ঘরে বসে আয় করুন ১৫০০০-২০০০০ টাকা প্রতি মাসে
ঘরে বসে আয় করুন ১৫০০০-২০০০০ টাকা প্রতি মাসে এটা কি আসলে সম্ভব? হ্যাঁ, এটা সম্ভব যদি আর্টিকেলে থাকা ঘরে বসে আয় করুন ১৫০০০-২০০০০ টাকা প্রতি মাসে এ বিষয়টি বিস্তারিত ভাবে পড়ে নিতে পারেন। এর মধ্যে থাকা প্রত্যেকটি আয় আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। কারণ এখানে রয়েছে অনলাইন এবং অফলাইন দুই ভাবে টাকা ইনকামের উপায়। যা আপনাকে প্রতি মাসে ১৫০০০-২০০০০ টাকা আয় করতে সহায়তা করবে।
ঘরে বসে থেকে আয় করতে পছন্দ করবে না এমন ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। এই জন্য যারা প্রতি মাসে ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা উপার্জন করতে চান। তারা আর্টিকেল থেকে ঘরে বসে আয় করুন ১৫০০০-২০০০০ টাকা প্রতি মাসে পড়ে নিতে পারেন। কারণ এখানে কাঙ্খিত টাকা অর্জনের জন্য পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন এবং উপায় গুলো বলে দেওয়া হয়েছে।
পোস্ট সূচীপত্রঃ
ঘরে বসে আয় করুন ১৫০০০-২০০০০ টাকা প্রতি মাসে
একটা সময় ছিল মানুষ যখন জীবিকার তাগিদে মাঠে অথবা ঘরের বাহিরে গিয়ে কাজ করতো। কিন্তু সময় তার পরিবর্তন দেখানোর মাধ্যমে ঘরে বসে থেকে মানুষ এখন ১৫০০০ থেকে ২০০০০ টাকা এমনকি তারও অধিক আয় করতে পারছে। শুধু প্রয়োজন হচ্ছে মোবাইল, কম্পিউটার বা ল্যাপটপ তার সাথে ইন্টারনেট কানেকশন। অনলাইনের মাধ্যমে এই সকল ডিভাইস দ্বারা মানুষ অনায়াসে প্রতি মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করছে।
তাই আপনার যদি মনে হয় আমিও এদের মত ঘরে বসে থেকে মাসে ২০০০০ টাকা ইনকাম করবো। তাহলে উল্লেখিত আয় এর মাধ্যম গুলো জানতে হবে। যদি সঠিক আয়ের মাধ্যম জানা না থাকে তাহলে মাসে ১৫০০০ থেকে ২০০০০ টাকা উপার্জন করা সম্ভব হবে না। এমনকি যে মাধ্যমগুলো নিচে উল্লেখ করা হবে সেগুলো দ্বারা মাসে এর অধিক টাকা আয় করতে পারবেন। তাহলে ঘরে বসে থেকে প্রতি মাসে ১৫০০০ থেকে ২০০০০ টাকা আয় করার উপায়গুলো বিস্তারিত করার মাধ্যমে জেনে নিন।
বিজনেস কার্ড ডিজাইন করে ১৫০০০-২০০০০ টাকা প্রতি মাসে
বিজনেস কার্ড হচ্ছে কিছু প্রতিষ্ঠান ছোট একটি কার্ড দ্বারা তাদের কোম্পানির সাথে যোগাযোগের তথ্য বা মাধ্যম উল্লেখ্য থাকে। যার দ্বারা সাধারণ মানুষ কোম্পানি সম্পর্কে জানতে পারে এবং কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করতে পারে। এই কার্ডটি ডিজাইন করার মাধ্যমে প্রতি মাসে ১৫০০০ থেকে ২০০০০ টাকা আয় করা সম্ভব। এই ডিজাইন করে আয় করার জন্য মার্কেটপ্লেস এ একাউন্ট থাকতে হবে অথবা বিভিন্ন কোম্পানিকে তাদের কার্ড ডিজাইন করার জন্য প্রস্তাব দিতে পারেন। তাই বিজনেস কার্ড ডিজাইনের মাধ্যমে ঘরে বসে থেকে সহজে ১৫০০০ থেকে ২০০০০ টাকা আয় করুন।
মেনু ডিজাইন করে ১৫০০০-২০০০০ টাকা প্রতি মাসে
প্রত্যেকটি রেস্টুরেন্টের বা বড় বড় হোটেলের খাবারের মেনু থাকে। গ্রাহকদের আকর্ষিত করার জন্য মেনুকে সুন্দরভাবে ডিজাইন করার জন্য রেস্টুরেন্ট বা হোটেলগুলো ডিজাইনার হায়ার করে থাকে। বাহিরের দেশের রেস্টুরেন্ট গুলোর মেনু ডিজাইনারদের প্রতি আগ্রহ বেশি। এই জন্য কাজটির চাহিদা অনেক বেশি থাকে যার কারণে এখান থেকে প্রতি মাসে ১৫০০০ থেকে ২০০০০ টাকা ঘরে বসে থেকে আয় করতে পারবেন। শুধু প্রয়োজন হবে নিজের মধ্যে থাকা ক্রিটিভিটিকে বের করে আনা।
আর সেই মেনুকে সুন্দরভাবে ডিজাইন করে ক্লাইন্ট এর সামনে উপস্থাপন করা। কাজের মান যত সুন্দর হবে এবং মানুষ যত আকর্ষিত হবে। আপনার কাজ পাওয়ার চাহিদাও তত বেড়ে যাবে। অনেকে আছে মাসে ১৫০০০ থেকে ২০০০০ টাকারও বেশি আয় করে।
ব্লগিং এর মাধ্যমে ১৫০০০-২০০০০ টাকা প্রতি মাসে
ব্লগিং হচ্ছে বিভিন্ন বিষয়ের উপরে আর্টিকেল লিখার মাধ্যমে মানুষকে তথ্য প্রদান করা। আর মানুষের কাছে তথ্য প্রদানের মাধ্যমে হিসেবে কাজ করছে গুগল। আর আপনি এখানে বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল লিখার মাধ্যমে প্রতি মাসে ১৫০০০ থেকে ২০০০০ টাকা উপার্জন করতে পারবেন। আপনার যে বিষয়ের উপরে জ্ঞান ও দক্ষতা রয়েছে তার উপরে ভিত্তি করে লিখালিখি শুরু করুন। এই তথ্যগুলো পাবলিশ করার জন্য ব্লগার ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে পারেন। শুধুমাত্র প্রয়োজন হবে একটি ডোমেইন। তাই নিজের জ্ঞান ও দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ঘরে বসে থেকে মাসে ১৫০০০ থেকে ২০০০০ টাকা আয় করুন।
কনটেন্ট ক্রিয়েট এর মাধ্যমে ১৫০০০-২০০০০ টাকা প্রতি মাসে
আপনি হয়তো এই নামটা কখনো না কখনো শুনেছেন। কারণ যে সকল ভিডিও ইউটিউবের মাধ্যমে দেখে থাকেন তার বেশির ভাগ ভিডিও একজন কন্টেন্ট ক্রিয়টর তৈরি করে। এদেরকে ইউটিউবারও বলা হয়ে থাকে। তাই বিভিন্ন বিষয়ের উপরে ভিডিও বানিয়ে তা থেকে মাসে ১৫০০০ থেকে ২০০০০ টাকা অনায়াসে আয় করা সম্ভব। একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে কোনো ধরনের টাকার প্রয়োজন হয় না।
শুধু প্রয়োজন হবে একটি জিমেইল একাউন্ট ও মোবাইল ফোনের ক্যামেরা। যে ক্যামেরা দ্বারা ভিডিও তৈরি করবেন। যেই ধরনের ভিডিও আপনার তৈরি করতে ভালো লাগে যেমন ট্রাভেলিং, ফুড, কুকিং ইত্যাদি। তাই থেকেই ১৫০০০ থেকে ২০০০০ টাকা আয় করার জন্য ভিডিও তৈরি শুরু করে দিন।
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট থেকে ১৫০০০-২০০০০ টাকা প্রতি মাসে
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হচ্ছে অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসে থেকে যাবতীয় কিছু পর্যবেক্ষণ ও দেখাশোনা করা। এর মানে হচ্ছে আপনাকে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক বা এমন কোনো ব্যক্তি যার সকল কিছু দেখাশোনা করার মতো সময় নেই। এমন একজনকে প্রয়োজন যে ইন্টারনেটকে ব্যবহার করে অনলাইনের মাধ্যমে তার যাবতীয় কিছু দেখাশোনা করবে। এখন এই কাজটি করার মাধ্যমে ঘরে বসে থেকে ১৫০০০ থেকে ২০০০০ টাকা প্রতি মাসে আয় করুন।
কিন্তু কাজটি করার জন্য সবচেয়ে উপযোগী ডিভাইস হচ্ছে ল্যাপটপ বা কম্পিউটার। আর কাজ পাওয়ার জন্য মার্কেটপ্লেস গুলোতে খোঁজ করতে হবে। সেখানে বিভিন্ন ধরনের ব্যাক্তি তাদের ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে নিয়োগের জন্য অ্যাসিস্ট্যান্ট খুঁজে। তাই বসে থেকেই ২০০০০ টাকা আয় করুন।
ফটো ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ ১৫০০০-২০০০০ টাকা প্রতি মাসে
ছবির পিছনের ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ করার মাধ্যমে ঘরে বসে মাসে ১৫০০০ থেকে ২০০০০ টাকা আয় করতে পারবেন। এডোবি ফটোশপ ব্যবহার করার মাধ্যমে যেকোনো ছবির পেছনের ব্যাকগ্রাউন্ড গুলো মুছে ফেলতে পারবেন। এর থেকে সহজ উপায়ে অনলাইনে ইনকাম করার মাধ্যম খুব কম আছে। এখান থেকে আয় করার জন্য মার্কেটপ্লেস এর মাধ্যমে বাইরের কাছ থেকে কাজ নিতে হবে। আপনি চাইলে লোকাল মার্কেট থেকেও কাজ নিয়ে আয় করতে পারেন।
আপনি যদি সত্যি মাসে ১৫০০০ থেকে ২০০০০ টাকা এবং কম সময়ে মধ্যে আয় করতে চান। তাহলে বলবো এই মাধ্যমটির মতো উত্তম কোনো উপায় খুঁজে পাওয়া কষ্টসাধ্য। অনেকেই রয়েছে যারা ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ করার মাধ্যমে মাসে ২০ হাজার টাকার অধিক আয় করছে।
ইনফোগ্রাফিক ডিজাইন ১৫০০০-২০০০০ টাকা প্রতি মাসে
ইনফোগ্রাফিক ডিজাইন করার মাধ্যমে মাসে ঘরে বসে থেকে ১৫০০০ থেকে ২০০০০ টাকা খুব সহজেই আয় করতে পারবেন। বর্তমানে মার্কেটপ্লেসে এই কাজের চাহিদা অনেক বেশি। কাজটি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট সুন্দর সুন্দর তৈরি করা তার উপরে ডিসক্রিপশন ও প্রোডাক্ট এর কাজ কি তা লিখতে হবে। এমনভাবে প্রোডাক্টের ডিজাইন ও বায়োডাটা তৈরি করতে হবে।
যাতে করে প্রোডাক্টটি দেখতে আকর্ষণীয় হয়। এর ডিজাইন করার জন্য এডোবি ইলাস্ট্রেটর ব্যবহার করতে হবে। এই ডিজাইন করার মাধ্যমে অনেকেই ১৫০০০ থেকে ২০০০০ এমনকি তার অধিকও আয় করছে। তাই ঘরে যদি একটি ল্যাপটপ বা কম্পিউটার থাকে। তাহলে কিছু দিন শেখার মাধ্যমে কাজটি শুরু করে দিতে পারেন।
সিপিএ মার্কেটিং এ আয় ১৫০০০-২০০০০ টাকা প্রতি মাসে
অনেকে হয়তো সিপিএ মার্কেটিং এর নাম শুনে থাকবেন। কিন্তু কিভাবে এই কাজ করে আয় করতে হয় তা হয়তো জানেন না। আপনি হয়তো এটাও জানেন না সিপিএ মার্কেটিং করে ঘরে বসে প্রতি মাসে ১৫০০০ থেকে ২০০০০ টাকা আয় করা সম্ভব। সিপিএ মার্কেটিং এর কাজ হচ্ছে ইমেইল সাবমিট করা, রেজিস্ট্রেশন, ডাউনলোড ইত্যাদি। এটি মূলত নির্ধারিত কোনো কাজের টার্গেট দেওয়ার পরে সেটা ফিলাপ করার মাধ্যমে টাকা আয় যায়।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায় ধরুন আপনাকে কেউ বললো যে এই মোবাইল অ্যাপটি যতজন ইন্সটল করবে। তার প্রত্যেক জনের বিনিময়ে আপনি এত টাকা পাবেন। এই পদ্ধতি অবলম্বন করে এবং এভাবে কাজ করে মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।
ব্যানার ডিজাইনের মাধ্যমে ১৫০০০-২০০০০ টাকা প্রতি মাসে
ব্যানার ডিজাইন করার মাধ্যমে প্রতি মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। কিন্তু অনেকে ব্যানার ডিজাইনের কাজটা কি তা জানেন না। এর কাজ হচ্ছে আমাদের বাসার আশেপাশে ও রাস্তাঘাটে বড় বড় ব্যানার টাঙ্গানো দেখা যায়। এই সকল ব্যানার মূলত ডিজাইনার তৈরি করে থাকে। কিন্তু আপনাকে অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসে থেকে ব্যানার ডিজাইন করতে হবে। আর এর বিনিময়ে মোটা অংকের টাকাও পাবেন।
বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি রয়েছে যারা তাদের কোম্পানির প্রচারের উদ্দেশ্যে ব্যানার ডিজাইন করে থাকে। এর জন্য তাদের ব্যানার ডিজাইনারের প্রয়োজন হয়। এজন্য তারা বিভিন্ন ধরনের মার্কেটপ্লেসগুলোতে ব্যানার ডিজাইনার খুজে থাকে। যার কাজের মান ভালো তাকে মূলত তারা ব্যানার ডিজাইনার হিসেবে কাজ দিয়ে থাকে। তাই আপনিও এই ব্যানার ডিজাইন করার মাধ্যমে মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা এমনকি তার অধিকও ইনকাম করতে পারবেন।
আর্টিকেল রাইটিং ঘরে বসে ১৫০০০-২০০০০ টাকা প্রতি মাসে
বর্তমান সময়ে আর্টিকেল রাইটিং কাজ এর খুবই ডিমান্ডেবল। যার যত আর্টিকেল লেখার ধরন ও পদ্ধতি ভাল হবে মার্কেটে তার তত চাহিদা বেশি। আপনি এই আর্টিকেল লেখার মাধ্যমে ঘরে বসে থেকে মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনার যদি লেখার মতো দক্ষতা ও আগ্রহ থাকে তাহলে অবসর সময়কে কাজে লাগানোর মাধ্যমে আর্টিকেল রাইটার হিসেবে কাজ করতে পারেন।
বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট ও প্রতিষ্ঠান তাদের বিভিন্ন বিষয়ে আর্টিকেল এর প্রয়োজন হয়। আর এই প্রয়োজনের তাগিদে তাদের আর্টিকেল রাইটারদের হায়ার করতে হয়। আর এই প্রতিষ্ঠানগুলো মার্কেটপ্লেস এ গিয়ে আর্টিকেল রাইটারদের খোঁজ করে। যার রাইটিং যত সুন্দর ও নিখুঁত তাকে নিযুক্ত করে। তাই রাইটিং এর উপরে মনোযোগ নিবেশ করার মাধ্যমে প্রতি মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা উপার্জন করতে পারেন।
বুক কভার ডিজাইন এর মাধ্যমে ১৫০০০-২০০০০ টাকা
সম্মানিত বিভিন্ন ধরনের লেখক গণের বইয়ের কাভার অথবা বিভিন্ন বিষয়েরর বইয়ের কাভার ডিজাইন করার প্রয়োজন হয়। এর কারণ হচ্ছে বুকের কাভার যত আকর্ষণীয় হবে। মানুষের মনোযোগ বুক এর উপর ততটা আকর্ষিত করবে। আর নিজের বইয়ের কাভারকে সুন্দর ভাবে ডিজাইন করার জন্য কাভার ডিজাইনারদের কাজ দিয়ে থাকে। আর এই কাজ করার মাধ্যমে খুব সহজে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন। বুক কভার ডিজাইন করার জন্য এডোবি ইলাস্ট্রেটর অথবা এডোবি ফটোশপ এর সাহায্য নিতে পারেন।
আমরা সকলেই জানি বইয়ের কাভারের থেকে তার লেখার গুরুত্ব অনেক বেশি। কিন্তু তবুও বইয়ের প্যাকেজিং বা কাভারের উপর মানুষের নজর প্রথম পরে। তারপরেই মানুষ সেই বইটি পড়ে দেখার চেষ্টা করে। এই জন্য বর্তমানে বইয়ের লেখার গুরুত্বের উপর আরোপ করার পাশাপাশি কাভার ডিজাইনের উপরেও গুরুত্ব দিচ্ছে। তাই এই ডিজাইন করার মাধ্যমে ঘরে বসে কম্পিউটার বা ল্যাপটপের মাধ্যমে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা প্রতি মাসে আয় করুন।
ভিডিও এডিটিং করে ১৫০০০-২০০০০ টাকা প্রতি মাসে
আমরা হয়তো ফেসবুক ও ইউটিউবে অনেক ধরনের ভিডিও দেখে থাকি। কখনো কি ভেবেছেন এই ভিডিওগুলো কিভাবে এতটা সুন্দরভাবে আমাদের সামনে উপস্থাপন করা হয়। শুধু কি ভিডিওগুলো তৈরি করে আমাদের সামনে উপস্থাপন করা হয়। এমনটি নয় সফটওয়্যার গুলোর মাধ্যমে ভিডিও এডিট করা হয়। এই এডিট করার জন্য প্রয়োজন দক্ষতা ও কঠোর পরিশ্রম। আর এর বিনিময়ে আপনি টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
এমনকি মাসে কাজটি করার মাধ্যমে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। এই কাজগুলো মূলত বিভিন্ন ধরনের ইউটিউবার রয়েছে তাদের ভিডিওগুলো এডিট করার বিনিময়ে অর্থ দিয়ে থাকে। শুধু ইউটিউবার নয় আরো বিভিন্ন ধরনের সেক্টরের ভিডিও এডিটিং করার মাধ্যমে আয় করতে পারেন। ভিডিও এডিটিং এর কাজ খুঁজে পাওয়ার জন্য মার্কেটপ্লেস এর সাথে যুক্ত হতে পারেন। সেখানে নিজের ও কাজের ব্যাপারে পোর্টফোলিও তৈরি করার মাধ্যমে সহজেই কাজ পেয়ে যাবেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে ১৫০০০-২০০০০ টাকা
ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরে অনেক ধরনের কাজ রয়েছে। যেকোনো একটি কাজ করার মাধ্যমে মাসে ১৫ থেকে ২০ টাকা আয় করা সম্ভব। শুধুমাত্র ঘরে বসে থেকে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ এর মাধ্যমে সম্ভব হবে। তাই যেকোনো একটি কাজের উপরে নিজের দক্ষতাকে বাড়িয়ে তুলুন। এমন ভাবে দক্ষতাকে বাড়িয়ে তুলতে হবে যাতে কেউ কাজ দেওয়ার সাথে সাথে সেই কাজটি সম্পূর্ণ করা যায়।বর্তমান সময়ের অধিক জনপ্রিয় হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং।
অনেক বেকার যুবক বা বেকার মানুষ চাকরি খুঁজে খুঁজে হতাশ হওয়ার পরে। যখন ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরে ঢুকে পড়ে তখন তাকে আর পিছনে ঘুরে তাকাতে হয় না। শুধু তার তখন প্রয়োজন হয়েছে ল্যাপটপ বা কম্পিউটার ও ধৈর্য শক্তি সাথে কঠোর পরিশ্রম। সবমিলিয়ে সেই সকল ব্যাক্তি আজ সফলতার দোরগোড়াই। তারা শুধু যে মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা ইনকামের সীমাবদ্ধ রয়েছে এমনটি নয়। অনেকে রয়েছে যারা এর অধিক ইনকাম করতে সক্ষম।
তাই আপনি যদি মাসে ২০ হাজার বা এর অধিক ইনকাম করতে চান। তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরের ভিতরে যে সকল কাজ রয়েছে। তার মধ্যে থেকে যে কাজটি আপনার ভালো লাগবে। সেই কাজ শেখার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন শুরু করে দিতে পারেন।
লোগো ডিজাইন করে ১৫০০০-২০০০০ টাকা প্রতি মাসে
এই কাজটি সব সময় ডিমান্ডটেবল থেকে গেছে। কারণ যত ধরনের চাহিদা সম্পন্ন কাজ রয়েছে তাদের মধ্যে এটি অন্যতম। চাহিদা থাকার পাশাপাশি প্রতিযোগিতাও অনেক বেশি। তাইতো ঘরে বসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা উপার্জন করা কোনো ব্যাপার না। লোগো ডিজাইন হচ্ছে কোন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত চিহ্ন ও নাম। যার দ্বারা প্রত্যেকটি মানুষ বুঝতে পারবে এটি অমুক কোম্পানি।
তাই প্রত্যেকটি সুনামধন্য প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার আগে তাদের লোগো ডিজাইন করতে হয়। কারণ পরিচিতি লাভ করার উদ্দেশ্যে লোগো ডিজাইন সর্বপ্রথম করতে হয়। আর এর জন্য মার্কেটপ্লেস এ ভালো লোগো ডিজাইনারের ডিমান্ড অনেক বেশি। তাই আপনি যদি মনে করেন যে আমিও মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করবো। তাহলে আজ থেকেই লোগো ডিজাইন করার জন্য কাজটি শিখতে শুরু করে দিন। আর নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করার জন্য দক্ষতা অর্জন করুন।
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট থেকে ১৫০০০-২০০০০ টাকা প্রতি মাসে
এই কাজটি অনেক কঠিন হলেও এই উপায়ে কাজের মাধ্যমে আপনি মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা খুব সহজেই ঘরে বসে থেকে আয় করতে পারবেন। বর্তমানে কাজের প্রতিযোগিতা একটু বেশি আবার চাহিদা অনেক বেশি। কিন্তু সর্বপ্রথম এটার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে এবং শিখতে হবে। তা না হলে এখান থেকে ইনকাম করা যাবে না। এর জন্য আপনাকে যে সকল প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ বা ভাষা শিখতে হবে। তা হলো HTML, JavaScript, Python সহ আরো কিছু ভাষা রয়েছে যেগুলো শিখতে হবে।
এই ভাষাগুলো বিনামূল্যে শেখার জন্য ইউটিউবকে ব্যবহার করতে পারেন। আবার অনেক ধরনের কোর্স রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে খুব সহজেই আপনাকে সঠিক ডিরেকশন দেখানোর মাধ্যমে শিখিয়ে দেবে। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শেখার মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করার পরে অনায়াসে মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এমনকি অনেকে রয়েছে যারা এর থেকে বেশিও ইনকাম করে থাকে।
আয় করার জন্য মার্কেটপ্লেসের নাম
ঘরে বসে আয় করার জন্য যতগুলো উপায় বলা হয়েছে। তার বেশিরভাগ উপায়গুলোর মাধ্যমে মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করার জন্য মার্কেটপ্লেস এর নাম জানতে হবে। কারণ মার্কেটপ্লেস এর মাধ্যমে বেশি আয় করতে পারবেন। মার্কেটপ্লেস ছাড়া বেশি ইনকাম করা সম্ভব নয়। তাই জনপ্রিয় কিছু মার্কেটপ্লেসের নাম উল্লেখ করা হলো।
- ফাইবার (Fiverr)
- আপ ওয়ার্ক (Upwork)
- পিপুল পার আওয়ার (People Per Hour)
- 99 ডিজাইনস (99Designs)
- গুরু (Guru)
- ফ্রিল্যান্সার ( Freelancers )
- ড্রিবল ( Dribble )
উপসংহার
পরিশেষে বলা যায় যে, ঘরে বসে থেকে আয় করার জন্য কাজের উপর দক্ষতা থাকতে হবে। আর দক্ষতা অর্জন করতে হলে কঠোর পরিশ্রম ও ধৈর্য শক্তি সাথে সময়ও দিতে হবে। আপনি যদি উল্লিখিত উপায় গুলোর মাধ্যমে ইনকাম করতে চান। তাহলে আপনাকে কাজগুলো সম্পর্কে জানতে হবে। কাজগুলো নিয়ে বেশি বেশি রিসার্চ করতে হবে এবং শিখতে হবে। কারণ দক্ষতা ছাড়া কেউ আপনাকে কাজ দিতে চাইবে না। যদিও ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা উপার্জন করা খুব একটা কঠিন কাজ নয়। তবুও যে কাজের নাম গুলো উল্লেখ করা হয়েছে।
সেই কাজের উপরে যদি দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। আর নিজের ক্রিয়েটিভিটিকে বাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি কাজকে সুন্দর করতে পারেন। তাহলে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার অধিক ইনকাম করতে পারবেন। তাই এর মধ্যে থেকে যেকোনো একটি কাজ বাছাই করুন। সেই কাজটিকে শেখার পরে দক্ষতা অর্জন করুন। যাতে করে সবাই আপনাকে কাজ দিতে বাধ্য থাকে। দেখুন বিনা দক্ষতায় বেশিদূর পর্যন্ত যাওয়া যায় না। তাই টাকা ইনকাম করার জন্য দক্ষতার প্রয়োজন হয়।
শেষ কথাঃ প্রিয় পাঠক, আশা করা যায় ঘরে বসে আয় করুন ১৫০০০-২০০০০ টাকা প্রতি মাসে এর ওপর ভিত্তি করে আয়ের যে উপায় গুলো বলে দেওয়া হয়েছে। সেইগুলো বিস্তারিত করার মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন। যদি আয়ের এই উপায়গুলো পড়ার মাধ্যমে উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে আপনার বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের এই বিষয়গুলো সম্পর্কে অবগত করুন। যাতে করে তারাও নিজের সময়কে কাজে লাগানোর মাধ্যমে মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করতে পারে।
এসএইচ নিউজস্টোরের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url