মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর গাইডলাইন
আপনি কি মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করে আয় করতে চান এবং সেই বিষয় নিয়ে খোঁজাখুঁজি করছেন। সত্যি যদি খোঁজাখুঁজি করে থাকেন এবং আয় করার প্রবল ইচ্ছা থাকে তাহলে মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং আয় করার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন। এই আর্টিকেল থেকে জানতে পারবেন মোবাইলের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং করে প্রতি মাসে কত টাকা আয় করা যায়। তাই নিজের মূল্যবান সময়টি কাজে লাগানোর মাধ্যমে আর্টিকেল থেকে কাঙ্খিত উত্তর জেনে নিতে পারেন।বর্তমান টেকনোলজির যুগে ঘরে বসে থেকে প্রায় মানুষ অনলাইনের মাধ্যমে আয় করতে চাই। এর মধ্যে অনেকের পছন্দ হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। কিন্তু তার হাতে মোবাইল ফোন এবং বাড়িতে ইন্টারনেট কানেকশন রয়েছে। কিন্তু সে জানে কম্পিউটার ছাড়া ডিজিটাল মার্কেটিং করা যায় না। এটি নিতান্তই তার ভুল ধারণা মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করার মাধ্যমেও আয় করা যায়।
পোস্টসূচিপত্রঃ
মোবাইল দিয়ে কি ডিজিটাল মার্কেটিং করা যায়
বর্তমান আধুনিক সমাজে ডিজিটাল মার্কেটিং যেন অন্যতম পাওয়া। এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ হচ্ছে প্রচার প্রচারণা করা। এক সময় মানুষ অফলাইন জগতে বিভিন্ন উপায় ব্যবহার করার মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা করত। আর বর্তমান সময়ে প্রযুক্তির উপরে নির্ভর করে অনলাইনে সাহায্যে ইন্টারনেট ব্যবহার করার মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণার কাজ করা হয়।
এখন এই প্রচার-প্রচারণা অনলাইনে ইন্টারনেটের মাধ্যমে করা যায় কিন্তু এর জন্য ডিভাইসের প্রয়োজন হয়। যেই ডিভাইস গুলো মানুষ তার নিত্য দিনের প্রয়োজন গুলো পূরণ করে থাকে। আর এই ডিভাইস এর মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছাতে যায়। আর পৌঁছানোর মাধ্যম হচ্ছে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। বর্তমানে মানুষ ব্যস্ততার সময় পেরিয়ে কিছু সময় অবসর পেলে তখন সোশ্যাল মিডিয়ায় যুক্ত হয়ে যায়।
এখন জনসংখ্যার বড় একটি অংশ সোশ্যাল মিডিয়ার সাথে যুক্ত আছে এটাকে কাজে লাগিয়ে ডিভাইসের মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা করতে হবে। আর যেই সকল ডিভাইস প্রয়োজন হয় যেমন কম্পিউটার, ল্যাপটপ, আইপ্যাড, এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন, আইফোন ইত্যাদি। কিন্তু আপনার কাছে এগুলোর মধ্যে থেকে শুধুমাত্র মোবাইল ফোন রয়েছে আর আপনি এটাকে ব্যবহার করার মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে চান।
তাহলে কি আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারবেন। অবশ্যই মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারবেন। কিন্তু ফোন ব্যবহার করে ডিজিটাল মার্কেটিং কেন করতে চান। হয়তোবা অনেকে নিজের ব্র্যান্ডকে প্রমোশন করার জন্য অথবা অনলাইনের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং করে আয় করার জন্য। এই আর্টিকেল পড়ার মাধ্যমে দুটো বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন।
মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে করা যায়
অনেকে বিশ্বাস করতে পারে না মোবাইল দিয়েও ডিজিটাল মার্কেটিং করা সম্ভব। এর কারণও খুঁজে পাওয়া গেছে তা হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন কাজের উপায় রয়েছে। এখন সব কাজ কি মোবাইল ফোন দিয়ে করা যায়। আপনি যদি সম্পূর্ণরূপে মোবাইল ফোনের সাথে জড়িত হয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে চান।
তাহলে হয়তো মার্কেটিং এর সকল উপায়ে কাজ করার জন্য মোবাইল ফোন সহায়তা করবে না। কারণ হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কিছু প্রজেক্ট বিদ্যমান রয়েছে যেগুলোতে প্রচার-প্রচারণা করার জন্য কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপের সহায়তা নিতে হবে। তাই কিছু কাজ রয়েছে যেগুলো মোবাইল দিয়ে করা যাবে আর কিছু কাজ আছে যেগুলো শুধুমাত্র কম্পিউটার দিয়েই করা যাবে। এজন্য বলা যায় কম্পিউটার দিয়ে সকল ধরনের ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ সম্পূর্ণ করা যাবে।
মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এ আয় কেমন
ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে সময়ের খুবই ডিমান্ডটেবল সেক্টর যেখানে কাজ করার মাধ্যমে লক্ষাধিক টাকা আয় করা সম্ভব। এখানে রয়েছে অনেক ধরনের কাজের মাধ্যম আর যেই মাধ্যমগুলোর একই উদ্দেশ্য বজায় থাকে তা হচ্ছে প্রচার-প্রচারণা। আর প্রচার-প্রচারণার জন্য ডিজিটাল ডিভাইস মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হয়। সেই ডিজিটাল ডিভাইসের মধ্যে একটি হচ্ছে মোবাইল ফোন। মোবাইল ফোন দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করে হাজার হাজার টাকা উপার্জন করা যাচ্ছে।
যদিও মোবাইল দিয়ে মার্কেটিং একটু কষ্টকর বিষয় কিন্তু যদি ইচ্ছে এবং চাহিদা প্রবল থাকে তাহলে মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করে আয় করা সম্ভব। এটা মনগড়া কোন কথা নয়, অনেক যুবক রয়েছে যারা মোবাইল ব্যবহার করার মাধ্যমে মার্কেটিং সেবা প্রদান করে ঘরে বসে থেকে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করছে।
কিন্তু অধিক পরিমাণে ইনকাম করার জন্য কম্পিউটারের প্রয়োজন। এখন মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার পরে একটি কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ নিয়ে নিতে পারেন। এটি নিত্যান্তই আপনার কাজের সুবিধার্থে বলা হয়েছে। যদি আপনার ক্যারিয়ার দীর্ঘায়িত করতে চান তাহলে অবশ্যই এটার প্রয়োজন রয়েছে।
মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কাজে আয় করা যায়
ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যাটাগরির মধ্যে বিভিন্ন কাজ রয়েছে। কিন্তু সকল কাজ দ্বারাই মোবাইল দিয়ে ইনকাম করা সম্ভব হবে না। এই জন্য বাছাইকৃত কিছু কাজ তুলে ধরা হবে। যেগুলো থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং করার মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। তাহলে চলুন এমনই কিছু কাজের নাম শুনে আসি যা থেকে মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করার মাধ্যমে আয় করা সম্ভব হবে।
ইমেইল মার্কেটিংঃ ডিজিটাল মার্কেটিং এ পণ্য বা সার্ভিস প্রচার-প্রচারণার উদ্দেশ্যে মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য ইমেইল ব্যবহার করা হয় সাধারণত তাকে ইমেইল মার্কেটিং বলা হয়। ইমেইল মার্কেটিং হয়তো বাংলাদেশে এতটা জনপ্রিয় নয়। কারণ বাংলাদেশের মানুষ ইমেইল ব্যবহার খুব কম করে।
কিন্তু বাহিরের দেশের অধিকাংশ মানুষেরা দিনে একবার হলেও তাদের মেইল চেক করে। এই জন্য মার্কেটিং এর বড় একটি ফেক্টরের জায়গা হচ্ছে ইমেইল মার্কেটিং। যার সাহায্যে সম্ভাব্য গ্রাহকদের কাছে সরাসরি সার্ভিস সম্পর্কে অফার ও তথ্য পাঠানোর মাধ্যমে যোগাযোগ করা যায়। এই কাজ মোবাইলের মাধ্যমে করতে পারবেন।
মোবাইল দিয়ে ব্লগিং করে আয়ঃ ব্লগিং অনেক পুরনো এবং জনপ্রিয় আয়ের উৎস। যেখানে লেখালেখি করে আয় করা যায়। নিজের একটি ওয়েবসাইট তৈরি করুন। সেখানে বিভিন্ন টপিকের উপরে আর্টিকেল লিখে পোস্ট করুন। আপনার লেখার মান যত ভালো হবে তত তাড়াতাড়ি এখান থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
এই কাজ কম্পিউটার এবং মোবাইল ডিভাইস দিয়ে সম্ভব। অনলাইনে আয় করার যত উপায় রয়েছে। তাদের যদি সহজ তালিকা করা হয় সেই লিস্টে ব্লগিং থাকবে। তাই ওয়ার্ডপ্রেস অথবা ব্লগার ওয়েবসাইট তৈরি করার মাধ্যমে ব্লগিং যাত্রা শুরু করতে পারেন।
মোবাইল দিয়ে কনটেন্ট রাইটিংঃ কন্টেন রাইটিং হচ্ছে ডিমান্ডেবল কাজ। যার চাহিদা মার্কেটপ্লেস এবং মার্কেটপ্লেস এর বাহিরে ক্রমধারায় বজায় থাকে। আপনি ইচ্ছে করলে কোন প্রতিষ্ঠান অথবা ওয়েবসাইটের মালিকের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে কনটেন্ট রাইটার হিসেবে যোগদান করতে পারেন। আপনার কনটেন্ট লিখার পদ্ধতি যত ইউনিক এবং মান ভালো হবে ততই ইনকাম বাড়বে। অনেকে রয়েছে ভালো একটি কনটেন্টের বিনিময় মিনিমাম ৫ ডলার পেয়ে থাকে। এই কাজ মোবাইল দিয়ে খুব সহজে করা যায়।
মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর কাজ হচ্ছে কোন প্রতিষ্ঠানের পণ্য ও সার্ভিস প্রচার-প্রচারণের উদ্দেশ্যে চুক্তিবদ্ধ হয়ে কমিশনের বিনিময় পণ্য বিক্রি করাকে এফিলিয়েট মার্কেটিং বলা হয়ে থাকে। এর মানে হচ্ছে কোন প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য ও সার্ভিস গুলো মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার দের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়। কেমন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটে সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়। তা হচ্ছে নির্দিষ্ট কোন পণ্য বিক্রির বিনিময়ে নির্দিষ্ট হারে কমিশন দেওয়া হবে। আর এই কাজ খুব সহজে মোবাইলের মাধ্যমে সম্পন্ন করা যায়।
মোবাইল দিয়ে সিপিএ মার্কেটিংঃ সিপিএ মার্কেটিং হচ্ছে ছোট ছোট কাজ করার বিনিময়ে অর্থ উপার্জন করা। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ যেমন নির্দিষ্ট কমিশনের বিনিময়ে পণ্য বিক্রি করে হয়। কিন্তু সিপিএ মার্কেটিং এ নির্দিষ্ট কমিশনের বিনিময়ে কোন সার্ভিস এর পণ্য বিক্রি করা যায় না। সিপি মার্কেটিং এর কাজ হচ্ছে ইমেইল সাবমিট, অ্যাপ ডাউনলোড, রেজিস্ট্রেশন ইত্যাদি কাজের বিনিময়ে টাকা পাওয়া যায়। মোবাইল দিয়ে করার জন্য খুবই উপযুক্ত এবং সহজে একটি কাজ।
মোবাইলে ডিজিটাল মার্কেটিং কাজ এর চাহিদা কেমন
মোবাইলে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ করতে পারবেন এবং সেখান থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। কিন্তু অনেকে জানতে চাই মোবাইলে ডিজিটাল মার্কেটিং কাজের চাহিদা কেমন। এই প্রশ্নের পেরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় কাজের দক্ষতা কেমন। আপনার কাজের দক্ষতা এবং পারদর্শিতা যদি উচ্চমানের হয় তাহলে নিশ্চয়ই অন্যরা কাজ করিয়ে নেওয়ার জন্য বসে থাকবে। সেটা যদিও বা হয় মোবাইল ফোনে কোন সমস্যা নেই।
কিন্তু কথা হচ্ছে কাজ ১০০% ভালো হতে হবে। তাহলেই বায়ার পরবর্তী সময় আবার কাজ করিয়ে নেওয়ার জন্য আসবে। এই জন্য আপনার কাছে মোবাইল কিংবা কম্পিউটার যাই থাক। যদি কাজের মান ভালো না হয় তাহলে কম্পিউটার থাকা সত্ত্বেও কেউ কাজ দিতে চাইবে না। এখন যদি বলেন ডিজিটাল মার্কেটিং কাজের চাহিদা কেমন তাহলে বলবো বর্তমান সময়ের অধিক জনপ্রিয় এবং ডিমান্ডেবল চাহিদা সম্পন্ন হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং।
ধারণা করা হয় বর্তমানে এবং আগামীতেও এই মার্কেটিং পদ্ধতির জনপ্রিয়তা বজায় থাকবে। হয়তোবা এটা হতে পারে কাজের পদ্ধতি একই থাকবে কিন্তু কাজের ধারায় পরিবর্তন আসবে। আর সেই উন্নত ধারাই নিজেকে টিকিয়ে রাখার জন্য প্রতিনিয়ত কাজের বিষয়ে নতুন কিছু ভাবতে হবে। বর্তমান সময় হচ্ছে অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতা সম্পন্ন। আশা করি মোবাইলে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা কেমন তা বুঝতে পেরেছেন।
মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং মাসে ইনকাম
অনেকের মনের কাঙ্ক্ষিত প্রশ্ন হচ্ছে মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করে মাসে কত টাকা ইনকাম করা যায়। আমার মতে এর কোন সঠিক ধারণা কেউ দিতে পারবে না। কারণ ডিজিটাল মার্কেটিং করার মাধ্যমে কেউ লক্ষাধিক টাকা আয় করে। আবার কেউ মাসে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করে। আবার অনেকে রয়েছে মাসে ছয় থেকে সাত হাজার টাকার কম ইনকাম হয়। এই মাসে ইনকামের বিষয়টি মূলত পরিশ্রমের উপরে নির্ভর করে।
আপনার কাজের প্রতি ডেডিকেশন এবং সময় আর কাজের দক্ষতা কেমন। যে নিজেকে এই বিষয়গুলোতে যত ভালো করে তৈরি করতে পারবে সেই তত প্রতি মাসে বেশি বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবে। কারণ ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে সৃজনশীলতার জায়গা এখানে নিজের দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে। আশা করি মোবাইল দিয়ে অনলাইনে ডিজিটাল মার্কেটিং মাসে ইনকাম সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।
মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং ফ্রিল্যান্সিং কোর্স
মোবাইল দিয়ে বিনামূল্যে ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স
মোবাইল দিয়ে বিনামূল্যে ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করার জন্য ইউটিউব ভিডিও এবং গুগল এ থাকা তথ্যগুলোর সাহায্য নিতে পারেন। যেমন ওয়েবসাইট সেগুলোতে বিনামূল্যে ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স পাওয়া যায়। সেগুলো থেকে শিখতে পারেন।
আবার ইউটিউবে অনেক চ্যানেল রয়েছে যারা শুধুমাত্র ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে কোর্স পাবলিশ করে থাকে। সেই সকল চ্যানেলের সাথে যুক্ত হয়ে ভিডিও দেখার মাধ্যমে শিখে নিতে পারেন। এর জন্য ডেডিকেশন এবং ক্যাচিং ক্ষমতা ভালো থাকতে হবে।
মোবাইল দিয়ে পেইড কোর্স ডিজিটাল মার্কেটিং
পেইড কোর্স ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স অনলাইন এবং অফলাইন হয়ে থাকে। অনলাইনে পেইড কোর্স করার জন্য কিছুটা ছাড় পাওয়া যায়। কিন্তু অনলাইনে তুলনায় অফলাইনে করতে গেলে তুলনামূলক বেশি পেইড করতে হয়। ডিজিটাল মার্কেটিং পেইড কোর্স শেখা তাদের জন্য ভালো হবে যাদের ক্যাচিং এবং নিজে নিজে প্র্যাকটিস আর বোঝার ক্ষমতা কম থাকে।
কিন্তু অবশ্যই কোর্সগুলো করার আগে প্রতিষ্ঠান অথবা ট্রেনার এর সম্পর্কে যথাযথ যাচাই বাছাই করুন। আসলেই কি ট্রেনার আপনাকে শেখানোর যোগ্যতা রাখে। নাকি আপনার টাকাগুলো অযথা নষ্ট হবে।
উপসংহার
পরিশেষে বলা যায় বর্তমান আধুনিক যুগে কমবেশি সবাই অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসে থেকে টাকা ইনকাম করতে চাই। কিন্তু কিছু বাধা-বিপত্তির কারণে অনেক সময় সেটা হয়ে ওঠেনা। অনেকের হয়তো বাড়িতে কম্পিউটার রয়েছে কিন্তু ইন্টারনেট নেই। আবার অনেকের বাড়িতে ইন্টারনেট রয়েছে কিন্তু কম্পিউটার নেই। কিন্তু দেখা যাচ্ছে আপনার বাসায় মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট দুটোই রয়েছে।
তবে এই ভেবে দ্বিধায় ভুগছেন মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয় করা যায় কিনা। এই দ্বিধায় নিজেকে ভোগান্তির শিকার না করে ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ারে মনোযোগ দিন। যদি ইচ্ছাশক্তি প্রবল এবং কঠোর পরিশ্রম করার ইচ্ছে থাকে তাহলে আপনার পক্ষেও অসম্ভব হবে না। তাই আপনার হাতে যদি মোবাইল ফোন থাকে আর ইচ্ছা আছে ডিজিটাল মার্কেটের হওয়া তাহলে ইনশাআল্লাহ পরিশ্রম করে যান সফলতা আসবে।
এসএইচ নিউজস্টোরের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url