সেটিকে তৈরি করার মাধ্যমে ইনকাম করার ইচ্ছা জাগ্রত হয়। তাহলে বলবো থ্রিডি অ্যানিমেশন ভিডিও তৈরি টাকা ইনকাম করতে পারেন। শুধু যে ইউটিউব ও ফেসবুক থেকে ইনকাম করতে পারবেন এমনটা নয়।
আপনি চাইলে বিভিন্ন মুভিতে সেক্টরেও থ্রিডি অ্যানিমেশন তৈরি করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন। তাই যে সকল শিক্ষার্থীদের কার্টুনের প্রতি আগ্রহ রয়েছে। তাদের জন্য এটা অনেক বড় সুযোগ। এই কাজটি এতটা কঠিন নয় শুধু মনোযোগ দিয়ে শিখতে পারলেই করতে পারবেন। আবার এই কাজটি শেখার জন্য ইউটিউব ভিডিও দেখে শিখতে পারেন।
ইউটিউব ভিডিও তৈরি করে ইনকাম
অনেক শিক্ষার্থী ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করার মাধ্যমে অনলাইন থেকে ইনকাম করছে। পার্টটাইম অথবা ফুল টাইম যখনই সময় মিলছে কোনো ভিডিও তৈরি করছে এমনকি সেটাকে কিছুটা এডিটের মাধ্যমে ইউটিউব এ ছেড়ে দিচ্ছে। ইউটিউবে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও বানিয়ে ইনকাম করতে পারেন।
যেমন কুকিং, ট্রাভেলিং, বিনোদনমূলক, খেলাধুলা, নিউজ, শর্ট ভিডিও, শিক্ষামূলক, প্রশিক্ষণমূলক, থ্রিডি অ্যানিমেশন, খাবারের রান্নার ভিডিও আরো অনেক বিষয় রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে ভিডিও বানিয়ে ইনকাম করতে পারেন।
তাই যে সকল স্টুডেন্টদের মনে হচ্ছে যে আমার ভিডিও বানাতে খুব ভালো লাগে। তাহলে স্টুডেন্টদের এই বিষয়টি নিয়ে ভাবা উচিত। তবে এই কাজে অধিক সময়ের প্রয়োজন। মানে পার্টটাইম বা ফুলটাইম করতে পারবে কিন্তু ধৈর্য শক্তি প্রয়োজন হবে। এখানে ইনকাম করতে হলে ধৈর্যশক্তির সময় দিতে হয়।
অ্যাপ দিয়ে স্টুডেন্ট অনলাইন ইনকাম করার ৫টি উপায়
এতক্ষণ আমরা জানলাম কিভাবে ওয়েবসাইট ও মার্কেটপ্লেস এর মাধ্যমে ইনকাম করা যায়। কিন্তু আপনারা জেনে খুশি হবেন যে মোবাইল অ্যাপস এর মাধ্যমেও স্টুডেন্ট অনলাইন ইনকাম করতে পারবে। শুধু প্রয়োজন পড়বে মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট কানেকশন।
যার দ্বারা ঘরে বসে থেকে শুধু অ্যাপসগুলোর মাধ্যমে লক্ষ্য পূরণ করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। এখন অনেকে বলতে পারেন মোবাইল অ্যাপস গুলো দিয়ে কত টাকা ইনকাম করা যেতে পারে। যেমন কাজ তেমন ইনকাম তবুও মাসে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এই অ্যাপসগুলো টাকা এর জন্য খুবই জনপ্রিয়।
এখান থেকে আয় করার জন্য কোন অভিজ্ঞতার এর প্রয়োজন পড়ে না। শুধু অ্যাপসগুলো ইন্সটল করার মাধ্যমে আয় শুরু করে দিতে পারেন। চলেন তাহলে জেনে আসি কোন অ্যাপস গুলোর মাধ্যমে মোবাইলে স্টুডেন্টরা অনলাইনে ইনকাম করতে পারবে।
- Foap: আপনি যদি ছবি তুলে টাকা ইনকাম করতে চান। তাহলে অ্যাপটি ইন্সটল করে সেখানে ছবি আপলোড করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন।
- Moneyfi: এই অ্যাপটি দ্বারা কুইজ ও গেম খেলে টাকা ইনকাম করা যায়। তাই এই অ্যাপসটি ইন্সটল করার মাধ্যমে এখন থেকে ইনকাম শুরু করে দিন।
- Yumchek: এই অ্যাপটিতে খাবারের বিল আপলোড করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। যদিও বিষয়টি আজব কিন্তু এখানে এভাবে ইনকাম করা যায়।
- Spin to win: এই অ্যাপটি দ্বারা গেম ও স্পিন খেলে ইনকাম করতে পারবেন। স্পিন হয়তো মাঝে মাঝে দিবে কিন্তু গেম খেলে ইনকাম করতে পারবেন।
- eQuiz: এখানে আপনি কুইজের সঠিক উত্তর দেওয়ার মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। তাই আপনি যদি কুইজ এর উত্তর দেওয়ার মাধ্যমে ইনকাম করতে চান। তাহলে এটি আপনার জন্য বেস্ট অ্যাপ।
স্টুডেন্ট অবস্থায় আয়ের উপায় ফ্রিল্যান্সিং
ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে অধিক জনপ্রিয় আয়ের মাধ্যম। এখানে আয় করতে হয় অনলাইনের মাধ্যমে। স্টুডেন্ট থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক সকলেই এখান থেকে আয় করে থাকে। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরটি অনেক বিস্তৃত যার মধ্যে অনেক ধরনের কাজ লুকিয়ে রয়েছে। যে কাজগুলো দ্বারা অনেক স্টুডেন্ট মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করে।
তাই এখনো যে সকল স্টুডেন্ট মনে করছেন কিভাবে অনলাইনের মাধ্যমে ইনকাম করা যায়। তাহলে বলবো ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে ঢুকে যান। সেখানে যেকোনো একটি কাজ শিখে সেই কাজের উপরে দক্ষতা অর্জন করুন। দক্ষতা অর্জন শেষে মার্কেটপ্লেস গুলোর মাধ্যমে কাজ করুন। তাহলে স্টুডেন্টদের জন্য কোন কাজগুলোর দ্বারা অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে ইনকাম করা যাবে।
- গ্রাফিক্স ডিজাইন
- ডিজিটাল মার্কেটিং
- ভিডিও এডিটিং
- ভাষা ট্রান্সলেশন
- ডাটা এন্ট্রি
- এফিলেট মার্কেটিং
- ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট
- প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট
- অ্যানিমেশন
- ডাটা এনালাইসিস
স্টুডেন্টদের অনলাইনে ইনকাম করার টিপস
অনেক স্টুডেন্ট রয়েছে যারা পড়াশোনার পাশাপাশি অনলাইনে ইনকাম করতে চাই। কিন্তু সঠিক উপায় গুলো ও টিপসগুলো না পাওয়ার কারণে তারা ইনকাম করতে সক্ষম হয় না। কিন্তু স্টুডেন্টরা যদি এই টিপসগুলো মেনে চলতে পারে তাহলে আশা করা যায় তারা অনলাইনের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবে।
অনলাইনে ইনকাম করা খুব একটা কঠিন আবার খুব একটা সহজ নয়। শুধু নিজের রুটিনকে ফলো করতে হবে। কারণ সেই স্টুডেন্ট থাকা অবস্থায় অনলাইনের মাধ্যমে ইনকাম করতে চাচ্ছে। তাহলে চলুন জেনে আসি যে স্টুডেন্টদের অনলাইনে ইনকাম করার কিছু টিপস।
- সর্বপ্রথম আপনি যে ক্লাসে পড়েন তার ক্লাস রুটিন, টিউশনি এবং পড়াশোনার যে রুটিন রয়েছে তার শেষে যে অবশিষ্ট সময় আছে সেটা কি কাজে লাগাতে হবে।
- দ্বিতীয়ত অযথা কোনো সময় নষ্ট করা যাবে না। তাহলে স্টুডেন্ট অবস্থায় অনলাইনের মাধ্যমে ইনকাম সম্ভব নয়।
- আপনার পড়াশোনার চাপ স্বাভাবিক রেখে তারপরে অনলাইনে কাজ করতে পারেন। যদি পড়াশুনাতে বেশি ফোকাস দেন। তাহলে সেখানেই ফোকাসটা বেশি রাখুন।
- যারা অনলাইনের কোনো কাজের উপরে দক্ষতা অর্জন করতে চান। তারা সেই কাজের উপরে পড়াশোনার পাশাপাশি সময় দেন। কিন্তু সময় দেওয়ার প্রথম দিকে টাকার কথা চিন্তা করবেন না।
- আবার যারা মনে করছেন যেকোনো দক্ষতা অর্জন ছাড়াই পার্ট টাইম কিছু টাকা ইনকাম করতে চাই। তাহলে মোবাইল এর অ্যাপসগুলোর মাধ্যমে অনলাইনে ইনকাম করতে পারেন।
স্টুডেন্ট অবস্থায় দিনে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা ইনকাম সম্ভব
স্টুডেন্ট অবস্থায় দিনে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা অনলাইনের মাধ্যমে ইনকাম করা সম্ভব। ২০০ থেকে ৩০০ টাকা ইনকাম করার জন্য বিভিন্ন ধরনের অ্যাপস রয়েছে। সেই অ্যাপস গুলোর মাধ্যমে দিনে এত টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আবার মার্কেটপ্লেস গুলোর মাধ্যমেও এত টাকা ইনকাম করা সম্ভব। শুধু দক্ষতা অর্জন করার পরেই মার্কেটপ্লেস থেকে ইনকাম করতে পারেন।
তাছাড়া মার্কেটপ্লেসগুলো থেকে ইনকাম করা সম্ভব হবে না। কিন্তু মোবাইলের কিছু অ্যাপস রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে ইনকাম করার জন্য দক্ষতার প্রয়োজন হয় না। তাই এটি আপনার ব্যক্তিগত বিষয় আপনি কোন মাধ্যমে দিনে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা ইনকাম করতে চান। কিন্তু অনলাইনে ইনকাম করার জন্য নিজের ফোকাসকে স্থির রাখতে হবে।
স্টুডেন্টদের অনলাইনে ইনকাম করার জন্য কত সময় দিতে হয়
এটা খুবই মূল্যবান একটি প্রশ্ন যে স্টুডেন্টদের অনলাইনে ইনকাম করার জন্য কত সময় দিতে হবে বা কত সময় দিলে ইনকাম করা সম্ভব হবে। দেখুন এটি সম্পূর্ণভাবে আপনার উপরে নির্ভর করবে। যে আপনি কোন কাজে কত সময় দিবেন।
এখানে কোনো বাধা ধরার নিয়ম নেই যে এই কাজে এত সময় দিতেই হবে। এটি আপনার শেখার মনোযোগ ও দক্ষতার উপরে নির্ভর করবে। যে আপনি অনলাইনে ইনকাম করার জন্য কতটা সময় দিবেন। স্টুডেন্ট অনলাইনে ইনকাম করা একটু কঠিন কাজ।
কারণ তাদের পড়াশোনার পাশাপাশি অনলাইন থেকে ইনকাম করার সুযোগ বের করতে হয়। তাই সে ক্ষেত্রে এটি বলা খুবই কঠিন যে স্টুডেন্টদের অনলাইনে ইনকাম করার জন্য কত সময় দিতে হবে। এটি আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে যে আপনি কোন কাজে কত সময় দিতে পারবেন। আশা করা যায় বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।
ফ্রিল্যান্সিং থেকে ইনকাম করার কোনটার বেশি প্রয়োজন হবে
ফ্রিল্যান্সিং থেকে ইনকাম করতে সকলেই পারবে। একজন প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য কোনটা বেশি প্রয়োজন। এই কথার পেরিপেক্ষিতে বলা যায় আপনি ফ্রিল্যান্সিংয়ের কোন কাজটি শিখতে চান। যেই কাজটি শিখতে চান সেই কাজের মার্কেটপ্লেস গুলোতে চাহিদা কেমন। আর আপনার সেই কাজটি শিখতে কতটা সময় লাগতে পারে।
তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজ করার জন্য প্রয়োজন ধৈর্য শক্তি ও কঠোর পরিশ্রম আর যথাযথ সময় দিতে হবে। আপনার যদি এই তিনটি জিনিস ইনভেস্ট করার মত মানসিকতা না থাকে তাহলে ফ্রিল্যান্সিং করা প্রায় অসম্ভব। কারণ ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে যেমন টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ঠিক তেমনি ইনকাম করার আগে শ্রম দিতে হবে।
যে বিষয়ে কাজ শিখছেন সে বিষয়টি নিয়ে বেশি বেশি রিসার্চ ও প্র্যাকটিস করুন। অন্যের তুলনায় নিজেকে আরও ভালো করার চেষ্টা করুন। কাজ শেখার সময় নিজের সমস্যা গুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন। নিজেকে প্রত্যেকটি ধাপে ধাপে যাচাই-বাছাই করুন। আর অনলাইনে ইনকাম করার জন্য দুইটা জিনিস প্রয়োজন পড়বে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ আর ইন্টারনেট কানেকশন।
আবার কেউ যদি মোবাইলের মাধ্যমে ইনকাম করতে চাই তাহলে মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট কানেকশন। তাই এই বিষয়গুলোর উপরে নজর দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তাই আপনি যদি অনলাইনের মাধ্যমে অনেক টাকা ইনকাম করতে চান। যে টাকা দ্বারা নিজের সকল চাহিদা পূরণ করতে পারবেন। তাহলে বলবো সৃষ্টিকর্তার উপরে ভরসা এবং নিজের পরিশ্রম চালিয়ে যেতে হবে। তাহলেই ইনশাআল্লাহ আপনার নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন।
উপসংহার
পরিশেষে বলা যায় বর্তমান সময়ে ঘরে বসে থেকে অনলাইনের মাধ্যমে ইনকাম করার উপরে মানুষের মধ্যে একটি প্রতিযোগিতা তৈরি হয়েছে। যেখানে শারীরিক শ্রমের প্রয়োজন হয় না কিন্তু মানসিক শ্রমের অনেক প্রয়োজন। নিজের মধ্যে থাকতে হয় ক্রিটিভিটি ও নতুন কিছু উদ্বোধন করার ক্ষমতা।
যেই ক্ষমতার দ্বারাই সেই ব্যক্তি অনলাইন সেক্টর গুলোতে উপরের দিকে যেতে থাকে। তাই আমরা যারা অনলাইনে বিভিন্ন উপায় গুলোর মাধ্যমে কাজ শিখব। তারা যেন নিজেকে দিনের পর দিন আরও উন্নত করার চেষ্টা করি। কারণ সবসময়ই অনলাইন এর কাজে নতুন নতুন কিছু উদ্ভাবন হতে থাকে। আর সেই নতুন উদ্ভাবনের সাথে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
যদি মানিয়ে নিতে না পারেন তাহলে অনলাইন সেক্টরে কাজের মাধ্যমে বেশি দূর এগিয়ে যেতে পারবেন না। কারণ আপনাকে অন্যদের থেকে ভালো করার চেষ্টাটা থাকতে হবে। তাই সকল বয়সের মানুষই অনলাইন সেক্টরে কাজ করতে পারবেন। স্টুডেন্ট থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক সকলেই।
শেষ কথাঃ প্রিয় পাঠক আশা করা যায় স্টুডেন্ট অনলাইন ইনকাম করার উপায় গুলো জানার মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন। সত্যি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার বন্ধুদেরও অনলাইনে ইনকাম করার উপায় গুলো সম্পর্কে অবগত করুন। তারাও যেন স্টুডেন্ট থাকা অবস্থায় অনলাইনে ইনকাম করতে পারে। পুরো তথ্যটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
এসএইচ নিউজস্টোরের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url