ভাতের মাড়ের ক্ষতিকর দিক ও খেলে কি মোটা হয় জেনে নিন
আপনি কি ভাতের মাড়ের ক্ষতিকর দিক গুলো জানার জন্য খুবই আগ্রহী। সত্যি যদি ভাতের মাড়ের যে ক্ষতিকর দিক রয়েছে এবং ভাতের মাড় খেলে কি মোটা হওয়া যায় পাশাপাশি এর উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে পুরো তথ্যটি বিস্তারিত পড়ার মাধ্যমে সমস্ত কিছু জানতে পারবেন। এগুলো জেনে উপকৃত হবেন এবং ভাতের মাড় খেলেও অনেক উপকার পাবেন।
আমরা ভাতের মাড়কে অনেকটাই অবহেলার চোখে দেখি। কারণ ভাতের মাড় খেলে কি হয় সেই সম্পর্কে আমরা জানিনা। তাই তো ভাতের মাড় খাওয়ার উপকারিতা ও ক্ষতিকর দিকগুলো জানার প্রয়োজন রয়েছে।
পোস্ট সূচীপত্রঃ
ভাতের মাড় খেলে কি হয়
আপনারা কি জানেন ভাতের মাড় খাওয়ার ক্ষতিকর দিক ও উপকারিতা সম্পর্কে। আমার মনে হয় আপনারা অনেকেই এই বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন। আপনি যদি জানতে পারেন যে ভাতের মাড় খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে। তাহলে মনে হয় আজ থেকেই খাওয়া শুরু করে দিবেন। আমরা অনেকেই মনে করি ভাতের মাড় কোনো কাজের না।
এই জন্য ভাত রান্না শেষে মাড়গুলোকে ফেলে দেই। আপনি যদি সত্যিই এর উপকারিতা সম্পর্কে অবগত থাকতেন তাহলে ফেলে না দিয়ে প্রত্যেকদিন ভাতের মাড় খেতেন। কারণ ভাতের মাড়ের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপাদান রয়েছে যা এর উপকার ও পুষ্টি গুনাগুনকে দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয়।
উপাদান গুলো হচ্ছে ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন বি ও সি, ভিটামিন ই, প্রোটিন, শর্করা, ম্যাগানিজ ও জিংকের মত আরও কিছু স্বাস্থ্যকর উপাদান রয়েছে। তবে এই উপাদান গুলোর মাত্রা যদি শরীরে বেশি হয়ে যায়। তাহলে কিছুটা ক্ষতি হতে পারে। মানে শরীরে ক্ষতিকর দিকগুলো ফুটে উঠতে পারে।
যারা ভাতের মাড় নিয়মিত ও পরিমান মত খেয়েছে তারা ত্বক ও চুলের উপকারিতার পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ সহ আরো কিছু উপকার পেয়েছে। তাই আপনিও যদি শারীরিকভাবে সুস্থ ও সবল থাকতে চান। তাহলে ভাতের মাড়ের ক্ষতিকর দিক ও উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন।
ভাতের মাড়ের উপকারিতা
উচ্চ রক্তচাপঃ উচ্চ রক্তচাপকে হাইপারটেনশনও বলা হয়ে থাকে। আবার হাই ব্লাড প্রেসার বলা হয়। তিনটি কথায় ভিন্নতা থাকলেও সমস্যা কিন্তু একটা। আর এই সমস্যাই লক্ষ লক্ষ মানুষ ভুক্তভোগী। এই হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ভাতের মাড় খেতে পারেন। আর পুরুষের তুলনায় মেয়েদের উচ্চ রক্তচাপ বেশি হয়ে থাকে।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাঃ ভাতের মাড়ের মধ্যে কোনো ক্ষতিকর উপাদান নেই বললেই চলে। এত সুন্দর পুষ্টিকর খাবার সকলের খাওয়া উচিত। কারণ ভাতের মাড়ের মধ্যে ফাইবারের উপস্থিতি পাওয়া যায়। যা কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করতে সহায়তা করবে। আরো হজম শক্তি বৃদ্ধি ও মলত্যাগের যেই সকল সমস্যা রয়েছে তা অনেকাংশই সমাধান করে দেয়।
রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধিঃ শরীরের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করা খুবই জরুরী। কারণ রক্ত সঞ্চালন কমে গেলে নানান সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। এতে করে স্বাস্থ্যের প্রতি ক্ষতি নেমে আসে আর স্বাস্থ্যের প্রতি ঝুঁকি আড়াতে ও রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে ভাতের মাড় খেতে পারেন। এর মধ্যে তেমন কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা ক্ষতিকর দিক লক্ষ্য করা যায় না।
ডায়রিয়ার সমাধানঃ ডায়রিয়ার সমস্যার সমাধানে ভাতের মাড়ের মধ্যে রয়েছে দারুন উপকার। প্রাপ্তবয়স্ক ও অপ্রাপ্তবয়স্ক সকলেই ডায়রিয়াকে তাড়ানোর জন্য ভাতের মাড় খেতে পারেন। তাই আর দেরি না করে ডায়রিয়া থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ভাতের মাড় না ফেলে হালকা লবণ ছিটিয়ে খেয়ে ফেলুন।
শরীরের শক্তি সঞ্চরণঃ শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য ভাতের মাড় খাওয়ার মধ্যে উপকারিতা মিলবে। আমরা অনেকেই শরীরে শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য অনেক কিছু খায়। আপনি কিছু দিন ভাতের মাড় না ফেলে খেয়ে দেখতে পারেন। আপনি ফলাফল হিসেবে বিনা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করতে পারবেন।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণঃ আমরা অনেকেই জানি যে ডায়াবেটিস সম্পূর্ণরূপে নিরাময় প্রায় অসম্ভব। এটি শুধুমাত্র নিয়ন্ত্রণ যোগ্য আপনি নিজেকে যতটা কন্ট্রোল করে চলতে পারবেন। ততই আপনার জন্য ভালো হবে। তবে কিছু খাবার রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। তাদের মধ্যে একটি খাবার হচ্ছে ভাতের মাড়। যেটি খাওয়ার মাধ্যমে ডায়াবেটিসের জন্য উপকার পাবেন।
গরমের উত্তাপঃ অধিক গরমে জীবন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে আর বর্তমানে তাপমাত্রার পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই এই অধিক গরম ও তাপমাত্রা থেকে নিজেকে শীতল রাখতে ভাতের মাড় খেতে পারেন। ভাতের মাড় খাওয়ার মাধ্যমে নিজের মধ্যে প্রশান্তি লাভ করবেন। ক্লান্তি ও অবসাদ অনেকটাই দূর করে দিবে। আর আপনার শরীরের পেশিগুলোতে শক্তি সঞ্চরণ করতে সহায়তা করবে।
আলসারের ঝুঁকি কমায়ঃ হ্যাঁ আপনি ঠিকই শুনেছেন ভাতের মাড় খাওয়ার মাধ্যমে আলসারের ঝুঁকি কমাতে পারেন। নিয়মিত ভাতের মাড় খাওয়ার ফলে আলসারের ঝুকি অনেকটাই কমে আসে। তাই দেরি না করে আর ভাতের মাড় না ফেলে আজ থেকেই খাওয়া শুরু করে দিন।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিঃ আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় বা ঋতু পরিবর্তনের সময় যেই সকল রোগ আমাদেরকে ঘিরে ধরে তা রীতিমতো আমাদের সকলেরই জানা। আর তাইতো এই আবহাওয়া পরিবর্তনের ব্যাধিগুলো থেকে বাঁচার জন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। আর প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য ভাতের মাড় খেতে পারেন।
ভাতের মাড় খাওয়ার নিয়ম
আমাদের অনেকেরই জানা রয়েছে যে কোনো কিছু খাওয়ার উপকারিতা পেতে হলে তার নিয়ম গুলো মেনে খাওয়া জরুরী। আর আমরা প্রত্যেকটি খাবার খাই এই উদ্দেশ্যে গুলো সামনে রেখে যে সেই খাবারের উপকারিতা গুলো যথাযথ পেতে পারি।
কিন্তু জেনে অবাক হবেন যে ভাতের মাড় খাওয়ার নির্ধারিত কোনো নিয়ম নেই। তারপরেও আপনারা কিছু নিয়ম মেনে খেতে পারেন। কারণ এই নিয়মগুলো মেনে খাওয়ার মাধ্যমে একটু বেশি উপকারিতা পাওয়া যায়। আবার আপনি মুখের স্বাদ বজায় রেখেও খাবারটি খেতে পারবেন। তাহলে ভাতের মাড় খাওয়ার নিয়ম গুলো জেনে নিন।
- ভাতের মাড়ের সাথে লবণ মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে করে খাবারটির স্বাদ বৃদ্ধি পাবে আর উপকারিতা গুলোও যথাযথ পাবেন।
- ভাতের মাড়ের সাথে ভাত ও একটু লবণ মিশিয়ে খেতে পারেন।
- ভাতের মাড়ের সাথে তরকারি ও ভাত মিশিয়ে খেতে পারেন।
- প্রত্যেকদিন দুই গ্লাস করে ভাতের মাড় খেতে পারেন।
- আবার অনেকেই আমরা সুপ খেয়ে থাকি। ভাতের মাড় দিয়েও কিন্তু সুপ রান্না করে খেতে পারেন।
- আপনি যে কোনো সময় ভাতের মাড় খেতে পারেন।
খাওয়ার আগে অবশ্যই সাবধান থাকবেন। অতিরিক্ত ভাতের মাড় খাওয়া যাবে না। এতে করে শরীরের নানান ধরনের ক্ষতিকর দিক আপনার সামনে ফুটে উঠতে পারে। প্রত্যেকদিন দুই থেকে তিন গ্লাসের বেশি ভাতের মাড় খাবেন না। তাহলে নানান ধরনের অপকারিতা বা ক্ষতি শরীরের ভিতরে প্রতিফলন হতে পারে।
ভাতের মাড় খেলে কি মোটা হয়
আমরা অনেকে অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি নিয়ে চিন্তায় পড়ে যায়। আবার অনেকে অতিরিক্ত চিকন হওয়া নিয়ে চিন্তায় থাকে। এখন বিষয় হচ্ছে ভাতের মাড় খেলে কি মোটা হয় কথাটি কি আসলেই সত্য। দেখুন অতিরিক্ত ওজন থাকাও যেমন শরীরের জন্য ক্ষতিকর। ঠিক তেমনি কম ওজন থাকাও ক্ষতিকর।
আপনার ওজন কোন কারণে কমে যাচ্ছে বা আগে বেশি ছিল হঠাৎ করে অতিরিক্ত কমে গেছে। যা আপনাকে চিন্তার মুখে ফেলে দিয়েছে। আমাদের অতিরিক্ত ওজন কেন কমে গেছে এই বিষয়টি যাচাই বাছাই করতে হবে। অনেকের বিভিন্ন রোগের কারণে ওজন কমে যায় যেমন থাইরয়েডের সমস্যা বা হজম শক্তি কমে যাওয়ার কারণে ও সমস্যা হয়ে থাকে।
আপনার ওজন ঠিক আছে কিনা এটার জন্য বিএমআই চেক করতে হবে। স্বাভাবিক বিএমআই হচ্ছে ১৮.৫ থেকে ২৪.৫ আর কারো যদি বিএমআই ১৭ বা ১৮ এর নিচে থাকে তাহলে তার শরীরের তুলনায় স্বাভাবিক ওজন কম রয়েছে। এর জন্য আপনাকে প্রোটিন, শর্করা, শাক সবজি ও ফ্যাট যুক্ত খাবার খেতে হবে। যাতে করে শরীরে ওজন বৃদ্ধি পায়।
আবার ওজন বৃদ্ধি করার জন্য অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া যাবে না। স্বাস্থ্যকর খাবারের মাধ্যমেই শরীরের দৈহিক ওজন বৃদ্ধি করতে হবে। এখন কথা হচ্ছে ভাতের মাড় খাওয়ার মাধ্যমে ওজন বৃদ্ধি করা যায় বা মোটা হওয়া যায় কি।
আপনি শুনে অবাক হবেন বা খুশি হবেন যে ভাতের মাড় খাওয়ার মাধ্যমে ওজন বৃদ্ধি করা যায়। কারণ ভাতের মাড়ের মধ্যে রয়েছে শর্করা উপস্থিত। আবার ভাত খাওয়ার মাধ্যমেও ওজন বৃদ্ধি করতে পারেন। তাহলে আশা করা যায় বুঝতে পেরেছেন যে ভাতের মাড় খেলে মোটা হওয়া যায় কি না।
ভাতের মাড় চুলে দিলে কি হয়
আমরা চুলের যত্নে কত রকম প্রসাধনী ব্যবহার করে যায়। কিন্তু আজকে কোনো প্রসাধনীর কথা বলবো না। এগুলো ছাড়াও ঘরোয়া উপায়ে আরো অনেক কিছু ব্যবহারের মাধ্যমে চুলের যত্ন নেওয়া যায়। এগুলো হচ্ছে প্রাকৃতিক উপায়ে চুলের যত্ন নেওয়া।
আপনি ভাতের মাড় ব্যবহারের মাধ্যমে চুলের যত্ন নিতে পারেন। অবাক হচ্ছেন তো হওয়ারই কথা কারণ আমরা নিয়মিত যে জিনিসটি ফেলে দিয়। সেটি আবার আমাদের চুলের যত্নে কিভাবে কাজে লাগতে পারে। শুধু চুলের যত্নই নেয় না।
আপনারা ভাতের মাড় চুলে ব্যবহারের পরে বলতে বাধ্য হবেন যে ভাতের মাড়ের মত চুলের যত্নে বিকল্প কিছু খুঁজে পাওয়া প্রায় অসম্ভব। কারণ ভাতের মাড়ের মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে। যা আপনার চুলের যত্নে কোনো কমতি রাখে না।
সেই উপাদানগুলো হচ্ছে অ্যামাইনো এসিড, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি ও ভিটামিন ই পাশাপাশি আরও রয়েছে প্রোটিনের মত উপাদান। তাহলে বুঝতেই পারছেন যে চুলের যত্নে কেন এত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে ভাতের মাড়। তাহলে চুলের যত্নে ভাতের মাড় মাথায় দিলে কি হয় বা কোন উপকারিতা গুলো চুলে পাওয়া যায়।
- চুলের সমস্যাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় একটি সমস্যা ধরা হয় খুশকি। আর এই সমস্যার সমাধান দিয়ে থাকে ভাতের মাড়।
- চুলের গোড়া ভেঙ্গে যাওয়া রোধ করতে দারুন ভূমিকা পালন করে ভাতের মাড়।
- চুল পড়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে যায়।
- চুলের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে ও বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
- চুলের গোড়া মজবুত করার জন্য ভাতের মাড় অনবরত কাজ করে যায়।
- মাথার ত্বকের শুষ্কতা রোধ করতে সহায়তা করে।
- চুলের রুক্ষতা ও শুষ্কতা ভাব দূর করার জন্য সাহায্য করে যায়।
- ভাতের মাড় চুলের কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। চুলের সাইনকে ফুটিয়ে তুলতে সাহায্য করে।
- চুলের ভেতরের চুলকানি হাত থেকে রক্ষা করতে পারে।
- ভাতের মাড় চুলে ব্যবহারের নিয়ম হচ্ছে চুলের শ্যাম্পু করার পরে ভাতের মাড় ব্যবহার করুন। তারপর ১০ থেকে ১৫ মিনিট মাথায় রেখে দেওয়ার পরে পরিষ্কার পানি দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন।
ভাতের মাড় মুখে দিলে কি হয়
আপনি যদি শুনেন ভাতের মাড় মুখে দিলে কি হয় তাহলে হয়তো আর কখনোই ভাতের মাড় ফেলতে চাইবেন না। কারণ ভাতের মাড়ের মধ্যে মুখের জন্য উপকারিতা লুকিয়ে রয়েছে। এই ভাতের মাড়ের মধ্যে এমন কিছু উপকার লুকিয়ে রয়েছে যা কোন ফেসপ্যাক এর মধ্যেও খুঁজে পাবেন না। কারণ এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ই ও ভিটামিন সি ছাড়াও আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
যা যে উপাদানগুলো ত্বককে নিরাপদ রাখতে দারুন কাজ করে। তাইতো অনেকেই ফেসপ্যাক এর বদলে ভাতের মাড় ব্যবহার করে। আপনিও যদি ভাতের মাড় মুখে ব্যবহারের মাধ্যমে উপকারিতা পেতে চান। তাহলে আজ থেকেই ফেসপ্যাক হিসেবে মুখে ভাতের মাড়ের ব্যবহার শুরু করে দিন। চলেন জেনে আসি ভাতের মাড় মুখে দিলে কোন উপকারিতা গুলো পাওয়া যায়।
- মুখের ব্রুণ দূরীকরণে জন্য সহায়তা করে।
- ত্বক থেকে ছোপ ছোপ দাগ দূর করার জন্য ভাতের মাড় ব্যবহার করতে পারেন।
- মুখের মৃত কোষ দূর করার জন্যও দারুণভাবে কাজ করে।
- ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে ও বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
- ফুসকুড়ি ও মেস্তার দাগ দূরীকরণের জন্য ভাতের মাড় ব্যবহার করুন।
- ভাতের মাড় ব্যবহারের ফলে ত্বক সব সময় টানটান ও ফ্রেশ রাখতে সহায়তা করে।
- ত্বককে প্রটেক্ট করতে ভাতের মাড়ের মতো কার্যকরী জিনিস খুবই কম পাওয়া যায়।
- মুখের জন্য কোন নিয়মে ব্যবহার করলে উপকারিতা পাওয়া যায়। নরম তুলা ভাতের মাড়ের ভিতর ভিজিয়ে নিয়ে পুরো মুখ জুড়ে তিন থেকে পাঁচ মিনিট মাসাজ করুন। এরপরে কিছুক্ষণ রেখে দেওয়ার পরে। যখন দেখবেন যে প্লাস্টিকের মত হয়ে গেছে তখন আস্তে আস্তে করে তুলে ফেলবেন।
ভাতের মাড়ের ক্ষতিকর দিক
আমরা তো ভাতের মাড়ের উপকারিতা ও পুষ্টি গুনাগুন সম্পর্কে কিছুক্ষণ আগেই অবগত হয়েছি। কিন্তু পুষ্টি গুনাগুনের পাশাপাশি ভাতের মাড়ের ক্ষতিকর দিক রয়েছে। শুনে হয়তো কিছুটা অবাক হলেও এটাই সত্যি যে এই পুষ্টিগুন সম্পূর্ণ খাবারের মধ্যেও ক্ষতিকর দিক রয়েছে। এটি শুধুমাত্র ব্যবহারের ত্রুটির জন্যই এর ক্ষতিকর দিকগুলো ফুটে ওঠে।
আপনি যদি ভাতের মাড় অতিরিক্ত খেতে থাকেন তাহলে নানান সমস্যার সম্মুখীন হবেন। কারণ ভাতের মাড়ের ভিতরে থাকা শর্করা ও প্রোটিন অতিরিক্ত হয়ে গেলে নানান সমস্যা হয়। তাই তো এর ক্ষতিকর দিকগুলো থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করতে হবে। আবার অতিরিক্ত চুল বা ত্বকে ব্যবহার করা যাবে না। তাহলে ভাতের মাড়ের ক্ষতিকর দিকগুলো কি কি তা জেনে নিন।
- অতিরিক্ত ভাতের মাড় খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে।
- বেশি পরিমাণে ভাতের মাড় খেলে ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যেতে পারে।
- বেশি বেশি ভাতের মাড় খেলে অনিয়ন্ত্রিত ঘুম হতে পারে।
- আপনি যদি বেশি পরিমাণে খেতে থাকেন তাহলে উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টি হতে পারে।
আসল কথা হচ্ছে যে কোনো জিনিস বা খাবার পরিমাণ মতো খাওয়া উচিত। এর বেশি খেলেও ক্ষতিকর আবার কম খেলেও পুষ্টির ঘাটতি থেকে যায়। তাই শরীরের চাহিদা অনুযায়ী খাবার খাওয়া উচিত। একজন স্বাভাবিক মানুষের দিনে দুই থেকে তিন গ্লাসের বেশি ভাতের মাড় খাওয়া উচিত নয়। এতে করে শারীরিকভাবে অনেক ক্ষতি হতে পারে। তাই নিয়ন্ত্রণ রেখে খেলে উপকারিতা পাবেন।
ভাতের মাড়ের সম্পর্কে কিছু FAQ
১। ভাতের মাড় এর ইংরেজি?
উওরঃ ভাতের মাড়ের ইংরেজি হচ্ছে Rice starch।
ভাতের মাড় কতদিন খেলে মোটা হয়?
উওরঃ হ্যাঁ, ভাতের মাড় খেলে মোটা হয়। কারণ ভাতের মাড়ে শর্করা ও প্রোটিন রয়েছে।
ভাতের মাড়ে কি ভিটামিন আছে?
উওরঃ হ্যাঁ, ভাতের মাড়ে ভিটামিন এর উপস্থিত রয়েছে।
ভাতের মাড় খেলে কি উপকার হয়?
উওরঃ হ্যাঁ, ভাতের মাড় খেলে আপনি অনেক ধরনের উপকার পাবেন।
শেষ কথা ভাতের মাড়ের ক্ষতিকর দিক
প্রিয় পাঠক আশা করা যায় ভাতের মাড়ের ক্ষতিকর দিক ও ভাতের মাড় খেলে কি মোটা হওয়া যায় এই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত করে উপকৃত হয়েছেন। সত্যি যদি এই বিষয়গুলো জানার মধ্য দিয়ে আপনি উপকার পেয়ে থাকেন। তাহলে আপনার পরিবারের সদস্যদেরকে বলুন তারা যেন ভাতের মাড় সংরক্ষণ করে রাখে এবং সেটিকে খাবার হিসেবে গ্রহণ করে। পুরো তথ্যটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
এসএইচ নিউজস্টোরের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url