শিক্ষার্থীদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট
আপনি যদি একজন শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন। আর যদি শিক্ষার্থীদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানার জন্য আগ্রহী হয়ে থাকেন। আবার ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানার জন্য এদিক ওদিক খোঁজাখুঁজি করে থাকেন। তাহলে বলবো খোঁজাখুঁজি বন্ধ করে। শিক্ষার্থীদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ার মাধ্যমে জেনে নিতে পারেন। এর পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং এবং ওয়েবসাইট বিষয়ে আরো কিছু জানতে পারবেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃশুধুমাত্র ওয়েবসাইট এর বিষয়ে জানলে হবে না। এর পাশাপাশি ওয়েবসাইটের ভেতরে কত ধরনের ফ্রিল্যান্সিং কাজ রয়েছে তা জানতে হবে। যা নতুনদের জন্য খুবই উপযোগী এবং ভালো হবে।
ভূমিকা
আজ থেকে কিছু বছর আগেও ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট বা মার্কেটপ্লেস এ প্রতিযোগিতার হার কম ছিল। বিশেষ করে ২০১৫ সালের আগে, এরপর থেকে মার্কেটপ্লেস গুলোতে প্রতিযোগিতা বাড়তে শুরু করে।
বাড়ার জন্য উল্লেখযোগ্য কয়েকটি কারণের মধ্যে একটি কারণ হচ্ছে এখানে কোনো বিনিয়োগ করতে হয় না এবং ঘরে বসে থেকে ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটারের মাধ্যমে আয় করা যায়। বর্তমান সময়ে শিক্ষার্থীরা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজ করতে চাই।
কারণ তারা পড়াশোনার পাশাপাশি টাকা উপার্জন করতে চাই। আর আমরা এটাকে সম্মান করি। কারণ বেকার সময়কে কাজে লাগানোর মাধ্যমে কিছু করা যেতে পারে।
তাই যে সকল শিক্ষার্থীদের ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট সম্পর্কে তেমন কোনো ধারণা নেই এবং ওয়েবসাইটে এর মাধ্যমে কোন কাজগুলো করা যায় বা পাওয়া যায় তা জানা নেই। যদি না জানা থাকে কোন সমস্যা নেই। অবশ্যই এখান থেকে বিস্তারিত পড়ার মাধ্যমে জানতে পারবেন ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট সম্পর্কে।
শিক্ষার্থীদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট এর কাজ কি
শিক্ষার্থী এবং সাধারণ মানুষ সকলের জন্যই ওয়েবসাইটে কাজ রয়েছে। বর্তমান সময়ে ওয়েবসাইটগুলোতে কাজের প্রতিযোগিতা এবং চাহিদা বেড়েছে। বিশেষ করে বাছাইকৃত কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলোতে কাজের চাহিদা তুলনা মূলক অনেক বেশি। শুধু কাজের চাহিদা না এই সাইটগুলোতে প্রতিযোগিতা প্রচুর পরিমাণে রয়েছে।
এই সাইটে নতুনদেরও সুযোগ দেওয়া হয়। তবে সেটা দক্ষতার বিচার করার মাধ্যমে। আপনার যদি কোনো কাজের প্রতি দক্ষতা না থাকে তাহলে সাইটগুলো থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন না। শুধু তাই নয় কাজের দক্ষতার পাশাপাশি ওয়েবসাইট সম্পর্কেও যথাযথ জ্ঞান থাকতে হবে।
যেমন ওয়েবসাইট থেকে কিভাবে কাজ পাওয়া যায় এবং কোন কাজ করার মাধ্যমে নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে যুক্ত হওয়া যায় আরো ইত্যাদি। তাই আপনি যদি নতুন হয়ে থাকেন তাহলে ওয়েবসাইট সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান আহরণ করুন।
তা না হলে খুবই অল্প সময়ের মধ্যে কাজ না পেয়ে হতাশ হয়ে যাবেন। কারণ ঘরে বসে আয় করার জন্য মানুষ এখন ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর কে বেছে নিচ্ছে। তাই দিন যত যাচ্ছে ওয়েবসাইট গুলোতে কম্পিটিশন বা প্রতিযোগিতা বেড়ে চলেছে।
শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় সেরা ওয়েবসাইট বা মার্কেটপ্লেস এর নাম
অবশ্যই শিক্ষার্থীদের কাজ করার জন্য সেরা মার্কেটপ্লেস বা ওয়েবসাইট এর নাম জানতে হবে। কারণ যারা নতুন ভাবে ফ্রিল্যান্সিং কাজের সাথে যুক্ত হতে চান তারা যে কোনো মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে পারবেন না। এর কারণ হচ্ছে কিছু মার্কেটপ্লেসে অভিজ্ঞতাকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়। এই জন্য এমন কিছু মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেগুলোর সাথে যুক্ত হতে পারেন।
আর এই মার্কেটপ্লেস থেকে খুব তাড়াতাড়ি কাজ পাওয়ার মাধ্যমে ইনকাম শুরু করতে পারবেন। কারণ প্রথম অবস্থায় কিছু টাকা ইনকাম এর মাধ্যমে শুরু করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তা না হলে আপনারা কিছু সময় পরে হতাশ হয়ে যাবেন। তাই আসুন সেরা ৫টি ওয়েবসাইট বা মার্কেটপ্লেসের নাম জেনে নেই।
ফাইবার
ফাইবার কে নতুনদের জন্য সেরা মার্কেটপ্লেস ভাবা হয়। কারণ অন্যান্য মার্কেটপ্লেসের তুলনায় ফাইবার থেকে কাজ পাওয়া একটু সহজ। এরও একটি কারণ রয়েছে সেটা হচ্ছে এখানে কম মূল্যে কাজ করে নেওয়ার জন্য ক্লাইন্টরা আসে। আর ক্লায়েন্টরা তাকেই প্রাধান্য বেশি দেয় যার কাজের দক্ষতা আছে এবং কম মূল্যে বেশি কাজ করে দিবে।
কিন্তু আগেই বলেছি কাজ করার জন্য অবশ্যই সেই কাজের প্রতি দক্ষতা সম্পন্ন হতে হবে। তা না হলে ফাইবার মার্কেটপ্লেস এ টিকে থাকা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠবে। ফাইবার থেকে যে কাজ নিবেন এবং কাজের উপরে যে মূল্যটি নির্ধারণ করবেন সেখান থেকে ২০% কমিশন ফাইবার মার্কেটপ্লেস কেটে নেবে।
ফাইবার এর জনপ্রিয় কিছু কাজ সমূহঃ
- লোগো ডিজাইন
- ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
- ওয়েব ডিজাইন
- অ্যাফিলেট মার্কেটিং
- সিপিএ মার্কেটিং
- ফেসবুক মার্কেটিং
- পোস্টার, ব্যানার, বিজনেস কার্ড সহ আরো অনেক ডিজাইন।
- ওয়ার্ডপ্রেস
- সার্চ ইঞ্জিনে অপটিমাইজেশন (SEO)
- আর্টিকেল রাইটিং
ফাইবার এর কাজ করার সুবিধা সমূহঃ
- এখানে সর্বনিম্ন ৫ ডলার এর কাজ করতে পারবেন।
- এখান থেকে কাজ নেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কাজের উপরে গিগ তৈরি করতে হবে।
- ফাইবার মার্কেটপ্লেস এ নতুন অবস্থায় ৭টি গিগ তৈরি করতে পারবেন।
- ফাইবারে কাজ করার পর পেমেন্ট নিয়ে কোনো চিন্তা করতে হবে না।
- এখানে একটি গিগ তিন ধরনের প্যাকেজ এর মাধ্যমে নির্ধারণ করতে পারবেন। যা কাজ পাওয়ার জন্য আরও সহযোগিতা করে।
- এখানে অর্ডার নেওয়ার মাধ্যমে কাজ করতে হয়। আর অর্ডার নেওয়ার আগে ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগের ব্যবস্থা রয়েছে।
আপ ওয়ার্ক
আপ ওয়ার্ক অধিক জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস যেখানে কাজ পাওয়ার জন্য প্রপোজাল পাঠাতে হয়। যদি ক্লায়েন্টের সেই প্রপোজাল পছন্দ হয় তাহলে আপনি কাজ পাবেন। এখানে নতুন এবং পুরাতন সকলেই কাজ করতে পারে। কিন্তু নতুনদের কাজ পাওয়ার জন্য অনেক পরিশ্রম করতে হবে। এখানে ঘন্টা চুক্তি এবং মূল্য নির্ধারণ অনুযায়ী কাজ হয়ে থাকে।
আপনি কোনো ক্লায়েন্টের সাথে এক ঘন্টার জন্য চুক্তিবদ্ধ হওয়ার মাধ্যমে কাজ শুরু করতে পারবেন। আর এই চুক্তির বিনিময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণে অর্থ চার্জ করতে পারবেন। আবার একটি নির্দিষ্ট কাজের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ চার্জ করতে পারবেন।
অবশ্যই প্রথমে নির্দিষ্ট কোনো স্কেলের উপরে দক্ষতা অর্জন করুন। এমন ভাবে দক্ষতা অর্জন করবেন যেন ক্লায়েন্টের কাছ থেকে কাজ পাওয়ার পর সেই কাজটি সম্পূর্ণ দক্ষতার সাথে সম্পন্ন করতে পারেন। কারণ ক্লায়েন্টের কাছ থেকে প্রথম কাজ পাওয়ার জন্য খুব কষ্ট করতে হয়। আর এই সুযোগ হাতছাড়া করা মানেই বোকামি।
আপ ওয়ার্ক এর কিছু জনপ্রিয় কাজ সমূহঃ
- ভিডিও এডিটর
- গেম ডেভেলপার
- ওয়েবসাইট ডিজাইন
- ওয়েব ডেভেলপার
- ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
- ডাটা এন্ট্রি
- জাভা ডেভলপার
- ইউ আই ডিজাইন লোগো ডিজাইন
- ওয়ার্ডপ্রেস
আপ ওয়ার্ক এর সুবিধা সমূহঃ
- আপ ওয়ার্ক এ প্রতি মাসে ১০টি করে বিনামূল্যে কানেক্টর পাওয়া যায়। কাজের উপর প্রপোজাল পাঠানোর জন্য।
- এখানে ইচ্ছে মতো কাজের ওপর প্রপোজাল পাঠাতে পারবেন।
- এখানে কাজ করার জন্য ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগ করে চুক্তিবদ্ধ হতে হয়।
- ক্লায়েন্টের কাজ করার জন্য নিজের চাহিদা অনুযায়ী টাকা চার্জ করা যায়।
- এখানে কাজ করার পর টাকা নিয়ে কোনো ধরনের চিন্তা করতে হবে না।
- এখানে কমিশন চার্জ বেশি কাটে না। প্রত্যেক কাজের বিনিময়ে ২০% কমিশন নিয়ে থাকে।
ফ্রিল্যান্সার ডটকম
ফ্রিল্যান্সার ডট কম এর যাত্রা শুরু হয় ২০০৯ সালে। বর্তমানে এই মার্কেটপ্লেস বিশ্বের জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস এর তালিকায় রয়েছে। আর এখানে নতুনদের কাজ পাওয়ার জন্য প্রতিযোগিতা করতে হয়। সত্যি সত্যি এখানে প্রতিযোগিতা রয়েছে।
এই ওয়েবসাইটে ক্লায়েন্ট যেকোনো কাজ এর উপর নির্দিষ্ট মূল্য নির্ধারণ করে এবং নির্দিষ্ট সময়ের জন্য মার্কেটপ্লেসে ছেড়ে দেয়। এখন এখানে অনেকেই উল্লেখিত কাজ নিয়ে সেটাকে কমপ্লিট করার মাধ্যমে সাবমিট করে দেয়। এই রকম ভাবে ১০০ থেকে ২০০ জন সাবমিট করে। যার কাজ সবচেয়ে ভালো হয় তাকে প্রতিযোগিতার পুরস্কার হিসেবে টাকা দেওয়া হয়।
এটা হচ্ছে নতুনদের জন্য কাজ পাওয়ার সুযোগ। কারণ এই কাজটির মাধ্যমে ক্লাইন্ট আপনাকে ভালো রেটিং দিলে আপনার প্রোফাইল উপর দিকে যাবে। তখন কাজ পাওয়ার সুযোগ আরো বেশি বেড়ে যাবে। আবার ফ্রিল্যান্সার ডটকমে আরেক ভাবে কাজ পাওয়া যায়। সেটা হচ্ছে বিট করার জন্য ক্লাইন্ট তার কাজ মার্কেটপ্লেসে ছেড়ে দিবে।
সেখানে বিভিন্ন সেলার মানে আপনি বিট করবেন। যদি আপনার বিট বা প্রপোজাল পছন্দ হয় তাহলে কাজ পাবেন। কিন্তু নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সার ডটকমে সবচেয়ে উপযোগী হচ্ছে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা। যখন আপনার অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা বেড়ে যাবে তখন বিট এর মাধ্যমে কাজ পাওয়া সম্ভব নাও বেড়ে যাবে।
ফ্রিল্যান্সার ডটকম এর জনপ্রিয় কিছু কাজ সমূহঃ
- মোবাইল ডেভেলপমেন্ট
- ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
- ওয়েবসাইট ডিজাইন
- গেম ডেভেলপার
- ডিজাইন এর কাজ
পিপল পার আওয়ার
পিপল পার আওয়ার মার্কেটপ্লেস বর্তমান সময়ে অধিক জনপ্রিয়। এখানেও বিট করার মাধ্যমে কাজ নিতে হবে এবং নিজের সার্ভিস বা কাজগুলোকে বিক্রি করার মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এখানে নতুন ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তি সকলেই কাজ করতে পারে।
এখানে যে সকল কাজ করতে পারবেন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজাইনের কাজগুলো, ভিডিও এডিটিং, ডাটা এন্ট্রি ও আর্টিকেল রাইটিং সহ আরো বিভিন্ন ধরনের কাজ। এখানে নতুনদের কাজ করতে হলে অবশ্যই দক্ষতার প্রয়োজন হবে।
বর্তমান সময়ে অধিক জনপ্রিয় হওয়ার কারণ এখান থেকে প্রচুর টাকা ইনকাম করা যায়। এখানে সব থেকে বেশি অভিজ্ঞদের দাম দেওয়া হয়। তাই এখানে এসে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানোর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
৯৯ ডিজাইন
এই মার্কেটপ্লেস অন্যান্য মার্কেটপ্লেস এর থেকে ভিন্ন। কারণ এখানে ডিজাইনার এর উপরে বেশি ফোকাস দেওয়া হয়। এই জন্য যারা বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন করতে আগ্রহী তারা ৯৯ ডিজাইনে যোগ দিতে পারেন।
বিশেষ করে যারা নতুন আর ডিজাইনের প্রতি আগ্রহ বেশি তাদের জন্য ৯৯ ডিজাইন উপযোগী হবে। এখানেও কনটেস্টের আয়োজন করা হয় মানে প্রতিযোগিতার আয়োজন হয়। এ প্রতিযোগিতায় ক্লায়েন্ট তার কাজ নির্দিষ্ট মূল্য নির্ধারণ করে ছেড়ে দেবে।
সকল ধরনের দিক নির্দেশনা দিয়ে দিবে সেটির উপরে সবাই তার কাজ সম্পন্ন করে সাবমিট করবে। যার কাজ সবচেয়ে বেশি ভালো হবে তাকে নির্ধারিত মূল্যের টাকা পুরস্কার হিসেবে দিয়ে দেওয়া হবে। আরো বিভিন্ন উপায়ে কাজ করা যায় সাইটটিতে। তাই শিক্ষার্থীরা নিজেদের ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার এখান থেকে শুরু করতে পারেন।
শিক্ষার্থীরা ওয়েবসাইট নতুনরা কোন কাজ বেশি উপযোগী হবে
আপনি কি জানেন অনেক নতুন ফ্রিল্যান্সার সঠিক পদক্ষেপ এবং গাইডলাইন না পেয়ে অকালেই ঝরে যায়। তারা জানে না নতুন অবস্থায় ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কোন কাজ বেশি উপযোগী হবে। আর কোন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিজের ফ্রিল্যান্সিং যাত্রা শুরু করা যাবে।
আরো কিছু গাইডলাইন রয়েছে যেগুলো প্রয়োজন তার মধ্যে এ দুটো অন্যতম। তাই আপনাদের জানা প্রয়োজন নতুন অবস্থায় কোন কাজগুলো করলে পরবর্তী ধাপে এগিয়ে যাওয়া যাবে। চলেন সেই কাজগুলোর নাম জেনে নেই।
ব্যানার ডিজাইন
যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ শিখে ক্যারিয়ার শুরু করতে চান। তাহলে ব্যানার ডিজাইন শিখতে পারেন। এই কাজ খুব একটা কঠিন নয়। এ কাজ তাড়াতাড়ি শিখে মার্কেটপ্লেস এর মাধ্যমে কাজ নিতে পারবেন। যদি একটু ভালোভাবে শিখতে চান এবং মনোযোগ দিয়ে শিখেন তাহলে এক মাস সময় লাগবে। তাই ব্যানার ডিজাইন এর কাজ করে ফ্রিল্যান্সিং যাত্রা শুরু করতে পারেন।
পোস্টার ডিজাইন
পোস্টার ডিজাইন এর কাজ ব্যানার ডিজাইন এর মত সহজ। এই কাজ দ্বারা খুব তাড়াতাড়ি ইনকামের পথে আসতে পারবেন। যদি মনে করেন এটি সহজ কাজ হওয়ার কারণে ইনকাম কম তাহলে ভুল ভাবছেন। এই কাজ করে অনেকে প্রতি মাসে ২০০০০ থেকে ২৫০০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করে। তাই কাজটি শিখে নিজের পোস্টার ডিজাইনের যাত্রা শুরু করতে পারেন।
মেনু ডিজাইন
মেনু ডিজাইনের নাম শুনে হয়তো বুঝতে পেরেছেন। এটা হচ্ছে বিভিন্ন খাবারের মেনু ডিজাইন করার মাধ্যমে আয় করতে হবে। উপরের দুটি কাজের মত এই কাজও সহজ কাজের তালিকায় পড়ে। নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য কাজটি খুবই উপযোগী হবে। এটা বলার কারণ হচ্ছে মনোযোগ দিয়ে শিখলে শিখতে সর্বোচ্চ এক মাস সময় লাগবে। তারপরে মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন।
বিজনেস কার্ড ডিজাইন
আপনারা কখনো না কখনো এক ধরনের কার্ড দেখেছেন যার মধ্যে কোম্পানির সাথে যোগাযোগের তথ্য দেওয়া থাকে। এই কার্ড তৈরি করে প্রতি মাসে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা খুব সহজে আয় করতে পারবেন। তাইতো নতুন অবস্থায় সবচেয়ে ভালো কাজের মধ্যে একটি হচ্ছে বিজনেস কার্ড ডিজাইন। মার্কেটপ্লেস গুলোতে কাজটির ডিমান্ড তুলনা মূলক অনেক বেশি।
ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ
আমার মতে মার্কেটপ্লেসের যত কাজ রয়েছে আর যদি সহজ কাজের তালিকা করা হয়। সেই সহজ কাজগুলোর তালিকাই সবার উপরের দিকে ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ থাকবে। কারণ এই কাজের চাহিদা বা ডিমান্ড মার্কেটপ্লেস এ সব সময় তুঙ্গে থাকে।
নতুনদের ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে যাত্রা শুরু করার জন্য কাজটি উপযোগী হবে। এই কাজ করার মাধ্যমে অনেকে প্রতি মাসে ৫০০০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করে। ফাইবার মার্কেটপ্লেসে এই কাজের চাহিদা অনেক বেশি।
ইউটিউব থাম্বেল ডিজাইন
আপনারা থাম্বেল ডিজাইন করার মাধ্যমেও ফ্রিল্যান্সিং যাত্রা শুরু করতে পারেন। কারণ দিন যত যাচ্ছে থাম্বেল ডিজাইনারদের চাহিদা মার্কেটপ্লেস অনেক বাড়ছে। তাই এই কাজটিও নতুনদের জন্য সহজ হবে। আপনারা কাজটি করার জন্য ফাইবার মার্কেটপ্লেসকে বেছে নিতে পারেন।
অনেকে হয়তো বলবেন এতো মার্কেটপ্লেস থাকতে ফাইবার কেন। এর পেছনে কারণ হচ্ছে ফাইবার থেকে কাজ পাওয়া নতুনদের জন্য সহজ হবে। এই জন্যই ফাইবার কে বেছে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ আপনার ইচ্ছা আপনি কোন মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে চান।
শিক্ষার্থীরা ওয়েবসাইটের কাজ কোথায় শিখবে
অনেকেরই একটা প্রশ্ন থাকে তা হচ্ছে আমরা তো কাজ জানিনা তাহলে কাজ শিখবো কোথায়? ইউটিউব ভিডিও দেখে নাকি কোনো প্রতিষ্ঠানে কোর্স করার মাধ্যমে। আপনি যদি ইউটিউবের মাধ্যমে শিখতে চান। তাহলে আপনার কোনো টাকা ইনভেস্ট ছাড়াই ওয়েবসাইটের যে কোনো কাজ শেখা হয়ে যাবে। এর জন্য ৪ থেকে ৫টি ভালো ইউটিউব চ্যানেল খুঁজে বের করবেন।
প্রথমে সেই ইউটিউব চ্যানেলগুলোর দুই থেকে একটি ভিডিও দেখবেন। যদি তাদের ভিডিও দেখার মাধ্যমে ভালো বুঝতে পারেন। তাহলে সেই চ্যানেল বুকমার্ক করে রাখবেন। এমন নয় যে একজনের ক্লাস দেখে আপনি সবকিছু বুঝে যাবেন। বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও দেখুন। কোনো ইনভেস্ট ছাড়া শিখতে গেলে অধিক পরিশ্রম করতে হবে এটাই স্বাভাবিক।
কিন্তু কার ভিডিও দেখে শিখছেন সেটা নির্ধারণ করা জরুরি। এখন আসি প্রতিষ্ঠানের কোর্সের ব্যাপারে। আপনি যে প্রতিষ্ঠানের ভিতরে গিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করতে চাচ্ছেন। তাদের ব্যাপারে যথাযথ খোঁজখবর নিবেন। তারা কেমন ভাবে ক্লাস করাই এবং কতটুকু সময় ক্লাস করায়। যখন কোর্সের মেয়াদ ফুরিয়ে যাবে তখন তারা অতিরিক্ত কি সাপোর্ট দেয়।
যে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে তার অভিজ্ঞতা কেমন। তার কি সত্যিই আপনাকে শেখানোর মত যোগ্যতা রয়েছে। তার মার্কেটপ্লেস বা ওয়েবসাইট সম্পর্কে কেমন ধারণা রয়েছে। সে মার্কেটপ্লেস থেকে কত টাকা ইনকাম করেছে। সে যে কাজটি শেখাবে সেই কাজ এর মাধ্যমে মার্কেটপ্লেস থেকে কত টাকা ইনকাম করেছে। এই রকম আরো যাবতীয় তথ্য প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে খোঁজ নিবেন।
তারপরে প্রতিষ্ঠানটিতে কোর্স করবেন কিনা সেটা আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কারণ কোর্স করতে অনেক টাকার প্রয়োজন হয়। বর্তমান সময়ে অনেকে রয়েছে কিছুই জানে না কিন্তু একটি কোর্স খুলে বসে গেছে। এদের থেকে খুব সাবধান থাকতে হবে।
শিক্ষার্থীরা ওয়েবসাইটে কাজ করে কত টাকা আয় করতে পারবে
আমরা সকলেই তো টাকা ইনকাম করার জন্য কাজ করি তাই না। সেটা শিক্ষার্থী হোক বা সাধারণ মানুষ। এখন অনেকেরই প্রশ্ন ওয়েবসাইট থেকে কাজ করার মাধ্যমে কত টাকা আয় করা যাবে। এটা খুবই জটিল প্রশ্ন না হলেও গুরুত্ব রয়েছে।
কারণ আপনি যখন যে কাজ করবেন সেই কাজে কেমন টাকা ইনকাম করবেন তার ব্যাপারে নিশ্চয়ই খুঁজে নিতে হবে। তাই শিক্ষার্থীরা ওয়েবসাইটে কাজ করার মাধ্যমে কত টাকা ইনকাম পারবে সেটা তাদের উপরে নির্ভর করবে। সে যেমন কাজ করবে তেমন টাকা ইনকাম করবে। যদি তার কাজের মান ভালো হয় তাহলে বেশি টাকা ইনকাম করবে।
যদি তার কাজের মান একটু খারাপ হয় তাহলে একটু কম টাকা ইনকাম করবে। তবে অভিজ্ঞতা হওয়ার সাথে সাথে ইনকামের পরিমাণও বাড়তে থাকে। তাই নিজের অভিজ্ঞতাকে বাড়িয়ে তুলতে হবে। তবুও অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে যারা পড়াশোনা চলাকালীন কাজ করে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে।
ওয়েবসাইটে থেকে আয় করার জন্য কি কি প্রয়োজন
ওয়েবসাইটে কাজ করার জন্য তেমন কিছু প্রয়োজন হয় না। যদি ডিভাইসের কথা বলে তাহলে কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ তার সাথে ইন্টারনেট কানেকশন এর প্রয়োজন হবে। আর যদি আপনার কথা বলি তাহলে ধৈর্য শক্তি ও শ্রম যথাযথ থাকতে হবে।
অবশ্যই সঠিক পরিমাণে সময় দিতে হবে। দিনে দিনে নিজেকে আরো উন্নত করার চেষ্টা করতে হবে। কারণ সময়ের সাথে সাথে নিজেকে উন্নতির দিকে না নিয়ে গেলে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে টিকে থাকা অনেক মুশকিল। তাই প্রতিনিয়ত নিজেকে আপডেট রাখতে হবে।
উপসংহার
পরিশেষে বলা যায় অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে যারা ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে। এমন কি তারা ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজ শেখার জন্য বিভিন্ন কোর্সও করে। কিন্তু এর মধ্যে থেকে অধিকাংশ শিক্ষার্থী কোর্স থেকে কাজ শেখার পরে।
কিছুদিন যাওয়ার পরে যখন কাজ না পাই তখন তারা হতাশ হয়ে যায়। তখন তাদের ফ্রিল্যান্সিং জার্নি ঐখানে শেষ হয়ে যায়। তাই ফ্রিল্যান্সিং জার্নি যাতে আরো দীর্ঘ হয় তার জন্য ওয়েবসাইট সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং কাজ শিখলে অন্যের থেকে উন্নত করা যাবে। এ যাবতীয় বিষয় যদি শেখার চেষ্টা এবং আগ্রহ থাকে তাহলে সফলতা ইনশাআল্লাহ একদিন আসবে।
শেষ কথাঃ প্রিয় শিক্ষার্থীরা আপনারা যদি ফ্রিল্যান্সিং করার ওয়েবসাইট সম্পর্কে জেনে উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে আপনার বন্ধুদেরও ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য ওয়েবসাইটের নাম গুলো জানার সুযোগ করে দিন। যাতে করে তারাও ওয়েবসাইট সম্পর্কে জেনে উপকৃত হতে পারে। ওয়েবসাইট বিষয়ে পুরো তথ্যটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এসএইচ নিউজস্টোরের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url