ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি তা জেনে নিন

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি তা জানার জন্য খোঁজাখুঁজি করছেন। নতুন যারা ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি তা জেনে নেওয়া উচিত। এই জন্য উচিত যেন কাজ শেখা শেষ হয়ে যাওয়ার পরে টাকা উপার্জনের সময় কোন বাধার সম্মুখীন না হতে হয়। প্রতিনিয়ত কাজের ধরন পরিবর্তন হচ্ছে আর এজন্য আপনাকে বর্তমান সময়ে চাহিদা সম্পন্ন কাজের দিকে নজর দিতে হবে। যাতে করে ইনকাম এর আগেই ফ্রিল্যান্সিং যাত্রা শেষ না হয়ে যায়।
ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি বিস্তারিত জেনে নিন
আপনি যদি স্বাধীনভাবে কাজ করার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে চান। তাহলে ফ্রিল্যান্সিং আপনার জন্য সবচেয়ে উপযোগী মাধ্যম হতে পারে। কারণ ফ্রিল্যান্সিং কাজের ব্যাপারে স্বাধীনতা দেয়। এর জন্য ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি তা জেনে নিতে হবে। এটি হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং এ টাকা ইনকাম করার প্রথম ধাপ। আর প্রথম ধাপ সহকারে আর অন্যান্য ধাপ জানতে পুরো আর্টিকেল পড়ে নিন।
পোস্টসূচিপত্রঃ 

    বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারদের আয় কত

    আপনারা যারা ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি তার বিস্তারিত জানতে চেয়ে এসেছেন। ফ্রিল্যান্সিং কাজের চাহিদা জানার পাশাপাশি বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের আয় কত সেই বিষয়টি জানলে ধারণা পাবেন। শুধু বাংলাদেশ নয় সারা পৃথিবীতে ফ্রিল্যান্সিং এক বিস্তৃত জগত যেখানে অনেক কাজের পাশাপাশি রয়েছে অনেক বেশি পরিমাণে টাকা আয়ের সুযোগ।

    এক তথ্য অনুসারে বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আয়ের দিক থেকে ৩ নম্বরে রয়েছে। এমনকি টপ রেটেড সেলাদের মধ্যেও বাংলাদেশ উপরের দিকে রয়েছে। তাহলে বুঝা যাচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং এ বাংলাদেশের ভূমিকা কি পরিমাণে রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের দক্ষ ফ্রিল্যান্সার দের সংখ্যাও কম। অনেকে নিজেকে সময়ের সাথে সাথে আপডেট করতে পারে না।

    যদি নিজেকে সময়ের সাথে সাথে আপডেট না করতে পারে তাহলে টাকা ইনকাম কমে যাওয়ার পাশাপাশি তার ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর থেকে ছিটকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ বর্তমান সময়ে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি অবতরণ করেছে যা পৃথিবীর এক অন্যতম আপডেট ফিউচার। তাই আপনাকে যদি এর সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হয় তাহলে আপডেট থাকতে হবে।

    এখন এক্সাক্টলি একজন এভারেজ বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সার কি পরিমান আয় করতে পারে। এই বিষয়ে বলা খুবই কঠিন। কারণ এভারেজ এর মধ্যে অনেকে রয়েছে যারা প্রায় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করে। আবার অনেকেই রয়েছে যারা প্রায় ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করে।

    তাহলে ভালো ফ্রিল্যান্সারদের মাসে কি পরিমান আয় হতে পারে। বাংলাদেশের যেই সকল টক রেটেড সেলার রয়েছে তাদের প্রায় লাখের কাছাকাছি এমনকি এর বেশিও ইনকাম করে থাকে। আপনিও যদি ফ্রিল্যান্সারের ক্যারিয়ার গড়ার মাধ্যমে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি সেই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে কাজ করুন।

    ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি

    অনেকে জানতে চেয়েছে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি মার্কেটপ্লেস এবং মার্কেটপ্লেস ছাড়াও আরো অন্যান্য সাইট গুলোতে। আমরা সকলে কম বেশি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর সম্পর্কে কথা শুনেছি কিন্তু এর কাজ এবং অন্যান্য বিষয়ে জানা নেই। ফ্রিল্যান্সিং মূলত সেই পেশা যেখানে স্বাধীন ভাবে নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে কাজ করার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা যায়।

    বর্তমানে নতুন যারা ফ্রিল্যান্সিং এর সাথে যুক্ত হতে চাচ্ছেন। আর অনলাইনের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে ইচ্ছুক। আপনাদের মধ্যে হয়তো কেউ শিক্ষার্থী অথবা চাকরিজীবী যারা ফুলটাইম অথবা পার্ট টাইম অনলাইনে অর্থ উপার্জন করতে চান। কিন্তু কোথায় থেকে শুরু করবেন এবং কোন কাজ দিয়ে শুরু করলে ভালো করা যাবে।
    কিন্তু যেই কাজ দিয়ে শুরু করেন না কেন দক্ষতা ছাড়া কাজ করতে পারবেন না। আর দক্ষতা অর্জন করার মূল মন্ত্র হচ্ছে কাজের সম্পর্কে জ্ঞান আহরণ করা। কিন্তু কোন কাজের ওপর দক্ষতা অর্জন করলে অনলাইনে উপার্জন সম্ভব হবে।

    এই জন্য হয়তো ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি তা জানার জন্য অনেকে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তাহলে চলুন এমন ৬টি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর এর কাজের চাহিদার উপায় জেনে আসি যেগুলোর মধ্যে থেকে যেকোনো একটিতে দক্ষতা অর্জন করে টাকা উপার্জন করতে পারবো।

    ডিজিটাল মার্কেটিং

    ফ্রিল্যান্সিং কাজের চাহিদার ব্যাপারে জানানো হবে আর ডিজিটাল মার্কেটিং থাকবে না। সেটা বিশ্বাস করাই যেন দুঃস্বপ্নের মতো। আসলে এই ডিজিটাল মার্কেটিং টা কি? ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে টেকনোলজিকে ব্যবহার করে কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের পণ্যের প্রচার-প্রচারণা করা। মার্কেটিং শব্দটার সাথে তো আমরা সকলেই পরিচিত। মার্কেটিং শব্দের সাথে ডিজিটাল যুক্ত করার কারণ হচ্ছে।
    ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি বিস্তারিত জেনে নিন
    আধুনিক পদ্ধতিতে ইন্টারনেটের সাহায্যে মানুষের কাছে সার্ভিস বা পণ্য পৌঁছে দেওয়া। এক কথায় বলতে গেলে ব্যবসায় বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে প্রচার-প্রচারণার কাজে ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয় মূলত সেটাই হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। বর্তমান সময়ের দিকে যদি নজর দেন তাহলে বুঝতে পারবেন ইন্টারনেট মানুষের জীবনে কতটা প্রভাব ফেলেছে।

    ফেসবুক থেকে শুরু করে ইউটিউব ও ইনস্টাগ্রাম সহ সোশ্যাল মিডিয়ার আরো যে সকল মাধ্যম রয়েছে তার ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রচুর। এক্ষেত্রে বোঝা যায় মানুষ কত সময় অনলাইনে দিয়ে থাকে। আর এটাকে পুঁজি করে অনলাইনে অন্য বা সার্ভিসের প্রচার-প্রচারণা করা হয়। আর মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং কাজ শিখে দক্ষতা অর্জন করার পরে সেই সার্ভিস বিক্রি করার মাধ্যমে ঘরে বসে থেকে হাজার হাজার টাকা উপার্জন করছে।

    আপনিও যদি ডিজিটাল মার্কেটিং এর নাম শুনে থাকেন আর আগ্রহী হয়ে থাকেন। তাহলে বাছাই করুন ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে থেকে পছন্দের কাজ। এটি বাছাই করার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যাটাগরির মধ্যে কাজগুলো সম্পর্কে জানতে হবে। চলুন এমন কিছু কাজ জেনে আসে যেগুলো বর্তমান সময়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে।
    • সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
    • ফেসবুক মার্কেটিং
    • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
    • ই-বুক মার্কেটিং
    • লিড জেনারেশন
    • ইমেইল মার্কেটিং
    • সেলস ফানেল
    • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

    গ্রাফিক্স ডিজাইন

    আমাদের সমাজে অনেকে ফ্রিল্যান্সিং বলতে বুঝে থাকে গ্রাফিক ডিজাইন। কিন্তু গ্রাফিক ডিজাইন হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের একটি অংশ যেখানে বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে। সেই কাজগুলোকে দক্ষতার সাথে সম্পূর্ণ করার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা যায়। আপনি আশেপাশে তাকালে কোথাও না কোথাও গ্রাফিক ডিজাইনের কাজ দেখতে পাবেন।
    ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি বিস্তারিত জেনে নিন
    কারণ কোম্পানি থেকে শুরু করে প্রতিষ্ঠান সকলের গ্রাফিক ডিজাইনের কাজের প্রয়োজন হয়। যেমন ধরুন আপনারা হয়তো ছোট এক ধরনের কার্ড দেখে থাকবেন যেগুলোতে কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগের উপায় দেওয়া থাকে। সেই কার্ডকে মূলত বিজনেস কার্ড বলা হয়। আর এই বিজনেস কার্ড ডিজাইন করে একজন গ্রাফিক ডিজাইনার।

    আবার যদি প্রতিষ্ঠান দিকে তাকান তাহলে দেখবেন প্রতিষ্ঠানের সামনে বড় আকারে বা সাইজে বড় যেখানে প্রতিষ্ঠানের তথ্য এবং কি কাজ করে সেগুলোর কথা লিখা থাকে। মূলত এটা কে ব্যানার ডিজাইন বলে আর এই ডিজাইন একজন গ্রাফিক ডিজাইনার সম্পূর্ণ করে থাকে। তবে এই কাজ অনলাইন এবং অফলাইন উভয় মাধ্যমে করা যায়।

    ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে এমন কিছু কাজ বিদ্যমান রয়েছে যেগুলোর মধ্যে গ্রাফিক ডিজাইনের সহযোগিতার প্রয়োজন হয়। ডিজিটাল মার্কেটিং এর কিছু কাজ যেগুলো ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এর মধ্যে জায়গা পেয়েছে ঠিক তেমনি ফ্রিল্যান্সিং এ এমন কিছু কাজ রয়েছে। যেই কাজগুলো কাজের চাহিদার তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে।

    গ্রাফিক ডিজাইনের মধ্যে থাকা কাজ করার মাধ্যমে শত শত ডলার ইনকাম করা সম্ভব। কিন্তু তার জন্য গ্রাফিক ডিজাইনের কাজের বিষয়ে যথেষ্ট জানা এবং দক্ষতা অর্জনের প্রয়োজন রয়েছে। তবে শুরুর দিকে গ্রাফিক ডিজাইনের মধ্যে থাকা সব কাজে দক্ষতা অর্জন করার প্রয়োজন নেই।

    কিন্তু আপনি যদি মনে করেন আমার জন্য কোন কাজ ভালো হবে সেটা জানতে চাই। তাহলে উল্লিখিত কাজগুলোর সম্পর্কে বেসিক ধারণা নিতে পারেন। তারপরে পছন্দের কাজ নির্ধারণ করে সেটিকে দক্ষতার সাথে করার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করুন। চলেন জেনে আসি গ্রাফিক ডিজাইনের মধ্যে থাকা কিছু কাজ সম্পর্কে।
    • লোগো ডিজাইন
    • পোস্টার ডিজাইন
    • ব্যানার ডিজাইন
    • স্টেশনারি ডিজাইন
    • মেনু ডিজাইন
    • ইউটিউব থাম্বেল ডিজাইন
    • সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ডিজাইন
    • Infographic ডিজাইন
    • ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভল
    • বিজনেস কার্ড ডিজাইন
    • ইমেজ এডিটিং
    • ভেক্টর ট্রাকিং
    • জুয়েলারি ডিজাইন

    ওয়েব ডেভেলপমেন্ট

    উল্লেখিত ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এর মধ্যে যেই ক্যাটাগরির কাজগুলো রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম বুদ্ধি ভিত্তিক কাজ হচ্ছে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট। এখন অনেকে বলতে পারেন কেন এই জন্য যে কাজটি শেখার জন্য ধৈর্য এবং ইচ্ছা শক্তির সাথে কঠোর পরিশ্রমই হতে হবে। একাধারে লেগে থাকতে হবে হতাশা আসলেও হতাশ হওয়া যাবে না।

    শুনে হয়তো খুবই ভয় পাচ্ছেন। আবার অনেকে হয়তো এখনই মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন কাজটি থেকে। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শেখা খুব কঠিনও না আবার খুব সহজও না। আপনি যখন গুগলে সার্চ করেন তখন সেই রিলেটেড অনেক তথ্য দেখতে পান। সেই তথ্যগুলো ওয়েবসাইটে অন্তর্ভুক্ত থাকে।

    মানে আমরা গুগলে সার্চ দেওয়ার পরে যে তথ্যগুলো পড়ে থাকি সেগুলো ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এমনকি আমরা বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করি সেগুলো ওয়েব ডেভেলপার দ্বারা তৈরি কৃত। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শেখার জন্য ভাষা শিখতে হয়। আমি ইংরেজি ভাষা বা বাংলা ভাষার কথা বলছি না। আমি বলছি কোডিং ও প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ বা ভাষার কথা।

    যেই ভাষা গুলো ব্যবহার করে একজন ডেভেলপার ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট করে। আমরা যে ফেসবুকে লাইক বাটন, কমেন্ট বাটন, শেয়ার বাটন আরো বিভিন্ন ধরনের অপশন দেখি এগুলো মূলত ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর কাজ। সাধারণত ওয়েব ডেভেলপার ৩ ধরনের হয়ে থাকে।
    • ফ্রন্ট ইন্ড ওয়েব ডেভলপারঃ আমরা ওয়েবসাইট ব্যবহারের সময় যে বাহিরের অংশটি দেখি সেটা মূলত ফ্রন্ট ইন্ড ওয়েব ডেভেলপার ডিজাইন করে থাকে।
    • ব্যাক ইন্ড ওয়েব ডেভলপারঃ এই ধরনের ডেভলপারের কাজ হচ্ছে ওয়েবসাইটের সার্ভার, ডাটাবেজ, ট্রাফিক, কোট ডিবাগিং এর কাজগুলো সম্পন্ন করে থাকে। এখানে মূলত ফন্ট ইন্ড ওয়েব ডেভেলপার এর উপর ভিত্তি করে এই সকল কাজ করা হয়। মানে ফ্রন্ড ওয়েব ডেভেলপার ওয়েবসাইটে প্রাণ সঞ্চালন করার জন্য যা যা করার দরকার করে এবং ব্যাক ইন্ড ওয়েব ডেভলপার এর ভিতরে যে কার্যক্রম গুলো রয়েছে তা করে।
    • ফুল স্ট্যাক ইন্ড ওয়েব ডেভেলপারঃ এই ধরনের ডেভলপার হচ্ছে অলরাউন্ডার। এরা ফ্রন্ট এবং ব্যাক দুই ধরনের ডেভেলপমেন্ট করে থাকে।
    তাই আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এর মধ্যে থেকে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কাজ শিখতে পারেন তাহলে আর আপনাকে পেছনে ঘুরে তাকাতে হবে না। আপনি যদি ফুল ওয়েব ডেভেলপমেন্ট নাও শিখতে পারেন। তাহলে উল্লেখযোগ্য যে দুই ধরনের ডেভেলপমেন্ট রয়েছে তার মধ্যে থেকে একটি বাছাই করুন।

    সেই বাছাইকৃত কাজটি দক্ষতার সাথে শিখে টাকা ইনকাম করুন। মনে রাখবেন বর্তমান মার্কেটপ্লেস এবং মার্কেটপ্লেস এর বাইরেও কাজের প্রচুর চাহিদা। কিন্তু আগে বলেছি কাজটি শেখার জন্য ইচ্ছা শক্তি, ধৈর্য শক্তি, চিন্তা শক্তি এবং পরিশ্রম করার আগ্রহ থাকতে হবে।

    3D অ্যানিমেশন ভিডিও

    আপনি টিভিতে বা ইউটিউবে কোন না কোন সময় বিভিন্ন কার্টুন দেখেছেন অথবা Anime মুভি দেখেছেন। আমরা ছোট সময় ডরিমন, মটু পাতলু, টম এন্ড জেরি সহ আরো বিভিন্ন ধরনের কার্টুন দেখেছি এমনকি এখনো দেখি। আপনারা হয়তো টিভিতে গোপাল ভার দেখেছেন। কখনই কি মনে প্রশ্ন জেগেছে এই সকল ভিডিও কিভাবে তৈরি করা হয়।

    মনে যদি প্রশ্ন জেগে থাকে তাহলে জেনে নিন এগুলো হচ্ছে 2D এবং 3D এনিমেশন ভিডিও। এই এনিমেশন ভিডিও তৈরি করার মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। একবার ভাবুন এনিমেশন ভিডিও বানিয়ে কত উপায়ে ইনকাম করা সম্ভব। যদি ভেবে থাকেন আর না বুঝতে পারেন তাহলে বলছি ইউটিউবে চ্যানেল তৈরি করে 3D অ্যানিমেশন বিভিন্ন কনটেন্ট আপলোড করুন।

    আবার ফেসবুকেও আপলোড করে ইনকাম করতে পারবেন। এগুলো তো ছিল মার্কেটপ্লেসের বাহিরের কথা এখন মার্কেটপ্লেসে এই কাজের চাহিদা কেমন। বর্তমান সময়ে মার্কেটপ্লেস গুলো ভিজিট করেন তাহলে দেখবেন কাজের চাহিদা কত বেশি। উল্লেখিত কাজ করার মাধ্যমে মাসে হাজার ডলার ইনকাম করা সম্ভব। এই কাজ করার জন্য বিভিন্ন সফটওয়্যার পাওয়া যায়।

    যেমন এডোবি আফটার ইফেক্ট ব্যবহার করার মাধ্যমে এনিমেশন ভিডিও তৈরি করতে পারবেন। এখন কথা হচ্ছে এনিমেশন ভিডিও এর কাজ শিখতে কত সময় লাগতে পারে। এটা তো নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয় তবে আপনি যদি পরিশ্রমী হন এবং কাজের প্রতি আগ্রহ থাকে তাহলে ৬ মাসের মধ্যে শিখে কাজ করতে পারবেন।

    এখন শিখবেন কোথায় হয়তো অনেকের মাথায় কোর্সের কথা আসতে পারে। তবে ইউটিউব এ বিনামূল্যে কোর্স পাওয়া যায়। সেগুলো দেখার মাধ্যমে আস্তে আস্তে শিখতে পারেন। যদি কোন কিছুতে বেধে আটকে যান তাহলে বেশি বেশি ভিডিও দেখুন বাকি কনফিউশনগুলো ক্লিয়ার হয়ে যাবে।

    বর্তমান সময়ে ট্রেন্ডিং চলছে কাজটির। তাই ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এর মধ্যে যদি 3D অ্যানিমেশন ভিডিও তৈরি করার উপর ইচ্ছে পোষণ হয়। তাহলে কাজটি শিখে দক্ষতা অর্জন করে টাকা উপার্জন করুন।

    কনটেন্ট রাইটিং

    আপনি যদি লিখালিখি করতে ভালোবাসেন এবং পছন্দ করেন তাহলে এই কাজ আপনার জন্য উপযোগী হবে। যদি লিখালিখির ওপর অভিজ্ঞতা বা অভ্যস্ত না থাকে তাহলে লেখার সময় আস্তে আস্তে অভিজ্ঞতা হয়ে যাবে। কিন্তু লেখালেখির বিষয়বস্তুগুলোর সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে। যদি নির্দিষ্ট বিষয়বস্তুগুলোর উপরে জ্ঞান না থাকে তাহলে আহরণ করুন।

    কারণ ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এই সেক্টরের এক মূল্যবান কাজ হচ্ছে কন্টেন রাইটিং। এইজন্য মূল্যবান বলে অভিহিত করা হচ্ছে কারণ কন্টেন রাইটিং করে অনেক ভাবে ইনকাম করা যায়। আপনি কন্টেন রাইটিং করে নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে লেখালেখি করতে পারবেন।

    আবার অন্য একজনের ওয়েবসাইটে লেখালেখি করার মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। এগুলোর মধ্যে যদি কোনটা ভালো না লাগে তাহলে ফ্রিল্যান্সিং এর যে সকল মার্কেটপ্লেস রয়েছে। সেখানে ক্লায়েন্টের কথা অনুযায়ী বা বিষয়বস্তু অনুযায়ী কাজ করে দেওয়ার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

    এক কথায় কনটেন্ট রাইটিং করে অনেক উপায়ে ইনকাম সম্ভব। এখন অনেকে বলতে পারেন কন্টেন্ট রাইটিং করার জন্য নূন্যতম যোগ্যতার প্রয়োজন রয়েছে। দেখুন কনটেন্ট রাইটিং করার জন্য নূন্যতম কোন যোগ্যতার প্রয়োজন নেই।

    আপনি যদি ক্লাস ফাইভ পাস করেন কিন্তু অনেক ভালো লেখালেখি করতে পারেন। এটাই আপনার জন্য যথেষ্ট হবে কন্টেন রাইটিং করে উপার্জন করার ক্ষেত্রে। আর এই কাজের চাহিদার ব্যাপারে যদি বলতে হয়। তাহলে মার্কেটপ্লেসগুলোতে ব্যাপক চাহিদা এমনকি এই কাজের চাহিদার কোন কমতি নেই। কিন্তু অবশ্যই ভালো আর্টিকেল বা কনটেন্ট লেখা জানতে হবে।

    ভিডিও এডিটিং

    আপনারা এতক্ষন ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজে চাহিদা বেশি তার ওপর ভিত্তি করে অনেকগুলো কাজের নাম জেনে নিয়েছেন। আর এখন যে ক্যাটাগরির কাজের নাম বলবো সেটা অধিক জনপ্রিয় হওয়ার পাশাপাশি চাহিদা সম্পন্ন টাকা উপার্জন করার ক্ষেত্র। আমরা বাসায় বসে থেকে অবসর সময়ে ইউটিউব এবং ফেসবুকে প্রতিনিয়ত স্ক্রল করতে থাকি আর নতুন নতুন ভিডিও দেখে সেটা উপভোগ করি।

    আপনি যে ভিডিও দেখছেন সেটা ক্যামেরায় বন্দি করার সাথে সাথে ইউটিউব বা ফেসবুকে ছেড়ে দেয় আর আপনি দেখে উপভোগ করেন। এমন চিন্তা যদি মাথায় আসে তাহলে এটা নিতান্তই ভুল চিন্তা। কারণ আমরা যে ভিডিও ইউটিউব বা ফেসবুকে দেখি সেগুলো সফটওয়্যার এর মাধ্যমে কারেকশন করা হয়। কারেকশন করার মাধ্যমে ভিডিও দেখে উপভোগ করা যায়।

    আপনারা যদি মনে এমন কখনো বোধ হয় যে আমিও ভিডিও এডিটিং করার মাধ্যমে অনলাইনে টাকা উপার্জন করবো। তাহলে ভিডিও এডিটিং শিখে নিন। আবার দুই থেকে তিন দিন শিখে কাজ করতে যাবেন না। কারণ এই কাজ দুই থেকে তিন দিনে শেখার নয়। এখানে আপনাকে দীর্ঘ সময় পরিকল্পনা করতে হবে।

    এর জন্য প্রয়োজন ধৈর্য এবং কঠোর পরিশ্রম আর যথাযথ সময় দিতে হবে। কারণ যদি ভিডিও এডিটিং এর উপর দক্ষতা অর্জন না করতে পারেন। তাহলে কাজ করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন না। ফ্রিল্যান্সিং এই ভিডিও এডিটিং কাজ করার জন্য মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট খুলুন। সেখানে নিজের পোর্টফোলিও তৈরি করে কাজ শুরু করুন।

    ভবিষ্যতে কোন কাজের চাহিদা বেশি

    নতুন ফ্রিল্যান্সারদের মনে একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খায় তা হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি বিষয়টি জানার জন্য যেমন উদ্বেগ সৃষ্টি হয়। ঠিক তেমনি ভবিষ্যতে কোন কাজের চাহিদা বেশি হবে এই বিষয়টি জানার জন্যও আকাঙ্ক্ষা সৃষ্টি হয়ে থাকে। কিন্তু সাধারণত ভবিষ্যৎ সম্পর্কে মানুষের ধারণা করার উপায় নেই কারণ এখানে মানুষের হাত থাকে না।

    মানুষ শুধু অনুমান করতে পারে যে ভবিষ্যতে কোন কাজের চাহিদা বেশি থাকতে পারে। আপনি তার উপরে অনুমান করে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করতে পারেন। এই পরিকল্পনা করার জন্য আজ থেকে ৫ বছর পরে কোন কাজে চাহিদা বেশি থাকতে পারে তা জানতে পারেন। আজ থেকে কিছু বছর পরেও যে কাজের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই প্রবল তা হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং।

    কেন ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যতেও চাহিদা থাকতে পারে। এর কারণ হচ্ছে বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর ভিত্তি করে কোম্পানি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তারা খুব তাড়াতাড়ি প্রচার-প্রচারণা করার মাধ্যমে সেলস বাড়াতে পারে। প্রতিষ্ঠানকে মানুষের সামনে তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ থাকে।

    যেটা আজ থেকে ২০ বছর আগে এতটা প্রবল ছিল না। তাই দিন যত যাচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজের চাহিদা তত বাড়ছে। এই মার্কেটিং এর মধ্যে নতুন নতুন আপডেট আসছে মানুষ সেটিকে এপ্লাই করার মাধ্যমে কোম্পানির প্রচার-প্রচারণা আরো দ্রুত করতে পারছে।

    আপনি হয়তো এর আগে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি সেখান থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরের কাজের নাম গুলো জেনে নিয়েছেন। সেই উল্লেখিত কাজগুলো থেকে পছন্দের কাজ বাছাই করুন এবং সেই কাজটির মার্কেটপ্লেস গুলোতে চাহিদা কেমন জানার চেষ্টা করুন।

    এবং যদি সম্ভব হয় ডিজিটাল মার্কেটিং এর কিছু পছন্দের কাজ হাতে নিয়ে প্রথমে সেগুলোর বেসিক জানার চেষ্টা করুন।তারপরে বোঝার চেষ্টা করুন কোন কাজ আপনার জন্য উপযুক্ত হবে। যেই কাজ উপযুক্ত হবে সেটি ধরে সামনের দিকে এগিয়ে যান। একটি কথা মনে রাখবেন প্রায় সকল কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান চাই তাদের ব্যবসা যেন বৃদ্ধি পায়।

    আর এই বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং করতে চাই। আপনি তাদের কাজ করে দেওয়ার মাধ্যমে বিনিময় হিসেবে অর্থ নিতে পারবেন। আর এভাবেই মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যাটাগরি অনেক কিশোর এবং প্রাপ্তবয়স্করা টাকা ইনকাম করছে।

    ফ্রিল্যান্সিং এর প্রয়োজনীয় কিছু সফটওয়্যার

    আপনি দীর্ঘ সময় ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এ বিষয়ে বিস্তারিত পড়ে জেনেছেন কিন্তু কাজগুলো করার বা শেখার জন্য মাধ্যম প্রয়োজন। আর সেই মাধ্যম হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং জনপ্রিয় কিছু সফটওয়্যার। যেগুলো হচ্ছে টাকা উপার্জন করার এক রাস্তা আর আপনার যদি এই রাস্তার সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান ও দক্ষতা না থাকে তাহলে ফ্রিল্যান্সিং এ সফলতা পাওয়া প্রায় অসম্ভব।

    কারণ সফটওয়্যার আপনার এবং মার্কেটপ্লেস এর মাঝামাঝি অবস্থানে কাজ করে। সফটওয়্যার ছাড়া আপনি কাজ করতে পারবেন না বায়ার আপনার কাছ থেকে কাজ পাবে না। আবার না আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এই জন্য ফ্রিল্যান্সিং এর জনপ্রিয় কিছু সফটওয়্যার সম্পর্কে জেনে নিন।
    • এডোবি ফটোশপ
    • এডোবি ইলাস্ট্রেটর
    • ক্যানভা
    • এডোবি আফটার ইফেক্ট
    • এডোবি প্রিমিয়ার প্রো

    নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা মার্কেটপ্লেস কোনটি

    প্রতিনিয়ত মার্কেটপ্লেস গুলোতে নতুন নতুন ফ্রিল্যান্সার যুক্ত হচ্ছে। আপনিও যদি তাদের সাথে যুক্ত হয়ে টাকা ইনকাম করতে চান। তাহলে মার্কেটপ্লেসের নাম জানতে হবে। কিন্তু তার আগে নির্দিষ্ট কোন কাজ উপর দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আর সেটিও বাছাইকৃত কোন কাজের উপর কিন্তু যদি বাছাই না করতে পারেন তাহলে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি সেটা মনোযোগ দিয়ে পড়ার মাধ্যমে জেনে যাবেন।

    আর যদি ইতিমধ্যে জেনে থাকেন তাহলে ধন্যবাদ। এরপরে সেই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট খুলে ফেলুন। কারণ অ্যাকাউন্ট খোলা ছাড়া মার্কেটপ্লেসে কাজ করা যাবে না। এখন আসুন নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য কোন মার্কেটপ্লেস ভালো হবে তা জেনে নেই।
    • ফাইবার ( Fiverr )
    • আপ ওয়ার্ক ( Upwork )
    • গুরু ডটকম (Guru.com )
    • ফ্রিল্যান্সার ডটকম (freelancer.com)
    • পিপুল পার আওয়ার ( People Per Hour )

    ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো আর ভালো উপায় কোনটি

    নতুন ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে এক জল্পনা কল্পনার জন্ম হয়। সেই জল্পনা কল্পনা হচ্ছে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শেখা যায়। কিভাবে শিখলে ফ্রিল্যান্সিং করে উন্নতি করা যাবে। কিন্তু তার আগে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি তা জানতে হবে সেটি যদি জেনে থাকেন তাহলে তো পছন্দের কাজ নির্ধারণ করে ফেলেছেন। এরপরের কাজ হচ্ছে উত্তম উপায়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখা।

    বিনামূল্যে ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য আপনাকে ইউটিউব সাহায্য করবে। ইউটিউবে বিভিন্ন ধরনের বিনামূল্যে প্রশিক্ষণের কোর্স এবং ভিডিও আপলোড হয়ে থাকে। সেই ভিডিও দেখার মাধ্যমে কাজ শিখতে পারবেন। আর যদি ভিডিও দেখে কাজের বিষয়ে মাথায় দ্রুত ক্যাচ করতে না পারেন। তাহলে নির্দিষ্ট কাজের উপরে কোর্স করতে হবে।

    অনলাইনে অথবা অফলাইনে বিভিন্ন কোর্স পাওয়া যায়। সেই কোর্স করে প্রশিক্ষণ নিতে পারেন। অবশ্যই কোর্স করার আগে যেখানে কোর্স করবেন সেই প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাজের অভিজ্ঞতার সম্পর্কে যাচাই-বাছাই করুন। কারণ কিছু অসাধু প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা কিছু না জেনেও লোভে পড়ে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু করেছে। তাই এই সকল বিষয়ে সাবধানতা অবলম্বন করে চলতে হবে।

    ফ্রিল্যান্সিং অ্যাপস

    এখন হয়তো অনেকে বলবেন ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য সাইড এবং মার্কেটপ্লেস এর নাম শুনেছি কিন্তু অ্যাপস এর নাম শুনে নি। ফ্রিল্যান্সিং অ্যাপস রয়েছে চলেন তার সম্পর্কে কিছু জানা যাক। আপনারা যখন ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি সেই সম্পর্কে জেনেছেন তারপরে কোনো কাজ নির্ধারণ করেছেন। এখন সেই নির্ধারিত কাজ শিখলেন।

    শেখার পরে কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে হবে। এর জন্য মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট খুলতে হবে। ধরে নিলাম আপনি অ্যাকাউন্ট খুলে ফেলেছেন। তারপরে সেখানে কাজ করার জন্য পোর্টফলিও তৈরি করলেন। কিন্তু কাজ আপনাকে কে দিবে নিশ্চয়ই বায়ার। এখন আর আপনাকে মেসেজ দিল আপনি সেই সময় একটিভ নেই।

    হয়তো বা সেই বায়ার কিছুক্ষণ অপেক্ষা করবে তাও যদি সে উত্তর না পাই। তাহলে তার চলে যাওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত বেশি। আবার দেখা গেল আপনি ঘুমিয়ে আছেন সেই সময় মেসেজ দিয়েছে রিপ্লাই দিতে পারলেন না। এই যে আপনি অপরচুনিটি গুলো মিস করছেন এটা যেন মিস না হয়ে যায়।

    সেই জন্য ফ্রিল্যান্সিং অ্যাপস ব্যবহার করতে পারেন। সব সময়ই কম্পিউটার বা ল্যাপটপ নিয়ে ঘুরাঘুরি করা যায় না। কিন্তু মোবাইল নিয়ে সব সময় ঘোরাঘুরি করা যায়। এখন আপনি যে মার্কেটপ্লেস এ কাজ করেন বা অ্যাকাউন্ট খুলেছেন। তার অ্যাপ প্লে স্টোরে পেয়ে যাবেন।

    সেখান থেকে ডাউনলোড করে নিয়ে আপনার একাউন্ট একটিভ করে নিতে পারেন। সব সময় এর জন্য ইন্টারনেট কানেকশন চালু রাখার মাধ্যমে একটিভ থাকতে পারবেন। এখন যে মার্কেটপ্লেস গুলো অ্যাপস আকারে পাবেন তা হচ্ছে ফাইবার, ফ্রিল্যান্সার ডটকম এবং আপ ওয়ার্ক এর মত কিছু ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম।

    ফ্রিল্যান্সার হতে কি প্রয়োজন

    ফ্রিল্যান্সার হতে সর্বপ্রথম ইচ্ছার প্রয়োজন। ইচ্ছার পাশাপাশি পরিশ্রম করার মানসিকতা প্রয়োজন। এর পরে প্রয়োজন হবে অধিক সময় এবং ধৈর্য শক্তি। আর কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট কানেকশনের দরকার হবে। আপনার মধ্যে যদি এগুলো থাকে তাহলে সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল হবে।

    কিন্তু যদি ইচ্ছে এবং সময় দেওয়ার মানসিকতা না থাকে তাহলে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা উপার্জন করা প্রায় অসম্ভব। যে কাজটি শিখছেন সেই কাজটিকে পারফেক্ট করার জন্য প্রতিনিয়ত নিজের কাজকে উন্নত করার চেষ্টা করুন।

    উপসংহার

    আশা করা যায় আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি তা খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। এখানে উল্লেখ হয়েছে অনেক জনপ্রিয় কাজের নাম যেগুলো থেকে হাজার ডলার পর্যন্ত ইনকাম সম্ভব। তবে সবগুলো কাজ শিখেই যে ইনকাম করতে হবে এমন নয়। সকল কাজ শিখে যদি কাজ করতে চান তাহলে আপনার দ্বারা টাকা ইনকাম করা অসম্ভব হয়ে উঠবে।

    এর জন্য যেকোনো একটি কাজ বাছাই করুন। সেই কাজ শিখুন এবং দক্ষতা অর্জন করুন সবশেষে মার্কেটপ্লেস থেকে কাজ নিয়ে অর্থ উপার্জন করুন। আর ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে তুলুন।


    শেষ কথাঃ প্রিয় পাঠক ইতিমধ্যে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি তা বিস্তারিত পড়ে জেনে নিয়েছেন। পুরো আর্টিকেল যদি পড়ে ফ্রিল্যান্সিং কাজের চাহিদা থেকে শুরু করে মার্কেটপ্লেস গুলোর সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। যেগুলো নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনাকে সহযোগিতা করবে। তাই নিজে যদি এগুলো থেকে সহযোগিতা পেয়ে থাকেন তাহলে আরো যারা ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করতে ইচ্ছুক তাদেরকেও জানান। যেন তারাও আর্টিকেল পড়ে উপকৃত হতে পারে।

    এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

    পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
    এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

    এসএইচ নিউজস্টোরের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

    comment url