মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় তা বিস্তারিত জেনে নিন

প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় জানার জন্য খোঁজাখুঁজি করছেন। খোঁজাখুঁজি বন্ধ করে আর্টিকেলে দেওয়া মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় জেনে নিতে পারেন। যেই উপায় গুলো জানার মাধ্যমে খুব সহজে অনলাইনে অথবা ব্যবসা করার মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। তাই আপনার মূল্যবান সময়ের মধ্যে থেকে কিছু সময় দিয়ে আর্টিকেলে দেওয়া ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় গুলো জেনে নিতে পারেন।
মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় তা বিস্তারিত জেনে নিন
আপনি হয়তো দীর্ঘমেয়াদী প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় খুঁজছেন যেগুলো থেকে ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে আয় করা যায়। শুধু তাই নয় এর পাশাপাশি ব্যবসা করার মাধ্যমেও ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। তাই যারা হাজার হাজার টাকা আয় করতে ইচ্ছুক এবং টাকা উপার্জন করা জরুরী। তারা এই সকল বিষয় জেনে উপকৃত হতে পারেন।
পোস্টসূচিপত্রঃ 

    টাকা আয় করার উপায় কি

    বর্তমান আধুনিক যুগে টাকা আয় করার অনেক উপায় রয়েছে। শুধুমাত্র সেই উপায়গুলো খুঁজে বের করতে হবে। বর্তমানে অনেক পেশায় মানুষ আয় করতে পারবে। মানুষ সাধারণত যে সকল পেশায় আয় করে থাকে চাকরি, ফ্রিল্যান্সিং, শ্রমিক, ঠিকাদার, কৃষক, ব্যবসা ইত্যাদি। আপনি এই সকল উপায় থেকেই অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। কিন্তু সকলের জন্য কি সব উপায় প্রযোজ্য হবে।

    এর উত্তর হতে পারে না। কারণ বর্তমান সময়ে যুবকরা ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইনের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে চাই। আবার অনেকে নিজের জীবনকে পরিচালনা করার জন্য চাকরিকে বেশি নিরাপদ ভাবে। একজন শ্রমিক শারীরিক শ্রম দিয়ে উপার্জন করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। যেই যার জায়গা থেকে যেই সঠিক উপায় থেকে উপার্জন করছে সেটাই তার জন্য উত্তম।

    তাই বোঝা যাচ্ছে টাকা আয় করার অনেক উপায় রয়েছে। যে যেই উপায়ে উপার্জন করতে সচ্ছন্দ বোধ করে। এমন নয় যে অনলাইন ছাড়া প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় নেই। অনলাইন ছাড়াও আরো অনেক উপায় রয়েছে যেগুলো থেকে প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

    মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায়

    আচ্ছা আপনারা কি জানেন কোন কোন উপায় থেকে প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করা যায়। আপনি যদি না জেনে থাকেন অথবা জানতে ইচ্ছুক হন তাহলে আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ে নিন। বর্তমান টেকনোলজির যুগে ফ্রিল্যান্সিং থেকে শুরু করে ব্যবসা করার মাধ্যমে প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় রয়েছে।
    মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
    আমরা সকলেই আর্থিক নিরাপত্তা এবং স্বচ্ছন্দে নিরাপদ জীবন যাপন করার জন্য অর্থ উপার্জন করে থাকি। কিন্তু অনেকে হয়তো যে পরিমাণে অর্থ উপার্জন করে সেটা তার জন্য যথেষ্ট নয়। আবার অনেক বেকার যুবক রয়েছে যারা অর্থ উপার্জন করার জন্য উপায় খুঁজে পাচ্ছে না। যদি এই সমস্যাগুলো প্রতিনিয়ত ফেস করতে থাকেন তাহলে সমস্যা নেই। আবার চিন্তার কোন কারণ নেই।

    এই আর্টিকেলের মাধ্যমে সম্পূর্ণ গাইডলাইন এবং প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার সঠিক উপায় জেনে যাবেন। যা আপনার জীবনের চাকাকে নতুন ভাবে ঘুরিয়ে দিতে সহায়তা করবে। এখানে মাসে ৩০০০০ টাকা আয় করার উপায় হিসেবে দুই পদ্ধতিতে আয় করার উপায় বলে দেওয়া হবে। প্রথমটি হচ্ছে অনলাইনের মাধ্যমে কিভাবে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করবেন।

    আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে অল্প টাকার বিনিময়ে ব্যবসা করার মাধ্যমে প্রতি মাসে কিভাবে ৩০ হাজার টাকা আয় করবেন। দেখুন আমরা অনেকেই অনেক সময় বিভিন্ন দিকে ব্যয় করে থাকি। কিন্তু আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে যদি সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে নিতে পারেন তাহলে হয়তো প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় খুঁজে পাবেন।

    মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায়ঃ ১-৫টি

    আপনাদের মধ্যে অনেকে রয়েছে যারা ঘরে বসে থেকে অর্থ উপার্জন করতে স্বচ্ছন্দ বোধ করে। তাহলে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় গুলো আপনার জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। যেই উপায়গুলোতে কাজ করার মাধ্যমে মাসে ৩০০০০ টাকা আয় করতে পারবেন।

    কিন্তু ৩০ হাজার টাকা আয় করা যদি সহজ হতো তাহলে দেশের প্রতিটি মানুষ আজ এই পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতো। যেহেতু ৩০০০০ টাকা আয় করা কোন সহজ উপায় নয়। কিন্তু আপনি যদি সঠিক উপায় অবলম্বন করার মাধ্যমে প্রতিটি ধাপ ফেলতে পারেন। তাহলে আশা করি ইনশাআল্লাহ আপনিও প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

    অনলাইনের মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকা উপার্জন করার জন্য প্রয়োজন হবে দক্ষতা। আর কাজের উপরে দক্ষতা অর্জন করার জন্য প্রয়োজন শ্রম, ধৈর্য শক্তি এবং সময়সহ বিভিন্ন ধাপ। তাহলে আসুন জেনে আসি অনলাইনের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করে প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে।

    আর্টিকেল রাইটিং ৩০ হাজার টাকা আয়

    বর্তমান সময়ে একজন আর্টিকেলের রাইটারের চাহিদা সকল জায়গায়। আপনি যদি দক্ষতা সম্পন্ন আর্টিকেল রাইটার হতে পারেন। তাহলে কোম্পানি থেকে শুরু করে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরেও আর্টিকেল রাইটার হিসেবে যুক্ত হয়ে মাসে ৩০ হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
    কিন্তু এটা একদিনে সম্ভব নয়। এটার জন্য লেখার উপর সময় দেওয়ার মাধ্যমে আর্টিকেল রাইটিং এর উপর দক্ষতা এবং সৃজনশীলতা বাড়াতে হবে। বিভিন্ন বিষয় উপর আর্টিকেল লেখার দক্ষতা অর্জন করতে হবে। তবে আপনি নির্ধারিত কোনো বিষয় নিয়ে আর্টিকেল লেখার অভিজ্ঞতা নিতে পারেন। এমন অনেক ব্যক্তি রয়েছে যারা যেকোনো একটি বিষয়কে নিজের ফ্যাশন হিসেবে ধরে নিয়েছে।

    আজকে সেই বিষয়টির উপরে আর্টিকেল লিখে মাসে ৩০০০০ টাকা উপার্জন করছে। আর্টিকেল রাইটার হিসেবে মার্কেটপ্লেসে যুক্ত হতে পারেন। সেখানেও কাজ করার মাধ্যমে অনায়াসে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করে নিতে পারবেন।

    ব্লগিং করে ৩০ হাজার টাকা আয়

    প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় খুঁজছেন যেটা আপনার জন্য সহজ হবে। তাহলে বলবো ঘরে বসে থেকে ব্লগিং করুন। কারণ এখানে ক্লায়েন্ট বা বায়ার খুঁজে বের করার প্রয়োজন হয় না। কারণ এটা হচ্ছে প্যাসিভ ইনকাম এখানে কাজ পাওয়ার জন্য একটিভ থাকার প্রয়োজন হয় না। ব্লগিং করার জন্য ব্লগার অথবা ওয়ার্ডপ্রেস এ ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন।

    যেখানে নিয়মিত কনটেন্ট লেখার মাধ্যমে নিজের আয় করার স্তম্ভ গড়ে নিতে পারবেন। এটা এক ধরনের ব্যবসা বললে ভুল হবে না। কারণ এখানে যত কনটেন্ট লিখে ইনভেস্ট করতে পারবেন। একটা সময় আপনাকে এই কনটেন্ট গুলো সার্ভিস দিবে। এর মানে হচ্ছে আস্তে আস্তে কনটেন্ট গুলোতে ভিজিটর এর সংখ্যা বাড়তে থাকবে।

    আর যত ভিজিটর সংখ্যা বাড়াতে পারবেন ততই ইনকাম বাড়বে। তাই কেউ যদি ক্লায়েন্ট খোঁজার ঝামেলা বা মার্কেটপ্লেস থেকে কাজ খোঁজার ঝামেলা বহন না করতে চান। তাহলে ব্লগিংকে প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় হিসেবে বেছে নিতে পারেন।

    ট্রান্সলেট করে ৩০ হাজার টাকা আয়

    আপনি শিক্ষাগত যোগ্যতার দিক দিয়ে ইংরেজিতে কথা বলতে এবং ট্রান্সলেট করে দিতে পারদর্শী। এছাড়াও আরো অনেক ভাষা আপনার আয়ত্তে আছে যেগুলো থেকে ট্রান্সলেট করতে পারবেন। তাহলে এই কাজ করার মাধ্যমে ঘরে বসে থেকে প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। শুধুমাত্র যদি ইংরেজিতেও পারদর্শী হয়ে থাকেন। তবুও মাসে ৩০ হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

    বিভিন্ন এজেন্সি, প্রতিষ্ঠান, ট্রাভেল গাইড এবং ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে ট্রান্সলেট করে আয় করতে পারবেন। এই কাজের ডিমান্ড ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা সকল জায়গায় রয়েছে। এই জন্য যদি ট্রান্সলেট করার পূর্বের অভিজ্ঞতা অথবা ভাষা সম্পর্কে জানা থাকে। তাহলে উল্লেখিত মাধ্যমে এবং এছাড়াও আরো যে সকল মাধ্যম রয়েছে সেগুলো থেকে আয় করুন।

    লিড জেনারেশন করে ৩০ হাজার টাকা আয়

    লিড জেনারেশন হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর বহুল প্রচলিত একটি কাজ। যেই কাজ করার মাধ্যমে ঘরে বসে থেকে মার্কেটপ্লেস সহ আরো অন্যান্য মাধ্যম থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। কিন্তু লিট জেনারেশন কাজ কি তা হয় তো জানেন না। লিট জেনারেশন হচ্ছে কোন নির্দিষ্ট বিষয়ের উপরে মানুষকে জানানোর জন্য তাদের বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত গুলো সংগ্রহ করা।

    উদাহরণস্বরূপ বলা যায় আপনার প্রতিষ্ঠান রয়েছে আর সেই প্রতিষ্ঠানে গেঞ্জি বিক্রি করা হয়। আর গেঞ্জি উৎপাদন করা হয়েছে যুবকদের জন্য। এখন গেঞ্জির বিষয়ে সকল বয়সের ব্যক্তিদের জানাবেন নাকি শুধুমাত্র যুবকদের জানাবেন। নিশ্চয়ই শুধুমাত্র যুবক সমাজকে গেঞ্জির বিষয়ে জানাবেন। লিট জেনারেশন এর কাজ ঠিক এমনটাই।

    যেকোনো সম্ভাব্য ক্রেতাদেরকে উদ্দেশ্য করে যে তথ্য এবং উপাত্ত গুলো সংগ্রহ করা হয় তা মূলত লিট জেনারেশন। এটা হতে পারে ক্রেতাদের ফোন নাম্বার এবং ইমেইল ইত্যাদি। এখন এই কাজ কোন প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত হয়ে করতে পারেন অথবা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে ক্লাইন্ট এর কাছ থেকে কাজে নেওয়ার মাধ্যমে।

    ফেসবুক মার্কেটিং করে ৩০ হাজার টাকা আয়

    ফেসবুকের সাথে আমরা কম বেশি সকলেই পরিচিত। আমাদের জীবনে ফেসবুক যেন এক মনোরঞ্জনের জায়গা। অনেকে রয়েছেন যারা ফেসবুক থেকে একদিন বাহিরে থাকতে পারেন না। আর ফেসবুক থেকে বাহিরে না থাকা আপনার জন্য কল্যাণ বয়ে আনে তাহলে কেমন হয়। নিশ্চয়ই অনেকের জন্য ভালো হয়।

    তাইতো প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় হিসেবে ফেসবুক ব্যবহার করতে পারেন। কোন উপায়ে ফেসবুকে ব্যবহার করলে লাভবান হতে পারবেন। এর জন্য ফেসবুকে পেজ খুলুন। এই পেজ আপনাকে নানা ভাবে অর্থ উপার্জন করার জন্য উর্ধ্বত্ব করবে। ফেসবুক পেজে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলতে পারেন। সেই প্রতিষ্ঠানের পণ্যগুলোকে প্রচার-প্রচারণা করার মাধ্যমে বিক্রি করুন।

    এরপরে ভিডিও আপলোডার হিসেবে নিজেকে নিযুক্ত করতে পারেন। আপনারা হয়তো ফেসবুকে প্রতিনিয়ত ভিডিও দেখে থাকবেন। এই ভিডিওগুলো দেখার পাশাপাশি নিজেরাও ভিডিও তৈরি করে ফেসবুক পেজে আপলোড করতে পারেন। ফেসবুক তাদের মিনিমাম ভিউ এবং ফলোয়ার দেখার পরে মনিটাইজেশন অন করে দেয়।

    আর মনিটাইজেশন অন করার পরে আই শুরু হয়ে যাবে। এরপরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পেজ দেখাশোনার মাধ্যমে আয় করতে পারেন। আশা করি ফেসবুকের আয়ের উপায় গুলো ব্যবহার করে মাসে ৩০০০০ টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

    মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায়ঃ ৬-১০টি

    আপনি এতক্ষণ জানলেন অনলাইনের মাধ্যমে ৩০ হাজার আয় করার ৫টি উপায়। কিন্তু ব্যবসা করার মাধ্যমেও মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করা যায়। আবার ব্যবসা করার জন্য অধিক টাকার প্রয়োজন হয়। কিন্তু এখানে যেই ব্যবসা গুলোর কথা উল্লেখ করা হবে তা কম টাকার মধ্যেই শুরু করতে পারবেন। তাই আসুন মাসে ৩০ হাজার আয় করার উপায় হিসেবে ব্যবসা করার মাধ্যম গুলো জেনে আসি।

    রিচার্জ এর দোকান দিয়ে ৩০ হাজার টাকা আয়

    আপনি রিচার্জ এর দোকান দেওয়ার মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। কিন্তু অনেকে বলতে পারেন শুধুমাত্র রিচার্জ এর দোকান দিয়ে কিভাবে ৩০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। শুধুমাত্র রিচার্জ নয় এর পাশাপাশি খাতা, কলম, বই, কাগজ ফটোকপ এবং ডিজিটাল মানি ট্রান্সফার অপশন রাখার মাধ্যমে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ আয় করতে পারবেন।

    প্রথম দিকে হয়তো কাঙ্খিত টাকা আয় হবে না। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে যখন দোকানের পরিচিতি বাড়বে তখন উপার্জন এর থেকে বেশিও হতে পারে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে দোকানের পজিশন। দোকানের পজিশন এমন জায়গায় নির্ধারণ করুন। যেখানে মানুষের যাতায়াত বেশি থাকে। তাই রিচার্জের দোকান দেওয়ার মাধ্যমে আয় করুন।

    গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান দিয়ে ৩০ হাজার টাকা আয়

    মানুষ একটা সময় পার করেছে যখন খড়ি দিয়ে রান্না বান্না করতো। কিন্তু সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে মানুষ তার জীবন ধারণের উপায় গুলো পরিবর্তন করেছে। তারই মধ্যে একটি হচ্ছে খড়ির বিপরীতে গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে রান্নাবান্না করা।

    বর্তমান সময়ে প্রায় শহরের প্রত্যেকটি ঘরে গ্যাস সিলিন্ডার দ্বারা রান্না করা হয়। তাহলে বোঝা যাচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডারের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। আপনি গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান দেওয়ার উপায় ব্যবহার করে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।

    আর গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান দিতে সেই রকম খরচ হয় না। মিনিমাম কিছু অ্যামাউন্ট নিয়ে দোকানে ইনভেস্ট করুন। প্রথম দিকে হয়তো সিলিন্ডার ওভাবে বিক্রি হবে না। কিন্তু মানুষ যখন জানতে পারবে এখানে সিলিন্ডার বিক্রি করা হয়। তখন সিলিন্ডারের বিক্রি বৃদ্ধি পাবে। এই জন্য ব্যবসার ক্ষেত্রেও ধৈর্যের প্রয়োজন রয়েছে।

    চা বিক্রি করে ৩০ হাজার টাকা আয়

    আপনাকে হয়তো চা বিক্রি করার কথা বললে নাকোছ করে দিবেন। কিন্তু যদি বলা হয় যে একজন চা বিক্রেতা মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করে তাহলে হয়তো না নাকোছ করবেন না। তবু যদি ব্যবসাটি ভালো না লাগে তাহলে বলব কোন কাজের মধ্যে ছোট এবং বড় নেই। যদি সেটা সততার সাথে কাজ করে উপার্জন করা হয়।

    নিশ্চয়ই চা বিক্রি অসৎ কাজ নয়। এই ব্যবসা করার জন্য আহামরি ইনভেস্ট এর প্রয়োজন নেই। সামান্য কিছু টাকার মাধ্যমে ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন। কিন্তু দোকান এমন জায়গায় দেওয়া উচিত যেখানে মানুষ ওঠা-বসা করে। বিশেষ করে এলাকার মোড় অথবা যেখানে বেশি মানুষ আড্ডা দেয়।

    কোচিং সেন্টার দিয়ে ৩০ হাজার টাকা আয়

    আপনি পড়াশোনা শেষ করেছেন অথবা পড়াশোনা চলমান অবস্থায় রয়েছে। এখন চাকরি খোঁজাখুঁজি করছেন কিন্তু চাকরি পাচ্ছেন না। আর চাকরি পেলেও তার বেতন আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী কম। তাহলে কোচিং সেন্টার দিয়ে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারেন।

    তবে অবশ্যই যেই বিষয়গুলোতে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা প্রদান করবেন। সেই বিষয়গুলোতে পড়ানোর অভিজ্ঞতা অথবা যোগ্যতা থাকতে হবে। যদি এই বিষয়গুলো আপনার মধ্যে থাকে তাহলে একটি রুম ভাড়া করে সেটাকে কোচিং সেন্টার বানিয়ে নিন। আর অবশ্যই কোচিং সেন্টারে পড়ানোর জন্য লিখার বোর্ড এবং বেঞ্চ থাকতে হবে।

    প্রথম দিকে কম বেঞ্চ বানিয়ে পড়ানো শুরু করুন। যখন আপনার আস্তে আস্তে কোচিংয়ে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বাড়বে। তখন নিশ্চয়ই আয় এর পরিমাণও বাড়বে আর নতুন বেঞ্চ কেনার টাকাও থাকবে। তাই যদি মনে হয় এই কাজ আপনার জন্য উপযোগী হবে তাহলে পরিকল্পনা শুরু করুন।

    খামারের ব্যবসা করে ৩০ হাজার টাকা আয়

    আপনি খামারের সম্পর্কে কিছুটা হলেও জানেন। কিন্তু আপনি কি জানেন একজন খামারি মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারে। এবার হয়তো আপনি বলতে পারেন যে হ্যাঁ জানি কিন্তু সেখানে প্রচুর ইনভেস্টের প্রয়োজন হয়। আপনার এই কথার সাথে একমত হবো না।

    কারণ ব্যবসা প্রচুর টাকা দিয়েও করা যায় এবং কম টাকা দিয়েও করা যায়। খামারে ব্যবসার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে গরু, হাঁস মুরগি, পাখি ইত্যাদি। এই ধরুন আপনি মুরগির খামার দিলেন। এর জন্য কিছু পরিমাণ ইনভেস্ট এর মাধ্যমে অল্প মুরগি কিনে নিলেন।

    এখানে যেই মুনাফা পাওয়া যাবে সেটাকে আবার পুনরায় ব্যবসায় অন্তর্ভুক্ত করুন। এভাবে করে আস্তে আস্তে নিজের ব্যবসাকে বিস্তৃত করুন। অল্প পুঁজিতে ব্যবসা শুরু করার মাধ্যমে অভিজ্ঞতা বাড়বে এবং ঝুঁকি কম থাকবে। তাই যদি খামারের ব্যবসা পছন্দ হয় তাহলে উপায়টি কাজে লাগিয়ে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করুন।

    মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায়ঃ ১১-১৫টি

    আমরা এতক্ষণ প্রায় ১০টি মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে জানলাম কিন্তু এখন আরো ৫টি ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় জানবো। যেগুলোর মধ্যে অনলাইনের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করার উপায় থাকবে। এই উপায়ে কাজ করার মাধ্যমে ঘরে বসে থেকে অর্থ করতে পারবেন। তাহলে চলুন জেনে আসি সেই সকল উপায় যা থেকে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করা যাবে।

    ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে ৩০ হাজার টাকা আয়

    একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। আপনি যদি প্রতিনিয়ত ইউটিউবে ভিডিও দেখার জন্য সময় দিয়ে থাকেন। সেই সময়টাকে টাকায় রূপান্তর করার সময় চলে এসেছে। আপনার সময়কে টাকায় রূপান্তর করবেন কিভাবে এর জন্য জিমেইল একাউন্ট দ্বারা ইউটিউব চ্যানেল খুলে ফেলুন।

    সেই ইউটিউব চ্যানেলে প্রতিনিয়ত ভিডিও আপলোড করুন। এমন অনেক কনটেন্ট ক্রিয়েটর আছে যাদের কাছে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করা কোনো ব্যাপার না। ইউটিউব চ্যানেল থেকে মাসে ৩০ হাজার টাকা উপার্জন করার জন্য নতুন নতুন টপিকের উপর ভিডিও তৈরি করুন। ভিডিও তৈরির উপর নিজের সৃজনশীলতা বাড়ান।

    আপনি আজকে ইউটিউব চ্যানেল খুললেন কাল থেকে ইনকাম শুরু হয়ে যাবে এমনটি নয়। এর জন্য আপনাকে সময় দিতে হবে এবং ধৈর্য ধারণ করতে হবে। আর সাথে ইচ্ছা শক্তি প্রবল হতে হবে। তাই আপনি ইউটিউবার হয়ে মাসে হাজার হাজার টাকা উপার্জন করতে পারেন।

    ইমেইল মার্কেটিং করে ৩০ হাজার টাকা আয়

    ইমেইল মার্কেটিং হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্যতম অংশ যার মাধ্যমে পণ্যের প্রচার-প্রচারণা করা যায়। ইমেইল মার্কেটিং মানে হচ্ছে এমন গ্রাহক যারা প্রতিষ্ঠানের পণ্য কেনার জন্য আগ্রহী থাকবে তাদের কাছে পণ্য সম্পর্কে ইমেইল এর মাধ্যমে প্রচার করা।

    এখন অনেকে বলতে পারেন যে আমাদের দেশের মানুষ ইমেইল খুব কম পড়ে। আমাদের দেশে মানুষ যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠে ফেসবুক বা ইউটিউব চেক করে। ঠিক বাহিরের দেশের প্রায় মানুষ গুলো সকালে ঘুম থেকে উঠে ইমেইল চেক করে। তাই বাইরের দেশগুলোতে ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে প্রচার প্রচারণার চাহিদা রয়েছে।

    আপনি ইমেইল মার্কেটিং করার জন্য মার্কেটপ্লেসে কাজ খুঁজতে পারেন। আবার সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ক্লায়েন্ট খুঁজে কাজ নিতে পারেন। চাইলে সরাসরি কোন প্রতিষ্ঠানের ইমেইল মার্কেটার হিসেবে যুক্ত হয়ে যেতে পারেন। বর্তমান সময়ে ইমেইল মার্কেটিং এর কাজের চাহিদা অনেক বেশি।

    ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ করে ৩০ হাজার টাকা আয়

    ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ এর কাজ হচ্ছে ছবির পেছন থেকে পটভূমি অপসারণ বা মুছে ফেলা। এই কাজ করার মাধ্যমে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। অনেক প্রতিষ্ঠান এবং মানুষ তার ছবির পেছনের ব্যাকগ্রাউন্ড মুছে ফেলার জন্য ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভার হায়ার করে থাকে। আপনি যদি এই কাজ করে মাসে ৩০ হাজার টাকা উপার্জন করতে চান।

    তাহলে মার্কেটপ্লেস থেকে বায়ের খুঁজে তার কাছ থেকে কাজ নিতে পারেন। বর্তমানে মার্কেটপ্লেসে ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ কাজের চাহিদা আকাশচুম্বি। তাই সহজ কাজটি করার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে চান তাহলে কাজটি প্রথমে শিখে নিন। আর কাজটি শেখার জন্য খুব বেশি সময় লাগে না।

    ইউটিউব থাম্বেল ডিজাইন করে ৩০ হাজার টাকা আয়

    আপনি যদি বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন করতে ভালোবাসেন। তাহলে ইউটিউব থাম্বেল ডিজাইন করার মাধ্যমে মাসে ৩০ হাজার টাকা উপার্জন করতে পারেন। প্রতিনিয়ত ইউটিউবারের সংখ্যা বেড়ে চলেছে এবং প্রত্যেকদিন হাজার হাজার ভিডিও ইউটিউবে আপলোড হচ্ছে। এই জন্য কিছু ইউটিউবার তাদের ভিডিও কে আকর্ষণীয় করে তুলতে সুন্দর থাম্বেল ডিজাইন করতে চাই।

    ঠিক থাম্বেল ডিজাইন করার মাধ্যমে মার্কেটপ্লেস থেকে আয় করতে পারবেন। আগেই বললাম যে প্রতিনিয়ত অনেক ভিডিও আপলোড হচ্ছে সেই জায়গা থেকে বুঝতে পারছেন যে একজন থাম্বেল ডিজাইনারের চাহিদা কি পরিমান। তাই অতি সহজ এই কাজ করার মাধ্যমে প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা উপার্জন করুন।

    ই-বুক কাভার ডিজাইন করে ৩০ হাজার টাকা আয়

    প্রতিনিয়ত কোন না কোন বই মার্কেটে প্রকাশ পাচ্ছে। আপনি হয়তো বইয়ের উপরের কাভার এর ডিজাইন দেখে থাকবেন। সেগুলো কত সুন্দর এবং আকর্ষণীয় হয়। আমরা অনেকে সেই আকর্ষণীয় কাভার দেখে বইটি পড়ার ইচ্ছা পোষণ করি।

    এই যে খুব সুন্দর এবং নান্দনিক বুক কভার ডিজাইন দেখে থাকেন। এগুলো মূলত ই-বুক কভার ডিজাইনার এর কাজ।এই কাজেরও চাহিদা এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা মার্কেটপ্লেসে রয়েছে। আপনি যদি বইয়ের কাভার ডিজাইন করে প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে চান। তাহলে মার্কেটপ্লেস সহ আরো অন্যান্য জায়গায় ক্লায়েন্ট এর কাছ থেকে কাজ নিতে পারেন।

    মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায়ঃ ১৬-২০টি

    আপনি এতক্ষণ প্রায় ১৫টি প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এর সাথে আরো ৫টি ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় জানতে পারবেন। যেগুলোর মাধ্যমে বসে থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। তাই আসুন সেই সকল উপায় সম্পর্কে জেনে নেই।

    শরবতের দোকান থেকে ৩০ হাজার টাকা আয়

    আমরা প্রায় সকলে সুস্বাদু শরবত খেতে পছন্দ করি। কিন্তু এই শরবত বিক্রি করার মাধ্যমে বসে থেকে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করা যায়। আপনি হয়তো কাজটিকে অনেক ছোট করে দেখতে পারেন। কিন্তু কিছু না করার থেকে কিছু করে অর্থ উপার্জন করা সম্মানের। আর কোন কাজের মধ্যে ছোট বড় নেই যদি না সেটা অসৎ পথে হয়।

    তাই শরবতের দোকান দিয়ে মাসে ৩০ হাজার টাকা উপার্জনের জন্য একটি ভ্যান এবং শরবতের গ্লাস সহ কিছু উপকরণ কিনে নিন। তারপরে সেখানে রাখুন বিভিন্ন প্রকারের শরবত কিন্তু আপনি চাইলে একপ্রকারের শরবতে বিক্রি করে আয় করতে পারেন।

    ফাস্টফুড দোকান থেকে ৩০ হাজার টাকা আয়

    আমাদের মধ্যে অনেকের ফাস্টফুড খাওয়ার চাহিদা রয়েছে। প্রায় অধিকাংশ মানুষ ফাস্টফুড খেতে বেশি পছন্দ করে। আর এজন্য ফাস্টফুড বিক্রি করে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করা যায়। এখানেও প্রয়োজন হবে একটি ভ্যান এবং সেখানে বিভিন্ন প্রকারের রুচিসম্পন্ন ফাস্টফুড। এমন জায়গায় ফাস্টফুডের দোকান দিবেন যেখানে মেয়ে এবং ছেলে উভয় দেখা যায়।

    এই ধরুন পার্কের সামনে, গার্ডেনের সামনে, স্কুল, কলেজ এবং ভার্সিটির সামনে এই রকম মূল পয়েন্ট জায়গাতে দোকান বসান। অবশ্যই ফাস্টফুড বিক্রেতাদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা অতীব জরুরী। আপনি যদি অপরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না হন তাহলে ব্যবসা বেশি দিন টিকিয়ে রাখতে পারবেন না।

    বেকারি ব্যবসা করে ৩০ হাজার টাকা আয়

    আপনি যদি কেক বানাতে পছন্দ করেন এবং সেগুলো বিক্রি করার ইচ্ছা পোষণ করেন। তাহলে বেকারির ব্যবসা করার মাধ্যমে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। এমনকি অনলাইনের মাধ্যমেও বেকারি ব্যবসা করতে পারবেন। ঘরে বসে থেকে কেক বানিয়ে সেগুলোকে অনলাইনের মাধ্যমে অর্ডার নিয়ে হোম ডেলিভারি করার মাধ্যমে আয় করতে পারেন। তাই পছন্দের ব্যবসাটি করার জন্য এখনই সকল কিছু পরিকল্পনা করুন।

    ফুচকা ব্যবসা করে ৩০ হাজার টাকা আয়

    আমরা সকলে জানি মেয়েদের ফুচকা কতটা পছন্দ শুধু মেয়ে নয় অনেক ছেলেও রয়েছে যাদের ফুচকা খেতে ভালো লাগে। আপনি যদি ফুচকা বিক্রি করে মাসে ৩০ হাজার টাকা উপার্জন করতে চান। তাহলে এখনই ফুচকা ব্যবসার জন্য সকল সরঞ্জাম কিনে নিন।

    আর সবচেয়ে মূল্যবান বিষয় হচ্ছে ব্যবসায়িক পয়েন্ট। কোন জায়গায় বা পয়েন্টে ব্যবসাটি স্থাপন করলে ভালো হবে। এই ধরুন স্কুল এবং কলেজের সামনে অথবা কোন পাবলিক প্লেসে। তাই ব্যবসাটিকে ছোট করে না দেখে ব্যবসা করার মাধ্যমে আয় করুন।

    অনলাইন টিউশনি করে ৩০ হাজার টাকা আয়

    অনলাইনে টিউশন করার মাধ্যমে ঘরে বসে থেকে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। আপনার কাছে যদি ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার থাকে তাহলে অনলাইনের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা প্রদান করতে পারেন। অবশ্যই ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা প্রদান করার জন্য নিজের জ্ঞান থাকা জরুরী। আপনার যদি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপরে জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে অনলাইনে টিউশনি করানোর মাধ্যমে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করুন।

    মাসে ৩০ হাজারের বেশি টাকা আয় করার উপায় কি আছে

    আমরা এতক্ষণ জানলাম কোন উপায়গুলোতে কাজ করে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করা যায়। কিন্তু মাসে ৩০ হাজার টাকার বেশি আয় করার জন্য কোন উপায় গুলোতে কাজ করতে হবে। আপনি পুরো আর্টিকেলে যেই ২০টি মাসে ৩০০০০ টাকা আয় করার উপায় বলে দেওয়া হয়েছে সেগুলো থেকে এর বেশিও আয় করতে পারবেন। শুধু এর জন্য প্রয়োজন হবে কঠোর পরিশ্রম এবং দক্ষতার।

    নিজের কাজের উপরে যত দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারবেন। তত বেশি টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এই অনলাইনে এবং ব্যবসা এর কাজ করার মাধ্যমে অনেকে ৪০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করে। আপনিও যদি এই সমপরিমান আয় করতে চান তাহলে তাদের মত কঠোর পরিশ্রম এবং ইচ্ছাশক্তি থাকতে হবে। আশা করি আপনিও পছন্দের কাজটি করার মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকার অধিক আয় করতে পারবেন।

    মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার যায় এমন মার্কেটপ্লেস

    অনলাইনের মাধ্যমে আয় করার জন্য মার্কেটপ্লেস এর প্রয়োজন রয়েছে। বিশেষ করে প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় বলে দেওয়া হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে যে অনলাইনে ইনকাম এর উপায় রয়েছে। তা থেকে আয় করার জন্য মার্কেটপ্লেস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তাই আপনি যদি অনলাইন টাকা ইনকাম করার জন্য মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে চান।

    তাহলে মার্কেটপ্লেসে একাউন্টে তৈরি করতে হবে। এরপরে সেই একাউন্টে পোর্টফোলিও এবং প্রোফাইলে যাবতীয় তথ্য সুন্দর করে সাজাতে হবে। প্রোফাইল একদম নিজের মতো করে সাজাতে হবে। পোর্টফোলিও এমন ভাবে সাজাতে হবে যেন ক্লাইন্ট পোর্টফোলিও দেখা মাত্র বুঝতে পারে যে আপনি কাজ করতে পারবেন। তাই যদি মার্কেটপ্লেস থাকে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে চান তাহলে কিছু নাম জেনে নিন।
    • Fiverr
    • Upwork
    • People Per Hour
    • Guru.com
    • Freelancer.com
    • 99Designs

    মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার গুরুত্বপূর্ণ FAQs

    মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার জন্য কত সময় দিতে হবে?
    উওরঃ মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার জন্য কেমন সময় দিতে হবে সেটা আপনার উপর নির্ভর করবে। আপনি সারাদিনে কি পরিমাণ সময় কাজে লাগাতে পারেন। যত সময় দিবেন তত বেশি ইনকামের পরিমাণ বাড়বে। তাই এর কোন নির্ধারিত সময়সীমা নেই। যে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার জন্য কত সময় দেওয়া প্রয়োজন হবে।

    উপসংহার

    পরিশেষে বলা যায় আপনাদের জন্য প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় গুলো বলে দেওয়া হয়েছে। আশা করি এই উপায় গুলো পড়ে পরিষ্কার বুঝতে পেরেছেন মাসে ৩০ হাজার টাকা কিভাবে আয় করতে হবে।। এখানে দুই পদ্ধতিতে আয় করার উপায় বলে দেওয়া হয়েছে। প্রথমটি অনলাইন এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে ব্যবসা। আপনার যে কাজ করে আয় করতে ভালো লাগে সেটাই করুন।

    কারণ ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে সফলতা পাওয়া খুব কষ্টকর। যদিও আধুনিক যুগে অনলাইনে ইনকামের প্রতি সবার ঝোঁক বাড়ছে কিন্তু তবুও নিজের ইচ্ছের বিরুদ্ধে যাওয়া উচিত নয়। আপনার যদি অনলাইনে টাকা উপার্জন করতে ভালো লাগে তাহলে তাই করুন। আর যদি মনে হয় যে অনলাইনে ইনকাম করা আমার জন্য সহজ হবে না। তাহলে সঠিক ব্যবসা করার মাধ্যমে টাকা আয় করুন।

    শেষ কথাঃ প্রিয় পাঠক, ইতিমধ্যে আপনি প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত পরে জেনে নিয়েছেন। এই উপায়গুলো পড়ার মাধ্যমে যদি উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে আপনার বন্ধু এবং বেকার যে সকল মানুষ রয়েছে তাদেরকে জানান। যেন তারা জেনেও মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারে। পুরো আর্টিকেল পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

    এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

    পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
    এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

    এসএইচ নিউজস্টোরের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

    comment url