প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুন সেরা ৩০টি উপায়ে

অনলাইনের মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুন কিন্তু কিভাবে আয় করা সম্ভব। চিন্তার কোন কারণ নেই আপনি ঘরে বসে থেকে প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুন শুধুমাত্র প্রয়োজন হবে কম্পিউটার অথবা মোবাইল ফোন। এই দুটি ডিভাইস এর যেকোনো একটি ব্যবহার করার মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত ঘরে বসে থেকে আয় করুন। কিভাবে করবেন বিস্তারিত জানার জন্য পুরো আর্টিকেল পড়ে নেন।
প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুন অসাধারণ ৩০টি উপায়ে
পোস্টসূচিপত্রঃআমরা সকলেই জীবন ধারণের জন্য টাকা ইনকাম করতে চাই। আপনারও যদি টাকা ইনকামের প্রতি আগ্রহ জাগে তাহলে অনলাইনের মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুন এর জন্য কোনো ধরনের ইনভেস্টের প্রয়োজন হবে না। শুধু প্রয়োজন হবে ডিভাইস, সময় আর ইন্টারনেট কানেকশন। তাই ঘরে বসে থেকে অনায়াসে হালকা পরিশ্রমের মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুন কম্পিউটার অথবা এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোনের মাধ্যমে।

    প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুন

    আপনি ঘরে বসে থেকে প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুন এবং কাঙ্ক্ষিত টাকা যদি আয় করতে চান। তাহলে আপনার জন্য জন্য শুভকামনা রইল। অবশ্যই অনলাইনের মাধ্যমে 4000 টাকা আয় করার জন্য পরিশ্রম ও সময়ের প্রয়োজন। আপনি যদি প্রতি সপ্তাহে ৪ হাজার টাকা করে আয় করেন তাহলে প্রতি মাসে ১৬ হাজার টাকা হয়। যা আমাদের অনেকেরই প্রেক্ষাপটে প্রতি মাসের সাংসারিক খরচ।

    মাসে যদি ৪ হাজার টাকা আয় করতে চান তাহলে যে সকল সেক্টর থেকে আয় করতে পারেন। তা হলো ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে, ব্যবসায়ের মাধ্যমে, ফেসবুক পেজ বা ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে মোট চারটি সেক্টর রয়েছে। যার মধ্যে তিনটি সেক্টর হচ্ছে অনলাইনের মাধ্যমে আয় এবং একটি সেক্টর হচ্ছে ব্যবসায়ের মাধ্যমে আয়।

    আপনি যেই সেক্টর এর মাধ্যমে আয় করেন না কেন কঠোর পরিশ্রম ও ধৈর্য শক্তি অবধারিতো। প্রতি মাসে ১৬ হাজার টাকার উপরে অথবা প্রতি সপ্তাহে ৪ হাজার টাকা আয় করার জন্য ৪টি সেক্টর এর মধ্যে একটি সেক্টর বেছে নিতে পারেন। সেই সেক্টর এর মধ্যে থেকে যেকোনো একটি কাজ বেছে নিয়ে তার উপরে দক্ষতা অর্জন করুন।

    আর সেখানে বেশি বেশি সময় দিন। সেই কাজের উপরে এমন ভাবে দক্ষতা অর্জন করুন যেন। প্রতি সপ্তায় ৪ হাজার টাকা বা তার অধিক পর্যন্ত আয় করা যায়। অবশ্যই মনে রাখবেন পরিশ্রম ছাড়া কোনো কিছু লক্ষ্যে পৌঁছানো প্রায় অসম্ভব। তাহলে চলুন জেনে আসি প্রতি সপ্তাহে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করার কিছু সেক্টর ও উপায় গুলো সম্পর্কে।

    ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুন

    ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা আয় করা খুব একটা কঠিন বিষয় না। তবে আপনি যখন ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর এ নতুন থাকবেন তখন সেটা আপনার জন্য একটু কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। কারণ ফ্রিল্যান্সিং এ আয় করার জন্য প্রয়োজন অভিজ্ঞতা বা দক্ষতা।

    যা ছাড়া ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে ইনকাম করা প্রায় অসম্ভব। আর দক্ষতা অর্জন করার জন্য পরিশ্রম ও প্র্যাকটিসের প্রয়োজন। আর প্র্যাক্টিস ও পরিশ্রম করার জন্য উপযুক্ত কাজটি বেছে নেওয়া প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আর এই জন্যই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের কিছু উপায় সম্পর্কে বলে দেওয়া হবে যা থেকে আপনি খুব সহজেই বেছে নিতে পারবেন।
    আপনার মনের মত বা পছন্দের কাজটি যার দ্বারাই প্রতি সপ্তাহে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। শুধু ৪০০০ টাকা নয় এর বেশিও অনেকে আয় করে। তাই আসুন জেনে নেই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের কিছু কাজ সম্পর্কে।

    লিড জেনারেশন

    অনেকে হয়তো লিড জেনারেশন এর নাম শুনে থাকবেন। এই কাজটি নতুনদের জন্য উপযোগী এবং জনপ্রিয়। লিড জেনারেশন এর কাজ হচ্ছে তথ্য ও উপাত্তগুলো সংগ্রহ করা। একটি উদাহরণ দিলে ভালো করে বুঝতে পারবেন। ধরেন একটি প্রতিষ্ঠান ফ্যান বিক্রি করার জন্য গড়ে উঠেছে। এখন ফ্যানগুলো সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে।

    এই ক্ষেত্রে লিড জেনারেশন মার্কেটিং এর কাজ করবে। সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে তাদের ফোন নাম্বার বা অন্যান্য তথ্য নেওয়ার মাধ্যমে তাদের সাথে যোগাযোগ করা যায়। এখন এখানে আপনার কাজ কোনটি আপনার কাজ হচ্ছে এই তথ্য উপাত্ত গুলো সংরক্ষণ করে নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে হস্তান্তর করা।

    যার বিনিময় হিসেবে তারা আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমাণে অর্থ দিয়ে থাকবে। এখন এই কাজ গুলো কোথায় পাওয়া যাবে। এ কাজ করার জন্য মার্কেটপ্লেস এর সাহায্য নিতে পারেন। যেখানে আপনি খুবই নির্ভরতার সাথে কাজ করার মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।

    আর্টিকেল রাইটিং

    আপনি যদি মনে করেন যে আমি ঘরে বসে থেকে শুধুমাত্র লিখে করে আয় করতে চাই। তাহলে বলবো এই উপায়টি আপনার জন্য গ্রহণযোগ্য হবে। বিভিন্ন কোম্পানি বা ওয়েবসাইট এর জন্য আর্টিকেল লেখার মাধ্যমে আয় করতে পারেন। তারা আপনাকে নির্দিষ্ট কোনো টপিক ধরিয়ে দিবে উক্ত টপিকের উপরে আপনাকে আর্টিকেল লিখে প্রদান করতে হবে।

    যদি আপনি নির্দিষ্ট কোনো ব্যাপারে লিখে আয় করতে চান তাহলে সেটা আগে থেকেই বলে নিতে হবে। একজন আর্টিকেল রাইটার এর অনেক বিষয়ে জ্ঞান থাকতে হয়। এমন ভাবে আর্টিকেল লিখতে হয় যেনো কোনো ব্যক্তি লেখা পড়ার মাধ্যমে বুঝতে পারে এবং উৎসাহিত হয়।

    এক কথায় আর্টিকেল লিখার মাধ্যমে মানুষের মনোযোগ কারতে হবে। এই বিষয়গুলো যদি আপনার মধ্যে অনুধাবন করতে পারেন। তাহলে বলবো আর্টিকেল লিখে প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা আয় করতে পারবেন। আর লিখে আয় করার জন্য মার্কেটপ্লেস থেকে কাজ নিতে পারেন।

    পোস্টার ডিজাইন

    যারা নতুন নতুন ফ্রিল্যান্সিং শিখতে বা কাজ করতে চাচ্ছেন। তাদের বলবো পোস্টার ডিজাইন এর মাধ্যমে নিজের যাত্রা শুরু করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে যত সহজ কাজ রয়েছে তার মধ্যে এটা একটা। এর কাজ হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের পোস্টার ডিজাইন করে সেটাকে অনলাইনে বিক্রি করা। এখন অনলাইনে বিক্রি করবেন কিভাবে।

    অনলাইনে বিক্রি করার জন্য নিজের ওয়েবসাইট খুলতে পারেন অথবা বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাটফর্ম বা ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে ডিজাইন সাবমিট করে বিক্রি করা যায়। আবার মার্কেটপ্লেস এর মাধ্যমেও অর্ডার নিয়ে তা কমপ্লিট করার মাধ্যমে আয় করতে পারেন। তাদের পছন্দ অনুযায়ী আপনাকে ধারনা দিবে সেই অনুযায়ী পোস্টার ডিজাইন করতে হবে।

    আর পোস্টার ডিজাইন এর কাজ শিখতে এক থেকে দুই সপ্তাহ সময় লাগে। আর শেখার জন্য ইউটিউব ভিডিও দেখে শিখতে পারেন। যে সফটওয়্যার দ্বারা শিখবেন তার নাম হচ্ছে এডোবি ইলাস্ট্রেটর। এই কাজটি করার মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহে অনায়াসে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।

    ইউটিউব থাম্বেল ডিজাইন

    অনেক ইউটিউবার রয়েছে যাদের ভিডিওগুলো অনেক সুন্দর হয়। কিন্তু থাম্বেল এর কারণে তাদের ভিডিওতে ভিউ হয় না। আর এজন্য অনেক ইউটিউবার তাদের থামবেলটি সুন্দর করে ডিজাইন করার জন্য ডিজাইনার হায়ার করে। এখন এই সুযোগটি আপনি কাজে লাগাতে পারেন।

    এখানে কাজের চাহিদা অনেক বেশি। প্রতিযোগিতা তুলনা মূলক একটু কম রয়েছে। এই কাজের মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব। তবে আয় করার জন্য কাজটি শিখতে হবে। অনেকের ধারণা এই কাজ না শিখেও করা যায়।

    কিন্তু না শিখে করলে বেশি দিন আয় করতে পারবেন না। কয়েকটি কাজ করার পরে যখন খারাপ রেটিং পড়বে। তখন আপনার কাজ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এজন্য ইউটিউব এ বিভিন্ন ধরনের ভিডিও আছে যার মাধ্যমে থাম্বেল ডিজাইন শিখতে পারবেন। আর মার্কেটপ্লেস থেকে কাজ নিয়ে আয় করতে পারবেন।

    ভাষা ট্রান্সলেট

    এই কাজটি অনেকের জন্য কঠিন হতে চলেছে। কারণ একাধিক ভাষা আয়ত্ত করা কঠিন বিষয়। এই কাজ শুধুমাত্র তাদের জন্য যারা একাধিক ভাষা নিজের আয়ত্তে রেখেছে। তারা এক ভাষা থেকে আরেক ভাষায় ট্রান্সলেট করার মাধ্যমে আয় করতে পারেন। বর্তমান সময়ে কাজের চাহিদা অনেক বেশি।

    আবার অনেকের কাজটির প্রতি আগ্রহ রয়েছে কিন্তু একাধিক ভাষা জানা নেই। তারা একাধিক ভাষা শিখে তারপরে আয় করতে পারেন। এই কাজটি করার মাধ্যমে সপ্তাহে সাত দিনের মধ্যে 4000 টাকা আয় করতে পারবেন। এখন কোথায় ভাষা ট্রান্সলেট করে আয় করতে পারেন।

    এর জন্য মার্কেটপ্লেস এ একাউন্ট খুলে সেখানে কাজের উপর পোর্টফোলিও তৈরির মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। আবার অনেক ধরনের এজেন্সি রয়েছে যারা ভাষা ট্রান্সলেটর খুঁজে থাকে। তাদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েও টাকা ইনকাম করতে পারেন।

    ব্লগিং করে আয়

    যারা মনে করছেন ঘরে বসে থেকে মানুষকে তথ্য প্রদানের মাধ্যমে আয় করবো কিন্তু এটা কিভাবে সম্ভব। আপনার জেনে খুশি হবেন যে ব্লগিং এর মাধ্যমে ঘরে বসে থেকে তথ্য প্রদান করে আয় করা যায়। শুধু প্রয়োজন হবে ডোমেইন আর ওয়েবসাইট।

    তাহলেই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে লিখে মানুষের কাছে তথ্য পৌঁছাতে পারবেন। কিন্তু তথ্য এমন ভাবে লিখতে হবে যাতে করে মানুষ কাঙ্খিত বিষয়গুলো পড়ার মাধ্যমে বুঝতে পারে। নিজের ভেতর থেকে যত নতুনত্ব উপস্থাপন করতে পারবেন ততই আপনার আর্টিকেল এর গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে।

    আর ততই আপনার আয়ও বাড়বে। তাই আপনি যদি লিখতে ভালোবাসেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান থাকে তাহলে আজ থেকেই ব্লগিং শুরু করে দিতে পারেন। আর প্রতি সপ্তাহে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন। ব্লগিং করে এর বেশিও আয় করা অসম্ভব কিছু নয়।

    ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট

    আপনারা তো দেখেই থাকবেন বিভিন্ন বড় বড় ব্যক্তির পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট থাকে। কিন্তু স্বাভাবিক ভাবে তারা সরাসরি তাদের সাথে কথা বলতে পারে এবং মত বিনিময় করতে পারে। কিন্তু ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট এর ক্ষেত্রে পুরো উল্টো আপনার মত বিনিময় করতে হলে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হবে।

    অনেক ব্যক্তি তাদের কাজের ব্যস্ততার কারণে সবকিছু দেখাশোনা করতে পারে না। আর সেই জন্য সবকিছু দেখাশোনা করার জন্য অ্যাসিস্ট্যান্ট খুঁজে যে তার সবকিছু ইন্টারনেটের সাহায্যে পর্যবেক্ষণ করতে পারবে। আর এই কাজের চাহিদা দিন দিন বেড়ে চলেছে।

    তাই আপনি যদি মনে করেন যে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে যুক্ত হয়ে প্রতি সপ্তাহে ৪ হাজার টাকা আয় করবো। তাহলে আপনি ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু কোথায় থেকে কাজ পাওয়া যাবে। এর জন্য মার্কেটপ্লেস এর প্রয়োজন হবে। মার্কেটপ্লেস এ বিভিন্ন ব্যক্তি তাদের এসিস্ট্যান্ট খুজে থাকে।

    ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ও ডিজাইন

    ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট ও ডিজাইন এরা একে অপরের সাথে জড়িত। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় একটি মানুষের কঙ্কাল হচ্ছে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং তার গঠন হচ্ছে ওয়েব ডিজাইন। ডেভেলপমেন্ট ও ডিজাইন দুটো একত্রিত করেই মূলত ওয়েবসাইট তৈরি হয়। আপনি এখন যে আর্টিকেলটি পড়ছেন কার মাধ্যমে পড়ছেন তা কি জানেন।

    যদি ধারণা করে থাকেন একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পড়ছেন তাহলে আপনার ধারণাটি সঠিক। আর মূলত একটি ওয়েবসাইট তৈরি হয় প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ যা প্রোগ্রামিং ভাষা হিসেবে পরিচিত। এত কিছু শোনার পরে নিশ্চয়ই মনে হচ্ছে কাজটি অনেক কঠিন।

    হ্যাঁ অন্য সকল কাজের থেকে এ কাজটি একটু কঠিন। কিন্তু এই কাজ করার মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহে ৪ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন তাও আবার শুরুর দিকে। আস্তে আস্তে যত অভিজ্ঞতা বাড়বে এর থেকে বেশি আয় করতে পারবেন। তাই এই কাজের সময় দেওয়ার আগে অবশ্যই ভেবে নিবেন যে আপনার কঠোর পরিশ্রম করার চাহিদা ও ধৈর্য শক্তি রয়েছে কিনা।

    ছবি তুলে আয় করুন

    অনেকে হয়তো শুনে অবাক হচ্ছেন ছবি তুলে আবার কিভাবে আয় করা যায়। আবার অনেকেই হয়তো জানেন যে ছবি তুলে আয় করা যায় কিন্তু কিভাবে আয় করা যায় তা জানেন না। আপনার ফটোগ্রাফি করতে অনেক ভালো লাগে। সেটা ফোনের অথবা ডিএসএলআর ক্যামেরার মাধ্যমেই হোক না কেন ছবি তুলতে আপনার ভালো লাগে। আপনি শখের উপরে ভিত্তি করে ছবিগুলো তুলে থাকেন।

    কিন্তু এই ছবিগুলো বিক্রি করেও যে আয় করা যায় সেটি হয়তো জানেন না। অনেক ওয়েবসাইট আছে যে সাইট গুলোতে একটি নির্ধারিত দাম বসিয়ে আপলোড করে দিতে পারেন। সেই আপলোডকৃত ছবি যার ভালো লাগবে নির্ধারিত দামে সে কিনে নিবে। তাহলে চলুন জেনে আসি এমন ৫টি ওয়েবসাইটের নাম যেখানে ছবি বিক্রি করে আয় করা যায়।
    • Shutterstock
    • Freepik
    • Adobe stock
    • Istock
    • Stocksy

    ভিডিও এডিটিং এর মাধ্যমে আয়

    আপনাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা ভিডিও এডিট করতে খুব ভালোবাসে এবং পছন্দ করে। এই ভালোবাসা বা শককে যদি পেশাতে পরিণত করা যায় তাহলে কেমন হয়। জেনে রাখা ভালো ভিডিও এডিটিং করে কিন্তু প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা যায়। অনেক প্রফেশনাল ভিডিও এডিটররা এর থেকে বেশি ইনকাম করে।

    আপনিও যদি মনে করেন যে আপনার শখকে পেশা হিসেবে বেছে নিবেন তাহলে বলবো যথাযথ সিদ্ধান্ত হয়েছে। কারণ যে বিষয়ের উপরে যত বেশি আগ্রহ থাকবে সেই বিষয়টিতে কাজ করতে তত বেশি মজা পাওয়া যাবে। কিন্তু ভিডিও এডিটিং কাজ করার আগে তার উপরে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। তা না হলে কেউ আপনাকে কাজ দিতে চাইবে না।

    সব জায়গায় দক্ষতা সম্পন্ন ব্যক্তিকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়। তাই দক্ষতা অর্জন করুন। আর এই কাজগুলো কোথায় পাওয়া যাবে। কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন নেই শুধু মার্কেটপ্লেস এ অ্যাকাউন্ট খুলে সেখান থেকে আয় করুন।

    কন্ঠ দেওয়ার মাধ্যমে আয়

    অনেকে হয়তো বলবেন কণ্ঠ দেওয়ার মাধ্যমে আবার কিভাবে আয় করা যায়। আপনারা শুনে অবাক হবেন যে শুধুমাত্র কন্ঠ দিয়েই প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করা যায়। শুনে হয়তো আরো অবাক হবেন প্রতি মাসে অনেকে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করে। কিন্তু কথা বলার মত কনফিডেন্স এবং কথা বলার দক্ষতা ও মাধুর্যতা থাকতে হবে।

    আপনি যদি সুন্দরভাবে গুছিয়ে এবং বুঝিয়ে কথা বলতে পারেন তাহলে কোনো শারীরিক পরিশ্রম ছাড়াই ঘরে বসে থেকে কাঙ্খিত টাকা উপার্জন করতে পারবেন। কিন্তু কন্ঠটা দিতে হবে কোথায়। এটা একটা মূল্যবান প্রশ্ন আপনারা হয়তো দেখবেন বিভিন্ন ধরনের ইউটিউব বা ফেসবুক ভিডিও দেখা যায়।

    ভিডিও দেখছেন কিন্তু বুঝতে পারছেন না তার ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে কে যেন কথা বলছে। আবার অনেক ভিডিওতে দেখা যায় যে কেউ একজন অ্যাক্টিং করছে কিন্তু কন্ঠ আরেকজন দিচ্ছে। কোনো একটা ভিডিওর ইনট্রোর সময় কেউ একজন সংক্ষিপ্ত আকারে বিষয়গুলো তুলে ধরছে। এভাবে করে কণ্ঠ দেওয়ার মাধ্যমে আয় করা যায়।

    ব্যবসায়ের মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুন

    ব্যবসায়ের এর ক্ষেত্রটি প্রাচীন আমল থেকেই চলে আসছে। যার মাধ্যমে স্বাধীনভাবে টাকা আয় করা যায়। কিন্তু ব্যবসা করতে টাকা ইনভেস্ট এর প্রয়োজন হয়। যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে টাকা না থাকে তাহলে ব্যবসা করা যায় না। কিন্তু কম টাকার মধ্যেও ব্যবসা করা যায়। আজকে এমন ব্যবসা এর আইডিয়া বলে দিবো যেখানে ইনভেস্ট এর প্রয়োজন হবে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা।

    এই কিছু টাকা ইনভেস্টের মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। আবার যদি ব্যবসাটিকে বড় করতে পারেন তাহলে প্রতি সপ্তাহে এর থেকে অধিক আয় করতে পারবেন। অনেকে হয়তো বলতে পারেন এত কম টাকার মধ্যে ব্যবসা করা কি সম্ভব। সম্ভব হবে যদি আপনার ইচ্ছা ও চাহিদা শক্তি থাকে।

    কিন্তু এমন কিছু ব্যবসায়ের নাম বলে দেওয়া হবে যেগুলো করতে হয়তো অনেকেই অনীহা করতে পারেন। কারণ অনেকেই মনে করেন এই ব্যবসাগুলো আমার জন্য নয়। কিন্তু জেনে রাখা ভালো কোনো কাজের মধ্যে ছোট বড় নেই। আপনি চাইলেই সেই কাজটি করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। তাহলে আসুন জেনে নেই প্রতি সপ্তাহে ৪ হাজার টাকা আয় করার জন্য কোন ব্যবসা গুলো উপযোগী হবে।

    টি স্টল বা চায়ের দোকান

    চায়ের দোকানে নাম শুনে হয়তো অনেকেই মুখ ফিরিয়ে নেবেন। যদি বলা হয় একজন চায়ের দোকানদার চা বিক্রি করে অনেক চাকরিজীবী থেকেও বেশি আয় করে। তাহলে হয়তো অনেকেই বিশ্বাস করবেন না।

    কিন্তু আপনি খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন একজন চায়ের দোকানদার কত টাকা ইনকাম করে। অনেক চায়ের দোকানদার রয়েছে প্রতি সপ্তাহে ৪ থেকে ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করে। তাই এই ব্যবসাকে ছোট না মনে করে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার মধ্যে ব্যবসায় শুরু করে দিতে পারেন।

    সবজি বিক্রেতা

    এই নামটিও শুনেও হয়তো অনেকেই মুখ ফিরিয়ে নিতে পারেন। কিন্তু একজন সবজি বিক্রেতাও প্রতি সপ্তাহে চার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারে। এই ব্যবসাটি করতে ১০ হাজার টাকার বেশি খরচ হবে না। খুবই অল্প টাকা ইনভেস্টের মাধ্যমে এ ব্যবসা শুরু করতে পারেন। ভ্যানে অথবা কোন বাজারে বসে থেকে সবজি বিক্রি করুন।

    রিচার্জ এর দোকান

    আপনারা হয়তো বলবেন ইন্টারনেটের যুগে তেমন একটা মানুষের রিচার্জের প্রয়োজন হয় না। এটি করে প্রতি সপ্তাহে ৪ হাজার টাকা কিভাবে উপার্জন করবো। শুধু রিচার্জ নয় রিচার্জ এর পাশাপাশি মানি ট্রান্সফার হিসেবেও বিকাশ, নগদ, উপায়, রকেট টাকা রাখতে পারেন। মানুষ এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় মানি ট্রান্সফার প্রতিনিয়ত করে থাকে। এই জন্য এই মাধ্যম এবং রিচার্জ রাখবেন। এই ব্যবসাটি করার জন্য ১৫ হাজার টাকায় যথেষ্ট হবে।

    ঠান্ডা শরবত বিক্রি

    মানুষ গরম এর সময় পরিশ্রম করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তখন তাদের তৃষ্ণার আকাঙ্খায় এক গ্লাস ঠান্ডা শরবত খেতে ইচ্ছে করে। এখন এই আকাঙ্ক্ষার বসে তারা ঠান্ডা শরবত ক্রয় করেও খেতে প্রস্তুত থাকে। তাই আপনি জনসমাগম কোনো জায়গায় বা বাজার অথবা কোন এলাকার মোড়ের উপর ঠান্ডা শরবত বিক্রি করতে পারেন।

    হয়তো শরবত বিক্রি করার জন্য একটি ভ্যান এর প্রয়োজন হবে এবং পানি ঠান্ডা রাখার জন্য পানির পাত্রের প্রয়োজন হবে। আর কয়েকটি গ্লাস এর সাথে ঠান্ডা শরবত বানানোর উপকরণ নিলেই যথেষ্ট। এই সব কিছু ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার মধ্যেই হয়ে যাবে। শরবত বিক্রি করার মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুন।

    টিউশনি পড়ানো

    অনেকেই অধিক সম্মানজনক পেশা খোঁজে কিন্তু সম্মানজনক পেশার জন্যেও ইনভেস্ট প্রয়োজন হয়। টিউশনি করানোর জন্য একটি রুম এবং বেঞ্চ ও বোর্ডের। সব মিলিয়ে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার মধ্যে হয়ে যায়। বর্তমান সময়ে টিউশনি খুবই জনপ্রিয়। এটার মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহে চার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আবার আপনি চাইলে টিউশনি করানোর ভিডিও গুলো রেকর্ড করে সেগুলো ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে পাবলিশ করার মাধ্যমে আয় করতে পারেন।

    দর্জির দোকান

    দর্জির কাজ মেয়ে ও ছেলে উভয় করতে পারে। মানুষের প্রতিনিয়ত কাপড় পরিধানের প্রয়োজন হয়। আর এরই পেরিপেক্ষিতে প্রতিনিয়ত মানুষ কাপড় দিয়ে বিভিন্ন ধরনের পোশাক বানিয়ে থাকে। আপনি এই পোশাক বানিয়ে প্রতি সপ্তাহে ৪০০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

    শুধু প্রয়োজন হবে একটি সেলাই মেশিন এবং সুতা তাহলেই কাজ শুরু করতে পারবেন। এই ব্যবসা করার জন্য ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার বেশি লাগবে না। তাই কাঙ্খিত অর্থ উপার্জনের জন্য এই পেশাটি বেছে নিতে পারেন।

    কাপড় আয়রনের দোকান

    প্রতিনিয়ত মানুষের যেমন কাপড় পরিধানের প্রয়োজন হয় ঠিক তেমনি কাপড়টি মার্জিত রাখার জন্য আয়রনের প্রয়োজন হয়। আর সবাই তো বাসাতে কাপড় মার্জিত রাখার জন্য আয়রন ব্যবহার করে না। তারা সুন্দরভাবে কাপড়টি আয়রন করার জন্য কাপড় আয়রনের দোকানে যান।

    তাই আপনি কাপড়ের আয়রনের দোকান দেওয়ার মাধ্যমে ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। এই ব্যবসা করার মাধ্যমে সপ্তাহে সাত দিনের মধ্যেই 4000 টাকা উপার্জন করতে পারবেন। তাই একটি আইরন কিনে ব্যবসা শুরু করুন।

    তেলে ভাজা জিনিসের দোকান

    বেশিভাগ মানুষ তেলে ভাজা জিনিস খেতে পছন্দ করে। বিশেষ করে আলুর চপ, পিঁয়াজি, রসুনের চপ, বেগুনি ইত্যাদি। এই সকল জিনিস খেতে এতটাই পছন্দ করে যে দোকানের সামনে ভিড় জমে যায়। আপনিও যদি একটি দোকান অথবা ভ্যানে বিভিন্ন ধরনের তেলে ভাজা জিনিস রেখে বিক্রি করতে পারেন। তাহলে সাপ্তাহিক ৪০০০ টাকা আয় করা কোনো ব্যাপার হবে না। তবে অবশ্যই যেখানে মানুষ বেশি জড়ো হয় বা জমা হয় সেখানেই দোকান বা ভ্যানটি বসান।

    ফুচকার ব্যবসা

    এই ব্যবসাটির সাথে পরিচিত নয় এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া আসলেই কষ্টকর। অনেকে হয়তো এই ব্যবসাটি করতে অপছন্দ করতে পারেন। তবে যদি শুনেন যে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকার অধিক আয় করা সম্ভব। তাহলে হয়তো অনেকেই ব্যবসাটি পছন্দ করবেন।

    দেখুন কোনো কাজের মধ্যে ছোট বড় নেই। যদি সেই কাজটি হালাল হয়ে থাকে। হালাল কাজ সবসময়ই উত্তম হয়। তাই খুবই অল্প টাকার মধ্যে ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন। প্রতি সপ্তাহে ৪ হাজার টাকার অধিক পর্যন্ত ইনকাম বা আয় সম্ভব।

    রাস্তার পাশে ফাস্টফুড

    বর্তমানে মানুষের ফাস্টফুড এর প্রতি এতটাই চাহিদা যে অনেক ব্যবসায়ীরা দিয়ে সারতে পারে না। শুধু ফাস্টফুড এর দোকান দিতে একটি ভ্যান ও খাবারের সামগ্রী প্রয়োজন হবে। আর এটা ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার মধ্যেই কমপ্লিট করে ফেলতে পারবেন।

    ফাস্টফুড বলতে বার্গার, চটপটি, হালিম আরো বিভিন্ন ধরনের খাবার। এই খাবারগুলো বিক্রি করার মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহে চার হাজার টাকা খুব সহজে ইনকাম করতে পারবেন। তাহলে আর দেরি না করে কোনো পার্কের সামনে অথবা কোনো মোড়ের সামনে ভ্যান এর দোকান দিয়ে বসে যান।

    পান সুপারির দোকান

    আপনি যদি গ্রামগঞ্জে বসবাস করেন তাহলে বলবো পান সুপারির ব্যবসা আপনার জন্য উপযোগী হবে। গ্রামের দিকে মানুষের বেশি পান সুপারিশ প্রতি চাহিদা থাকে। আপনি যদি মনে করেন পান বিক্রির মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহে চার হাজার টাকা উপার্জন করব তাহলে সম্ভব।

    এমন ব্যক্তি রয়েছে এর বেশিও আয় করে। তাই কোনো উপযুক্ত স্থান বাছাই করুন যেখানে মানুষের ভিড় লেগে থাকে এবং সেখানের মানুষ পান খেতে বেশি ভালোবাসে ও পছন্দ করে। তারপরে সেখানে ছোট একটি পান সুপারির দোকান বসিয়ে দিন।

    অনলাইনে বই বিক্রি

    অনলাইনের মাধ্যমে বই বিক্রি করে প্রতি সপ্তাহে চার হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন। শুধু প্রয়োজন হবে বই বিক্রি করার পারদর্শিতা এবং অনলাইনে বই বিক্রি করার সঠিক মাধ্যম। আর সেই মাধ্যমটি হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন ফেসবুক।

    অনেকেই পুরাতন ও নতুন বই ফেসবুকের মাধ্যমে বিক্রি করে থাকে। তাই আপনিও এই ব্যবসাটি করতে পারেন। কারণ সবার নতুন বই কেনার মত সক্ষমতা থাকে না। তখন তারা পুরাতন বই কেনার জন্য খোঁজ করে।

    ইউটিউব চ্যানেল খুলে প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুন

    হ্যাঁ আপনি ঠিক পড়েছেন ইউটিউব চ্যানেল এর মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা আয় করতে পারবেন। অনেকে একটি চ্যানেল এর মাধ্যমে এর থেকেও বেশি আয় করে থাকে। জেনে হয়তো আরো অবাক হবেন যে এমন ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া অসম্ভব নয়। যারা প্রতি মাসে ইউটিউব এর মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করে।

    তাই আপনার যদি মনে আকাঙ্ক্ষা জাগে যে আমিও ইউটিউবের মাধ্যমে আয় করবো। তাহলে বলবো কঠোর পরিশ্রম ও ধৈর্যশক্তির প্রয়োজন হবে। কারণ ইউটিউবে সফলতা পাওয়ার জন্য প্রচুর সময় ইনভেস্ট করতে হয়। সাথে রয়েছে কঠোর পরিশ্রম এবং অকুল ধৈর্য। ইউটিউব এর মাধ্যমে কাঙ্খিত টাকা উপার্জন করার জন্য এক বছর পর্যন্ত সময় লাগে।

    অনেকের এর বেশিও লাগতে পারে আবার কমও লাগতে পারে। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে ইনকাম করার জন্যেও ধৈর্য ও পরিশ্রম প্রয়োজন হবে। আপনি ইউটিউব এর মাধ্যমে বিনোদনমূলক ভিডিও, শিক্ষামূলক ভিডিও, বিভিন্ন ভ্রমণ বিষয়ক ভিডিও, বিভিন্ন ধরনের টিপস এবং ট্রিকস এর ভিডিও, যেকোনো ধরনের সমস্যার সমাধান এর ভিডিও এবং খাবারের ভিডিও করেও আয় করতে পারেন।

    আরও অনেক ধরনের ইউটিউবে কাজ রয়েছে যেগুলো করে আয় করতে পারবেন। তবে ইউটিউব এর মাধ্যমে আয় করার জন্য একটি চ্যানেল তৈরি করতে হবে। যেখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের ভিডিও আপলোড করবেন। হয়তোবা প্রথমের দিকে ভিডিওতে ভিউ কম আসবে কিন্তু সময়ের সাথে সাথে বর্ধিত হতে থাকবে। একদিনে কোনো কিছু সম্ভব নয়।

    একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করার জন্য জিমেইল অ্যাকাউন্টের প্রয়োজন হবে। তারপরে নিজে নিজে ভিডিও তৈরি করে সেগুলোকে একটি ইডিটের মাধ্যমে ইউটিউবে ছেড়ে দিতে হবে। প্রতিদিন কমপক্ষে একটি করে ভিডিও ছাড়বেন। ভিডিওগুলোতে ভিউ আসুক আর না আসুক সেটি দেখার বিষয় নয়। আপনি ভিডিও ছেড়ে যাবেন এবং বোঝার চেষ্টা করবেন কোন বিষয়গুলোতে ভুল হয়েছে।

    তারপরে সেই বিষয়গুলো সংশোধন করার চেষ্টা করুন। আর অবশ্যই কারো ভিডিও নিজের ভিডিও বলে চালিয়ে দিবেন না। তারপরে একটি কাঙ্খিত সময় আসবে যখন ইউটিউব থেকে উপার্জন করতে পারবেন। এই জন্য আপনার যদি কোনো বিষয়ের ভিডিও বানানোর আগ্রহ থাকে। তাহলে ইউটিউব এর মাধ্যমে আপলোড করে আয় করতে পারেন।

    ফেসবুক পেজ খুলে প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুন

    আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা একদিন ফেসবুকে না ঢুকলে ভালো লাগে না। ফেসবুক ছাড়া যেন জীবন অপরিণত। তাই ফেসবুক ব্যবহারকারী জন্য খুশির খবর হচ্ছে। আপনারা ফেসবুক পেজ খুলে প্রতি সপ্তাহে ৪০০০ টাকা আয় করতে পারবেন।

    কিভাবে ফেসবুক পেজ এর মাধ্যমে প্রতি সপ্তায় চার হাজার টাকা ইনকাম করা সম্ভব। ইউটিউবের মতো ফেসবুকেও ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে ইনকাম করা যায়। শুধু আপলোড নয় ফেসবুক পেজের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট বা পণ্য বিক্রি করেও আয় করতে পারেন।

    এই জন্য ফেসবুক শুধু যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার হয় না এখান থেকে আয়ও করা যায়। অনেক ব্যক্তি রয়েছে যারা ফেসবুক পেজের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করে। তাই আজ একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করে সেটাকে আয় এর মাধ্যম হিসেবে বেছে নিতে পারেন।

    অ্যাড দেখার মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুন

    আপনি কি জানেন প্রতি সপ্তাহে অ্যাড দেখার মাধ্যমে 4000 টাকা আয় করা যেতে পারে। হয়তো বা চার হাজার টাকা প্রতি সপ্তাহে অ্যাড দেখে আয় করে একটু কষ্টকর হয়ে যায়। কিন্তু প্রতি সপ্তাহে তিন হাজার টাকা আয় করতে পারবেন শুধুমাত্র অ্যাড দেখার মাধ্যমে।

    তাই আপনি যদি মনে করেন যে আমি ঘরে বসে থেকে শুধু অ্যাড দেখেই 4000 টাকা ইনকাম করব তাহলে পারবেন। চলেন জেনে আসি এমন কিছু অ্যাপ বা ওয়েবসাইট যার মাধ্যমে ঘরে বসে থেকে চার হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।
    • Inboxdollars
    • Swagbucks
    • Ysense
    • PrizeRebel
    • MyPoints

    সপ্তাহে 4000 টাকা আয় করার জন্য কি কি প্রয়োজন

    ফেসবুকে প্রতি সপ্তাহে ৪ হাজার টাকা আয় করার জন্য কিছু জিনিসের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। যেগুলো ছাড়া অনেকেই হয়তো 4000 টাকা আয় করতে পারবেন না। তাই আসুন কোন সেই সকল জিনিস যার মাধ্যমে নির্ধারিত অর্থ উপার্জন করা যাবে।
    • সর্বপ্রথম ধৈর্য শক্তি ও কঠোর পরিশ্রম প্রয়োজন হবে।
    • যেই কাজটি শিখছেন তার উপর যথাযথ সময় দিতে হবে।
    • নিজের লক্ষ্যকে স্থির রাখুন এবং সামনের দিকে এগিয়ে জান।
    • যেই কাজটি বাছাই করেছেন শেখার জন্য সেই কাজ শেখার উপর আগ্রহ থাকতে হবে।
    • নিজেকে প্রতিনিয়ত কাজ শেখার মাধ্যমে উন্নত করে তুলতে হবে।
    • কাজ শেখার সময় প্রথম ৬ মাস টাকার আয়ের কথা চিন্তা করা যাবে না।
    • কাজ শেখার সময় মনোযোগ স্থির রাখতে হবে এবং বিশ্বাসের সাথে কাজ শিখে যেতে হবে। যে ইনশাআল্লাহ একসময় সফলতা আসবে।
    • এগুলো বিষয়ের পাশাপাশি আরো অনেক বিষয় রয়েছে যেগুলো কাজ শেখার সময় আপনারা নিজে নিজে আয়ত্ত করে নিতে পারবেন। তাই নতুন করে আর উল্লেখ করা হলো না।

    উপসংহার

    পরিশেষে বলা যায় প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা আয় করা কঠিন কোনো বিষয় নয়। কিন্তু আবার অনেকের জন্য এটি কঠিন বিষয়। কারণ যেই মাধ্যমগুলো উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলো যদি কারো অজানা থাকে। তাহলে তার পক্ষে প্রতি সপ্তাহে চার হাজার টাকা আয় করা খুব কঠিন না হলেও একটু কঠিন হতে পারে।

    আবার অজানা থাকলেও এটি সহজ করার উপায় হচ্ছে কঠোর পরিশ্রম ও ধৈর্য শক্তি এই দুটির সংমিশ্রণে সফলতা পাওয়া সম্ভব। তাই যদি কেউ শুধু ৪০০০ টাকা নয় এর থেকে অধিক ইনকাম করতে চান এবং সেই বিষয়ে সফলতা পেতে চান। তাহলে নিজেকে স্থির রাখুন এবং সামনের দিকে এগিয়ে যান। তাহলেই দেখবেন সফলতা একদিন আপনার কাছে এসে ধরা দিবে।

    শেষ কথাঃ আশা করা যায় প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুন বা করবেন কিভাবে তা জেনে নিয়েছেন। যদি সত্যি সেই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ার মাধ্যমে জেনে থাকেন। তাহলে আপনার পাশে থাকা বন্ধু এবং আশেপাশে থাকা প্রতিবেশীদের সেই সম্পর্কে অবগত করুন। যেন তারাও এই উপায় গুলো পড়ার মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহে চার হাজার টাকা আয় করতে পারে। পুরো তথ্যটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

    এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

    পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
    এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

    এসএইচ নিউজস্টোরের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

    comment url