বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি জেনে নিন
জানেন বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি হয়তোবা জানেন না। এই বিষয় নিয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু ভালো কিছু খুঁজে পাওয়া যায়নি। আপনি যদি ডিমান্ডেবল সেক্টর জানার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করতে চান। তাহলে অবশ্যই বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন।
অনেক নতুন ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করতে ইচ্ছুক। কিন্তু কোন সেক্টর থেকে অর্থ উপার্জন করলে নিরাপদ করবেন তা বুঝতে পারছেন না। তাহলে আপনার জন্য বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি এই বিষয়ে জেনে নিতে পারেন। আর ঘরে বসে থেকে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
পোস্টসূচিপত্রঃ
ফ্রিল্যান্সিং কি
আমাদের আজকের মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি কিন্তু তার আগে ফ্রিল্যান্সিং কিছু বিষয় জেনে নেওয়া উচিত। আমরা যে ফ্রিল্যান্সিং করব এই ফ্রিল্যান্সিং টা কি তার কোন ব্যাখ্যা আছে আপনার কাছে না থাকলে শুনে নিন। ফ্রিল্যান্সিং মানে হচ্ছে মুক্ত বা স্বাধীন পেশা। যার কাজ সম্পন্ন করার জন্য ইন্টারনেট কানেকশনের সাথে কম্পিউটারের প্রয়োজন হয়।
এখানে আপনি নিজেই নিজের বস। আপনি যখন কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে যান তখন সেই প্রতিষ্ঠানে নির্দিষ্ট সময়ে ঢুকতে হয় এবং নির্দিষ্ট সময় বের হতে হয়। এই নির্দিষ্ট সময়ের মাঝে যেকোনো সময় যদি বের হতে চান তাহলে নিশ্চয়ই বসের অনুমতি নিতে হবে। আবার অনেক সময় সেই পারমিশন বা অনুমতি পাওয়া যায় না।
চাকরিতে রয়েছে নির্দিষ্ট বেতন এবং টাকা খরচ করার জন্য মাসের নির্দিষ্ট সিডিউল তৈরি করার প্রয়োজন হয়। চাকরিতে আরো কিছু বাধা ধরার নিয়ম আছে। কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজ করার জন্য চাকরির মত নিয়ম নীতি অনুসরণ করতে হয় না। আপনার যখন ইচ্ছা তখন কাজে বসতে পারবেন এবং আবার যখন ইচ্ছে তখন কাজ থেকে উঠতেও পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে মূলত চুক্তিবদ্ধ ভাবে কাজ করা হয়। এই ধরুন আপনি কারো কাছ থেকে একটি কাজ নিলেন সেই কাজের সময় নিলেন একদিন। কিন্তু সেই কাজটি করতে হয় তো ৪ থেকে ৫ ঘন্টা সময় লাগবে। কিন্তু আপনি যে একদিন সময় নিয়েছেন তার মধ্য থেকে যখন ইচ্ছা তখন বসে কাজটি সম্পন্ন করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ ভিডিও দেখে টাকা ইনকাম করার অ্যাপ
এখানে কাজ করার সময় নিজের ইচ্ছে অনুযায়ী কাজের মূল্য নির্ধারণ করতে পারবেন। কিন্তু অনেক সময় ঘন্টা চুক্তিতে কাজ করা হয়। এই ঘন্টা চুক্তির কাজ হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট সময় থেকে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আপনাকে কাজ করতে হবে। ধরুন এক ঘন্টা চুক্তিতে কাজ করার জন্য নিজের ইচ্ছেমতো মূল্য নির্ধারণ করলেন। সেখানে এক ঘন্টা টানা কাজ করতে হবে।
কিন্তু আপনার যদি মনে হয় যে আমি এই কাজ করব না। তাহলে কোন সমস্যা নেই কাজটি করতে মানা করে দিতে পারেন। এখন অনেকে আপনারা ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজ করার জন্য ইচ্ছুক। তাদের আরেকটি বিষয়ে জানার ইচ্ছে আছে বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি এই বিষয়ে জেনে যাবেন। খুবই বিস্তারিত ভাবে এ বিষয় তুলে ধরা হবে।
বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ
আচ্ছা বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সারদের ভবিষ্যৎ কেমন অথবা ভবিষ্যতে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারদের ভবিষ্যৎ কেমন হবে। আপনি যদি নতুন ফ্রিল্যান্সার হতে চান তাহলে এই প্রশ্ন আপনার মাথায় ঘুরপাক খাওয়া স্বাভাবিক। আমাদের ভবিষ্যতের ব্যাপারে কোন হস্তক্ষেপ নেই এটি সম্পূর্ণ সৃষ্টিকর্তার উপরে নির্ভর।
তবুও কাজের ধরন এবং পরিস্থিতি বিবেচনা করে কিছুটা আন্দাজ করা যায় যে কোন সেক্টরের কাজের ভবিষ্যৎ কেমন হতে পারে। নিশ্চয়ই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর বর্তমান সময়ে অধিক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এর কারণ হচ্ছে ঘরে বসে থেকে অল্প সময় ব্যয়ের মাধ্যমে বেশি টাকা আয় করা যায়। সারা বিশ্বের অনেক freelancer রয়েছে যারা বসে থেকে লক্ষাধিক টাকা আয় করে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে তবে কি বাংলাদেশে নেই অবশ্যই আছে এবং ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতেও থাকবে। কিন্তু ভবিষ্যতে হয়তো কিছু সেক্টরের কাজ নিচে নেমে যেতে পারে। এর জন্য বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি এ বিষয়ে জানতে হবে। আর এ বিষয়ে জানার জন্য নিচের প্যারা থেকে পড়ে নিতে পারেন।
সারা বিশ্বের ফ্রিল্যান্সারদের মত বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারদেরও ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হতে পারে। যদি তারা কঠোর পরিশ্রম এবং নিজের ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে কাজ করে যেতে পারে। কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে আরও অনেক বিষয় রয়েছে যেগুলো জানা প্রয়োজন।
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি
আপনি যদি নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং এ যুক্ত হতে চান আর বুঝতে পারছেন না কোন ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে যুক্ত হওয়া বা কাজ করা যাবে। যেটার বর্তমান এবং ভবিষ্যতেও চাহিদা বজায় থাকবে। তাহলে আপনার মনে এই প্রশ্ন কখনো না কখনো জেগেছে বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি আর যদি এই বিষয় নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দে পড়ে যান।
তাহলে এখনই দ্বিধাদ্বন্দ্ব থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন। আমরা যদি মার্কেটপ্লেস নিয়ে পর্যালোচনা করি তাহলে দেখব মার্কেটপ্লেস গুলোতে অনেক সেক্টর রয়েছে। যদি এই সেক্টরগুলোতে কাজ না থাকতো তাহলে কখনোই মার্কেটপ্লেস তাদের প্ল্যাটফর্ম গুলোতে সেক্টরগুলো দিতো না। নিশ্চয়ই এখানে কাজ রয়েছে দেখেই আপনি সেক্টর গুলো মার্কেটপ্লেসে দেখতে পাচ্ছেন।
এখন এর মধ্যেও বর্তমানে কিছু ডিমান্ডেবল সেক্টর রয়েছে। যেখানে কাজ করে বর্তমান সময়ে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। উল্লেখযোগ্য সেক্টর হচ্ছে এনিমেশন ভিডিও, ডিজিটাল মার্কেটিং আর গ্রাফিক ডিজাইন এর কিছু কাজ খুবই জনপ্রিয়।
আরো অনেক সেক্টর রয়েছে যেগুলোর মধ্যে থাকা কাজগুলো করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। উল্লেখিত তিনটি সেক্টরের মধ্যে ভবিষ্যতে যে সেক্টরের কাজ থাকার সম্ভাবনা বেশি জোরালো তা হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। ডিজিটাল মার্কেটিং তো একটি সেক্টর কিন্তু এর ভেতরে আরও অনেক কাজ রয়েছে। এই সেক্টর বিশাল বড়।
কারণ এখানে আধুনিক উপায়ে মার্কেট পরিচালনা বা প্রচারণা করার জন্য যে সকল উপায় প্রয়োজন তার প্রায় সকল উপায় পাওয়া যাবে। তাহলে চলুন এমন কিছু উল্লেখযোগ্য ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরের কাজের নাম জেনে আসি।
- ফেসবুক মার্কেটিং
- ইমেইল মার্কেটিং
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
- সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
- ইনফলেন্সার মার্কেটিং
- ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং
- টেক্সট ইমেজ মার্কেটিং
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
- সিপিএ মার্কেটিং
- মোবাইল অ্যাপ মার্কেটিং
- শপিফাই মার্কেটিং
এছাড়াও ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরে আরো অনেক কাজ রয়েছে। এগুলো বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরের ডিমান্ডেবল কাজ। এছাড়াও সেক্টরে আরো অনেক ডিমান্ডেবল কাজ পেয়ে যাবেন। এখন ডিজিটাল মার্কেটিং জিনিসটা কেমন। এক সময় মানুষ ব্যবসা-বাণিজ্য করার জন্য কোন মার্কেট অথবা কোন জনবহুল জায়গায় যেত।
সেই সময় তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য প্রচারের জন্য মানুষের কাছে যেতে হতো। মানে মানুষের কাছে গিয়ে তাদের পণ্য সম্পর্কে বিস্তারিত বলতো যেন তাদের পণ্যটি বিক্রি হয়। সেই সময় প্রচার যেকোনো প্রোডাক্ট বা পণ্য প্রচার করা। কিন্তু বর্তমান আধুনিক যুগ যেখানে আপনি ঘরে বসে থেকে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রচার-প্রচারণা থেকে শুরু করে কোথায় কিভাবে প্রোডাক্ট পৌঁছে দিতে হবে তার সবকিছুই। এখন ধরুন একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে আর ওয়েবসাইট এবং ফেসবুক পেজও রয়েছে। কিন্তু উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্টগুলো বিক্রি হচ্ছে কিন্তু খুব কম। এর কারণ তারা শুধু মানুষের কাছে গিয়ে মার্কেটিং করছে কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিং থেকে বহু দূরে।
তারা প্রচার প্রচারণার জন্য যে সকল কার্যক্রম রয়েছে সেগুলো জানে না। যেমন ইমেইল মার্কেটিং, ফেসবুক মার্কেটিং, সিপিএ মার্কেটিং, অ্যাফিলেট মার্কেটিং এবং অন্যান্য যেগুলো মার্কেটিং সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত সেগুলোর সঠিক ব্যবহার জানে না।
এর জন্য তাদের বিভিন্ন পর্যায়ের ডিজিটাল মার্কেটার দের হায়ার করতে হবে। যেন তারা তার প্রতিষ্ঠানের প্রচার-প্রচারণায় সহযোগিতা করার মাধ্যমে পণ্য বিক্রি বৃদ্ধি করতে পারে। আর আপনি তার সেই কাজ নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে করে দিতে পারেন। এখানে যে কাজগুলো উল্লেখ রয়েছে এবং এছাড়া আরো যে কাজগুলো রয়েছে সেগুলো করে উপার্জন করতে পারবেন।
তাই আপনি যদি নতুন ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন এবং বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সবথেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি তা জেনে থাকেন। তাহলে উল্লেখিত ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজগুলো করার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন শুরু করুন।
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে বায়ার কাকে বলা হয়
ফ্রিল্যান্সিং এর ভাষায় বায়ার বলা হয় তাকে যিনি আপনাকে অর্থের বিনিময়ে কাজ করিয়ে থাকেন। যদি বুঝতে না পারেন তাহলে উদাহরণটি শুনুন ধরুন আপনি একটি কাজ সম্পর্কে খুব ভালো ধারণা রাখেন এবং অভিজ্ঞতা সম্পন্ন। কিন্তু উল্লেখযোগ্য কাজ এর সেবা প্রদান করার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করার মাধ্যম পাচ্ছেন না।
এই যে আপনি মাধ্যম এর খোঁজ করছেন এবং যার কাছে সেবা বিক্রির মাধ্যমে অর্থ নিবেন তিনি হচ্ছেন বায়ার। বর্তমানে বায়ার খোঁজার জন্য মার্কেটপ্লেস এর সাহায্য নিতে হয়। আর মার্কেটপ্লেস এ বায়ার কাজ দিয়ে থাকে। এখানে কাজ করিয়ে নেওয়ার জন্য আসে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি। যাদের কোন সার্ভিসের প্রয়োজন এবং সেটার বিনিময়ে তারা আপনাকে টাকা দিবে।
সেটা মার্কেটপ্লেসের যেকোনো ধরনের কাজ হতে পারে। তবে ইদানিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে কম্পিটিশন বা প্রতিযোগিতা অনেক বেশি হয়ে গেছে। এর কারণ বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের জনপ্রিয়তা এবং চাহিদা দুটোই বেড়েছে। তাই মার্কেটপ্লেস থেকে কাজ পাওয়া কষ্টের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আপনি মার্কেটপ্লেস ছাড়াও লোকাল মার্কেট থেকে কাজ পেতে পারে।
যেমন ধরেন টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এই সকল সোশ্যাল মিডিয়া গুলো ব্যবহার করে বায়ার খুঁজে বের করতে হবে। সবচেয়ে মূল বিষয় হচ্ছে বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সার যেখানে গিয়ে আটকে যায় সেটা হল কমিউনিকেশন স্কিল। আপনার ইংলিশের উপরে কথা বলার দক্ষতা থাকতে হবে। মানে আপনার যদি ইংলিশে কথা বলার কমিউনিকেশন স্কিল দুর্বল হয়।
তাহলে মার্কেটপ্লেস এবং সোশ্যাল মিডিয়া থেকে কাজ পাবেন না। কারণ বায়ার আপনার সাথে ইংরেজিতে কমিউনিকেশন করবে বা কথা বলবে। তাই বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি তা জেনে নিয়ে কাজ শিখার পাশাপাশি ইংলিশ কমিউনিকেশন স্কিল ডেভলপ করতে হবে। একজন পরিপূর্ণ ফ্রিল্যান্সার হওয়ার জন্য ইংরেজি জানা প্রয়োজন।
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে সেলার কাকে বলা হয়
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে যে ব্যক্তি অর্থের বিনিময়ে কাজ করে দেয় তাকে সেলার বলে। আরো সহজ ভাষায় বলতে গেলে আপনি যে সার্ভিস বা কাজ প্রদান করতে চান এবং তার বিনিময়ে অর্থ উপার্জন করতে চান। আর যার কাছে সার্ভিস বিক্রি করবেন তিনি হচ্ছেন বায়ার এবং আপনি যে সার্ভিস বা সেবা পরিবেশক প্রদান করছেন তাকে বলা হয় সেলার। তাই ফ্রিল্যান্সিং এ আপনি সেবা দিচ্ছেন তাই আপনাকে বলা হচ্ছে বায়ার।
ফ্রিল্যান্সিং এ আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান কত
আপনি খুব সহজে বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি এবং সেই সেক্টরের ধারণা পেয়েছেন। কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে বাংলাদেশ পুরো বিশ্বে আয়ের দিক থেকে ৩ নম্বরে অবস্থান করছে।
আশা করা যায় বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিং এ আয়ের দিক থেকে ভবিষ্যতে আরো সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। তাহলে একবার ভাবুন বাংলাদেশে কি পরিমান ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। এক তথ্য মোতাবেক জানা যায় বাংলাদেশে ৬ লক্ষেরও অধিক ফ্রিল্যান্সার আছে। তাই আপনিও যদি এদের মধ্যে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে যুক্ত হতে চান।
তাহলে অক্লান্ত পরিশ্রম এবং ইচ্ছাশক্তি নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং জগতে নামুন। যেন সফলতা আপনার দোরগোড়াই কড়া নারে। আর বাংলাদেশের জন্য রেমিড্যান্স এবং নিজের জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ বয়ে আনতে পারেন। তাই নিজের ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে পাকাপোক্ত অবস্থান করে নেওয়ার জন্য সঠিক কাজ বাছাই করুন। আর প্রচুর অর্থ উপার্জন করুন।
সারা বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং এ কত ডলারের বাজার রয়েছে
যত দিন যাচ্ছে ফ্রিল্যান্সার সংখ্যা বাড়ছে এবং ডলারের বাজার বেড়ে চলেছে। এক তথ্য মোতাবেক ২০২২ সালে প্রায় ৩.৩৯ বিলিয়ন ডলার এর বাজার ছিল এটা হচ্ছে মার্কেটপ্লেস এর ভিতরের ডলারের বাজার। তার এক বছর পরের আর এক তথ্য থেকে জানা যায় সারা বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং এ প্রায় ৪. ৯৪ বিলিয়ন ডলারের বাজার ছিল।
এর মানে হচ্ছে ২০২৩ সালে আয় বৃদ্ধি পেয়েছে এবং যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩.৯৪ বিলিয়ন ডলার। আর ২০২৪ চলমানরত রয়েছে কিন্তু এক ধারনা মোতাবেক প্রায় ৪.৮৭ বিলিয়ন ডলার ক্রস করতে পারে। তাহলে বুঝতে পেরেছেন যে প্রত্যেক বছর বছর যেমন ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা বাড়ছে তেমন ফ্রিল্যান্সিংয়ে ডলারের বাজার দর বেড়ে চলেছে।
তাই প্রতিযোগীদের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বী করার জন্য সঠিক কাজটি বেছে নেওয়া খুবই জরুরী। আপনি যদি বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিংয়ের সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি এটা জেনে থাকেন। তাহলে আশা করা যায় সঠিক কাজটি বেছে নিতে পারবেন। আর অন্যান্য ফ্রিল্যান্সারদের মতো মাসে হাজার হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে বাংলাদেশের অবস্থান সারা বিশ্বে কততম
সিইও ওয়ার্ল্ড ম্যাগাজিন একটি প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে ফ্রিল্যান্সার নিয়োগে বিশ্বের মধ্যে ৩০ টি শীর্ষ দেশের তালিকা ভুক্ত করা হয়। যেখানে বাংলাদেশের অবস্থান ২৯ তম। আর ভারতের অবস্থান হচ্ছে দ্বিতীয় নম্বরে রয়েছে। বাংলাদেশের থেকেও পাকিস্তান এবং ইন্দোনেশিয়ার অবস্থান উপরে রয়েছে। বাংলাদেশ ১০০ মার্কের স্কোর এর মধ্যে ৪৬.৯২ পেয়েছে।
এটি থেকে বোঝা যাচ্ছে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা বাড়লেও দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা কম পরিমাণে রয়েছে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে যে সকল কাজ নতুন নতুন আসছে সেগুলোতে দক্ষ হয়ে উঠতে পারছে না। তাই দক্ষ হয়ে ওঠার জন্য বেশি জানা প্রয়োজন এবং নতুন কিছু উদ্ভাবন করার আকাঙ্ক্ষা থাকতে হবে।
সারা বিশ্বে ফ্রিল্যান্সার শতকরা কতজন
সারা বিশ্বে প্রায় ১৫৭ কোটি ব্যক্তি ফ্রিল্যান্সিং এর সাথে যুক্ত রয়েছে। বোঝাই যাচ্ছে কত হিউজ পরিমাণে মানুষ ফ্রিল্যান্সিং করছে। কিন্তু এর মধ্যে সকলেই দক্ষ ফ্রিল্যান্সার নয়। দক্ষ ও অদক্ষ সকলে মিলেই ১৫৭ কোটি ব্যক্তি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে রয়েছে। আর সারা বিশ্বের ফ্রিল্যান্সার এর পরিমাণ হচ্ছে ১৬ শতাংশ এবং বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের সাথে যুক্ত রয়েছে শতকরায় ১৬ শতাংশ।
আরো প্রতিনিয়ত ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। তরুণ-তরুণী, কিশোর থেকে শুরু করে যুবক আরও যেকোনো বয়সের ব্যক্তিরা উপার্জনের উপায় হিসেবে আউটসোসিং কে বেছে নিচ্ছে। এর কারণ হচ্ছে নিজের দক্ষতা দেখানোর মাধ্যমে চাহিদা অনুযায়ী মূল্য পাওয়া যায়। আর এটি মূলত স্বাধীন পেশা তাই অনেকেই পছন্দ করে।
ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কয়টি বিষয় দরকার
আপনি শুরুর দিকে বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি তা জেনে নিয়েছেন। কিন্তু এই ডিমান্ডেবল সেক্টরে কাজ করার জন্য কোন বিষয়গুলোর প্রয়োজন বা দরকার তা জানতে হবে। একজন ফ্রিল্যান্সার হতে হলে নির্ধারিত কিছু বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে।
কারন এই বিষয়গুলো সম্পর্কে যদি অবগত না থাকেন। তাহলে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়বে। অনেকে কিছু বিষয় না জেনে ফ্রিল্যান্সিং এর সাথে যুক্ত হয়ে যায়। তারপরে ফলাফল হিসেবে দেখা যায় তারা কিছুদিন পরে হতাশ হয়ে যায়।
এর কারণ হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিংয়ের সঠিক রাস্তা বেছে নেয়নি। যার কারণে তারা মাঝ পথেই হতাশ হয়ে গেছে। আপনারা যাতে করে হতাশ না হয়ে পড়েন এই জন্য ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে জানাবো। যা জেনে হয়তো ফ্রিল্যান্সিং জগতে উত্তীর্ণ হতে পারবেন। তাই আসুন সেই দরকারি বিষয়গুলো জেনে নেই।
সর্বপ্রথম বিষয় হচ্ছে যে কাজ দ্বারা ইনকাম করবেন এবং যে কাজটি শিখছেন তার উপরে ইচ্ছা শক্তি থাকতে হবে। ইচ্ছা শক্তি থাকা খুবই জরুরী। আপনার যদি ইচ্ছা শক্তি না থাকে। তাহলে সেই কাজের উপরে মনোযোগ দিতে পারবেন না। আর মনোযোগ না দিলে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া প্রায় অসম্ভব।
আবার ইচ্ছা শক্তির পাশাপাশি কঠোর পরিশ্রম করার মনোভাব থাকতে হবে। আপনি যদি মনে করেন যে বিনা পরিশ্রমে সফলতা পাওয়া যাবে। তাহলে ভুল জগতে বসবাস করছেন। কারণ প্রায় যে সকল সফল ব্যক্তি রয়েছে তাদের পেছনের গল্প পড়লে বুঝতে পারবেন। তারা এক সময় কঠোর পরিশ্রম করেই এই পর্যায়ে পৌঁছেছে। তাই কঠোর পরিশ্রমের মনোভাব রাখুন।
এরপরে হচ্ছে হতাশ হওয়া যাবে না। অনেকে মনে করি সফলতা হয়তো দুই দিনের কাজ। ফ্রিল্যান্সিং জগতে যদি টাকা উপার্জন করতে চান। তাহলে হতাশা আসবে কিন্তু হতাশ হওয়া যাবে না। এখানে সফলতা আসতে হয়তো কারো বেশি সময় লাগে আবার কারো কম সময় লাগে। কিন্তু সফলতা আসবে ইনশাআল্লাহ। তাই নিজের ধৈর্য শক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করুন।
এর সাথে কাজ করার জন্য কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট কানেকশন প্রয়োজন হবে। যদি মনে হয় ফ্রিল্যান্সিং বিনামূল্যে শিখব তাহলে ইউটিউব ভিডিও দেখুন আর না হলে ফ্রিল্যান্সিং অনেক কোর্স পাওয়া যায় সেটি করুন। অবশ্যই যেই কোর্সে ভর্তি হন না কেন যাচাই-বাছাই করুন।
ফ্রিল্যান্সিং ডিমান্ডেবল সেক্টর সম্পর্কে FAQ
১। ফ্রিল্যান্সিং করে প্রতি মাসে কত টাকা আয় করা যায়?
উওরঃ ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে প্রতি মাসে কত টাকা উপার্জন করতে পারবেন তার কোন নির্ধারিত পরিমাণ নেই। এই নির্ধারিত পরিমাণ শুধুমাত্র চাকরিতে থাকে। কিন্তু ফ্রিল্যান্সিংয়ে এর কোন নির্ধারণ করা নেই। আপনি যত উপর পর্যায়ে যেতে পারবেন তত ইনকাম বাড়বে। তবে বড় বড় যে সকল ফ্রিল্যান্সার রয়েছে তারা প্রতি মাসে প্রায় লাক্ষাধিক টাকা এর কাছাকাছি বা উপরে ইনকাম করে।
২। ফ্রিল্যান্সিং কি পেশা হিসেবে নেওয়া যাবে?
উওরঃ অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিংকে অনেকে পেশা হিসেবে নিয়েছে চাইলে আপনিও নিতে পারেন। কারণ ফ্রিল্যান্সিং জগতে অনেক ব্যাক্তি খুঁজে পাবেন যারা অনেক অর্থ সম্পদের মালিক হয়েছে। শুধুমাত্র ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে সফলতার কাছে পৌঁছাতে পেরেছে।
উপসংহার
পরিশেষে বলা যায় অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করতে চাই কিন্তু বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি তা না জানা থাকার কারণে ভুল রাস্তায় পা বাড়াচ্ছিল। এই জন্য আমরা এই বিষয়টি নিয়ে আপনাদেরকে বিস্তারিত জানিয়ে দিলাম। যাতে করে আপনারা খুব সহজেই জেনে নিতে পারেন বর্তমান ডিমান্ডেবল সেক্টর সম্পর্কে।
আশা করা যায় আপনি সেই বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। আর আপনার যদি বর্তমানের ডিমান্ডেবল সেক্টর টি ভালো না লাগে। তাহলে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আরো অনেক ভালো কাজ রয়েছে সেগুলোর সাথে যুক্ত হতে পারেন। আর যুক্ত হয়ে টাকা উপার্জন করতে পারেন। কারণ ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে অনেক কাজ রয়েছে। আপনাকে শুধু সঠিক কাজটি বাছাই করতে হবে।
শেষ কথাঃ প্রিয় পাঠক ইতিমধ্যে বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি সেই সম্পর্কে জেনে নিয়েছেন। হয়তো বা আপনি সেক্টরগুলোর সম্পর্কে জেনে উপকৃত হয়েছেন। আর যদি সত্যিই উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অন্যদেরকে জানার সুযোগ করে দিন। যাতে করে তারাও ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারে। আর নিজেকে সমাজের সামনে প্রতিষ্ঠিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারে।
এসএইচ নিউজস্টোরের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url