ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে করতে হয় তা বিস্তারিত জেনে নিন
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে করতে হয় এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে চান তাহলে সঠিক জায়গায় এসেছেন। যদি সঠিক গাইডলাইন এর উপর ভিত্তি করে ফ্রিল্যান্সিং শিখে টাকা ইনকাম করতে চান। তাহলে অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে করতে হয় এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিন। যাতে করে টাকা ইনকাম করার জন্য সঠিক পথ বেছে নিতে পারেন। কারন অনলাইনে টাকা ইনকামের জন্য সঠিক পথ জানা প্রয়োজন।
অনেক নতুন ফ্রিল্যান্সার অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে চাই। কিন্তু এর মধ্যে থেকে অনেকে সঠিক গাইডলাইন না পাওয়ার কারণে হতাশ হয়ে ফ্রিল্যান্সিং থেকে দূরে চলে যাই। আপনি যেন দূরে না চলে যান এই জন্য ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে করতে হয় তার মধ্যে সকল কিছু বিস্তারিত জানতে পারবেন।
পোস্টসূচিপত্রঃ
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে করতে হয়
অনলাইন জগতে টাকা ইনকাম করার এক অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। বর্তমান সময়ে টেকনোলজি যুগে বসে থেকে অনেক যুবক তার ক্যারিয়ার ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে করে নিতে চাই। কিন্তু সে বুঝতে পারে না ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে করতে হয়? ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখলে ভালো হবে এবং কোন কাজ দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করা যায় এই রকম নানান প্রশ্ন ঘুরপাক খায়।
অবশ্যই নতুনদের ফ্রিল্যান্সিং এ ক্যারিয়ার বানানোর জন্য ইচ্ছা শক্তি এবং কঠোর পরিশ্রমের প্রয়োজন। কারণ অনলাইনে টাকা ইনকাম করার জন্য যে সকল কাজ দিয়ে শুরু করবেন সেগুলো শিখতে হবে। আপনি পড়াশোনার পাশাপাশি অথবা যেকোনো পেশা বা চাকরির পাশাপাশি কাজ শিখে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এক কথায় ফ্রিল্যান্সিং এ ক্যারিয়ার ফুলটাইম এবং পার্টটাইম দুই ভাবেই গড়ে তোলা যায়। কিন্তু ফুল টাইম ফ্রিল্যান্সিং করার মধ্যে বেশি টাকা ইনকামের সুযোগ বেশি থাকে। তাই চলেন জেনে আসি ফ্রিল্যান্সিং এ জিরো থেকে হিরো কিভাবে হওয়া যায় যেন ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে অনলাইনে অর্থ উপার্জন করা যায়।
ফ্রিল্যান্সিং পেইড এবং বিনামূল্যে কোথায় শিখবো
ফ্রিল্যান্সিং শেখার অনেক মাধ্যম রয়েছে। কিন্তু সেই অনেক মাধ্যমের মধ্যে কিছু মাধ্যম বিদ্যমান আছে যেগুলো থেকে মানুষ প্রতারণার শিকার হয়। কিছু অসাধু প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা কিছু না জানা সত্ত্বেও কোর্স করিয়ে থাকে। এতে করে অনেক নতুন ফ্রিল্যান্সার দের ক্যারিয়ার শুরু হওয়ার আগেই শেষ হয়ে যায়। কারণ তারা যখন এই সকল প্রতারণা শিকার হয় তখন তারা হতাশ হয়ে যায়।
অনেকে হয়তো কষ্ট করে টাকা জমিয়ে কোর্স ফি এর টাকা দিয়েছে। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত ফলাফল না পাওয়ার কারণে হতাশ হয়ে ছেড়ে দেয়। সেই ব্যক্তি মনে করে ফ্রিল্যান্সিংয়ে কোন ক্যারিয়ার নেই। অযথা শুধু এইখানে সময় নষ্ট হবে। তবে সকল ফ্রিল্যান্সিং কোর্স খারাপ হবে এমনও নয়। কিছু ফ্রিল্যান্সিং প্রতিষ্ঠান বিদ্যমান যারা কোর্সের টাকার যথাযথ সার্ভিস দিয়ে থাকে।
কিন্তু যাদের কাছে ফ্রিল্যান্সিং করার মতো যথেষ্ট টাকা নেই। তারা ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য বিনামূল্যে মাধ্যমগুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে শিখতে পারেন। তাই আজকে আমরা জানবো কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং বিনামূল্যে এবং পেইড দুইভাবেই শেখা যায়।
১। ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ YouTube এ বিনামূল্যে শিখুন
ইউটিউবে জ্ঞানমূলক থেকে শুরু করে বিনোদন সকল ধরনের ভিডিও দেখা যায়। এগুলোর পাশাপাশি ইউটিউব ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবে। আপনি যেই সম্পর্কে জানতে এবং শিখতে চান সেই কাজ দিয়ে YouTube-এ সার্চ করুন। এরপরে দেখা যাবে ওই কাজ সম্পর্কে অনেক বিনামূল্যে ফ্রিল্যান্সিং কোর্স এর ভিডিও শো করেছে। এখন সবার ভিডিও দেখা আপনার পক্ষে সম্ভব নয়।
আর সবার ভিডিও দেখার মাধ্যমে কাজ শিখতে পারবেন এমনটিও নয়। তাহলে এখন কি করা উচিত এর জন্য পছন্দ অনুযায়ী কিছু জনের চ্যানেলের ভিডিও দেখার জন্য নির্ধারণ করুন। তাদের ফ্রিল্যান্সিং কাজ সম্পর্কে বেসিক ভিডিও দেখুন। যদি মনে হয় যে এই চ্যানেলের ভিডিও দেখার মাধ্যমে কিছু বোঝা যাচ্ছে। তাহলে সেখান থেকে জ্ঞান নিন এবং শেখার মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করুন।
কিন্তু ভিডিও দেখে অধিকাংশ জিনিস বুঝতে যদি সমস্যা হয় তাহলে ওইটা সমাধান করার চেষ্টা করুন। তবুও যদি বোঝার সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে আপনার ক্যাচিং করার ক্ষমতা কম রয়েছে। এর জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে শেখানোর জন্য পেইড কোর্স ছাড়ে সেগুলো থেকে করতে হবে।
২। ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ Google এ বিনামূল্যে শিখুন
আরো একটি বিনামূল্যে ফ্রিল্যান্সিং শেখার মাধ্যম যেখানে কাঙ্খিত বিষয় ফলাফল পাওয়ার জন্য সার্চ করে সেই বিষয়টি পড়ে নিতে হয়। ইউটিউব এর পাশাপাশি গুগল থেকেও ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন। এর জন্য রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট যারা ফ্রিল্যান্সিং এর বিষয়ে তথ্য এবং কাজ শিখিয়ে থাকে। সেই সকল ওয়েবসাইট বাছাই করুন যারা আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং শেখাতে পারবে।
যেখানে সময় ব্যয় করলে কাঙ্খিত ফলাফল পাবেন। প্রথম দিকে বিনামূল্যে শিখতে গেলে সমস্যায় পড়বেন। দেখুন বিনামূল্যে শেখার সময় কেউ আপনাকে গাইড করবে না। আর বিনামূল্যে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য ধৈর্য এবং ইচ্ছা সাথে কঠোর পরিশ্রম থাকা জরুরী। এজন্য যদি ক্যাচিং ক্ষমতা ভালো থাকে এবং ফোকাস লেভেল ভালো হয়। তাহলে ইউটিউব এবং গুগল ব্যবহার করার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেন।
৩। ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ Course করে শিখুন
উপরের দুটি মাধ্যম থেকে জানতে পারলাম যে কিভাবে বিনামূল্যে ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করে শেখা যায়। কিন্তু যদি এই বিনামূল্যের মাধ্যমগুলো ব্যবহার করে না শিখতে পারেন। তাহলে ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করতে হবে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তারা তাদের অভিজ্ঞতা অন্যজনের সাথে শেয়ার করার জন্য ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করিয়ে থাকে। এর জন্য তারা অবশ্য মূল্য নিয়ে থাকে।
এখন সকল ফ্রিল্যান্সিং প্রতিষ্ঠান ভালো কোর্স করাবে এমন নয়। আবার সকল ফ্রিল্যান্সিং প্রতিষ্ঠান খারাপ করাবে এমন নয়। এর জন্য যেই কাজ শিখতে চান তার ওপর ভিত্তি করে কোন প্রতিষ্ঠান ভালো কোর্স করাবে তা জানতে হবে। অবশ্যই একটি জিনিস খেয়াল রাখতে হবে সেটা হচ্ছে আপনার টাকা যেন অযথা নষ্ট না হয়। এর জন্য কিছু জিনিস যাচাই-বাছাই করুন।
আরো পড়ুনঃ টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে
- সর্বপ্রথম আপনি কোর্স কিভাবে করতে চান অনলাইন নাকি অফলাইন সেটা নির্ধারণ করুন।
- যদি অনলাইন করতে চান অবশ্যই নির্ভরযোগ্য কোনো প্রতিষ্ঠান নির্ধারণ করুন।
- সেই প্রতিষ্ঠানের এবং ট্রেনারের বিষয়ে খোঁজ খবর নিন।
- আর যদি অফলাইন কোর্স করতে চান। সশরীরে উপস্থাপন হয়ে কোর্স করতে চান তাহলে কি করতে হবে।
- আমরা হয়তো অনেকে জানিনা অনেক ক্ষেত্রে অনলাইনের থেকে অফলাইনের কোর্স বেশি।
- অফলাইনে কোর্স করার জন্য সেই প্রতিষ্ঠানে যারা অধ্যায়নত রয়েছে এবং এর আগেও অধ্যায়নরত ছিল তাদের কাছ থেকে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন।
- এরপরে যেই ট্রেইনার এর কাছ থেকে কাজ শিখবেন। সেই ট্রেইনার এর ফ্রিল্যান্সিং জগতে অভিজ্ঞতা কেমন এবং সেই যে মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করে তার রিভিউ এবং আয় দেখুন।
- যদি সবকিছু যাচাই-বাছাই করার মাধ্যমে সঠিক মনে হয় তাহলে শিখতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং পেইড এবং বিনামূল্যে কিভাবে শিখবো
ফ্রিল্যান্সিং কাজ শুরু করার আগে কিছু ধাপ রয়েছে যেগুলো অনুসরণ করতে হয়। উদাহরণস্বরূপ আপনি একটি ডাব গাছ দেখলেন এখন আপনার ডাব খেতে ইচ্ছে করলো। আপনি কি করবেন এক লাফে ডাব গাছে উঠে গিয়ে ডাব পেরে খাবেন। এটা কখনো সম্ভব নয় যেকোনো ব্যক্তি এক লাফে ডাব গাছে উঠে গিয়ে ডাব পেড়ে খাওয়া প্রায় অসম্ভব।
নিশ্চয়ই আমার সাথে আপনারাও একমত যে এটা প্রায় অসম্ভব। এর জন্য প্রয়োজন ডাব কাটার ছুরি। তারপরে প্রয়োজন হবে পায়ের সাথে দরি এবং মনে থাকা সাহস। যখন ডাব পড়ার জন্য এই সকল কিছুর ধাপ অনুসরণ করে তারপরে পারতে হয়। তাহলে ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্যও আপনাকে প্রত্যেকটি ধাপ অনুসরণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। চলুন জেনে আসি ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ শেখার জন্য কোন ধাপগুলো দিয়ে এগিয়ে যাওয়া দরকার।
প্রবল ইচ্ছা শক্তির প্রয়োজন
যেকোনো কাজ শুরু করার আগে ইচ্ছাশক্তির প্রয়োজন হবে। আপনার ইচ্ছে হচ্ছে চাকরি করার কিন্তু চাকরি পাচ্ছেন না দেখে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করতে চান। এবার ভাবুন যে আপনার প্রবল ইচ্ছা বা মন চাচ্ছে আপনি চাকরি করে জীবন যাপন করবেন।
এখন ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখে টাকা ইনকাম করতে চান। এটা কি আসলেই সম্ভব হবে। যদিও ফ্রিল্যান্সিং শিখতে শুরু করেন তারপরেও পরিশ্রম করার ইচ্ছে শক্তি জাগ্রত হবে না। তাই ইচ্ছা শক্তির বিরুদ্ধে গিয়ে কোন কিছু করা প্রায় অসম্ভব। আবার আপনার ফ্রিল্যান্সিং শেখার ইচ্ছা এবং কাজ করার মাধ্যমে টাকা করা ইনকাম করার ইচ্ছে রয়েছে।
কিন্তু এমন একটি কাজ শেখার জন্য নির্ধারণ করলেন যেটিতে মনোযোগ দিতে পারছেন না। তাহলে সফলতা পাওয়া কি সম্ভব আপনার কাছে কি মনে হয়। এই জন্য প্রবল ইচ্ছে শক্তি ছাড়া অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম করা প্রায় অসম্ভব।
কঠোর পরিশ্রম করার দৃঢ় মনোভাব
আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে করতে হয় তার ইচ্ছে শক্তির বিষয়ে জানলেন কিন্তু আপনার ইচ্ছে শক্তি আছে কিন্তু কঠোর পরিশ্রম করার মনোভাব নেই। এর মানে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করার ইচ্ছে রয়েছে কিন্তু পরিশ্রম করতে ভালো লাগেনা। কিছুক্ষণ ফ্রিল্যান্সিং কাজ শিখতে বসলে শুধু মনে হয় কখন এখান থেকে উঠে যাবো। এই মনোভাব নিয়ে সফলতা পাওয়া কিভাবে সম্ভব তাই পরিশ্রম করার মনোভাবকে দৃঢ় রাখতে হবে।
সময়ের স্বল্পতা
ধরে নিলাম আপনার কাছে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য ইচ্ছে শক্তি এবং কঠোর পরিশ্রম করার মনোভাব রয়েছে। কিন্তু কাজ শেখার পেছনে যথাযথ সময় দিতে পারছেন না। সারাদিনের বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে পর্যাপ্ত পরিমাণে সময় হয়ে উঠছে না। কাজের পেছনে সময় দেওয়ার কথা তিন থেকে চার ঘন্টা কিন্তু আপনি দিতে পারছেন এক থেকে দুই ঘন্টা।
তাও আবার কোনদিন দিতে পারছেন কোনদিন পারছেন না। এতে করে আপনার কাছে কাজের ধারাবাহিকতা এবং সময় দুটোই নষ্ট হচ্ছে। কারণ ফ্রিল্যান্সিং কাজ শেখার জন্য ধারাবাহিকতার প্রয়োজন আছে। এমন নয় যে আজকে কাজে দু'ঘণ্টা সময় দিলেন আবার তিন থেকে চার দিন পর কাজ কাজে সময় দিলেন। তাই প্রথমে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে আপনার কাছে ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য যথাযথ সময় রয়েছে কিনা।
প্রশিক্ষণের সময় ধৈর্য ধারণ
দেখুন ফ্রিল্যান্সিং এবং ধৈর্যের মধ্যে একটা সম্পর্ক রয়েছে। সেই সম্পর্কটা হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং শেখার সময় হতাশার সম্মুখীন হবেন কিন্তু এক্ষেত্রে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং কোন এক মাস বা দু মাসের কাজ নয় এটি হচ্ছে দীর্ঘ পরিকল্পনা যেখানে ধৈর্য শক্তি থাকা জরুরী।
প্রশিক্ষণ চলাকালীন শুরুর দিকে টাকা ইনকাম এর কথা মাথায় আনা যাবে না। যদি এই বিষয় প্রশিক্ষণের সময় মাথায় নিয়ে রাখেন তাহলে খুব অল্প সময়ে হতাশ হয়ে যাবেন। তখন হতাশ হয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখা ছেড়ে দেবেন। এই জন্য শুরুর দিকে আপনার ফোকাস শুধুমাত্র ফ্রিল্যান্সিং এর উক্ত কাজ কিভাবে শিখলে ভালো হবে সেই দিকে থাকবে।
আপনি যদি সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করার মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন তাহলে টাকা আপনার কাছে ছুটে আসবে। তাই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর দ্রুত সময়ের মধ্যে আয় করার কোন মাধ্যম নয়। এটি হচ্ছে ধৈর্য সহকারে পড়ে থেকে আয় করার মাধ্যম।
পছন্দের কাজ নির্ধারণ করা
আপনার এখানে আসার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে করতে হয় তা জানার জন্য আর এটির মূল কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং এর নির্ধারিত কাজ যার দ্বারা টাকা ইনকাম। এখন সময় হচ্ছে পছন্দের কাজ নির্ধারণ করার মাধ্যমে সামনে এগিয়ে যাওয়া। কিন্তু পছন্দের কাজ নির্ধারণ করার আগে ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজ আছে তা জানতে হবে। এটি জানার জন্য পরের প্যারাটি পড়তে হবে।
ধরে নিলাম পরের প্যারাটি পড়ে নিলেন এবং পছন্দের কাজটি নির্ধারণ করে নিলেন। কিন্তু নির্ধারণ করার আগে ওই কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত যাচাই-বাছাই করেছেন। এমন না হয় যে কিছুদিন শেখার পরে ওই কাজের উপর আপনার ইন্টারেস্ট হারিয়ে যায়। তাই আপনার জন্য সঠিক কাজ নির্ধারণ করা অতীব জরুরী। যাতে করে ফ্রিল্যান্সিং কাজ শেখার সময় ইচ্ছার বিরুদ্ধে না চলে যায়। কঠোর পরিশ্রম করার মনোভাব হারিয়ে না যায়।
ইংরেজি কমিউনিকেশন স্কিল
ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য জরুরি বিষয় হচ্ছে ইংরেজিতে কথোপকথন করা। আপনার নিজের ভাষা দিয়ে ক্লায়েন্টদের সাথে কথোপকথন করতে পারবেন না। এর জন্য প্রয়োজন হবে নূন্যতম ইংরেজি কমিউনিকেশন স্কেল।
যদি ইংরেজিতে কথোপকথন কিভাবে করতে হয় তা না জানেন তাহলে ফ্রিল্যান্সিং স্কিল বা কাজ শেখার পাশাপাশি ইংরেজি শিক্ষা গ্রহণ করুন। কারণ ইংরেজিতে কথা বলার ওপর সঠিক দক্ষতা না থাকলে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার দীর্ঘায়িত করা প্রায় অসম্ভব।
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে পাবো
ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য দুইভাবে কাজ পাবেন প্রথম মার্কেটপ্লেস এবং দ্বিতীয় সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে। প্রথমে মার্কেটপ্লেস এর কথায় আসা যাক মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন। সেই একাউন্টে নিজের পোর্টফলিও এবং প্রোফাইল সাজানোর জন্য যে সকল তথ্যের প্রয়োজন তা প্রদান করুন। সকল মার্কেটপ্লেসে কাজ পাওয়ার ধরন একই রকম নয়।
আপনাকে মার্কেটপ্লেস থেকে কাজ পাওয়ার সম্পর্কে জানতে হবে। এরপরে দ্বিতীয় উপায়টি হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে কিভাবে কাজ পাবেন এর জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। সেই অ্যাকাউন্ট দ্বারা ক্লাইন্টের নিকটস্থ হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং কাজের বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের গ্রুপ রয়েছে সেগুলোতে যুক্ত হতে হবে। চলেন জেনে আসি ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু মার্কেটপ্লেস এর নাম।
- ফাইবার (Fiverr)
- আপ ওয়ার্ক (Upwork)
- গুরু ডট কম (Guru.com)
- 99 ডিজাইন (99Designs)
- ফ্রিল্যান্সার ডটকম (Freelancer.com)
- পিপল পার আওয়ার (People Per Hour)
ক্লায়েন্টের কাছ থেকে কাজ পাওয়ার টিপস
আমরা অনেকেই জানি ক্লাইন্ড হচ্ছে তিনি যার কাছ থেকে আমরা কাজ বিক্রি করার মাধ্যমে অর্থ পেয়ে থাকি। কিন্তু ক্লায়েন্ট সকলকেই কাজ দেয় নাকি দেয় না। ক্লাইন্ট সবাইকে কাজ দিবে না। এমনটি ভাবা উচিত নয় এমনটি নয় যে ক্লাইন্ট নক দিয়েছে মানে কাজ পেয়ে গেছি। আপনার কাজ সম্পর্কে ক্লাইন্টকে জানাতে হবে।
আপনি কিভাবে কাজটি করে দিবেন এবং কাজটি করতে আপনার কত সময় লাগবে। কাজটি করার জন্য কত টাকা নিবেন আবার এক্সাম্পল হিসেবে আপনার দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে। আসলেই কি আপনি কাজটি করতে পারবেন কিনা। ক্লায়েন্টের সাথে কথা বলার জন্য যথেষ্ট কথোপকথনের স্কিল থাকতে হবে। ক্লাইন্টের মেসেজের সঠিক সময় উত্তর দিতে হবে।
এমন নয় ক্লায়েন্ট আপনাকে এখন মেসেজ দিল আপনি এর উত্তর এক থেকে দুই ঘন্টা পর দিলেন। তাহলে কিন্তু ক্লাইন্ট এর কাছ থেকে কাজ পাওয়া তো দূরের কথা আর তার সাথে কমিউনিকেশন করতে পারবেন কিনা সেটা বলাই দুষ্কর। তাই এই সকল বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। একজন ক্লাইন্ট আপনাকে দেখে কাজ দিবে না। আপনার কাজ দেখে তারপরে আপনাকে কাজ দিবে।
ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজ দিয়ে শুরু করবো
আপনারা এতক্ষণ ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে করতে হয় সেই বিষয়ে অনেক কিছু জানলেন। কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কোন কাজ দিয়ে শুরু করলে উত্তম এবার সেটা জেনে নিন। ফ্রিলান্সিং এর এমন কিছু কাজ উল্লেখ পাবেন যেগুলো নতুনদের জন্য প্রথম অবস্থায় সহজ হবে। তাই আশা করা যায় এই কাজগুলোর মধ্যে থেকে যেকোনো একটি হলেও কাজ পছন্দ হবে।
কনটেন্ট রাইটিং
কনটেন্ট রাইটিং মানে হচ্ছে বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি করার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা। বিভিন্ন কোম্পানি, প্রতিষ্ঠান, ওয়েবসাইট, পত্রিকা এবং যেকোনো কিছুর প্রমোশনের জন্য কনটেন্ট রাইটিং এর প্রয়োজন হয়। এই প্রয়োজনের তাগিদ থেকে কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান সহ আরো অন্যান্য কিছু সেক্টর কন্টেন্ট রাইটারদের নির্দিষ্ট বিষয়ের উপরে লিখতে বলে।
অবশ্যই তারা এর বিনিময়ে চুক্তিবদ্ধ হয়ে অর্থ প্রদান করে। আপনি এই কাজ করার মাধ্যমে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকার উপরে ইনকাম করতে সক্ষম হবে। আবার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা ওয়েবসাইট গুলোতে মাসিক বেতনেও কনটেন্ট রাইটার হিসেবে যুক্ত হতে পারেন। আর কন্টেন রাইটিং করে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য মার্কেটপ্লেসের সহযোগিতাও নিয়ে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
গ্রাফিক্স ডিজাইনার হয়ে আয়
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের বড় একটি কাজের ক্যাটাগরি হচ্ছে গ্রাফিক্স ডিজাইন। গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ হচ্ছে বিভিন্ন কোম্পানি, প্রতিষ্ঠান অথবা কারো ব্যক্তিগত প্রয়োজনে অনেক ধরনের ডিজাইন তৈরি করা। এই কাজ করার মাধ্যমে অনেক যুবক প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা উপার্জন করছে। কিন্তু গ্রাফিক ডিজাইন এর মধ্যে অনেকগুলো কাজ রয়েছে।
সেখান থেকে যেকোনো একটি কাজ বাছাই করে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে নিতে পারেন। গ্রাফিক ডিজাইন ক্যাটাগরির মধ্যে রয়েছে লোগো ডিজাইন, পোস্টার ডিজাইন, ব্যানার ডিজাইন, মেনু ডিজাইন, ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ, বিজনেস কার্ড ডিজাইন এবং ইমেজ এডিটিং সহ আরো বেশ কিছু কাজ। তাই উল্লেখিত কাজের মধ্যে থেকে একটি কাজ শিখে সেই কাজের উপরে দক্ষতা অর্জন করুন এবং দক্ষতাকে বিক্রি করে টাকা ইনকাম করুন।
ডিজিটাল মার্কেটার হয়ে আয়
বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা অনেক বেশি। ডিজিটাল মার্কেটিং মূলত অনলাইন উপায় গুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে পণ্য ও সার্ভিস গুলোকে প্রচার প্রচারণা করা। আর এই প্রচার-প্রচারণা অনেক ভাবে করা যায়। তারই একটি উপায় বেছে নিয়ে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারবেন। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে রয়েছে ইমেইল মার্কেটিং, সেলস ফানেল, লিড জেনারেশন, ফেসবুক মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ইত্যাদি।
ডিজিটাল মার্কেটিং ছাড়া বর্তমানে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সেলস বাড়ানো প্রায় অসম্ভব। এজন্য তারা উল্লেখিত উপায় ব্যবহার করে নিজের কোম্পানিকে উপরের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আর এই কাজ করে দেওয়ার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। তাই এখানে থেকে পছন্দের কাজ বাছাই করুন এবং সেটাতে দক্ষতা অর্জন করে টাকা ইনকাম করুন।
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর কাজের চাহিদা মার্কেটপ্লেস এবং লোকাল মার্কেটপ্লেসেও রয়েছে। অনেকে ফ্রিল্যান্সিং পেশা হিসেবে এটাকে বেছে নিচ্ছে কারণ এই কাজ করার মাধ্যমে প্রচুর টাকা ইনকাম করা যায়। কিন্তু এই কাজ মোটেও সহজ নয়। কারণ এখানে কাজ করার জন্য কোডিং সম্পর্কে জানতে হবে।
কোডিং হচ্ছে এক ধরনের ভাষা যার দ্বারা ওয়েবসাইট ডেভেলপ করা হয়। একজন ডেভলপারের Javacript, Python, HTML, CSS, Note.js সহ আরো অনেক ধরনের প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ জানতে হয়। আপনি তিন ধরনের ওয়েব ডেভেলপার হয়ে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
- ফ্রন্ট ইন্ড ওয়েব ডেভলপার
- ব্যাক ইন্ড ওয়েব ডেভেলপার
- ফুল স্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপার
ফ্রিল্যান্সিং সাইট সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে যুক্ত হয়ে কাজ করতে পারেন। দিন দিন এই কাজের চাহিদা বেড়েই চলেছে। কিন্তু এই কাজ শেখার জন্য বুদ্ধিমত্তার প্রয়োজন হয়।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায় কিনা
অনেকেই জানতে চেয়েছে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায় কিনা এর উত্তর হচ্ছে অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং মোবাইল দিয়ে করতে পারবেন। তবে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে করতে হয় এই সম্পর্কে যে বিষয়বস্তুগুলো পড়েছেন। সেগুলো থেকে বুঝতে পারবেন যে কোন ধাপগুলো অনুসরণ করার মাধ্যমে সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার দিকে এগিয়ে যাওয়া যায়।
এখন ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করার জন্য মোবাইল এবং কম্পিউটার উভয় ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু কথা হচ্ছে কম্পিউটারে ফ্রিল্যান্সিং করার যে সুযোগ সুবিধা গুলো পাবেন। একই সুযোগ সুবিধা গুলো মোবাইল এর ক্ষেত্রে পাবেন না। এর কারণ হচ্ছে মোবাইল ডিভাইসটি ছোট এবং এর কার্যকরীতা সীমাবদ্ধ।
মোবাইল দিয়ে সীমাবদ্ধতার মধ্যে থেকে ফ্রিল্যান্সিং করা এবং ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করা কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে। এজন্য মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে কিছু টাকা উপার্জন করুন এবং সেই টাকা দিয়ে পরবর্তী সময় কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ কিনে ফেলুন। তাহলে ফ্রিল্যান্সিং করে মজা পাবেন এবং টাকাও বেশি ইনকাম করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ FAQ
১। ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে প্রতি মাসে কত টাকা আয় করা যায়?
উওরঃ ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে প্রতি মাসে কি পরিমানে টাকা আয় করা যাবে তার কোন নির্ধারিত সীমা নেই। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর হচ্ছে মুক্ত পেশা যেখানে নিজের ইচ্ছে মত কাজ করা যায়। তাই ফ্রিল্যান্সিং কাজে যত সময় দিবেন এবং দক্ষতার সাথে কাজ করবেন তত বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এখানে চাকরির মত নির্ধারিত কোন বেতনে কাজ করতে হয় না। এখানে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার মাধ্যমে কাজ সম্পন্ন করতে হয়। নিজের ইচ্ছে মত টাকার পরিমান নির্ধারণ করে কাজ করা যায়।
২। চাকরি করার পাশাপাশি কি ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করা যাবে?
উওরঃ ফ্রিল্যান্সিং পার্ট টাইম এবং ফুল টাইম উভয় করা যায়। আপনি চাইলে চাকরির পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করতে পারবেন। আপনার আশেপাশে অনেক চাকরিজীবী খুঁজে পাবেন যারা চাকরির পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করে।
৩। ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য দিনে কতক্ষণ সময় দিতে হবে?
উওরঃ ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য সময় দেওয়ার কোন বাধা ধরা নিয়ম নেই। এটা সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভর করবে আপনার ক্যাচিং ক্ষমতায় এবং ক্রিয়েটিভিটি কত ভালো। তবুও দিনে কমপক্ষে ৪ ঘন্টা সময় দিতে পারলে ভালো হয়।
৪। ফ্রিল্যান্সিং শিখে টাকা ইনকাম করার জন্য কত দিন সময় লাগে?
উওরঃ ফ্রিল্যান্সিং শিখে টাকা ইনকাম করার জন্য কত দিন সময় লাগে এটাও আপনার এবং ভাগ্যের উপরে নির্ভর করবে। কেউ কেউ ফ্রিল্যান্সিং এ ছয় মাসের সফলতা পাই আবার কেউ কেউ এক বছর পরেও সফলতা পাই। তাই ফ্রিল্যান্সিং এ দক্ষতার পাশাপাশি ভাগ্যেরও দরকার আছে। তবে সঠিক পরিশ্রম দিতে পারলে ইনশাআল্লাহ সফলতা পাবেন।
উপসংহার
পরিশেষে বলা যায় যে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে করতে হয় এই বিষয় বিস্তারিত বলে দেওয়া হয়েছে ফ্রিল্যান্সিং এর বিষয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বগুলো পরিষ্কার করার জন্য। যেন আপনারা এই বিষয়গুলো সম্পর্কে পড়ে এবং জেনে উপকৃত হতে পারেন। কারণ অনলাইনে টাকা ইনকাম করার জন্য সঠিক ধারণা এবং গাইড লাইনের প্রয়োজন হয়। সঠিক গাইডলাইন না থাকলে সবকিছু এলোমেলো হয়ে যাই।
তাই টাকা ইনকাম করার জন্য সঠিক পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করার মাধ্যমে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। যদিও অনেকে মনে করে ঘরে বসে থেকে অনলাইনে টাকা ইনকাম করা খুবই সহজ কিন্তু এতটাও সহজ নয়। তখনই সহজ হবে যখন আপনার পরিশ্রম এবং সময় সঠিক কাজে ব্যয় করবেন।
এসএইচ নিউজস্টোরের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url