ছবি এডিট করার ওয়েবসাইট - বেস্ট ফটো এডিটর
আপনি কি ছবি এডিট করার ওয়েবসাইট ও সফটওয়্যার এর নাম গুলো জানতে চান। যে নামগুলো পড়ার মাধ্যমে খুব সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে ছবিগুলো এডিট করতে পারবেন। তাহলে এখনই ছবি এডিট করার ওয়েবসাইট ও সফটওয়্যার এর নাম জেনে নিতে পারেন। এই মাধ্যমগুলো কম্পিউটার ও মোবাইল উভয় মাধ্যমে ব্যবহার করতে পারবেন। তাই তো এই আর্টিকেল আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
পোস্টসূচিপত্রঃআমরা নিজেকে সুন্দর দেখানোর জন্য অনেক ধরনের ভেষজ ব্যবহার করে থাকি এবং সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করি। আবার মোবাইল অথবা যেকোনো ক্যামেরাতে ছবি ধারণ করার পরে সেই ছবিগুলোকে আরো সুন্দর করার চেষ্টা করি। আর এই চেষ্টা করার জন্য ছবি এডিট করার ওয়েবসাইট সফটওয়্যার রয়েছে যার মাধ্যমে খুব সহজে ছবিগুলোকে আকর্ষণীয় করে তোলা যায়।
ভূমিকা
আমরা সকলেই নিজেকে খুব সুন্দর ভাবে অন্যের সামনে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। উদাহরণ ধরেন আপনি খুব সাজগোজ করার পরে ছবি তুললেন কিন্তু ছবিতে ভালো লাইফ ইফেক্ট না পড়ার কারণে ব্যাকগ্রাউন্ড ঝাপসা হয়ে গেছে। কিন্তু আপনার ছবি তোলার স্টাইলটি অসাধারণ ছিল। আপনার মন চাচ্ছে না ছবিটি ডিলিট করে দিতে।
সেক্ষেত্রে আপনি ছবিটি এই সকল ওয়েবসাইট বা সফটওয়্যার এর মাধ্যমে এডিট করে নিতে পারেন। ছবির যেই অংশটি খারাপ উঠেছে সেটি সহ আরো বাকি অংশগুলো এডিট করে নিতে পারবেন। আমরা সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের সুন্দর সুন্দর ছবি আপলোড করতে দেখি। কিন্তু বুঝে উঠতে পারিনা তারা এত সুন্দর ছবি কিভাবে আপলোড করে।
এই ক্ষেত্রে তাদের ছবি এডিটিং কাজে এসেছে। তাই আপনি যদি মনে করেন যে অনেক সুন্দর করে সোশ্যাল মিডিয়াতে ছবিগুলোকে পোস্ট করবেন। তাহলে নিচে দেওয়া ছবি এডিট করার ওয়েবসাইট ও সফটওয়্যার গুলোর নাম পড়ে নিতে পারেন।
ছবি এডিট কেন করা হয়
এখন এই প্রশ্নের উত্তর হয়তো অনেকেরই জানা রয়েছে। যে কেন আমরা ছবি এডিট করে থাকি। একটি উদাহরণের মাধ্যমে বোঝানো যাক একজন ফটোগ্রাফার ছবি তুলে থাকে। মানুষের সামনে বিভিন্ন ধরনের সুন্দর সুন্দর ছবি উপস্থাপন করার জন্য।
আরো পড়ূনঃ আসল ভিটমেট ডাউনলোড করব কিভাবে জেনে নিন
এখন একটি ক্যামেরা দ্বারা সেই ছবিটি তোলা হলো ছবিটির মধ্যে কিছু খারাপ দিক রয়েছে। এখন খারাপ দিক সহকারে যদি পাবলিকের সামনে প্রকাশ করা হয় তাহলে ছবিটির মান কমে যাবে। এই ছবির মান বাড়ানোর জন্য এবং ছবিটিকে সুন্দর করে তোলার জন্য ছবি এডিট করা হয়।
এখন সেটা হোক ব্যক্তিগত ছবি বা কোনো প্রাকৃতিক ছবি। আশা করা যায় বুঝতে পেরেছেন যে কেন ছবি এডিট করা হয়। এখন এই ছবি এডিট করার জন্য ওয়েবসাইট অথবা সফটওয়্যার গুলোকে ব্যবহার করতে পারেন। কারণ ছবি এডিট করার ক্ষেত্রে ওয়েবসাইট ও সফটওয়্যার উল্লেখযোগ্য ভাবে প্রমাণিত।
কম্পিউটার দিয়ে ছবি এডিট করার ওয়েবসাইট ও সফটওয়্যার
আমরা সব সময় ভিডিও এডিটিং এর ওয়েবসাইট বা সফটওয়্যার এর নাম শুনে থাকি। কিন্তু ভিডিও এডিটিং এর পাশাপাশি ছবিও এডিট করার প্রয়োজন হয়। এর কারণ হচ্ছে আমাদের ছবিগুলোকে সুন্দর ভাবে দেখানোর উদ্দেশ্যে।
আপনি যদি ডিজিটাল ক্যামেরা অথবা মোবাইলের ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলে থাকেন। আর সেগুলোকে কম্পিউটারের মাধ্যমে সুন্দর করে এডিট করতে চান। আর এই এডিট করার জন্য ভালো ওয়েবসাইট অথবা সফটওয়্যার খুঁজে থাকেন। যার মধ্যে অনেক ধরনের ফিউচার রয়েছে।
আর কম সময়ের মধ্যে খুব সুন্দর ভাবে ফটোগুলোকে এডিট করা যায় কোনো ঝামেলা ছাড়া। এখানে সহজ এবং ফ্রেন্ডলি ৯টি ওয়েবসাইট ও সফটওয়্যার এর নাম উল্লেখ করা রয়েছে। যেগুলোর দ্বারা যেকোনো প্রকারের ছবি এডিট করা সম্ভব। তাহলে আসুন কম্পিউটার দিয়ে ছবি এডিট করার নামগুলো জেনে নেই।
Canva
এটি মূলত ওয়েবসাইট বেস সফটওয়্যার যার মাধ্যমে মোবাইল, কম্পিউটার বা ল্যাপটপের মাধ্যমে ফটো এডিট করতে পারেন। আবার আপনি চাইলে ডিরেক্ট Canva ডটকমে গিয়েও ফটো এডিট করতে পারেন। এই ওয়েবসাইট নতুনদের জন্যও ব্যবহারযোগ্য।
কারণ এখানে খুব সহজ ভাবে এদের ফিচারস গুলো উপস্থাপন করা হয়েছে। মানে এদের ফিউচার গুলো এমন ভাবে উপস্থাপন করা আছে যা দেখে আপনার কাছে সহজ ব্যবহারযোগ্য মনে হবে। শুধু মনে হবে না ব্যবহার করতেও পারবেন। তবুও যদি কোনো সমস্যা হয় তাহলে ইউটিউব থেকে Canva ব্যবহার সম্পর্কে কিছুটা জেনে নিতে পারেন।
এখানে অনেক ধরনের এলিমেন্টস ও টেমপ্লেট রয়েছে। আপনার ছবি কে কাস্টমাইজ করতে পারবেন। শুধু যে দুটো ফিউচারে রয়েছে এমনটি নয় আরো অনেক ফিচারস রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করতে পারবেন। তবে হ্যাঁ এটি একদম বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারবেন।
Pixlr
এটিও ওয়েবসাইট বেজ সফটওয়্যার যার মাধ্যমে Pixlr ডট কমে গিয়ে ফটো এডিট করতে পারবেন। এই ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে ছবি এডিট করা খুবই সহজ এমনকি এর মধ্যে থাকা ফিউচারগুলো Filter, Layer, Effects ইত্যাদি রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে ফ্রেন্ডলি ফটো এডিট করতে পারবেন। এটা মূলত ফ্রি ওয়েবসাইট নয় তবুও দিনে তিনটা ছবি এডিট করতে পারবেন।
এর বেশি করতে গেলে আপনাকে টাকা দিয়ে করতে হবে। এই ওয়েবসাইটটির মধ্যে ফটোশপ এর কিছু ফিউচারস এর উল্লেখ পাবেন। ফটোশপ সম্পর্কে নিচে উল্লেখ করা আছে। Pixlr দ্বারা থাম্বেল ও কার্ড ডিজাইন করতে পারবেন। তাই চাইলে ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে ফটো এডিট করতে পারেন।
Photoscape X
উল্লিখিত ফটো এডিট করার সফটওয়্যারটির মাধ্যমে খুব সহজে এবং কম সময়ের মধ্যে ছবিগুলোকে এডিট করতে পারবেন। শুধু তাই নয় এটির মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ফিচারস যা খুব সহজেই ব্যবহারযোগ্য। আর সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে এটি বিনামূল্যে মানে কোনো টাকা পয়সা দেওয়া ছাড়াই ব্যবহার করতে পারবেন।
আপনি যদি চান যে আপনার ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড রাখবেন না। সেটাকে রিমুভ করে নিউ কোনো টেমপ্লেট ব্যবহার করবেন। আবার সুন্দর সুন্দর এলিমেন্টস, ফ্রেম ও কালার ছাড়াও আরো অনেক ধরনের নতুন নতুন ফিচারস পাবেন। তাই এই ওয়েবসাইট ব্যবহার এর মাধ্যমে এবং ফটো এডিট করার মাধ্যমে ছবিগুলোকে সুন্দর থেকে সুন্দর করে তুলতে পারেন।
Capeture One
আপনি কি এমন সফটওয়্যার খুঁজছেন যেখানে অনেক ধরনের ফিচার্স থাকবে। তাহলে এই সফটওয়্যার ব্যবহার করে দেখতে পারেন। এটি ব্যবহারে করে ছবি এডিট করার জন্য সহযোগিতা করবে Color balance, Color editor, Curves, Levels, Layer, Masking and Shadow ইত্যাদি।
যারা নতুন নতুন সফটওয়্যারের মাধ্যমে ফটো এডিট করতে চান। তাদের জন্য এটি ফ্রেন্ডলি এবং সহজভাবে ব্যবহার করার জন্য উপযুক্ত। এটি ডাউনলোড করার জন্য এদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এগিয়ে ডাউনলোড করে নিতে পারেন।
Cyberlink Photodirector
এই সফটওয়্যারে অনেক ধরনের ফিচারস দেখতে পারবেন। উল্লেখিত ফিউচারগুলো ব্যবহারের সময় কোনো ধরনের সমস্যা সম্মুখীন হতে হবে না। যে ফিউচারগুলোর সাহায্যে ছবিকে খুব সুন্দর ভাবে এডিট করার মাধ্যমে উপস্থাপন করতে পারবেন। তাই যদি কম্পিউটারে ফটো এডিট করতে চান এবং নতুন এডিট সম্পর্কে ধারণা কম তাহলে সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
এখানে অ্যাডভান্স ফিউচারস থাকলেও সেগুলো সহজে ব্যবহার করা যায়। তাই এই সফটওয়্যার ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারেন। এই সফটওয়্যার ডাউনলোড করার জন্য এদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করতে পারেন।
Adobe Lightroom
অনেকে এই ফটো এডিট করার সফটওয়্যারটির নাম শুনেছেন। কারণ মোবাইল দিয়ে ফটো এডিট করার জন্য এটি বেশি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু আপনি পিসি এর মাধ্যমেও লাইট রুম ব্যবহার করে ফটো এডিট করতে পারেন।
এই সফটওয়্যার এর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের কালার ইফেক্ট রয়েছে। আকর্ষণীয় কালার ইফেক্ট গুলোর কারণেই সফটওয়্যার বেশি ব্যবহারযোগ্য। যদি আপনার ছবিকে কালার ইফেক্ট এর মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলতে চান তাহলে সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
Adobe Photoshop
অধিক জনপ্রিয় এবং সেরা ছবি এডিট করার কম্পিউটার সফটওয়্যার। আপনারা সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে খুবই হাই কোয়ালিটি ছবি এডিট দেখে থাকেন যেগুলো দেখার মাধ্যমে আপনার মন ভালো হয়ে যায়। তার প্রায় অধিকাংশ ছবি এডিট করা হয় ফটোশপের মাধ্যমে।
আবার যতগুলো প্রফেশনাল ফটো এডিটর রয়েছে তাদের প্রায় অধিকাংশ এডিটর এই সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকে। কারণ এই সফটওয়্যারটির মধ্যে ফটো এডিট করার জন্য যত ধরনের টুলস ও ফিউচারস প্রয়োজন তার প্রায় অধিকাংশ এখানে পাওয়া যায়।
যার মাধ্যমে একটি ছবিকে খুব সুন্দর ভাবে এডিট করে উপস্থাপন করতে পারে। কিন্তু এই সফটওয়্যার দ্বারা যদি ছবি এডিট করতে হয়। তাহলে সফটওয়্যার এর সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। কেমন দক্ষতা অর্জন করবেন। ছবি এডিট করার মত যতটুকু দক্ষতা প্রয়োজন।
ইউটিউবে ফটোশপের মাধ্যমে ছবি এডিট করার বিভিন্ন ধরনের ভিডিও দেখতে পাওয়া যায়। সেগুলো দেখে ছবি এডিট শিখে নিতে পারেন। গ্রাফিক্স ডিজাইনের কিছু কাজও ফটোশপের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। তাই যদি গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করতে চান তাহলেও ফটোশপ ব্যবহার করতে পারেন।
Gimp
এই কম্পিউটার সফটওয়্যার দ্বারা ছবি এডিট করা একটু কঠিন হতে চলেছে। কারণ এটাও অনেকটা ফটোশপের মত। এখানেও ফটোশপের মত কিছু ফিচারস রয়েছে। যার মাধ্যমে ছবি এডিট করতে পারবেন। কিন্তু সবচেয়ে মূল্যবান কথা হচ্ছে এটা একদম ফ্রিতে এটি ব্যবহার করার জন্য কোনো ট্রায়াল ভার্সনের প্রয়োজন হবে না। তাই এই সফটওয়্যার ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
Affinity Photo Editor
এই সফটওয়্যার ফটোশপ দ্বারা কিছুটা উৎসাহিত হয়েছে। আপনি এর ফিচার্স গুলো দেখলেই বুঝতে পারবেন। তবে এর মধ্যে কিছু ফিউচারস রয়েছে তা হচ্ছে raw photo editing, Masking, blending modes, curves and levels যা উচ্চ মানের ফটো এডিট করার জন্য সহযোগিতা করবে।
এই সফটওয়্যার দ্বারা পিএইচডি ফাইল সেভ করতে পারবেন। পিএইচডি ফাইল হচ্ছে আপনি যে প্রজেক্টটি তৈরি করছেন তা সেভ করে রাখা যেন পরবর্তী সময় এখান থেকে এডিট করতে পারেন। তাই চাইলে এই ফটো এডিটর ব্যবহার করতে পারেন।
মোবাইল দিয়ে ছবি এডিট করা ওয়েবসাইট
আমরা এতক্ষন জানলাম কিভাবে কম্পিউটারের মাধ্যমে ওয়েবসাইট ব্যবহার করে ফটো এডিট করা যায়। আপনার যদি কম্পিউটার না থাকে তাহলে মোবাইলের মাধ্যমেও ছবি এডিট করতে পারবেন তাও আবার হাই কোয়ালিটি এবং খুব সুন্দর। যেকোনো ধরনের ছবি সেটা হোক ঝাপসা অথবা কম রেগুলেশন যুক্ত।
সেই ছবিগুলোকে ওয়েবসাইট গুলোর মধ্যে ফেলে দিয়ে এডিট করার মাধ্যমে একদম পরিষ্কার এবং ঝকঝকে তৈরি করতে পারবেন। যদি ফটোগ্রাফকৃত ছবি অথবা মোবাইলে ধারণকৃত ব্যক্তিগত ছবি এডিট করতে চান। তাহলে এই ওয়েবসাইট গুলোর মধ্যে থেকে পছন্দ অনুযায়ী যেকোনো ওয়েবসাইট বেছে নিতে পারেন। তাহলে মোবাইল দিয়ে ছবি এডিট করার ওয়েবসাইট গুলোর নাম জেনে নিন।
Fotor
এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে একদম ফ্রিতে ছবিগুলো এডিট করতে পারবেন। এর মধ্যে থাকা ফিচারসগুলো ব্যবহার করার জন্য কোনো ধরনের ঝামেলায় পড়তে হয় না। যে কিভাবে ব্যবহার করব এটি ব্যবহার করার জন্য আলাদা শিখতে হবে কিনা। এমন কিছুই করতে হবে না।
শুধু এই ওয়েবসাইটের ভিতরে ঢুকে যাবেন এবং এর মধ্যে থাকা ফিল্টার, ইফেক্ট, রিসাইজ এবং কালার সহ আরো কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করে এডিট করে ফেলুন। আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলাই হয়নি এটার মধ্যে রয়েছে অনেক সুন্দর সুন্দর টেমপ্লেটস যেগুলো ছবিকে ইফেক্টিভ করে। এছাড়াও গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজও করতে পারবেন। যেমন থাম্বেল ডিজাইন করতে পারবেন।
Picsart
আপনি যদি বিভিন্ন কালার এবং ইফেক্ট এর মাধ্যমে ছবি এডিট করতে চান তাহলে বলবো picsart ভালো হবে। আবার যদি ছবির পিছনের ব্যাকগ্রাউন্ড ভালো না লাগে তাহলে সেই ব্যাকগ্রাউন্ড মুছে ফেলতে পারবেন। বিভিন্ন ধরনের ক্যাপশন দেওয়ার জন্য ফ্রন্ট খুঁজে পাবেন।
যেই স্টাইলের ফ্রন্ট আপনার পছন্দ হবে সেটি দ্বারা ছবিতে ক্যাপশন লিখতে পারবেন। যদি মনে করেন পিছনের ব্যাকগ্রাউন্ড দের কোনো এক জায়গাকে ব্লার করে দিবেন তাও পারবেন। আরও অনেক বৈশিষ্ট্য রয়েছে অ্যাপটির মধ্যে যে বৈশিষ্ট্য গুলো অ্যাপকে জনপ্রিয় করে তুলেছে।
এই অ্যাপটিতে দুটি মাধ্যমে ব্যবহার করতে পারবেন। প্রথম মাধ্যম হচ্ছে ফ্রিতে এবং দ্বিতীয় মাধ্যম হচ্ছে টাকার বিনিময়ে। আপনার যে মাধ্যমটি ভালো লাগে সেটি ব্যবহার করতে পারেন। হয়তো বা ফ্রিতে ব্যবহার করলে কিছুটা সুযোগ সুবিধা কম পাওয়া যাবে। তাই ছবি এডিট করার জন্য ওয়েবসাইট এর সাহায্য নিতে পারেন।
PicMonkey
ছবি এডিট করার জন্য PicMonkey ওয়েবসাইট ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে। এটি ব্যবহার করলে অনেক ধরনের বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে ছবি খুব সহজে এবং ফ্রেন্ডলি উপায়ে এডিট সম্ভব। এখন এর মধ্যে থাকা যে সকল বৈশিষ্ট্য রয়েছে তা হচ্ছে আকর্ষণীয় টেমপ্লেট, টেক্সচার ও ফিল্টারসহ আরো কিছু অপশন।
এই অপশন ব্যবহার করার মাধ্যমে কম রেগুলেশন যুক্ত ছবি কেউ হাই রেজুলেশনের রূপান্তর করতে পারবেন। এই জন্য ওয়েবসাইট একবার ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
Photopea
এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ছবিগুলোকে খুব সুন্দরভাবে এডিট করা যায়। কারণ এখানে উপস্থিত রয়েছে খুব এবং আকর্ষণীয় কিছু ফিউচার যা ছবিগুলো কেউ আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য উৎসাহিত করে।
এই ওয়েবসাইট ফটোশপ এর মতো কিছুটা ফটোশপে যে সকল অপশন রয়েছে তার মধ্যে থেকে কিছু অপশন দেখা যায়। তাই এর ফিউচার গুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে ছবি এডিট করতে পারেন।
Photocat
ছবি এডিট করার জন্য ফটোক্যাট ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে পারেন। এই ওয়েবসাইট ছবি এডিট করার ক্ষেত্রে অনেক ধরনের টুলস প্রদান করে থাকে।
এমনকি এই ওয়েবসাইটটি থেকে এডিট শেষে সেগুলোকে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে সরাসরি শেয়ার করে দিতে পারবেন। বিভিন্ন ধরনের ইফেক্ট আছে যা দ্বারা ফটো এডিট করার সহজ হয়। তাই এই ওয়েবসাইট অনেক ফ্রেন্ডলি এবং খুব সহজেই ব্যবহার করা যায়।
উপসংহার
পরিশেষে বলা যায়, ছবি এডিট করার জন্য যে সকল ওয়েবসাইট ও সফটওয়্যার এর নাম তুলে ধরা হয়েছে তার মধ্যে থেকে কিছু একদম ফ্রিতে আবার কিছু টাকার বিনিময় ব্যবহার করতে হয়। এখন দেখা যাচ্ছে কিছু ওয়েবসাইট ও সফটওয়্যার বর্তমানে ফ্রি থাকলেও ভবিষ্যতে হয়তো সেগুলোকে পেইড করে দিতে পারে। আমরা শুধু আর্টিকেল লিখে আপনাদেরকে তথ্য দেই।
এই সকল কিছু আমাদের হাতে থাকে না। কিন্তু এই ওয়েবসাইট ও সফটওয়্যার গুলোর মাধ্যমে খুব ভালোভাবে ছবিগুলো এডিট করার মাধ্যমে আকর্ষণীয় এবং খুবই সুন্দর করে তুলতে পারবেন।
শেষ কথাঃ সম্মানিত পাঠক আশা করা যায় ছবি এডিট করার ওয়েবসাইট ও সফটওয়্যার গুলোর নাম জেনে উপকৃত হয়েছেন। সত্যি যদি এই মাধ্যমগুলো ব্যবহার দ্বারা ছবি এডিট করে থাকেন এবং উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে বলবো আপনার বন্ধুদের কেউ মাধ্যম গুলোর সম্পর্কে অবগত করুন। যেন তারাও খুব সুন্দর করে ছবিগুলোকে এডিট করতে পারেন। পুরো তথ্যটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
এসএইচ নিউজস্টোরের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url