প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার - ভিডিও এডিটিং কিভাবে শিখব

আপনি যদি প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার সম্পর্কে জানার জন্য খোঁজাখুঁজি করে থাকেন। আর সেই সফটওয়্যার গুলোর সম্পর্কে জানা আপনার জন্য অতি প্রয়োজন হয়ে থাকে। তাহলে খোঁজাখুঁজি না করে এখান থেকে প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার আর ভিডিও এডিটিং করার মাধ্যমে ইনকামের পদ্ধতি গুলো জেনে নিতে পারেন। আর্টিকেলে পেয়ে যাবেন সেই সকল গুরুত্বপূর্ণ কিছু সফটওয়্যার যার দ্বারা অনেক প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং ব্যক্তিরা তাদের কাজ সম্পূর্ণ করে থাকে।
প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার - ভিডিও এডিটিং কিভাবে শিখব
পোস্টসূচিপত্রঃবর্তমানে অনেক ধরনের ভিডিও এডিটিং করার সফটওয়্যার রয়েছে। আর সেগুলোর মাধ্যমে ভিডিও এডিটিং করা সম্ভব। আর এর মধ্যেও অনেক প্রফেশনাল ভিডিওটি সফটওয়্যার রয়েছে। তার মধ্যে থেকে কিছু প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার সম্পর্কে জানতে চান। আর সেগুলো ব্যবহার করে মানুষের ভিডিও এডিটিং করে অর্থ উপার্জন করতে চান। তাহলে খুব মনোযোগ দিয়ে পুরো আর্টিকেল বিস্তারিত পরে তার সম্পর্কে জেনে নিন।

ভিডিও এডিটিং কাজ কি

আপনারা কি জানেন ভিডিও এডিটিং কেন করা হয়? সরাসরি ভিডিও রেকর্ড করে সেগুলোকে পাবলিশ কেন করা হয় না। চলুন একটি উদাহরণের সাহায্যে বোঝানো যাক। আপনি যখন কোন চাকরির ইন্টারভিউ দিতে যাবেন। তখন কি শুধুমাত্র শিক্ষাগত যোগ্যতাই দেখবে। নিশ্চয়ই নয় এর পাশাপাশি আপনার কথা বলার ধরন এবং ড্রেসিং চেঞ্জ সবকিছু যাচাই-বাছাই করবে।

আর এর জন্য বাসা থেকে পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুত হওয়ার পরে ইন্টারভিউ দিতে চান। ঠিক তেমনি হচ্ছে ভিডিও এডিটিং এর কাজ। আপনি যখন কোন ভিডিও রেকর্ড করবেন তা অগোছালো থাকবে। যদিও মানুষ সেই ভিডিওটি দেখবে কিন্তু আপনি যদি অগোছালো ভিডিওটি মানুষের সামনে উপস্থাপন করেন। তাহলে হয়তো অধিকাংশ মানুষ সেই ভিডিও দেখতে পছন্দ করবে না। এর জন্য সংস্কারের প্রয়োজন।

আর সংস্কার মানেই হচ্ছে এডিটিং। ভিডিওটিকে সুন্দরভাবে সাউন্ড, ব্যাকগ্রাউন্ড কালার, বিএফ এক্স, গ্রাফিক্স, টেক্সট আরও অন্যান্য খুঁটিনাটি বিষয় সাজানো। আর ভিডিওকে সাজিয়ে গুছিয়ে আউটপুট হিসেবে তৈরি করার জন্য প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার এর প্রয়োজন হয়। আর সফটওয়্যার এর ব্যবহার শেখার জন্য কলা কৌশল গুলো জানতে হবে।

ভিডিও এডিটিং এর ভবিষ্যৎ

আপনার পরিকল্পিত স্বপ্ন হচ্ছে একজন ভিডিও এডিটর হওয়ার মাধ্যমে পেশা জীবনকে পরিচালনা করা। এতে করে কি কোন ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে নাকি ক্যারিয়ার উজ্জ্বল হবে। প্রথমত আমরা কেউ ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অবগত নই। তবে যদি ভিডিও এডিটিং করে অর্থ উপার্জন করতে চান। তাহলে আগামীতেও কি ভিডিও এডিটরের চাহিদা বজায় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগে সময় যত এগিয়ে যাচ্ছে দিন দিন ভিডিও দেখার প্রতি মানুষের আগ্রহ বেড়ে চলেছে। যেই যত সুন্দর ভাবে ভিডিও এডিটিং এর মাধ্যমে অন্যের সামনে উপস্থাপন করতে পারছে। সেই তত পরিমাণে অর্থ উপার্জনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে কনটেন্ট ক্রিয়েটর এর অভাব নেই।
আবার প্রতিনিয়ত মুভি, নাটক, রিলস, ট্রাভেল ভিডিও, ফুড ব্লগিং ভিডিও, সামাজিক অনুষ্ঠান, বিয়ের অনুষ্ঠান যাবতীয় রেকর্ডিং ভিডিওগুলো আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য এডিটিং করার প্রয়োজন হয়। আপনার যেকোনো কাজের প্রমোশন করার জন্য ভিডিও এডিটিং এর প্রয়োজন হয়। তবে ধারণা করা যায় দিন যত যাবে ভিডিও দেখার প্রতি মানুষের আগ্রহ তত বাড়তে থাকবে। আর ভিডিও দেখার প্রতি যত আগ্রহ বাড়তে থাকবে। ভিডিও এডিটরের চাহিদাও তত বাড়তে থাকবে।

আর ভিডিও এডিটিং করার মাধ্যমে ভালো পরিমাণে টাকা আয় করা যায়। যদি নিজের ক্রিয়েটিভ এবং স্কিল আর সৃজনশীলতাকে ভালোভাবে প্রকাশ করতে পারেন। আর এগুলো প্রকাশ করার জন্য অবশ্যই ভিডিও এডিটিং শিখতে হবে। আর ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার দ্বারা কাজ শিখতে পারবেন এবং কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। তাই প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার বাছাই করা একান্তই প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার

হাই কোয়ালিটি সম্পূর্ণ ভিডিও এডিটিং করার জন্য প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার এর প্রয়োজন রয়েছে। বিশেষ করে যখন ভিডিও এডিটিং করার মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের কথা আসবে। আপনি যদি ভিডিও এডিটিং করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে চান। তাহলে এমন সফটওয়্যার ব্যবহার করা উচিত যা দিয়ে খুব প্রফেশনালি ভিডিও এডিটিং করা সম্ভব।
প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার
আর এর জন্য ভালো কিছু সফটওয়্যার রয়েছে কিন্তু এগুলো ব্যবহার করার জন্য পেইড করতে হবে। কারণেই সফটওয়্যার গুলোর মধ্যে প্রফেশনাল ভিডিও এডিট করার জন্য যথেষ্ট পরিমাণে টুলের সংখ্যা রয়েছে। আর এরা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন টুলসহ সফটওয়্যার আরো কিছু আপডেট নিয়ে আসে। যা ভিডিওকে আরো উন্নত এবং সুন্দর করে তুলতে সাহায্য করে। আসুন প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার সম্পর্কে জেনে নেই।

Adobe Premiere Pro

ভিডিও এডিট করার জন্য জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এডোবি প্রিমিয়ার প্রো। আমার মতে যেকোনো ধরনের ভিডিও এডিট করার জন্য উপযোগী। এই সফটওয়্যার ভিডিও এডিট কে অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে। তাই যেকোনো ধরনের প্রফেশনালি ভিডিও এডিট করার জন্য সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু অবশ্যই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করার আগে টুলস সম্পর্কে জানা থাকতে হবে।

Flimora

যারা নতুন নতুন ভিডিও এডিট করছেন তাদের জন্য Flimora সহযোগী হবে। কারণ এখানে থাকা ইন্টারফেস এবং টুলস গুলো খুব সহজ ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। শুধুই যে বিগেনার এখান থেকে এডিট করতে পারবে এমন নয় এক্সপার্ট এডিটর যারা রয়েছেন তারাও এডিট করতে পারবেন। এখান থেকে প্রফেশনালি মুভি, নাটক এবং যেকোনো ধরনের ভিডিও এডিট করতে পারবেন।

Kine Master

Kine Master হচ্ছে বেস্ট ভিডিও এডিটিং সাইটগুলোর মধ্যে একটা। Kine Master সফটওয়্যার এবং অ্যাপ দুটোর মাধ্যমেই ভিডিও এডিটিং করতে পারবেন। এই সফটওয়্যার এর মধ্যে অনেক ধরনের বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। উল্লেখিত সফটওয়্যারটির মধ্যে ভিডিও এডিটিং করার জন্য সেখানেই বিভিন্ন ধরনের মিউজিক পাবেন অথবা মিউজিক ইচ্ছামতো ইম্পোর্টও করতে পারবেন। তারপরে সাবটাইটেল যুক্ত এবং অনেকগুলো লেয়ার একসাথে নিয়ে ভিডিও এডিটিং করার সুবিধা ছাড়াও আরো অনেক বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

Vegas Pro

আরো একটি ভালো এবং জনপ্রিয় ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার। আপনার ভিডিওগুলো এখান থেকেও প্রফেশনালি এডিটিং করতে পারবেন। উল্লেখিত সফটওয়্যারটি একদম ইউজার ফ্রেন্ডলি এবং ইন্টারফেস ফ্রেন্ডলি যা ব্যবহারের সুবিধা পাবেন। তাই চাইলে আপনার মূল্যবান ভিডিওটি এখান থেকে এডিটিং করে নিতে পারেন।
উল্লেখিত যেই কয়েকটি প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার এর ব্যাপারে উল্লেখ করা হয়েছে। তার সবগুলো থেকেই ভিডিও এডিটিং করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা যায়। এর মধ্যে থেকে যেই সফটওয়্যার আপনার কাছে ব্যবহার উপযোগী মনে হবে। তার দ্বারা আপনার কাঙ্খিত ভিডিওটি এডিটিং করে নিতে পারবেন। অবশ্যই নির্দিষ্ট সফটওয়্যার গুলোর ব্যবহার কিছুটা হলেও জানতে হবে।

ভিডিও এডিটিং এর কাজ করে টাকা ইনকাম

অনলাইনের মাধ্যমে টাকা ইনকাম এখন একটা ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। যুবক ঘরের বাহিরে না গিয়ে ঘরে বসে থেকেই অর্থ উপার্জনের চেষ্টা করতে পারছে। এমন কি অনেক যুবক ঘরে বসে থেকে অর্থ উপার্জনের মাধ্যমে নিজের চাহিদা এবং যাবতীয় বিষয়বস্তুগুলো পূরণ করতে পারছে। মানুষ তার চাকরির পাশাপাশি অথবা গৃহিনী তার ঘরের কাজের পাশাপাশি অনলাইনের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করছে। তারা তাদের পছন্দের স্কিলকে উন্নত করছে।

সেই উন্নত স্কেল দ্বারা ন্যায্য টাকা চার্জ করার মাধ্যমে আয় করছে। আপনি যদি একজন নতুন হয়ে থাকেন এবং ভিডিও এডিটিং কাজ করার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে চান। তাহলে অবশ্যই প্রথমে ভিডিও এডিটিং কাজ শিখে স্ক্রিলকে ডেভেলপ করতে হবে। অনেকে কিছুদিন কাজ শেখার পরেই মনে করে আমার দক্ষতা অর্জন হয়ে গেছে।

তারপরে যখন কোন কাজ পায় সেটা সঠিক ভাবে সম্পূর্ণ করতে পারে না। যার কারণে পরবর্তী সময়ে কাজ পাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এই আশঙ্কা তার জীবনে হতাশা নামিয়ে দেয়। আপনি যেন হতাশাগ্রস্ত না হয়ে পড়েন এর জন্য অবশ্যই ভিডিও এডিটিং কাজ ভালোভাবে শিখে নেবেন। আর বর্তমান পরিস্থিতিতে সকল জায়গায় ভিডিও এডিটিং এর কাজ এর চাহিদা এবং প্রতিদ্বন্দিতা তুলনামূলক বেশি।

যেই ব্যক্তি তার ইডিট দক্ষতাকে উন্নত করতে পারছে সেই ততো টাকা ইনকামের দিকে ঝুঁকে যাচ্ছে। আমাদের দেশে প্রচুর পরিমাণে ভিডিও এডিটর রয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকের দক্ষতাই স্বল্পতা রয়েছে। তাই আপনার যেন দক্ষতাই স্বল্পতা না দেখা দেয় এই জন্য অবশ্যই নিজের কাজকে উন্নত থেকে উন্নত করার চেষ্টা করুন।

আর ভিডিও এডিটিং করার ইচ্ছে থাকলে এটাকে নিজের প্রফেশন বানিয়ে নেওয়ার জন্য পরিশ্রম করতে থাকুন। কারণ ভিডিও এডিটিং এর কাজ করে প্রচুর পরিমাণে টাকা ইনকাম করা যায়। আজকে ইউটিউব থেকে শুরু করে ফেসবুক এবং মুভি থেকে শুরু করে নাটক যেকোনো সেক্টরে ভিডিওগুলো এডিট করার জন্য একজন প্রফেশনাল ভিডিও এডিটর খোঁজ করে।

ভিডিও এডিটিং করে মাসে কত টাকা আয় যায়

নতুনদের মনে ভিডিও এডিটিং সম্পর্কে কৌতূহলের শেষ নেই। অবশ্যই এই কৌতুহল মাথায় ঘুরপাক খাওয়া ভুল কিছু নয়। সেই কৌতুহল হচ্ছে ভিডিও এডিটিং করার মাধ্যমে মাসে কত টাকা আয় করা যায়। ভিডিও এডিটিং সেক্টরে beginner লেভেল থেকে expert লেভেল পর্যন্ত সকলেই কাজ করে। এখন একজন beginner কাজ শেখা অবস্থায় যত টাকা ইনকাম করবে। নিশ্চয়ই এক্সপার্ট সেই পরিমাণে টাকা ইনকাম করবে না তার থেকে বেশি ইনকাম করবে।

এই জন্য ভিডিও এডিটরের মাসে আয়ের কথা নিশ্চিত হয়ে বলা যায় না। তবে ভিডিও এডিটিং কে পেশা হিসেবে বেছে নিতে পারেন। এমন ভিডিও এডিটিং এক্সপার্ট খুঁজে পাবেন যারা মাসে ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করে। আর একজন বিগেনার উল্লেখযোগ্য পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারেনা। কারণ তার সেই পরিমাণে দক্ষতা এখনো অর্জন হয়নি। এজন্য নিজেকে প্রতিনিয়ত ধাপে ধাপে এগিয়ে নিয়ে যান।

ভিডিও এডিটিং এর কাজ কোথায় পাবো

ভিডিও এডিটিং সম্পর্কে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং তাৎপর্যপূর্ণ কথা হচ্ছে কাজ শেখার পরে কোথায় থেকে কাজ পাব। আপনি মূলত শখের উপর ভিত্তি করে হোক অথবা পেশা হিসেবে বেছে নেওয়ার উপর ভিত্তি করেই হোক না কেন সকলেরই মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে টাকা ইনকাম করা। কারণ ভিডিও এডিটিং শেখার পরে যদি কাজ না করতে পারেন তাহলে শখ বেশি দিন টিকে থাকবে না। এজন্য অবশ্যই আপনার ভিডিও এডিটিং এর কাজ পাওয়ার কলা কৌশল এবং পাওয়ার স্থানগুলো সম্পর্কে জানতে হবে।

যাতে করে ভিডিও এডিটিং এর কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারেন। আপনারা ইতিপূর্বে প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার সম্পর্কে জেনেছেন যেগুলো ভিডিও এডিটিং কাজের সাথে সম্পর্কিত। এই সফটওয়্যার গুলো দ্বারা কাজ করার মাধ্যমে এখান থেকে অর্থ উপার্জন করতে হবে। তাই আসুন ভিডিও এডিটিং এর কাজ পাওয়ার কলা কৌশল এবং ভিত্তিগুলো জেনে নেই।

ভিডিও এডিটিং এর কাজ পাওয়ার মার্কেটপ্লেসগুলো

ভিডিও এডিটিং এর কাজ পাওয়ার জন্য মার্কেটপ্লেস হচ্ছে অন্যতম এক জায়গা। সর্বপ্রথম সেই মার্কেটগুলোতে একাউন্ট তৈরি করতে হয়। এরপরে কাজের উপরে বেশ করে পোর্টফোলিও তৈরি করতে হয়। এমন ভাবে পোর্টফোলিও তৈরি করুন যাতে করে ক্লাইন্ট আপনার দেখে কাজ দেওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে। চলুন কিছু মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে জেনে আসা যাক।
  • ফাইবারঃ নতুনদের জন্য এক উপযুক্ত মার্কেটপ্লেস কারণ এখানে নতুনদের কাজ পাওয়ার সুযোগ বেশি থাকে। এখানে সর্বনিম্ন ৫ ডলার এর কাজ করতে হয়। আর কাজের উপরে গিগ পাবলিশ করতে হয়।
  • আপ ওয়ার্কঃ একটি জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস যেখানে কাজের উপরে চুক্তি এবং ঘন্টা চুক্তিতেও কাজ করা যায়। আর কাজের উপরে বেস করে চুক্তিবদ্ধ হয়ে কাজ সম্পন্ন করতে হয়। এখানে কাজ পাওয়ার জন্য কানেক্টর এর মাধ্যমে প্রপোজাল পাঠাতে হয়।
  • পিপল পার আওয়ারঃ এখানেও কাজ পাওয়ার জন্য রীতিমতো লড়াই করতে হয়। প্রত্যেকটি কাজের জন্য বিড অথবা অ্যাপ্লিকেশন করতে হয়। এরপরে আপনার পোর্টফলিও উপর ভিত্তি করে ক্লায়েন্টের ভালো লাগলে কাজ করিয়ে নেওয়ার জন্য অর্ডার দেবে।
  • 99 ডিজাইনঃ এখানে মূলত ডিজাইন সংক্রান্ত কাজগুলো বেশি পাওয়া যায়। এটি মূলত প্রতিযোগিতা মূলক মার্কেটপ্লেস। এখানে ক্লায়েন্ট তার কাজের ব্যাপারে পোস্ট করে থাকবে। সেই কাজ অনুযায়ী আপনাকে সাবমিট করতে হবে।
  • ফ্রিল্যান্সার ডটকমঃ এখানে কাজ পাওয়ার জন্য বিড এবং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে হয়। বায়ার তার কাজের উপরে বেশ করে প্রতিযোগিতামূলক জব পোস্ট করে থাকে। সেই বিবরণ অনুযায়ী কাজ সম্পূর্ণ করে সাবমিট করতে হয়। প্রতিযোগিতায় প্রথম হলে বিজয়ী পুরস্কার পাওয়া যায়।
এছাড়াও ভিডিও এডিটিং করে আয় করার জন্য লোকাল ভাবেও কাজ করতে পারবেন। আবার বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে কানেক্টেড থাকার মাধ্যমে। সেখান থেকে বায়ার খুজে বের করে কাজ নিতে পারবেন। মাধ্যমগুলোতে থেকে কাজ নেওয়ার জন্য সরাসরি বায়ারের সাথে চুক্তিবদ্ধ হতে হয়। এভাবে কাজ নিলে কোন ধরনের চার্জ বা কমিশন দিতে হবে না।

বর্তমান সময়ে শুধু মার্কেটপ্লেসে কাজ পাওয়ার অপেক্ষায় বসে থাকলে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া খুব কষ্টকর। এর জন্য আপনাকে মার্কেটপ্লেস এর বাইরে থেকেও কাজ নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। মার্কেটপ্লেস এর বাইরে থেকে কিভাবে কাজ পাওয়া যায় তার সম্পর্কে জানতে হবে।

ভিডিও এডিটিং শিখতে কত দিন লাগে

ভিডিও এডিটিং শেখার জন্য কতদিন সময় লাগবে এবং কাজ পেতে কত দিন সময় লাগতে পারে তার কারণ কোন সঠিক ধারণা কেউ দিতে পারবে না। কারণ সকলের কাজ শেখার কৌশল এবং ক্যাচিং ক্ষমতা একই রকম নয়।। আবার কাজ শেখার পরে কত দিনের মধ্যে কাজ পাবেন তাও সঠিক ভাবে বলা সম্ভব নয়। কিন্তু যথাযথ সময় এবং পরিশ্রমের ঠিক থাকলে কাজ শিখতে ৬ মাস সময় লাগতে পারে। আর কাজ পাওয়া হচ্ছে নিতান্তই আপনার ভাগ্যের ব্যাপার ২ দিনের মধ্যেও কাজ পেতে পারেন। আবার ২ মাস পরেও কাজ পেতে পারেন। কিন্তু কাজ শেখার এবং পাওয়ার সময় ধৈর্য ধারণ করতে হবে।

ভিডিও এডিটিং কিভাবে শিখব

ভিডিও এডিটিং শেখার জন্য অনেকগুলো উপায় রয়েছে। প্রথমটি হচ্ছে পেইড এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে বিনামূল্যে। যদি পেইডের মাধ্যমে ভিডিও এডিটিং শিখতে চান। তাহলে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাদের সাথে যোগাযোগ করুন। অবশ্যই সেই প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করার আগে উল্লেখিত প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে যাচাই বাছাই করুন।

বিশেষ করে যখন প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণের জন্য ভর্তি হবেন। আর বিনামূল্যে শেখার জন্য বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট, ইউটিউব এবং গুগলের সাহায্য নিয়ে শিখতে পারেন। ইউটিউবে ভিডিও এডিটিং সম্পর্কে অনেক কোর্স পেয়ে যাবেন। যেগুলো একদম বিনামূল্যে করা যায়। তবে আপনার যদি ধারণ ক্ষমতা বা বোঝার শক্তি একটু দুর্বল হয়ে থাকে।

তাহলে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ করার সময় অনেক সমস্যার সম্মুখীন হবেন। আপনার যদি পেইড করার মত পর্যাপ্ত পরিমাণে অর্থ থাকে তাহলে কোর্স কিনে নিন। আশা করি ভিডিও এডিটিং শেখার উপায় সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।

ভিডিও এডিটিং কি হালাল

অনেকের প্রশ্ন হচ্ছে ভিডিও এডিটিং হালাল নাকি হারাম। দেখুন ভিডিও এডিটিং এর কাজ হারাম নাকি হালাল উল্লেখিত বিষয় সম্পর্কে জানার জন্য কোন ইসলামিক চিন্তাবিদ অথবা ভালো মাওলানার কাছে যেতে হবে। তাদের কাছ থেকে সম্পূর্ণ ব্যাখ্যা সহকারে এবং বিস্তারিত ভাবে বুঝতে পারবেন। যেহেতু তারা ইসলামিক চিন্তাবিদ এই জন্য তাদের ধর্মীয় ব্যাপারে পর্যাপ্ত পরিমাণে জ্ঞান রয়েছে।

উপসংহার

পরিশেষে বলা যায়, আপনি কখনো না কখনো ভিডিও এডিটিং করেছেন। যদিও সেটা নিজের ব্যক্তিগত প্রয়োজনের তাগিদে অথবা উদ্দেশ্যে। কিন্তু টাকা ইনকাম করার ক্ষেত্রে ভিন্ন ধারায় এডিটিং করতে হবে। আর এর জন্য প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার এর প্রয়োজন পড়বে কারণ আপনি অন্য কারোর প্রয়োজনের তাগিদে ভিডিওটি এডিটিং করছেন। আর অবশ্যই ভিডিও এডিটিং করার সফটওয়্যার এর মাধ্যমে কাজ শিখতে এবং কাজ করতে পারবেন। এই সফটওয়্যার গুলোর মাধ্যমে নিজের ভিডিওগুলোকে ভিডিও এডিটিং করার বেশি বেশি প্র্যাকটিস করুন।

কারণ যত প্র্যাকটিস করবেন তত ভুল ধরা পড়বে এবং নতুন কিছু শিখতে পারবেন। আর ভিডিও এডিটিং কাজ করার জন্য দক্ষতা অর্জন করা ছাড়া কোন বিকল্প নেই। অনলাইনে অনেকেই অনেক ভাবে টাকা উপার্জন করে থাকে। শুধুমাত্র যে ভিডিও এডিটিং করেই অর্থ উপার্জন করা সম্ভব তা নয়। আরো অনেক অনলাইনের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতি রয়েছে। যদি ভিডিও এডিটিং করে অর্থ উপার্জনের ইচ্ছে না জাগে তাহলে বিকল্প অনলাইন ইনকামের পদ্ধতি গুলোর খোঁজ করুন। কারণ বর্তমান সময়ে অনলাইন কাজের চাহিদা এবং মার্কেট ভ্যালু অনেক বেশি। আর আশা করা যায় এগুলোর চাহিদা ভবিষ্যতেও বজায় থাকবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এসএইচ নিউজস্টোরের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url