ছাত্র জীবনে টাকা আয় করার উপায় - অনলাইন ইনকাম সোর্স

ছাত্র জীবনে টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে জানার জন্য আগ্রহী ব্যক্তিদের জানাই স্বাগতম। কারণ অনেকে খোঁজাখুঁজি করার পরেও কাঙ্খিত উত্তর পায় না। কিন্তু আপনি যদি ছাত্র জীবনে টাকা আয় করার উপায় পড়ে নিতে পারেন তাহলে লাভবান হবেন। আর্টিকেলে এমন সকল টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে তুলে ধরা হয়েছে যেগুলো থেকে লক্ষাধিক টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এখানে আছে অনলাইনে ইনকাম করার বিভিন্ন সোর্স যা আপনার টাকা ইনকামের পথ সহজ করে দিবে।
ছাত্র জীবনে টাকা আয় করার উপায় - অনলাইন ইনকাম সোর্স
অনেক ছাত্র এবং পেশাজীবীর মানুষ মুক্ত পেশায় নিয়োজিত থাকতে চাই। তাই তো অনেকে অনলাইন ইনকাম পেশাটিকে বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। আপনিও যদি তাদের মত এই রকম সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। তাহলে ছাত্র জীবনে টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।
পোস্টসূচিপত্রঃ 

    অল্প বয়সে টাকা ইনকাম করার উপায়

    বর্তমান আধুনিক সময়ে অল্প বয়সে টাকা ইনকাম করা কোন বড় বিষয় নয়। একজন ছাত্র তার বয়স হচ্ছে ১২ তবে কি সে টাকা ইনকাম করতে পারবেন না। অবশ্যই টাকা ইনকাম করতে পারবে কারণ ছাত্র জীবনে টাকা আয় করার উপায় রয়েছে সেই উপায়গুলো হচ্ছে অনলাইনের মাধ্যমে। অনলাইনে মাধ্যমে টাকা ইনকাম করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কাজ পাওয়া যায়।

    সেই উপায় থেকে যেকোনো বয়সে ব্যক্তি টাকা ইনকাম করতে পারবে। আপনার আশেপাশে এমন অনেক অল্পবয়সী বালক পেয়ে যাবেন। যারা অল্প বয়সে অনলাইনে কাজ করার মাধ্যমে ক্যারিয়ার গড়ে নিয়েছে। আপনিও যদি অল্পবয়সী হয়ে থাকেন তাহলে অনলাইনের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করুন।

    ছাত্র জীবনে টাকা আয় করার উপায়

    আপনি একজন ছাত্র আর ঘরে বসে থেকে ভাবছেন পড়াশোনার পাশাপাশি আর কি করার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারবো। দেখুন বর্তমান সময়ে শুধুমাত্র পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত থাকলে নতুন কিছু চিন্তা করতে পারবেন না। এর পাশাপাশি আরও অন্যান্য সোর্সের মাধ্যমে নিজেকে প্রমাণ করার চেষ্টা করতে হবে। যাতে করে ক্যারিয়ারের কোন এক পর্যায়ে গিয়ে টাকার ক্রাইসিসের মধ্যে না পড়তে হয়।
    ছাত্র জীবনটা হচ্ছে মহামূল্যবান সম্পদ। এই সময় নিজের মাইন্ড যেভাবে সেটআপ করবেন ঠিক সেই রকম ভাবেই কাজ করবে। অনেক ছাত্রদের মাইন্ড সেটআপ হচ্ছে পড়াশোনার পাশাপাশি টাকা ইনকামের উপর মনোযোগ দেওয়া। আর এর জন্য ছাত্র জীবনে টাকা আয় করার উপায় জানতে হবে যেগুলো পড়াশোনার পাশাপাশি অর্থ উপার্জনের জন্য সহায়তা করবে।

    কারো যদি পড়াশোনার খরচ চালাতে সমস্যা হয়। তাহলে এই বিষয় নিয়ে চিন্তার কোন কারণ নেই। এই আর্টিকেলে সেই বিষয়ে সম্পর্কে বলে দেওয়া হবে যা জেনে ছাত্র জীবনে পড়াশোনার পাশাপাশি টাকা ইনকাম করে পড়াশোনার খরচ চালাতে পারবেন। সেটা হতে পারে অনলাইন অথবা অফলাইন। যাই হোক চলেন জেনে আসা যাক ছাত্র জীবনে টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত।

    ছাত্র জীবনে ছোট ছোট ব্যবসা করে টাকা আয় করার উপায়

    বর্তমানে ব্যবসায় একটা ভুল ধারণা প্রচলন রয়েছে সেটা হচ্ছে পড়াশোনা শেষ করার পরে ব্যবসায় করা উচিত। এই কারণে দেখা যায় ব্যবসা এমন সময় শুরু করে যখন সে বুঝতে পারে না ব্যবসা শিখবে নাকি টাকা উপার্জন করবে।
    এই জন্য ছাত্র জীবন থাকাকালীন সময়ে কিছু ছোট ছোট ব্যবসা করার মাধ্যমে নিজের অভিজ্ঞতা আস্তে আস্তে বাড়িয়ে তুলতে হবে। যাতে ব্যবসা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় এবং ভবিষ্যতে যদি বড় কোন ব্যবসা করতে হয় তাহলে যেন লোকসানের সংখ্যা কম থাকে।

    এই জন্য ছাত্র জীবনে টাকা আয় করার উপায় এর মধ্যে ছোট ছোট ব্যবসা করার কনসেপ্ট উল্লেখ করা হয়েছে। আপনি কোন ব্যবসাগুলো ছাত্র জীবনে করার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। আর নিজের ব্যক্তিগত খরচ জোগাড় করতে পারবেন। চলুন তাহলে সেই উল্লেখযোগ্য ছোট ছোট ব্যবসা সম্পর্কে জেনে আসা যাক।

    প্রোডাক্ট বিক্রি করাঃ আপনার যদি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থাকে এবং সেখানে যদি পেজ খোলা থাকে। তাহলে ভালো আর না হলে একটি পেজ খুলে নিন। তারপরে নিজের বাজেট অনুযায়ী প্রোডাক্ট কিনুন এবং সেই প্রোডাক্ট গুলো পেজ এর মাধ্যমে বিক্রি করার চেষ্টা করুন।

    অনলাইনে টিউশনিঃ আপনি যদি ছাত্র অবস্থায় জীবন যাপন করেন আর কোন বিষয়ে খুব ভালো বোঝাতে পারেন। তাহলে অনলাইন অথবা অফলাইনে টিউশনি করানোর মাধ্যমে ইনকাম করুন।

    ফুড বিক্রিঃ আপনি যদি রান্না করতে ভালোবাসেন এবং খুব ভালো রান্না করতে পারেন। তাহলে সেই প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে মানুষকে খাওয়ানোর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। নিজের হাতে বাড়িতে বসে খাবার তৈরি করে সেই খাবার গ্রাহকদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

    পুরনো বই বিক্রিঃ আপনি পুরনো বই বিক্রি করার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। সেটা অনলাইন এবং অফলাইন দুই মাধ্যম ব্যবহার করে বিক্রি করতে পারেন। পুরনো বইগুলো কম দামে কিনে নিজের কাছে কিছু লাভ রেখে বিক্রি করুন। অনেকে নতুন বই না কিনে পুরনো বই কিনতে পছন্দ করে। এই জন্য ছাত্র জীবনে ব্যবসাটি লাভজনক হবে।

    কফি বিক্রয়ঃ কফি বিক্রির ব্যবসা হয়তো অনেকে পছন্দ করবে না। কিন্তু একটি কেটলি কিনে ৩০ কাপ এর মত কফি বানিয়ে তা যদি ঘুরে ঘুরে বিক্রি করা যায়। তাহলে দিন শেষে ভালো পরিমাণে এমাউন্ট ইনকাম করতে পারবেন। এই ব্যবসা করার মাধ্যমে মানুষের সাথে ইন্টারেক্ট কিভাবে করতে হয় তা জানতে পারবেন।

    পুরনো জিনিসপত্র বিক্রিঃ অনেকের কাছে টাকা কম থাকার কারণে পুরনো জিনিসপত্র কিনে থাকে। এখন যদি বিভিন্ন রকম পুরনো জিনিসপত্র অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন। তাহলে ভালো অংকের মুনাফা ইনকাম করতে পারবেন। বিক্রি করার জন্য ফেসবুক পেজের সাহায্য নিতে পারেন।

    ছাত্র জীবনে অনলাইনে ছোট কাজে টাকা আয় করার উপায়

    আমরা এতক্ষণ জানলাম কিভাবে ছোট ছোট ব্যবসা করে ছাত্র জীবনে টাকা ইনকাম করা যায়। শুধুমাত্র যে একটি উপায়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন এমন নয় ছাত্র জীবনে টাকা আয় করার উপায় অনেক রয়েছে। তার মধ্যে একটি হচ্ছে অনলাইনে ছোট ছোট কাজ করে আয় করার উপায়। অনলাইনে এই ছোট ছোট কাজ করার মাধ্যমে প্রতিদিন ১০০ থেকে ২০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এখানে খুব সহজে এবং অল্প সময়ের মধ্যে ইনকাম করা যায়।

    কিন্তু উপায় গুলোতে কাজ করার মাধ্যমে ইনকাম করার সময় ক্যারিয়ার হিসেবে বানানোর চেষ্টা না করা ভালো। যদি সেই চেষ্টা করেন তাহলে বিফল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই প্রবল। তাই এটি কে পার্টটাইম অনলাইন ইনকাম সোর্স হিসেবে বেছে নিতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় কোন কাজ নেই এক থেকে দুই ঘন্টা অবসর সময় কাটাচ্ছেন। সেই সময়গুলোকে কিছু টাকায় রূপান্তর করতে পারেন। আসুন জেনে নেই সেই সকল ছোটখাটো অনলাইন ইনকামের সোর্সগুলো।

    লুডু খেলে ইনকামঃ অনেক ছাত্ররা লুডু খেলেন বিনোদনের জন্য কিন্তু অনলাইনের মাধ্যমে লুডু খেলে বিনোদনের পাশাপাশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এর জন্য কিছু লুডু গেম অ্যাপস রয়েছে সেগুলো ডাউনলোড করতে হবে। যেই লুডু গেম খেলে ইনকাম করতে পারবেন তা হচ্ছে ludo king, ludo fantasy, ludo hunt ইত্যাদি।

    ভিডিও দেখে ইনকামঃ আমরা ইউটিউব এবং ফেসবুকে ভিডিও দেখে থাকি কিন্তু সেগুলো থেকে ইনকাম যায় না বরং সময় চলে যায়। কিন্তু কিছু অ্যাপ রয়েছে যেগুলোতে ভিডিও দেখার মাধ্যমে ইনকাম হবে। যেই অ্যাপগুলোতে ভিডিও দেখে টাকা ইনকাম করতে পারবেন সেগুলো হচ্ছে viggle, pocket money, irazoo ইত্যাদি।

    এড দেখে ইনকামঃ কোনো ভিডিও দেখার সময় যখন অ্যাড দেখায় তখন বিরক্ত কর লাগে। কিন্তু এখন যেই অ্যাড দেখার কথা বলবো তা দেখে বিরক্ত কর মনে হবে না বরং বেশি বেশি দেখতে চাইবেন। বলছি অ্যাড দেখে টাকা ইনকাম করার কথা। অ্যাড দেখে টাকা ইনকাম করার অ্যাপ হচ্ছে swagbucks, inboxdollars, freecash ইত্যাদি।

    কুইজ খেলে ইনকামঃ আমরা সাধারণত কুইজ খেলি জ্ঞানের দক্ষতা যাচাই-বাছাই করার জন্য। কিন্তু জ্ঞান যাচাই-বাছাই করার পাশাপাশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। কুইজ খেলে টাকা ইনকাম করার অ্যাপ হচ্ছে 888quiz, perk pop quiz, mindit trivia ইত্যাদি।

    লটারী খেলে ইনকামঃ লটারী খেলে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। খুব সহজে এবং কম সময়ের মধ্যে এখানে ইনকাম করার জন্য দক্ষতার প্রয়োজন হয় না। লটারি খেলে টাকা ইনকাম করার অ্যাপ হচ্ছে helo, jeet11, 4fun ইত্যাদি।

    ছাত্র জীবনে গ্রাফিক্স ডিজাইন করে টাকা আয় করার উপায়

    ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে টাকা ইনকাম করার জন্য যতগুলো জনপ্রিয় ক্যাটাগরি রয়েছে তার মধ্যে একটি হচ্ছে গ্রাফিক ডিজাইন। যেখানে ছোট থেকে শুরু করে বড় এবং ছাত্র থেকে শুরু করে শিক্ষক সকলে ইনকাম করতে পারবে। যদি ছাত্র জীবনে টাকা আয় করার উপায় গুলোর লিস্ট করা হয় তাহলে গ্রাফিক্স ডিজাইন উপরের দিকে থাকবে।

    কারণ আমাদের আশেপাশে এমন ছাত্র রয়েছে যারা পার্টটাইম হিসেবে শুরু করলেও ফুল টাইম বানিয়ে ফেলেছে। এর কারণ হচ্ছে ছাত্ররা গ্রাফিক ডিজাইন করে প্রচুর টাকা ইনকাম করছে এবং নিজের ক্যারিয়ার হিসেবে এটাকে বেছে নিচ্ছে। ইতিমধ্যে আপনার বন্ধুরা হয়তো টাকা ইনকাম শুরু করে দিয়েছে। তাহলে আপনি কেন বসে থেকে অবসর সময় গুলো নষ্ট করছেন।

    এখনই গ্রাফিক ডিজাইনের যেকোনো একটি কাজ পছন্দ করুন এবং সেই কাজে দক্ষতা অর্জন করে টাকা উপার্জন শুরু করুন। আর নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলুন। তাহলে চলুন জেনে আসি ছাত্র জীবনে গ্রাফিক্স ডিজাইন করে টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে।
    • লোগো ডিজাইনঃ গ্রাফিক ডিজাইন এর অধিক জনপ্রিয় কাজ হচ্ছে লোগো ডিজাইন। এর কাজ হচ্ছে বিভিন্ন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের নাম দ্বারা আকর্ষণীয় এবং অ্যাট্রাকটিভ করে সংক্ষেপে তুলে ধরার নাম হচ্ছে লোগো। লোগো ডিজাইন করার মাধ্যমে মার্কেটপ্লেস থেকে প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
    • ব্যানার ডিজাইনঃ রাস্তাঘাটে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এর বড় বড় ব্যানার দেখা যায়। যেগুলো সফটওয়্যারের মাধ্যমে তৈরি করে মার্কেটপ্লেস এ বিক্রি করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
    • পোস্টার ডিজাইনঃ প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন প্রচার-প্রচারণার জন্য বিভিন্ন কালারের তথ্য সংক্রান্ত ১০ থেকে ১২ ইঞ্চির যে কাগজ দেখতে পাওয়া যায় তা হচ্ছে পোস্টার। পোস্টার তৈরি করার মাধ্যমে অনলাইনে বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
    • মেনু ডিজাইনঃ প্রত্যেকটি বড় বড় রেস্টুরেন্টের খাবারের মেনু থাকে। মূলত মেনুটি ডিজাইনাররা তৈরি করেছে। এখন আপনিও মেনু ডিজাইনার হয়ে মার্কেটপ্লেস থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
    • ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভঃ ছবির পেছনের ব্যাকগ্রাউন্ড মুছে ফেলার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। আর মূলত ব্যাকগ্রাউন্ড মুছে ফেলার নাম হচ্ছে ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ। এই কাজ করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
    • বিজনেস কার্ড ডিজাইনঃ প্রত্যেকটি বড় প্রতিষ্ঠানের যোগাযোগের তথ্য সংক্রান্ত ছোট কার্ড থাকে। যেখানে প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করার তথ্য দেওয়া থাকে। আর সেই গুরুত্বপূর্ণ কার্ডের নাম হচ্ছে বিজনেস কার্ড আর এই ছোট কার্ড ডিজাইন করার মাধ্যমে ঘরে বসে থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

    ছাত্র জীবনে ডিজিটাল মার্কেটিং করে টাকা আয় করার উপায়

    বর্তমান সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে অনলাইন কাজের চাহিদার এবং ইনকামের দিক থেকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছে। আপনি যদি অনলাইনে ইনকাম করার জন্য দীর্ঘ পরিকল্পনা করে থাকেন। সেই দীর্ঘ পরিকল্পনায় যদি চাহিদা সম্পন্ন এবং বেশি টাকা ইনকামের উপায় বানাতে চান তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং উপযুক্ত হবে। এমন নয় যে অনলাইনে অন্যান্য ক্যাটাগরি থেকে ইনকাম করা যায় না।

    অন্যান্য ক্যাটাগরি থেকে ইনকাম করতে পারবেন এবং সেগুলো থেকে ইনকাম করার মাধ্যমে প্রচুর টাকা আয়ও করতে পারবেন। কিন্তু সময় পরিবর্তন হচ্ছে কখন কোন কাজের চাহিদা কমে আবার বাড়ে সেটা বলা মুশকিল। কিন্তু ধারণা করা হয় আগামী ৬ থেকে ৭ বছর পর ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা আরো বাড়বে। যারা ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে জানেন না।

    তাদের জন্য বলছি ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে টেকনোলজিকে ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পণ্য ও সার্ভিস গুলোকে প্রচার করা। নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন যতদিন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ততদিন এই কাজ থাকার সম্ভাবনা খুব স্ট্রং। এখন আপনার যে কাজ পছন্দ হয় সেই কাজের উপর ভিত্তি করে ছাত্র জীবনে পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ করে টাকা আয় করুন।

    ইমেইল মার্কেটিংঃ এই কাজের ধরন হচ্ছে প্রতিষ্ঠানের পণ্য ও সার্ভিসকে প্রচার করার জন্য সম্ভাব্য ক্রেতাদের সাথে যোগাযোগ করা। ইমেইল মার্কেটিং এর উদ্দেশ্য হচ্ছে নির্দিষ্ট পণ্যের উপর বেস করে সম্ভাব্য গ্রাহকদের ইমেইলের মাধ্যমে পণ্য ও প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য প্রদান করা।

    লিড জেনারেশনঃ ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্বপূর্ণ এক অংশ হচ্ছে লিট জেনারেশন। এখানেও প্রতিষ্ঠানের পণ্য প্রচার-প্রচারণা করার জন্য নির্দিষ্ট গ্রাহকের উপর ভিত্তি করে তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করা। এর মানে হচ্ছে প্রোডাক্ট কিনবে এমন গ্রাহকদের তথ্য সংগ্রহ করে তাদের সাথে যোগাযোগ করা।

    সেলস ফানেলঃ ডিজিটাল মার্কেটিং এর খুব জনপ্রিয় ক্যাটাগরি হচ্ছে সেলস ফানেল। এই ফানেল দ্বারা ক্রেতাদের সাথে যোগাযোগ থেকে শুরু করে কেনার আগ পর্যন্ত কনভেন্স করা। শুনে বুঝতে পারছেন কাজটা এতটা সহজ নয়। সেলস ফাইনাল সাধারণত চার প্রকার অ্যাওয়ারনেস, ইন্টারেকশন, ইন্টারেস্ট এবং অ্যাকশন এই চারটির উপরে ভিত্তি করে সেলস ফানেল গড়ে উঠেছে।

    ফেসবুক মার্কেটিংঃ ফেসবুক পেজ তৈরি করে ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। ফেসবুক পেজে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারবেন। আবার বিভিন্ন ক্লাইন্ট এর ফেসবুক পেজ দেখাশোনা এর দায়িত্ব নেওয়ার মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

    অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর কাজ হচ্ছে প্রতিষ্ঠানের পূর্ণ প্রচার প্রচারণার উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট কমিশনের বিনিময় পণ্য বিক্রি করা। এর মানে হচ্ছে নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট পণ্য বিক্রি করে দেওয়ার মাধ্যমে যে কমিশন পাবেন সেটাই আপনার টাকা ইনকামের সোর্স।

    উপরে ডিজিটাল মার্কেটিং অনলাইন ইনকাম সোর্স এর যেই মাধ্যমগুলো বলে দেওয়া হয়েছে। সেগুলোর মাধ্যমে নিজের ক্যারিয়ার এবং বর্তমানে ছাত্র থাকার পাশাপাশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। কিন্তু এই কাজ শিখে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। তাহলে ইনশাআল্লাহ ভালো ফলাফল পাবেন।

    ছাত্র জীবনে আর্টিকেল লিখে টাকা আয় করার উপায়

    একজন ছাত্রের জন্য লেখালেখি করে আয় করাটা অনেক সহজ হবে। আর্টিকেল লিখে ঘরে বসে প্রতি মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন। আর্টিকেল লেখার জন্য তেমন দক্ষতার প্রয়োজন হয় না কিন্তু লেখার প্র্যাকটিস থাকা জরুরী। তবে সকল ছাত্র আর্টিকেল লিখে আয় করতে পারবে বিষয়টা এমন নয়। কারণ আর্টিকেল লেখার জন্য সৃজনশীলতা এবং সেই বিষয়ের উপর জ্ঞানের প্রয়োজন হয়। আর্টিকেল লিখে অনেক পদ্ধতিতে আয় করতে পারবেন।

    তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য পদ্ধতি হচ্ছে মার্কেটপ্লেস। এই জন্য এটা উল্লেখযোগ্য বলা হচ্ছে কারণ এখান থেকে ইনকামের জন্য খুব বেশি কষ্ট করতে হয় না। মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট এবং সুন্দর একটি পোর্টফোলিও থাকলেই যথেষ্ট। তার সাথে থাকা লাগবে ইংরেজিতে কথা বলার পারদর্শিতা। কারণ বাইরে যে সকল ক্লায়েন্ট রয়েছে তারা আপনার নিজস্ব ভাষা বুঝতে পারবে না।

    এই জন্য কমিউনিকেশন স্কিল থাকা খুবই জরুরী। শুধু আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে নয় ফ্রিল্যান্সিংয়ের যেকোনো সেক্টরে কাজ করে আয় করার জন্য কমিউনিকেশন স্কিল থাকা জরুরি। তা নাহলে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর টিকে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়বে আর মার্কেটপ্লেসে কাজ পাওয়া অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে। এমনকি বাইরের যে সকল ক্লায়েন্ট আপনাকে দিয়ে আর্টিকেল লেখাবে তারা নিশ্চয়ই আপনার নিজের ভাষার উপরে আর্টিকেল লিখতে বলবে না।

    তারা বলবে ইংলিশ অথবা তাদের নিজের ভাষায় লেখার জন্য তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ইংলিশে আর্টিকেল লেখার কথা বলে। এই জন্য আর্টিকেল লেখা খুবই বুদ্ধি ভিত্তিক এবং সৃজনশীল সম্পূর্ণ। এই কাজ ছাত্র জীবনে টাকা আয় করার উপায় গুলোর মধ্যে খুব বেশি জনপ্রিয় না হলেও বুদ্ধিভিত্তিক দিক দিয়ে উপরের দিকে থাকবে।

    ছাত্র জীবনে ব্লগিং করে টাকা আয় করার উপায়

    প্রথম কথা হচ্ছে ব্লগিং এবং আর্টিকেল রাইটিং এর মধ্যে একটি যোগসূত্র রয়েছে। কেমন যোগসূত্র, ব্লগিং করার জন্য পোস্ট লেখার প্রয়োজন হয়। আর্টিকেল ক্ষেত্রেও লেখার প্রয়োজন হয়। কিন্তু ব্লগিংয়ে এক জায়গায় ডিফারেন্ট রয়েছে। সেটা হচ্ছে ব্লগিং করার জন্য ওয়েবসাইটের প্রয়োজন হয়। এখানে আপনি নিজেই নিজের বস আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইট থাকবে এবং সেখানে পোস্ট লিখতে হবে।

    আর এর জন্য ডোমেইন এবং হোস্টিং এর প্রয়োজন হয়। দ্বিতীয় কথা হচ্ছে ব্লগিং করার জন্য কিছু টাকা হলেও খরচ করতে হবে। তাই যারা টাকা খরচ করে ইনকাম করতে ইচ্ছুক নয়। তারা ব্লগিং করে তেমন ফায়দা পাবে না। একদম ফ্রিতে ব্লগিং করা যায় কিন্তু বেশি টাকা ইনকাম করা প্রায় অসম্ভব। অন্ততপক্ষে যদি ডোমেইন কিনতে পারেন তাহলে শুরু করতে পারবেন।

    তাই যারা ব্লগিং করে ইনকাম করতে চান তারা উপার্জন করতে পারেন। ব্লগিং করার মাধ্যমে প্রতি মাসে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। কিন্তু ব্লগিং থেকে টাকা ইনকাম করতে হলে এখানে সময় দিতে হবে। ব্লগিং করে উপার্জন করার জন্য কমপক্ষে ছয় মাস সময় দিতে হবে। কারো ক্ষেত্রে এর অধিক লাগতে পারে আবার কারো ক্ষেত্রে একটু কম ও লাগতে পারে।

    সেটা আপনার উপরে ডিপেন্ড করবে কেমন পরিশ্রম করতে পারবেন। তাই বলা যায় ছাত্র জীবন টাকা আয় করার উপায় এর মধ্যে টাকা ইনকামের যতগুলো পদ্ধতি বলে দেওয়া হয়েছে শুধুমাত্র এখানে উপার্জন করার জন্য কিছু টাকা ইনভেস্ট করতে হবে। বাকি যে উপায় রয়েছে সেগুলো থেকে ইনকামের জন্য ইনভেস্ট এর প্রয়োজন নেই।

    ছাত্র জীবনে টাকা আয় করে সফলতা পাওয়ার ৬ টি শর্তাবলী

    • প্রথমে কাজের বেসিক সম্পর্কে জানতে হবে। যদি বেসিক জেনে আগ্রহের সৃষ্টি হয় তাহলে সেই কাজে সফলতা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
    • কাজ শেখার সময় বেশি বেশি জানার চেষ্টা করুন এবং নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করুন
    • কাজ শেখার সময় মনোযোগ দিয়ে শেখার চেষ্টা করুন।
    • কাজ করার আগে সেটাকে ভালোভাবে আয়ত্তে করুন তারপর টাকা ইনকাম করার চেষ্টা করুন।
    • অবশ্যই কঠোর পরিশ্রমী হতে হবে এবং ধৈর্য শক্তি রাখতে হবে।
    • কাজ শেখার সময় বেশি বেশি সময় দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। যত সময় দিয়ে শিখবেন তত কিছু জানতে পারবেন।
    যখন টাকা ইনকাম করার উদ্দেশ্যে কাজ শিখবেন। তখন যতই হতাশা আসুক হতাশ হওয়া যাবে না। হতাশ না হয়ে আল্লাহ তা'আলার উপর ভরসা রাখতে হবে। তাহলে সফলতা আসবে ইনশাআল্লাহ।

    অনলাইন ইনকাম সোর্স

    অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য অনেক ধরনের সোর্স পেয়ে যাবেন। তবে সেটা কি আপনার জন্য ভালো হবে? পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্রদের যেন ইনকামের সমস্যা না হয় সেই বিষয় মাথায় রেখে ছাত্র জীবনে টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে বলে দেওয়া হয়েছে। তারা যেন পড়াশোনায় অধিকাংশ সময় দিয়ে বাকি সময় অনলাইন ইনকাম সোর্স এর মধ্যে দিতে পারে। অনলাইনে টাকা ইনকাম করার জন্য ইচ্ছা শক্তি থাকা খুবই জরুরী।

    আপনার টাকা ইনকামের উপর চাহিদা রয়েছে। কিন্তু পরিশ্রম করার আগ্রহ নেই। তাহলে অনলাইন ইনকাম সোর্স এর ভিতরে যতগুলো সেক্টর আছে সেগুলোর কোনটাতেই সফলতা পাওয়া সম্ভব খুবই কম। এই জন্য যে কাজের উপর চাহিদার সৃষ্টি হয় এবং ইচ্ছাশক্তির জাগ্রত হয় সেই কাজ শিখুন এবং করুন। অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করা খুব সহজ যদি আপনি পরিশ্রমী হতে পারেন।

    ছাত্র জীবনে টাকা আয় এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ FAQ

    ১। ছাত্র জীবনে কাজ করার মাধ্যমে কত টাকা আয় করা যাবে?
    উওরঃ ছাত্র জীবন চলাকালীন সময় বেশি টাকা উপার্জন করা সম্ভব নয়। তবে যদি ছাত্র অবস্থায় কাজের প্রতি বেশি মনোযোগ দিতে পারেন। তাহলে বেশি টাকা উপার্জন করার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।

    ২। টাকা ইনকাম করার মার্কেটপ্লেস কোনগুলো?
    উওরঃ টাকা ইনকাম করার মার্কেটপ্লেস হচ্ছে ফাইবার, আপ ওয়ার্ক, পিপল পার আওয়ার, ফ্রিল্যান্সার ডটকম এবং 99 ডিজাইন সহ আরো কিছু মার্কেটপ্লেস রয়েছে।

    ৩। অনলাইনে ইনকামের জন্য ফুল টাইম সময় দিলে কি পরিমান টাকা উপার্জন করা যাবে?
    উওরঃ অনলাইনে ফুল টাইম সময় দেওয়ার মাধ্যমে প্রচুর টাকা ইনকাম করা সম্ভব। যদি আপনার পরিশ্রমটি সঠিক হয়। এখন কত টাকা ইনকাম করা যায় তা বলা সম্ভব নয়। তবে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।

    ৪। গ্রাফিক ডিজাইন শেখার সফটওয়্যার এর নাম?
    উওরঃ গ্রাফিক ডিজাইনের অন্যতম জনপ্রিয় সফটওয়্যার হচ্ছে এডোবি ফটোশপ, এডোবি ইলাস্টেটর, ক্যানভা আরও কিছু সফটওয়্যার।

    উপসংহার

    পরিশেষে বলা যায় ছাত্র জীবনে টাকা আয় করার উপায় থেকে আপনারা যেন কিছু জানতে পারেন। এই জন্য এই বিষয়ের উপরে আর্টিকেল লেখা হয়েছে। কারণ প্রায় সময় ছাত্ররা টাকা ইনকাম করার উপায় খুঁজে বেড়ায়। কিন্তু সঠিক উপায় খুঁজে পাওয়ার অভাবে টাকা ইনকাম করতে পারে না। তাই ছাত্র সমাজের টাকা ইনকামের পথ সহজ করে দেওয়ার জন্য আর্টিকেল লেখা হয়েছে। শুধু যে উপায় গুলোতে কাজ করার মাধ্যমে ছাত্ররা ইনকাম করতে পারবে এমন নয়।

    যেকোনো বয়সের এবং যেকোনো পেশার মানুষ উপায় গুলোর মাধ্যমে কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারবে। তবে এমন শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে। যা থেকে মার্কেটপ্লেসে ইনকাম করার সময় সমস্যায় না পড়তে হয়। তাই আশা করি ছাত্র জীবনে টাকা আয় করার উপায় পড়ে কিছু জানতে পেরেছেন। কারণ উল্লেখিত উপায় এগুলোতে কাজ করে অনেকে মাসে লাখ টাকা ইনকাম করছে। আপনি চাইলেও এই পর্যায়ে পৌঁছে যেতে পারেন।

    শেষ কথাঃ প্রিয় পাঠক ইতিমধ্যে আপনি ছাত্র জীবনে টাকা ইনকাম করার উপায় এবং অনলাইন ইনকাম সোর্স সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ে জেনে নিয়েছেন। যদি আর্টিকেল বিস্তারিত পড়ার মাধ্যমে উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে আপনার বন্ধু এবং আশেপাশের এমন কাউকে জানান যে ইনকাম করতে আগ্রহী।

    এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

    পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
    এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

    এসএইচ নিউজস্টোরের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

    comment url