চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের উপায় জেনে নিন

আপনি যদি চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের উপায় গুলো জানতে চান। তাহলে উপযুক্ত স্থানে এসেছেন কারণ এখানে চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের মুখ্য উপায় গুলো জানতে পারবেন। শুধু তাই নয় উপায় গুলোর সম্পর্কে কিছু ধারনাও নিতে পারবেন। যা আপনাকে চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয় করার জন্য উদ্বুদ্ধ করবে। এমনকি চাকরির পাশাপাশি পড়াশোনা করতে পারবেন কিনা তাও জানতে পারবেন।
চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের উপায় জেনে নিন
আমরা সকলেই সুন্দরভাবে জীবন যাপন করতে চাই। কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রে সেটা সম্ভব হয় আর অনেকের ক্ষেত্রে তা হয় না। কারণ সুন্দর ভাবে জীবন যাপন করার জন্য টাকারও প্রয়োজন রয়েছে। অনেকের ক্ষেত্রে এই প্রয়োজন শুধুমাত্র চাকরি দিয়ে পূরণ করা সম্ভব নয়। এর জন্য চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয় করার দরকার রয়েছে। তাই আসুন চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের উপায় গুলো জেনে নেই।

চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের উপায়

অনেকে চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয় করতে চাই। কিন্তু উপযুক্ত কিছু না পাওয়ার কারণে চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয় করা হয় না। আমরা অনেকে চাই আর্থিকভাবে সচ্ছলতা এবং জীবিকা নির্বাহের পাশাপাশি নিজের ইচ্ছে গুলো পূরণ করতে। কিন্তু সেটা অনিচ্ছাই হয়ে থাকে পূরণ হয় না।

আর এর প্রধান কারণ হচ্ছে দিনের পুরোটা সময় চাকরি করার পরে কোন অবশিষ্ট সময় বেঁচে থাকে না। যেটিও বা বেঁচে থাকে তার দ্বারা বাড়তি কিছু অর্থ উপার্জন করা সম্ভব হয় না। আজকে এমনই কিছু চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের উপায় জানতে পারবেন।

যার দ্বারা দিনের পুরো সময় চাকরি করার পরেও বাড়তি যেই অবশিষ্ট সময়টুকু থাকে তার দ্বারা বাড়তি কিছু অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। তাই শুধুমাত্র মাস শেষে নির্ধারিত অংকের টাকার উপরে নির্ভর না থেকে বাড়তি আয় করে নিজের জীবনকে সচ্ছল করে তুলুন। এর জন্য রয়েছে উপযুক্ত কিছু উপায় চলেন সেই চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের উপায় সম্পর্কে জেনে আসি।

চাকরির পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং

আপনার চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয় করার জন্য ফ্রিল্যান্সিং হতে পারে উপযুক্ত আরেকটি পেশা। আপনি অনেকের মুখে বা কোন মাধ্যমে শুনে থাকবেন। ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে মাসে হাজার থেকে লক্ষ টাকা ইনকাম করার গল্প। কিন্তু এই গল্পের পিছনে রয়েছে অকালান্ত পরিশ্রম এবং কঠোর ধৈর্য শক্তি। আপনি যদি চাকরির পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে বাড়তি কিছু টাকা আয় করতে চান।

তার জন্য পছন্দের যে কোনো স্কিলের উপর দক্ষতা অর্জন করতে হবে। সর্বপ্রথম ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। আসলে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কি এবং কিভাবে করতে হয়। আর এই সম্পর্কে জানার জন্য ইউটিউব ভিডিও দেখে বা আর্টিকেল পড়ে জানতে পারবেন। অনেকে চাকরির পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শুরু করে ফ্রিল্যান্সিংয়ে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে নিয়েছে।
অতঃপর সেই ব্যক্তি চাকরি ছেড়ে দিয়ে পুরো সময় ফ্রিল্যান্সিংয়ে মনোযোগ দিয়ে মাসে লক্ষ টাকা ইনকাম করছে। তাই আপনিও যদি তাদের মধ্যে একজন হতে চান তাহলে চাকরির পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে কিছু ক্যাটাগরি রয়েছে। আসুন সেই ক্যাটাগরির নাম গুলো জেনে আসি।

গ্রাফিক্স ডিজাইন

গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন তৈরি করা। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় ধরুন আপনার একটি কোম্পানি রয়েছে তার জন্য লোগো, বিজনেস কার্ড, পোস্টার, ব্যানার ইত্যাদি প্রয়োজন। এই সবগুলো ডিজাইন গ্রাফিক ডিজাইনার তৈরি করে থাকে।
এক কথায় বলতে গেলে গ্রাফিক ডিজাইন হচ্ছে এক ধরনের আর্ট যা আরেক জনের কাছে বিক্রি করার মাধ্যমে হাজার হাজার টাকা উপার্জন করা যায়। এই গ্রাফিক ডিজাইনের সেক্টর বিশাল বড় এর মধ্যে অনেক কাজ রয়েছে। তার মধ্যে থেকে যেকোনো একটি কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করে মাঠে নেমে পড়ুন। বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস রয়েছে সেখানে নিজের দক্ষতাকে বিক্রি করুন।

ডিজিটাল মার্কেটিং

ফ্রিল্যান্সিং পেশা হিসেবে বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং খুব হাইপে রয়েছে। চাকরির পাশাপাশি ডিজিটাল মার্কেটিং ফ্রিল্যান্সিং হিসেবে উপযুক্ত হতে পারে। এর কাজ হচ্ছে অনলাইনের মাধ্যমে পণ্য বা সেবাগুলোকে বিক্রি করা। আপনি আরেকজনের কোম্পানির পণ্যগুলোকে প্রচার-প্রচারণা করার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। তবে ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরে অনেক কাজ রয়েছে।

যেমন ধরুন সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO), সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ফেসবুক মার্কেটিং, ইত্যাদি। এই কাজগুলোর মাধ্যমে বেকার থেকে শুরু করে চাকরিজীবী পর্যন্ত অর্থ উপার্জন করছে। যদি চাকরির পাশাপাশি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে বাড়তি উপার্জন করতে চান। তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং এর যে কোনো একটি কাজের উপর কমপক্ষে ৩ থেকে ৬ মাস সময় দিন। কারণ দক্ষতা ছাড়া কাজ পাওয়া যাবে না। এর জন্য সর্বপ্রথম ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে জানুন। তারপর নির্ধারণ করুন কোন কাজ ভালো লাগছে। সেই কাজটি ভালোভাবে শিখে নিন।

আর্টিকেল রাইটিং

আর্টিকেল রাইটিং হচ্ছে সহজ কাজগুলোর মধ্যে একটা। যার জন্য আহামরি কোন স্কিল বা দক্ষতার প্রয়োজন হয় না। আপনার শুধু নির্দিষ্ট টপিক্সের ওপর আর্টিকেল লিখতে হবে। সেটা যে কোনো ভাষার উপর হতে পারে। তবে মার্কেটপ্লেস গুলোতে ইংলিশের উপর আর্টিকেল লেখার কাজ বেশি পাওয়া যায়।

বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইটের মালিক এবং কোম্পানির মালিকগণ তাদের প্রতিষ্ঠানের জন্য আর্টিকেল লেখার কাজ দিয়ে থাকে। সাধারণত কাজগুলো নেওয়ার জন্য মার্কেটপ্লেসে খোঁজ করতে হয়। এই কাজ করার মাধ্যমে মাসে ভালো অংকের টাকা আয় করতে পারবেন। তাই আপনার যদি লেখার উপর আগ্রহ এবং কোন টপিক্সের ওপর ভালো দক্ষতা থেকে থাকে। তাহলে এই সেক্টর থেকে চাকরির পাশাপাশি ভালো অংকের বাড়তি আয় করতে পারবেন।

ভিডিও বা অ্যানিমেশন ভিডিও

বর্তমান সময়েমানুষ সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচুর সময় ব্যয় করছে। আপনি যদি তাদেরকে লক্ষ্য করে বিভিন্ন ধরনের ফানি অথবা শিক্ষামূলক ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবে আপলোড করতে পারেন। তাহলে মাস শেষে ভাল পরিমানে টাকা আয় করতে পারবেন। সেই ভিডিও এনিমেশনের মাধ্যমে অথবা নিজের চেহারা ব্যবহার করার মাধ্যমে তৈরি করতে পারেন।

কিন্তু এই সফলতা একদিনে আসবে না। এর জন্য ভালো এডিটিং এবং ভালো ভিডিও মেকার হতে হবে। তাই কমপক্ষে ৬ মাস থেকে ১ বছর সময় দিতে হবে। তাই চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের জন্য ভিডিও বানিয়ে আয় করতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আরো অনেক ধরনের কাজ পাওয়া যায়। যার সবগুলো এখানে উল্লেখ করা সম্ভব নয়। তাই এই বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ জ্ঞান পাওয়ার জন্য ইউটিউব ভিডিও অথবা আর্টিকেল পড়ার মাধ্যমে জেনে নিতে পারবেন। আপনি চাইলে এক সময় ফ্রিল্যান্সিংকে ফুল টাইম ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং মূলত স্বাধীন এক পেশা। যেখানে কাজের কোন নির্ধারিত সময় নেই। যখন ইচ্ছে তখন কাজ করা যায় এবং নিজের ইচ্ছে মত কাজের উপর টাকা নির্ধারণ করা যায়।

চাকরির পাশাপাশি উদ্যোক্তা

বহু সংখ্যক চাকরিজীবী চাকরির পাশাপাশি উদ্যোক্তা হচ্ছে। তারা এখন সচ্ছল জীবন যাপন করছে এবং নিজের ইচ্ছে গুলো পূরণ করছে। অনেকে ভাবছেন চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা দাড়া করানো গেলে আস্তে আস্তে ব্যবসাটা বড় হত। তখন সেখান থেকে কিছু অর্থ আসতে শুরু করতো এবং একটা সময় চাকরি ছেড়ে দিয়ে ফুল টাইম ব্যবসা করা যেত।

তাহলে ছোটখাটো কোন ব্যবসা শুরু করতে পারেন। সেই ব্যবসার দায়িত্ব বিশ্বস্ত কোন মানুষের হাতে দিয়ে দিন। এমন একজন মানুষ যার ওপর আপনার বিশ্বাস রয়েছে এবং সে আপনার ব্যবসার সঠিক দেখাশুনা করতে পারবে। এখন কোন ছোটখাটো ব্যবসাগুলোর মাধ্যমে উদ্যোক্তার জীবনযাত্রা শুরু করা যায়। চলেন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসি।

হাঁস-মুরগির খামার

অল্প ইনভেস্টের মাধ্যমে ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। আপনার বাড়ির আঙ্গিনায় অথবা এমন কোথাও যেখানে নিজস্ব কোন জমি রয়েছে। তবে সেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে জায়গা থাকতে হবে। সেই জায়গার উপর কম খরচের মধ্যে একটি খামার দিন। শুরুর দিকে বেশি টাকা ইনভেস্ট করবেন না। অল্প কিছু টাকা ইনভেস্ট করে খামার দিয়ে ব্যবসা শুরু করুন। সর্বপ্রথম নির্দিষ্ট ব্যবসাটি বোঝার চেষ্টা করুন। শুরুর দিকে লাভ-লোকসানের মধ্য দিয়ে দিন যাবে। সেখান থেকে শিক্ষা নিতে হবে এবং বোঝার চেষ্টা করতে হবে। যেন পরবর্তী সময় সেই ভুল পুনরাবৃত্তি না হয়।

জমি কেনা এবং বেচা

বর্তমান সময়ের অধিক লাভজনক ব্যবসা। আপনার কাছে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে অর্থ থাকে যেটা জমি কেনার পেছনে বিনিয়োগ করতে পারবেন। তাহলে এই ব্যবসা আপনার জন্য অধিক লাভজনক হতে পারে। এর জন্য প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। এই ধরুন এমন এক জমিতে ইনভেস্ট বা বিনিয়োগ করলেন যার একটি নির্দিষ্ট সময় দাম ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ বেড়ে যাবে।
কিন্তু আগেই বলেছি এর পিছনে রয়েছে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা। যেমন একটি জমি কিনলেন যেটা আজ থেকে দুই থেকে তিন বছর পর অথবা এক থেকে দুই বছর পর বিক্রি করবেন। আর সেই জমি থেকে এত শতাংশ লাভ করবেন। সেটাকে বলা হয় মূলত দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা।

অনলাইন ও অফলাইন কোচিং

এখানে খুব কম ইনভেস্টে অধিক উপার্জন করার উপযুক্ত উপায়। একটা অফলাইন কোচিংয়ের জন্য খুব বেশি হলে ৫ থেকে ৮ হাজার টাকা খরচ হয়। আর অনলাইন কোচিং করানোর জন্য ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট খরচ রয়েছে। এটি বর্তমানে অধিক লাভজনক ব্যবসা।

আপনি যদি বর্তমান সময়ে আশেপাশে তাকান তাহলে দেখবেন অনেক শিক্ষক এবং চাকরিজীবী সকাল ৮টা বা ১০টা থেকে শুরু করে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ডিউটি শেষ করে। কোচিং সেন্টার এ ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা দানের মাধ্যমে চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয় করছে। আপনার যদি পড়ানোর বিষয়ে পূর্বের অভিজ্ঞতা অথবা ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ানোর মানসিকতা থাকে। তাহলে উল্লিখিত ব্যবসায়ীটির বিষয়ে ভেবে দেখতে পারেন।

অনলাইনে গাছ বিক্রি

বাসার ছাদে যদি জায়গা থাকে তাহলে নার্সারি তৈরি করতে পারেন। বিভিন্ন ধরনের গাছ যেগুলো টবের মধ্যে হয়ে থাকে। যেমন ফুল ও ফলসহ নানান ধরনের বৈচিত্র্যময় গাছ। নানান ধরনের গাছ উৎপাদন করে এবং সেগুলো পরিচর্যা করার মাধ্যমে নার্সারি গড়ে তুলতে পারেন। বর্তমান সময়ের পরিপেক্ষিতে অধিক লাভজনক ব্যবসা। যদি আপনার এই বিষয়ে শখ বা ইচ্ছা থাকে তাহলে করতে পারেন।

এবার এই গাছগুলোকে অনলাইনের মাধ্যমে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করুন। একটি পেজ এবং ইউটিউব চ্যানেল খুলুন। সেখানে নিজের নার্সারি সম্পর্কে মানুষকে জানান। যে আপনার নার্সারিতে কোন কোন ধরনের গাছ পাওয়া যায় এবং এই গাছগুলোর যত্নের টিপস এবং ট্রিকসগুলো জানান। তাহলে দেখবেন আস্তে আস্তে ব্যবসা গ্রোথ হতে শুরু করেছে। তাই চাকরির পাশাপাশি আয়ের জন্য কম পরিশ্রমে অধিক লাভজনক ব্যবসা।

পাখি লালন-পালন

পাখি প্রাণীটি কমবেশি সকলেই পছন্দ করে এবং বাড়ির সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য মানুষ ক্রয় করে। এই চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে পাখি লালন-পালন শুরু করতে পারেন। কম খরচে অধিক লাভজনক ব্যবসা হচ্ছে পাখির লালন-পালন। বাড়ির ছাদ অথবা ফাঁকা কোন রুমের মধ্যে ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। বিভিন্ন ধরনের পাখি রয়েছে যেমন বাজরিকা, কবুতর, লাভ বার্ড এবং ঘুঘুসহ নানান পাখি। যে পাখিগুলোর চাহিদা মার্কেটে অনেক বেশি।
এই ব্যবসাটি অনলাইন এবং অফলাইন দুইভাবেই শুরু করতে পারেন। নিজের খামারের জন্য পেজ এবং ইউটিউব চ্যানেল খুলুন। সেখানে নিজের পাখিগুলোর সম্পর্কে ভিডিও তৈরি করে আপলোড করুন। আবার কিভাবে পাখিদের পরিচর্যা করতে হয় সে বিষয়ে মানুষদের শিক্ষা প্রদান করুন। এই সকল বিষয় দেখার পরে পাখিগুলো কেনার উপর মানুষের চাহিদা বাড়বে। আর আপনি চাকরির পাশাপাশি ভালো অংকের টাকা আয় করতে পারবেন।

চাকরির পাশাপাশি অন্যান্য অনলাইন ও অফলাইন ইনকাম

চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের উপায় হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং এবং উদ্যোক্তা হওয়ার বিষয়গুলো জানলেন। কিন্তু এর পাশাপাশি বাড়তি আয়ের উপায় হিসেবে আরও কিছু মাধ্যম রয়েছে যা অনলাইন এবং অফলাইনে করা যায়। তাই চাকরির পাশাপাশি অন্যান্য অনলাইন ও অফলাইন ইনকাম সম্পর্কে জেনে নিন।

ড্রপ শিপিং

ঘরে বসে থেকে বাড়তি সময়ে ড্রপ শিপিং করার মাধ্যমে আয় করতে পারেন। যেমন দারাজে এ স্টোর খুলে সেখানে বিভিন্ন ধরনের পণ্য বিক্রি করার মাধ্যমে ড্রপ শিপিং যাত্রা শুরু করতে পারেন। তাই ছোটখাটো পরিসরে কম টাকা খরচ করার মাধ্যমে যাত্রা শুরু করতে পারেন। আপনার যদি অনলাইন মারকেটিং প্ল্যান ভালো থাকে। তাহলে ব্যবসাটি করার মাধ্যমে অধিক লাভজনক হতে পারবেন।

ব্লগিং থেকে আয়

ব্লগিং হচ্ছে অনলাইনের মাধ্যমে লেখালেখি করে মানুষের কাছে তথ্য পৌঁছানো। যে তথ্য বা আর্টিকেল পড়ার মাধ্যমে মানুষ উপকৃত হবে এবং সেখান থেকে উপার্জন করতে পারবেন। এই কাজ করার জন্য কোন নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করা থাকে না। চাকরির পাশাপাশি যে কোনো সময় বসে থেকে আর্টিকেল লিখে ওয়েবসাইটে পাবলিশ করে দিলেন। যদিও এখান থেকে একদিনে ইনকাম করা সম্ভব নয়। এখান থেকে আয় করার জন্য কমপক্ষে ৬ মাস থেকে ১ বছর পরিশ্রম করে যেতে হবে। প্রতিদিন অন্ততপক্ষে একটি থেকে দুটি আর্টিকেল লিখে ওয়েবসাইটে পাবলিশ করতে হবে।

ফাস্টফুড বিক্রি

যারা চাকরিরত অবস্থায় রয়েছেন তাদের মধ্যে অনেকের ফাস্টফুড বিক্রি করা সম্ভব হবে না। তবুও বলছি চাকরির পাশাপাশি অতিরিক্ত আয়ের এক মুখ্য সুযোগ। এই ফাস্টফুড এর দোকান থেকে চাকরি থেকে বেশি টাকা ইনকাম করা সম্ভব। কিন্তু ফাস্টফুড এর দোকান দেওয়ার জন্য জনসমাগম জায়গা খুঁজতে হবে। কারণ জনসমাগম জায়গায় ফাস্টফুড বেশি বিক্রি করা যায়। বর্তমানে মানুষের ফাস্টফুড এর উপর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই যারা মনে করছেন চাকরির পাশাপাশি বাড়তি একটু বেশি আয় আয় করব তারা ফাস্ট ফুড বিক্রি করতে পারেন।

মোদির দোকান

যদিও অধিক প্রচলিত ব্যবসা তবুও চাকরির পাশাপাশি নির্দিষ্ট যে সময়টি বেঁচে থাকে তা সেখানে দিতে পারেন। আরেকটি উপায় বের করতে পারেন তা হচ্ছে দিনের যে সময়টি চাকরিতে দিবেন তার জন্য আরেকজন বিশ্বস্ত লোক নিয়োগ দেন। যেই আপনার চাকরিরত অবস্থায় থাকাকালীন দোকানের যাবতীয় কাজ এবং দেখাশোনা করবে। এটিও অধিক লাভজনক ব্যবসা কিন্তু এর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পুঁজির প্রয়োজন রয়েছে। আপনার কাছে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে পুঁজি থেকে থাকে তাহলে ভেবে দেখতে পারেন।

বিউটি পার্লার

বর্তমান সময়ে মেয়েরা রূপচর্চায় বেশি মনোযোগ দিচ্ছে। এমনকি ছেলেরাও সেখান থেকে পিছিয়ে নেই। এই জন্য বিউটি পার্লার দিতে পারেন। দুইটি শাখা খুললেন একটি ছেলেদের জন্য এবং অপরটি মেয়েদের জন্য সেখানে উপযুক্ত রূপচর্চার আর্টিস্টদের নিয়োগ দেন। যারা খুব সহজে এবং সুন্দরভাবে ছেলে ও মেয়ে উভয়ের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলতে পারে। এটি আপনার জন্য অধিক লাভজনক হতে পারে। কিন্তু এখান থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য যথাযথ পুজিঁর প্রয়োজন রয়েছে।

ভাংরি কেনা ও বেচা

আপনি ফেরিওয়ালা বা যারা বাসায় গিয়ে ভাংরি কিনে তাদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট মূল্যে ভাংরি কিনে সেটা বেশি দামে উপযুক্ত স্থানে বিক্রি করতে পারেন। ব্যবসাটির নাম শুনে হয়তো ছোট মনে হতে পারে কিন্তু এর ইনকাম অনেক বেশি। যেই সময় ভাঙ্গরির দোকানে অবস্থান করতে পারবেন না। সেই সময়টুকুর জন্য বিশ্বস্ত কোন লোক নিয়োগ দেন। ভাংরি কেনা বেচার ব্যবসা অধিক লাভজনক।

অনলাইন পণ্য বিক্রি

আপনার একটি দোকান রয়েছে যেখানে বিভিন্ন ধরনের পণ্য বিক্রি করেন। আপনি চাইলে অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইনকে ব্যবহার করার মাধ্যমেও দোকানের পণ্যগুলো মানুষের কাছে বিক্রি করতে পারেন। এর মাধ্যমে মানুষের কাছাকাছি দ্রুত পৌঁছানো যায়। আর এই অনলাইন মার্কেটিং এর জন্য ফেসবুক ব্যবহার করতে পারেন। আপনার দোকানের নামে ফেসবুকে পেজ খুলুন। সেখানে অনলাইন স্টোর খুলে ফেলুন। এবার মানুষের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করুন। চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের উপায় হিসেবে লাভজনক পেশা।

চা এবং কফির আউটলেট

সব থেকে বেশি মানুষ সন্ধ্যার পর নিজের ব্যক্তিগত সময় কাটিয়ে থাকে। আর সেই ব্যক্তিগত সময় কাটানোর জন্য চা অথবা কফির দোকানে সময় দেয়। এখন আপনি চাকরির পাশাপাশি বাড়তি সময়টুকু চা এবং কফির দোকান দেওয়ার মাধ্যমে লাভবান হতে পারেন। কোন উপযুক্ত স্থানে যেখানে মানুষ বেশি যাওয়া আশা অথবা সময় দিয়ে থাকে। তাই চা এবং কফির আউটলেট দিয়ে চাকরি পাশাপাশি বাড়তি আয় করতে পারেন।

পুরনো বই বিক্রির দোকান

যেকোনো বই নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত মানুষ পড়ে থাকে। তারপরে সেই বই পুনরায় আর পড়ার সম্ভাবনা কম থাকে। কিন্তু ঐ বইটি আরেকজনের জন্য অধিক প্রয়োজনীয় হতে পারে। আপনি প্রথম পাঠকের কাছ থেকে সেই বইগুলো কিনে দ্বিতীয় পাঠকের কাছে বিক্রি করতে পারেন। এর দ্বারা মাস শেষে চাকরির পাশাপাশি ভালো অংকের টাকা এখান থেকে আয় করতে পারবেন।

চাকরির পাশাপাশি পড়াশোনা

চাকরির পাশাপাশি পড়াশোনা করতে পারেন। এমনকি তার পাশাপাশি বাড়তি আয়ও করতে পারবেন। এক কথায় তিনটি জিনিস একসাথে পরিচালনা করতে পারবেন। কিন্তু এটি খুব কষ্টদায়ক হয়ে যাবে এবং ফ্যামিলির সাথে সময় দেওয়ার মত সময়টুকু পাওয়া সম্ভব হবে না।

কিন্তু চাকরির পাশাপাশি পড়াশোনা করতে পারবেন। আপনি যদি মনে করেন বিবিএ কমপ্লিট করেছি এখন মাস্টার্স করতে চাই। তাহলে চাকরির পাশাপাশি তা সম্ভব হবে। তাই আপনি চাইলে চাকরির পাশাপাশি পড়াশোনা এবং বাড়তি আয় করতে পারবেন। কিন্তু নিজেকে সময় দেওয়ার মতো যথাযথ সময় টুকু পাবেন না।

উপসংহার

পরিশেষে বলা যায় অনেকের চাকরি টাকা দিয়ে বর্তমান সমাজে টিকে থাকা মুশকিল। একটি সচ্ছল জীবন যাপন করার জন্য চাকরির পাশাপাশি কিছু বাড়তি আয়ের প্রয়োজন হয়। আর এই জন্য অনেকে চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের উপায় খুঁজে থাকে। যেন সেই ব্যক্তি নিজের পরিবারের চাহিদা গুলো সম্পন্ন করতে পারে। আর নিজের কিছু ইচ্ছে পূরণ করতে পারে। আর এই জন্য চাকরির পাশাপাশি অতিরিক্ত আয়ের উপায় গুলোর সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। যেগুলো পড়ার মাধ্যমে উপকৃত হবেন বলে আশা করি। যদি পুরো আর্টিকেল পড়ে ভালো লাগে তাহলে আপনার বন্ধু এবং আরো যারা চাকরির পাশাপাশি আয় করতে চাই তাদেরকে জানান।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এসএইচ নিউজস্টোরের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url