অনলাইনে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায়
অনেকে অনলাইনে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় তার বিষয়ে জানার জন্য আগ্রহী। কারণ ঘরে বসে থেকে টাকা ইনকাম করার অসাধারণ উপায় হচ্ছে অনলাইন। এই জন্য অনেকে আগ্রহ প্রকাশ করে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার জন্য। আপনার মধ্যেও যদি এই আগ্রহের সৃষ্টি হয়ে থাকে। তাহলে অনলাইনে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় তা জানার জন্য পুরো আর্টিকেল পড়ে নিন। যেখানে অনেকগুলো অনলাইনে টাকা ইনকাম করার উপায় বলে দেওয়া হয়েছে।
পোস্ট সূচিপত্রঃআপনাদের মধ্যে অনেকে অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে চাই কিন্তু সঠিক নির্দেশনা না পাওয়ার জন্য হতাশ হয়ে যায়। এই হতাশা থেকে বাঁচার জন্য অনলাইনে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় এ বিষয়ে জানা প্রয়োজন। তাহলেই সঠিক নির্দেশনা পেয়ে যাবেন। তাহলে আর দেরি কেন অনলাইনে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় তা সম্পূর্ণ বিস্তারিত ভাবে জেনে নিন।
অনলাইনে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায়
আপনারা কিভাবে অনলাইনের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আবার অনেকে হয়তো অফলাইনের মাধ্যমেও টাকা ইনকাম করতে চান। অফলাইন বলতে ব্যবসা-বাণিজ্য অথবা চাকরি। কিন্তু এখানে শুধুমাত্র ব্যবসা সম্পর্কে জানতে পারবেন। আপনি যদি টাকা ইনকামের বিষয় নিয়ে খুবই চিন্তিত থাকেন এবং নিয়মিত ভেবে থাকেন। যে আমি কিভাবে টাকা ইনকাম করবো এর কোনো উপায় আছে কি না। দেখুন চিন্তাকে দূরে ফেলে রাখাটাই শ্রেয়।
এই জন্য বলছি কারণ পুরো আর্টিকেল পড়ার পরে কিভাবে টাকা ইনকাম করবেন তা নিজে থেকে জেনে যাবেন। কিন্তু যদি অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে মোবাইল, কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ থাকতে হবে। আর যদি ব্যবসার মাধ্যমে ইনকাম করতে চান তাহলে কিছু না থাকলেও চলবে তবে মোবাইল থাকলে ভালো হবে। এটা কি কারণে বলছি তা পুরো আর্টিকেল পড়ার মাধ্যমে বুঝে ফেলতে পারবেন।
অনলাইনে টাকা ইনকাম করার বিভিন্ন উপায়
টাকা ইনকাম করতে কে চায় না। মানুষ কেন টাকা ইনকাম করতে চায়। অবশ্যই এর উত্তর হবে সুন্দর ও স্বাভাবিক ভাবে জীবন যাপন করার জন্য। এখন অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন টাকা ইনকাম করার জন্য কোন উপায় গুলো উপযোগী হবে। এটা পুরোপুরি আপনার উপরে নির্ভর করবে।
আপনি কোন মাধ্যম বা উপায় বেছে নিয়ে নিজেকে তার উপরে যোগ্য করে তুলবেন। দেখুন এখানে টাকা ইনকাম করার যে উপায়গুলো উপস্থাপন করা হবে। তার অধিকাংশ উপায় থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য কঠোর পরিশ্রম ও ধৈর্য শক্তি থাকতে হবে।
যদি কোনো কাজের মাধ্যমে দীর্ঘ সময় ইনকাম করতে চান। অবশ্যই ৮০ পারসেন্ট নিশ্চিত থাকেন কঠোর পরিশ্রম ও ধৈর্য শক্তি ইনভেস্ট করতে হবে। কেন এই কথা বলছি তা হয়তো অনেকে বুঝতে পেরেছেন আবার অনেকে বুঝতে পারেননি।
তবে যত সফল ব্যক্তি রয়েছে তাদের মধ্যে অধিকাংশ সফলতা পেয়েছে কঠোর পরিশ্রম ও ধৈর্য শক্তি পাশাপাশি সৃষ্টিকর্তার সহযোগিতা। তাই টাকা ইনকাম করার জন্য যেকোনো উপায় বেছে নিন সেখানে পরিশ্রম দিতে থাকেন ইনশাআল্লাহ সফলতা আসবে। তাহলে আর দেরি না করে কিভাবে টাকা ইনকাম করবেন তার উপায় গুলো জেনে নিন।
ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করার উপায়
প্রথমেই যারা জানেন না ব্লগিং জিনিসটা কি তাদের জন্য বলছি, সাধারণত ব্লগিং হচ্ছে কোনো মাধ্যমে লিখালেখি করে মানুষকে তথ্য প্রদান করা। ব্লগিং করার মাধ্যম হচ্ছে ওয়েবসাইট। সেটা হতে পারে ব্লগার ওয়েবসাইট অথবা ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট।
তাই আপনি যদি দীর্ঘ সময় ইনকাম করতে চান এবং এটাকে নিজের পেশা হিসেবে বেছে নিতে চান। তাহলে বলবো বেছে নিতে পারেন। কিন্তু ব্লগিং করার জন্য লেখালেখি করার প্রতি আগ্রহ এবং ভালোবাসা থাকতে হবে। এর পাশাপাশি পরিশ্রম করার জন্য নিজের মধ্যে অনুপ্রেরণা থাকতে হবে। তারপরে শুধু তথ্য বা পোস্ট লিখলে হবে না।
আরো পড়ুনঃ মোবাইল ভাইরাস কাটার সফটওয়্যার সমূহ
ঐ লিখার মধ্যে যথাযথ তথ্য থাকতে হবে তাও নির্ভুল। আবার তথ্যগুলো এমন ভাবে লিখতে হবে যেন মানুষ পড়ে অনুপ্রাণিত, উৎসাহিত এবং পড়ার মাধ্যমে আনন্দ পাই। ব্লগিং এ কাজ করার মাধ্যমে একদিনে ইনকাম করতে পারবেন না। আপনাকে কমপক্ষে ছয় মাস থেকে এক বছর সময় দিতে হবে। এখন ব্লগিং এর মাধ্যমে ইনকাম করবেন কিভাবে।
ব্লগিং এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম হয় মূলত গুগল অ্যাড দেখানোর মাধ্যমে। এখন আপনি কোন ধরনের পোস্ট লিখে ইনকাম করতে পারবেন বাংলা নাকি ইংরেজি। দেখুন এটার কোনো বাঁধা ধরা নিয়ম নেই। আপনি যদি ইংরেজি ভালো পারেন এবং ইংরেজিতে যে কোনো বিষয়ে তথ্য লেখার মাধ্যমে মানুষকে উপকৃত করতে পারেন। তাহলে সেই বিষয় নিয়ে লেখালেখি শুরু করতে পারেন। আবার যদি মনে করেন যে না আমি বাংলায় লিখবো তাও লিখতে পারেন।
তবে যে ভাষাতে পোস্ট লিখেন না কেন সেই পোস্টটিতে যেন যথাযথ তথ্যগুলো উপস্থাপন করা থাকে। মানুষ যেন পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে হতাশ না হয়। অনেকে ঘরে বসে থেকে ব্লগিং করার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে। এখন অনেকে বলতে পারেন ব্লগিং করার জন্য কোন ডিভাইস ভালো হবে। আপনার কাছে যদি মোবাইল ফোন থাকে তবুও ব্লগিং করতে পারবেন। আবার যদি কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ থাকে তাহলে তো কোনো কথা নেই।
আরো দ্রুত সময় ব্লগিং করে আয় করতে পারবেন। তবে যাদের ফোন রয়েছে তারা হতাশ হবেন না। অনেকে হয়তো মনে করতে পারেন মোবাইল দিয়ে ব্লগিং করা অনেক কষ্ট হয়ে যাবে। কোনো কষ্ট হবে না খুব অল্প সময়ের মধ্যে একটি পোস্ট লিখে ফেলতে পারবেন। অনেকে ব্লগিং করার মাধ্যমে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে। তাই আপনার কাছে যেই ডিভাইস থাকুক না কেন সেটা হোক মোবাইল, কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ ব্লগিং শুরু করার জন্য যথেষ্ট। তাই আজ থেকে ব্লগিং করে টাকা আয় করার জন্য যাত্রা শুরু করে দিন।
ইউটিউব ভিডিও বানিয়ে টাকা ইনকাম
অনেকে নিয়মিত ইউটিউব এ ভিডিও দেখে থাকেন। আবার অনেকে ইউটিউব এর নাম শুনেছেন কিন্তু কখনো ইউটিউবে ভিডিও দেখেননি। যদি বলা হয় যাদের ভিডিও ইউটিউবে দেখেন তারা আপনার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করছে। এখন অনেকে বলতে পারেন কিভাবে তারা আমাদের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করছে।
আপনি যে ভিডিওটি দেখছেন সেই ভিডিও চলাকালীন বিভিন্ন ধরনের অ্যাড বিভিন্ন সময় আপনার সামনে উপস্থাপন করা হচ্ছে। তাদের ভিডিও তে সেই অ্যাড দেখানোর মাধ্যমে তারা ইনকাম করছে। তবে এই বিষয়টি এতটা সহজ নয় যতটা এখন ভাবছেন। কিন্তু আবার এখান থেকে টাকা ইনকাম করাও কঠিন নয়। চলেন একটু খোলাসা করে বলা যাক।
প্রথমে বলি ইউটিউব চ্যানেল কিভাবে খুলবেন। ইউটিউব চ্যানেল খোলার জন্য জিমেইল একাউন্টের প্রয়োজন পড়বে। যদি না জেনে থাকেন জিমেইল অ্যাকাউন্ট কিভাবে খুলতে হয়। সেটা জেনে জিমেইল একাউন্ট খুলে ফেলুন। তারপরে ঐ জিমেইল অ্যাকাউন্ট দ্বারা ইউটিউব চ্যানেল খুলে ফেলুন।
এখন থেকে আপনার ইউটিউব যাত্রা শুরু হবে। এই চ্যানেল দ্বারা আপনি কি করবেন। এই চ্যানেলের মধ্যে আপনি ঐ সকল ভিডিও আপলোড করবেন যা আপনি বানাতে পছন্দ করেন। এখন অনেকে বলতে পারেন কোন ধরনের ভিডিও বানিয়ে youtube এ আপলোড করা যাবে।
- আপনি যদি খুব ভালো খাবার তৈরি করতে পারেন এবং মানুষ আপনার খাবার খেয়ে তৃপ্তি পায়। তাহলে বলবো খাবার তৈরি করার ভিডিও বানিয়ে সেগুলো youtube এ আপলোড করতে পারেন।
- আপনি বিভিন্ন জায়গায় ঘুরোঘুরি করতে পছন্দ করেন। এখন এই ঘুরাঘুরির করার সময় একটি ক্যামেরার সাথে রেখে সেটা হোক মোবাইল অথবা ডিজিটাল তার মাধ্যমে ঘুরাঘুরির ভিডিও রেকর্ড করুন। তারপরে সেটাকে ইউটিউবে আপলোড করুন।
- আপনি যদি মানুষকে খুব বেশি হাসাতে পারেন। তাহলে বিনোদন মূলক ভিডিও তৈরি করার মাধ্যমে তা ইউটিউবে আপলোড করুন।
- সবচেয়ে মজাদার হচ্ছে যদি বেশি বেশি খাবার খেতে পছন্দ করেন। তাহলে বলবো খাবার খাওয়ার ভিডিও রেকর্ড করে সেগুলো ইউটিউবে আপলোড করুন।
- মানুষকে যদি বিভিন্ন বিষয়ের উপরে পরামর্শ দিতে পছন্দ করেন। তাহলে সেই বিষয়ের উপরে টিউটোরিয়াল ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবে আপলোড করুন।
- যদি বিভিন্ন বিষয়ে এর উপর জ্ঞান থাকে তাহলে সেই বিষয়ের উপর শিখন মূলক ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবে আপলোড করুন।
- আপনার কোনো বিষয়ের উপরে দক্ষতা রয়েছে এবং সেই বিষয়গুলোর খুব সহজেই সমাধান করতে পারেন। তাহলে সেই বিষয়ের উপরেও ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবে আপলোড করতে পারেন।
- আরো নানান ধরনের বিষয় রয়েছে যেগুলোর ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবে আপলোড করতে পারেন।
প্রত্যেকদিন ভিডিও আপলোড করতে থাকুন। আবার প্রত্যেকদিন আপলোড করার জন্য খারাপ ভিডিও তৈরি করে সেগুলো ইউটিউবে আপলোড করবেন না। সুন্দর করে ভিডিওগুলো তৈরি করে সেগুলোকে কিছুটা ইডিটের মাধ্যমে youtube এ ছেড়ে দেবেন।
আস্তে আস্তে আপনার View এবং Subscriber বাড়তে থাকবে। তারপরে একটা সময় আপনার ইউটিউব ভিডিও তে অ্যাড দেখানোর মাধ্যমে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অনেকে রয়েছে যারা প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে। তাদেরও এই পর্যায়ে পৌঁছাতে অনেক সময় লেগেছে।
আর্টিকেল লিখে টাকা ইনকাম
আর্টিকেলের সাথে ব্লগিংয়ের একটা সম্পর্ক রয়েছে। ব্লগিং এর যেমন লিখে আয় করা যায়। আর্টিকেলেও তেমন লিখে করা যায়। তাহলে এদের মধ্যে পার্থক্যটা কোথায়। পার্থক্য রয়েছে আর্টিকেল লিখে আয় করার জন্য ওয়েবসাইট ও ডোমেইন এর প্রয়োজন হয় না। কিন্তু ব্লগিং করার জন্য ওয়েবসাইট ও ডোমেইন এর প্রয়োজন হয়।
এখন তাহলে এই আর্টিকেল লিখে কিভাবে আয় করতে পারবেন। বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান ও ওয়েবসাইট রয়েছে তাদের আর্টিকেল লেখার জন্য ব্যক্তির প্রয়োজন হয়। যে খুবই সুন্দর করে এবং গোছালোভাবে তাদেরকে আর্টিকেল লিখে দিতে পারবে।
এখন মূল বিষয় হচ্ছে আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে সেটা হচ্ছে, কিন্তু এই ওয়েবসাইটের মালিক ও প্রতিষ্ঠানের মালিকদের কিভাবে খুজে বের করবো। এর জন্য আপনাকে মার্কেটপ্লেস সহযোগিতা করবে। মার্কেটপ্লেসে বিভিন্ন ধরনের ব্যাক্তি এসে থাকে যারা আর্টিকেল রাইটার দের খুঁজে তাদেরকে কাজ দেয়।
আবার সোশ্যাল মিডিয়ারও সহযোগিতা নিতে পারেন। যে আর্টিকেল লিখেন সেটাকে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচার করতে পারেন। টুইটার অথবা ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি সকল সাইটে। কিন্তু প্রথমের দিকে মার্কেটপ্লেস থেকে কাজ নেওয়ার চেষ্টা করবেন।
তাই আপনার যদি আর্টিকেল লেখার মত আগ্রহ এবং ভালোবাসা থাকে তাহলে কাজটি শুরু করতে পারেন। এই কাজের জন্য যথাযথ সময় দিতে হবে। যথা কাজ করার মাধ্যমে ঘরে বসে থেকে অনেকে প্রচুর টাকা ইনকাম করছে। তাই আপনিও যদি মনে করেন যে আমিও আর্টিকেল রাইটার হিসেবে যোগ দিবো তাহলে আজ থেকে শুরু করে দিন।
ফেসবুক পেজ তৈরি করে টাকা ইনকাম
আপনারা হয়তো অনেকে বলবেন আমরা তো ফেসবুক কে একজনের সাথে আরেকজনের যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য ব্যবহার করে আসছি। বরং এই যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য আমাদেরকে টাকা খরচ করতে হয়। নিয়মিত এমবি অথবা ওয়াইফাই ব্যবহার না করলে ফেসবুকে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারি না। এখন আপনি বলছেন ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করার কথা।
আমি যদি বলি ফেসবুকের মাধ্যমে ঘরে বসে থেকে অনেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে। হয়তো অবাক হচ্ছেন কিন্তু কথাটি সত্য। যদি একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থাকে সেখানে পেজ নামের অপশন রয়েছে তার থেকে একটি পেজ তৈরি করে নিন। সেটাকে নিজের ঘরের মতো করে গুছিয়ে নিন।
এরপরে সেখান থেকে বিভিন্ন উপায়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বিভিন্ন ধরনের ভিডিও তৈরি করে সেগুলোকে একটু এডিটের মাধ্যমে পেজে আপলোড করে দিন। আবার যদি মনে করেন যে ভিডিও তৈরি করতে ভালো লাগে না। তাহলে ফেসবুকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে বসতে পারেন। ফেসবুকে আবার ব্যবসা কিভাবে খুলবো তাইতো।
বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট কিনে সেগুলোকে প্রচার করুন এবং ফেসবুকে ব্যবহার করে সেই প্রোডাক্টগুলো বিক্রি করুন। আবার যদি মনে করেন যে ফেসবুকে নিজের প্রোডাক্ট বিক্রি করব না অথবা আপনার কাছে প্রোডাক্ট কিনার মত পর্যাপ্ত টাকা নেই।
তাহলে এফিলেট মার্কেটিং করার মাধ্যমে ফেসবুকে আয় করতে পারেন। এর জন্য বিভিন্ন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করার মাধ্যমে তাদের প্রোডাক্টগুলো প্রচার করার মাধ্যমে বিক্রি করতে হবে। এর বিনিময়ে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে তারা কমিশন দিবে মূলত এটাই আপনার ইনকাম।
আরো বিভিন্ন উপায়ে ফেসবুক কে ব্যবহার করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারেন। কিন্তু এই কাজটি যতটা সহজ মনে করছেন এতটাও সহজ নয়। আপনাকে এখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে সময় দিতে হবে। এর পাশাপাশি ধৈর্য ধারণ করার মতো ক্ষমতাও থাকতে হবে। এই কাজ এক দুই মাসের নয়। দীর্ঘ পরিকল্পনা করে আপনাকে এই কাজে নামতে হবে।
ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করুন
আপনাদেরকে হয়তো অনেকে বলে থাকবে ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে আয় করুন অথবা অনলাইনের মাধ্যমে আয় করুন। এখন এই ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে কিভাবে আয় করবেন। এখানে কোন উপায় গুলোকে ব্যবহার করে আয় করতে পারবেন। আর এই কাজগুলো করার মাধ্যমে কত টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।
চিন্তার কোনো কারণ নেই এখানে সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে একটি মুক্ত পেশা। যেখানে আপনি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন। কেউ আপনাকে বলতে আসবে না এ কাজটি করো এই কাজটি করোনা। তাহলে আসুন কোন সেই সকল কাজ যার মাধ্যমে প্রচুর টাকা আয় করা যাবে।
লোগো ডিজাইন
এই কাজটি মূলত গ্রাফিক্স ডিজাইনের মধ্যে পড়ে। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের মূল্যবান একটি কাজ। যে কাজের মাধ্যমে অনেকে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করছে। আপনি চাইলে এর থেকে বেশিও ইনকাম করতে পারেন। এর কাজ হচ্ছে বিভিন্ন কোম্পানির নামগুলোকে ব্যবহার করে সুন্দর করে লোগো ডিজাইন করা। এই কাজ পাওয়ার জন্য মার্কেটপ্লেস এ খোঁজ করতে পারেন।
বিজনেস কার্ড ডিজাইন
আপনারা হয়তো দেখে থাকবেন বিভিন্ন ধরনের কোম্পানির ছোট্ট একটি কার্ড থাকে। যেখানে তাদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য তথ্য দেওয়া থাকে। মূলত এই কার্ড তৈরি করার মাধ্যমে প্রতি মাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। এর অধিকো আয় করতে পারবেন তবে সেটি আপনার কাজের উপরে নির্ভর করবে। এই কাজটি পাওয়ার জন্য মার্কেটপ্লেসে খোঁজ করতে পারেন।
পোস্টার ডিজাইন
আপনারা হয়তো রাস্তায় বা কোনো প্রতিষ্ঠানের সামনে বড় বড় পোস্টার দেখে থাকবেন। সেই পোস্টারগুলোকে সুন্দর ডিজাইন করে অনলাইনের মাধ্যমে ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। এর থেকে বেশি ইনকাম করা সম্ভব যদি সঠিকভাবে শ্রম দিতে পারেন। ঠিক কাজটি পাওয়ার জন্য আপনাকে অনলাইনের মাধ্যমে মার্কেটপ্লেস এর সহযোগিতা নিতে হবে।
মেনু ডিজাইন
আপনারা হয়তো বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট বা হোটেলে খাবার খেতে গেলে তারা আপনাকে একটি মেনু দিয়ে থাকে। যেন সেখান থেকে খাবার পছন্দ করে অর্ডার দিতে পারেন। অনেক সময় দেখে থাকবেন সেই মেনুটির ডিজাইন অনেক সুন্দর।মূলত এই মেনু ডিজাইন করার মাধ্যমে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এই কাজ করার মাধ্যমে প্রতি মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। এই কাজটি পাওয়ার জন্য মার্কেটপ্লেস গুলোতে খোঁজ করুন।
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
আপনারা হয়তো ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর নাম শুনে থাকবেন। এর কাজ হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান এর কাজের সহযোগিতা ও পর্যবেক্ষণ করা। কিন্তু কাজটি পুরোপুরি করতে হবে অনলাইনের মাধ্যমে। প্রতিষ্ঠানের কাজ অনলাইনের মাধ্যমে দেখাশোনা, সহযোগিতা ও পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
এর বিনিময়ে আপনাকে প্রতিষ্ঠানটি অর্থ প্রদান করবে। মানে বুঝতে পেরেছেন যে আপনাকে অফিসে না গিয়ে সকল কাজ কম্পিউটারের মাধ্যমে ঘরে বসে থেকে করতে হবে। এই কাজ পাওয়ার জন্য মার্কেটপ্লেস এর সহযোগিতা নিতে পারেন।
লিড জেনারেশন
লিড জেনারেশন এর কাজ হচ্ছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানিকে যোগাযোগের তথ্যগুলো প্রদান করা। মানে হচ্ছে কোম্পানি আপনাকে বলে দেবে যে এই ক্যাটাগরির পণ্যগুলো যারা পছন্দ করে বা করতে পারে। তাদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য যে তথ্যগুলো প্রয়োজন তা একত্রিত করে তাদেরকে প্রদান করা। মূলত এই কাজটি করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আর এই কাজটি করার জন্য মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন।
ভিডিও গেম খেলে টাকা ইনকাম
আসলেই কি ভিডিও গেম খেলে টাকা ইনকাম করা যায়। নাকি এটা শুধুমাত্র নিছক কথা। যদি ইনকাম করা যায় তাহলে গেম খেলে কি পরিমান টাকা ইনকাম করা যেতে পারে। এই নানান প্রশ্ন আপনাদের মনে জাগতেই পারে। আসলেই আপনি গেম খেলার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। যদিও গেম খেলা আপনাদের অনেকের কাছে ভালো লাগে।
কিন্তু ভিডিও গেম খেলার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অনেকে হয়তো এখনো আমার কথা বিশ্বাস করছেন না। বিশ্বাস তো তখনই করবেন যখন ভিডিও গেম খেলে টাকা ইনকাম করার পরে হাতে পাবেন। ভিডিও গেম খেলার মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহে দুই থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। তাহলে কোন ভিডিও গেম খেলে টাকা ইনকাম করবেন।
- MPL
- Winzo
- Freecash
- Ludo Supreme
- Hago
বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ থেকে টাকা ইনকাম
আপনার হাতে কি মোবাইল ফোন রয়েছে সেটা যদি হয় এন্ড্রয়েড তাহলে সেটাকে ব্যবহার করে প্রতি সপ্তাহে তিন থেকে চার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এখন অনেকে বলতে পারেন এটা কিভাবে সম্ভব। এটা সম্ভব হয়েছে বিভিন্ন ধরনের মোবাইল অ্যাপ যার মাধ্যমে।
এর জন্য প্রয়োজন হবে ডাটা কানেকশন এবং এন্ড্রয়েড ফোন। আর প্রয়োজন হবে সেই অ্যাপটি যার মাধ্যমে ঘরে বসে থেকে তিন থেকে চার হাজার টাকা ইনকাম করবেন। আপনারা কি জানতে চান সেই অ্যাপ গুলোর নাম। নিশ্চয়ই জানার জন্য আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
এই অ্যাপ গুলো থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য আপনাকে তেমন একটা পরিশ্রম করতে হবে না। হ্যাঁ দুইটি জিনিস ইনভেস্ট এর প্রয়োজন হবে প্রথমটি হচ্ছে সময় এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে আপনার কেনা ডাটা কানেকশন।
কিন্তু যদি ১০০ টাকার কানেকশন কিনে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকায় ইনকাম করা যায় তাহলে ক্ষতি কোথায়। তাই খুব সহজেই ঘরে বসে থেকে অ্যাপগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহে হাজার হাজার টাকা আয় করুন। তাহলে চলুন সেই কাঙ্খিত অ্যাপ গুলোর নাম জেনে আসে যার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
- Swagbucks
- Foap
- mCent
- Keettoo
- Slidejoy
সিপিএ মার্কেটিং করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম
আপনারা কি মার্কেটিং করে ইনকাম করতে চান। এখন ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরে অনেকগুলো কাজের মধ্যে একটি হচ্ছে সিপিএ মার্কেটিং। এই কাজ করার মাধ্যমে প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।
শুধুমাত্র ঘরে বসে থেকে মোবাইল অথবা কম্পিউটার ব্যবহারের মাধ্যমে এটা সম্ভব। সিপিএম মার্কেটিং এর কাজ হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের টাস্ক পূরণ করা। যেমন লাইক, কমেন্ট, শেয়ার, রিভিউ, মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করার অথবা করিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে কমিশন পাওয়া যাবে।
সিপিএ মার্কেটিং করে প্রচুর টাকা ইনকাম করার জন্য প্রচুর সময় ইনভেস্ট করতে হবে এবং ধৈর্য ধারণ করতে হবে। যদিও কাজটি দেখে অনেক সহজ মনে হচ্ছে ঠিক তেমনি এখান থেকে প্রচুর টাকা ইনকাম করাও একটু কঠিন।
প্রথম দিকে ৬ মাস কাজটি শিখতে হবে কারণ পরিপূর্ণভাবে কাজটি না শিখতে পারলে টাকা ইনকাম করা আপনার জন্য কঠিন হয়ে যাবে। তাই সঠিক গাইডলাইন দেখে এই কাজটি শিখে ফেলতে পারেন। অনেকে রয়েছে শত শত ডলার আয় করছে কাজের মাধ্যমে।
১৫ হাজার টাকায় ব্যবসা করে ইনকাম
অনেকে ব্যবসা করতে চান কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমাণে টাকা না থাকার কারণে ব্যবসা শুরু করতে পারছেন না। যদি কেউ অল্প টাকার মধ্যে ব্যবসা শুরু করতে চান। তাহলে ১৫ হাজার টাকার কিছু ব্যবসা রয়েছে যেগুলো শুরু করতে পারবেন। এই ব্যবসা গুলো করার মাধ্যমে প্রতি মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।
আপনারা হয়তো এতক্ষণ জেনেছেন কিভাবে অনলাইনের মাধ্যমে কোনো ইনভেস্ট ছাড়া টাকা ইনকাম করা যায়। কিন্তু যদি অনলাইন কাজ পছন্দ না হয় তাহলে খুব অল্প টাকার মধ্যে ব্যবসা গুলো শুরু করতে পারেন। এই সবগুলো ব্যবসা হচ্ছে অধিক লাভজনক।
তাই কিভাবে টাকা ইনকাম করবেন এই বিষয় নিয়ে যদি ভেবে থাকেন। আর যদি মনে করেন যে ব্যবসা করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করব। তাহলে বলব নিচে উল্লেখিত কিছু ব্যবসার নাম দেওয়া আছে যেগুলো পড়ে নিন। আর যে ব্যবসায়টি আপনার জন্য উপযুক্ত হবে সেটি বেছে নিন।
চায়ের দোকান
এখন হয়তো অনেকেই ব্যবসাটির নাম শুনে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারেন। কারণ এ ব্যবসাটি অধিক লাভজনক হলেও অনেকে অসম্মান জনক মনে করে। একটা কথা জেনে রাখা ভালো কোনো ব্যবসার মধ্যে ছোট বড় নেই। হালাল পথে সকল উপার্জন উপযুক্ত। এই ব্যবসা করার জন্য ১৫০০০ টাকা যথেষ্ট হবে। আপনার আশেপাশে যদি কোনো বাজার অথবা এলাকার মোড় থাকে তাহলে সেখানে চায়ের দোকান দিয়ে দিন।
পুরাতন বই বিক্রি
সকলেই তো নতুন বই বিক্রি করার দোকান দিতে চাই। কিন্তু সকলেই তো আর নতুন বই কিনতে চায় না। যারা নতুন বই কিনতে চায় না অবশ্যই তারা পুরাতন বই কিনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে। আপনি অনলাইন অথবা অফলাইনের মাধ্যমে পুরাতন বই বিক্রি করে ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। এ ব্যবসাটি করার জন্য ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা যথেষ্ট হবে। তাই এ ব্যবসার প্রতি যদি আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে আজ থেকে ব্যবসার সকল কার্যক্রম শুরু করে দিতে পারেন।
রিচার্জ এর দোকান
রিচার্জ এর দোকান দেওয়ার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এখন হয়তো অনেকে বলতে পারেন বর্তমানে রিচার্জের দোকান অধিক লাভজনক নয়। আপনি রিচার্জ এর পাশাপাশি মানি ট্রান্সফারের অপশন গুলো রাখবেন। যেমন বিকাশ, রকেট, উপায় ও নগদের মত মানি ট্রান্সফার মাধ্যম রাখবেন। যাদের এন্ড্রয়েড ফোন নেই তারা রিচার্জ এর মাধ্যমে মানুষের সাথে যোগাযোগ করে। তাই এই ব্যবসাটি শুরু করে দিতে পারেন।
ফলের জুসের ভ্যান
মানুষ যেমন ফল খেতে পছন্দ করে তেমন ফলে জুস খেতেও পছন্দ করে। মহল্লার কোনো মোড়ে অথবা বাজারের কোনো স্থানে জুস বানানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের ফল এবং একটি ভ্যান তার সাথে ঠান্ডা পানি আর কয়েকটি গ্লাস নিয়ে শুরু করে দিতে পারেন।
আশা করা যায় এই সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য ১৫ হাজার টাকা যথেষ্ট হবে। আর এই ব্যবসা করে প্রতি মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। হয়তো বা অনেকের কাছে ব্যবসাটি অনেক ছোট মনে হতে পারে। কিন্তু ব্যবসাটি অনেক লাভজনক বিশেষ করে গরমের সময়।
ডেলিভারি বয়
যদিও এটি ব্যবসা নয়। কিন্তু এই কাজ করার মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহে দুই থেকে তিন হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এই কাজটি বিশেষ করে কম বয়সী বা ছাত্রদের জন্য উপযোগী হবে। নির্দিষ্ট একটি সময় বেছে নিয়ে সেই সময়কে কাজে লাগানোর জন্য ডেলিভারি বয় হিসেবে কাজ করতে পারেন।
এই কাজের জন্য শুধু প্রয়োজন হবে একটি সাইকেল। আর একটি সাইকেল ১০ হাজার টাকার মধ্যে অনায়াসে হয়ে যাবেন। তাই আপনি যদি ডেলিভারি বয় হিসেবে কাজ করতে চান তাহলে ফুডপান্ডা ও দারাজের মত আরো অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেখানে ডেলিভারি বয় হিসেবে যুক্ত হতে পারেন।
টাকা ইনকাম করার মার্কেটপ্লেসের নাম
অনলাইনের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করার জন্য মার্কেটপ্লেস গুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ যারা অনলাইনে কাজ করে তাদের মধ্যে অধিকাংশ কাজ নেওয়ার জন্য মার্কেটপ্লেসগুলোকে বেছে নেই। এই জন্য যে মার্কেটপ্লেসগুলো থেকে সহজে কাজ পাওয়া যায়। মার্কেটপ্লেস ছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেও কাজ পেতে পারেন।
কিন্তু আপনি যদি দক্ষ ও অভিজ্ঞ সম্পন্ন হন তাহলে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। আর যদি নতুন অবস্থায় থাকেন তাহলে মার্কেটপ্লেসগুলো আপনার জন্য বেশি উপযোগী হবে। তাই আসুন কিছু প্রয়োজনীয় মার্কেটপ্লেস এর নাম জেনে আসে যেগুলোর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
- ফাইবার
- আপ ওয়ার্ক
- ফ্রিল্যান্সার ডটকম
- পিপল পার আওয়ার
- 99 ডিজাইনস
অনলাইন টাকা ইনকাম করার প্রয়োজনীয় টিপস
আপনাদের মধ্যে অনেকে দুই থেকে এক মাস কাজ শেখার পরে হতাশ হয়ে যান। মূলত হতাশ হওয়ার কারণ রয়েছে যখন অনেক চেষ্টা করার পরেও কাজ না পান তখন হতাশ হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এত তাড়াতাড়ি হতাশ হলে টাকা ইনকাম করবেন কিভাবে বা সফলতা পাবেন কিভাবে।
টাকা ইনকাম করার জন্য ধৈর্য শক্তি এর প্রয়োজন। বিশেষ করে বেশি বেশি টাকা উপার্জন করার জন্য অবশ্যই ধৈর্যশক্তির প্রয়োজন হবে। এটা প্রায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। অনলাইনের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করার জন্য কোন বিষয়গুলো জানা প্রয়োজন।
- যে কাজটি শিখছেন সেই কাজটি শেখার প্রতি আগ্রহ এবং চাহিদা থাকতে হবে।
- যে কোন কাজ শেখার আগে সেই কাজ সম্পর্কে যথাযথ বিচার বিশ্লেষণ করে নিতে হবে।
- কাজটি শেখার জন্য যেখানে কোর্স করবেন তাদের সম্পর্কে যথাযথ জানার চেষ্টা করুন। তারা কিভাবে কাছে খায় এবং তাদের কাজের উপরে দক্ষতা বা অভিজ্ঞতা কেমন ইত্যাদি বিষয়ে।
- যে কাজটি শিখছেন সেখানে যথাযথ সময় দিন এবং কঠোর পরিশ্রম করুন।
- কাজ শেখার সময় অবশ্যই ধৈর্যের শক্তির প্রয়োজন হবে। কারণ যথাযথ ধৈর্য শক্তি না থাকলে আপনি কাজের ব্যাপারে হতাশ হয়ে যাবেন।
- যে কাজটি শিখছেন সে কাজের বিষয়ে গভীর ও গভীর থেকে জানার চেষ্টা করুন। এমনভাবে জানার চেষ্টা করুন যেন অন্যের থেকে নিজেকে বেটার বা ভালো প্রমাণিত করতে পারেন।
- নিজের মধ্যে থেকে নতুন কিছু আনার চেষ্টা করুন। যেটা আপনাকে উন্নতির দিকে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
- যেই কাজটি শিখছেন সেই কাজের উপরে যথাযথ ফোকাস স্থির রাখুন। এমন নয় যে আজকে এই কাজটা শিখলেন ভালো লাগলো না। পরের দিন আরেকটি কাজ শিখলেন।
উপসংহার
পরিশেষে বলা যায় আপনি যদি অনলাইন অথবা অফলাইনের মাধ্যমে ইনকাম করতে চান তাহলে এই উপায় গুলোর মধ্যে থেকে যেকোনো একটি উপায় বেছে নিতে পারেন। যে উপায়গুলো দ্বারা আপনি আপনার কাঙ্খিত টাকা ইনকাম করার পথ খুঁজে পেতে পারেন। তাইতো আপনাদেরকে এই পথ গুলো বলে দেওয়া হয়েছে। অবশ্যই এ পথ গুলোর পেছনে পরিশ্রম দিতে হবে। তাহলেই আপনি টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হবেন ইনশাআল্লাহ।
শেষ কথাঃ প্রিয় পাঠক, আপনাদের মনে থাকা প্রশ্ন আমি কিভাবে টাকা ইনকাম করব? আশা করা যায় এই পুরো তথ্যটি পড়ার পরে কিভাবে আপনি টাকা ইনকাম করবেন তা বুঝতে পেরেছেন। সত্যি যদি বুঝতে পারেন এবং পড়ার মাধ্যমে উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার বন্ধুদেরও মধ্যে যারা টাকা ইনকাম করতে ইচ্ছুক তাদেরকেও বিষয়টি জানান। যেন তারাও পুরো তথ্যটি পড়ার মাধ্যমে উপকৃত হতে পারে।
এসএইচ নিউজস্টোরের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url