ঘরে বসে প্যাকিং এর কাজ - ঘরে বসে মেয়েদের কাজ

আপনি কি ঘরে বসে প্যাকিং এর কাজ করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে চান। তাহলে এদিক-ওদিক খোঁজাখুঁজি বন্ধ করে কিছুক্ষণের জন্য ঘরে বসে প্যাকিং এর কাজ সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন। এছাড়াও এর পাশাপাশি আরো জানতে পারবেন ঘরে বসে মেয়েদের কাজ সম্পর্কে। মানে মেয়েরা প্যাকিং করার পাশাপাশি আর কোন কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারবে। তাই সম্পূর্ণ আর্টিকেল বিস্তারিত করার মাধ্যমে জেনে নিতে পারেন।
ঘরে বসে প্যাকিং এর কাজ - ঘরে বসে মেয়েদের কাজ
বর্তমান সময়ে ঘরে বসে থাকে ইনকাম করা কোনো কঠিন বিষয় নয়। ছাত্রী থেকে শুরু করে গৃহিণী সকলের ঘরে বসে থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারবে। তার জন্য প্রয়োজন হবে কাজগুলোর বিষয়ে জানা। আপনারা যারা ঘরে বসে প্যাকিং এর কাজ এবং ঘরে বসে মেয়েদের অন্যান্য কাজ সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। তারা পুরো আর্টিকেল পড়ে এ সকল বিষয়ে জেনে নিন
পোস্টসূচিপত্রঃ 

    ঘরে বসে প্যাকিং এর কাজ

    ঘরে বসে প্যাকিং এর কাজ করার জন্য কোন ধরনের ইনভেস্ট এর প্রয়োজন হয় না। কোন মূল্য ছাড়াই শুধুমাত্র সময় দেওয়ার মাধ্যমে প্যাকিং করার মাধ্যমে ঘরে বসে থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এই কাজ সকল বয়সের মেয়েরা করতে পারবে। একজন শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে গৃহিণী পর্যন্ত সকলেই। এই প্যাকিংয়ের আরেকটি ভাষা হচ্ছে প্যাকেজিং।
    ঘরে বসে প্যাকিং এর কাজ - ঘরে বসে মেয়েদের কাজ
    এই প্যাকেজিং করা হয় মূলত পণ্যের যেকোনো ধরনের সুরক্ষা প্রদান করতে। যেমন পন্য পরিবহনের সময় কোন ধরনের ক্ষয়ক্ষতি না হয়। এই জন্য প্রায় প্রত্যেকটি পণ্যের ভালো প্যাকেজিং করতে হয়। যাতে করে পণ্যের কোন ক্ষয়ক্ষতি না হয়। উদাহরণস্বরূপ একটি প্রতিষ্ঠান ব্রাশ উৎপাদন করে এখন এই ব্রাশ যদি প্যাকিং না করা হয় তাহলে ব্রাশের শেপ নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।

    এই জন্য সেই প্রতিষ্ঠান প্যাকিং এর ব্যবস্থা করে যেন তার পণ্য নষ্ট না হয়ে যায়। আর এই কাজ নিজে না করে অন্যকে দিয়ে অর্থের বিনিময়ে করিয়ে থাকে। তাইতো ঘরে বসে প্যাকিং এর কাজ করার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

    ঘরে বসে থেকে প্যাকিং করার নিয়ম

    • আপনারা ঘরে বসে থেকে প্যাকিং কিভাবে করতে হয় এ ধারণা নিতে পারেন। আর এই ধারণা নেওয়ার জন্য ঘরে বসে থেকে প্যাকিং করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে।
    • প্রথমে মাথায় রাখার প্রয়োজন কয়টি পণ্য এক জায়গায় প্যাকিং করতে হবে।
    • তারপরে প্যাকিং এর লেভেল নির্ধারণ করতে হবে।
    • এরপরে পণ্য সুরক্ষার জন্য প্লাস্টিক, কাগজ বা কাজ করতে হবে।
    • তবে প্যাকিং করার আগে অবশ্যই বুঝতে হবে পণ্যটির কোন ধরনের এবং সেই অনুযায়ী প্যাকিং করতে হবে।
    • অনেক সময় অনেকগুলো প্যাকিং পণ্য একসাথে করে আরো একটি প্যাকিং এর মধ্যে রাখতে হয়।

    ঘরে বসে প্যাকিং করা কি লাভজনক পেশা

    প্যাকিং করার মাধ্যমে মাসে শেষে ভালো একটা অ্যামাউন্ট ইনকাম করতে পারেন। কোথাও আবার মাসের পরিবর্তে দিন অথবা সপ্তাহে টাকা প্রদান করে থাকে। তবে এটি বেশি লাভজনক পেশা তাদের জন্য যারা স্টুডেন্ট বা গৃহিণী। কারণ একজন স্টুডেন্ট এর পড়াশোনার পাশাপাশি কিছু করার সুযোগ থাকে এবং একজন গৃহিনীর বাড়ির কাজ করার পাশাপাশি দিনে কিছু বাড়তি সময় থাকে।

    এখন এই সময়ের ভিতরে তাদের অন্য কোনো কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। সেই ক্ষেত্রে এটি তাদের জন্য অধিক লাভজনক পেশা হতে পারে। আর প্যাকেজিং করা তেমন পরিশ্রমের কাজ নয়। শুধু এক জায়গায় বসে থেকে পণ্যগুলোকে প্যাকেটে ঢুকিয়ে প্যাকিং করতে হবে। এই কাজে দক্ষতা থাকলে তাড়াতাড়ি করা যায় আর দক্ষতা না থাকলে একটু স্লো কাজ হবে।

    তবে এই কাজ একদিনে শিখে নেওয়া যায়। কিন্তু ওই যে বললাম একদিনে শেখার পরেও খুব তাড়াতাড়ি কাজ করতে পারবেন না। এর জন্য অভ্যাসের প্রয়োজন হবে। বেশিরভাগ জায়গাই প্যাকিং করে টাকা ইনকামের নির্ধারণ নিয়ম থাকে। যেমন ধরুন যতগুলো প্যাকেট প্যাকিং করবেন তত টাকা পাবেন।

    আবার কোথাও দিনে বা ঘন্টা চুক্তিতে কাজ হয় মানে যত ঘন্টা কাজ করবেন তত টাকা। আশা করি বুঝতে পারছেন যে পেশাটি কাদের জন্য বেশি লাভজনক। তাই আপনার কাছে যদি মনে হয় যে ঘরে বসে প্যাকিং এর কাজ করার মাধ্যমে লাভজনক হবে তাহলে এই কাজ আপনার জন্য পারফেক্ট।

    ঘরে বসে প্যাকিং এর কাজ করে কত টাকা ইনকাম করা যায়

    ঘরে বসে প্যাকিং এর কাজ করার মাধ্যমে কেমন পরিমাণ টাকা ইনকাম করা যেতে পারে। দেখুন নির্ধারিত বেতনের কোন চাকরি ছাড়া তেমন আর কোন কাজের টাকার পরিমাণ নির্ধারণ করা যায় না। আপনি যেমন কাজ করবেন তেমন টাকা পাবেন। কাজ যদি কম করেন তাহলে কম টাকা পাবেন।
    আবার কাজ যদি বেশি করেন তাহলে বেশি টাকা পাবেন। কিন্তু এর মানে এই নয় যে এখান থেকে একেবারে কম টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আবার এই নয় যে অতিরিক্ত টাকা উপার্জন করতে পারবেন। তবে একটু ধারণা পাওয়া যায় যে প্রতি মাসে ৮ হাজার টাকা থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম সম্ভব।

    পেন প্যাকিং এর কাজ বাংলাদেশ

    বাংলাদেশের প্রায় প্রত্যেকটি জেলাতে পেন প্যাকিং এর কাজ পাওয়া যায়। তবে সেটা আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে। আর পেন প্যাকিং এর কাজ করার জন্য প্রতিষ্ঠানে গিয়ে খোঁজ করতে হবে। এর জন্য প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। যেমন প্রতিষ্ঠান দৈনিক, সময়, সপ্তাহ বা মাস হিসেবে টাকা প্রদান করবে কিনা সেটা জানতে হবে।
    পেন প্যাকিং এর কাজ বাংলাদেশ
    তবে প্রতিষ্ঠান গুলো মাসিক হিসেবে বেশি চুক্তিবদ্ধ হয়ে থাকে। পেন প্যাকিং এর কাজ বাংলাদেশ অনেক জনপ্রিয়। পেন প্যাকিং এর কাজ খুঁজে পাওয়ার জন্য অনলাইনে সাহায্য নিতে পারেন। বিভিন্ন পেন প্যাকিং প্রতিষ্ঠানের নাম জেনে সেগুলোতে অনলাইনে খোঁজ নিতে পারেন।

    এখন অনলাইনে খোঁজ নিবেন কিভাবে তার জন্য তাদের পেজ বা অফিশিয়াল গ্রুপ ভিজিট করুন। আবার অনেক ফেসবুক গ্রুপ রয়েছে যারা এই সকল তথ্য তাদের গ্রুপে প্রতিনিয়ত প্রদান করে থাকে। সেখান থেকে জেনে নিতে পারবেন কোন জায়গায় প্যাকিং এর কাজ পাওয়া যাবে।

    প্যাকেজিং এর চাকরি করে আয়

    ঘরে বসে প্যাকিং এর কাজ করার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্যাকেজিং এর চাকরি করে আয় করতে পারবেন। এখন বাংলাদেশে অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা প্রতিনিয়ত কোন না কোন সময় প্যাকেজিং এর কাজ করার জন্য লোক খোঁজ করে থাকে।
    প্যাকেজিং এর চাকরি করে আয়
    প্যাকেজিং করে দুই ভাবে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। প্রথমত একসাথে অনেকগুলো পণ্য প্যাকেজিং এর চুক্তিবদ্ধ হওয়ার মাধ্যমে সম্পন্ন করতে পারেন। আর চুক্তিবদ্ধ কাজের বড় একটি সমস্যা হচ্ছে সময়মতো প্যাকিং করে জমা দিতে হবে। এর জন্য একা কাজ সম্পন্ন করা প্রায় অসম্ভব আপনাকে গ্রুপ তৈরি করতে হবে।

    আর চুক্তিবদ্ধ হয়ে অর্থের বিনিময়ে কাজগুলো সম্পন্ন করতে হবে। তবে বাংলাদেশে প্যাকেজিং এর কাজ বেশি হয়ে থাকে চাকরিবদ্ধ হওয়ার মাধ্যমে। এই জন্য আপনি যদি প্যাকেজিং এর কাজ করতে চান তাহলে চাকরিজীবী হিসেবে যুক্ত হতে পারেন।

    ঘরে বসে মেয়েদের কাজ গুলো কি কি

    মেয়েরা বাড়িতে বসে থেকে বিভিন্ন ধরনের কাজ করার মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারবে। কিন্তু এর জন্য কিছু পরিমাণ টাকা তাদেরকে ইনভেস্ট করতে হবে। মূলত নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে বাড়িতে বসে থেকে কাজ করার মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। তাহলে চলুন জেনে আসা যাক সেই সকল ব্যবসা এর নাম যেখান থেকে বাড়িতে বসে থেকে অর্থ উপার্জন সম্ভব।

    টিউশনি পড়িয়ে আয়ঃ মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার এক জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে টিউশনি পড়ানো। এই জন্য যে টিউশন পড়িয়ে ঘরে বসে থেকে খুব সহজে আয় করা যায়। আবার যারা বাড়িতে টিউশনি পড়ানোর পাশাপাশি আর অন্যান্য ভাবে টিউশনি করে আয় করতে চান। তাদের জন্য অনলাইন সেক্টরটি খোলা রয়েছে। অনেকে অনলাইন এর মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের টিউশনি করিয়ে থাকে।

    আর এতে করে মোটা অংকের টাকা ইনকাম করা যায়। কিন্তু এর জন্য প্রয়োজন হবে ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার যদি থেকে থাকে তাহলে অনলাইন টিউশনি কোর্স পড়ানোর ব্যবস্থা করুন। কিন্তু টিউশনি করানোর জন্য নিজের পড়ার উপর দক্ষতা এবং অন্যকে পড়ানোর মানসিকতা থাকতে হবে।

    কাগজের ঠোঙ্গা বানিয়ে আয়ঃ কাগজের ঠোঙ্গা দেখেননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া প্রায় অসম্ভব। কারণ প্রতিনিয়ত আমরা দোকানে যদি কোন কিছু নিতে যাই যেমন চাল বা আটা তাহলে দোকানদার সেগুলোকে ঠোঙ্গা তে করে দিয়ে থাকে। এখন এই ঠোঙ্গা বাড়িতে বসে থেকে বানিয়ে আয় করতে পারবেন। এর জন্য প্রয়োজন হবে কাগজ এবং আঠা।

    এই আঠা তৈরি করার জন্য আটার প্রয়োজন হবে। এটি ঘরে বসে থেকে আয় করার জন্য এক লাভজনক ব্যবসা। শুধু বাড়িতে ঠোঙা গুলো বানিয়ে রোদে শুকিয়ে সেগুলোকে সুন্দর করে এক জায়গায় গুছিয়ে নিতে হবে। তারপরে প্রত্যেকটি দোকানে গিয়ে ঠোঙাগুলোকে পার পিচ আকারে বিক্রি করতে হবে। তাই আপনারা যদি ঠোঙ্গা বানিয়ে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে চান তাহলে করতে পারেন।

    বুটিক শপঃ নিজের সৃজনশীল দক্ষতা এবং মানুষের চাহিদা বোঝে তৈরি করে ফেলুন আকর্ষণীয় এবং নান্দনিক ডিজাইন। যেই ডিজাইনগুলোর দ্বারা পোশাক তৈরি করে আয় করার জন্য নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলুন। বর্তমানে মেয়েদের জন্য ট্রেনিং একটি ব্যবসা হচ্ছে বুটিক শপ। অনেক মেয়ে নিজেকে সফল ব্যবসায়ী হিসেবে প্রমাণ করতে পেরেছে বুটিক ডিজাইনার হিসেবে।

    এটা হচ্ছে বাংলাদেশের অনেক পুরনো ব্যবসা। যেখানে মেয়েরা অনেক আগে থেকে যুক্ত রয়েছে। মেয়েরা তাদের সৃজনশীল দক্ষতা এবং মানুষের দৈনন্দিন চাহিদার উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ধরনের পোশাকের ডিজাইন করছে। আর সেগুলো থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে।

    তাই আপনি পড়াশোনা শেষ করেছেন কিন্তু চাকরি পাচ্ছেন না এবং অর্থের সংকটে ভুগছেন। তাহলে বুটিক শপ এর ব্যবসা করা হবে আপনার জন্য উত্তম সিদ্ধান্ত। কিন্তু এর জন্য কিছু টাকার প্রয়োজন হবে। অনেক বেশি টাকার প্রয়োজন হবে না অল্প কিছু টাকা দিয়ে নিজের বুটিক শপ খুলে ফেলুন। সেখান থেকে মাসে হাজার হাজার টাকা উপার্জন করুন।

    পুরনো জিনিস বিক্রি করে আয়ঃ আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা পুরনো জিনিস কিনতে পছন্দ করে এবং সেগুলোকে ব্যবহার করে থাকে। আপনি পুরনো জিনিসগুলো কম দামে কিনে সেগুলো কে লাভজনক উপায়ে বিক্রি করার মাধ্যমে আয় করুন। কিন্তু কোন পুরানো জিনিসগুলো বিক্রি করে আয় করা যাবে।

    পুরনো জিনিসের মধ্যে রয়েছে অনেক যেমন বই, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স পণ্য, নিত্য প্রয়োজনীয় কিছু জিনিসপত্র এছাড়াও আরো অনেক কিছু। এগুলো বিক্রি করবেন কোথায় এবং কিভাবে বা তা জানেন। বর্তমান অনলাইন যুগে ঘরে বসে থেকে অনায়াসে এগুলো বিক্রি করতে পারবেন। শুধু প্রয়োজন হবে ঠিকঠাক প্রচার এবং ব্যবসায়িক জ্ঞান।

    আর প্রচারের জন্য ফেসবুক পেজ তৈরি করতে পারেন। সেই ফেসবুক পেজে নিজের ব্যবসায়ের পণ্য এবং বিস্তারিত তথ্যগুলো দিয়ে মানুষকে আকৃষ্ট করতে হবে। যাতে মানুষগুলো আপনার পণ্য কেনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে। এভাবে করে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে টাকা ইনকাম করতে পারেন।

    গৃহপালিত পশু লালন পালন করে আয়ঃ আপনার বাড়ি যদি গ্রামের মধ্যে হয়ে থাকে তাহলে আপনার জন্য ব্যবসাটি ভালো হবে। কারণ গ্রামের মধ্যে পশু লালন পালন করা খুব সহজ পশুকে খাওয়ানোর জন্য তেমন টাকা খরচ করতে হয় না। মাঠে ছেড়ে দিলে তারা নিজে থেকেই ঘাস সহ আরো কিছু খেয়ে নিজের পেট ভরে।

    গৃহপালিত পশুর মধ্যে মুরগি, হাঁস, গরু, পাখি এগুলো লালন পালন করতে পারেন। এখন এর জন্য ইনভেস্ট এর প্রয়োজন। এই ব্যবসায় ইনভেস্টের প্রয়োজন হলেও কম পরিমাণে ইনভেস্ট করে আয় করতে পারবেন। যেমন ধরুন ৫০ থেকে ১০০ টি মুরগি কিনলেন।

    সেই পালিত মুরগিগুলো বিক্রি করে লভ্যাংশ টুকু নিজের কাছে না রেখে দিয়ে ওটা আবার ব্যবসায় ইনভেস্ট করলেন। এভাবে করে আস্তে আস্তে নিজের ব্যবসাকে বড় করার মাধ্যমে একটা সময় দেখবেন নিজের ব্যবসাটি অনেক বড় হয়ে গেছে। আর সেখান থেকে অনেক লভ্যাংশ পাচ্ছেন।

    উপসংহার

    পরিশেষে বলা যায় ঘরে বসে প্যাকিং এর কাজ করার পাশাপাশি মেয়েরা আরও অন্যান্য উপায়ে টাকা ইনকাম করতে পারে। যেমন মেয়েরা নিজেরাই উদগতা হওয়ার মাধ্যমে টাকা ইনকামের পথ বেছে নিতে পারে। অনেক মেয়েরা হয়তো মনে করে যে ব্যবসা করতে প্রচুর টাকার প্রয়োজন হয়। আপনার কথা সত্য তবে বেশি টাকার পাশাপাশি কম টাকা দিয়েও ব্যবসা শুরু করা যায়। সেই জন্য ব্যবসার সঠিক জ্ঞান এবং সৃজনশীল দক্ষতা থাকতে হবে।

    আপনি যদি ঘরে বসে থেকে প্যাকিং এর কাজ করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে চান তাও আপনার জন্য উপযোগী হবে। আপনার কাছে যদি মনে হয় যে ব্যবসার পাশাপাশি প্যাকিং এর কাজ করেও অর্থ উপার্জন করবো তাও পারবেন। আর যদি মনে করেন যে না শুধুমাত্র প্যাকিং এর কাজ করেই উপার্জন করবো তাও পারবেন। এটা নিতান্তই আপনার ব্যক্তিগত বিষয় কোন উপায়ে ইনকাম করতে ইচ্ছুক। আশা করি আপনি প্যাকিং এর বিষয়ে পড়ে উপকৃত হয়েছেন। কারণ আপনাদের এই বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা দেওয়ার জন্য আলোচনা করা হয়েছে।

    শেষ কথাঃ প্রিয় পাঠক, ইতিমধ্যে আপনি ঘরে বসে প্যাকিং এর কাজ এবং ঘরে বসে মেয়েদের অন্যান্য কাজগুলোর সম্পর্কে জেনে নিয়েছেন। নিশ্চয়ই এগুলো জেনে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন। আর এই তথ্যগুলো জেনে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার বন্ধু এবং প্রতিবেশীদের বিষয়ের সম্পর্কে জানান। যেন তারাও তথ্যগুলো পড়ে উপকৃত হতে পারে।

    এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

    পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
    এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

    এসএইচ নিউজস্টোরের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

    comment url