লবঙ্গের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন

আপনি কি লবঙ্গের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানার জন্য আগ্রহী। তাহলে এদিক-ওদিক খোঁজে খুঁজি না করে কাঙ্খিত ফলাফল পাওয়ার জন্য লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন। যা জানার মাধ্যমে লবঙ্গ সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা পেয়ে যাবেন আর লবঙ্গ খাওয়ার প্রতি আগ্রহ বেড়ে যাবে। এই জন্য আপনার পুরো আর্টিকেল পড়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
লবঙ্গের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন
আমরা অনেকে লবঙ্গ বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করে খাবারের স্বাদ বাড়ানো থেকে শুরু করে যেকোনো উপায়ে খেয়েছি। অনেকে লবঙ্গের উপকারিতা পেয়েছি আবার অনেকে লবঙ্গের অপকারিতা গ্রহণ করেছেন। শুধুমাত্র লবঙ্গ সম্পর্কে পর্যাপ্ত পরিমাণে ধারণা না থাকার কারণে ঘটেছে। তাই লবঙ্গ সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা নিয়ে নিন।
পোস্ট সূচিপএঃ 

লবঙ্গের ফুল খেলে কি হয়

লবঙ্গের বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে সিজিজিয়াম অ্যারোমেটিকাম। আর আমরা বাংলায় বলি লবঙ্গ। লবঙ্গ মূলত ফুলের শুকানো এক ধরনের কুঁড়ি। যাকে আমরা লবঙ্গ বলে থাকি। লবঙ্গ শুধুমাত্র খাবারকে সুস্বাদু করার কাজে ব্যবহার করা হয় না। বিভিন্ন ধরনের ভেষজ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। লবঙ্গ টুথপেস্ট থেকে শুরু করে সাবানে পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়।

এটি যেভাবেই খান না কেন এর মধ্যে থাকা উপকার পাবেন। কিন্তু এশিয়ার সহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে মসলা হিসেবে বেশি ব্যবহার করা হয়। তাই লবঙ্গের ফুল বা লবঙ্গ দুটোই একই কথা তাইতো এর উপকারিতাও একই রকম হবে। কিন্তু এর উপকার নিয়ে কারো কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব নেই। তাই আপনি লবঙ্গ অনায়াসে খেতে পারেন এবং এর উপকারিতা গুলো যথাযথ উপভোগ করতে পারবেন।

লবঙ্গের উপকারিতা ও অপকারিতা আছে কি

আমরা সাধারণত লবঙ্গ খেয়ে থাকি খাবারের সুস্বাদু করার ওপর নির্ভর করে। কিন্তু লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা রয়েছে তা হয়তো অনেকে জানেন না। নাহ জানাটা দোষের কিছু না কিন্তু জানার পরেও মেনে না চলা সেটা দোষের হতে পারে। এই লবঙ্গের মধ্যে যেমন রয়েছে উপকারিতা ঠিক তেমন পরিমাণেও রয়েছে অপকারিতা।
আপনি যদি এর নিয়ম গুলো যথাযথ মেনে খেতে পারেন তাহলে এর উপকারিতা ও গুনাগুন এর কোন জুড়ি নেই। আবার যদি যথাযথ নিয়ম না মেনে খেতে থাকেন তাহলে অপকারিতা গুলো সামনে এসে ধরা দিবে। তাহলে চলুন পুরো আর্টিকেল পড়ার মাধ্যমে লবঙ্গের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।

লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা

এই লবঙ্গ কোথায় ব্যবহার করা হয় না তাই বলুন খাওয়ার মসলা থেকে শুরু করে আয়ুর্বেদিক পণ্যতেও ব্যবহার করা হয়। এই লবঙ্গ যেমন অনেকভাবে খাওয়া যায় এবং তার যথাযথ উপকারিতা গুলোও পাওয়া যায়। তাইতো লবঙ্গ খাওয়ার মধ্যে যেই উপকারিতা ও গুনাগুন গুলো রয়েছে তা জেনে নিন।

বমি থেকে রক্ষা

বমি বমি ভাব হওয়ার ক্ষেত্রে লবঙ্গ খাবার ফলে বমি হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। আমাদের মধ্যে অনেকে লবঙ্গ চিবিয়ে অথবা মুখের মধ্যে রেখে খাওয়ার মাধ্যমে বমির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। এর মধ্যে থাকা সুগন্ধি বমির হাত থেকে রক্ষা পেতে সহযোগিতা করে।

দাঁত ও মাড়ি সুরক্ষা

দাঁত ও মাড়ির নিরাময়ের ক্ষেত্রে লবঙ্গ ব্যবহারের কোন তুলনা হয় না। লবঙ্গ দাঁতের মাড়ি মজবুত এবং দাঁতের ব্যথা থেকে উপশম দেয়। আবার মুখের মধ্যে থাকা দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পেতে সহযোগিতা করে। যা আপনাকে একটি ফ্রেশ মুখ গহ্বর দিতে সাহায্য করে। এর মধ্যে থাকা অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এ সকল কাজে সহযোগিতা করে। এমনকি লবঙ্গ টুথপেস্ট এর মধ্যেও ব্যবহার করা হয়। তাই বোঝা যাচ্ছে লবঙ্গ দাঁতের ক্ষেত্রে কতটা উপকার বয়ে আনে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি

আমাদের মধ্যে অনেকে রয়েছে যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হওয়ার কারণে প্রতিনিয়ত কোনো না কোনো রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। এর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য লবঙ্গ খেতে পারেন। এটি আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ক্রমশ লড়াই করে যায়।

পাকস্থলীর সুরক্ষা

পাকস্থলীর নানান সমস্যার সমাধান হিসেবে লবঙ্গ কাজ করে থাকে। হজম শক্তি বাড়ানোর কাজে এবং আলসারের মতো ভয়ানক রোগের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য লবঙ্গ সহযোগিতা করে। আবার পেট ফাঁপা এবং গ্যাসের মত বেদনাদায়ক যন্ত্রণার হাত থেকে রক্ষা করে। তাই তো এই সকল সমস্যার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নিয়মিত লবঙ্গ খেতে পারেন এবং লবঙ্গ খাওয়ার মাধ্যমে উপকারিতা নিয়ে নিন।

হৃদরোগ থেকে সুরক্ষা

হৃদরোগ থাকে সুরক্ষা পাওয়ার জন্য লবঙ্গ খেতে পারেন। এর মধ্যে থাকা অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃদপিন্ডের সুরক্ষা কবজ হিসেবে কাজ করে যাই। এটি আপনার উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিনিয়ত কাজ করে। তাইতো হৃদপিন্ডের ঝুঁকি কমানোর জন্য লবঙ্গের সহযোগিতা নিতে পারেন।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ

বর্তমান সময়ের মারাত্মক ব্যাধি হিসেবে পরিচিত হচ্ছে ডায়াবেটিস। যা একেবারে অনিরময় করা প্রায় অসম্ভব কিন্তু নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। লবঙ্গ খাওয়ার মাধ্যমে রক্তের শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহযোগিতা করে। এটির মধ্যে থাকা গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে নাইজেরিসিন এবং ইনসুলিন রয়েছে যা ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে খুব ভালো কাজ করে। তাইতো খাবারের তালিকায় লবঙ্গ রাখার মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার মত উপকারিতা নিতে পারেন।

হাড়ের জন্য সুরক্ষা

হাড়ের জন্য সুরক্ষা কবজ হিসেবে ঢাল হয়ে দাঁড়ায় লবঙ্গ। লবঙ্গের মধ্যে থাকা ম্যাগানিজ, ভিটামিন কে, হাইড্রো অ্যালকোহলিক এবং অস্টিওপোরোসিস এর মত উপাদান থাকায় হাড়ের খনিজ পদার্থ, শক্তিশালী এবং খয়রোধ সহ নানান সহযোগিতা করে। হাড়ের সমস্যা সবচেয়ে বেশি বয়স্ক ব্যক্তিদের তাই তো আপনারা নিয়মিত খাদ্য তালিকায় লবঙ্গ রাখার মাধ্যমে হাড়ের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারেন। তাই হাড়ের সুরক্ষা থেকে শুরু করে যে কোনো উপকারিতা পাওয়ার জন্য লবঙ্গ খাবেন।

মাথাব্যথা ও প্রদাহ

আমাদের অনেকের মাইগ্রেনের সমস্যা রয়েছে এবং অনেকের মাথাব্যথার মত সমস্যাও হয়। এই সমস্যা থেকে উদঘাটন পাওয়ার জন্য লবঙ্গ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। আবার অতিরিক্ত ট্রেস এবং প্রদাহ কমানোর কাজেও লবঙ্গ সহযোগিতা করে। তাই নিজের ব্রেইনকে সুস্থ এবং স্বাভাবিক রাখার জন্য নিয়মিত খাদ্য তালিকায় লবঙ্গ রাখুন।

শ্বাসকষ্ট থেকে সুরক্ষা

শীত ও জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সাথে শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা হয়ে থাকে। তাই আপনি যদি লবঙ্গ চিবিয়ে অথবা চুষে খেতে পারেন। আবার চাইলে চা আকারেও খেতে পারেন অথবা গরম পানিতে কয়েকটি লবঙ্গ দেওয়ার মাধ্যমে এর ভাব নিতে পারেন। তাহলে দেখবেন এর উপাদানগুলো শ্বাসকষ্টের হাত থেকে সুরক্ষা দিতে সহযোগিতা করছে। তাই শ্বাসকষ্টের ক্ষেত্রে এর উপকারিতা পাওয়ার জন্য এই নিয়মটি মেনে খেতে থাকুন।

ক্যান্সারের সুরক্ষা কবজ

ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা এবং সুরক্ষা কবজ হিসেবে লবঙ্গ খেতে পারেন। এটি আপনার ক্যান্সারের টিস্যু গুলোকে বৃদ্ধির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য ঢাল হিসেবে দাঁড়ায়। এই লবঙ্গ ব্রেস্ট ক্যান্সার এর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সহযোগিতা করে। তাই আজ থেকেই লবঙ্গ খাওয়ার মাধ্যমে উপকারিতা নিন।

খালি পেটে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা

লবঙ্গ খাওয়ার মধ্যে বিশেষ কিছু উপকারিতা রয়েছে যার কারণে আমাদের নিয়মিত লবঙ্গ খাওয়া উচিত। লবঙ্গ খিচুড়ি, তরকারি এমনকি চায়ের মধ্য দিয়েও মসলা চা বানিয়ে খাওয়া যায়। এই বিভিন্ন উপায় গুলো ব্যবহার করে প্রতিনিয়ত মানুষ লবঙ্গ খেয়ে যাচ্ছে।

লবঙ্গ যেমন খাবারের স্বাদ বাড়ায় ঠিক তেমনি দেহের উপকারিতাও বাড়িয়ে দেয়। শুধু এই সকল ভাবে খেলেই উপকারিতা পাওয়া যাবে এমন নয় আপনি খালি পেটে লবঙ্গ খাওয়ার মাধ্যমে উপকারিতা পেতে পারেন। আসুন তাহলে জেনে নেই খালি পেটে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা গুলোর সম্পর্কে।
  • খালি পেটে লবঙ্গ খাওয়া পচনতন্ত্রের জন্য খুবই উপকারী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
  • সকালে ঘুম থেকে উঠে একটি থেকে দুইটি লবঙ্গ খাওয়ার মাধ্যমে হৃদরোগ থেকে রক্ষা পেতে সহযোগিতা করে।
  • আপনি যদি নিয়মিত খালি পেটে লবঙ্গ খেতে পারেন তাহলে ক্যান্সারের মতো ব্যাধি থেকে রক্ষা পেতে সহযোগিতা করবে।
  • হাড়ের ক্ষয়রোধ থেকে শুরু করে মজবুত রাখা পর্যন্ত উপকারিতা পাওয়ার জন্য খালি পেটে লবঙ্গ খেতে পারেন।
  • মস্তিষ্ক সতেজ এবং দ্রুত কাজ করার জন্য খালি পেটে লবঙ্গ খাওয়া ভালো হবে।
  • আমাদের শরীরের লিভার হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ যা ভাল রাখার জন্য নিয়মিত খালি পেটে লবঙ্গ খেতে পারেন এতে দারুন উপকারিতা মিলবে।
  • দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য ও মুখের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য লবঙ্গ দারুন কাজ করবে।
  • খালি পেটে লবঙ্গ খাওয়ার মাধ্যমে পেটের গ্যাস এবং পেট ফাঁপার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
  • পেটের ভেতর থেকে বিষাক্ত পদার্থগুলো বের করার জন্য খালি পেটে লবঙ্গ খাওয়া উপকারী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
  • যদি মাইগ্রেনের সমস্যা অথবা যে কোন সময় হঠাৎ করে মাথাব্যথা শুরু হয় তাহলে খালি পেটে লবঙ্গ খেতে পারেন।

রাতে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা

আমরা এতক্ষণ লবঙ্গ খাওয়ার নানান উপকারিতা সম্পর্কে জানলাম। এ থেকে যা বোঝা গেল লবঙ্গ খাওয়ার মধ্যে নানান উপকারিতা লুকিয়ে রয়েছে। এটি যে কোন ভাবে খাওয়া যায় এবং যে কোন সময় খাওয়া সম্ভব। তবে কিছু কিছু সময় রয়েছে যা ওই সময় খেলে একটু বেশি উপকারিতা পাওয়া যায়।

তার মধ্যে একটি হচ্ছে রাতে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা। আপনি যদি নিয়মিত একটি লবঙ্গ এবং এক গ্লাস গরম পানির মধ্যে মিশিয়ে খেতে পারেন। তাহলে নানান রোগের উপশম হিসেবে কাজ করবে লবঙ্গ। আমরা অনেকেই লবঙ্গ খালি পেটে খেয়ে থাকি অথবা চায়ের সাথে মিশিয়ে খায়।

তবে আপনি রাতেও লবঙ্গ খাওয়ার মাধ্যমে হৃদরোগ, ক্যান্সার, মাথাব্যথা, হাড়ের সুরক্ষা, দাঁতের সুরক্ষা, পেটের স্বাস্থ্য রক্ষা, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা এবং মাথা ব্যাথার মত আরও কিছু সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে পারেন। তাইতো শুধুমাত্র রাতে লবঙ্গ খাওয়ার মধ্যে উপকারিতা রয়েছে তা নয়। আপনি যেকোনো সময় লবঙ্গ খেয়ে এর উপকারিতা নিতে পারেন।

লবঙ্গ খাওয়ার অপকারিতা

নিয়মিত লবঙ্গ খেতে পারেন তবে অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া অলাভজনক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মানে আপনি যদি অতিরিক্ত বা অনুচিত বেশি পরিমাণে লবঙ্গ খেতে থাকেন তাহলে এর অপকারিতা বেশি দেখা যাবে। যাদের শরীরে রক্তের শর্করার পরিমাণ কম রয়েছে তাদের লবঙ্গ না খাওয়াই ভালো।

অতিরিক্ত লবঙ্গ খাওয়ার ফলে হাইপারগ্লাইসিমিয়ার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবার অনেক চিকিৎসকের মতামত অনুযায়ী যাদের অ্যালার্জি এর সমস্যা রয়েছে তাদের লবঙ্গ খাওয়া থেকে দূরে থাকতে বলা হয়।

লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে কি হয়

আমরা জানি লবঙ্গ অনেকভাবে খাওয়া যায়। কিন্তু সব সময় লবঙ্গ রান্না করে খাওয়া সম্ভব হয় না। এই জন্য অনেক সময় লবঙ্গ চিবিয়ে খেয়ে এর উপকারিতা নিতে পারেন। আপনারা জানলে অবাক হবেন লবঙ্গ চিবিয়ে খাওয়ার মধ্যেও রয়েছেন নানান উপকারিতা।

যেই উপকারিতা গুলো আমাদের সকলের জানা প্রয়োজন। এই জন্য অনেকে জানার আগ্রহ প্রকাশ করেছে লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে কি হয় এবং আসলেই কি চিবিয়ে খাওয়ার মধ্যে কোন উপকারিতা রয়েছে। কয়েক দিন নিয়মিত দিনে এক থেকে দুইটি লবঙ্গ চিবিয়ে খেয়ে দেখুন। এর উপকারিতা নিজেই বুঝতে পারবেন।
  • লবঙ্গ চিবিয়ে খাওয়ার মাধ্যমে দাঁতের মাড়ি শক্ত ও মজবুত হয়।
  • মুখের দুর্গন্ধের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য লবঙ্গ চিবিয়ে খেতে পারেন।
  • গ্যাসের মত অস্বস্তিকর ও বিরক্তিকর রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য লবঙ্গ চিবিয়ে খান।
  • লবঙ্গ চিবিয়ে খাওয়ার মাধ্যমে হজমের সমস্যা দূর করতে পারবেন।
  • বমি বমি ভাব এর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য লবঙ্গ চিবিয়ে খেতে পারেন।
  • মানসিক চাপ বা ট্রেস থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য লবঙ্গ খেয়ে দেখুন।
  • লবঙ্গ চিবিয়ে ও চুষে খাবার মাধ্যমে শ্বাসকষ্ট ও সর্দির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
  • দাঁতের মাড়ির ব্যথা দূর করার জন্য লবঙ্গ চিবিয়ে খেতে পারেন।

প্রতিদিন কয়টি লবঙ্গ খাওয়া উচিত

অনেকে জানতে চেয়েছে প্রতিদিন কয়টি লবঙ্গ খাওয়া উচিত এবং কয়টি লবঙ্গ খাওয়ার মধ্যে উপকারিতা পাওয়া যায়। আমরা এতক্ষণ জানলাম লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে যা জেনে বুঝলাম লবঙ্গের উপকারিতা রয়েছে। কিন্তু প্রতিদিন কি পরিমান লবঙ্গ খাওয়া উচিত। এটি মূলত মানব শরীরের উপরে নির্ভর করবে।

তবে যদি আপনার রক্তের শর্করার পরিমাণ কম থাকে লবঙ্গ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। আবার এলার্জি সমস্যা থাকলেও লবঙ্গ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলেছেন অনেক বিশেষজ্ঞ। তা নাহলে প্রতিদিন ২টি করে লবঙ্গ খেতে পারেন। এতে করে নানান উপকারিতা উপভোগ করতে পারবেন।

উপসংহার

পরিশেষে বলা যায়, লবঙ্গের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানার মাধ্যমে যা বোঝা গেল লবঙ্গের উপকারিতা গুলো খুব বেশি পরিমাণে রয়েছে। যদি তার অপকারিতা গুলো থেকে বেঁচে থাকা যায়। প্রায় প্রত্যেকটি খাবারের অপকারিতা রয়েছে কিন্তু সেই খাবারের উপকারিতাও রয়েছে। আমাদের শুধু সেই উপকারিতাগুলো গ্রহণ করার চেষ্টা করতে হবে। এই জন্য অপকারিতাগুলো জানতে হবে এবং সেগুলো থেকে দূরে থাকতে হবে। তাহলে আমরা তার যথাযথ ফলাফল গ্রহণ করতে পারবো। আশা করি এই পুরো আর্টিকেল পড়ার মাধ্যমে আপনি উপকৃত হবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এসএইচ নিউজস্টোরের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url